Tag: Madhyom

Madhyom

  • Imran Khan: ‘‘ইমরান খান সন্ত্রাসবাদীদের চেয়ে কম কিছু নয়’’, তোপ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    Imran Khan: ‘‘ইমরান খান সন্ত্রাসবাদীদের চেয়ে কম কিছু নয়’’, তোপ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ইমরান খান (Imran Khan) এবং তাঁর তেহেরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সন্ত্রাসবাদীদের চেয়ে কম কিছু নয়’’, এমনই মত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের। তিনি বলেন, ‘‘যারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করেছে, লুট করেছে, সেনা অফিসারদের বাসভবনে হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘কয়েক দশক ধরে বহিঃশত্রুরা যা করতে পারেনি, তাই ইমরান খান (Imran Khan) এবং তাঁর দলের কর্মীরা করে দেখিয়েছে।’’ দেশ জুড়ে এই হিংসা যারা ছড়িয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী।’’ প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৯ তারিখ জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তারপরেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক অশান্তি, হিংসায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাকিস্তান। বাদ যায়নি পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বাড়িও। তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তেহেরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা। দেশজুড়ে চলা এই হিংসার ঘটনায় ১৫ জনেরও বেশি নিহত হন। কোনও কোনও জায়গাতে কারফিউ অবধি জারি করতে হয় পাকিস্তান সরকারকে। সে দেশের সেনা আধিকারিকদের বাসভবনেও হামলা চালায় তেহেরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা।

    শুক্রবার রাতে জামিন পান ইমরান (Imran Khan)

    শুক্রবার রাতে জামিন পান ইমরান খান। তাঁর জামিনের দিনেও হিংসা ছড়ায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বরে। তেহরিক-ই-ইনসাফের সদস্যদের বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিযোগ আনে পুলিশ। এরকম অবস্থায় পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেহবাজ শরিফকে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। ইমরানের জামিনের পর শেহবাজ সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা হিংসা ছড়িয়েছে তাদের প্রত্যেককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

    এদিন শেহবাজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনা এই সমস্ত হিংসাত্মক কার্যকলাপকে সমর্থন করবে না এবং যারা এই ধরনের অশান্তির আগুন দেশে ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saptahik Rashifal: কী বলছে আগামী ৭ দিনের ভাগ্যরেখা? সাপ্তাহিক রাশিফল ১৪ মে থেকে ২০ মে

    Saptahik Rashifal: কী বলছে আগামী ৭ দিনের ভাগ্যরেখা? সাপ্তাহিক রাশিফল ১৪ মে থেকে ২০ মে

    মেষ রাশি

    এই সপ্তাহে আপনার প্রতি অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি বিচার করে, আপনি অনুভব করতে পারেন যে আপনি নতুন জিনিস শেখার জন্য খুব বেশি বয়সী। এসময়, এই ভেবে নিজের সুযোগ ও সময় নষ্ট না করে, নিজের সামর্থ্যের উপর আস্থা রাখুন এবং ভুলে যাবেন না যে আপনার সৃজনশীল এবং সক্রিয় চিন্তাভাবনার কারণে আপনি সহজেই যে কোনও কিছু শিখতে পারবেন। এইরকম পরিস্থিতিতে, আপনাকে এই দিকে আপনার চিন্তাভাবনা এবং বোঝার শক্তি সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করতে হবে। আপনি এটাও ভালো করেই বুঝেছেন যে, এই সময়ে যদি আপনি আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন, তাহলে আগামীকালও যে এমন অবস্থা অটুট থাকবে, তা নয়। এমন পরিস্থিতিতে, ভবিষ্যতের প্রতিটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার সময়, আপনার কেবল বুদ্ধিমানের সাথে বিনিয়োগ করা উচিত। সেজন্য আপনার কষ্টার্জিত অর্থ যেকোন পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করুন ভেবেচিন্তে। আপনার চন্দ্র রাশিতে, বৃহস্পতি এবং রাহু প্রথম ভাবে বিরাজ করছে এবং এই সপ্তাহে ঘরোয়া দিকে অনেক ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেবে। এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে হলে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে বসতে হবে। এই সময়ে, পরিবারের সদস্যদের কিছু বলার সময়, খুব সাবধানে আপনার শব্দ চয়ন করুন। কর্মক্ষেত্রে আপনার যদি ক্রাশ থাকে তবে এই সপ্তাহে আপনাকে তাদের সাথে কথা বলার সময় বিনয়ী আচরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ এটা সম্ভব যে আপনি অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু বলতে পারেন যা আপনার উদ্দেশ্য নষ্ট করে দেয়। একই সঙ্গে অফিস থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলুন। আপনার চন্দ্র রাশির প্রথম ভাবে বুধ বিরাজ করছে এবং এই সপ্তাহে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার বিষয়ে তাদের পিতামাতা বা বড়দের কাছ থেকে একধরনের বিন্দু-তিরস্কারের সম্মুখীন হতে পারে। এই কারণে সারা সপ্তাহ আপনার মন খারাপ থাকবে। এসময় শুরু থেকেই এমন কোনো কাজ করবেন না, যার কারণে আপনি সমস্যায় পড়বেন।

    বৃষভ রাশি

    আপনার স্বাস্থ্য জীবনের দিকে দেখতে গেলে, এই সপ্তাহে আপনার স্বাস্থ্য চমৎকার হবে। এই সময়ে আপনি মানসিক শক্তিতে পূর্ণ থাকবেন এবং দক্ষতার সাথে আপনার প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য সম্ভাব্য সবরকম প্রচেষ্টা করবেন। এই পরিস্থিতিতে, আপনাকে অকেজো জিনিসগুলিতে মনোযোগ দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। আপনি যদি এখন পর্যন্ত কোনও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন তবে এই সপ্তাহে এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার পরিবর্তে আপনাকে এমন কিছু করতে হবে যা আপনার আয় বাড়াবে। এর জন্য, আপনি আপনার বন্ধু, নিকটজন বা বড়দের সাথে পরামর্শ করেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই সময়ে আপনি আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে মজার সময় কাটাবেন। এর সাথে সাথে, এই সময়ে আপনার উচ্চ শক্তি এবং প্রচন্ড উদ্যম আপনার পারিবারিক জীবনে অনেক ইতিবাচক ফলাফল আনবে এবং আপনাকে ঘরোয়া উত্তেজনা থেকে দূরে রাখতে সহায়ক হিসাবে প্রমাণিত হবে। এই সপ্তাহে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি যদি আপনার কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পেতে চান তবে আপনার মনকে ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করুন। শনি আপনার চন্দ্র রাশিতে দশম ভাবে অবস্থান করছে এবং এই সপ্তাহটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভাল যাচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া, যার ফলস্বরূপ আপনি এই সময়ে অনেক নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এই সপ্তাহে, শিক্ষার্থীদের গবেষণার ক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে হবে। এই ক্ষেত্রে, এর জন্য, আপনি প্রথম থেকেই অধ্যয়নের উপাদান সংগ্রহ করতে পারেন। অন্যথায়, তাড়াহুড়ো করে, আপনি অনেক কিছু ভুলে যেতে পারেন।

