Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kurmi: অভিষেকের কনভয়কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে যাচ্ছে কুড়মিরা

    Kurmi: অভিষেকের কনভয়কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে যাচ্ছে কুড়মিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা ঝাড়গ্রাম জেলা। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কুড়মি (Kurmi) সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত সহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এবার জঙ্গলমহলে কুড়মি সমাজের সঙ্গে সংঘাত আরও চরমে উঠতে চলেছে রাজ্য সরকারের। কারণ, এবার মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং দুলাল মুর্মুর বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের প্রতিটি থানায় এফআইআর করতে চলেছে ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি।

    কেন থানায় অভিযোগের সিদ্ধান্ত?

    ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির মাঝেই অভিষেকের কনভয়ের হামলার সময় ভাঙচুর করা হয় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কনভয়। ঘটনার পর পরই কুড়মিদের আন্দোলন নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। কুড়মি (Kurmi) সমাজের নেতাদের হুমকি দিতে শোনা যায় শাসক দলের দাপুটে নেতা দুলাল মুর্মুকে। অন্যদিকে, কনভয়কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় একের পর এক কুড়মি নেতাকে। এই আবহেই বৈঠকে বসেন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কমিটির তরফে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি লড়াই লড়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্য নেওয়া হবে না। বরং জঙ্গলমহলের কুড়মি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে পাঠানো হবে কূপ। সেই কুপেই এক টাকা করে অর্থ সাহায্য নেওয়া হবে কুড়মি পরিবারের থেকে। ঘাঘর ঘেরা কমিটির অন্যতম সদস্য সুদীপ রায় মাহাত বলেন, কনভয়কাণ্ডে আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি প্রথম থেকে করে আসছি। এবার আমরা এই দাবির সমর্থনে আদালতের দ্বারস্থ হব। আর মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, বিধায়ক দুলাল মুর্মু কুড়মিদের (Kurmi) নিয়ে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের সব থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। আর যে সব কুড়মি নেতাদের  গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের হয়ে আইনি লড়াই আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূল সরকারের আমলে উদ্বাস্তুদের জোটেনি জমির পাট্টা, মেলেনি ১০০ দিনের কাজও

    Durgapur: তৃণমূল সরকারের আমলে উদ্বাস্তুদের জোটেনি জমির পাট্টা, মেলেনি ১০০ দিনের কাজও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদের মন জয় করতে এনআরসির বিরোধিতা করে পথে নেমেছিল রাজ্যের তৃণমূল। অথচ দুর্গাপুরে (Durgapur) ৩৫-৪০ বছর বসবাস করেও জোটেনি বসত জমির পাট্টা। বাদ পড়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা থেকেও। রাজ্যের উদ্বাস্তুদের দুর্দশা কেমন, তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কাঁকসার গোপালপুরের উদ্বাস্তু কলোনিগুলি। এমনকী জব কার্ড আছে, অথচ গত ৮-৯ বছর ধরে জোটেনি ১০০ দিনের কাজ, এমন সমস্যাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার এদের প্রতি এই ধরনের একাধিক চরম বঞ্চনার প্রতিবাদে গোপালপুর পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিল বিজেপির উদ্বাস্তু সেল।

    দুর্গাপুরে (Durgapur) সমস্যা কী?

    কাঁকসার (Durgapur) গোপালপুরের উত্তরপাড়ার জামাইপাড়া, সুকান্ত পল্লি, ভোলানাথ পল্লি, সত্যনারায়ণ পল্লি, বিটুনিয়া-এই সব এলাকায় মূলত বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের বসবাস রয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই দিনমজুর। কিন্তু এলাকার মানুষের অভিযোগ, তাঁরা বঞ্চিত। সরকার তাঁদের কোনও কাজ দেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা মায়া ঘরামি, গৌরাঙ্গ ঢালি প্রমুখ জবকার্ডধারী বলেন, বহু আবেদন করেছি। তবুও সরকারি কাজ পাইনি।

