Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে শুভেন্দু অধিকারী, নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে শুভেন্দু অধিকারী, নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মণের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, আগামী ৩ দিনের মধ্যেই চাকরির নিয়োগপত্র পাবেন মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী এদিন পুত্রহারা অসীম দেবশর্মাকেও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। মৃত্যুযন্ত্রণা ও হতাশার মধ্যে আর্থিক অনটনে কিছুটা সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে এভাবেই পরিবারের পাশে থাকলেন বিরোধী দলনেতা। এছাড়া ভারত সেবাশ্রম কর্তৃপক্ষকে স্বর্গরথ কেনার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। 

    মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে

    রাধিকাপুরের চাঁদগাঁও গ্রামে গুলিতে মৃত যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের (Kaliaganj) সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, তিনদিনের মধ্যেই চাকরির নিয়োগপত্র পাবেন মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মণ।

    অসীম দেবশর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ

    কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) ডাঙ্গিপাড়ায় সদ্য পাঁচ মাস বয়সের পুত্রহারা অসীম দেবশর্মাকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে না পেরে ব্যাগের ভিতর ভরে পাঁচ মাসের ছেলের মৃতদেহ বাসে করে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। প্রশাসনের অমানবিক এবং নির্মম ব্যবহারে সাধারণ মানুষ নির্বাক হয়ে গিয়েছিল। সরকারের অমানবিক আচরণের ঠিক বিপরীত মেরুতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    নাবালিকার পরিবারকে সমবেদনা

    অন্যদিকে, এদিন ভারত সেবাশ্রমের স্বামীজিদের সঙ্গেই শুভেন্দু অধিকারী যান কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা এলাকায় মৃত নাবালিকার বাড়িতে। সেখানে নাবালিকার সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করার পাশাপাশি শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান তিনি।

    ভারত সেবাশ্রমকে ১২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান

    শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) ঝটিকা সফরে গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দুপুরে তিনি প্রথমে যান কুনোর ভারত সেবাশ্রমে। আশ্রমের স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজের মন্দিরে পুজোও দেন। এরপর স্বামীজিদের সাথে কথা বলেন তিনি৷ পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জের কুনোর ভারত সেবাশ্রমকে ১২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। স্বর্গরথ কেনার জন্যই এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। মূলত মৃতদেহ বহনের জন্য বিনামূল্যে আশ্রমের তরফে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই অনুদান দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এগরা বিস্ফোরণ (Egra Blast) কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। শুক্রবার এই রিপোর্ট তলব করা হয়। জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের ওই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিশন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যে স্পষ্ট, এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তাই আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘১৭ মে ২০২৩ এর ওই ঘটনায় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। জনতা এও দাবি করে, পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করেই অভিযুক্তরা অবৈধভাবে বাজি কারখানা চালাত।’’

    মঙ্গলবারই এগরায় অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে

    চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবারই এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Egra Blast) ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে মারা যান। বিস্ফোরণে ভানু বাগ ব্যাপকভাবে জখম হয়েছিলেন। তাঁর শরীরের আশি শতাংশই পুড়ে যায়। কিন্তু তদন্তকারীদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি পড়শি রাজ্য ওড়িশাতে গা ঢাকা দেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ছেলে এবং ভাইপোর সঙ্গে সিআইডি গ্রেফতার করে তাঁকেও। ভানু বাগের শেষকৃত্যের পরেই তাঁর ছেলেকে সিআইডি হেফাজতে নেবে বলে  জানা গেছে।

    কোন কোন ধারায় হল মামলা?

    আইপিসি ৩০২ (খুন), আইপিসি ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), এই দুটির পরেও দ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট ১৮৮৪-এর ৯বি ধারা যোগ হয়। কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট ১৯০৮-এর কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। মামলা হালকা করতেই কি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত? যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর কোনও সদুত্তর মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Results: রাজ্যের সরকারি স্কুল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন শহুরে অভিভাবকরা?

