Tag: Madhyom

Madhyom

  • Corruption: সরকারি চাকরির নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা, জালে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান

    Corruption: সরকারি চাকরির নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা, জালে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Corruption) অভিযোগে এর আগে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। এবার এই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে গেল এক পুলিশ কর্মী এবং এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নাম। কলকাতা পুলিশের এক এএসআই এবং তাঁর স্ত্রী সহ চারজনকে এই অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত চারজনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। রবিবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে যে এই ঘটনায় কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার জড়িয়ে আছে কিনা। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

    ঘটনাটি ঠিক কী?

    গোয়েন্দাদের তরফ থেকে জানা গেছে, মাসখানেক আগে বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা আখতার বানু নামে একজন লালবাজার কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানান, তাঁর ছেলেকে মন্ত্রীর কোটায় স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নেয় বেনিয়াপুকুর থানায় কর্মরত অফিসার সঞ্জীব দেঁড়ে। জানা যায়, এই চক্রে সঞ্জীব ছাড়াও জড়িত রয়েছে আরও চারজন। সেই মতো গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীবের স্ত্রী বর্ণালীকে। তিনি বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য এবং খলিশানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। এলাকাবাসীর থেকে টাকা তো তুলতেনই, সঙ্গে বাইরের এলাকা থেকেও টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল এই দম্পতির বিরুদ্ধে। রবিবার তাঁদের দু’জনকে বাউড়িয়া বুড়িখালির একটি বহুতল থেকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের পুলিশ কর্তারা। এর পাশাপাশি পুলিশ গ্রেফতার করেছে সৈকত নামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তিনি গোয়েন্দা দফতরের রিসেপশনে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কার্তিক মান্না নামের এক দালালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গত মাসে অভিযোগ দায়ের হতেই সঞ্জীবের বিরুদ্ধে গোপন তদন্তে নামেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তখনই এই চক্রের হদিশ মেলে।  

    তদন্তে কী উঠে এল?

    তদন্তে জানা গিয়েছে, এই চক্র স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তুলেছে বিভিন্ন জনের কাছে। শুধু তাই নয়, কিছু জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্রও বিলি করা হয়। ইতিমধ্যে গোয়েন্দারা বেশ কিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার করেছেন ধৃতদের কাছ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: চড়া সুদের টোপ! দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেল দম্পতি

    Naihati: চড়া সুদের টোপ! দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেল দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ ৫০ হাজার টাকা, কেউ আবার এক লক্ষ টাকা বা তার বেশি জমা দিয়েছিলেন এক দম্পতির কাছে। এরকমভাবে সবমিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর মহকুমার নৈহাটির (Naihati) অরবিন্দপল্লি এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার ও বিশ্বজিৎ মজুমদার নামে এই দম্পতির বিরুদ্ধে  প্রতারিতরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    কাউকে চাকরি দেওয়ার নামে, কাউকে আবার কম টাকায় বেশি সুদের টোপ দিয়ে তারা সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তুলতেন। টাকা জমা দেওয়ার পর কয়েক মাস চড়া সুদও দিতেন। ফলে, অনেকে বিশ্বাস করে তাদের কাছে টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারার কারণে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে এলাকার মানুষ রবিবার নৈহাটিতে (Naihati) ওই দম্পতির বাড়িতে চড়াও হন। ততক্ষণে বাড়িতে তালা মেরে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন প্রতারিতরা। কিন্তু, মোবাইল সুইচড অফ থাকায় তাদের নাগাল পাননি প্রতারিতরা। এরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    কী বললেন প্রতারিতরা?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, অল্প টাকায় বেশি সুদের লোভ দেখিয়ে ওরা টাকা তুলত। সমস্ত টাকা দেওয়ার নথি আমাদের কাছে রয়েছে। রয়েছে কাগজপত্র। ফলে, সহজেই আমরা বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। সমস্ত নথি আমাদের কাছে রয়েছে। তবে, এভাবে আমরা প্রতারিত হব তা বুঝতে পারিনি। তনুশ্রী সরকার নামে এক প্রতারিত হওয়া এক মহিলা বলেন, ওই দম্পতি আমাকে বেসরকারি সংস্থা চাকরি করে দেবে বলে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছিল। আমরা সকলেই নৈহাটি (Naihati) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

    কী বললেন তৃণমূলের চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য?

    নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সনত্ দে বলেন, এই শহরে বসে এভাবে গরিব মানুষদের টাকা নিয়ে কেউ পালাতে পারবে না। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সকলকে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lungs Infection: করোনার প্রভাবে গরমেও বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণ! কীভাবে সতর্ক হবেন?

    Lungs Infection: করোনার প্রভাবে গরমেও বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণ! কীভাবে সতর্ক হবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার হেরফের হলেও ঘাম হচ্ছে অবিরত! গরমে নাজেহাল উত্তর থেকে দক্ষিণ। মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী সাময়িক স্বস্তি দিলেও ফের বাড়ছে তাপমাত্রা। আর তারমধ্যেই ঝুঁকি বাড়ছে ফুসফুসের সংক্রমণের (Lungs Infection)। বিশেষত করোনা সংক্রমণ হয়েছিল, এমন রোগীদের সংক্রমণ ও ভোগান্তির আশঙ্কা বেশি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কী সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই প্রথমে উপসর্গ থাকছে। তবে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাশির সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। আর তারপরেই শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা। যা (Lungs Infection) বিপদ বাড়াচ্ছে।

    কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তন বা ঋতু পরিবর্তনের সময়ই ফুসফুসের সংক্রমণের (Lungs Infection) মতো সমস্যা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে, অনেকে এই গরমেও ফুসফুসের সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত, যাঁরা করোনা-আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের ঝুঁকি বেশি। তাঁরা অনেক সময়ই কাশি-সর্দির মতো উপসর্গকে অবহেলা করছেন।  ফলে পরে সেটা ফুসফুসের বড় কোনও সংক্রমণে পরিণত হচ্ছে। বাড়ছে বিপদ।

    হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে? 

    শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুসফুসের সংক্রমণ (Lungs Infection) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা গত দু’সপ্তাহে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে আপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬০ বছরের বেশি রোগীরাই ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা কিন্তু কোনও এক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, নিউমোনিয়া কিংবা ফুসফুসে সর্দি জমে যাওয়ায় মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁদের চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়ছে। আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ফুসফুসের সংক্রমণে রোগী ভর্তি চোখে পড়ার মতো বাড়ছে। অধিকাংশ রোগীর হেলথ হিস্ট্রিতে কোভিড পজিটিভ রয়েছে। তারাও জানাচ্ছে, বয়স্ক রোগীরাই ফুসফুসের সংক্রমণে বেশি ভুগছেন। এই সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর অধিকাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি! 

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহলের পরামর্শ, সামান্য উপসর্গকেও (Lungs Infection) অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষত, যাঁরা করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের বাড়তি সতর্ক হতে হবে। কাশি-সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, করোনা ভাইরাস সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ফেলেছে ফুসফুসের উপরেই। তার উপর বায়ু দূষণের সমস্যা বাড়ছে। তাই ফুসফুসের কার্যশক্তি কমছে। সেজন্য করোনা আক্রান্তদের ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ সর্দি-কাশি মনে হলেও, পরবর্তীতে তা নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগ তৈরি করছে। ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে অতিরিক্ত এসিতে থাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষ করে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, লং টার্ম কোভিড এফেক্ট অর্থাৎ, করোনার সুদূর প্রভাব এড়াতে স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই থাকা ভালো। কারণ, বদ্ধ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, করোনার সংক্রমণ এখনও হচ্ছে। ফলে, বাড়িতে কারও সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলে, তাঁর আলাদা ঘরে থাকা দরকার। কারণ, সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে বিপদ বাড়বে। বিশেষ করে, যাঁর আগে করোনা হয়েছে, ফের যদি করোনা বা অন্য কোনও ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হন তিনি, তাহলে তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার জন্য বিপদ আরও বাড়ে। তাই পরিবারকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Notes: কীভাবে বদল করবেন দু’হাজার টাকার নোট? বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক

    2000 Notes: কীভাবে বদল করবেন দু’হাজার টাকার নোট? বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্তের কথা গত শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তের পরে নানা রকমের গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বলা হতে থাকে নোট বদল করতে লাগবে পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড, আধার কার্ড। পূরণ করতে হবে ফর্মও ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যেন মনে হতে থাকে যে ২০০০ হাজার টাকার নোট (2000 Notes) রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তুলে নিচ্ছে না বরং বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। রবিবার এই আবহে স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল।

    কী বলা হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের  বিজ্ঞপ্তিতে?

    ওই ব্যাঙ্ক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে কীভাবে ২০০০ টাকার নোট জমা দেওয়া যাবে কিংবা বদল করা যাবে। রবিবার স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) জমা দিতে হলে বা বদলাতে গেলে কাউকে কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। নির্দিষ্টভাবে কোনও ফর্মও পূরণ করতে হবে না। একসঙ্গে ব্যাঙ্কে ১০ টি ২০০০ টাকার নোট অথবা ২০ হাজার টাকার নোট বদলানো যাবে অথবা জমা করা যাবে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।

    ব্যাঙ্কের গ্রাহক নন এমন ব্যক্তিরাও ২০০০ টাকার নোট বদল করতে পারবেন

    স্টেট ব্যাঙ্কের ওই বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে ব্যাঙ্কের গ্রাহক নন, এমন ব্যক্তিরাও নোট বদলানোর সুযোগ পাবেন। এবং এক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোনও অর্থ দিতে হবে না বলেও জানানো হয়েছে। ২০০০ টাকার নোট থাকলে তা ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ১৯ টি আঞ্চলিক অফিসে এবং ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায় ২০০০ টাকার নোট বদলে দেওয়া হবে। কেউ চাইলে ২০০০ টাকার নোটগুলি (2000 Notes) ব্যাঙ্কে জমাও রাখতে পারবেন। প্রয়োজনে নোট বদল করার সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: থানায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা ভাইরাল হওয়া তৃণমূল নেতার

    TMC: থানায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা ভাইরাল হওয়া তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির নামে তোলাবাজির লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতির। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকে। ঘটনার পর থেকেই গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তপনের তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ী। শনিবার এই ঘটনা সামনে আসতেই জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল তৃণমূলের (TMC)  ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে?

    সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাতে করে টাকার বান্ডিল নিচ্ছেন অনাদিবাবু। সম্প্রতি তাঁর এই টাকা নেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। যদিও এই ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নিতে দেখা যায়নি দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। যা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় দলের কর্মীদের একাংশের মধ্যেও। এরই মাঝে শুক্রবার রাতে ওই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনাদি লাহিড়ীর বিরুদ্ধে তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আনোয়ার সরকার নামে ওই ব্লকের আজমতপুর এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ী আমার ছেলে রিয়াজুদ্দিন সরকারকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছে। টাকা ফেরত দিতে প্রথমে গড়িমসি করছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, এরপর ওই তৃণমূল নেতা আমাকে হুমকিও দেন। তারপরই থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। আমরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।” থানায় অভিযোগের পরই নিজের বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা অনাদি লাহিড়ী। যে ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। বর্তমানে গঙ্গারামপুর মহাকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, বিজেপির আইটি সেলের পক্ষ থেকে অনাদি লাহিড়ীর ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল। চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাতে ওই ঘটনা নিয়ে একটি অভিযোগ হওয়ার পরেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তিনি এখনও দলের পদে রয়েছেন, তাঁর পাশে সব সময় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    জেলা বিজেপি নেতা বাপি সরকার বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা তো ঠিক, তিনি নিজে থেকে এ টাকা তোলেননি। দলের যাঁর নির্দেশে তিনি টাকা তুলেছিলেন, তা সকলের সামনে আনা উচিত অনাদিবাবুর। এই দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য সামনে আনলে তাঁর নিজের ও পরিবারের সম্মান বাঁচবে। আত্মহত্যার মতো পথও আর তাঁকে বেছে নিতে হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: মদনের বিরুদ্ধে এফআইআর! কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর নরম বিধায়কের

