Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে  বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনীয় টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে না পেরে শিশুপুত্রের মৃতদেহ জামাকাপড়ের ব্যাগে ভরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি এনেছিলেন বাবা। সেই অমানবিক ও মর্মস্পর্শী ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য দফতর।

    বিজেপি জেলা সভাপতির তোপ

    রবিবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় (Kaliyaganj)। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার রাতে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়ায় মৃত ওই শিশুর বাড়িতে যায় জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল। পুত্রহারা পিতার কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ শোনেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ এরপরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাসুদেববাবু। তিনি আরও বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নাম হলেও বাস্তবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বলে কিছু নেই।

    তৃণমূল নেতৃত্বের আশ্বাস

    সোমবার মৃত ওই শিশুর বাড়িতে গেল তৃণমূল নেতৃত্বও। মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লতা সরকার দেবশর্মা, জেলা পরিষদের (Kaliyaganj) সদস্য দধিমোহন দেবশর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোলাম মোস্তাক সহ অন্যান্যরা অসীম দেবশর্মার বাড়িতে যান। নিজের ছেলের মৃতদেহ ব্যাগে করে কেন আনতে হল সেই খবরও নেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। খবরটি পাওয়া মাত্রই আমরা ব্লক অফিসারদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। পরিবারের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার কারণে মৃত শিশুর বাবার (Kaliyaganj) স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। আমরা সেই কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সমব্যথী প্রকল্পের টাকাও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকেও প্রশাসনের নজর থাকবে বলে জানান কিংশুকবাবু।

    গাফিলতির নানা দিক

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে শিশুর মৃত্যুর পর ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়ার সময় অসীম দেবশর্মা অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্তব্যরত এক কর্মী তাঁকে জানিয়ে দেন, বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হবে। কিন্তু মৃত শিশুর (Kaliyaganj) বাবা অসীম দেবশর্মা অভিযোগ করে বলেন, ১০২ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে মৃতদেহ বহন করা হয় না বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। কিন্তু আইন বা নিয়ম অনুযায়ী ১০২ নম্বরে ফোন করার পর সাহায্য করা উচিত ছিল। পুরো বিষয় নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন হাসপাতালেরই ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিজস্ব কোনও মৃতদেহ বহনের গাড়ি নেই, এমনটাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

    জলপাইগুড়ির ঘটনায় শিক্ষা নেয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

    জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কয়েক মাস আগে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়ার জুলুমের মুখে পড়তে হয় এক বাসিন্দাকে। পরে ছেলেকে বাবার মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে গ্রামে ফিরতে হয়েছিল। বোঝাই যায়, বারবার একই ঘটনা ঘটলেও কেউই শিক্ষা নেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে তছনছ, অভিযুক্ত ঠিকাদার, তৃণমূলেই গণ আন্দোলনের ডাক

    Balurghat: আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে তছনছ, অভিযুক্ত ঠিকাদার, তৃণমূলেই গণ আন্দোলনের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালু না হতেই বালুরঘাটে ভেঙে তছনছ আত্রেয়ী নদীর বাঁধ। আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজের অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনা চাক্ষুষ করে দুর্নীতির অভিযোগ করে গণ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলারের। বালুরঘাট শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকরা এলাকার এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যদিও আতঙ্কের তেমন কিছু নেই বলে দাবি করেছেন কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা।

    বাঁধে কী হয়েছিল ?