    Madhyamik Results: রাজ্যের সরকারি স্কুল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন শহুরে অভিভাবকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। সম্ভাব্য মেধা তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতে দেখা গেল, কলকাতার কোনও পড়ুয়ার নামই নেই। এই ঘটনায় বিস্মিত শিক্ষা মহল। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্য বছরের তুলনায় এমনিতেই অনেক কম ছিল। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কমছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গত বছর মেধা তালিকায় (Madhyamik Results) কলকাতার পড়ুয়া মাত্র একজন ছিল। এবছর তাও নেই। 

    কেন মেধা তালিকায় কমছে কলকাতার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা? 

    শিক্ষা মহলের একাংশ জানাচ্ছে, মেধা তালিকায় (Madhyamik Results) কলকাতার পড়ুয়া না থাকার অন্যতম কারণ, কলকাতার অধিকাংশ বাসিন্দাই আর ছেলেমেয়েদের সরকারি স্কুল বা বলা যায় রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলে ভর্তি করান না। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা গিয়েছে, লাগাতার কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাও তাই কমছে। অধিকাংশ ছেলেমেয়ে ভর্তি হয় সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের স্কুলে। 

    কেন অভিভাবকদের বড় অংশ রাজ্যের স্কুল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে? 

    শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সিলেবাসই (Madhyamik Results) এর অন্যতম কারণ। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে কোনও পরীক্ষায় পাশ করার উপযুক্ত সিলেবাস এখন পড়ানো হয় না। ইংরেজির মতো ভাষা, যা সর্বভারতীয় পরীক্ষায় অত্যন্ত জরুরি, তাতে গুরুত্ব খুব কম দেওয়া হয়। ইতিহাস, বিজ্ঞান সহ একাধিক বিষয়ের সিলেবাস অপ্রাসঙ্গিক! শিক্ষাবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ইতিহাসে সিঙ্গুর আন্দোলন পড়ানো হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বেচারাম মান্নার ভূমিকা পড়ানো হয়। ইউপিএসসি বা অন্য যে কোনও সর্বভারতীয় পরীক্ষায় এই বিষয়ের কোনও প্রশ্ন থাকে না। ফলে, এই বিষয়গুলো পড়ে পড়ুয়াদের বিশেষ সুবিধা হয় না। এমনকী বাংলা ভাষাতেও এমন অনেক অপ্রাসঙ্গিক বিষয় পড়ানো হয়, যা পরবর্তীতে তাদের বিশেষ কাজে লাগবে না। যেমন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অভিনেতা দেব ও তার ছবি চাঁদের পাহাড় নিয়ে পড়ানো হয়। এই অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাস অভিভাবকদের আরও বেশি করে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলের প্রতি অনীহা তৈরি করছে বলেই মনে করছে শিক্ষাবিদদের একাংশ।
    একদিকে অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাস ও পরিকাঠামোহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, আরেকদিকে সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের একাধিক স্কুল, যেখানে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো পাঠ্যক্রম, এই দুইয়ের কারণেই কলকাতা ও তার আশপাশের বাসিন্দারা আরও বেশি রাজ্যের স্কুলগুলো থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Results 2023: মাধ্যমিকে প্রথম দেবদত্তা হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার! যুগ্মভাবে দ্বিতীয়দের পছন্দ ডাক্তারি

    Madhyamik Results 2023: মাধ্যমিকে প্রথম দেবদত্তা হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার! যুগ্মভাবে দ্বিতীয়দের পছন্দ ডাক্তারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল মাধ্যমিক (Madhyamik Results 2023) পরীক্ষার ফল। এদিন সকাল দশটায় পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ করেন মেধা তালিকা। দেখা যাচ্ছে, প্রথম দশের মধ্যে রয়েছে ১১৮ জন ছাত্র ছাত্রী। প্রথম হয়েছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি।  পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানি হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝির প্রাপ্ত নম্বর ৭০০ এর মধ্যে ৬৯৭। ফলাফল সামনে আসতেই বাড়ির সামনে জমেছে সাংবাদিক থেকে সাধারণ মানুষের ভিড়। প্রতিবেশীরাও মিষ্টি মুখ করাতে এসেছেন তাঁদের পাড়ার কৃতী মেয়েকে।

    কী বলছে দেবদত্তা?

    বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে দেবদত্তা বলে, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই পরিশ্রম করেছি আজকের এই ফলাফলে আমি অত্যন্ত খুশি। সাফল্য এসেছে পরিবার এবং শিক্ষকদের জন্য। সকলকে প্রণাম জানাই। দেবদত্তার মা দুর্গা দাসী চৌধুরানি হাই স্কুলেরই শিক্ষিকা। মেয়ের এই সাফল্যে আনন্দে চোখে জল মায়েরও। তিনি বলেন, ‘‘আলাদা করে পড়তে বসার জন্য কিছু বলতে হয়নি দেবদত্তাকে। ও ভালো ফল (Madhyamik Results 2023) করবে প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু প্রথম হওয়া! এটা স্বপ্ন পূরণ।’’ ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় দেবদত্তা এমনটাই সে জানিয়েছে । অঙ্ক তার অত্যন্ত পছন্দের বিষয় বলেও জানিয়েছে এই মেধাবী ছাত্রী।  দেবদত্তা পরীক্ষার আগে নিয়মিত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতো বলেই জানা গেছে। খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তার ছিলনা, তবে রাত্রি অবধি পড়াশোন সে করত। পড়াশোনার বাইরে ভায়োলিন বাজানো এবং আইপিএলের ক্রিকেট দেখা তার খুব পছন্দের বলেই সে জানিয়েছে।

    দেবদত্তার প্রাপ্ত নম্বর

    মার্কশিটে দেখা যাচ্ছে, মাত্র ২টি বিষয়ে দেবদত্তা ১০০ পায়নি। প্রথম ভাষায় সে পেয়েছে ৯৮, দ্বিতীয় ভাষায় ১০০, গণিতে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৯, ভূগোলে ১০০। 

    যুগ্মভাবে দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভম এবং মালদার রিফাত

    অন্যদিকে এবারের মাধ্যমিকে (Madhyamik Results 2023) যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে বর্ধমানের ছাত্র শুভম এবং মালদার রিফাত। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। সংবাদমাধ্যমকে তারা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তারা ডাক্তার হতে চায়। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র শুভম। অন্যদিকে রিফাত হাসান সরকার মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। শুভম জানিয়েছে, গল্পের বই পড়তে এবং গান শুনতে তার ভাল লাগে। উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি নিট পরীক্ষার প্রস্তুতিও সে ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে রিফাত জানিয়েছে, পরীক্ষা দিয়ে সে বুঝতে পেরেছিল প্রথম দশে থাকবে। কিন্তু তা যে একেবারে প্রথমদিকে ততটা ভাবেনি। রিফাত জানায়, রুটিনমাফিক নয়, যখন যেমন মনে হত তেমনভাবেই পড়াশোনা করত সে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kurmi: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এ গিয়ে কুড়মিদের ঘেরাওয়ের মুখে জুন মালিয়া

    Kurmi: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এ গিয়ে কুড়মিদের ঘেরাওয়ের মুখে জুন মালিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কুড়মিদের ‘ঘাঘর ঘেরা’র মুখে তৃণমূল বিধায়িকা জুন মালিয়া। শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের মালবাঁধি এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান জুন মালিয়া। ঠিক সেই সময় কুড়মি সমাজের মানুষজন ঘিরে ধরেন তাঁকে। অবিলম্বে রাজ্যের তরফে সিআরআই রিপোর্টের ওপর কমেন্ট পাঠাতে হবে কেন্দ্রের কাছে। মূলত এই দাবি তুলে ধরা হয় বিধায়িকার কাছে। গোটা বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়িকা। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরে পুলিশের তৎপরতায় ঘেরাও মুক্ত হন তৃণমূল বিধায়িকা। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গলমহলে কর্মসূচিতে গিয়ে কুড়মিদের (Kurmi) ঘেরাওয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেককেই। এবার ঠিক একই কায়দায় ঘেরাওয়ের মুখে তৃণমূল বিধায়িকা জুন মালিয়া। জঙ্গলমহলে জনপ্রতিনিধিরা এলেই তাঁদের ঘাঘর ঘেরার মুখে পড়তে হবে বলে দাবি করছেন কুড়মি সমাজের মানুষ। উল্লেখ্য, কুড়মালিতে এই ঘাঘর ঘেরার অর্থ হল কোনও রকম ফাঁক না রেখে চারদিক থেকে ঘিরে ধরা। 

