Tag: Madhyom

Madhyom

  • Madhyamik Result: অঙ্ক নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা! টানাটানির সংসারে কি পূরণ হবে স্বপ্ন?

    Madhyamik Result: অঙ্ক নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা! টানাটানির সংসারে কি পূরণ হবে স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাতলা গড়ন। সাধারণ খেটে খাওয়া ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। কিন্তু পড়াশোনার জগৎটা তার একেবারেই আলাদা। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী স্নেহা বিশ্বাস। মাধ্যমিকে ৬৪২ পেয়ে নজর কেড়েছে গরিব কৃষকের মেয়ে এই স্নেহা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের আউটিনা অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম খলসি। সেখান থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে তিলন হাই স্কুল থেকে সেই সাফল্যের খবর (Madhyamik Result) তাই খুব সহজেই পৌঁছে যায় বালুরঘাটে।

    ছিল শুধু একজন গৃহশিক্ষক (Madhyamik Result)!

    উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বাবা হরেকৃষ্ণ বিশ্বাস তিন বিঘা জমিতে চাষ করেন। দুই ছেলেমেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে টানাটানির সংসার। স্নেহা পরিবারের বড়। ছোট ভাই তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। মা অর্চনার কাছেই স্নেহার পড়াশোনা। স্নেহা বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯১, অঙ্কে ৯৩, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯১, ইতিহাসে ৮৭ ও ভূগোলে ৯২ নম্বর (Madhyamik Result) পেয়েছে। মেয়েটাকে আরও সাহায্য করতে পারলে আরও ভাল করতো। আনন্দের মাঝেও যেন কিছুটা আক্ষেপ বাবা-মায়ের। এক গৃহশিক্ষক ছাড়া আর কারও কাছে পড়ার সুযোগ ছিল না স্নেহার। বালুরঘাটের ললিতমোহন আদর্শ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস চক্রবর্তী স্নেহাকে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করিয়ে সমস্ত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। কষ্ট হলেও বালুরঘাটে ছোট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে মেয়ের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে ফের লড়াইয়ের জন্য তৈরি, জানান অর্চনা। আর স্নেহা জানায়, অঙ্ক নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা রয়েছে।

    কেউ যদি সাহায্য করত (Madhyamik Result), আর্জি বাবার

    এই বিষয়ে স্নেহার বাবা হরেকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, আমি পেশায় কৃষক। আমার স্ত্রী, তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার। অতি কষ্টে আমাদের দিন চলে। আমার মেয়ের মাধ্যমিকে (Madhyamik Result) সাফল্য দেখে আমরা গর্বিত। আমার মেয়ে ভবিষ্যতে অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করতে চায়। কিন্তু মাঝে আমার আর্থিক অবস্থা বাধা হয়ে পড়ছে। মেয়েটাকে কেউ যদি সাহায্য করত, তাহলে ভালো হতো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ধ্বংসের মুখে বানগড়! পর্যটনকেন্দ্র তৈরির দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক

    Dakshin Dinajpur: ধ্বংসের মুখে বানগড়! পর্যটনকেন্দ্র তৈরির দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ ধ্বংসের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার (Dakshin Dinajpur) ঐতিহাসিক স্থান বানগড়। গঙ্গারামপুর শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার। বানগড়ে এলেই পাল, সেন সহ বিভিন্ন যুগের স্থাপত্য নজরে আসে। কথিত রয়েছে, বান রাজার থেকেই এই নামকরণ হয়েছে। বান রাজার মেয়ে ঊষার সঙ্গে নাকি সম্পর্ক ছিল শ্রীকৃষ্ণের নাতি অনিরুদ্ধের। কিন্তু রাক্ষস বংশের রাজা বান অনিরুদ্ধকে মেনে নেননি। ঊষাকে অপহরণ করে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা “ঊষাহরণ” রাস্তা নামে পরিচিত। ঊষা-অনিরুদ্ধের বিয়ের ছাদনা তলার চারটি কলা গাছ পাথর স্তম্ভে পরিণত হয়েছে, যা এখন পবিত্র স্থান বলে পরিচিত।

    প্রথম খননকার্য ১৯৩৭ সালে (Dakshin Dinajpur)?

