Tag: Madhyom

Madhyom

  • Purba Bardhaman: বাবার দোকান সামলে, চাষের কাজ করেও মাধ্যমিকে উজ্জ্বল গৌরাঙ্গ রুদ্র!

    Purba Bardhaman: বাবার দোকান সামলে, চাষের কাজ করেও মাধ্যমিকে উজ্জ্বল গৌরাঙ্গ রুদ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারের অভাবকে জয় করে বার বার প্রান্তিক এলাকার মেধাবীরা শীর্ষ তালিকায় বিশেষ জায়গা করে নিচ্ছে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় তেমনই একটি নাম পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার গৌরাঙ্গ রুদ্র। বাবার সঙ্গে মুদির দোকান চালাত সে। একই সঙ্গে মাঠে চাষের কাজেও হাত লাগাতে হত তাকে। এতকিছু প্রতিকূলতার মধ্যেও মাধ্যমিকে ৬৭৭ নম্বর পেল নাদনঘাট থানার অন্তর্গত রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র গৌরাঙ্গ।

    গৌরাঙ্গ হতে চায় ডাক্তার

    মাধ্যমিকে এই নম্বর পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত সে। জানিয়েছে, তার আশা যেমনটা ছিল, ফলাফল ঠিক তেমনই হয়েছে। সে বাড়িতে ১৫ ঘণ্টা করে পড়াশুনা করত। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে বাবার দোকানে সময় দিতে হত। এমনকী প্রয়োজনে জমির (Purba Bardhaman) কাজ করতে যেতে হত। অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু প্রতিকূলতাকে জয় করে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে সে। গৌরাঙ্গ আগামী দিনে পড়াশুনা করে ডাক্তার হতে চায়। তবে আর্থিক অভাবের কারণে ডাক্তারি পড়া এখন কতটা সম্ভব হয়ে ওঠে, সেটাই দেখার। কারণ পরিবারের সেই রোজগার নেই যে তাকে ডাক্তারি পড়াবে।

    পরিবারের আশা কি পূরণ হবে?

    গৌরাঙ্গের বাবা বলেছেন, পরীক্ষার ফলাফলে গৌরাঙ্গকে নিয়ে আমি খুবই খুশি। আমার ছেলের জন্য আমি প্রণাম জানাই সকলকে। গুরুজনদের আশীর্বাদ পেয়েছে ছেলে, তাই সকলকে নমস্কার। গৌরাঙ্গের বাবা আরও বলেন, মাস্টারমশাইরা বলেই ছিলেন যে, ছেলের মাধ্যমিকে ৫০ এর মধ্যে র‍্যাঙ্ক থাকবে। আমি এতটা আশা করিনি, মাধ্যমিকের র‍্যাঙ্ক ১৫ হবে! গৌরাঙ্গের পড়াশুনায় এতদিন আমার দাদা ও পরিজনরা সাহায্য করছেন। পাশাপাশি স্কুলের (Purba Bardhaman) শিক্ষকরাও সহযোগিতা করেছেন। আগামী দিনে গৌরাঙ্গের উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারের কাছে বিশেষ সাহায্যের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। দুঃস্থ পরিবারের এই আশা কতটা পূরণ হয়, তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SBI: এসবিআই গ্রাহকদের কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ভুয়ো মেসেজ! বাঁচার উপায় কী? 

    SBI: এসবিআই গ্রাহকদের কাছে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ভুয়ো মেসেজ! বাঁচার উপায় কী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএমএসে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ভুয়ো ফোন কল বা মেসেজ থেকে সাইবার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকতেও বলেন বারংবার। এবার টাকা হাতানোর নতুন চক্র ফেঁদেছে প্রতারকরা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) নাম করে ফেক মেসেজ আসছে গ্রাহকদের ফোনে। সেখানে দেওয়া থাকছে লিঙ্ক। যা ক্লিক করলেই তৈরি প্রতারণার ফাঁদ। টাকা উড়ে যাচ্ছে গ্রাহকদের আকাউন্ট থেকে। ভুয়ো ফোন কল রুখতে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাই। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার গ্রাহকদের সতর্ক করেছে এবং এই রকমের কোনও মেসেজ এলে কী কী করতে হবে, তারও নির্দেশিকা দিয়েছে।

    ভুয়ো মেসেজ মোবাইলে এলে কী করবেন?