    কী কী দাবিতে কুড়মিদের এই আন্দোলন?

    আদিবাসী কুড়মি (kurmi) জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে কুড়মিদের (kurmi)  পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা হচ্ছে। ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল তারা। তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। ওই সময় সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। পরে, জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক তাঁদের কাছে একটি চিঠি নিয়ে এসে ১০ এপ্রিল মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। যদিও আন্দোলনকারীরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কুড়মিরা দাবি আদায়ে বিভিন্ন দফায় রেল অবরোধ করেছেন। তার জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এক সময় দেখা গিয়েছিল, চারদিনে প্রায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

    আন্দোলনের ধরন বদল?

    কুড়মি (kurmi) সংগঠনের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাত বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন, তাঁদের আন্দোলন দুর্বল করতে প্রশাসন বহু চেষ্টা করছে। মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে এর আগে বৈঠক করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, তাঁরা আর বৈঠক করতে রাজি নন। তবে, আগামীদিনে তাঁরা ফের আন্দোলনে নামবেন। বোঝাই যাচ্ছে, দাবি আদায়ে তাঁরা আন্দোলনের ধরন বদলে ফেলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Results 2023: মাধ্যমিকে একে পরীক্ষার্থী কমেছে ৪ লক্ষ, তার ওপর ফেল ১.১ লক্ষ!

    Madhyamik Results 2023: মাধ্যমিকে একে পরীক্ষার্থী কমেছে ৪ লক্ষ, তার ওপর ফেল ১.১ লক্ষ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল মাধ্যমিক (Madhyamik Results 2023) পরীক্ষার ফল। এদিন সকাল দশটায় পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ করেন মেধা তালিকা। তাতে দেখা যাচ্ছে চলতি বছরের মাধ্যমিকে ফেল করেছে ১.১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। মাধ্যমিক শুরু হওয়ার সময়ই জানা গিয়েছিল এ বছরের পরীক্ষার্থী সংখ্যাও ব্যাপক কমেছে গতবারের তুলনায়। প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Results 2023) সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ এবারে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯২৮। একে পরীক্ষার্থী কমেছে ৪ লক্ষ, তার ওপর ফেল ১.১ লক্ষ! বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।

    বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর ফেল করার কারণ নিয়ে কী বলছেন পর্ষদ সভাপতি?

    পরিসংখ্যান বলছে, শেষবারের মতো মাধ্যমিকের পাশের হার কমেছিল ছয় বছর আগে ২০১৭ সালে। ২০২২ সালের মাধ্যমিকের পাশের হার ছিল ৮৬.৬০ শতাংশ, এ বছরে তা কমেছে ০.৪৫ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে মোট ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। অকৃতকার্য হওয়া ছাত্র ছাত্রীদের নতুন করে পড়াশোনা করতে বলেছেন পর্ষদ সভাপতি কিন্তু এই বিপুল সংখ্যায় ফেল করার কারণ তিনি স্পষ্ট ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারেননি। তাঁর মতে, ‘‘হয়তো পরীক্ষার দিন সেই পরীক্ষার্থীর কোন সমস্যা হয়েছে! বিষয়টি এক এক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এক এক রকম! এটিকে এমন ভাবে বিশ্লেষণ করা যায় না।’’ বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য এ বিষয়ে রাজ্যের সরকারি শিক্ষার ব্যবস্থার বেহাল দশাকেই দায়ী করছেন। 

    রাজ্যের স্কুল শিক্ষা থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন অভিভাবকরা!