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে বয়ে আসা আত্রেয়ী নদীতে জলের সমস্যার কারণে চরম দুর্দশায় পড়েন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আত্রেয়ীতে জলস্ফীতি থাকলেও খরার সময়েই মূলত সমস্যায় পড়েন ভারতীয় কৃষকরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Balurghat) সীমান্ত এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা উপলব্ধি করে বর্ষার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। শহরের চকভবানী এলাকা থেকে ডাকরা পর্যন্ত আত্রেয়ীর বুক চিরে দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে সেই বাঁধ নির্মাণের কাজ। দিনরাত এক করে বিদ্যুৎ গতিতে চলেছিল কাজ। উঠে এসেছে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ না হলেও একপাশ খুলে দিয়ে চলছিল আত্রেয়ী নদীর জল বের করার কাজ। তীব্র জলের গতিতেই ইতিমধ্যে বাঁধের বেশকিছু অংশ ভেঙে ধসে গিয়েছে। ফলে ফাটল ধরেছে আরও বেশ কিছু অংশে। আর তা নিয়েই রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ডাকরা এলাকার মানুষের মধ্যে।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    স্থানীয়দের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজের জন্য ভেঙে বসে গিয়েছে নদীর বাঁধ। বড় বড় ফাটলের জেরে পাড় ভেঙ্গে যাবার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে এলাকায়। যা একপ্রকার প্রকাশ্যে আসতেই বাঁধের বড় বড় পাথর তুলে নিয়ে গিয়ে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছে কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা। এর জেরে স্থানীয়রা (Balurghat) বলছেন ভাঙনের মুখে পড়েছে এলাকার বেশকিছু পরিবার। এলাকার বাসিন্দা পূর্ণিমা হালদার, নারায়ণী হালদার ও রথীন হালদার বলেন, বাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাজের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ। আর যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে ফাটল আর ধস। এলাকার বেশকিছু বাড়ি ঘর নদীগর্ভে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

    চেয়ারম্যান এবং শাসকদলের কাউন্সিলারের বক্তব্য

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, এ ধরনের ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ তিনি হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। বাসিন্দাদের কাছ থেকে আতঙ্কের কথা শুনে অভিযোগ নিয়ে গণ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার অনুশ্রী মহন্ত। তিনি বলেন, গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। বিষয়টি পুরসভার চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। সোমবার ঘটনা জানিয়ে সেচ দফতরকে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tropical Disease: ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া! বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউনে ভোগান্তি অব্যাহত!

    Tropical Disease: ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া! বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউনে ভোগান্তি অব্যাহত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ভোগান্তি লেগেই থাকে! এবছর তা আরও বেড়েছে। বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা এবার আরও বেশি। কারণ, দুই রোগের (Tropical Disease) দাপটে কাবু হচ্ছেন এলাকাবাসী। কিন্তু অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ সময়ই দায় এড়াচ্ছে! তাই ভোগান্তি বাড়ছে।

    কী সমস্যায় ভুগছেন বাসিন্দারা? 

    এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই গরমেও তাঁরা ডেঙ্গি সংক্রমণে নাজেহাল। আর এবছর ডেঙ্গির দোসর হয়েছে ম্যালেরিয়া। এই দুই মশাবাহিত রোগের (Tropical Disease) দাপটে তাঁরা নাজেহাল। সূত্রের খবর, প্রতি বছর বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকায় ব্যাপকহারে ডেঙ্গি হয়। গত বছরও ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পাড়ায় পাড়ায় চলেছিল মৃত্যুমিছিল। এবছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছে। তার সঙ্গে উপদ্রব বেড়েছে ম্যালেরিয়ার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকশো হয়েছে। তারমধ্যে বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বহু বাসিন্দা রয়েছেন। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ কী? 

    বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছে, প্রত্যেক বছর ডেঙ্গিতে (Tropical Disease) মৃত্যুমিছিল হলেও হুঁশ ফেরে না প্রশাসনের। তার উপর এবছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তারপরেও এক পরিস্থিতি। সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাটের বিস্তৃত এলাকা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। বিশেষত রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকায় একাধিক পার্ক, বাগান রয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো পরিচর্যা করা হচ্ছে না। ফলে, অপরিচ্ছন্ন এলাকা মশার আঁতুরঘর হয়ে উঠছে। সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছে, ওই এলাকায় একাধিক নার্সারি রয়েছে। অর্থাৎ, যেখানে চারাগাছ বিক্রি করা হয়। ওইসব জায়গায় জল জমে। প্রচুর টব থাকায়, সেখানে সহজেই জল জমা হয় ও মশার জন্ম হয়। কিন্তু সেইসব জায়গা যে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে কোনও নজরদারি নেই। ফলে, এলাকাবাসীর ভোগান্তি হয়। ফি-বছর অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে পুরসভা এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেয়, বছরভর কাজ হবে। ডেঙ্গি নির্মূল হবে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় না। যেমন  এবছরেও পুরসভার সক্রিয়তার অভাব স্পষ্ট বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। 

    সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষ কী বলছে? 