    মিথুন রাশি

    যদি আপনার স্বাস্থ্য খারাপ থাকে, তবে এই সপ্তাহে আপনাকে এমন কিছু এবং ক্রিয়াকলাপে কাজ করতে হবে, যা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে, আপনার বদ অভ্যাস ত্যাগ করে ভালো অভ্যাসে উন্নতি আনুন এবং ভালো খাবার গ্রহণের সাথে সাথে মশলাদার খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। প্রার্থনার মাধ্যমে এই সপ্তাহে আপনার ইচ্ছা পূরণ হবে এবং সৌভাগ্য আপনার পথে আসবে। কারণ এই সময়টি আপনার ভাগ্যের সহায় হবে, যার কারণে আপনার আগের দিনের পরিশ্রমও শোধ হবে এবং আপনি আপনার সমস্ত ঋণ শোধ করতে সক্ষম হবেন। আপনার জ্ঞানের তৃষ্ণা আপনাকে এই সপ্তাহে নতুন বন্ধু তৈরি করতে সাহায্য করবে। এর সাথে, বাড়ির কোনও সদস্য যদি বিবাহের যোগ্য হন তবে এই সপ্তাহে তাদের বিবাহ ঠিক হওয়ার কারণে বাড়ির পরিবেশ অনুকূল বলে মনে হচ্ছে। আপনার সিনিয়ররা এই সপ্তাহে আপনার অবসর সময়ে আপনার মোবাইলে একটি ওয়েব সিরিজ দেখা অপছন্দ করতে পারে। এটি তাদের সামনে আপনার ইমেজকেও প্রভাবিত করবে। আপনার চন্দ্র রাশি অনুসারে, বুধ একাদশ ভাবে অবস্থান করছে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছাত্ররা এই সপ্তাহে আকস্মিক সাফল্য পেতে পারে। তাই আপনার লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ করুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন, এবং সেই সমস্ত লোকদের থেকে দূরে থাকুন যারা আপনার বেশিরভাগ সময় অযথা কাজে নষ্ট করে।

    কর্কট রাশি

    স্বাস্থ্যের দিক থেকে, এই সপ্তাহে আপনার ছোটখাটো সমস্যা হতে পারে, তবে এই সময়ে কোনও বড় অসুস্থতা দেখা যায় না, তাই আপনি খুব খুশি হবেন। তবুও, আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করা উচিত নয় এবং সময়ে সময়ে যোগ,ব্যায়াম, ধ্যান করা উচিত যাতে আপনি নিজেকে ফিট এবং ফিট রাখতে পারেন। এই সপ্তাহে, আপনার বাড়িতে হঠাৎ, অঘোষিত অতিথির আগমন আপনার আর্থিক পরিস্থিতিকে বড় ক্ষতি করতে পারে। কারণ অতিথিদের খুশি করার প্রক্রিয়ায়, আপনি তাদের আতিথেয়তায় আপনার অর্থের চেয়ে বেশি ব্যয় করতে পারেন। এই সপ্তাহে বাড়ির কোনও সদস্যের অবস্থান পরিবর্তন করা সম্ভব, বা এমন একটি সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনি আপনার বর্তমান আবাসস্থল থেকে দূরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। এই সপ্তাহে, আপনাকে আপনার ব্যস্ত জীবনের কিছু সময় আপনার পরিবারের জন্য বের করতে, তাদের সাথে সময় কাটাতে এবং পরিবারের সাথে সম্পর্কিত যে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যাবে। এই সপ্তাহে, আপনার সৃজনশীল ক্ষমতার ব্যাপক হ্রাস ঘটবে, যার কারণে আপনি মেইল, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যম সঠিকভাবে ব্যবহার না করে আপনার উর্ধ্বতনদের খুশি করতে ব্যর্থ হবেন। এটি শুধুমাত্র আপনার প্রচারকে প্রভাবিত করবে না, তবে আপনার ক্যারিয়ারের বৃদ্ধিকেও কমিয়ে দেবে। এই সপ্তাহে, আপনি শিক্ষা ক্ষেত্রে আপনার দ্বারা করা কঠোর পরিশ্রমের সেরা ফলাফল পাবেন। বুধ আপনার চন্দ্র রাশিতে দশম ভাবে বিরাজ করছে, তাই আপনি যদি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের কথা ভাবছেন, তবে এই সময়টি তার জন্য বিশেষভাবে ভালো হবে। কারণ আপনি ভালো ফল পাবেন। তবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের এই সময়ে একটু কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।

    সিংহ রাশি

    শুধুমাত্র আপনিই জানেন আপনার জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো, তাই দৃঢ় ও স্পষ্টবাদী হোন এবং দ্রুত আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নিন এবং পরিণতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। এই সপ্তাহে, আপনার আয় এবং ব্যয়ের কথা মাথায় রেখে আপনাকে একটি সঠিক এবং ভাল বাজেট পরিকল্পনা করতে হবে। তাই সপ্তাহের শুরুতে এই বাজেট তৈরি করে সেই অনুযায়ী আপনার টাকা খরচ করুন। ইতিমধ্যে, আপনি আপনার বাড়ির বড়দের, বিশেষ করে আপনার বাবা-মায়ের সাহায্য এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে এটি তৈরি করতে পারেন। এই সপ্তাহে, আপনার মজার স্বভাবের কারণে, আপনি আপনার গৃহ-পারিবারিক পরিবেশকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনোরম করে তুলবেন। বুধ আপনার চন্দ্র রাশিতে নবম ভাবে বিরাজ করছে, এর সাথে সাথে, আপনার কিছু আত্মীয় বা বন্ধুরাও একটি চমৎকার সন্ধ্যায় আপনার বাড়িতে যেতে পারে। এই সময়টি খুব ভাল প্রমাণিত হবে কারণ এই সময়ে, আপনি কিছু নতুন পণ্য শুরু করতে পারেন। এর সাথে, আপনি এই সপ্তাহে কিছু নতুন ঝুঁকি নিতে পিছপা হবেন না, যা এই সময়ে অবশ্যই আপনার উপকার করবে। এই সপ্তাহে, আপনার রাশির শিক্ষার্থীদের তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি, সুস্থ থাকতে সময়ে সময়ে সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি আপনার দৈনন্দিন রুটিনও উন্নত করতে হবে। কারণ এই সময়ে অসুস্থ স্বাস্থ্যের কারণে আপনার শিক্ষা অর্জনের গতি বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার কারণে আপনাকে আসন্ন যে কোনও পরীক্ষায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে পারে।

