Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা চলাকালীন তৃণমূলের দুই ছাত্র ইউনিয়নের (TMCP) সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শান্তিপুর কলেজ। অবাধে চলল ভাঙচুর! পরীক্ষা দিতে পারল না একাধিক ছাত্র। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর কলেজে।

    শান্তিপুর কলেজে কী হয়েছিল?

    প্রথম সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষা ছিল কলেজে। কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ থেকে ১০৮০ জন ছাত্র পরীক্ষা দিতে এসেছিল শান্তিপুর কলেজে। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য বাইরে থেকে বেশ কিছু লোক নিয়ে জোর করে শান্তিপুর কলেজের মধ্যে প্রবেশ করতে যায়। আর তাতে কলেজে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দেয়। এরপরেই রক্ষীদের ধাক্কা মেরে জোর করে তারা কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রবল হাতাহাতি। সময় গড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা কলেজ চত্বর। এরপর চলে কলেজের মধ্যে ভাঙচুর। আতঙ্কে অনেকে পরীক্ষা না দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

    পরীক্ষা না দিতে পারা ছাত্রদের বক্তব্য

    কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের এক পরীক্ষার্থী সায়ন চক্রবর্তী বলেন, হঠাৎ করে শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল সমর্থকরা অধ্যাপকের সামনেই লোহার রড দিয়ে ছাত্রদের মারধর করতে আসে। অধ্যাপকরা ভয়ে চুপ করে ছিলেন। সেই কারণে আমরা ভয়ে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারিনি।

    নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য

    ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী সুধীর্ময় ঘোষ বলেন, হঠাৎ করে প্রথমেই কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা কলেজের ভিতর জোর করে ঢুকতে চায়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের সঙ্গে দাদাগিরি শুরু করে এবং ধাক্কা দিয়ে কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।

    শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল সমর্থকদের বক্তব্য

    শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মী তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রাক্তন সভাপতি রূপম কর বলেন, যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন আমাদের ইউনিয়নের কেউ এখানে উপস্থিত ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, পুরোটাই ভিত্তিহীন। তার কারণ, সাধারণ ভাবেই পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী ছাড়া কলেজের ভিতর কারও প্রবেশ করার অনুমতি থাকে না। কলেজে যারা ভাঙচুর করেছে, তারা কারা! সেগুলো তদন্ত করে দেখতে হবে।

    পরীক্ষকের বক্তব্য

    কলেজে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, যখন ঝামেলা হয়, তখন আমি ঘরের মধ্যেই ছিলাম। সুতরাং বাইরে কী নিয়ে দুপক্ষের (TMCP) ঝামেলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। বাইরে এসে দেখলাম বেশ কিছু কলেজের গাছের টব এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত, কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই সঠিক কিছু বলা যাবে না। তবে প্রতিদিন পুলিশ-প্রশাসন পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে উপস্থিত থাকে। আজ কেন ছিল না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ করবে বলেই জানান তিনি। তবে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলাকালীন কেন প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ভরদুপুরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পোশাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক যুবক। এনিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির কার্যকর্তারা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যাচ্ছেন না অভিযোগ জানাতে তাঁর কাছেই আসছেন। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে পাল্টা বিবৃতি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি বলেন, ‘‘ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ এবং তিনি রায়নার জোতশ্রীরাম গ্রামের তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য।’’ 

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    মঙ্গলবার বিধাননগরের EZCC-তে কেন্দ্রীয় সরকার একটি চাকরি মেলার আয়োজন করেছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে এদিন টেনে আনেন রায়নার প্রসঙ্গ। এবং বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় ওই ব্যক্তিকে সঙ্ঘের পোশাক পরিয়ে পাঠানো হয়েছিল। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কারণ টুপিটাও ঠিক করে পড়তে পারেনি সে। এটা প্রশান্ত কিশোরের দুর্বল চিত্রনাট্য। এভাবে কেউ দিনদুপুরে গণবেশ পরে ঘুরে বেড়ায়না। রামগোপাল ভার্মাও এর থেকে ভালো চিত্রনাট্য লেখেন।’’ সঙ্ঘের আধিকারিকদের মতে, নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম ছাড়া গণবেশ পরার রীতি নেই। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করতেও পরতে হয়না গণবেশ। সঙ্ঘের পোশাকের আলাদা গরিমা রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন সংগঠনের আধিকারিকরা।