    বিধাননগর পুরসভার তরফে বলা হয়েছে, অন্য বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত বিধাননগর এলাকায় ডেঙ্গি (Tropical Disease) সংক্রমণ প্রায় অর্ধেক। তারা জানাচ্ছে, গত বছরও মে মাসে বিধাননগর পুর এলাকায় প্রায় ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শেষ হিসাব অনুযায়ী ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন। তবে, ম্যালেরিয়া যে চিন্তার কারণ, সে কথা মেনে নিয়ে বিধাননগর পুরসভার এক কর্তা জানান, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম কাজ বিধাননগর পুরসভা করছে। রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে, সব সমস্যা যে পুরসভা মেটাতে পারবে না, সে কথাও তারা জানিয়ে দিয়েছে! 

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার যৌথ দাপট কতখানি ভয়ানক? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    ম্যালেরিয়া (Tropical Disease) এবছর বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করবে, এ কথা আগেই জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞ মহল। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে! তবে, ম্যালেরিয়ার মোকাবিলা করতে এলাকার বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। জল জমতে না দেওয়া, চারপাশ পরিষ্কার রাখা, বিশেষত পার্ক, বাগান এলাকার আগাছা কাটা, জঞ্জাল সাফ করা নিয়মিত জরুরি। তাছাড়া, নর্দমা পরিষ্কার রাখা, ব্লিচিং পাউডার দেওয়ার মতো কাজগুলো নিয়ম করে করতে হবে। তবে, ডেঙ্গি রুখতেও প্রশাসনের এইসব ভূমিকা পালনের পরামর্শ একাধিকবার দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু প্রত্যেক বছর সংক্রমণ বাড়লে, তবেই প্রশাসন কাজ শুরু করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই কাজগুলো বছরভর করতে হবে, তবেই সংক্রমণ কমবে। তা না হলে রাজ্যবাসীর জন্য আরও ভোগান্তি অপেক্ষা করছে বলেই তাদের আশঙ্কা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা এমন এক বস্তু, যা না থাকলে হয়তো জনজীবন থমকে যেত। বাড়ির রান্নার জ্বালানি থেকে শুরু করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আর আগের বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন-সব কিছুতেই কয়লা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসাবেই পরিচিত। গ্লোবাল চেঞ্জ ডেটা ল্যাব (যুক্তরাজ্য)-এর তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারের নিরিখে কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানি হিসাবে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কয়লা একপ্রকার পাললিক শিলা। কয়েক কোটি বছর আগে বিভিন্ন গাছপালা মাটির তলায় চাপা পড়ে সেগুলি আস্তে আস্তে জীবাশ্মতে পরিণত হয়। আর সেই জীবাশ্মগুলি কালো রং ধারণ করে কয়লায় পরিণত হয়। কিন্তু কখনও কি মাথায় এসেছে, এই কয়লার উত্তোলন ভারতে কোথায় এবং কীভাবে শুরু হয়েছিল? কয়লা উত্তোলন ও কয়লাখনির (Coal Mines In India) ইতিহাস কী?