    উদ্বাস্তু সেলের বক্তব্য

    উদ্বাস্তু সেলের পক্ষে কৃষ্ণ মাল ও মনোজ ঢালি বলেন, “প্রায় ৩৫-৪০ বছর বসবাস করেও বসত জমির পাট্টা জোটেনি। আর তার ফলেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি জোটেনি তাদের। এক কথায় চরম দুর্দশার মধ্যে রয়েছে উদ্বাস্তু পরিবারের (Durgapur) মানুষগুলি। রাজ্যে উদ্বাস্তুদের প্রতি কি এটাই তৃণমূল সরকারের সহানুভূতির নমুনা? কেন এই বঞ্চনা? কেনই বা বসত জমির পাট্টা মেলেনি? এসবের উত্তর আমরা চেয়েছি।

    পঞ্চায়েত সমিতির বক্তব্য

    কাঁকসা (Durgapur) পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি রক্ষা কমিটির কর্মাধ্যক্ষ কাঞ্চন লায়েক সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চলতি অর্থ বছরে দুই পর্যায়ে ব্লকে প্রায় ৩০০ ভূমিহীনকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা পাট্টার জন্য কোনও আবেদনই করেনি। গত মার্চ মাসে গোপালপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় ১০টি দুয়ারের সরকারের শিবির হয়েছে। ওই শিবিরে নিয়ম মতো আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করে, পাট্টা প্রদান করা হয়েছে। তাই নিয়ম মেনে যদি আবেদন করা হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত প্রাপকদের পাট্টা দেওয়া হবে।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বিবৃতি

    গোপালপুর (Durgapur) পঞ্চায়েতের প্রধান জয়জিৎ মণ্ডল জানান, গোপালপুর পঞ্চায়েতে ২৫ টি সংসারে সাড়ে ৫ হাজার জবকার্ড রয়েছে। গত ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থ বছরে যা কাজ হয়েছে, তা কেন্দ্র সরকার সেই টাকা এখনও পাঠায়নি। উল্টে কাজই বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কাজ শুরু হলে অন্যত্র কাজ দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

    এইসব টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে উদ্বাস্তু মানুষের জীবন কীভাবে চলবে, সেটাই এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজিকর হাসপাতালের তিনজন ডাক্তার সাসপেন্ড কেন? জানতে চাইল হাইকোর্ট

    RG Kar: আরজিকর হাসপাতালের তিনজন ডাক্তার সাসপেন্ড কেন? জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের তিনজন অর্থপেডিক ডাক্তারকে কোন আইনে বসিয়ে দেওয়া হল? এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। হাইকোর্ট এদিন এও জানিয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকেরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করলে কোনও কড়া পদক্ষেপ  করা যাবে না। যদি আইন না থাকে তাহলে তাদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে, অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ জুন ধার্য করা হয়েছে। এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    আরজিকর-এর এক ডাক্তারি পড়ুয়া তাঁর তিনজন সিনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তাঁদের পাল্টা দাবি ছিল, ওই ছাত্রী রেগুলার ক্লাস করতেন না। তারপরেও অ্যাটেডেন্স করিয়ে দিতে বলতেন। তাতে তিনি পড়াশোনায় পিছিয়ে যাচ্ছিলেন। ছাত্রীকে পরে এনিয়ে বকাঝকা করলে তিনি শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।

    হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের

    ওই পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। অন্যদিকে আরজিকর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও নিজেদের বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে। তিন অভিযুক্ত চিকিৎসককে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে তাঁদের সাসপেন্ড করেছে। ২৯ মে আদালত এই মর্মে মামলা দাখিলের অনুমতি দেয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করলে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, শ্লীলতাহানির একটি ঘটনায় সম্প্রতি ফের খবরের শিরোনামে আসে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এক মহিলা অভিযোগ জানান, হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষী তাঁর শ্লীলতাহানি করেছে। যদিও সেই ঘটনার জেরে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    আরও পড়ুন: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে,” কেন বললেন অর্জুন?