    কন্যা রাশি

    আপনি যদি এই সপ্তাহে একটি সুখী জীবনযাপন করতে চান তবে আপনাকে সম্ভবত আপনার একগুঁয়েমনোভাবকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। কারণ এটি আপনার সময় নষ্ট করার পাশাপাশি অন্যদের সাথে আপনার সুসম্পর্কও নষ্ট করতে পারে। রাহু আপনার চন্দ্র রাশিতে অষ্টম ভাবে অবস্থান করছে এবং এর কারণে আপনি এই সপ্তাহে অর্থলাভ করবেন, তবে আপনি সেই অর্থে খুশি হবেন না। কারণ প্রাপ্ত অর্থ আপনার প্রত্যাশার চেয়ে কম হবে এবং আপনি হতাশ হতে পারেন। এসময় বুঝতে হবে যে মানুষ যতই পান না কেন, তার আকাঙ্ক্ষা কমে না। এই কারণেই আপনাকে এত টাকা দিয়ে সুখী হতে শিখতে হবে। পারিবারিক জীবনে, এই সপ্তাহে আপনাকে প্রতিটি পরিস্থিতিতে আপনার বিচক্ষণতা ব্যবহার করতে হবে এবং উন্নতি করতে হবে। কারণ এটা সম্ভব যে আপনার বাড়িতে একটু বেশি সময় কাটানো বাড়ির বাচ্চাদের খারাপ অভ্যাসের উপর আলোকপাত করতে সাহায্য করতে পারে। যার কারণে আপনাকে তাদের জন্য কিছু নিয়ম তৈরি করতে দেখা যাবে, তাদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করবে। আপনি এই সময়ে অংশীদারিত্বে যাই করুন না কেন, শেষ পর্যন্ত আপনার ক্যারিয়ারের জন্য সবচেয়ে উপকারী প্রমাণিত হবে। কিন্তু এর জন্য এটা সম্ভব যে এর মধ্যে আপনার অংশীদারদের বিরোধিতার কারণে আপনাকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। শিক্ষা ক্ষেত্রে, এই রাশির জাতক জাতিকাদের এই পুরো সপ্তাহে পছন্দসই ফলাফল পেতে তাদের গুরুজন এবং শিক্ষকদের সাহায্য নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে, বুঝতে হবে যে আপনি যদি প্রতিটি বিষয় একা বোঝার চেষ্টা করেন তবে আপনাকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শক্তি এবং সময় ব্যয় করতে হবে। তাই পড়াশোনার সময় বড়দের সাহায্য নেওয়াই আপনার জন্য ভালো হবে।

    তুলা রাশি

    বৃহস্পতি আপনার চন্দ্র রাশিতে সপ্তম ভাবে অবস্থান করছে এবং এই সপ্তাহে, স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আপনার অনুকূলে থাকবে। যার কারণে আপনি একটি ভাল এবং উন্নত স্বাস্থ্য উপভোগ করে সুখী হতে পারবেন। এর পাশাপাশি এই রাশির বয়স্ক ব্যক্তিরা এই সময়ে হাঁটু ও হাতের পুরনো সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। সম্ভাবনা রয়েছে যে এই সপ্তাহে আপনার বন্ধু, আত্মীয় বা আত্মীয়দের মধ্যে কেউ আপনার কাছে ঋণের জন্য একটি বড় অঙ্কের অর্থ চাইতে পারে। কেতু আপনার চন্দ্র রাশিতে প্রথম ভাবে বিরাজ করছে, তবে আপনি যদি এই সময় অর্থ দেন তবে সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দু-চার হতে হবে। তাই এই সপ্তাহে কাউকে ঋণে টাকা দেওয়া এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে কিছু পরিবর্তনের কারণে, এই সপ্তাহে আপনার প্রিয়জনের সাথে আপনার মতভেদ হতে পারে। যার কারণে আপনার সম্মান যেমন কমে যাবে, তেমনি পরিবারের উদাসীনতার মুখে পড়তে হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে এই পুরো সপ্তাহে, আপনাকে বিপরীত লিঙ্গের যে কোনও ব্যক্তির সামনে আপনার হৃদয় স্থাপন করা এড়াতে হবে। তা না হলে আপনার মানহানির পাশাপাশি আপনার ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এমন কিছু করবেন না যাতে আপনি পরে অনুতপ্ত হন। এই সপ্তাহে, শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা সম্পর্কিত এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার জন্য তারা এখনও প্রস্তুত নয়। এর ফলে আপনার মানসিক চাপও বাড়বে। এইরকম পরিস্থিতিতে, কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার জন্য একজন প্রবীণের সাথে পরামর্শ করা উপযুক্ত হবে।

    বৃশ্চিক রাশি

    এই সপ্তাহে আপনার মনে মিষ্টি জিনিস খাওয়ার ইচ্ছা জাগতে পারে। যা আপনাকে সম্পূর্ণ করতেও দেখা যাবে। তবে এই সময় আপনার ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আপনার এই ইচ্ছা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী ডায়াবেটিস বা ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দিতে পারে। বৃহস্পতি আপনার চন্দ্র রাশিতে ষষ্ঠ ভাবে উপস্থিত এবং আপনি যদি এই সপ্তাহে আপনার বন্ধু বা পরিবারের সাথে বেড়াতে যাচ্ছেন তবে আপনাকে আপনার অর্থ বুদ্ধিমানের সাথে ব্যয় করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে যে, এই সময়ে আপনি শুরুতেই প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে পারেন, যার কারণে আপনাকে পরে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই সপ্তাহ জুড়ে, আপনি সময়ে সময়ে আপনার ভাইবোনদের কাছ থেকে যথাযথ সমর্থন পাবেন এবং শুধুমাত্র তাদের সাহায্যে আপনি আপনার পারিবারিক জীবনকে সুচারুভাবে চালাতে সক্ষম হবেন। তাই এই বিষয়ে আপনার ভাইবোনদের সাথে যোগাযোগ রাখা আপনার পক্ষে ভাল হবে। এই সপ্তাহে, আপনার কথাবার্তায় রূঢ়তা দেখা যাবে, যার কারণে আপনাকে কর্মক্ষেত্রে অন্যের সাথে অনর্থক বা তুচ্ছ বিষয়ে তর্ক বা ঝগড়া করতে দেখা যাবে। এর নেতিবাচক প্রভাব শুধু আপনার ভাবমূর্তিরই ক্ষতি করবে না, বরং কর্মজীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার সহকর্মীদের কাছ থেকে যথাযথ সমর্থন পাওয়াও আপনার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে। বুধ আপনার চন্দ্র রাশিতে ষষ্ঠ ভাবে অবস্থান করছে এবং এই সপ্তাহে হোস্টেল বা বোর্ডিং স্কুলে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের একটু অতিরিক্ত যত্ন নেওয়ার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ তবেই আপনি শুভ ফল পাবেন। অন্যদিকে, আমরা যদি এমন শিক্ষার্থীদের কথা বলি যারা পড়াশোনার জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাহলে তারাও মধ্যম পর্বের পর কোনো নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে বিদেশি কলেজ বা স্কুলে ভর্তির সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ধনু রাশি