    ভারতবর্ষের বুকে কয়লাখনির ইতিহাস

    ভারতবর্ষে সবথেকে বেশি কয়লা মজুত (Coal Mines In India) আছে দামোদর নদীর তীরে রানিগঞ্জ অঞ্চলে। এখানেই প্রথম কয়লা খনন শুরু হয় ১৭৭৪ সালে জন সুমনার এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিটনিয়াস গ্রান্ট হিটলির উদ্যোগে। প্রথমে কয়লার চাহিদা কম থাকায় এর উত্তোলন তেমন কিছু বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু পরে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের উদ্ভব হওয়ায় ১৮৫৩ সালে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তখন বার্ষিক গড়ে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হত। এরপর ১৯২০ সালে উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়লার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। ১৯৪৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে গিয়ে পৌঁছায়।

    রানিগঞ্জ অঞ্চলে প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু

    গোটা ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, তখন বাংলা, বিহার, ওড়িশা-ভারতের এই প্রধান কয়লা উত্তোলক অঞ্চলগুলিকে (Coal Mines In India) ১৮৯৪ সাল থেকে ভারতের যৌথ পরিচালনাধীনে থাকার আবেদন জানান ভারতীয়রা। কিন্তু ব্রিটিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয়দের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তাদের একচেটিয়া প্রভাব ছিল খুবই বেশি। ফলে ভারতীয়দের সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এরপর নানা আন্দোলন ও চেষ্টার ফলে সিনুগ্রার শেঠ খোড়া রামজি চাওদা প্রথম ভারতীয় হিসাবে ভারতের ঝরিয়া কয়লাখনি থেকে ব্রিটিশদের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৬ সালে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি এবং কয়লাখনি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ঘটাতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যাশনাল কোল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NCDC)।

    ১৮১৫-১৮১৬ সালে রানিগঞ্জ অঞ্চলে রুপার্ট জোনস্ প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এই কাজের জন্য তাঁকে সরকারের তরফ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। জোনস্ রানিগঞ্জে পূর্বের খনন করা হিটলির পরিত্যক্ত কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India) খুঁজে পান। তিনি ১৮২০ সাল পর্যন্ত এখান থেকে দামোদরের জলপথের মাধ্যমে কয়লা কলকাতাতে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার তেমন মুনাফা লাভ করতে পারেননি। পরে জোনস্ এর খনিগুলির মালিকানা লাভ করে আলেকজান্ডার অ্যান্ড কোম্পানি। আর এই কোম্পানিকে ১৮৩৫ সালে সত্তর হাজার টাকায় ক্রয় করে ‘কার টেগোর কোম্পানি’, যার অংশীদার ছিলেন ঠাকুর বংশের প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। 

    সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি 

    দামোদর জলপথের মাধ্যমে কলকাতায় এই কয়লা রফতানির কাজে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল। কিন্তু অপরদিকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর এই সাফল্যে একদমই সন্তুষ্ট ছিল না। দ্বারকানাথের কোম্পানিকে ভেঙে ফেলার জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাতে থাকলেও পরে তা ব্যর্থ হয়। আবার কিছু ব্রিটিশ কোম্পানি যেমন গিলমোর, আর্কসাইন, হামফ্রে অ্যান্ড কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাছাড়াও আরও নানা বিবাদের মুখে পড়ে এখানকার কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India)। সেই সময় সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে সব কোম্পানিগুলিকে একত্রিত করে ১৮৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বেঙ্গল কোল কোম্পানি’। এর প্রথম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োজিত হন দ্বারকানাথ নিজে। ভারতের কয়লাশিল্পের প্রথম প্রশাসনিক ভবন এটাই। ১৯৭২ সালে কয়লাখনির জাতীয়করণের আগে পর্যন্ত রানিগঞ্জ-ঝরিয়া অঞ্চলের বেশিরভাগ কয়লাখনি এই বেঙ্গল কোল কোম্পানির অধীনে ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: তিন বছরের প্রশিক্ষিত ‘চিকিৎসক’ রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়াবে, মত বিশেষজ্ঞদের!

    West Bengal Health: তিন বছরের প্রশিক্ষিত ‘চিকিৎসক’ রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়াবে, মত বিশেষজ্ঞদের!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) চিকিৎসকের ঘাটতি কমাতে এবার তিন বছরের প্রশিক্ষিত চিকিৎসক তৈরি করা হবে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হবে ‘হেলথ প্রফেশনাল’! আর এতেই রাজ্যবাসীর জন্য আরও ভোগান্তির দিন অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কী বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? 

    দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) চিকিৎসকের চাহিদা মেটাতে তৈরি করা হবে ‘হেলথ প্রফেশনাল’! তিন বছরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতেই তাঁরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করবেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলথ প্রফেশনালরা মূলত গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা করবেন। ইতিমধ্যেই একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য সহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

    কী ভোগান্তির আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আরও ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের! কারণ, তিন বছরে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পর্যাপ্ত পাঠ পাবেন না এই হেলথ প্রফেশনালরা। কিন্তু তাঁদের কাছে রোগমুক্তির জন্য আসবেন সাধারণ মানুষ। অথচ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণের অভাবে তাঁরা ঠিকমতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে পারবেন না। ফলে, ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের হেলথ প্রফেশনালরা মূলত গ্রামে পরিষেবা দেবেন। এর ফলে গ্রাম ও শহরের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও বৈষম্য তৈরি হবে, যা একেবারেই কাম্য নয়। এই ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া কতখানি নৈতিক ও আইনসঙ্গত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসক শারদ্বৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্যক্ষেত্র (West Bengal Health) কার্যত ভেঙে পড়বে। এমন সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর জন্য একেবারেই ইতিবাচক নয়। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এমনিতেই তলানিতে। তার উপর এমনভাবে চিকিৎসক ঘাটতি কমাতে গেলে বিপদ আরও বাড়বে। কারণ, শরীরের জটিল রোগ নির্ণয় ও প্রতিকারের উপায় নির্ধারণ করতে হলে সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রয়োজন। অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসায় দেরিও হয়ে যেতে পারে!” চিকিৎসক পূর্ণব্রত গুণ বলছেন, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য বাড়বে। স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার মতো মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রেও বঞ্চনা তৈরি হচ্ছে এমন সিদ্ধান্তে! শহরের মানুষ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের থেকে পরিষেবা পাবেন। কিন্তু গ্রামের মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দ করছে হাতুড়ে ডাক্তার! এ তো মৌলিক অধিকার খর্ব করা! শুধু রাজ্যবাসীর ভোগান্তিতেই এই সমস্যা শেষ নয়। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কেও এই সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত! তিনি বলেন, “রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক নানা ঘটনার জেরে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময় এরকম সিদ্ধান্ত সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাতে পারে। কারণ, অনেক সময়ই এই হেলথ প্রফেশনালরা ঠিকমতো রোগ নির্ণয় করতে পারবেন না। প্রশিক্ষণ ঠিকমতো না থাকায় নানা জটিলতা তৈরি হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ চিকিৎসক ও হেলথ প্রফেশনালদের মধ্যে ফারাক হয়তো ঠিকমতো মনে রাখতে পারবেন না। ফলে, অবিশ্বাস তৈরির সুযোগ আরও বাড়বে।” 

    সবমিলিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাই করছেন অধিকাংশ চিকিৎসক!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adah Sharma Accident: গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র পরিচালক সুদীপ্ত সেন, নায়িকা আদা

    Adah Sharma Accident: গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র পরিচালক সুদীপ্ত সেন, নায়িকা আদা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনার কবলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর পরিচালক এবং নায়িকা (Adah Sharma Accident)। জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের করিমনগরে একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন এবং নায়িকা আদা শর্মা। সে সময় তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার (Adah Sharma Accident) কবলে পড়ে। শেষ পাওয়া খবর অবধি পরিচালক এবং নায়িকা দুজনেই জখম হয়েছেন এবং তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রসঙ্গত, মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সারা দেশ জুড়ে জোর চর্চা চলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত বলেছেন, ‘‘দ্য কেরালা স্টোরি সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে দিয়েছে।’’ একাধিক রাজ্যে এই সিনেমাতে কর মুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের এই সিনেমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। এরপরেও দেশ জুড়ে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে কেরালা স্টোরি, ইতিমধ্যে তা ১০০ কোটির ক্লাবের সদস্যও হয়ে গেছে। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে অনেক সময় হুমকির মুখেও পড়েছেন আদা শর্মা এবং পরিচালক। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার (Adah Sharma Accident) কারণ জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