    Madan Mitra: মদনের বিরুদ্ধে এফআইআর! কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর নরম বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের (Madan Mitra) বিরুদ্ধে এফআইআর করল এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককে এসএসকেএম হাসপাতালে ৬ ঘন্টা ধরে ফেলে রাখার অভিযোগে উঠেছিল। তাঁকে বেড পাওয়ানোর জন্য হাসপাতাল চত্বরে হাজির হন মদন মিত্র। ফোন যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছেও। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক। এসএসকেএম হাসপাতাল বয়কটের ডাকও দেন তিনি।

    কোন কোন ধারায় মামলা তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে?

    জানা গেছে, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ এবং ৫০৯ ধারায় এই অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পরেই মদন মিত্র জানিয়েছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। মদনের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঝামেলা এবার গড়াল কোর্ট পর্যন্ত।

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ…

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছেন কামারহাটির বিধায়ক। হাসপাতালের অধিকর্তা ইতিমধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে মদন মিত্রের (Madan Mitra) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার মদন মিত্র পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেন। হাসপাতালের এক অধিকর্তা বলেন, ‘‘মদন মিত্রের দলবল হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এই ঘটনা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না।’’ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক হাসপাতালে দালালরাজ কায়েমের যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।

    সুর নরম কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পরে

    শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন মদন মিত্র। তাঁর নিশানায় চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই। মদন (Madan Mitra) বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বলেননি। তৃণমূল দলটা মমতা বা অভিষেকের দল নয়।’’ কিন্তু কুণাল ঘোষের সঙ্গে শনিবার মাঝরাতে বৈঠকের পরেই রবিবারে তাঁর কন্ঠে অন্য সুর শোনা গেল। তিনি বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসা পাচ্ছিল না বলে তাকে ভর্তির সাহায্য করার চেষ্টা করেছি মাত্র।’’ তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর অবস্থান ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। এদিন মদন বলেন, ‘‘দল আমাকে মন্ত্রী করেছে, দলের প্রতীকে আমি জিতেছি। বিধায়ক হয়েছি। দল গুরুত্ব দেয়নি একথা একবারও ভাবছি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hindu Marriage: বিয়ের সাতপাকে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে কী কী প্রতিশ্রুতি দেন?

    Hindu Marriage: বিয়ের সাতপাকে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে কী কী প্রতিশ্রুতি দেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিয়ে পৌরাণিক নিয়ম মেনেই হয়ে থাকে। আর বিয়ে (Hindu Marriage) মানেই দুটি মনের মিলন। একে অপরের পাশে সারাজীবন সততা, নিষ্ঠা এবং ভালোবাসার সঙ্গে থাকার নামই বিবাহ। বিভিন্ন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিয়ের ধরন ও নিয়মকানুন আলাদা আলাদা হয়। কিন্তু উদ্দেশ্য একই থাকে। আবার বিয়ে এমন একটি রীতি, যার মাধ্যমে দুজনের সামাজিক ও পারস্পরিক সম্পর্ক স্বীকৃতি লাভ করে। হিন্দু বিবাহের রীতিনীতিগুলির মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল কুশণ্ডিকা, লাজহোম, সপ্তপদী গমন, ধৃতিহোম, চতুর্থী হোম। হিন্দু বিবাহের লৌকিক প্রথাগুলি বর্ণ, গোষ্ঠী ও এলাকা ভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

