Tag: Madhyom

Madhyom

  • West Bengal Health: চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ তিন বছর! ‘সিভিক ডাক্তার’-এর পিছনে কোন সমীকরণ?

    West Bengal Health: চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ তিন বছর! ‘সিভিক ডাক্তার’-এর পিছনে কোন সমীকরণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগী-চিকিৎসকের অনুপাতে বিস্তর ফারাক। চিকিৎসা পরিষেবা পেতে অনেকেই ভিড় করেন সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু রোগী পিছু এক মিনিটও বরাদ্দ করতে পারেন না সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আর তাই রোগীদের ভোগান্তিরও অন্ত নেই। চিকিৎসকের এই ঘাটতি পূরণেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিন বছরের প্রশিক্ষণ দিয়ে হেলথ প্রফেশনাল তৈরির কথা জানিয়েছেন, যা লোকমুখে সিভিক ডাক্তার বলে বহুল পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন (West Bengal Health) সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিন বছর ধরে এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসকদের নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার। হাজার ছয়েক চিকিৎসক চাকরি পাচ্ছেন না।

    কী বলছে স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। এমবিবিএস পাশ করার পর গ্রাম কিংবা শহরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের বলা হয় মেডিক্যাল অফিসার। ২০২১ সাল থেকে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ। প্রতি বছর প্রায় দুই হাজার চিকিৎসা পড়ুয়া এমবিবিএস পাশ করেন। অর্থাৎ, তিন বছরে প্রায় ছ’হাজার এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক রাজ্য স্বাস্থ্য পরিষেবার (West Bengal Health) সঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

    কেন বন্ধ নিয়োগ প্রক্রিয়া? 

    স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। তিনি জানান, বিষয়টি বিভাগের অভ্যন্তরীণ। এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলবেন না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health) অন্দরের খবর, একজন পাশ করা চিকিৎসককে নিয়োগ করতে হলে তাঁর বেতন যা দিতে হবে, তার তুলনায় অনেক কম বেতনে হেলথ প্রফেশনালদের দিয়ে কাজ করানো যাবে। তবে অবশ্যই পরিষেবার মান এক থাকবে না। কিন্তু সরকার এখন পরিষেবার মানের চেয়ে অন্য দিক বেশি বিবেচনা করছে। আর তাই নিয়োগও আপাতত বন্ধ।

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহলের (West Bengal Health) একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যে বাড়ছে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা। বাড়ছে আসন। পড়ুয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। ২০২১ সালে যেখানে গোটা রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ছিল ২৩ এবং আসন ছিল ২৫৫০, সেখানে ২০২৩ সালে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২, আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে, ৪,৮২৫। তাহলে প্রতি বছর চার হাজার পড়ুয়া এমবিবিএস পাশ করবে। এত চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও কেন চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে না? চিকিৎসক মহলের প্রশ্ন, অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের জন্য কি এই সিদ্ধান্ত? 

    পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রেও আগে দেখা গিয়েছিল, পূর্ণ সময়ের প্রশিক্ষিত পুলিশ নিয়োগের পরিবর্তে, সিভিক পুলিশ নিয়োগেই বেশি আগ্রহী রাজ্য সরকার। অনেক জায়গায় অভিযোগ ওঠে, সিভিক পুলিশ আসলে রাজ্যের শাসক দলের কর্মী। তার উপর সিভিক পুলিশ অধিকাংশ সময়ই শাসক দলের হয়ে কাজ করে। ঠিক সেই ধাঁচেই এবার ‘সিভিক’ চিকিৎসক গড়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। বিরোধীরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য দফতরের নানা দুর্নীতি ঢাকতেই কি পাশ করা যোগ্য চিকিৎসকদের নিয়োগ করতে চাইছে না রাজ্য?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: রাজ্যের যত্রতত্র বিস্ফোরণের বলি শিশু, শাসক দলকে দুষল বিজেপি

    Bomb Blast: রাজ্যের যত্রতত্র বিস্ফোরণের বলি শিশু, শাসক দলকে দুষল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটছে। যার বলি হচ্ছে কখনও শিশু, কখনওবা মাঝ বয়সী ব্যক্তি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। যেসব বিস্ফোরণ নিয়ে হইচই হয়, সে সব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মেলে। হইচই না হলে ক্ষতিপূরণ মেলে না। সম্প্রতি এগরার খাদিকুল গ্রামে তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাজি কারখানায় যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তাতে মারা গিয়েছেন ৯ জন। মালিক ভানু বাগও মারা গিয়েছেন ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে। এর পরেই রাজ্যজুড়ে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তৎপর হয়েছে পুলিশ।

    বিস্ফোরণের বলি কত?