    সেদিনকার ঘটনা

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমানের রায়না-জামালপুর সড়কের ধারে জোতশ্রীরাম গ্রামের কাছে অভিষেকের কনভয় পৌঁছাতেই তা দাঁড় করান উজ্জল খাঁ নামের এক যুবক। যুবকের পরনে ছিল সংঘের পোশাক সাদা জামা মাথায় কালো টুপি। গাড়ি দাঁড় করিয়ে তিনি অভিষেককে জানাতে থাকেন এলাকার সমস্যা। ওই যুবক বলেন, ‘‘গ্রামের সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তবু এর কোন সুরাহা হয়নি।’’ এই ঘটনার পর এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেন যে বিজেপি কর্মীদের তাদের কাছে আসতে হচ্ছে। ঘটনায় রীতিমতো ট্যুইটও করা হয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৯, জখম ২

    Egra: এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৯, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা-১ (Egra) ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল এলাকায়।স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। এই ঘটনায় ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে উদ্ধার কাজ চলছে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এদিন বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়েছিল। এলাকায় আগুন ধরে যায় একটি বাড়িতে। তৈরি হয় চরম আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর আগেও পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ওই ঘটনায় ৩ জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের খাদিকুল গ্রামে একটি বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বেশ কয়েকজন ঘরের ভিতরে ছিলেন। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বাড়িটির ভিতর থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বাড়িটি শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়। বাড়ির ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন গুরুতর জখম হন। বাকিদের মৃত্যু হয়। তবে, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করে এলাকাবাসী বলতে পারেননি। পরে ৯টি দেহ উদ্ধার হয়। অনেক দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। আশপাশের গ্রামের মানুষও ছুটে আসেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।

    কী অভিযোগ এলাকাবাসীর?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশকে টাকা দিয়ে গ্রামের মধ্যে রমরমিয়ে এই বাজি কারখানা চলত। পুলিশ জেনেবুঝেও কিছু বলত না। আর পুলিশের উদাসীনতার জন্যই আজ এতবড় ঘটনা ঘটেছে। তবে তাঁরা বলেন, কী করে বিস্ফোরণ হল, তা আমরা জানি না। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ওই বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হত। একাধিকবার পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিন বাজি তৈরি হওয়ার সময় সেখানেই কোনওভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে। ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বাড়ির পাশে পুকুরে তল্লাশি চালানো হবে।

    ট্যুইট করলেন শুভেন্দু অধিকারী

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে। মমতার পুলিশ মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rojgar Mela: ‘রোজগার মেলা’য় বাংলার যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    Rojgar Mela: ‘রোজগার মেলা’য় বাংলার যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার, ১৬ মে পঞ্চম পর্বের ‘রোজগার মেলা’ (Rojgar Mela) অনুষ্ঠিত হল দেশের ৪৫টি স্থানে। এর মধ্যে অন্যতম কেন্দ্র হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur)। পঞ্চম পর্বের এই রোজগার মেলায় দেশজুড়ে ৭১ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে তাঁরা নিয়োগ পেলেন। ভার্চুয়ালি তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আইআইটি খড়্গপুরের নেতাজি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ‘রোজগার মেলা’ থেকে শতাধিক চাকরিপ্রার্থী বা কর্মপ্রার্থীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের যুবকল্যাণ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বাংলার ২৫ জন যুবক-যুবতীর হাতে সরাসরি নিয়োগপত্র তুলে দিলেন।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক?