    আরও কথিত রয়েছে, ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কুঞ্জগোবিন্দ গোস্বামীর নেতৃত্বে বানগড়ে প্রথম খননকার্য হয়। সেই সময় মাটির নিচ থেকে ইতিহাসের নানা ধ্বংসাবশেষ মেলে। তার থেকে গুপ্ত, মৌর্য, পাল ও সেন যুগ এবং মুসলিম আমলের বিভিন্ন স্থাপত্য সামনে আসে। পরবর্তীতে ২০০৭, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালেও বানগড়ে খননকার্য চালানো হয়। তাতে পাল, সেন সহ অন্য বংশের নানা মূর্তি এবং মুদ্রা উদ্ধার হয়। তবে তারপর আর খননকার্য চালানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বানগড়ে (Dakshin Dinajpur) খননকার্য এবং রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে জায়গাজমি সব দখল হয়ে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে চুরি হচ্ছে মাটি।

    দাবিপত্র বিজেপি বিধায়কের (Dakshin Dinajpur)

    এদিকে বানগড় উৎখনন করার দাবিতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের হাতে এক বিশেষ দাবিপত্র তুলে দিলেন গঙ্গারামপুরের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। মঙ্গলবার বানগড় পরিদর্শনে এলে আধিকারিকদের কাছে ইতিহাস প্রসিদ্ধ বানগড়কে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার জোরালো দাবি তোলেন তিনি। এই দাবিপত্র খতিয়ে দেখে আগামিদিনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। এই বিষয়ে বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রায়গঞ্জ সার্কেলের আধিকারিকরা এসেছিলেন। বানগড় উৎখননের পাশাপাশি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পর্যটনকেন্দ্র তৈরির মতো কিছু দাবি জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    Heart Attack: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বাড়ছে নানা রোগ। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হৃদসমস্যা। ব্যস্ত জীবনে কম ঘুম, ফাস্টফুডের অভ্যাস, মানসিক চাপ ইত্যাদি বাড়াচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)! তাই হৃদসমস্যায় আক্রান্তের তালিকায় ভারত ক্রমশ বিশ্বের প্রথম সারির দেশ হয়ে উঠছে।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ভারতে হৃদরোগের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের তালিকায় ভারত প্রথম সারিতেই আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, ৩৫ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন। হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) আশঙ্কাও বাড়ছে। গোটা দেশের মধ্যে আবার কেরল আর পশ্চিমবঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২০ জনের হৃদসমস্যা রয়েছে। বিশেষত শহুরে বাঙালির ২০ শতাংশ হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগের সমস্যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হতে পারে যে কোনও সময়েই। তবে, কয়েক দশক আগেও পঞ্চাশোর্ধ্বদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি ধরা হত। কিন্তু গত দশ বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৩০ বছরের চৌকাঠ পেরলেই বাড়তি সতর্ক হতে হবে। বিশেষত, যাঁদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো রোগ আছে, তাঁরা বাড়তি সতর্ক হন। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ জরুরি। তাছাড়া, পরিবারের কেউ বিশেষত বাবা-মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে, ৩০ পেরিয়ে অবশ্যই চেক-আপ জরুরি।

    কোন পাঁচটি উপসর্গ জানান দেয় হৃদরোগের? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বিপদ হওয়ার আগে শরীর ইঙ্গিত দেয়। তাই আগে থেকে উপসর্গ টের পেলে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। বিশেষত হৃদরোগের সমস্যার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। যে পাঁচ ইঙ্গিতের কথা চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তার প্রথমেই হল বুকে ব্যথা বা চিনচিন করা (Heart Attack)। যদি, বুকের বাঁদিকে চিন চিনে ব্যথা অনুভব হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সময় নষ্ট না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 
    দ্বিতীয়ত, মাথার ভিতরে কষ্ট ও বমি হওয়া। অনেক সময়েই হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে বমি হয়। যদি হঠাৎ বমি হয় ও মাথার ভিতরে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। 
    তৃতীয়ত, শুধু বুকে নয়, লাগাতার পেট ও পিঠে যন্ত্রণা অনুভব হলেও সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশেষত, মহিলাদের হৃদরোগ দেখা দিলে এই উপসর্গ বেশি দেখা যায়। পেটের যন্ত্রণা অথবা পিঠের দিকে একটা খিচ ভাব অনুভব হয়। সেটা হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ইঙ্গিত হতে পারে। 
    এসি রুম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বসে থেকেও অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হৃদরোগের আরেক উপসর্গ হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যেহেতু হৃদরোগের অন্যতম কারণ রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হওয়া, তাই অনেক সময়ই আক্রান্তের অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে। 
    দেখার সমস্যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি লক্ষণ বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেখার ক্ষমতা কমে যাওয়া বা বারবার ভুল দেখা ইঙ্গিত দেয় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার।