    স্বাস্থ্যের দিক থেকে সময়টি বিশেষভাবে ভালো যাবে এবং আপনার সুস্বাস্থ্যের ভিত্তিতে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের খুব যত্ন নেবেন। যার কারণে পরিবারে আপনার সম্মান বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃহস্পতি আপনার চন্দ্র রাশিতে পঞ্চম ভাবে বিরাজ করছে এবং সামগ্রিকভাবে এই সপ্তাহটি আপনার জন্য স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভালো হবে। আপনি যদি আপনার আয় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন এবং নতুন উৎস খুঁজছেন, তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র নিরাপদ আর্থিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে পরামর্শক বা বিশেষজ্ঞের সাহায্যও নিতে পারেন। এই সপ্তাহে আপনি আপনার জমায়েতে আপনার পুরানো বন্ধু বা কাছের ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। কারণ এই সময়ে আপনার অতিরিক্ত মানসিক শক্তি থাকবে, যা আপনাকে পার্টি বা অনুষ্ঠান আয়োজনে অনুপ্রাণিত করবে। যদিও, এই ধরনের কিছু করার আগে, আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করুন। আপনি এই সপ্তাহের শুরুতে আপনার সিনিয়রদের দ্বারা তিরস্কার করা অসমাপ্ত কাজগুলি সম্পূর্ণ করতে অক্ষম হতে পারেন। যার কারণে আপনার মানসিক চাপ বাড়বে এবং একই সাথে এই কাজগুলি আপনার কাছ থেকে নিয়ে অন্য সহকর্মীকে দেওয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে আপনার মন পড়াশোনার কাজে নিযুক্ত থাকবে। এটি আপনাকে বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে এবং ফলস্বরূপ, আপনি আপনার পরীক্ষায় সাফল্যের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যাবে।

    মকর রাশি

    পিতামাতার অসুস্থতা এই সপ্তাহে আপনার উদ্বেগের প্রধান কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সব ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখতে এবং আপনার মানসিক শান্তির জন্য কোনো না কোনো কাজে সময় কাটান। এটা সম্ভব যে এই সপ্তাহে আপনি একটি ATM থেকে টাকা তুলতে পারেন, কিন্তু কোনো কারণে সেই টাকা বা আপনার মানিব্যাগ হারিয়ে যেতে পারে। তাই এমন প্রতিটি প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়াতে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। অন্যথায় এসব বিষয়ে আপনার সতর্কতার অভাব আপনার বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই সপ্তাহে আপনি আপনার জমায়েতে আপনার পুরানো বন্ধু বা কাছের ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। কারণ এই সময়ে আপনার অতিরিক্ত শক্তি থাকবে, যা আপনাকে পার্টি বা অনুষ্ঠান আয়োজনে অনুপ্রাণিত করবে। যাইহোক, এই ধরনের কিছু করার আগে, আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করুন। এই পুরো সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। যাইহোক, এই সময়ে, আপনি এই চ্যালেঞ্জগুলি থেকে ভবিষ্যতের বিষয়ে অনেক কিছু শিখতে সক্ষম হবেন। বুধ আপনার চন্দ্র রাশিতে চতুর্থ ভাবে বিরাজ করছে, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হতে চান তাদের জন্য এই সপ্তাহটি স্বাভাবিকের থেকে অনেক ভালো যাবে। কারণ এই সময়ে আপনার পূর্বের পরিশ্রমের প্রতিফল ঘটবে, যাতে আপনি আপনার ইচ্ছানুযায়ী একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন।

    কুম্ভ রাশি

    শনি আপনার চন্দ্র রাশিতে প্রথম ভাবে রয়েছে এবং এই সপ্তাহে আপনাকে কর্মক্ষেত্রে আপনার আবেগ, বিশেষ করে আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ এটি সম্ভব যে আপনি কোনও সহকর্মীর দ্বারা প্রতারিত হতে পারেন, যার কারণে আপনি তাদের সাথে ঝগড়াও করতে পারেন। ফলস্বরূপ, আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করা ছাড়াও, আপনি এমনকি আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করে তাদের তিরস্কার করতে পারেন। এই সপ্তাহে, আপনাকে আপনার সমস্ত বিনিয়োগ এবং এর সাথে সম্পর্কিত সমস্ত ভবিষ্যত পরিকল্পনা গোপন রাখতে হবে। অন্যথায়, আপনার কাছের কেউ, আপনার এই পরিকল্পনাগুলির সুযোগ নিয়ে আপনার অর্থ ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রায়শই আপনি অন্যের ইচ্ছাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নিজের পরিকল্পনা তৈরি করেন। তবে এই সপ্তাহে আপনার এটি করা আপনাকে অনেক বিরক্ত করতে পারে। তাই এই সপ্তাহে আপনার কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয় তা আপনার পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্ত নিতে দেবেন না। তবেই আপনি নিজেকে সুখী রাখতে পারবেন। এই সপ্তাহে, কর্মক্ষেত্রে অন্যকে এমন কাজ করতে বাধ্য করবেন না, যা আপনি নিজে করতে চান না। কারণ এই সময়ে আপনার স্বভাবে কিছু স্বার্থপরতা বাড়বে। যার কারণে আপনি আপনার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার অধীনে কর্মরত কর্মীদের কিছু অকেজো কাজ দিতে পারেন। এই সপ্তাহে অনেক ছাত্রছাত্রীর উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা পূরণ হবে। তবে এর জন্য তাদের পথে আসা অনেক চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হবে এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই তারা সফলতা পাবে। যদিও, এই সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিটি চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে শক্তভাবে লড়াই করতে সক্ষম হবে, এবং এটি জয় করতেও সফল হবে।

    মীন রাশি

    এই সপ্তাহে আপনার সমস্ত ধরণের ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত, অন্যথায় আপনি এর কারণে ক্লান্ত এবং চাপ অনুভব করবেন। যার নেতিবাচক প্রভাব আপনার স্বাস্থ্যের উপরও দৃশ্যমান হবে। আপনার চন্দ্র রাশিতে শনি দ্বাদশ ভাবে এবং কেতু অষ্টম ভাবে বিরাজ করছে।এই সপ্তাহে অর্থ সংক্রান্ত নানা সমস্যার কারণে আপনি অস্থির থাকতে পারেন। এ জন্য আপনার বিশ্বাসযোগ্য কারো কাছ থেকে পরামর্শ ও প্রয়োজন হলে তাদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তাও নেওয়া উচিত। এই সপ্তাহে আপনি নিজের উপর রাগ করবেন, কারণ আপনি অনুভব করবেন যে আপনার পরিবারের হস্তক্ষেপের কারণে আপনি নিজের শর্তে আপনার জীবনযাপন করতে পারবেন না। এমতাবস্থায় বাড়ির সদস্যদের কাছেও এই বিষয়ে আপনার স্বভাব কিছুটা বিপর্যস্ত মনে হবে। এই সপ্তাহে, আপনি আপনার আগের অমীমাংসিত কাজগুলি সময়মতো সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন, যার কারণে কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি, বেতন বৃদ্ধি এবং উচ্চ পদে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকৌশল, আইন ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য এই সময়টি স্বাভাবিকের চেয়ে ভালো হবে। কারণ এই সপ্তাহে আপনি আপনার ইচ্ছানুযায়ী বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুসংবাদটি আপনার কাছের বন্ধুর মাধ্যমে পেতে পারবেন। যদিও, এই সময়েও আপনাকে এই জিনিসটি আপনার মনে রাখতে হবে যে কঠোর পরিশ্রম অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে। অতএব, এটি মাথায় রেখে আপনার প্রচেষ্টাকে সঠিক দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suicide: মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ! রহস্য ঘনীভূত

    Suicide: মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ! রহস্য ঘনীভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নকশাল কেবিন থেকে বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ (Suicide) উদ্ধার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মৃতের নাম দুলাল ভক্তা (৪৯)। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার বিরিহান্ডির বাগছাপা গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ মে অর্থোপেডিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন দুলাল। কেবিনের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকলেও কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার দুপুরে বাথরুমে গিয়ে গলায় গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাথরুম থেকে না বের হওয়ায় ভিতরে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পান, ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন দুলাল। তাকে উদ্ধার করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় হাসপাতালে শোরগোল পড়ে যায়।

    কী মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে?

    জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম থানার ২০২২ সালের একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়গ্রাম জেলে বিচারাধীন বন্দি ছিলেন দুলাল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬, ৩০৭ ধারায় মামলা ছিল। চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ১ এপ্রিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে গত ৫ মে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ ঘটনা (Suicide) ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী জানালেন হাসপাতাল সুপার?

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত বলেন, হাসপাতালের নকশাল কেবিনে এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ (Suicide) উদ্ধার হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সেখানে। তবে এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে একদিকে যেমন রহস্য ঘনীভূত হয়েছে, তেমনি নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে তিনি ওইরকম কাণ্ড ঘটালেন, সেটাই ভাবাচ্ছে সবাইকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এবিভিপি-র ওপর হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

    ABVP: বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এবিভিপি-র ওপর হামলার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ব্যর্থ করতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল। এদিন সকাল থেকেই বন্‌ধকে সফল করতে শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের সামনে এবিভিপি’র সদস্যরা পিকেটিং করে। মূল অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একদল কর্মী বন্‌ধ ব্যর্থ করতে এসে আচমকা এবিভিপির সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এবিভিপি সদস্যদের বাঁশ, রড দিয়ে পেটানো হয়। তাতে এবিভিপি-র কয়েকজন ছাত্র জখম হয়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হলে একজন বাদে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

    কেন এই বন্‌ধ? 

    এবিভিপির তরফে জানানো হয়েছে, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাধিক অসুবিধার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার পলিটেকনিক কলেজে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্মারকলিপি দিতে গেলে এবিভিপি-ই বাধা দেয়। এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ির পলিটেকনিক কলেজ চত্বর। বাদানুবাদ থেকে দু-পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় সংগঠনের দুই কর্মী জখম হওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতেই শিলিগুড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি। সেই সঙ্গে শুক্রবার ১২ ঘন্টা শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজ ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।

    কেন তৃণমূলের হামলা?

    এই বন্‌ধকে ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সকাল থেকেই কলেজের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি থানার আইসি অনুপম মজুমদার। শান্তিপূর্ণভাবে এবিভিপি পিকেটিং করছিল। সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী বন্‌ধকে সমর্থন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তারা এবিভিপির ছেলেদের কলেজ ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। শুরু হয় দু-দলের মধ্যে বচসা, তারপর এবিভিপির সদস্যদের মারধর শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীদের দল এবিভিপি সদস্যদের মাটিতে ফেলে পেটায়। এবিষয়ে এবিভিপির রাজ্য কমিটির সদস্য অনিকেত দে সরকার বলেন, আমরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করছিলাম। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকজন আমাদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মেরেছে৷ অনেকেই জখম হয়েছে।পুলিশের সামনে গোটা ঘটনা ঘটেছে।

    কী বলছে তৃণমূল ও পুলিশ?

    দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (সমতল) সভাপতি তনয় তালুকদার বলেন, মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি৷ রড, লাঠি নিয়ে এবিভিপির কিছু গেরুয়া গুন্ডা এখানে এসে দাঁড়িয়েছিল। আমরা স্লোগান দিলে তারা ভয়ে এখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন এবিভিপির ডাকা বন্‌ধকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এবিভিপির সদস্যরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। সময়মতো পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    বিধায়কের নিন্দা

    খবর পেয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এবিভিপির জখম কর্মী-সমর্থকদের দেখতে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুন্ডাবাহিনী পুলিশের সামনে এবিভিপির শান্তিপূর্ণ পিকেটিংয়ে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes & Mangoes: ডায়াবেটিসে কি আম খাওয়া যেতে পারে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Diabetes & Mangoes: ডায়াবেটিসে কি আম খাওয়া যেতে পারে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালে রসনা মেটাতে আমের বিকল্প খুব কমই আছে। তাইতো আমকে বলা হয় ফলের রাজা! পুষ্টিবিদদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আম (Diabetes & Mangoes) খুবই বড় ভূমিকা নেয়, ভিটামিন ই, কে, বি কমপ্লেক্সে ভরপুর থাকে আম। পাশাপাশি আমে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার। কিন্তু আমে শর্করা থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা কি আম খেতে পারবেন? এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় আজকে আমরা আলোচনা করব এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন সে নিয়ে।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত…

    ১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। মানতে হয় নানা স্বাস্থ্যবিধি, ডায়েটে রয়েছে নানা বিধি নিষেধ। জীবনধারার এই রোগ সাধারণত তখনই হয় যখন রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং অগ্নাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা। চিকিৎসকরা বলছেন ‘‘ডায়াবেটিকদের শরীরের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হয় এবং কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খেতে হয়। প্রসঙ্গত, কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়ায় না।’’ তাই ডায়াবেটিসে যে কোনও ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ডায়াবেটিসে পরিমিত মাত্রায় আম (Diabetes & Mangoes) খাওয়া যেতেই পারে।’’ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, হজমের কোন সমস্যা থাকলে আম তা নিরাময়ে সাহায্য করে। 

    ডায়াবেটিকরা কি আম (Diabetes & Mangoes) খেতে পারেন?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘আমে (Diabetes & Mangoes) চিনির মাত্রা অনেক বেশি তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খাওয়া নিষিদ্ধ।’’ তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে, আম যদি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে তা খুব বেশি ক্ষতি করবে না। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, অল্প পরিমাণে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না, তাই চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘রোগীর শর্করার মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে তাঁরা পরিমিত আম খেতেই পারেন।’’

    সুগারে কতটা পরিমান আম খাওয়া যেতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তের শর্করার বৃদ্ধি রোধ করতে সাধারণভাবে আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অর্ধেক কাপ অর্থাৎ কিনা ৮২.৫ গ্রাম আম খেয়ে প্রথমে দেখতে হবে রক্তের শর্করার পরিমাণ বেড়েছে কিনা, যদি বাড়ে তাহলে মাপতে হবে তা কতটা বেড়েছে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আম খাওয়ার পরিমাণ নির্ণয় করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের সাবধান বাণী, নিয়মিতভাবে সুগার লেভেল চেক করেই খাওয়া উচিত আম। তবে আমের জুশ একেবারেই নিষিদ্ধ বলছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Education: বন্ধের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন সুকান্ত