    জানানো হয়েছে, এরকম কোনও বার্তা পেলেই আপনি মেইল করবেন report.phishing@sbi.co.in-এ। সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে একটি হেল্পলাইন দেওয়া হয়েছে ১৯৩০। এতেও যোগাযোগ করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে,  ভুয়ো ফোন বা ই মেইল থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে এই প্রতারণার ব্যবসা এখনও রমরমিয়ে চলছে।

    ব্যাঙ্ক কী বলছে?

    এসবিআই এ বিষয়ে জানাচ্ছে, গ্রাহকদের কখনই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন অ্যাকাউন্ট নাম্বার, পাসওয়ার্ড মেসেজের মাধ্যমে দেওয়া উচিত নয়। এ ধরনের বার্তা পেলে তাদের যাচাই করতেও বলছে ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্ক আরও বলছে যে ব্যক্তিগত তথ্য তারা কখনও গ্রাহকদের কাছ থেকে চায় না। শুধুমাত্র ভুয়ো মেসেজ নয়, অনেক সময় কেওয়াইসি আপডেটের নামেও প্রতারকরা ফোন করে। এক্ষেত্রে কেওয়াইসি আপডেট না হলে অ্যাকাউন্ট ব্লক করারও ভয় দেখানো হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

    Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনের নানা অভ্যাস তৈরি করছে নানা ঝুঁকি। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। তেমনই একটা সমস্যা হল নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Liver Disease)। সপ্তাহ জুড়ে চলছে লিভার ডিজিজ অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম! স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, শুধু মদ্যপান নয়, খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপানের জন্য লিভারের রোগের তুলনায় খাদ্যাভ্যাসের জেরে লিভারের সমস্যায় জর্জরিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলারা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় বেশি ভুগছেন। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, খুব কম বয়স থেকেই অনেকে এই লিভারের অসুখে কাবু হচ্ছেন। 

    ফ্যাটি লিভার কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাট বা অতিরিক্ত চর্বি জমাকেই সহজ ভাষায় ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। অতিরিক্ত চর্বি জমলে লিভারের কার্যশক্তি কমতে থাকে। ফলে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। 

    কী করে বুঝবেন ফ্যাটি লিভার হয়েছে? 

    সাধারণত খুব প্রকট উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) থাকলে ওজন মারাত্মক বাড়ে অথবা কমে। তাছাড়া অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরে বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বারবার বমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তবে, ফ্যাটি লিভার থাকলে প্রায়ই পেটের যন্ত্রণা হয়। সেটাও অন্যতম উপসর্গ বলেই ধরা হয়। জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    কোন পাঁচ খাবার ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করবে? 

    আধুনিক খাদ্যাভ্যাসের জেরেই বাড়ছে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা। বিশেষত অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত ফাস্ট ফুড বিপদ বাড়াচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্য তালিকায় এই পাঁচটি খাবার নিয়ম করে রাখলে বিপদ করবে। প্রথমেই চিকিৎসকদের পরামর্শ তালিকায় থাকছে, শাক-সবজি। সবুজ সবজি নিয়মিত খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার। এই দুই উপাদান লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত সবজি খেলে বিপদ কমবে। দ্বিতীয়ত, দানা শস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা কমাতে ওটস, ডালিয়ার মতো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে। তৃতীয়ত, নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে থাকে ওমেগা থ্রি, যা লিভারের জন্য খুব উপকারী। যে কোনও মাছ নিয়মিত খেতে বলছেন তাঁরা। তবে, ছোট মাছের উপকার বেশি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাই তাদের পরামর্শ, দুধ, পনির, ডিমের মতো খাবার নিয়ম করে থাকুক খাদ্য তালিকায়। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিকেনে শুধু প্রোটিন নয়, থাকে ফাইবার। আর ফাইবার ফ্যাটি লিভার রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে, রেড মিট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে দেহে চর্বি জমে। যা শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস! কাপলিং খুলে আলাদা বগি ও ইঞ্জিন