    কীভাবে হৃদরোগ এড়িয়ে সুস্থ থাকবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত চেক আপ জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। রক্তচাপ ওঠা-নামা করলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাতে হবে। 
    ডায়বেটিস থাকলেও বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ডায়বেটিস যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। ডায়বেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack) বাড়ায়। খাবারের দিকে নজরদারি জরুরি। কী খাচ্ছি, কতখানি খাচ্ছি, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। অতিরিক্ত প্রোটিন, ফ্যাট জাতীয় খাবার, যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তা একেবারেই এড়িয়ে যেতে হবে। অতিরিক্ত তেলমশলা থাকে, যেমন বিরিয়ানি, মোগলাই পরোটার মতো খাবার খুব কম পরিমাণে খেলেই ভালো। কারণ, এগুলো হজম হতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া এগুলোতে তেল ও মশলা অনেক বেশি থাকে। 
    নিয়মিত আপেল, কমলালেবু, শশা, কলার মতো ফল খেতে হবে। 
    সবুজ সবজি ও কম চর্বিযুক্ত মাছ নিয়মিত খাওয়া দরকার। 
    মানসিক চাপ কমাতে হবে। নিয়মিত গান শোনা, ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজে কিছুটা সময় দিতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ কমবে। মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। 
    নিয়মিত কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। হাঁটাচলা করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rampurhat: দালালরাজ বন্ধ করতে হবে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে স্মারকলিপি বিজেপির

    Rampurhat: দালালরাজ বন্ধ করতে হবে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে স্মারকলিপি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেহাল দশার বিরুদ্ধে ও দালালরাজ বন্ধ করার দাবিতে স্মারকলিপি জমা করল বীরভূম জেলার বিজেপি নেতৃত্ব।

    রামপুরহাটের হাসপাতালে (Rampurhat) স্মারকলিপি 

    মঙ্গলবার রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের কাছে আট দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা করে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, একটু বেশি অসুস্থ হলে ভালোভাবে চিকিৎসা না করে অন্য বড় হাসপাতালে খুব সহজেই রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ রোগী রক্ত চাইলে রক্ত পায় না। অথচ শাসক দল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ লোকেরা খুব সহজেই রক্ত পাচ্ছেন। পার্টির রং দেখে হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এমনকী আইসিইউ কেবলমাত্র তৃণমূলের নেতাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। ২০১৮ সালে এমআরআই পরিষেবা অনুমোদিত হলেও আজ পর্যন্ত তা কেন চালু হল না, সেই দাবিও জানানো হয়। হাসপাতালে তৃণমূলের দালালরাজ বন্ধ করার দাবি তোলা হয় বিজেপির এই স্মারকলিপির মাধ্যমে।

    রামপুরহাট (Rampurhat) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    হাসপাতালের (Rampurhat) অতিরিক্ত মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায় বলেন, দাবিপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। প্রতিদিন আমরা কোনও না কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া যেসব বিভাগে বেশি দুর্নীতি আছে, সেখানকার কর্মীদের অন্যত্র পোস্টিং করে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী বিভাগ এবং জন্ম-মৃত্যু রেকর্ড সেকশনে বেশি দুর্নীতি ছিল। তবে খুব জটিল অপারেশন ছাড়া কোনও রোগীকে আমরা বর্ধমানে পাঠাই না। শিশুমৃত্যু নিয়ে হাসপাতালের অসহায়তার কথা মেনে নেন ঈশ্বরবাবু। তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে এসএনসিইউ বিভাগ খুব নড়বড়ে। আমরা মাত্র দুজন ট্রেন্ড মেডিক্যাল অফিসার নিয়ে এসএনসিইউ চালাচ্ছি। তার সঙ্গে হাউস স্টাফ রয়েছে। আরও বলেন, আমরা স্বাস্থ্য ভবনে বার বার জানিয়েছি। এসএনসিইউ-র জন্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে পর্যাপ্ত ট্রেন্ড মেডিক্যাল অফিসার না পাঠালে কিছু করার নেই।