    TMC: “তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে,” কেন বললেন অর্জুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার সত্যেন রায়ের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংসদ অর্জুন সিং। বৃহস্পতিবার অর্জুন বলেন, “সিপিএমের বিরুদ্ধে সত্যেন লড়াই করে বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের লোকজনও বাদ যাননি। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর বাড়ি। আর এখন তৎকাল তৃণমূলের কাউন্সিলারদের হাতে তাঁকে মার খেতে হল। আসলে এই সব কাউন্সিলাররা করোনা কালে তৃণমূলে এসেছে। টিকিট পেয়ে গিয়ে কাউন্সিলার হয়ে গেছে। এখনও তারা পুরসভায় ঠিকাদারি করে। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানাব। সেখানে কাজ না হলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে।” মূলত হামলার পাল্টা হামলার তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বুধবার ভাটপাড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার তরুণ সাউ ও ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অভিমন্যু তেওয়ারির নেতৃত্বে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সত্যেন রায়কে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুরসভায় ঢুকে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই ঘটনার পর আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দলগতভাবে অভিযুক্ত কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সত্যেন অর্জুন অনুগামী হিসেবে পরিচিত। আক্রান্ত কাউন্সিলার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে পুলিশও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। আর এতেই অর্জুন ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে দেখার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আজ, শুক্রবার তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বৈঠক রয়েছে। সেখানে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সংগঠনের জেলা সভাপতি তাপস রায় বলেন, দলে গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। দলীয় কাউন্সিলারের উপর হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। কারও বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ, বিক্ষোভ থাকলে দলীয় নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি বলা যেতে পারে। কিন্তু, এভাবে প্রকাশ্যে পুরসভার ভিতরে ঢুকে হামলার ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দলীয় বৈঠকে এই বিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে মৃত তিন

    Hooghly: মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে মৃত তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে হুগলির (Hooghly) মুণ্ডেশ্বরী নদীতে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে গেল পাঁচ কিশোর-কিশোরী। দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।  ঘটনা আরামবাগের হরিণখোলা এলাকার। মৃত্যুর কারণে আরামবাগে শোকের ছায়া। আরামবাগে সরকারি ডুবুরির ব্যবস্থা নেই কেন? এই নিয়ে এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষুব্ধ। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশহারার মনসা পুজো উপলক্ষে ওই এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল পাঁচ কিশোর-কিশোরী। বুধবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মুণ্ডেশ্বরী (Hooghly) নদীতে স্নান করতে নেমেছিল তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছে, পাড় থেকে অনেকটা দূরে চলে যায় ওই পাঁচজনই। এরপরেই বিপত্তি নেমে আসে। কিছুক্ষণ পরেই পাঁচজনের মধ্যে একজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। সে কোনও রকমে পাড়ে উঠে আসে। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ ছুটে আসে নদীর পাড়ে। সেই সঙ্গে আরামবাগ থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি জলে নেমে তলিয়ে যাওয়া বাকি ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য আরামবাগ (Hooghly) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে, চিকিৎসক দেখার পর সঞ্জিৎ মালিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার বাড়ি আরামবাগের হরিণখোলার আম গ্রামে। অপর একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং বর্তমানে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আর বাকি দুজনের খোঁজে ডুবুরি নামিয়ে গতকাল বিকেল থেকে সারারাত ধরে তল্লাশি চালানো হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একজনের নাম বর্ষা পণ্ডিত, অপর জনের নাম মানসী ধারা। একজনের বাড়ি আরামবাগের বিরাটি গ্রামে এবং অপরজনের বাড়ি গোঘাটের কুলকি এলাকায়। আপাতত দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

    এলাকার মানুষের ক্ষোভ

    তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ঘটনা ঘটার প্রায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পরে ডুবুরিরা এসে উপস্থিত হয়েছিল। তবে আরামবাগ (Hooghly) মহকুমায় সেভাবে কোনও ডুবুরির ব্যবস্থা ছিল না। এলাকার মানুষের দাবি, আরামবাগ মহকুমায় প্রশাসনের সরকারি ডুবুরির ব্যবস্থা রাখা উচিত। এলাকার মানুষ আরও বলে, সামনেই বর্ষা। নদীর জলে স্নান করতে গিয়ে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় আপদকালীন ব্যবস্থা রাখা প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নব জোয়ারের ঠেলায় আরামবাগ থেকে উধাও সরকারি বাস, ভোগান্তি