    Train Accident: দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস! কাপলিং খুলে আলাদা বগি ও ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা (Train Accident) থেকে রক্ষা পেল হাওড়া-পুরী সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেন থেকে কাপলিং খুলে আলাদা হয়ে গেল ইঞ্জিন ও দুটো বগি। বেশ কিছুদূর এগিয়ে যায় ইঞ্জিন সহ বগি দুটি। জানা গেছে, সেই সময় ট্রেনের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। আচমকাই ঝাঁকুনিতে শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের আধিকারিকদের। ওই দুটি বগিকে মেরামতি না করতে পারায় নতুন করে দুটি বগি লাগানো হয় ট্রেনের সঙ্গে। যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগি লাগিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।  শনিবার রাত ১.০৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনের কাছে। তবে ঘটনায় (Train Accident) হতাহতের কোনও খবর নেই। 

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেলের তরফে। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে হাওড়া ছেড়ে বেরনোর পর রাত ১ টা ৫ মিনিট নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি। স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের কাপলিং খুলে যায়। ইঞ্জিন সহ দুটি বগি বাকি ট্রেনকে ফেলে রেখে এগিয়ে যায়। ঘটনার (Train Accident) ফলে পুরনো কম্পার্টমেন্ট থেকে যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগিতে তুলে নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর নেকুরসেনি থেকে পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। যদিও যাত্রীদের একাংশের দাবি, প্রায় ঘণ্টা পাঁচেকের বেশি সময় তাঁরা আটকে ছিলেন। 

    আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা

    মাঝরাতে এভাবে আটকে পড়ায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একইসঙ্গে একাংশ এই ভেবেই শঙ্কিত হন, ওভাবে ইঞ্জিন ছাড়া বগিগুলি গার্ডের নজরে না পড়লে আরও বড় দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটতে পারত। যদিও দুর্ঘটনার ফলে কোনও যাত্রীই আহত হননি। সবাই সুরক্ষিত ছিলেন। সকাল সওয়া ছটা নাগাদ পুরীর উদ্দেশে রওনা হয় ট্রেনটি। তবে এই দীর্ঘ সময় ট্রেনটি আটকে থাকায় রাতে ওই রুটে চলা মালগাড়িগুলির যাতায়াতে প্রভাব পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বিধায়ক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৯ মে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলামকে কার্যত এক হাত নিয়েছিলেন। বিধায়কের বিস্ফোরক এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিধায়কে কার্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। বিধায়কের সামনেই তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারী সকলেই তৃণমূল কর্মী। পরে, তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাতে সাতজন জখম হন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬:২৫মিনিট নাগাদ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে তৃণমূল সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। অভিযোগ, তখনই ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাইপো তাজ মহম্মদের নেতৃত্বে ব্লক সভাপতির কিছু অনুগামী গিয়ে অতর্কিতে লাঠি- বাঁশ নিয়ে হামলা চালান। বিধায়ক কার্যালয়ের পাশাপাশি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয়। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভরতপুর এলাকা। ঘটনার পর ভরতপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে কোনও দলীয় কোন্দল নেই। আসলে এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আমার নিরাপত্তারক্ষী আজকে ছুটিতে রয়েছে, সেই খবর আগে থেকেই ব্লক সভাপতি জানতো। তাই,  ব্লক সভাপতির অনুগামীরা আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে। আমার অনুগামীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার কার্যালয়ে চড়াও হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে সোমবার থেকে ভরতপুরে কে রাজ করে তা দেখিয়ে দেব।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    হামলার ঘটনা নিয়ে পাল্টা বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের উপর দায় চাপিয়েছেন ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ভাইপো এবং আমার কিছু অনুগামী হাঁটতে হাঁটতে ব্লকের দিকে যাচ্ছিল তখনই আমার ভাইপো সহ আমার অনুগামীদের উপর চড়াও হয় বিধায়কের অনুগামীরা। আমরা কোনও হামলা চালাইনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী’’, মত অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী’’, মত অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার গুজরাটের দ্বারকায় ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ কোস্টাল পলিসিং’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী বললেন অমিত শাহ (Amit Shah)?