    এদিন, আইআইটি খড়্গপুরের প্রেক্ষাগৃহ থেকে সব মিলিয়ে ২৬০ জন প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। রেল, আইআইটি, ডাক বিভাগ (পোস্টাল) সহ বিভিন্ন দফতরে নিয়োগপত্র পেলেন তাঁরা। এর মধ্যে প্রায় ১০০’র কাছাকাছি শুধু ডাক বিভাগেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে জানা যায়। এদিনের অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বেও ছিল ডাক বিভাগ। এদিন আইআইটি খড়্গপুরের এই রোজগার মেলায় (Rojgar Mela) উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক সহ আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা ভি কে তেওয়ারি, সহ অধিকর্তা অমিত পাত্র, নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) তমাল নাথ প্রমুখ। মন্ত্রী নিশীথকুমার প্রামাণিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে, পোস্টাল সহ কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দফতরের শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগী। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বা দফতরে ৭১,২০৬ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল দেশজুড়ে।” তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন স্থানে আমরা গিয়েছি। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী যে কথা দিয়েছিলেন, তা রেখেছেন। তাই তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। যাঁরা চাকরি পেলেন, তাঁদের পরিবার যে কতখানি আনন্দিত, তা এই মেলায় এসেই আমরা প্রত্যক্ষ করলাম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

    Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবায় প্রশিক্ষণ শুরু সাত বছর বয়সে। বর্তমানে বয়স পনেরো। মাত্র আট বছরের প্রশিক্ষণে আটবারের বেশি জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে চুঁচুড়ার (Chinsurah) কাপাসডাঙার বাসিন্দা মৃত্তিকা মল্লিক। আগামী নভেম্বরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে সে। কিন্তু সরকারি কোনও অনুদান নেই বলে অভিযোগ করলেন বাবা।

    কে মৃত্তিকা মল্লিক?

    চুঁচুড়ার (Chinsurah) ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মৃত্তিকা। এবছর জলন্ধরে আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। এই মাসের ১ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষ করে বৃহস্পতিবার ঘরে ফিরেছে সে। এই সাফল্যের উপর ভর করে আগামী নভেম্বরে ইতালিতে আয়োজিত বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ করে নিয়েছে মৃত্তিকা। বাবা অরিন্দম পেশায় কেবল ব্যবসায়ী ও মা মীনাক্ষী গৃহবধূ। দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মৃত্তিকা।

    খেলার প্রতি আকর্ষণ কীভাবে?

    ছোট থেকেই মৃত্তিকা নিজের পাড়ার (Chinsurah) কাকুদের তাস খেলা দেখতে ভালোবাসত। বুদ্ধিদীপ্ত খেলার প্রতি আকর্ষণ বুঝতে পেরেই ছোট মেয়েকে দাবার প্রশিক্ষণ শিবিরে ভর্তি করেন মৃত্তিকার বাবা-মা। শুরুতে মাত্র দু’বছরের প্রশিক্ষণ নিয়েই প্রথমবারের জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ পায় মৃত্তিকা।

    খেলায় সাফল্য

    দেশীয় স্তরে তিনবার প্রথম হয়েছে মৃত্তিকা (Chinsurah)। ইতিমধ্যে তিনবার আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছে সে। তার মধ্যে এশিয়া যুব দাবা প্রতিযোগিতায় একবার করে রূপো ও ব্রোঞ্জ এবং অনূর্ধ্ব ১৪ বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করে। এরপর রয়েছে নভেম্বরে আরও কড়া চ্যালেঞ্জ। জলন্ধর থেকে ফিরেই তাই দাবার বোর্ডে মন দিয়েছে মৃত্তিকা। সামনের বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই দু’দিক সামলাতে চাপটাও অনেক বেশি। তবে আপাতত পড়াশোনা ঘণ্টা দু’য়েকই করতে পারছে সে। কারণ দিনের প্রায় ১৪ ঘণ্টা নতুন নতুন চাল খুঁজে বেড়ায় সে। যে করেই হোক ইতালিতে দেশের হয়ে বাজিমাত করাই এখন তার জীবনের লক্ষ্য।

    অবিভাবকের আশা

    বাবা অরিন্দমবাবু বলেন, মেয়ে আপাতত সপ্তাহে দু’দিন গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়ার কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে লড়াইয়ের জন্য আরও প্রশিক্ষণের দরকার। আর দাবাতে এই প্রশিক্ষণই ব্যাপক ব্যয়বহুল। তাঁর অভিযোগ, অন্য রাজ্যে দাবায় সরকারি অনুদান এলেও এ রাজ্যে (Chinsurah) তা আসে না বললেই চলে। তাই বহু বাঙালির প্রতিভা মাঝপথে নষ্ট হয়ে যায়। এখন এই আর্থিক অভাব কাটাতে মল্লিকার পাশে সরকার কতটা দাঁড়ায়, সেটাই দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Molestation: ভণ্ড তান্ত্রিককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গ্রেফতার করল পুলিশ, কেন জানেন?