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নব জোয়ারের ঠেলায় আরামবাগ থেকে উধাও সরকারি বাস, ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার আরামবাগ ডিপো থেকে নন্দীগ্রামে যাওয়ার সরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। মোট ২০টি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, কলকাতা-আরামবাগ নন-স্টপ পরিষেবা সহ বিভিন্ন রুটে সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এমনকী আরামবাগে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোর টিকিট কাউন্টারে কোনও বাস নেই বলে কাগজে লিখে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বাস তুলে নেওয়ায় যাতায়াতে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাস তুলে নেওয়ার জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নব জোয়ার কর্মসূচির ভূমিকা রয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে।  

    কী কারণে এত বাস একসঙ্গে তুলে নেওয়া হল?

    জেলায়-জেলায় চলছে ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচি। পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে জনসংযোগে নেমে পড়েছে শাসকদল। জনসাধারণের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিতে দু’মাসের জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এখন পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে জনসভা রয়েছে তাঁর। আর সেখানের জনসভায় বাসে করে কর্মী নিয়ে যেতে সরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    বাস পরিষেবা না পেয়ে কী বললেন সাধারণ মানুষ?

    বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে জানা গিয়েছে, একমাত্র ক্ষীরপাই ডিপোর একটি সরকারি বাস মুর্শিদাবাদ থেকে লালগোলার উদ্দেশে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ও সকাল ১১ টা ২০ মিনিট নাগাদ খাতরাগামী একটি বাস আরামবাগ ডিপো থেকে ছেড়েছিল। এরপর আর কোনও বাস ছাড়েনি। এই বাসগুলিই প্রথম এবং শেষ বাস ছিল। ফলে, বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস না পেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, সরকার যেখানে আইন তৈরি করছে, সেই আইন আবার সরকারই ভাঙছে। এ কোন রাজ্যে বসবাস  করছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সম্পাদক  বিমান ঘোষ বলেন, “অভিষেক (Abhishek Banerjee) যেখানে যাচ্ছেন সেখানে লোক হচ্ছে না। সেই কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন জড়ো করতে হচ্ছে। আজ নন্দীগ্রাম অভিষেকের কর্মসূচি আছে। সেখানে লোকজন নেই। তাই, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক জড়ো করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরামবাগ থেকে যত সরকারি বাস রয়েছে সব তুলে নেওয়া হয়েছে। কারণ, সেখানে লোক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে প্রায় ৩০০ বাস ওখানে যাচ্ছে।” বাস মালিক সংগঠনের সদস্য অভয় বিট বলেন, “বেসরকারি কুড়িটি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রামে নব জোয়ার কর্মসূচির জন্য। আরামবাগ থেকেও লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: মন্দিরে ডাকাতি, লুট দানের বাক্স, দুষ্কৃতীদের মারে আহত দুই সিভিক

    Uttar Dinajpur: মন্দিরে ডাকাতি, লুট দানের বাক্স, দুষ্কৃতীদের মারে আহত দুই সিভিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) একটি মন্দিরে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর আহত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়ার দাসপাড়া সন্ন্যাসীতলা শিব মন্দিরে।

    উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে সশস্ত্র কয়েকজন দুষ্কৃতী মন্দিরে (Uttar Dinajpur) ঢুকে কর্তব্যরত দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করে। এরপর তারা মন্দিরের দুটি দানবাক্স লুট করে নিয়ে চলে যায়। দুষ্কৃতীদের মারে কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর আহত হয়। মন্দিরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রায় ৬-৭ জন দুষ্কৃতী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করছে। বর্তমানে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    মন্দির কমিটির বক্তব্য