    পুলিশ কর্তাদের মতে, কোথায় বিস্ফোরণে কতজনের মৃত্যু হচ্ছে, তার তথ্য সংগ্রহ করছে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ করছে শিশু সুরক্ষা রক্ষা কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা সুয়োমোটো মামলা করি। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতেও বলি। আমরা ডিজিপির পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও চিঠি লিখি। যদি বড় কোনও ঘটনা ঘটে, তখন তদন্ত করার জন্য আমরা টিম পাঠাই। তবে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ঠিক কত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, কতজনই বা জখম হয়েছেন সেই তথ্য জানাতে রাজি নয় কমিশন।

    অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য এবং জাতীয় শিশু অধিকার কমিশনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে। যার জেরে চাপা পড়ে যায় আসল ঘটনা। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনও জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তারা মামলা করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে যেখানে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বা বিস্ফোরণে কোনও শিশু পঙ্গু হয়ে পড়ে, সেসব ক্ষেত্রেও কোনও ক্ষতিপূরণ পায় না তাদের পরিবার।

    ক্ষতিপূরণ মেলে না সব ক্ষেত্রে!

    জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্কা কানুনগো বলেন, কমিশন ক্ষতিপূরণের জন্য রাজ্যকে বলতেই পারে। তবে সমস্যা হল, অনেক ক্ষেত্রেই (Bomb Blast) রাজ্যের কমিশন আমাদের বলে তারা বিষয়টি দেখছে। সেসব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় তাদের ওপরই। তিনি বলেন, রাজ্যের উচিত প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা। এসব ক্ষেত্রে রাজ্য খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করে। তাই সব ক্ষেত্রে  মেলে না ক্ষতিপূরণ।

    আরও পড়ুুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল! পাশের হার ৮৬ শতাংশ, প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের এদিক সেদিক সব দিকেই বোমার (Bomb Blast) ছড়াছড়ি। সেগুলিকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে শিশুরা হয় মারা যাচ্ছে, নয়তো পঙ্গু হয়ে পড়ছে। দুর্ভাগ্যজনক হল, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। আগে বিহারের মুঙ্গের থেকে এ রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র আসত। বর্তমানে রাজ্যেই তৈরি হচ্ছে সেসব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘পুলিশকে সরিয়ে নিলে তৃণমূল কোনও পার্টি অফিস খুলতে পারবে না’’, মত সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘পুলিশকে সরিয়ে নিলে তৃণমূল কোনও পার্টি অফিস খুলতে পারবে না’’, মত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নদিয়ার রানাঘাটে দলের যুব সম্মেলনে যোগ দিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘এনআইএ তদন্তের নাম করে রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে এগরা কাণ্ডের কোনও তদন্তই হতে দেবেন না তিনি।’’ বালুরঘাটের সাংসদের আরও দাবি, পুলিশকে সরিয়ে নিলে তৃণমূল কোনও পার্টি অফিস খুলতে পারবে না। এগরাতে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা যে কোনও সাধারণ বাজি কারখানার বিস্ফোরণ নয়, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সামলে উঠতে পারছেন না, তাই উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সবাই চেনে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তাকে গ্রেফতার করেছিলাম, দুমাস পর জামিন পেয়ে গিয়েছে। ভানু তো এদিক-ওদিক সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পুলিশই কি তাকে লুকিয়ে রেখেছিল?’’ সুকান্তর আরও সংযোজন, ‘‘এগরা কাণ্ডের এফআইআর কপিতে কারও নাম দেওয়া নেই, অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তাকে আমরা দুমাস আগে গ্রেফতার করেছিলাম।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও অভিযোগ, ভানু জামিন পেল কীভাবে? ধারাগুলি তো থানার আইসি দেয়। তাহলে কী এমন ধারা দেওয়া হয়েছিল, যে সে জামিন পেয়ে গেল।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ এগরায়