    Molestation: ভণ্ড তান্ত্রিককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গ্রেফতার করল পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তন্ত্রসাধনার মাধ্যমে অসুস্থ ১৬ বছরের নাবালিকাকে সুস্থ করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এক ভণ্ড তান্ত্রিক। নাবালিকার পরিবারের লোকজন তা বিশ্বাস করেছিলেন। আর ওই নাবালিকার সঙ্গে শ্লীলতাহানি (Molestation) করার অভিযোগ উঠল ভণ্ড ওই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। ভণ্ড ‘তান্ত্রিকের’ কীর্তি জানাজানি হতেই সোমবার গ্রামবাসীরা তাকে আটকে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে বিষ্ণুপদ হাজরা (৬২) নামে ওই ‘তান্ত্রিককে’ গ্রেফতার করে। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সবং থানার তিন নম্বর দাঁদরা অঞ্চলের নীলা এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদ হাজরা নামে ৬২ বছর বয়সী এক প্রৌঢ় বাড়িতে তন্ত্র সাধনা করতেন। সোমবার ওই এলাকার ১৬ বছরের এক নাবালিকা শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয় তার পরিবার। তারপর তাকে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে আসা হয়। তখন ওই তান্ত্রিক পরিবারের সদস্যদের নাবালিকাকে তার বাড়িতে রেখে চলে যাওয়ার কথা বলেন। একা পেয়ে তন্ত্রসাধনার নাম করে বাড়ির ভিতরে নাবালিকার শ্লীলতাহানি (Molestation) করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে ওই নাবালিকা বাড়িতে ফেরার পর কান্নাকাটি করে সব কথা সে খুলে বলে। তারপর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত ভণ্ড বিষ্ণুপদ হাজরার বাড়িতে হাজির হন। তার এই কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার সাধারণ মানুষ। তাকে খুঁটিতে বেঁধে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তন্ত্রসাধনার জিনিসপত্রে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সবং থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তা?

    জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে হনুমানের মাথার খুলি ও বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে জেরা করা হবে। এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River: পরিকল্পনা করেই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আস্ত একটি নদী! কী বলছেন এলাকার মানুষ?

    River: পরিকল্পনা করেই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আস্ত একটি নদী! কী বলছেন এলাকার মানুষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঝলক দেখলে মনে হবে, জঙ্গলে ঘেরা কোনও নালা। আসলে যে এটি একটি আস্ত নদী (River) ছিল, সে কথা বলে না দিলে বোঝা দায়। অভিযোগ, যতটুকুও বা নদী রয়েছে, তার পাড় দখল করে চলছে নির্মাণ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ব্রাহ্মণী নদী এভাবেই এক বিপন্ন নদীতে পরিণত হয়েছে। অথচ হুঁশ নেই প্রশাসনের।

    মুছে যাবে নদীর নাম, আশঙ্কা অনেকেরই

    গঙ্গারামপুরের কালীতলায় পুনর্ভবা থেকে একশো মিটার দূরত্বে রয়েছে এই ব্রাহ্মণী নদী। দক্ষিণ দেবীপুরে পুনর্ভবা থেকে শাখানদী রূপে বেরিয়ে এসেছে ব্রাহ্মণী। তারপর নালাগোলার কাছে টাঙনে এসে মিশেছে। স্থানীয়দের দাবি, বছর দশেক আগেও এই নদীতে ভালো জল বইত। পাওয়া যেত মাছ। এলাকার মৎসজীবীরা এই নদী (River) থেকে মাছ তুলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন আর ব্রাহ্মণীতে জল নেই। শুধু রয়েছে আগাছা ও ঝোপঝাড়। অভিযোগ, এলাকার আবর্জনা ও বর্জ্য নিয়মিত এই নদীতে ফেলে কার্যত পরিকল্পনা মাফিক নদীকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, নদী বুজিয়ে তার পাড় দখল করে তৈরি হচ্ছে বাড়ি, দোকান। অবশিষ্ট যেটুকু নালার মতো রয়েছে, সেখানেও আবর্জনা ফেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, নদীর এমন অবস্থা থাকলে আগামী দিনে ব্রাহ্মণী নদীর নাম মুছে যাবে। পরিবেশকর্মী তুহিনশুভ্র মণ্ডল বলেন, “বিপন্নতম নদীতে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণী। নদী দখল হয়ে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। একটা গোটা নদীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” পরিবেশকর্মীদের দাবি, এতে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছেন সেচ দফতরের কর্তারা?