    সাধারণ ভাবে প্রতি বছরের পরীক্ষার্থী সংখ্যার হেরফের খুব একটা হয়না। তবে চলতি বছরের মাধ্যমিকে (Madhyamik Results 2023) গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪ লক্ষ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন অভিভাবকরা। তাই বিপুল সংখ্যায় পরীক্ষার্থী কমতে দেখা যাচ্ছে।’’ তাঁদের আশঙ্কা, আগামী বছরগুলিতে এই সংখ্যা আরও কমবে। অভিভাবক মহলের একাংশের মতে, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার মান যথেষ্ট পড়ে গেছে। তাই বেশিরভাগ জনেরই এখন পছন্দ কেন্দ্রীয় বোর্ডগুলি। ভিড় দেখা যাচ্ছে সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডগুলোতে।’’ এবিষয়ে অভিভাবকদের একাংশের মতামতেই পরোক্ষভাবে সিলমোহর দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারকে। মাস কয়েক আগে রাজ্য সরকার প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছিল রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে ৮ হাজারেরও বেশি স্কুল। যারমধ্যে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যাই সর্বাধিক ছিল। তবে হাইস্কুলও ছিল ওই তালিকায়। মূলত ছাত্রের অভাবকেই তখন এর মূল কারণ বলেছিল রাজ্য সরকার। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ‘‘কেন রাজ্য সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে অভিভাবকরা মুখ ফেরাচ্ছেন তার কারণ অনুসন্ধান করা দরকার।’’ নিয়োগ দুর্নীতিও এর একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন  অভিজ্ঞ মহলের একাংশ। যেভাবে অযোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে চাকরিতে ঢুকছেন তাদের হাতে ছাত্রদের দিতে চাইছেন না অনেক অভিভাবক, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে, জেলাভিত্তিক পাশের হারে দেখা যাচ্ছে সব থেকে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর যেখানে ৯৬.৮১ শতাংশ পাশ করেছে, সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি যেখানে পাশ করেছে ৬৭.৭৩ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: এগরায় বিস্ফোরণের পর লাভপুরে ১০০ কেজি বাজির মশলা উদ্ধার! গ্রেফতার ৪

    Birbhum: এগরায় বিস্ফোরণের পর লাভপুরে ১০০ কেজি বাজির মশলা উদ্ধার! গ্রেফতার ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির পরেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। বীরভূম (Birbhum) জেলা জুড়ে যৌথভাবে তল্লাশি চালাল পুলিশ ও সিআইডি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বাজি তৈরির মশলা এবং সরঞ্জাম। পুলিশ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে। শাসক দল একে পুলিশের সাফল্য বললেও বিরোধীদের দাবি, সবটাই লোক দেখানো।

    বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার (Birbhum) 