    এদিন তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি উপকূল রক্ষী বাহিনী, ভারতীয় নৌসেনার সাহায্যে ভারতের সুদর্শন চক্রের বলয় তৈরি করেছেন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ভারতীয় নৌসেনা এবং উপকূল রক্ষী বাহিনী মধ্য সমুদ্রে নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেখে। অভ্যন্তরে সুরক্ষার ব্যবস্থা দেখে বিএসএফ। এই নিরাপত্তার সুদর্শন বলয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মৎস্যজীবীরাও। যাঁরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে নিরাপত্তার কাজে তথ্য দেওয়া-নেওয়া করে।’’

    কংগ্রেসকে নিশানা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    কংগ্রেস সরকারকেও এদিন একহাত নিতে ছাড়েননি অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তার ঘাটতির কারণেই অনেক ভয়ঙ্কর ফল ভুগতে হয়েছে। আমরা কখনও ভুলতে পারি না ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা। যেখানে ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের জীবনকে কেড়ে নিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা।’’

    আমেদাবাদে আজ মোদি সম্মেলনে যোগ দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পিছিয়ে পড়া ওবিসি মোদি সমাজের সংগঠন, ‘ভারতীয় মোদি সমাজ’-এর জাতীয় সম্মেলনে আমেদাবাদে আজ বক্তব্য রাখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে মোদি সমাজ। রাহুলের মন্তব্য ছিল, ‘‘সব চোরেদের পদবী মোদি কেন হয়?’’ ইতিমধ্যে এই অভিযোগে তাঁর সংসদ পদও খারিজ হয়েছে। রাহুল গান্ধীর করা এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন পূর্ণেশ মোদি, যিনি ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী। ‘গুজরাট মোধ-মোদি সমাজ’-এর সভাপতিও বটে তিনি। আমেদাবাদে রবিবারের সম্মেলনের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে থাকছেন পূর্ণেশ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর দাদা সোমভাই মোদিরও রবিবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনের বিষয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, ‘‘আমরা আশা করছি মোদি সমাজের সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ এই সম্মেলন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। যেখানে সাংসদ এবং বিধায়করাও থাকবেন। আমাদের সমাজের প্রতিনিধিরা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে আসবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক চালানো নিয়ে বচসা। সামান্য এই ঘটনা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পালিতবেগিয়া এলাকার। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আশরাদুল শেখ। গুলিবিদ্ধ যুবক তৃণমূল কর্মী। হামলাকারীরাও তৃণমূল করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia)  পালিতবেগিয়া এলাকায় শনিবার বিকালে কয়েকজন যুবক পাড়ার ভিতর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা যায়, ওই যুবকদের বাড়ি পাশের গ্রামে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় বচসা। পরে, হাতাহাতি শুরু হলে এলাকাবাসী তা  মিটিয়ে দেন। বাইক আরোহীরা গ্রামে ফিরে গিয়ে দল বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফের চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ফের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এরপরই আচমকা আশরাদুল শেখ নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে।। আশরাদুলের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আশরাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হলেও আরেকটি গুলি শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে। বর্তমানে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, আদতে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন গুলিবিদ্ধ যুবকের দাদা?

    গুলিবিদ্ধ আশরাদুলের দাদা ওসমান গনি শেখ বলেন, মূলত প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করাতেই হামলা চালিয়েছে ওরা। তবে, সামান্য বিষয় নিয়ে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ বৃদ্ধির (DA Protest) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা যন্তর মন্তরে ধর্নাও দিয়েছেন। হাইকোর্টে নির্দেশে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে কর্মচারিদের একাংশের। কিন্তু তাতেও মেলেনি রফাসূত্র। এই আবহেই, ২২ মে সোমবার ফের এক দফা পেন ডাউন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। এবারেও কড়া অবস্থান নিল নবান্ন। আগের বারের মতো এবারেও নবান্নের বক্তব্য যে পেন ডাউন কর্মসূচির ফলে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ। এবং তা সরকারি অফিসের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটাবে। নবান্নের আরও হুঁশিয়ারি, নিজের অফিসে থেকে দায়িত্ব পালন করতে যদি কোন কর্মচারীকে না দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে কী জানাল নবান্ন?

    শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কোনভাবেই এই কর্মসূচি বরদাস্ত করবেনা সরকার। নির্দেশিকায় নবান্নের বক্তব্য, জনস্বার্থে পদক্ষেপ করবে সরকার। হাসপাতালে ভর্তি, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা আগে থেকে নেওয়া অন্যান্য বিশেষ কারণের ছুটিগুলি ছাড়া সেই দিনগুলিতে অর্ধ বা পূর্ণদিবসের ছুটি নেওয়া যাবে না। অন্যথায় কারণ দর্শাতে হবে। এমনকি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতেও কোন সরকারি কর্মীকে যদি কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, উপযুক্ত কারণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বের হতে পারবেন না কোন সরকারি কর্মী। বেলা দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় অন্য কোন কর্মসূচি পালন করা চলবে না, অন্যথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মুখেও পড়তে হতে পারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। শুধু তাই নয়, যদি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় কেউ কর্মসূচি পালন করে তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে তিনি সেদিন গরহাজির ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে সেইরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এই আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গত সোমবারেই জানিয়েছেন, সরকারি চাকুরিজীবীরা বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান কাজ করার জন্য। তাঁদের আন্দোলনের ফলে বিঘ্নিত হয় সাধারণ মানুষের পরিষেবা।

    কী বলছে কর্মচারী সংগঠনগুলি?

    কর্মচারী সংগঠনের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ন্যায্য দাবিতে কর্মীরা আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার দাবি মিটিয়ে দিলে এই সব আন্দোলনের দরকার পড়ে না। টিফিনের সময় হল কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সময়। সেই অধিকারেও হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। ওই নির্দেশনামা বাতিলের দাবিতে সোমবার টিফিনের সময় দফতরে দফতরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।’’ অপর এক আন্দোলনকারীর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার এভাবে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। যত দমন পীড়ন চলবে, প্রতিরোধ ততই বাড়বে।’’ আরেকটি কর্মচারী সংগঠনের মত হল, ‘‘কর্মবিরতি পালনে বেতন কাটা যেতে পারে কিন্তু অন্য কোন শাস্তি এভাবে দিতে পারে না সরকার। এটা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক এবং ডিএ সহ নানা দাবীতে আন্দোলন বাছাই করতে পদক্ষেপ।’’ এখন দেখার সোমবারে রাজ্য জুড়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SECL: ভারত সরকারের উদ্যোগে ছত্তিসগড়ের কয়লাখনি এখন এশিয়ার সর্ববৃহৎ!

    SECL: ভারত সরকারের উদ্যোগে ছত্তিসগড়ের কয়লাখনি এখন এশিয়ার সর্ববৃহৎ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়েভারা মেগা প্রকল্পের আওতায় ছত্তিসগড়ের সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড লিমিটেড (SECL) বছরে প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করে এশিয়ার সর্ববৃহৎ কয়লাখনি হিসাবে মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেলল। সরকারি এই প্রকল্পে আগামী বছরে ৭০ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একে ভারতের কয়লা মন্ত্রকের বিরাট সাফল্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিলাসপুরে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের সেক্রেটারি, ছত্তিসগড় রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি এবং ভারতীয় রেলের মধ্যে বিশেষ সমন্বয় বৈঠক হয় শনিবার। সেখানে এই প্রকল্পের কাজ আগামী দিনে সুষ্ঠু ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কয়লা উত্তোলনে বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমা 

    দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যনেজার অলোক কুমার এবং সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডের সিডিএম প্রেম সাগর মিশ্রের সঙ্গে কয়লা মন্ত্রকের সেক্রেটারির ওই বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডের (SECL) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে প্রাকৃতিক সম্পদকে কীভাবে খননকার্যের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়, সেই বিষয়েই বিস্তৃত আলোচনা করা হয় বৈঠকে। কয়লা উৎপাদনে পরিবেশ, বন ও ভূমি দফতরের বিশেষ ছাড়পত্রের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি ছত্তিসগড়ে কয়লাখনির মেগা প্রকল্প সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড অঞ্চলের মধ্যে থাকা গেভেরা, দিপকা এবং কুশমুণ্ডার মানুষের পুনর্বাসন ও বিশেষ আর্থিক সাহায্যের বিষয়টিও বৈঠকে উঠে আসে বলে জানা যায়। কোল সেক্রেটারি কয়লাখনির কাজকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকার এবং প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সকল অংশগ্রহণকারীকে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন।