    দালালরাজের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি

    রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে রোগী কল্যাণ সমিতি। বৈঠকে সকলেই হাসপাতালের দালালরাজ নিয়ে সরব হন। মঙ্গলবার দলের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শুভাশিস চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে হাসপাতালে দালালরাজ বন্ধ করতে হবে। অহেতুক রোগীদের বর্ধমানে বদলি করা চলবে না। রোগীর আত্মীয়দের ফুসলিয়ে নার্সিংহোমে পাঠানো বন্ধ করতে হবে। হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এমআরআই দ্রুত চালু করতে হবে। বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর ডেপুটেশন দেওয়ার পর, প্রশাসন কী করে তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri TMC: শিলিগুড়িতে কোন্দলে জেরবার তৃণমূল, জেলা সভানেত্রীকে সরাতে মরিয়া বিরোধী গোষ্ঠী

    Siliguri TMC: শিলিগুড়িতে কোন্দলে জেরবার তৃণমূল, জেলা সভানেত্রীকে সরাতে মরিয়া বিরোধী গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের (Siliguri TMC) গোষ্ঠী কোন্দল চরমে। দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ নিজেই বলছেন, আমাকে কালিমালিপ্ত করতে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আমার বিরুদ্ধে চারিত্রিক এবং অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ। সম্প্রতি দলের জেলা কমিটির বৈঠকে সভানেত্রীর এই বক্তব্যে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও জটিল আকার নিয়েছে।

    গোষ্ঠী কোন্দলে হতাশ পাপিয়া স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি

    শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই পাপিয়া ঘোষের বিরোধী গোষ্ঠী জোটবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। পাপিয়া অনুগামীদের বক্তব্য, চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ মঞ্চ তৈরি হয়। শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমরনাথ দাস, ফাঁসিদেওয়া ব্লক সভাপতি আখতার আলি সহ আরও কিছু নেতার সঙ্গে পাপিয়া ঘোষের সংঘাত (Siliguri TMC) শুরু হয়। এর পিছনে অলোক চক্রবর্তীর মদত রয়েছে বলে মনে করছেন পাপিয়া অনুগামীরা।
    দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করার বদলে রাজ্যের কিছু নেতার ভূমিকায় হতাশ হয়ে পাপিয়া ঘোষ গত মাসে নিজেকে দলের সব রকম কর্মসূচি থেকে গুটিয়ে নিয়ে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়েছিলেন। ফোনও ধরেননি। সম্প্রতি শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের একটি হোটেলে জেলা কমিটির বৈঠকে পাপিয়া ঘোষ তাঁর বিরোধীদের বার্তা দিয়ে বলেন, কাউকে আমার প্রমাণ দেওয়ার কিছু নেই। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে আয়নায় আমি আমার মুখটা দেখি। রাতে বাড়ি ফিরেও দেখি। তাতে দেখেছি, আমি ঠিক আছি। আমি নিজের কাছে পরিষ্কার রয়েছি।সততার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। মাঝে কিছুদিনের জন্য কেন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম, তার কারণ পরে বলব। দলের (Siliguri TMC) মিডিয়া হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পাপিয়া ঘোষ নিজেই তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করেছেন। ওই ভিডিওতে পাপিয়াদেবীকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমার বিরুদ্ধে চারিত্রিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে কেউ কেউ আমাকে এই পদ থেকে সরাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি সততার সঙ্গে তৃণমূল করি। আমি এ ধরনের কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই।

    কে পাপিয়া, কেন সভানেত্রী

    ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের সর্বত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝড়ে তৃণমূলের জয় জয়কার। তখন শিলিগুড়িতে (Siliguri TMC) একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে তৃণমূল। দু’বার জেলা সভাপতি পরিবর্তন করেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। দু’বছর আগে আলোচনার বাইরে থাকা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে পাপিয়া ঘোষকে দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভানেত্রী করে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। চেয়ারম্যান করা হয় কংগ্রেসের আইএনটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি অলোক চক্রবর্তীকে। প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ও কোচবিহারের প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মেয়ে পাপিয়াদেবী দায়িত্ব নিয়েই শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয় এনে দেন। এই সাফল্যে তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সুনজরে পড়ে যান।