    বিয়ের (Hindu Marriage) সাধারণ নিয়ম

    সাধারণত হিন্দু বিয়ের অনুষ্ঠানে একটি বিবাহ মঞ্চ করা হয়, যা ছাদনাতলা নামে পরিচিত। সেখানে বসেই বিয়ে (Hindu Marriage) সম্পন্ন হয়। সেই ছাদনাতলায় কনেকে একটি পিঁড়িতে বসিয়ে মুখে পান পাতা ঢেকে নিয়ে আসা হয়। বরের পাশে ঘোরানো হয় সাত পাক। এর পর পিঁড়ি থেকে কনেকে নামিয়ে পান পাতা সরিয়ে স্বামীর দিকে তাকাতে হয়, যা শুভদৃষ্টি নামে পরিচিত। এর পর হয় মালা বদল। শুধু এখানেই শেষ নয়, এই হিন্দু বিবাহ রীতির মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি আছে, যেটিকে সাত পাকে বাঁধা পড়া বলা হয়। এই সাত পাকের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও দিতে হয় একে অপরকে। আর এটি সম্পূর্ণ অগ্নিকে অর্থাৎ আগুনকে সাক্ষী রেখে সম্পন্ন করা হয়। 

    সাতপাকের মাধ্যমে (Hindu Marriage) কী কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়?

    সাতপাকে ঘোরার (Hindu Marriage) মাধ্যমে মোট ৭ টি প্রতিশ্রুতি স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে দিয়ে থাকেন। সেগুলি হল: প্রথম প্রতিশ্রুতি: স্বামী-স্ত্রী সবসময় চান, তাঁদের সংসারে যেন কোনওদিন খাদ্য এবং অর্থের অভাব না হয়। তাই স্ত্রীকে খুশি রাখার জন্য এবং তাঁর সমস্ত দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রথম প্রতিজ্ঞা করা হয় প্রথম পাকে। দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি: তাঁদের ভবিষ্যত প্রজন্ম অর্থাৎ তাঁদের সন্তানের দেখভাল ও যত্ন নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করা হয়। কনেও প্রতিজ্ঞা করেন, তাঁর স্বামী এবং পরিবারের যত্ন নেবেন। তৃতীয় প্রতিশ্রুতি: স্বামী প্রতিশ্রুতি দেন, সব সময় যে কোনও পরিস্থিতি থেকে তাঁর স্ত্রীকে রক্ষা করবেন। স্ত্রীও প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি স্বামীর সবরকম খারাপ অবস্থায় পাশে থাকবেন। চতুর্থ প্রতিশ্রুতি: স্ত্রীর কাছে পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেওয়ার ও স্ত্রীর সমস্ত আবেদন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন স্বামী। পঞ্চম প্রতিশ্রুতি: স্ত্রীর প্রতি সদা সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং স্ত্রীও স্বামীর প্রতি সদা নিষ্ঠাবান ও সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার প্রতিজ্ঞা করেন। ষষ্ঠ প্রতিশ্রুতি: পরস্পরের সুস্বাস্থ্য ও রোগহীন জীবনের কামনা করেন দুজন। সপ্তম প্রতিশ্রুতি: সর্বশেষে সম্পর্ক যেন সারাজীবন অটুট এবং বন্ধুত্বপূর্ণ থাকে ও এই সম্পর্ক যেন চিরস্থায়ী ও মজবুত হয়, তার প্রতিজ্ঞা করে দুজন দুজনের প্রতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: দুর্গাপুরে বেহাল রাস্তা মেরামতির দাবিতে পথে নামল বিজেপির যুবমোর্চা

    Durgapur: দুর্গাপুরে বেহাল রাস্তা মেরামতির দাবিতে পথে নামল বিজেপির যুবমোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে এবার পথে নামল বিজেপির যুবমোর্চা।দুর্গাপুরের (Durgapur)২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুচিপাড়া আন্ডারপাস থেকে এফসিআই পর্যন্ত বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে হল বিক্ষোভ ও আন্দোলন।