    সেচ দফতরের দাবি, এই নদীকে (River) সচল করতে তারা সমীক্ষা করেছে। কিন্তু সেই সমীক্ষা ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে উপরমহলে, এমনটাই খবর। সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার দেবব্রত পাল বলেন, “বছর দেড়েক আগে একটি সমীক্ষা করে আমরা পাঠিয়েছিলাম। সংস্কার করে নদীকে বাঁচানোই ছিল উদ্দেশ্য। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে এখনও কিছু নির্দেশ আমরা পাইনি।”

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক পি প্রোমথ বলেন, “ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের দ্রুত এলাকা (River) পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলব। কেউ দখল করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আইএনটিটিইউসি-র নামে রমরমিয়ে চলছে তোলাবাজি, বাসপিছু রেট ৭০ টাকা!

    Arambagh: আইএনটিটিইউসি-র নামে রমরমিয়ে চলছে তোলাবাজি, বাসপিছু রেট ৭০ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএনটিটিইউসি-র নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ বাস মালিকদের। ঘটনা আরামবাগের। অভিযোগ, আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতিকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা মেলেনি। মূল অভিযোগ হল, আরামবাগ (Arambagh) বাস টার্মিনাসে বাস ঢুকলেই এগিয়ে এসে হাত পাতেন এক ব্যক্তি। তাঁর হাতে দাবিমতো টাকা তুলে দিতেই হয় চালক অথবা কন্ডাক্টরকে। এমনটাই নাকি নিয়ম হয়ে গিয়েছে হুগলির আরামবাগ মহকুমাজুড়ে। বাসমালিকদের অভিযোগ, কার্যত লাগামছাড়াভাবে বাস থেকে তোলাবাজি করা হচ্ছে। আর গোটা ঘটনায় বাস মালিকদের অভিযোগের তির তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দিকে।

    টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন চালক ও কন্ডাক্টররা

    হুগলির আরামবাগ (Arambagh) মহকুমাজুড়ে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেদিকে নজর দেয়নি শাসকদলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব এবং প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ। জুলুমবাজি চলছে আরামবাগ জুড়ে। বাস মালিকদের অভিযোগ, বাস পিছু ৭০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে। প্রতিদিন সব বাস মিলিয়ে যে পরিমাণ টাকা তোলা হচ্ছে, তার অঙ্কটা চোখ কপালে তোলার মতো। প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সারা মাসে এই অঙ্কটা আকাশ ছুঁয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে আইএনটিটিইউসি-র আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ বাস মালিকদের। যদিও বাস মালিকদের একাংশের দাবি, তাঁরা এই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এত পরিমাণ টাকা কোথায় যাচ্ছে, কী করা হচ্ছে, তার কোনও হিসাব নেই বলে অভিযোগ। যিনি এই টাকা তুলছেন, সেই ব্যক্তির দাবি, আইএনটিটিইউসি-র তরফেই তোলা হচ্ছে টাকা। কেন এই টাকা তোলা হচ্ছে? ওই ব্যক্তির দাবি, আইএনটিটিইউসি-র তরফে শ্রমিক কল্যাণ, বোনাস ও জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৭০ টাকা।