    এগরার ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কারখানার উপর নজর রাখতে শুরু করেছে প্রশাসন৷ বেআইনি কারখানাগুলিতে তল্লাশি চলবে বলেও জানানো হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। এদিন বীরভূমের (Birbhum) লাভপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ তল্লাশি চালায় সিআইডি৷ লাভপুরের (Lavpur) পূর্ণা গ্রামে একটি বাজি তৈরির কারখানা থেকে ১০০ কেজির বেশি বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করা হয়৷ পাশাপাশি, বাজি তৈরির প্রচুর সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়৷ বেআইনি ভাবে প্রচুর বারুদ মজুত করে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে৷ এই ঘটনায় ৪ জন অভিযুক্তকে আটক করেছে সিআইডি৷ আরও জানা গেছে, বাজি তৈরির মশলাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ইতিমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী নেতার অভিযোগ ছিল, পুলিশের কাছে এই বাজি কারখানার খবর ছিল এবং রীতিমতো ওই কারখানা থেকে তোলা আসত। বিরোধী দলের আরও অভিযোগ, বগটুই হত্যাকাণ্ডের পরও অবৈধ অস্ত্র এবং বোমা কারখানায় তল্লাশির কথা পুলিশকে বলেছিলেন স্বয়ং পুলিশমন্ত্রী। যার ফলস্বরূপই লোক দেখানো মাত্র কয়েকটি জায়গাতে তল্লাশি (Birbhum) হচ্ছে। আসল অপরাধীরা শাসক দলের আশ্রয়েই রয়েছে। রাজ্যে সিংহভাগ অবৈধ বাজি কারখানার মালিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই, এমন অভিযোগও উঠেছে। সমানে পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তাই দেশি বাজির কারখানায় দেশি বোমা তৈরি হচ্ছে কি না, তা সাধারণ মানুষকে রীতিমতো ভাবাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরিয়ে দেওয়া হল থানার আইসি-কে

    Egra: এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরিয়ে দেওয়া হল থানার আইসি-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে কোনও ঘটনায় হইচই পড়ে গেলে যা হয়, এগরায় (Egra) বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডেও সেটাই হল। সরিয়ে দেওয়া হল এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে। তাঁর জায়গায় নতুন আইসি হচ্ছেন হুগলি জেলার গ্রামীণ সাইবার ক্রাইম থানার আইসি স্বপন গোস্বামী। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বদলির নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এগরার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে পাঠানো হয়েছে হুগলির গ্রামীণ সাইবার ক্রাইম থানায়। যদিও মঙ্গলবার ঘটনা ঘটলেও এখানে এটুকু ব্যবস্থা নিতেই প্রশাসনের সময় লেগে গেল তিন দিন।

    আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু

    খাদিকুলে বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন এগরা (Egra) থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তী। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়েছিলেন তিনি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইসিকে শোকজ করেছিলেন। ‘আগে পুলিশ এখানে দশ হাজার টাকা তুলতো। এখন এই আইসি আসার পরে ৫০ হাজার করে মাসে তোলা হয়েছে।’ এগরার আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিরোধীরা কী অভিযোগ করল?

    বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, এই বদলি আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। কারণ ওই গ্রামে পুলিশের জ্ঞাতসারেই বাজির নামে ওই কারখানায় (Egra) যে বোমা তৈরি হত, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ওই বাজি কারখানার পিছনে ছিল শাসক দল তৃণমূলেরও প্রত্যক্ষ মদত। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কারখানার মালিক রীতিমতো ভয় দেখিয়ে সেখানে গ্রামের মানুষকে কাজ করাতে বাধ্য করতেন। সে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা বলেও পরিচিত। পুলিশ এবং তৃণমূলের পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই যে ওই কারখানা রমরমিয়ে চলত, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ফলে এত বড় ঘটনায় শুধুমাত্র একজন আইসিকে সরিয়ে কাজের কাজ কিছুই হবে না। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের খাদিকুল গ্রামে একটি বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বেশ কয়েকজন ঘরের ভিতরে ছিলেন। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বাড়িটির ভিতর থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বাড়িটি শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়। বাড়ির ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন গুরুতর জখম হন। বাকিদের মৃত্যু হয়। তবে, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করে সেইসময় এলাকাবাসী বলতে পারেননি। পরে ৯টি দেহ উদ্ধার হয়। অনেক দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল। আশপাশের গ্রামের মানুষও ছুটে এসেছিলেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Doctor: রোগী ঠকানো বন্ধে সক্রিয় কেন্দ্র, রাজ্যে রেজিস্ট্রেশনই যথেষ্ট নয়

    West Bengal Doctor: রোগী ঠকানো বন্ধে সক্রিয় কেন্দ্র, রাজ্যে রেজিস্ট্রেশনই যথেষ্ট নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন শহরের নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে, কেউ আবার চিকিৎসক (West Bengal Doctor) হিসাবে একাধিক এলাকায় পসার জমিয়েছেন, তৈরি করেছেন নিজের নার্সিংহোম! কিন্তু, তদন্ত করতেই দেখা গেল, কারও কারও ন্যূনতম যোগ্যতাটুকুও নেই। চিকিৎসক হিসাবে নিজেকে দাবি করার বিষয়টি পুরোটাই মিথ্যা! ফলে, রোগী ঠকিয়ে রোজগারের ধান্দা চলছে রমরমিয়ে। ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের! তাই এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিল এনএমসি!