    হাসপাতাল থেকেই ট্যুইট করলেন পরিচালক এবং অভিনেত্রী

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ খ্যাত অভিনেত্রী আদা শর্মা ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘আমি ভাল আছি বন্ধুরা। আপনারা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন বুঝতে পারছি। আমাদের দুর্ঘটনার (Adah Sharma Accident) খবর ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এটুকু বলতে পারি আমরা দলের সবাই ঠিক আছি। বড় কোন বিপদ হয়নি। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।’’ 

    অন্যদিকে ট্যুইট করেছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন নিজেও। তিনি ট্যুইটে লিখছেন, ‘‘আজ আমাদের যাওয়ার কথা ছিল করিমনগরে। সেখানে যুবক যুবতীদের ভিড়ে আমাদের ছবিটা নিয়ে কথা হতো। কিন্তু হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। যেতে পারলাম না, খুব দুঃখিত আমরা সেখানকার মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দ্য কেরালা স্টোরি ছবিটা বানিয়েছিলাম আমাদের কন্যাদের রক্ষা করতে। দয়া করে আপনারা পাশে থাকুন।’’

  • Malda: ভুয়ো নথি দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: ভুয়ো নথি দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার মালদহের (Malda) মানিকচকের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে আলোড়ন চলছে। তারই মধ্যে শনিবার এক ভুয়ো শিক্ষিকা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক  কী অভিযোগ ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে?

    তফশিলি জাতির জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ইতিমধ্যে দেড় বছর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন ওই শিক্ষিকা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম চাঁপা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এরপর আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করেন মালদহ (Malda) সদরের মহকুমাশাসক। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে শনিবার ওই ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শিক্ষকের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলা গ্রামে। ২০২১ সালের অক্টোবরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্ণাহি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। তিনি তফশিলি কোটায় চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত নথিপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পাঠিয়ে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক ব্যক্তি চাঁপাদেবীর নিয়োগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন। সেই মামলায় বিচারপতি ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলা সদর মহকুমাশাসককে নির্দেশ দেন। মহকুমাশাসক সব খতিয়ে দেখে মানিকচক থানায় চাঁপা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ চাঁপাদেবীকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাঁকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতে যাওয়ার পথে এনিয়ে চাঁপাদেবীকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খোলেনি । কিছু বলতে চায়নি পুলিশও।

    কী বললেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি?

    এই প্রসঙ্গে মালদহ (Malda) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন বলেন,”ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সদর মহকুমাশাসক বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি পুলিশে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই মানিকচক থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj: বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, তাই সন্তানের মৃতদেহ ফিরল ব্যাগে করে

    Kaliyaganj: বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, তাই সন্তানের মৃতদেহ ফিরল ব্যাগে করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে ফের অমানবিকতার সাক্ষী রইল কালিয়াগঞ্জবাসী। টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত শিশুকে ব্যাগে করে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে বাড়ী ফিরল মৃত শিশুর অসহায় বাবা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    কি ঘটেছিল?

    কালিয়াগঞ্জ (Kaliyaganj) ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার স্ত্রী যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। পাঁচমাস পর হঠাৎ দুই শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত রবিবার তাঁদের দুইযমজ সন্তানকেই কালিয়াগঞ্জ ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যথারীতি নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও অবস্থা খারাপ দেখে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। এরপর অবশেষে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অসুস্থ শিশুদের। গত বৃহস্পতিবার এক শিশু সুস্থ্য হলে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসে অসীম দেবশর্মার স্ত্রী। পরে শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজেই আরেক যমজ সন্তানের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে শনিবার রাতেই মৃত্যু হয় যমজ সন্তানের। মৃত দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক অসীম দেবশর্মা অর্থের অভাবে কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে পারেন নি। আর না পারায় মৃত ছেলেকে একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে বেসরকারি বাসে করে প্রথমে রায়গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছান। পরে অপর আরেকটি বাসে চেপে কালিয়াগঞ্জে পৌঁছান। তারপর সন্তানের দেহ বাড়িতে নিতে স্থানীয় কাউন্সিলের সহযোগিতায় একটা অ্যাম্বুলেন্সে করে শেষপর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ থেকে বাড়িতে ফেরেন। কালিয়াগঞ্জ থেকে বাড়ি পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স পেলেও জোটেনি শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তায়। দেবশর্মা বলেন, চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার যেটুকু টাকা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ৮ হাজার টাকা দাবী করে। কিন্তু এমনিতেই চিকিৎসা বাবদ ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে আর অ্যাম্বুলেন্সের টাকা ছিল না, তাই বাসে করেই মৃত ছেলেকে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত ফিরেছি। সন্তানের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চাইলে শিলিগুড়ি পুলিশ কোন সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন দেবশর্মা বাবু।