    নেতারা টাকা তুলে ফূর্তি করছেন, তোপ বিজেপির

    স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বের অভিযোগ, শুধু আরামবাগ (Arambagh) বাসস্ট্যান্ড নয়, কামারপুকুর, খানাকুল-সহ একাধিক বাসস্ট্যান্ডে একইভাবে তোলাবাজি চলছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষের কটাক্ষ, ‘এই টাকা তুলে আইএনটিটিইউসি-র নেতারা ফূর্তি করছেন।’ আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, তৃণমূল হল তুলামূল। তাই তারা এ ধরনের কাজকর্ম করবেই। তা না হলে তাদের নামের সাথে কী করে কাজের মিল থাকবে? এখন আবার তৃণমূলকে অন্য একটি নামে চিহ্নিত করেছে জনসাধারণ। তৃণমূলের দলে সবাই চোর। ওটা হল চোরের দল। আর রাজ্যে যেভাবে তারা সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের স্বার্থে সরকারি প্রকল্পের টাকা চুরি করেছে, সেই কারণেই মানুষ এখন তাদের ওই নামেই চিহ্নিত করেছে। তৃণমূলের এটাই হল আসল কর্ম, চুরি করা।

    মানতে নারাজ আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব

    যদিও আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে (Arambagh) তোলাবাজির যাবতীয় অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এরকম কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। আপনারা যদি দেখাতে পারেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: টিফিনের টাকা জমিয়ে বুট কেনা! ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে স্পেন যাচ্ছে নদিয়ার প্রেমাংশু

    Nadia: টিফিনের টাকা জমিয়ে বুট কেনা! ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে স্পেন যাচ্ছে নদিয়ার প্রেমাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে পড়াশুনা করে বড় হয়ে সরকারি চাকরি করবে। পরিবারের অভাব-অনটন দূর করবে। আর ছেলের স্বপ্ন ছিল ধেলাধূলায়। পায়ে ফুটবল পেলে খাওয়া-দাওয়া ভুলে যেত নদিয়ার (Nadia) নাজিরপুরের প্রেমাংশু ঠাকুর। হাজার বকাবকি ও শাসনেও তাকে পা থেকে ফুটবল কাড়তে পারেননি মা। টিফিনের পয়সা জমিয়ে বুট কিনে ফুটবল প্র্যাকটিস শুরু। দিদির জমানো টিউশনের টাকা চুরি করে প্রথম ফুটবল কেনা। স্কুল পালিয়ে ফুটবল প্র্যাকটিস। ফুটবলের প্রতি অমোঘ ভালোবাসা আজ সাফল্য এনে দিয়েছে তাকে। নদিয়া থেকে স্পেনে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে প্রেমাংশু। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আন্দ্রে ইনিয়েস্তার দেশে পাড়ি দেবে নদিয়ার (Nadia) নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্র। এলাকাবাসীর বক্তব্য, প্রেমাংশু একদিন নামকরা ফুটবলার হবে। ও এলাকার মুখ উজ্জ্বল করবে।

    কীভাবে নির্বাচিত হল প্রেমাংশু?

    বাংলার প্রত্যন্ত জেলা থেকে ফুটবল প্রতিভা তুলে আনার লক্ষ্যে আইএফএ এর সঙ্গে যৌথ স্পোর্টস ভেনচারে যোগ দেয় স্পেনের মোট্রিল ফুটবল ক্লাব। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে স্পেনের মোট্রিল ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে নদিয়ার (Nadia) প্রেমাংশু। স্পেনের মোট্রিল অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক ফেরনান্দো তোরেস ও বাংলার প্রথম প্রো লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রশিক্ষক শঙ্কর লাল চক্রবর্তী খেলোয়াড় বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের তাঁবুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করা হয়। ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মা এবং এলাকার লোকজন সকলে।

    কী বললেন কৃতি ফুটবলারের মা?