    কেন দুর্গাপুরে (Durgapur) আন্দোলন ?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগর এলাকার সাথে স্টেশনের যাওয়ার যোগাযোগকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা বছর খানেক ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে দুর্ঘটনা। সামনেই বর্ষাকাল। রাস্তা সারাই না হলে মানুষের দুর্গতি যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। রাস্তা ঠিক করার দাবিতে মুচিপাড়া থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে এফসিআই গেট পর্যন্ত যায় যুবমোর্চার আন্দোলনকারীরা। ভাঙাচোরা রাস্তার উপরে বসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। মিছিলে স্লোগান ওঠে, রাস্তা সারাই করার টাকা কে খেয়েছে? তৃণমূল সরকার জবাব দাও। এফসিআই গেটের সামনে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়। পুলিশ সরিয়ে দিলেও বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সরানোর দাবি উঠেছে। অবিলম্বে রাস্তা সারাই না হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন তারা গড়ে তুলবে বলে জানায় বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    দুর্গাপুরের (Durgapur) মুচিপাড়াতে বিশেষভাবে পুলিশের নাকা চেকিং বসানো হয়েছে। নাকাতে নিত্যদিনের চলা যানবাহনের কাছ থেকে প্রচুর টাকা আদায় করে পুলিশ, এমনটাই দাবি বিজেপির। মানুষ এই পুলিশি দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচতে বিকল্প হিসাবে স্টেশনের রাস্তাকে বেশি করে ব্যবহার করছে। আর তাই অধিক চলাচলের জন্য বর্তমানে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে। তাই পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, দুর্গাপুর নগর নিগমের আধিকারিক এবং আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে এই বিষয়ে বিশেষ অভিযোগ জানানো হয়েছে। অনেক অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ করছে না প্রশাসন। আর তাই রাস্তায় নেমে আন্দোলন। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি সন্তোষ মুখার্জির নেতৃত্বে রাস্তায় প্রতীকী প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি আরও দাবি করে, নবান্ন থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন না করেই পরিচালনা করা হচ্ছে শুধু মাত্র কয়েকজন তৃণমূল প্রসাশককে দিয়ে। আর প্রশাসকরা এলাকার রাস্তা নিয়ে নিষ্ক্রিয়। তাই অবিলম্বে দুর্গাপুরে বর্ষা আসার আগেই সকল রাস্তাকে ঠিক করতে হবে বলে বিজেপির তরফ থেকে বিশেষ দাবি রাখা হয়। আন্দোলনের ফলে প্রশাসন কতটা কাজ করে তাই এখন দেখার। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dress Code: জিনস, টি-শার্ট, লেগিংস পরে আসা যাবে না স্কুলে, নির্দেশিকা জারি অসম সরকারের

    Dress Code: জিনস, টি-শার্ট, লেগিংস পরে আসা যাবে না স্কুলে, নির্দেশিকা জারি অসম সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন পোশাক বিধি (Dress Code) চালু ছিল কেবল স্কুল পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে। এবার তাদের মতো পোশাক বিধি চালু হল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও। শনিবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে অসমের (Assam) হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলে আর জিনস, লেঙ্গিস এবং টি-শার্ট পরে আসা যাবে না। রাজ্যের সমস্ত সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে মানতে হবে এই নিয়ম। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে এ সংক্রান্ত নোটিশও পাঠিয়ে দিয়েছে সে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর।

    সরকারি পোশাক বিধি (Dress Code) 

    শিক্ষকদের এই পোশাক বিধি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষকদের পোশাক হবে মার্জিত, পরিষ্কার এবং রুচিশীল রংয়ের। চটকদার কোনও পোশাক পরা চলবে না। ক্যাজুয়াল এবং পার্টিতে যাওয়ার পোশাক পরেও স্কুলে আসা চলবে না। পোশাক পরতে হবে শালীনতা বজায় রেখে। শিক্ষকরা পরতে পারেন সাধারণ শার্ট, প্যান্ট এবং শিক্ষিকারা পরতে পারবেন সালোয়ার স্যুট, শাড়ি কিংবা মেখলা চাদর।