    Education: বন্ধের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পুরো পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি দায়ী করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ধারণা আছে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি আদৌ কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন কি না, তা অবশ্য আমার জানা নেই। কিন্তু তাঁর যে কোনও ধারণা নেই, রাজ্যে একের পর এক ভোট বিশ্ববিদ্যালয় (Education) গড়ে তিনি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুরেরটাও একটা ভোট বিশ্ববিদ্যালয়। হয়তো পরের ভোটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বালি, সিমেন্ট বরাদ্দ হবে।’ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘গত বিধানসভা ভোটের আগে তড়িঘড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও নিজস্ব ভবন নেই, কর্মী নেই, অধ্যাপক নেই। অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। সীমানা প্রাচীরও নেই। ভাড়া বাড়িতে ক্লাস চলে। এ কেমন বিশ্ববিদ্যালয়! আমরা প্রশাসনে নেই। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঞ্চিত পড়ুয়াদের পাশে সরাসরি দাঁড়ানোর মতো অবস্থা আমাদের নেই। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের জন্য আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হব।

    ক্ষোভে ফুঁসছেন জেলাবাসী

    রাজ্যের একমাত্র উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবার ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলার বঞ্চনার ফিরিস্তিতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জুড়ে যাওয়াকে ভালোভাবে নিচ্ছে না জেলাবাসী। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এখনও এখানে কেন উপাচার্য নিয়োগ করছেন না, রাজ্য উচ্চশিক্ষা (Education) দফতরই বা কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে না, এসব নিয়েই বাড়ছে ক্ষোভ। এনিয়ে এদিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন ছাত্র, শিক্ষক, গবেষকরা?

    বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র বলেন, উপাচার্য না থাকায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এখনও স্থায়ী বিল্ডিং নেই। আমাদের নতুন কোনও অধ্যাপকও দেওয়া হচ্ছে না। এনিয়ে আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যাগুলি থেকে আমাদের রেহাই দেওয়া হোক।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Education) দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা বিশিষ্ট শিক্ষক কৃষ্ণপদ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর আমরা জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা দু’বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও উন্নতি হল না। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের কাজ হল না। এখন আবার উপাচার্যও নেই। আমরা ফের এনিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। ইতিহাস গবেষক সমিত ঘোষ বলছেন, ‘প্রান্তিক অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার অধিকারের জন্যই এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নতি না করে উল্টে দুর্বল করা হচ্ছে। এটা যথেষ্ট চিন্তার। দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ করা ছাড়াও নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া আশু প্রয়োজন।’

    শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগ ছাত্র পরিষদের

    এনিয়ে ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদের বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকারের উদাসীন মনোভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Education) আজ বন্ধের মুখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ কী? এই উদাসীন মনোভাবের জন্য জেলার শিক্ষাব্যবস্থা বিশ বাঁও জলে। বিভেদকামী শক্তিগুলি যখন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে বিভাজন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন উত্তরবঙ্গের এক প্রান্তিক জেলার সঙ্গে এমন বঞ্চনা তাদেরই প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই শিক্ষামন্ত্রীকে মেল করেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সহ অন্যান্য সমস্যাগুলি মেটানোর আর্জি জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc Extortion: তোলাবাজির অভিযোগ! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কোন্দল গড়ালো আদালতে

    Tmc Extortion: তোলাবাজির অভিযোগ! শিলিগুড়িতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কোন্দল গড়ালো আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটে আইএনটিটিইউসি-র দুই গোষ্ঠীর লড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে। সংগঠনের বাজার কমিটির প্রাক্তন সভাপতি উমাশঙ্কর যাদবের সঙ্গে বর্তমান সভাপতি শ্যাম যাদবের গদি দখলের লড়াইকে (Tmc Extortion) কেন্দ্র করে অনেকদিন ধরেই শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার উত্তপ্ত। মাঝেমধ্যে ছোটখাট গোষ্ঠী সংঘর্ষও লেগেই আছে।

    তোলা আদায়ের অভিযোগ করায় মামলা

    এই লড়াইয়ে শ্যাম যাদবকে অনৈতিক সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি নির্জল দে-র বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন উমাশঙ্কর যাদব। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় উমাশঙ্কর যাদব বিবৃতি দিয়ে নির্জল দে-র বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মোটা টাকা নিয়ে নির্জল দে শ্যাম যাদবকে অন্যায় কাজে মদত দিয়ে যাচ্ছেন। তার জন্যই শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট গত আটমাস ধরে উত্তপ্ত (Tmc Extortion)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এধরনের তোলাবাজির অভিযোগ করায় উমাশঙ্কর যাদবের বিরুদ্ধ ১৫ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি নির্জল দে। তিনি বলেন, উমাশঙ্কর যাদব আমার বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য আমি গত বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে উমাশঙ্কর যাদবের বিরুদ্ধে ১৫ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা করেছি।

    পাল্টা মামলার হুমকি উমাশঙ্করের

    উমাশঙ্কর যাদব বলেন, আমি এখনও কোনও মামলার চিঠি পাইনি। তাই মামলা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে আমার বিরুদ্ধে নির্জল দে মামলা করলে আমিও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করবো। আমার কাছে মামলা করার মতো পর্যাপ্ত নথি ও প্রমাণ রয়েছে। শ্যাম যাদবকে অনৈতিকভাবে এখানকার কমিটিতে সভাপতি বানিয়ে তাকে সামনে রেখেই তোলাবাজি (Tmc Extortion) করে চলেছেন নির্জল দে। মর্জিমতো শ্রমিক ছাঁটাই করছেন। এফসিআই’তে কাজের নাম করে বিহার থেকে শ্রমিক এনে রেগুলেটেড মার্কেটে কাজ করাচ্ছেন। এজন্য মোটা টাকা তাঁরা তুলছেন। স্থানীয় শ্রমিক কাজের সুযোগ হারাচ্ছে। এনিয়ে দোলা সেন সহ তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব ও মন্ত্রীদেরও চিঠি দিয়েছি। তারপরেও কিছুদিন আগে ছজন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে।  এর প্রতিবাদে গত ন’দিন ধরে আমরা বাজারে ধর্নায় বসেছি।

    কেন এই গোষ্ঠী-বিবাদ?

    শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর লড়াই দীর্ঘদিনের। একসময় উমাশঙ্কর যাদব আইএনটিটিইউসির এই বাজার কমিটির সভাপতি ছিলেন। নির্জল দে আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং (সমতল) জেলা সভাপতি হয়ে আসার পরপরই উমাশঙ্কর যাদবকে সরিয়ে শ্যাম যাদবকে সভাপতি করা হয়। উমাশঙ্কর যাদবের অভিযোগ, অনৈতিকভাবে মুখের কথায় শ্যাম যাদবকে নির্জল দে সভাপতির চেয়ারে বসিয়েছেন নিজের স্বার্থসিদ্ধি (Tmc Extortion) করার জন্য। কিন্তু এখানকার শ্রমিকরা তার পাশে নেই। শ্যাম যাদব  দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এখানে পুরনো শ্রমিক ছাঁটাই করে বিহার থেকে শ্রমিক এনে কাজ করাচ্ছেন। পুরনো শ্রমিকরা তা মেনে নিতে পারছেন না। কেননা তাঁরা জানেন, বিহার থেকে কেন শ্রমিক আনা হচ্ছে।

    কী বলছেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি

    নির্জল দে বলেন, এধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের জন্য আমি উমাশঙ্কর যাদবের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তিনি যদি আমার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন, তাতে আমার বলার কিছু নেই। শ্যাম যাদবকে  সভাপতি করা হয়েছে সংগঠনের নিয়ম মেনে। এখানে কোনও অনৈতিক কাজ (Tmc Extortion) হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam: ‘‘ইডি দফতরে হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায়?’’ কয়লা-কাণ্ডে মলয়কে প্রশ্ন দিল্লি হাইকোর্টের

    Coal Scam: ‘‘ইডি দফতরে হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায়?’’ কয়লা-কাণ্ডে মলয়কে প্রশ্ন দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার (Coal Scam) মামলায় মন্ত্রী মলয় ঘটককে ন’ বার হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। শেষবারের নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূলের মন্ত্রী দারস্থ হন দিল্লি হাইকোর্টে। এবার তাঁর হাজিরা এড়ানো নিয়েই প্রশ্ন তুলল দিল্লি হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, এই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, মন্ত্রীর ইডি দফতরে হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায়? প্রসঙ্গত, মলয় ঘটকের তরফে এই মামলা লড়ছেন, আইনজীবী ফারুখ রজ্জাক। তিনি আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল অত্যন্ত ব্যস্ত। সেকারণেই হাজিরা দিতে পারছেন না। বিরোধী মহলের অবশ্য দাবি, গ্রেফতারি এড়াতেই বারবার হাজিরা এড়াচ্ছেন মলয় ঘটক। মলয়ের আইনজীবী এদিন যুক্তি খাড়া করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞাসাবাদে ছাড় দিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরমকে। পাল্টা হিসাবে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘দুজনেই মহিলা ছিলেন, এছাড়া মলয় ঘটকের সঙ্গে তাঁদের মামলার প্রেক্ষাপটও মেলেনা।’’ ইডির আইনজীবী এদিন আরও বলেন, ‘‘এভাবে জেরা এড়িয়ে অসহযোগিতা করছেন উনি। পাশাপাশি তিনি আইন ভাঙছেন, অপরাধ করছেন৷’’

    কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Scam) প্রথম থেকেই সামনে ছিল মন্ত্রীর নাম 

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Scam) প্রথম থেকেই সামনে এসেছিল আসানসোলের এই বিধায়কের নাম। খনি অঞ্চলের শাসক দলের নেতা হিসাবে তাঁর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারের একাধিক অভিযোগ ওঠে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিধায়ক হিসেবে মলয় ঘটকের কোনও ভূমিকা কী ছিল, তিনি কোনওভাবে লাভবান হয়েছিলেন কি না, কোনও রকম প্রভাব খাটিয়েছিলেন কি না, সেটাই খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। 

    দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ…

    বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মার এজলাসে এদিন এই মামলার শুনানি হয়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে ১৫ দিনের নোটিস দিতে হবে ইডিকে৷’’ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১০ অগাস্ট ধার্য করেছে কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

    Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আরামবাগে (Arambagh) খোঁজ মিলল কানা দ্বারকেশর নদীর। সার্ভে করে নদীর চূড়ান্ত পর্যায়ের মাপজোকের পর আরামবাগের চাঁদুর ফরেস্টে মিলল এর অস্তিত্ব। হারিয়ে যাওয়া নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে প্রবল উৎসাহিত।

    নদীর প্রবাহ কেমন ছিল?

    আরামবাগ (Arambagh) শহরের বাইশ মাইল এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদী থেকে শাখা নদীটি বেরিয়েছে, এলাকায় যা কানা দ্বারকেশ্বর নামে পরিচিত। কানা দ্বারকেশ্বরের বুক দিয়ে একসময় বইতো বিপুল জলরাশি। যার স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গিয়েছে নদীর চরা পড়া জমিতে। বর্তমানে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে এই খাল আঁকাবাঁকা পথে বইছে। শহরের ভিতর খালটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে। খালটির উৎসমুখ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঁটার মোড়ে। শহরের ভিতর একাধিক জায়গায় খালের প্রবাহপথ কিন্তু বর্তমানে হারিয়ে গিয়েছে। যার সন্ধানেই শুরু হয় সার্ভের কাজ। শহর থেকে বেরিয়ে খালটি মিলেছে মলয়পুর খালে। সেই খাল খানাকুলের অরোরা খালে এবং তারপরে রূপনারায়ণ নদে মিশেছে। প্রসঙ্গত, কানা দ্বারকেশ্বর এখন মৃতপ্রায়। এলাকায় জবরদখলের সঙ্গে নোংরা ও কচুরিপানা জমে নদীর প্রবাহ এখন বর্তমানে অবরুদ্ধ। গতিপথের সন্ধানে সার্ভের কাজে নামে মহকুমা সেচ দফতর ও পুরপ্রশাসন।

    উদ্ধারে প্রশাসনের ভূমিকা

    কয়েকমাস আগে থেকে আরামবাগে (Arambagh) সার্ভের কাজ শুরু করে মহকুমা প্রশাসন। বুধবার আরামবাগ পুর প্রশাসন, আরামবাগ মহকুমার ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক, আরামবাগ চাঁদুর ফরেস্টের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় চাঁদুর ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকা ও ফরেস্টের ভিতরের কিছু অংশে। চুড়ান্ত পর্যায়ে নদীর মাপ হয় চাঁদুর ফরেস্ট অঞ্চল এবং তেলিপাড়া মৌজায়। ১৯৩৩ সালে এই দুটি মৌজা থেকে দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে দ্বারকেশ্বর নদী। আরামবাগ পুর প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার, আরামবাগ ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ও ফরেস্টের একজন আধিকারিক উপস্থিত থেকে চূড়ান্তভাবে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্বকে চিহ্নিতকরণ করেন।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত

    এই বিষয়ে আরামবাগ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার বলেন, ফরেস্টের পাশে দ্বারকেশ্বর নদীর যে কানা খালটি আছে, তা কেউ জানতো না। এই খালটি আমাদের পুরসভার যে হেলথ সেকশন আছে, তারপর থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। খালটি ১৯৩৩ সালের ম্যাপ অনুযায়ী কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত কেউ জানতো না। আমাদের কাজ কানানদীর অস্তিত্ব চিহ্নিত করা। সেই অনুযায়ী এদিন চূড়ান্তভাবে কানানদীর গতিপথ চিহ্নিত করা হল। বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার ও সেচ দফতরের। অপরদিকে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কাজটি শুরু করেছিলাম। একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। আরামবাগ পুর প্রশাসন রিপোর্ট দিলে সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হবে এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে। আরামবাগ (Arambagh) মাস্টার প্লানের অন্তর্ভুক্ত এই শাখা নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হলে উপকৃত হবেন আরামবাগ শহর এবং গোটা মহকুমার লক্ষাধিক মানুষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Snacks: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় জনপ্রিয় হয়েছিল সিঙারা! কিন্তু এর উৎপত্তি কোথায়?