    শাসক দলের মন্তব্য

    তৃণমূলের ব্লক (Kaliyaganj) সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন ঘটনাটি খুবই দুঃখদায়ক। তবে পরিবারের লোকেরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। আমারা কিছুই জানতাম না সংবাদ মাধ্যেম খবর পেয়েছি। আগামী দিনে প্রশাসনকে বলব মানবিকতার সঙ্গে যেন বিষয়গুলি দেখা হয়।

    শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট

    এই ঘটনায় ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

     

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মন্তব্য

    এই ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) বিজেপি কাউন্সিলর গৌরাঙ্গ দাস বলেন, এটা খুবই কষ্টদায়ক ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়েই কোন রাজনৈতিক ভাবে নয় মানবিকতার খাতিরে একটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন অন্তত বাড়ী অবধি মৃত শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্স করে যেন নিতে পারে অসহায় বাবা। তবে এই ঘটনায় গৌরাঙ্গ বাবুর গরীব ও অসহায় মানুষের পরিষেবা না পাওয়ার জন্য সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। যে শিশু চলে গেলে পৃথিবী ছেড়ে তাঁকে তাঁর বাবার ব্যাগে করে ফিরতে হল! একটা বাহনও জুটল না এতটাই কি প্রশাসন অমানবিক! গরীব সাধারণ মানুষেরা কি সামজে অ্যাম্বুলেন্স পাবে না ? এই বলে অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেন গৌরাঙ্গ বাবু। গোটা ঘটনাটা অত্যন্ত নির্মম এবং সেই সঙ্গে শোকের। প্রশাসন কবে মানবিক হয়ে উঠবে তাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dubrajpur: সাত সকালে মা মনসার খোলা চোখ বন্ধ! অবাককাণ্ড দেখতে মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

    Dubrajpur: সাত সকালে মা মনসার খোলা চোখ বন্ধ! অবাককাণ্ড দেখতে মন্দিরে উপচে পড়ল ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের মন্দিরে এসে মা মনসার এরকম রূপ দেখবেন তা আশা করেননি এলাকাবাসী। অন্যদিনের মতো রবিবার ভোরবেলায় মন্দিরে এসে প্রণাম করে যান অনেকে। কিন্তু, স্থানীয় এক বাসিন্দা হাতজোড় করে মায়ের মুখের দিকে তাকাতেই হতবাক হয়ে যান তিনি। কারণ, মা মনসার চোখ এভাবে বন্ধ থাকার দৃশ্য তিনি কখনও দেখেননি। এদিন এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর (Dubrajpur) পুরসভার ডাঙ্গালতলার মনসা মন্দিরে। খবর চাউড় হতেই আশপাশের এলাকা থেকে কয়েকশো মানুষ মন্দিরে এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাজারে আসা ব্যবসায়ীরাও ছুটে আসেন। অনেকে মায়ের চোখ বন্ধ থাকার ছবি মোবাইলবন্দি করেন।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    মনসা হিন্দুধর্মের লৌকিক সর্পদেবী। পরবর্তীকালে পৌরাণিক দেবী রূপে স্বীকৃত হন। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে মা মনসা দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুবরাজপুরে (Dubrajpur) এই মন্দিরেও জাঁকজমকভাবে পুজো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সাগর দে, মা মনসা খুব জাগ্রত। তবে, লৌকিক না অলৌকিক বলতে পারব না। মায়ের এই রূপ আগে কখনও দেখিনি। তাই, বিষয়টি আমাদের কাছে উদ্বেগের। স্থানীয় বাসিন্দা মেনকা বাগদি বলেন, মন্দিরে এসে মাকে চোখ বন্ধ অবস্থায় দেখলাম। বহু লোক মন্দিরে ভিড় করেন। কেউ মায়ের এই রূপ দেখেননি। পরে, মন্দিরের সেবাইত এসে মুখে জল দিতেই মায়ের আগের মতো চোখ খুলে যায়। তবে, যুক্তিবাদীদের অনেকেই বলেন, বিষয়টি অলৌকিক হতেই পারে। তবে, কেউ মা মনসার চোখে রং লাগিয়ে দিয়েছিল। জল দেওয়ার পর ফের চোখ খুলে যায়।