    কেন কোন্দল, সংঘাত

    দল সূত্রে খবর, বিরোধী গোষ্ঠী পাপিয়ার এই সাফল্য মেনে নিতে পারেনি। তখন থেকেই শুরু হয় পাপিয়া দেবীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের চক্রান্ত। কেননা তিনি শিলিগুড়িতে তৃণমূলের (Siliguri TMC) গোষ্ঠী কোন্দল সরিয়ে নেতা-কর্মীদের এককাট্টা করে তোলেন। বসে যাওয়া পুরনো নেতা-কর্মীদের সম্মান দিয়ে দলের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনেন। যা দলের একটা অংশ মেনে নিতে পারেননি, তাদের একচেটিয়া দাপট খর্ব হওয়ার আশঙ্কায়। শিলিগুড়ির এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, তারপর থেকেই পাপিয়া ঘোষকে সরাতে পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করছে দলের কিছু নেতা। তাদের মধ্যে সভাপতি পদের প্রত্যাশী রয়েছেন একাধিক নেতা। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্যই সভাপতি হওয়ার এই নোংরা লড়াই। বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্য নেতৃত্ব সব জানে। তদন্ত হলে কে ঠিক প্রমাণ হয়ে যাবে।

    কী বলছেন অলোক চক্রবর্তী

    অলোক চক্রবর্তী  বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। পাপিয়া ঘোষ সম্প্রতি দলের (Siliguri TMC) জেলা কমিটির বৈঠকে যে অভিযোগ করেছেন, এ ব্যাপারে তিনি আমাদের জানাননি। জানালে আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতাম। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ উঠলেও আমি বলব, পাপিয়া ঘোষ ভালো কাজ করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: ন্যায্য মূল্যের ওষুধ না পেলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, বললেন মন্ত্রী অখিল গিরি

    Tamluk: ন্যায্য মূল্যের ওষুধ না পেলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, বললেন মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে সরকারি হাসপাতাল (Tamluk) গুলোতে শুরু হয়েছিল ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। আজ সেই দোকান গুলো থেকে সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না ওষুধ। এলাকার মানুষকে ন্যায্য মূল্যের প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে বাইরে থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। অভিযোগ জানিয়েও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে বিশেষ অভিযোগ এলাকাবাসীর।   

    কী সমস্যা তমলুক (Tamluk) হাসপাতালে?

    দীর্ঘদিন ধরেই তমলুক হাসপাতালে (Tamluk) আসা রোগী ও তাঁদের পরিবারের অভিযোগ ছিল, হাসপাতালের মধ্যে ন্যায্য মূল্যের দোকানে কোনও ওষুধ মেলে না। বাইরে থেকেই চড়া দামে ওষুধ কিনে এনে রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। এই প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে যে, যেখানে ন্যায্য মূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায়, সেই জায়গায় কেন চড়া দামে ওষুধ নিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ?

    হাসপাতালের (Tamluk) রোগীদের অভিযোগ

    গ্যাসের সমস্যা নিয়ে আসা শম্ভু জানা নামক এক রোগীর বক্তব্য, আমরা গ্রামের মানুষ, দশ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছি হাসপাতালে স্বাস্থ্য দেখাতে। হাসপাতালে (Tamluk) এক্স রে হচ্ছে না, প্রয়োজনীয় ওষুধ এখানে দেওয়া হচ্ছে না, ন্যায্য মূল্যের দোকানে দরকারি ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। শম্ভু বাবু আরও বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আবেদন করব গ্রাম বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে ঠিক করে সাধারণ মানুষ পান তার বিষয়টা যেন বিবেচনা করেন। হাঁটুর ব্যাথা নিয়ে আসা আরেক রোগী কল্যাণী রায় বলেন, এত দূর থেকে আসলাম কিন্তু ডাক্তার বাবুর দেওয়া ওষুধ, হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের দোকানে পাওয়া যায় না। ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে বলা হচ্ছে। রোগীদের প্রশ্ন বাইরে থেকে কিনতে হলে এখানে হাসপাতালে কেন আসলাম? এইরকম অভিযোগ করেন কল্যাণী দেবী। সরকারি হাসপাতালের যেমন পরিষেবার অভাব, ঠিক তেমনিই নেই স্বাস্থ্যের জন্য ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে প্রয়োজনীয় ওষুধ। সাধারণ মানুষকে অত্যন্ত অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে অথচ প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।     

    তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীর বক্তব্য

    গত ১৪ মে তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরি তমলুকে এক অনুষ্ঠানে এসে বলেন, সরকারি হাসপাতালে (Tamluk) ওষুধ রয়েছে কিন্তু দেওয়া হয় না, বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। আরও বলেন, সরকার তাহলে যে ওষুধ দিচ্ছে তা কোথায় যাচ্ছে? স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলেন যে ওষুধ তো সরকার দিয়েছে তাহলে আমরা কেন নেবো? রোগীদের বাইরে থেকে কেন কিনতে বলব আমরা? আর তাই যদি হয় তাহলে সরকারের দেওয়া ওষুধের কি হবে? বলে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন। উনি আরও বলেন, এর ফলে আমাদের সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আর এরকম করা আমাদের চলবে না বলে বুঝিয়ে দেন। সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতির কথা খুব স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করে নেন মন্ত্রী অখিল গিরি। মন্ত্রীর কথায় রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের ঘুম কবে ভাঙ্গবে তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Baruipur: বারুইপুরের চম্পাহাটিতে দু-মাসের জন্য বন্ধ বাজি তৈরি ও বিক্রি!