    Snacks: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় জনপ্রিয় হয়েছিল সিঙারা! কিন্তু এর উৎপত্তি কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধ্যার জলখাবার কিংবা যে কোনও সময় খিদে পেলে সিঙারার তুলনা হয় না। আর তার সঙ্গে যদি এক কাপ গরম চা হয়ে যায়, তাহলে তো কথাই নেই। কোথাও সিঙারা, আবার কোথাও সামোসা। ভারতে খুবই জনপ্রিয় পদ এটি, খেতেও জবরদস্ত! তাই আট থেকে আশি, সবারই পছন্দের খাবার এই সিঙারা। কিন্তু এর উৎপত্তি নিয়ে আছে অনেক বিতর্ক, আছে লম্বা এক ইতিহাস। সাধারণের মাথায় প্রশ্ন জাগতেই পারে, সামান্য একটি সিঙারার আবার কী ইতিহাস থাকতে পারে? হ্যাঁ, এর একটি ইতিহাস আছে, যা শুনলে অবাকই হবেন। 

    কীভাবে উৎপত্তি হল এই খাবারের?

    সাধারণত আমরা গুগল সার্চ করলে দেখতে পাই, এই সিঙারা বা সামোসার উৎপত্তি বাংলাদেশে। এটি বাংলাদেশের খাবার বলেই বেশি পরিচিতি লাভ করেছে গোটা ইন্টারনেট জুড়ে। কিন্তু আসলে এর উৎপত্তি বাংলাদেশ বা ভারতবর্ষে নয়, উৎপত্তি ফরাসি শব্দ ‘সংবোসাগ’ থেকে। সেই ‘সংবোসাগ’ই ভারতে হিন্দিভাষীদের কাছে সামোসা বা বাঙালিদের কাছে সিঙারা নামে পরিচিত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই খাবারটির উৎপত্তি এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যেই। মধ্যপ্রাচ্যের তুর্কিদের কাছে একটি প্রিয় এবং মুখরোচক খাবার ছিল এই সামুচা বা সামোসা। পরে ভারতবর্ষে তুর্কি আগমনের পর এই খাবার এখানেও জনপ্রিয়তা পায়, গোটা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই খাবারটি। 

    বিখ্যাত পর্যটক, লেখকদের লেখায় এর উল্লেখ 

    ইরানি ঐতিহাসিক আবুল ফজল বেহাকির লেখা ‘তারিখ-এ-বেহাগি’ নামের বইয়ে এই সিঙারা বা সামোসার উল্লেখ পাওয়া যায়। যতদূর জানা গেছে, তখন সামোসাগুলি আকারে ছোট ছোট হত, যেগুলি তখন ‘সাম্বোসা’ নামে পরিচিত ছিল। সেই সময় মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটক ও বণিকরা ঘোড়া বা উটের পিঠে নানা জায়গায় ভ্রমণ করত, আর খিদে পেলে তাদের ছোট ছোট ঝোলা থেকে বের করত এই সাম্বোসা। এগুলো আকারে ছোট হওয়ায় সহজে সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেত ও যেখানে খুশি খাওয়া যেত। 

    দিল্লির সুলতানি যুগেও সিঙারার নাম পাওয়া যায়

    আবার দিল্লির সুলতানি যুগেও এই খাবারটির চল ছিল বলে জানা যায়। তৎকালীন সুলতানি যুগের রাজকবি আমির খসরু, যিনি ভারতের তোতাপাখি নামে পরিচিত ছিলেন, তাঁর বই থেকে এই সিঙারার নাম পাওয়া যায়। যেখানে কোনও এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘রাজকুমারগণ, আভিজাত্যরা মাংস, পেঁয়াজ ও ঘি দিয়ে তৈরি সামোসা উপভোগ করতেন’। এছাড়াও জানা যায়, দিল্লির তদানীন্তন রাজা মহম্মদ বিন তুঘলকের খুব প্রিয় ছিল এই সামোসা। তখন তাঁর রাজদরবারে রয়্যাল স্ন্যাক্সেরও নাকি মর্যাদা পেত এই খাবার। মুঘল আমলেও জনপ্রিয় ছিল এই পদটি। আবুল ফজলের লেখা ‘আইন-ই-আজবরি’ গ্রন্থ থেকে ‘সানবুসাহ ‘ নামক একটি খাবারের উল্লেখ পাওয়া যায়, যেটির ভিতরে মাংসের পুর থাকত এবং নামি দামি অনেক মশলাও ব্যবহার করা হত। 

    বাংলতেও প্রচলিত ইতিহাস আছে সিঙারার

    মনে করা হয়, বাংলায় প্রথম সিঙ্গারার প্রচলন শুরু প্রায় ১৭০০ এর দশকে, নদিয়া জেলায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের হাত ধরে। এক সময় রাজ দরবারের রাঁধুনি গিরিধারী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে খাবার হিসেবে লুচি দেন। কিন্তু রাজা কোনও এক বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় লুচি ঠান্ডা হয়ে যায়। পরে গিরিধারীকে এই লুচি বদলে অন্য খাবার নিয়ে আসার অনুরোধ জানান। কিন্তু খাবার বদলে আনা হয় মিষ্টি, যা রাজার একদম পছন্দের জিনিস ছিল না। কারণ কৃষ্ণচন্দ্রের ছিল মধুমেহ। তাই রেগে গিয়ে রাজা গিরিধারীকে শূলে চড়ানোর আদেশ দেন। পরের দিন গিরিধারীর স্ত্রী ধরিত্রীদেবী কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং রাজার কাছে আরেকটিবার সুযোগ চান। রাজা আদেশ দেন তাঁর জন্য কোনও গরম খাবার বানিয়ে আনতে। ধরিত্রীদেবী রান্নাঘরে গিয়ে বুঝতে পারছিলেন না, কী এমন খাবার বানানো যায়। তখন তিনি লুচি বানিয়ে তার মধ্যে আগে থেকে রান্না করে রাখা ঠান্ডা তরকারি মিশিয়ে পুর হিসেবে ব্যবহার করে গরম ঘিতে ভেজে নিলেন এবং সেটি রাজাকে দিলেন। রাজা খেয়ে অনেক খুশি হয়ে তার রাঁধুনি গিরিধারীকে ছেড়ে দিলেন এবং এই খাবার হয়ে উঠল জনপ্রিয়, যা বর্তমানে সিঙারা নামে পরিচিত।

    অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, পাড়ার দোকানে পাওয়া সামান্য টাকার সিঙারার কত বড় ইতিহাস। যা একসময় রাজরাজাদের খাবার হিসাবেই পরিচিত ছিল। এটি আরবের দেশগুলোতে সানবাস্সাজ, আফগানিস্তানে সাম্বোসা, তুর্কিতে সাম্সা, পোর্তুগাল মোজাম্বিকে চেমুকা, পাকিস্তানে ‘সমসা’ ও আমাদের বাংলায় সিঙারা নামে আজও জনপ্রিয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share