    মন্দির (Uttar Dinajpur) কমিটির সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায় বলেন, মন্দিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল। মারধর করে দান বাক্স লুটের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তিত আমরা। তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। অপরদিকে মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রীবাস মণ্ডল জানিয়েছেন, ঘটনার সময় আমরা কেউ ছিলাম না। পরে ডাকাতির ঘটনা জানতে পারি। এর আগে কোনও দিন এমন ঘটনা ঘটেনি এই মন্দিরে। আমরা পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। এছাড়াও প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছি।

    প্রতিবাদে আন্দোলন

    এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে চোপড়া (Uttar Dinajpur) থানার দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাজ্য সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের দাবি, দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করা হলে, তারা এই সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাবে। কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ। মন্দিরে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • DELED: ডিএলএড কলেজগুলির ভর্তিতে স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    DELED: ডিএলএড কলেজগুলির ভর্তিতে স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কলেজে (DELED) ভর্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে ৩০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার ভর্তি ঝুলে রইল। ৯ জুন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তির উপর এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ৬০০ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কলেজে (DELED) এখন ৩,০০০ টাকা লেট ফাইন দিয়েও ভর্তি হওয়া যাবে না। ডিএলএডে ভর্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে ৬ জুন। সেদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে মামলা।

    প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের বিজ্ঞপ্তি

    প্রসঙ্গত ৩০ মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৩ জুনের মধ্যে ডিএলএড-এর ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়। ২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ২০২৩ সালে হওয়া নিয়ে এর আগে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে। বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘‘২০২১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ২০২৩ সালে যদি আবেদন গ্রহণ করা হয়, তবে ক্লাস কবে হবে?’’ প্রসঙ্গত, সুকান্ত গুড়িয়া নামে জনৈক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা করে হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, ২০২১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আবেদন গ্রহণের সময়সীমা জানায় ২৮ ডিসেম্বর ২০২২। পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, জানুয়ারি ২০২৩ সালে ভর্তির আবেদন করতে হবে। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট বেসরকারি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কলেজে তিন হাজার টাকা লেট ফি দিয়ে ভর্তির ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ জারি হওয়ায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে।

    আরও পড়ুন: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠতে পারে মামলা

    জানা যাচ্ছে আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক হলে মামলাটি ফের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যে ডিএলএড ভর্তিতে একাধিক বিষয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই তিনি নির্দেশ দেন, সমস্ত বেসরকারি ডিএলএড কলেজকে তাদের ছাত্র তালিকা আদালতে জমা দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Attacks Rajan: বলেছিলেন ভারতের জিডিপি পড়বে, হয়েছে উল্টো! রাজনকে তুলোধনা বিজেপির

    BJP Attacks Rajan: বলেছিলেন ভারতের জিডিপি পড়বে, হয়েছে উল্টো! রাজনকে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জিডিপি বৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্য বুধবারই প্রকাশ পেয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশে পৌঁছেছে। এ নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনকে এক হাত নিতে (BJP Attacks Rajan) ছাড়েননি বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারের সঙ্গে রঘুরাম রাজনকে কটাক্ষ করার সম্পর্ক কী? আসলে গত বছর রঘুরাম রাজন মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ভাগ্যক্রমে ২০২-২৩ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৫% হতে পারে।’’ কিন্তু রঘুরাম রাজনের এই ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যা প্রমাণ করে ভারতের জিডিপি বেড়েছে ৭.২%। এক বছর আগে রঘুরাম রাজনের এই ভবিষ্যদ্বাণীকে (BJP Attacks Rajan) কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতৃত্ব। এনিয়ে ট্যুইট করেন অমিত মালব্য।

    কী লিখলেন অমিত মালব্য?