    প্রসঙ্গত, এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে এলাকার মানুষজন তাদেরকে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। শুধু তাই নয়, সে সময় চোর চোর বলে স্লোগানও ওঠে। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, ‘‘চোরদের চোর বলবে না তো সাধু বলে ডাকবে? জুতো ছুড়ে মারেনি, গাছে বেঁধে রাখেনি, এটাই বড় ব্যাপার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা পুলিশের মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: কলকাতা পুলিশের মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আদালতে স্বস্তি মিলল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের দায়ের করা মামলায় তাঁকে হাজিরা দিতে হচ্ছে না ব্যাঙ্কশাল আদালতে, এদিন এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    মামলাটি কী?

    ঘটনা হল গত মাসের ১৭ এপ্রিল একটি ট্যুইট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে একটি বাসের ছবি দিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ ছিল যে বিনীত গোয়েল পুলিশ পাহারা দিয়ে ওই বাসটিকে পটুয়াপাড়া থেকে বের করছেন। ওই বাসে কালো টাকা থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ইডি, সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি বিধায়ক লেখেন, এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হোক।

    পাশাপাশি আরও একটি ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মহারাষ্ট্রের প্লেট লাগানো একটি বাসের ছবি পোস্ট করেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ওই পোস্টে ট্যাগ করে বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, পুলিশ কর্মীরা বাসটিকে এসকর্ট করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘কয়লা, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ও নথি হয়তো কারও অফিস থেকে পাচার করা হচ্ছে।’’ এর পরেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট নিয়ে ডিসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশের তরফ থেকে সে সময় বলা হয় যে পুলিশ কমিশনারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই শুভেন্দু অধিকারী এই কাজ করেছেন। এরপর পুলিশের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল যে ওই নির্দিষ্ট বাসে পুলিশ কেন নিরাপত্তা দিচ্ছে? কী আছে বাসের ভিতর? গত মাসের ২৮ তারিখ এ নিয়ে মামলা দায়ের হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। পরবর্তীতে সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। বিবেক চৌধুরী আজকে নির্দেশ দিলেন, হাজিরা দেওয়ার দরকার নেই বিরোধী দলনেতার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP:  ভগবানপুরে বিজেপি-র মিছিলে বোমাবাজি, চলল গুলিও, জখম ৪

    BJP: ভগবানপুরে বিজেপি-র মিছিলে বোমাবাজি, চলল গুলিও, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যজুড়়ে সন্ত্রাস ও এগরার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি মিছিল শুরু হওয়ার পর পরই তাতে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় গুলিও চলে বলে অভিযোগ। এদিন বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে  ভগবানপুরের পাঁউশি বাজার এলাকায়। এই ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপির (BJP) অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এদিন বিকেলের দিকে পাঁউশি বাজারে মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ভগবানপুর বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক পাঁউশি বাজারে হাজির হয়েছিলেন। বিশাল জমায়েতের পরই বিজেপি (BJP) কর্মীরা মিছিল শুরু করেন। জানা গিয়েছে, বাজার থেকে কিছুটা দুরেই বেশ কয়েকজন জমায়েত হয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আগে থেকেই সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন। মিছিলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজার এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ মিছিল থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পরে, মিছিল কিছুটা যেতেই বিজেপির (BJP)  মিছিল লক্ষ্য করেই বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। চলে গুলিও। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, তৃণমূল সরকার নয়, রাজ্যে তালিবান সরকার চলছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর তৃণমূল বোমাবাজি করেছে। গুলি চালিয়েছে। বোমার আঘাতে ৪ জন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে। মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানি করেছে। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল যদি মনে করে এভাবে সন্ত্রাস করে বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তাহলে ওরা ভুল ভাবছে। কারণ, ওদের এসব কর্মকাণ্ড দেখে মানুষ ওদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সামনের পঞ্চায়েত ভোটে তারা টের পেয়ে যাবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়া বলেন, মিছিল করার নামে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছিল বিজেপি (BJP)। প্রতিবাদ জানালে ওরা আমাদের উপর হামলা চালায়। গুলিও ছোঁড়া হয়। তৃণমূল কোনও হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে”, বেসুরো অর্জুন সিং