    কী বললেন মন্দিরের সেবাইত?

    মন্দিরের সেবায়েত দিলীপ গড়াই বলেন, মায়ের চোখ বন্ধ রয়েছে শুনেই আমি মন্দিরে ছুটে আসি। আমি নিজে সেই দৃশ্য দেখি। এরপর মায়ের মুখ জল দিতেই চোখ খুলে যায়। রাতে কী হয়েছে আমি তা জানি না। এরকম কোনওদিন দেখেনি। কেন এরকম হল তা বলতে পারব না। আমি কিছু বুঝতে পারছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Emi Martinez: জুন মাসেই কি কলকাতায় আসছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ?

    Emi Martinez: জুন মাসেই কি কলকাতায় আসছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের জুন মাসেই কলকাতায় পা দিতে পারেন ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emi Martinez)। জানা গিয়েছে, কলকাতার জনৈক শতদ্রু দত্ত যাঁর উদ্যোগে তিলোত্তমায় পা দিয়েছিলেন পেলে এবং মারাদোনা, তিনিই আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর কলকাতা সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। সূত্রের খবর, মার্টিনেজ (Emi Martinez) জানিয়েছেন, জুন মাসে তাঁর কোন আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ নেই সেই সময়ে তিনি কলকাতায় আসবেন।

    ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emi Martinez)

    গত বছরের ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। ক্রীড়া মহলের মতে, কাতার বিশ্বকাপ জিততে মার্টিনেজের ভূমিকাও কম নয়। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুটি পেনাল্টি সেভ করেছিলেন এবং ফাইনালেও ফ্রান্সের বিপক্ষে তিনি কার্যত চিনের দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যদিও ৮০ মিনিটের মাথায় কিলিয়ান এমবাপের দুটি গোল তিনি আটকাতে পারেন নি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরেও অজস্র সম্মান পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সী মাটিনেজ (Emi Martinez)। বর্তমানে আর্জেন্টিনার গোল রক্ষক ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেন। মার্টিনেজ (Emi Martinez) ২০২২ সালের বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকাতেও তিনি একই সম্মান পেয়েছিলেন

    ২০১০ সালেই আর্জেন্টিনা ছেড়ে কিশোর বয়সে মার্টিনেজ (Emi Martinez) চলে যান ইংল্যান্ডে

    জানা গিয়েছে, মার্টিনেজের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। সেইমতো ২০১০ সালে কিশোর বয়সে তিনি আর্জেন্টিনা ছাড়তে বাধ্য হন এবং আর্সেনালের ইউথ ক্লাবের হয়ে খেলা শুরু করেন। এখানেও রয়েছে এক গল্প। ইংল্যান্ডে গিয়ে ভাষা সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। এরপর ক্লাবের তরফ থেকেই তাঁকে ইংরেজি শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং বলা হয় কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা যদি মার্টিনেজ পাশ করতে পারেন, তাহলে তাঁকে ভারতীয় মুদ্রায় কুড়ি লাখ টাকারও বেশি বোনাস দেওয়া হবে এবং ওই পরীক্ষায় উতরেও যান মার্টিনেজ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share