    জোর ভারতীয় রেলের সঙ্গে সমন্বয়ে

    কোল সেক্রেটারি দক্ষিণ পূর্ব রেল, পূর্ব রেল এবং পূর্ব-পশ্চিম রেলের সঙ্গে সাউথ ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডের ( SECL) বিশেষ সহযোগিতা ও সমন্বয়ের উপর জোর দেন। রেল লাইনের সুবিধা অনুসারে কোরবা, মাণ্ড-রায়গড় কয়লা অঞ্চল থেকে খনি সরিয়ে নেওয়ার কথাবার্তাও হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আলোচনা বৃহত্তর কয়লাখনির খননকার্য এবং উত্তোলনের ক্ষেত্রে দারুণ আশা ব্যঞ্জক। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Madrasa: হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় প্রথম পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে, পরিবারে উচ্চ শিক্ষায় দুশ্চিন্তা

    Madrasa: হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় প্রথম পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে, পরিবারে উচ্চ শিক্ষায় দুশ্চিন্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের বাবা দিনমজুর অন্যজনের বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা ব্লকের ভাবতার বাসিন্দা আসিফ ইকবাল ও রানীনগরের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন মোল্লা, এরাই এবার পশ্চিমবঙ্গ হাই মাদ্রাসা (Madrasa)পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয়। আসিফের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০, নাসির উদ্দিনের প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। দুজনেই বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চান। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে সন্তানদের ভালো ফলে দুশ্চিন্তায় পরিবার, উচ্চশিক্ষায় পাশে দাঁড়াক সরকার, আবেদন উভয় পরিবারের।

    প্রথম হওয়ায় মাদ্রসার (Madrasa) প্রতিক্রিয়া

    ভাবতা আজিজা হাই মাদ্রাসা স্কুলের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক শিক্ষক মিরাজ শেখ বলেন, এই স্কুলে বিগত কয়েক দশক ধরে প্রথম স্থানে অধিকারী হিসাবে আমরা কাউকে পাইনি। যদিও বিভিন্ন সময় আমাদের স্কুলের ছাত্ররা কখনও চতুর্থ কখনও পঞ্চম স্থানাধিকারীদের মধ্যে ছিল। এই বছর আমাদের খুব আশা ছিল, এই বছর স্কুলে কিছু একটা ফল হবে। আসিফ সবসময় ক্লাসে প্রথম হত। আসিফের ফলাফল আমাদের কাছে ভীষণ প্রত্যাশিত। স্কুলের বিশেষ ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করত আসিফ। ছাত্র সুলভ আচরণে খুব অনুগত ছিল সে। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকেও আসিফকে বিশেষ অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

    আসিফের পরিবারের প্রতিক্রিয়া

    আসিফের বাবা ইয়ামিন শেখের আশঙ্কা “ছেলে ভালো ফল করে কি হবে, আমি যদি পড়াতে না পারি!” রাজ্যে প্রথম হয়ে বিতর্কে পটু বাগ্মী আসিফের ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া “লড়াইটা সবে শুরু, এখন অনেক পথ বাকি। আশা করি সবাই পাশে থাকবে।” আসিফের বাবা আরও জানান, এতদিন দেনা করে পড়াশুনার খরচ যুগিয়েছি। কলকাতায় সাইকেলে করে ভাঙ্গারির ব্যবাসা করি। অর্থের একটা সঙ্কট রয়েছেই। তবে স্কুলের শিক্ষকেরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শিক্ষকদের (Madrasa) জন্যই আজ ওর এই সাফল্য এসেছে। আগামী দিনে ওর পড়াশুনার জন্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করব। 

    নাসিরের মাদ্রাসার (Madrasa) শিক্ষকের আবেদন

    কোমনগর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এতটা অভাবের মধ্যে থেকেও পড়াশোনা করার অদম্য জেদ কিভাবে সাফল্য এনে দেয়, সেটা নাসিরের মধ্যে চাক্ষুষ করলাম। আমরা তো আছি, সরকারও ওর উচ্চ শিক্ষায় পাশে দাঁড়াক, এটুকুই আবেদন। আগামী দিনে সরকারী সহায়তা কতটা আসে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share