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর গত বছর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সময়ের একটি ভিডিও নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করেন অমিত মালব্য। দেখা যাচ্ছে রঘুরাম রাজন এবং রাহুল গান্ধী পরস্পর কথাবার্তা চালাচ্ছেন। ওই ট্যুইটে অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘রঘুরাম রাজন আজ থেকে এক বছর আগে ঠিক এই দিনে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন। কথা শুনে রাজনকে কখনও অর্থনীতিবিদ বলে মনে হচ্ছিল না। তিনি বলেন, ভারত খুবই ভাগ্যশালী হবে যদি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জিডিপির বৃদ্ধি ৫ শতাংশ হয়। কিন্তু আসল সত্য হল চলতি বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭.২ শতাংশ।

    মঙ্গলবারই আমেরিকাতে মনমোহন ও রাজন জুটিকে আক্রমণ শানান অর্থমন্ত্রী

    মঙ্গলবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের School of international and public affairs এর মঞ্চ থেকে রঘুরাম রাজনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে। তাঁর নিশানা থেকে বাদ যাননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও। নির্মলা সীতারমন বলেন, ‘‘মনমোহন ও রাজনের জুটি একসঙ্গে ক্ষমতায় থাকাকালীনই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো সব থেকে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছে।’’ ঋণ মঞ্জুর নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন নির্মলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: ১০ জনের আসনে ১৭-২০ জন! পড়ুয়াদের নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ছুটছে ‘পুলকার’

    Balurghat: ১০ জনের আসনে ১৭-২০ জন! পড়ুয়াদের নিয়ে বিপজ্জনকভাবে ছুটছে ‘পুলকার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাত্রীবাহী বাস এবং ট্রেকারকে পুলকার হিসাবে ব্যবহার করছে বালুরঘাটের (Balurghat) বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল। এরকমই গুরুতর অভিযোগ তুলে অভিভাবকরা বলছেন, পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করায় দিনের পর দিন এই প্রবণতা বেড়েই চলছে। যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেকারগুলি একদিকে যেমন দ্রুতগতিতে  ছুটছে, তেমনই নেই পড়ুয়াদের কোনও নিরাপত্তা। পুলকার ব্যবহারের একাধিক নিয়ম মানতে প্রচুর টাকা গাড়ি ভাড়া বাবদ দিতে হয়। অভিযোগ, কম টাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বাস, ট্রেকার ভাড়া করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা টাকা মুনাফা লুটছে। বাস, ট্রেকারের পাশাপাশি প্রাইভেট ভাড়ার গাড়িগুলিও পুলকার হিসাবে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।

    ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) শহর তো বটেই, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পুলকার ব্যবহার করেন। সেই পুলকার নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কোথাও যাত্রীবাহী বাস, কোথাও ট্রেকার, কোথাও ছোট চার চাকার ভ্যান অথবা ম্যাজিক গাড়িকে পড়ুয়াদের নিয়ে রাস্তায় ছুটতে দেখা যাচ্ছে। বেআইনি হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়িকেও পুলকার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১০ জনের আসনে ১৭-২০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নেই কোনও স্পিড লিমিট ডিভাইস। থাকলেও তা খুলে ফেলা হয়েছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য সিট বেল্টের কোনও ব্যবস্থা নেই। কেয়ার টেকার তো দূর অস্ত, গাড়িগুলির ফিটনেস পর্যন্ত নেই। সিট বেহাল, চাকার অবস্থাও খারাপ। এই অবস্থায় দিনের পর দিন সেগুলি পড়ুয়াদের নিয়ে বেআইনি ভাবে চলেছে। যার জেরে কোথাও কোথাও ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে।

    কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস (Balurghat)

    বেসরকারি স্কুলের একাংশ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই চক্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর আগে পরিবহণ দফতর সরব হয়েছিল। তারা অভিযানেও নেমেছিল। পরে আর এনিয়ে তাদের কোনও সক্রিয়তা চোখে পড়েনি। ফলে অবস্থা যে কে সেই রয়ে গিয়েছে। অভিাবকরা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ করা উচিত। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা (Balurghat) পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সৌমিত্র বিশ্বাস বলেন, আমরা প্রায়ই অভিযান চালিয়ে থাকি। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। স্কুল খোলা হলেই এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আগামী দিনেও এই বিষয় নিয়ে অভিযান চালানো হবে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share