    বজায় রাখতে হবে শালীনতা

    নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেহেতু একজন শিক্ষক সব ধরনের শালীনতা বজায় রাখবেন বলে আশা করা হয়, সেহেতু তাঁদের পোশাক বিধি (Dress Code) মেনে চলতে হবে। এই পোশাক যেন তাঁর রুচি, মার্জিত বোধ, ব্যক্তিত্ব এবং তিনি যে কর্মক্ষেত্রে সিরিয়াস, তা প্রমাণ করে। এও বলা হয়েছে, লক্ষ্য করা যাচ্ছে স্কুলে বেশ কিছু শিক্ষক তাঁদের নিজেদের ইচ্ছে মতো পোশাক পরে স্কুলে আসছেন। ওই সব পোশাক মানুষের চোখে লাগছে। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হয় তাঁদের চালচলন, পোশাক সব সময় শালীন হবে। তাই তাঁদের পোশাক নিয়ে নিয়ম তৈরি করেছে সরকার।

    সরকারের পোশাক বিধি (Dress Code) অমান্য করলে যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী রানোজ পেগু বলেন, রাজ্য সরকার স্কুল চালানোর জন্য বেশ কিছু নিয়মকানুন বলবত করেছে। চালু করা হচ্ছে রুল বুক। তার মধ্যে থাকছে ড্রেস কোডও। সেখানে শিক্ষকদের শালীন পোশাক পরে আসতে বলা হয়েছে। ক্যাজুয়াল কোনও পোশাক পরে আসা যাবে না।

    আরও পড়ুুন: ‘বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার’, জি-৭ সম্মেলনে বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G-7: ‘বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার’, জি-৭ সম্মেলনে বললেন মোদি

    G-7: ‘বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার’, জি-৭ সম্মেলনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের মুখে তুলে দিতে হবে খাবার। শনিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানের হিরোসিমায় জি-৭ (G-7) এর সম্মেলনে খাদ্য নিরাপত্তার প্রসঙ্গও তোলেন তিনি (PM Modi)। খাদ্য নিরাপত্তা, রাসায়নিক সার এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ওই সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসায়নিক সারের ক্ষেত্রে সম্প্রসারণবাদী মানসিকতা অবলম্বন করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের ওপরও জোর দেন তিনি।

    জি-৭ (G-7) এর সম্মেলনে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ১০টি পয়েন্টের ওপর জোর দেন। এর মধ্যে ছিল খাবার নষ্ট হওয়ার প্রসঙ্গও। রায়াসনিক সার নিয়ে মেরুকরণের কথাও বলেন। তুলে ধরেন খাদ্য শস্য হিসেবে মিলেটের উপকারিতা এবং প্রাসঙ্গিকতার কথা। উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেন তিনি। সওয়াল করেন ডিজিটাল হেল্থ কেয়ারের পক্ষে। উন্নত বিশ্বের (G-7) দেশগুলির মডেল অনুসরণ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। ভোগবাদে প্রাণিত উন্নয়নের মডেলও বদলে গিয়েছে।

    রাসায়নিক সার প্রসঙ্গে কী বললেন মোদি?

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এমন খাবারের জোগান নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সমাজের একটি মানুষও, বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষকও যেন প্রতিদিন মুখে দু মুঠো অন্ন তুলতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্বে রাসায়নিক সারের জোগান আরও শক্তপোক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক যেসব বাধা আসবে, তা দূর করতে হবে। আমাদের সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    এদিন প্রধানমন্ত্রী খাবার নষ্টের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, খাবার নষ্ট বন্ধ করতে হবে। এটা আমাদের সমবেত দায়িত্ব। বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটা আমাদের করতেই হবে। জি-৭ (G-7) এর সদস্য দেশগুলি হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইটালি, জার্মানি, কানাডা এবং জাপান। বিশ্বের ধনীতম দেশগুলি জি-৭ এর সদস্য। এ বছর জি-৭ সম্মেলেন আয়োজক দেশ জাপান। সেই জাপানের তরফ থেকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারত এবং আরও সাতটি দেশকে। এদিন গণতন্ত্র, প্রযুক্তি এবং উন্নয়নের ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে পারে প্রযুক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share