    Arjun Singh: “পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে”, বেসুরো অর্জুন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও বারাকপুরে কিছুটা হলেও কোণঠাসা সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে তাঁর কোন্দল এখন একেবারে প্রকাশ্যে। দলের সাংসদ হওয়ার পরও তাঁর অনুগামীরাও কার্যত কোণঠাসা। তাতে দলের প্রতিও তিনি কিছুটা অসন্তুষ্ট। এই পরিস্থিতি এগরা নিয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    এগরা বিস্ফোরণে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে কী বললেন অর্জুন (Arjun Singh)?

    বৃহস্পতিবার বারাকপুর মহকুমার রিলায়েন্স জুটমিলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে আরও মানবিক হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী বারবার পুলিশকে মানবিক হওয়ার পরামর্শ দেন। পুলিশ সেই নির্দেশ মানলে কখনও এগরার ঘটনা ঘটত না। আর এরাজ্য বলে নয়, দেশের সব রাজ্যের পুলিশকে সাধারণ মানুষ তাদের শত্রু ভাবে। তাই, কোথাও কোনও গণ্ডগোল হলে পুলিশ সময়ে গেলে বা পরে গেলে তাদের দেখে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাফিলতির জন্যই এগরার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এটা শুধু আমি বলছি না, মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন।

    এগরায় মানস ভুঁইয়াকে বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে কী বললেন বারাকপুরের সাংসদ(Arjun Singh)?

    মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াদের এগরায় বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, এমনিতেই এগরায় এতবড় ঘটনা ঘটেছে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর যার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সে আমাদের দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল। ফলে, এলাকাবাসীর একটা ক্ষোভ ছিল। এতবড় ঘটনার তিন-চারদিন পর দলের নেতারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবে সবকিছু মিটে যাওয়ার পর দলের নেতাদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আমাদের গালাগালি দিচ্ছেন। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। নাহলে বারে বারে এরকম ঘটনা ঘটবে। আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।

    এছাড়াও এদিন জুটমিল মালিকদের অর্জুন সিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনওরকম শ্রমিক স্বার্থে আঘাত লাগলে আন্দোলন এবং ধর্মঘট চলবে। কখনও হালকা আন্দোলন, আবার কখনও শ্রমিকদের ধর্মঘট করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blast: ফের বিস্ফোরণ! এবার মুর্শিদাবাদে নাম জড়ালো তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের, জখম ২

    Blast: ফের বিস্ফোরণ! এবার মুর্শিদাবাদে নাম জড়ালো তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তারই মাঝে ফের বিস্ফোরণ (Blast)। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার কাশিয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকা। এখানেও নাম জড়িয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই তৃণমূল সদস্যের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির ছাদে বোমা রাখা ছিল এবং রোদে শুকানোর সময় তাতে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মজুত বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণ। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে এবং নাতি এতে গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। যদিও বাড়ির লোক জখম হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। জখম দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনার পর পরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। বোমা বিস্ফোরণ (Blast) যে ঘটেছে, তা অনেকেই জানলেও ক্যামেরার সামনে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। কারণ, যার বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে সেই লেলি বিবি স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও নেই। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা বোমা মজুত করছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করছে। এদিনের এই ঘটনায় সেই অভিযোগ আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা উত্তরের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, যে বিধানসভা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি রাজ্যের মন্ত্রীর এলাকা। এবার পঞ্চায়েত ভোট সুস্থভাবে হলে তৃণমূল কোথাও জিততে পারবে না। তাই শাসক দলের নেতারা এভাবে বাড়ির মধ্যে বোমা মজুত করে রেখেছে। এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতেই এসব করা হচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, তৃণমূলের জেলা নেতা অশোক দাস বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফিরতে না দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষের মনে রয়েছে তৃণমূল। ভোটের ফলে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আর এই ধরনের ঘটনার পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।            

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Bomb Blasts: বারুদের স্তূপে বাংলা! সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে কবে কোথায় বিস্ফোরণ?