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর নতুন সিদ্ধান্ত কী? 

    সম্প্রতি, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন জানিয়েছে, দেশের সমস্ত চিকিৎসককেই (West Bengal Doctor) রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন যথেষ্ট নয়। সর্বভারতীয় ভাবেই এই রেজিস্ট্রেশন জরুরি। ন্যাশনাল মেডিক্যাল রেজিস্টারে সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত থাকবে। দেশের সমস্ত চিকিৎসক, যাঁরা চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের এই রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, যা পাঁচ বছরের জন্য বৈধ থাকবে। পাঁচ বছর পরে ফের আপডেট করা হবে।

    এই রেজিস্ট্রেশনের বিশেষত্ব কী? 

    এনএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রেজিস্ট্রেশনের পরে চিকিৎসকেরা (West Bengal Doctor) পাবেন ইউনিক আইডেন্টিটি নম্বর। অনেকটা আধার কার্ডের ধাঁচে হবে এই ব্যবস্থা! যোগ্য চিকিৎসকদের কাছেই থাকবে তাঁর নিজস্ব ইউডিআই! সেই নম্বর প্রমাণ দেবে, তিনি মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সমর্থ কিনা।

    এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের সুবিধা কতখানি? 

    এনএমসি-র এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। কারণ, এই রেজিস্ট্রেশনের পূরোটাই এনএমসি-র নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে থাকবে। তাই যে কোনও রোগী তাঁর চিকিৎসক, কোন কলেজ থেকে পড়েছেন, কত বছর কাজ করছেন, অভিজ্ঞতা কী, কোথায় কাজ করেছেন, তাঁর যোগ্যতা ইত্যাদি সবকিছু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন। 
    এর ফলে ভ্রান্তি দূর হবে। সর্বোপরি, ভুয়ো চিকিৎসকের (West Bengal Doctor) পরিষেবা নিতে হবে না এবং এই ধরনের অভিযোগ কমবে বলেই আশা করা যায়।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, গোটা দেশের জন্য একরকম রেজিস্ট্রেশন খুব জরুরি! অনেক রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল চিকিৎসকদের (West Bengal Doctor) রেজিস্ট্রেশনে বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। এমনকী রেজিস্ট্রেশন পুনরায় নথিভুক্তিকরণের বিষয়কেও অবহেলা করা হয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এরকম নিয়ম চালু হলে নিয়মমাফিক কাজ হবে বলেই তাঁরা আশা করছেন। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নিয়ে অভিযোগ একাধিক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ঠিকমতো সক্রিয় থাকলে এ রাজ্যে কয়েকশো ভুয়ো চিকিৎসক কাজ করতে পারতেন না। এই ঘটনা প্রমাণ করে, রাজ্য কাউন্সিল একেবারেই সক্রিয় নয়। তাই এই সব দিক বিবেচনা করলে কেন্দ্রীয় ভাবে একটি রেজিস্ট্রেশন চালু জরুরি।

    কী বলছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল? 