    জীবনটা অত্যন্ত কষ্টের বললেন, কৃতি ফুটবলারের মা দুর্গা সরকার। জীবন সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাবার বাড়িতে ফিরে ছোট্ট প্রেমাংশুকে বুকে আগলে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শুরু করেছিলাম। ছেলের পড়াশোনার জন্য অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করতাম। পরিচারিকার কাজও করেছি। সরকারি চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে ছেলে, এমনটাই আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ওর স্বপ্ন ফুটবল। বিদেশের মাটিতে ছেলে প্রশিক্ষণ নিতে যাবে ভেবে খুব ভাল লাগছে।’’ আর প্রেমাংশু একজন নামকরা ফুটবলার হয়ে দেখিয়ে দিতে চায় তার জন্মদাতা বাবাকে। যে বাবা একদিন তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অভিষেকের গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: অভিষেকের গ্রেফতার হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে পঞ্চায়েত ভোট, পরের বছর লোকসভা নির্বাচন। সামনের এই দুটি নির্বাচনে দলকে সুসংহত করতে কোমর বেঁধে নামলো বিজেপি। বিশেষ করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে যাতে ভালো ফল করা যায় তারজন্য কর্মীদের কী কী করণীয় তা জানাতে প্রতিটি লোকসভা ধরে ধরে বিজেপির রাজ্যনেতারা যাবেন, থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম প্রবাস। হুগলি লোকসভার দায়িত্ব নিয়েছেন খোদ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) নিজে। বিধায়ক তথা রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষকে নিয়ে তিন দিন ধরে চষে বেড়াবেন রাজ্য সভাপতি। রবিবার সিঙ্গুর বিধানসভা থেকে শুরু হয়েছে সেই প্রবাস কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচিকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছড়িয়েছে।  সোমবার সকাল থেকে সপ্তগ্রাম এবং পরে বলাগড় গিয়ে এলাকা চষে বেড়ান তিনি।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, অভিষেকের গ্রেফতার হওয়া  শুধু সময়ের অপেক্ষা।  আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যা জানতে পারছি আর সাধারণ বোধবুদ্ধিতে যা বলে তা হচ্ছে অভিষেকের গ্রেফতার শুধু সময়ের অপেক্ষা। যেভাবে তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে, মিডিয়া বলছে থাইল্যান্ডে টাকা গেছে, মালয়েশিয়াতে  টাকা গেছে। যদি গিয়ে থাকে যাঁর অ্যাকাউন্টে গেছে তিনি তো গ্রেফতার হবেন। তিনি কারসঙ্গে মিটিং করছেন তা আমাদের কাছে সব খবর রয়েছে। তিনি গ্রেফতার হলে যদি মনে করেন মানুষ আন্দোলন করবেন, পথে নামবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। আর তিনমাস আগেই বুথ থেকে প্রার্থী ঠিক করার বিষয়টি আমরা বলে দিয়েছিলাম। এখন সেটাই তৃণমূল নকল করছে। আর নবজোয়ার কর্মসূচি উত্তরবঙ্গের যেখানে যেখানে তিনি করেছেন, সেখানে দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

    সংগঠনকে আরও মজবুত করতে কী কী নির্দেশ দেওয়া হল?

    দলীয় সূত্রের খবর, সমস্ত জায়গায় কর্মিসভা করে  নিচুতলায় বেশ কিছু বার্তা দেওয়া হয়েছে। শীর্ষনেতাদের কাছ থেকে এসেছে বেশ কিছু দিক নির্দেশ। দলীয় কর্মসূচিতে নিজেদের নিয়োজিত করতে বলা হয়েছে। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় করতে বলা হয়েছে। সেখানে বুথভিত্তিক সংগঠনকে মজবুত করার বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।  দলের প্রত্যেক কর্মীকে সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে রাজ্য বিজেপি এবং সুকান্ত মজুমদার এর গ্রুপকে ফলো করতে বলা হয়েছে।  বুথ ধরে ধরে  শ্রেণীবিন্যাস করে রিপোর্ট কার্ড তৈরি করতে হবে। সিপিএমকে বিশ্বাস করা যাবে না। সিপিএমের বিরুদ্ধেও প্রচারে নামতে হবে। কোথাও কিছু হলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। এক কথায় সুকান্ত (Sukanta Majumdar) দলের কর্মীদের বলেন,  লাগাতার দলের হয়ে কাজ করে যেতে হবে। এর পাশাপাশি আগামী জুন মাস পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচিও  দিয়ে দেওয়া হয়। বিগত ৯ বছর বিজেপি শাসনকালে যা যা উন্নয়ন হয়েছে তা তুলে ধরতে বলা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    এবিষয়ে রাজ্য সম্পাদক তথা বিজেপি বিমান ঘোষ বলেন পঞ্চায়েত নয় আগামী লোকসভার জন্যই তৈরি হচ্ছি আমরা। প্রতিটা বিধানসভা ধরে ধরে এভাবেই আমাদের কর্মিসভা চলবে। গতবারের মতো এবারও আমরা হুগলি লোকসভাতে বিপুল ভোটে জিতব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share