    Bengal Bomb Blasts: বারুদের স্তূপে বাংলা! সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে কবে কোথায় বিস্ফোরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ড (Bengal Bomb Blasts) নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট শিয়রে। তার আগে তৃণমূল পরিচালিত সরকার দুর্নীতির বোঝা সামাল দিতেই হিমসিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এগরা বিস্ফোরণের ঘটনা বিরোধী শিবিরের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে।

    বিরোধীদের দাবিই সত্যি!

    দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপি দাবি করে আসছে, তৃণমূল সরকারের বদান্যতায় বোমা তৈরিই এখন এই রাজ্যের প্রধান শিল্পে পরিণত হয়েছে। তাদের দাবি যে অমূলক নয়, তা দেখিয়ে দিয়েছে এগরাকাণ্ড। প্রশাসন যতই একে বাজি কারখানার বিস্ফোরণ (Bengal Bomb Blasts) বলে চালানোর চেষ্টা করুক না কেন, সেখানে যে বোমা তৈরিই হত, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে নিহতদের পরিবারও। পুলিশ উঠেপড়ে লেগেছিল বিষয়টাকে খাটো করে দেখানোর জন্য। যে কারণে মামলা রুজুর সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল বিস্ফোরক আইনের ধারা। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। এই মামলায় বিস্ফোরক ধারা জুড়তে বৃহস্পতিবারই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    রক্তে বারবার ভিজেছে বাংলার মাটি

    এগরায় এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ জনের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। তবে, এগরা প্রথম নয়। এর আগেও গত এক বছরে বার বার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে বাংলা। রাজ্যবাসীর রক্তে ভিজেছে বাংলার মাটি। বারুদের গন্ধে ভরে উঠেছে বাংলার বাতাস। এর আগেও বিস্ফোরণে খালি হয়েছে অনেক মায়ের কোল। মুছেছে অনেক সিঁথির সিঁদুর। কেউ কেউ যেমন মাতৃহারা-পিতৃহারা-ভ্রাতৃহারা হয়েছেন, কেউ আবার সন্তান হারানোর শোক বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন। বাদ যায়নি শিশুরাও। বল ভেবে খেলতে খেলতে বোমা ফেটে শিশু মৃত্যু ও ঘায়েল হওয়ার ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। তবে, এত কিছুর পরও থামেনি বিস্ফোরণের (Bengal Bomb Blasts) আওয়াজ। রাজ্যের একের পর প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে বোমা ফাটার আওয়াজ। সর্বশেষ ঘটনা এগরা। হয়তো এটাই শেষ নয়।

    আরও পড়ুন: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    রাজ্যের বিস্ফোরণ-পঞ্জী

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিগত কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের (Bengal Bomb Blasts) খতিয়ান—

    ১০ এপ্রিল ২০২৩—ইসলামপুর থানা এলাকার বানিয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সফিজুল হক নামের একজনের বাড়িতে বোমা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে খবর। আর তাতে সফিজুলের দু’টি হাতই উড়ে যায়।

    ১ এপ্রিল ২০২৩—খোদ বিকাশ ভবনের সরকারি ২ জন কর্মচারী ধরা পড়ে এনআইএ-র হাতে। একজন আবার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। অভিযোগ, বিস্ফোরক পাচার করতেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গেছেন এই ২ জন। পুলিশের সাহায্যেও এই কাজ চলত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এনআইএ গ্রেফতারি এড়াতে বিকাশ ভাবনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান। ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার (NIC) বা জাতীয় তথ্যকেন্দ্রের প্রজেক্টে কাজ করছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক আর ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাপ্লাই করেছিলেন এই দুজন। এত পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের পরও কেন এঁরা ধরা পড়েননি, উত্তর খুঁজছে এনআইএ। 

    ২০ মার্চ ২০২৩—মহেশতলায় পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী-পুত্র, প্রতিবেশী কিশোরীর মৃত্যু হয়। নোদাখালি, পাঁশকুড়ার পরে ফের এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। 

    ১০ মার্চ ২০২৩— মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার মধুপুর মাঠপাড়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ হয়ে প্রাণ হারান একজন। গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। বোমা বাঁধার সময় তা ফেটে যেতেই বিকট শব্দ হয়। তখনই সবাই ছিটকে পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য