    Baruipur: বারুইপুরের চম্পাহাটিতে দু-মাসের জন্য বন্ধ বাজি তৈরি ও বিক্রি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজবজের পর এবার বারুইপুরের (Baruipur) চম্পাহাটিতে দু-মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল বাজি তৈরির কাজ। মূলত রাজ্যে একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম দুটি বাজির বাজারের মধ্যে একটি বজবজ এবং অন্যটি বারুইপুরের চম্পাহাটি। এবার বারুইপুর পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে দু মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল চম্পাহাটির বাজির বাজার। এদিন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিৎ রায়ের নির্দেশ চম্পাহাটির বিভিন্ন বাজি বাজার এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়, আগামী দু মাস কোনওভাবেই বাজি তৈরি এবং বিক্রি করা যাবে না।

    মাথায় হাত পড়েছে বাজি তৈরির কর্মচারীদের (Baruipur)

    অন্যদিকে সোমবার বিকাল থেকেই বারুইপুরের (Baruipur) চম্পাহাটি সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। তবে চম্পাহাটিতে কমবেশি দেড়শোটির উপর বাজির দোকান রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মচারী কাজ করেন। হঠাৎ করেই পুলিশ-প্রশাসনের এমন নির্দেশে মাথায় হাত পড়েছে বাজি তৈরির কর্মচারী থেকে শুরু করে বাজি কারখানার মালিকদের। অনেকেরই দাবি, এইভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে তাঁদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে যাবে। কারণ বেশিরভাগ মানুষই বাজি তৈরির ওপর নির্ভর করেই তাঁদের জীবন চালান।

    আটক হচ্ছে রাশি রাশি বাজি

    এদিকে পুলিশি অভিযানে আটক হচ্ছে প্রচুর বাজি-বারুদ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতের অন্ধকারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি (Explosive) উদ্ধার করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কালিনগর এলাকার সাহা স্টোরের গোডাউন থেকে আনুমানিক ২৫ পেটি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়। এর আনুমানিক ওজন প্রায় আড়াই কুইন্টাল। স্টোরের মালিক অভিযুক্ত উত্তমকুমার সাহা পলাতক। নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ এলাকায়। অন্যদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকাতেও। সেখানেও একইভাবে বিশাল পরিমাণ বাজি (Explosive) উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলগঞ্জের ইছাপুর পঞ্চায়েত এলাকার কাঠুরিয়াতে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মেলে প্রায় ২০০ কুইন্টাল বাজি। একটি বাড়িতে এই বিশাল পরিমাণ বাজি কেন মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা অনেককেই ভাবাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এগুলি সবই বেআইনি বাজি। কারণ পুলিশি তল্লাশি খবর পেয়েই ওই কারখানার মালিক পালিয়ে যায়। পুলিশ আপাতত অন্য একজনকে গ্রেফতার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ভর্তি নিচ্ছে না বহু বেসরকারি হাসপাতাল! ভোগান্তি চরমে

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ভর্তি নিচ্ছে না বহু বেসরকারি হাসপাতাল! ভোগান্তি চরমে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিখরচায় চিকিৎসা তো দূর অস্ত! স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড রয়েছে জানতে পারলেই বেসরকারি হাসপাতাল মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। রোগী ভর্তি পর্যন্ত করছে না। এমনই অভিযোগ উঠছে শহরের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ফলে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে ভোগান্তিতে রোগী ও তাঁর পরিজনেরা।

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? 

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়। বেসরকারি হাসপাতালেও বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন রাজ্যবাসী। সেজন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করা হয়। চিকিৎসা খরচ বাবদ পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থেকে যে কোনও মানুষ চিকিৎসা করাতে পারেন। স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড থাকলে, তাঁর চিকিৎসার খরচের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজ্য সরকার ব্যয় করবে। তাঁকে কোনও খরচ দিতে হবে না।

    অভিযোগ কী?