    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল অবশ্য মনে করছে, এনএমসি-র এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া, জোর করে রাজ্য কাউন্সিলের ক্ষমতা খর্ব করা। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের অন্যতম পদাধিকারী চিকিৎসক (West Bengal Doctor) নির্মল মাজি বলেন, “ভুয়ো চিকিৎসক তো আমরাই খুঁজে বের করেছিলাম। বছর পাঁচেক আগে রাজ্যে যখন কয়েকশো ভুয়ো চিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছিলেন, তার খোঁজ কি এনএমসি দিয়েছিল? আমরাই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এসব নতুন রেজিস্ট্রেশন করানো ঝামেলা বাড়ানো ছাড়া আর কিছু নয়। এতে চিকিৎসকদের হয়রানি বাড়বে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ক্ষোভ আদিবাসী সংগঠনের

    Balurghat: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ক্ষোভ আদিবাসী সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে (Balurghat) প্রথম থেকেই রিপোর্টে তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আড়াল করে রাখা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিল আদিবাসী সংগঠনগুলি। এবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার দাবিতে আগামী ২২ মে ফের বাংলা বন্‌ধের ডাক দিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।

    কেন বাংলা বন্‌ধ?

    গত মাসেই বাংলা বন্‌ধ পালন করেছে সেঙ্গেল অভিযান। কিন্তু তার প্রভাব উত্তরবঙ্গ (Balurghat) ও দক্ষিণবঙ্গের মাত্র কয়েকটি জেলাতেই পড়েছিল। তবে এখনও দণ্ডি কাণ্ডে কাউকে গ্রেফতার না করায় এবারের বন্‌ধ আরও জোরদার ভাবে পালন করতে তৈরি হয়েছে আদিবাসী সংগঠন। বালুরঘাট ব্লক সভাপতি অমল মার্ডি বলেন, এবারের সারা বাংলা বন্‌ধে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতে এর প্রভাব আপনারা দেখতে পাবেন। পুলিশ যেভাবে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে, এর জবাব এবার রাস্তাতে দেবে মানুষ, এমনটাই দাবি আদিবাসী সংগঠনের।

    আদিবাসী সংগঠনের বক্তব্য

    সংগঠনের দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলা পরগণার নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, রাজ্য জুড়ে আদিবাসীদের উপর নির্যাতন হয়, আর পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে থাকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পরে আদিবাসীদের দিয়ে দণ্ডি কাটানো নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডাকলেও তাঁকে গ্রেফতার না করেই ছেড়ে দিয়েছে। আদিবাসী সংগঠনের দাবি, নির্যাতনকারী ওই নেত্রীকে গ্রেফতার করতেই হবে। এছাড়াও আগে কুমারগঞ্জের এক আদিবাসী দম্পতিকে ডাইনি চিহ্নিত করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে ওই পরিবার বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছে। অথচ সেখানকার পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া, বাড়ি ফেরানোর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেয়নি। পুরুলিয়া ও জামবনিতেও একই ভাবে আদিবাসীদের উপে অত্যাচার হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই রাজ্যজুড়ে আদিবাসী সমাজের উপর অত্যাচারের বন্‌ধের পথে যেতে বাধ্য হচ্ছি আমরা, এমনটাই মন্তব্য করেন ওই নেতা।

    পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদিবাসীরা

    গত ৭ এপ্রিল তপনের গোফানগরের (Balurghat) কয়েকজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে মাফ চাইতে বলে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। দণ্ডি কাণ্ডের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাষ্ট্রপতি, জাতীয় মহিলা কমিশন, এসটি কমিশন থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আর তার ভিত্তিতে জাতীয় এসটি কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করে৷ এরপর কিছুটা নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ওই তলবের পরেই পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের জামিন হয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদেই সারা রাজ্যব্যাপী বন্‌ধ ও অন্যান্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে আদিবাসী সংগঠনগুলি। বিজেপির আদিবাসী বিধায়করাও রাজ্যপালের কাছে এনিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু তারপরেও মূল নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে সরব আদিবাসীরা। অবশেষে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আদিবাসী মহিলাদের সাথে একান্তভাবে কথা বলেন। তার পরেই রাতারাতি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয় এবং পরে আবার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠায় তাঁকে। কিন্তু এতেও খুশি নয় আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। গ্রেফতারের দাবিতে  তাই এবার ফের বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে ওই সংগঠন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share