    ৪ মার্চ ২০২৩— পাড়ুইয়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার আওয়াজ বহু দূর থেকে শোনা যায়।

    ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩— বোমার আঘাতে জখম হন মাড়গ্রাম ১ তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ ও তাঁর বন্ধু নিউটন শেখ।

    ৬ ডিসেম্বর ২০২২— বসিরহাটে বিস্ফোরণে জখম এক নাবালক সহ ২। বসিরহাটের রামনগরে রান্নাঘরে বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর আহত হয় নাবালক। আহত হন এক গৃহবধূও। 

    ১৭ নভেম্বর ২০২২— উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। মৃত এক ৯ বছরের নাবালিকা। মৃতের নাম সোহানা খাতুন ওরফে ঝুমা। সে সম্পর্কে তৃণমূল নেতার ভাগ্নি। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার চাঁপালি পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ায় তৃণমূল নেতা আবুল হোসেন গাইনের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়।

    ১১ অক্টোবর ২০২২— পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার সাধুয়াপোতা গ্রামে বাজি বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ যায় দুজনের। মৃতদের মধ্যে এক স্কুল ছাত্রও ছিল।  গ্রামের শ্রীকান্ত ভক্ত নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল।  বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। অভিযোগ, সেখানে বোমা জাতীয় বাজিও তৈরি করা হত৷

    ২৯ জুন ২০২২— ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের ভীমগড় ব্রিজের কাছে। এলাকার পুরনো শ্মশানঘাটের কাছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি বাড়িও। পাণ্ডবেশ্বরের পুরনো শ্মশানঘাটের কাছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। সেই শব্দে চারদিক কেঁপে ওঠে। ব্রিজ লাগোয়া একটি জায়গায় পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।

    আরও বিস্ফোরণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায়

    এছাড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে একটি বালতি থেকে শ’খানেক বোমা মেলে। বীরভূমের মাড়গ্রাম, লাভপুর, দুবরাজপুর, মল্লারপুর থেকে চারদিনে পাওয়া গিয়েছে ৪০০-র বেশি তাজা বোমা, ৩০ কেজির বেশি বোমার মশলা। মুর্শিদাবাদে গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও বর্ধমানের খাগড়াগড় মোড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে একটি বাড়িতে জোরালো বিস্ফোরণ (Bengal Bomb Blasts) হয়। তাতে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বারুইপুর, ক্যানিং থেকেও তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধীরা বলছে, বাংলা রয়েছে বারুদের স্তূপের উপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলের কাজ থেকে অব্যাহতি চান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

    TMC: দলের কাজ থেকে অব্যাহতি চান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তুমুল গোষ্ঠী কোন্দল হিলিতে। দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে চিঠি অঞ্চল সভাপতির। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল দক্ষিণ দিনাজপুরে। দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার না করলেও দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্লক সভাপতিকে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হিলির ধলপাড়া অঞ্চল তৃণমূল (TMC) সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল। যদিও বিষয়টি দলীয় কাজিয়া নয়, পারিবারিক সমস্যা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি, দাবি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির সরকারের।

    দণ্ডিকাটা কাণ্ডেরই জের?

    রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না হলেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলি ব্লকে যেন ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে নির্বাচনী দামামা। আর যাকে ঘিরেই হিলিতে কার্যত প্রকট হয়ে উঠেছে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কাজিয়া। সাংগঠনিক দক্ষতা বিচার করে ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উজ্জ্বল মণ্ডলকে বেশ কিছুদিন আগে ওই অঞ্চলের সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। যিনি প্রাক্তন মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিতি লাভ করেন এলাকায়। দলের বহুদিনের পুরনো কর্মীর পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতাও তাঁর অনেক বেশি থাকায় এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পাল্লাই বেশি ভারী ছিল। কিন্তু দণ্ডিকাটা কাণ্ডের জেরে মহিলা নেত্রীর ক্ষমতা ক্রমশ তলানিতে চলে যেতেই দলের ভিতরে কার্যত চাপে পড়ে যান অঞ্চল সভাপতি, এমনটাই দলীয় সূত্রের খবর। যার সুযোগ নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অপর গোষ্ঠী। যাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা একপ্রকার শূন্য থাকলেও বর্তমানে দলের লবিবাজিতে তারাই প্রধান্য পেতে থাকে।