    স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে একাধিক জায়গায় রোগী ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে। রোগী ও পরিবারের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নিতেই চাইছে না। সম্প্রতি বেলঘরিয়ার বছর সত্তরের অনিতা বসুর স্ট্রোক হয়। তাঁকে প্রথমে পার্ক সার্কাসের একটি নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় রোগী ভর্তি করাতে হবে জানার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেঁকে বসে। তারা জানায়, আপাতত ওখানে চিকিৎসার সুযোগ নেই। অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে।এরপরে পরিবার অনিতাদেবীকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়। এরপরে তাঁকে স্থানীয় এক নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। বিপুল অর্থ ব্যয় করেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। 
    স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) আওতায় অস্ত্রোপচার করানোর কথা জানার পরেই আর দিন জানানো হচ্ছে না হাওড়ার সুদর্শন হালদারকে। তিনি জানান, গলব্লাডারে স্টোনের সমস্যা নিয়ে মাসখানেক আগে বাইপাসের একটি প্রথম সারির হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সবরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলেও তাঁর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় চিকিৎসা হবে জানার পরেই টালবাহানা শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর অভিযোগ, বারবার যোগাযোগ করলেও কবে অস্ত্রোপচার করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু কতদিন? তার কোনও উত্তর নেই। এদিকে পেটের যন্ত্রণা ও অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা বাড়ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেয়ে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও ভোগান্তি অব্যাহত। সূত্রের খবর, সুদর্শন হালদার বা অনিতা বসু কোনও ব্যতিক্রম নন। স্বাস্থ্য সাথীর ভোগান্তির তালিকা দীর্ঘ। 

    কী বলছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? 

    বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি না করার অভিযোগ অস্বীকার করছে। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) আওতায় থাকা রোগীদের পরিষেবা দিতে যে তাদের অসুবিধা হচ্ছে, তা তারা স্বীকার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যাপোলো হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, পরিষেবা দিলেও সরকারের কাছ থেকে সময় মতো টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। বিল মাসের পর মাস পড়ে থাকছে। এভাবে হেলথ ইন্ডাস্ট্রি চালানো মুশকিল। স্বাস্থ্য ভবনে বারংবার জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে সাফ জানিয়েছেন আমরি হাসপাতালের এক কর্তা। তিনি বলেন, “সরকার তৃতীয় একটি মাধ্যমের সাহায্যে আগে স্বাস্থ্য সাথীর বিল মেটাত। তার ফলে অনেকটা সময় লাগত। স্বাস্থ্য দফতরে জানানোর পরে বলা হয়,  এরপর থেকে সরকার সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালকে টাকা দেবে। কিন্তু তারপরেও টাকা পেতে অনেক দেরি হয়। কোটি কোটি টাকার পরিষেবা এভাবে দেওয়া যায় না। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই অনীহা তৈরি হয়।” বেসরকারি হাসপাতাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে এত বড় পরিকাঠামো গড়ে তোলেনি, স্পষ্ট বলেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক কর্তা। তিনি বলেন, “সরকার সহযোগিতা না করলে, স্বাস্থ্য সাথী সফল হবে না। আর রোগী হয়রানি বাড়বে।” তাছাড়া, সরকার যে টাকা অস্ত্রোপচারের জন্য নির্ধারিত করেছে, তাতে চিকিৎসকেরা পরিষেবা দিতে রাজি নন বলেই জানাচ্ছেন ওই কর্তা। তিনি বলেন, একদিনে একাধিক স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় থাকা রোগীর অস্ত্রোপচার করতে রাজি হন না চিকিৎসকেরা। কারণ, তাঁরা ওই পরিষেবা দিয়ে যা পারিশ্রমিক পান, তা একেবারেই যথাযথ নয়। 

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) জন্য কোনও বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে চায়নি, এমন লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে তদন্ত করা হবে।” তবে, স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথীর একাধিক সমস্যা নিয়ে বারবার স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছে। সেগুলো সমাধানের পরিবর্তে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে নির্বাচনী প্রচার হিসাবেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই মানুষের ভোগান্তি চলছেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”, মদনের পর বিস্ফোরক তাপস রায়

    TMC: “যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”, মদনের পর বিস্ফোরক তাপস রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের পর এবার বেসুরো হলেন বরানগরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস রায়। মন্ত্রী, সাংসদ, চেয়ারম্যান যারা হয়েছেন তাদের অনেকের যোগ্যতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুললেন। একদা মমতা ঘনিষ্ঠ বর্ষীয়ান এই তৃণমূল (TMC) নেতার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। যার এক ফোনেই পিজিতে রোগী ভর্তি হওয়া শুধু নয়, ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট হত তাঁর। সেই মদন নিজে খোদ পিজিতে সশরীরে হাজির হয়ে রোগী ভর্তি করতে পারেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর যতটা না বেশি ক্ষোভ, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি তাঁর সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তাপসবাবুর এই বেসুরো মন্তব্য তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

    ঠিক কী বলেছেন বরানগরের বিধায়ক?

    বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “যে নতুন প্রজন্ম উঠে এসেছেন, তাঁরা লোকসভা, রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন, মন্ত্রী, বিধায়ক, মেয়র, চেয়ারম্যান হয়েছেন, এঁদের সকলের যে যোগ্যতা আছে তা মনি করি না। দল সমস্ত দিকে নজর রাখছে, সকলে জায়গা পাবে না। আমারও মন্ত্রীসভায় জায়গা হয়নি। যোগ্যতায় আমার ধারেকাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”। এমনিতেই তাপসবাবু মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তাপসবাবুর এই বেসুরো মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে রাজ্য মন্ত্রীসভায় রদবদল হয়। সেখানে তাপস রায়ের ঠাঁই পাওয়া নিয়ে জল্পনা ছিল। কিন্তু, দল তার উপর আস্থা না রেখে বারাকপুর মহকুমার অন্য এক বিধায়কের উপর আস্থা রেখেছিল। শুধু বারাকপুর বলে নয় রদবদলে রাজ্যের একাধিক তরুণ বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছিলেন। তারমধ্যে হুগলির এক বিধায়কও রয়েছেন। যারা মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন সকলেই অভিষেক ঘনিষ্ঠ। স্বাভাবিকভাবে অভিষেকের নির্দেশে নতুন মন্ত্রীসভায় নতুনরা ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু, অভিষেক যাদের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী করেছেন তাঁদের অনেকেই যে যোগ্য নন তা তাপসবাবুর মন্তব্যে স্পষ্ট। কার্যত তাপসবাবু তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে অভিষেকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: ভেঙে পড়ল সামরিক বিমানের অংশ, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Paschim Medinipur: ভেঙে পড়ল সামরিক বিমানের অংশ, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত সামরিক বিমান থেকে ভেঙে পড়ল অংশবিশেষ। রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল গোয়ালতোড় থানার শিওরবনি গ্রামের ধামোচা জঙ্গলে। বিকট শব্দে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দেয়।ভেঙে পড়া অংশটি দেখতে ধাতু নির্মিত বিশাল লম্বা বেলুনের মতো। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেটি বিমানের তেলের অতিরিক্ত ট্যাঙ্ক। যদিও কাছেই কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস থাকায় সেখানকার আধিকারিকরাই এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবেন বলে এলাকার মানুষ মনে করছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল ?

    জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে শিওরবনি (Paschim Medinipur) গ্রামের ধামোচা জঙ্গলের জমির খুব কাছ দিয়ে একটি বিমান উড়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিমান থেকে ভেঙে পড়ে একটি অংশ। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র শব্দ হয় এলাকায়। জঙ্গলের মাঝে বিমানের ভাঙা অংশ পড়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা অজিত মাল বলেন, হঠাৎ দেখলাম কী একটা উড়ে গেল, আর তারপরই দেখি কিছু একটা পড়ল জঙ্গলে। তবে অংশ বিশেষ ভেঙে পড়লেও দুবার বিমানটি এখানে পাক দিয়েছিল এবং তারপর চলে যায়। সেই সঙ্গে অজিতবাবু আরও বলেন, গ্রামের ভিতরে পড়লে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হত। গ্রামের মানুষ তা ভেবে আতঙ্কিত বোধ করছেন। কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস (Paschim Medinipur) থেকে বিভিন্ন সময় সামরিক বিমানের মহড়া চলে। মহড়া চলার সময়ই বিমানে বিশেষ বিপত্তি হয়েছে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। 

    প্রশাসনের তৎপরতা

    ঘটনাস্থলে দ্রুত এসে পৌঁছায় গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। প্রথামিক ভাবে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, বিমানের ভাঙা অংশ অতিরিক্ত তেলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়েছে বিমানের ওই অংশ, সেই বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কলাইকুণ্ডা এয়ারবেসে খবর দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। এলাকার মানুষকে অহেতুক আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share