    বিগত বেশ কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অপর গোষ্ঠীর লোকেরা প্রাধান্য পেতেই দলের প্রতি আস্থা হারান প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্ৰধান তথা অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলে দলীয় সূত্রের খবর। আর এরপরেই দলের যাবতীয় কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যা লিখিতভাবেও জানিয়েছেন ব্লক সভাপতিকে বলে দলীয় সূত্রের খবর। যাকে ঘিরেই হিলিতে একপ্রকার প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীবাজি। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে যা আরও বড় মাত্রা পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বলল বিবদমান দুপক্ষ (TMC)?

    ধলপাড়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, পদত্যাগ নয়, দলের (TMC) কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি ব্লক সভাপতিকে। পারিবারিক বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। হিলি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির সরকার বলেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা নয়। পারিবারিক একটি দুর্ঘটনার কারণেই কিছুটা সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আপাতত ১১ জনের একটি কমিটি করে দল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই অঞ্চলে। যে কমিটিতে তাঁকেও রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা, তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা, তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ভাষাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাঁকুড়া সিমলাপাল রাজবাড়ি প্রাঙ্গণের জনসভায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশকে ঠুকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,  “সভাটা হলো তো”! এদিন সভায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল।

    অভিষেককে ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

     নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ” কয়লা ভাইপো বৃহস্পতিবার জেলায় আসছেন, যেখানেই যাচ্ছেন তাঁর অত্যাচারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যান চলাচল বিপর্যস্ত হচ্ছে। ভাইপোর বিশালাকার গাড়িকে সুরক্ষা দিতে তোলা হচ্ছে বিদ্যুতের তার। কয়লা ভাইপোর এই নবজোয়ার যাত্রা তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”। শুভেন্দুর অভিযোগ,” জেলায় জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্পের প্রত্যেকের মানুষের প্রতিদিন মাথাপিছু ৭০ লিটার বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার কথা। কিন্তু সারেঙ্গা থেকে সিমলাপাল আসার সময় দেখে এলাম একটা করে নলকূপে জল নিতে মা, বোনেরা দীর্ঘ লাইন দিচ্ছে। অথচ ভাইপোর জন্য বিদেশ থেকে জল আসছে, মিনারেল ওয়াটারে স্নান হচ্ছে। এখানে বালির ভাগের টাকা রয়েছে। তাই, ভাইপোকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সহযোগী ছিলেন বিনয় মিশ্র। ২০১৮ সালে এখানে নমিনেশন জমা দিতে দেয়নি এখানকার বিধায়ক কয়লা চক্রবর্তী সাঙ্গোপাঙ্গোরা। চাকরির দুর্নীতিতে কালেক্টর নিয়োগ করা হয়েছিল। শ্যাম মুখোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর বলেছিলেন, ৫২৮ জনের কাছ থেকে চাকরির জন্য প্রচুর টাকা নেওয়া হয়েছিল। বিনয় মিশ্রকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই পরিবারগুলি আমাকে হারিয়ে দিল। একে একে চোরেরা জেলে যাচ্ছে। কোনও চিন্তা নেই এখানকার চোরেরাও একই পথের পথিক হবে” ।

     কুর্মি আন্দোলন নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন,” আদিবাসী মাকে সারা ভারতবর্ষের মা করেছেন মোদিজি। সেই আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়েছে তৃণমূল। কুর্মি মণ্ডল কমিশনের মর্যাদা পায়নি। সাম্প্রতিক রাজ্যে যে কুর্মি আন্দোলন হচ্ছে তা বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে। এখানে আসার পথে আমাকে হরিণটুলিতে কুর্মি ভাইয়েরা আমাকে থামিয়েছিলেন, আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি যে রাজ্য সরকার যদি এটার বিল নিয়ে আসে তাহলে আমার ভূমিকা আছে”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আগামী দিনে যখন রাষ্ট্রবাদী সরকার গঠিত হবে তখনই রাজ্যে যেটা হবে সেটা হলো সবকা সাথ, সবকা  বিকাশ”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share