Tag: Madhyom

Madhyom

  • Arambagh: সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক মুখ! প্রাণ রক্ষা পেল মুমূর্ষু রোগীর

    Arambagh: সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক মুখ! প্রাণ রক্ষা পেল মুমূর্ষু রোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিন্দু রক্ত যে মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণ মিলল। সিভিক ভলান্টিয়ারের মানবিক রূপ দেখলেন আরামবাগবাসী (Arambagh)। এক সিভিক ভলান্টিয়ার নিজে রক্ত দিয়ে মুমূর্ষু এক রোগীর প্রাণ বাঁচালেন। সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানালেন সকলে।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    আরামবাগ (Arambagh)  ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মীর শামসেদ তার ২২ বছরের অসুস্থ মেয়েকে আরামবাগ (Arambagh)  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা মেয়ের জন্য তাঁকে রক্ত জোগাড় করতে বলেন, তা না হলে রোগীকে  বাঁচানো যাবে না বলে জানানো হয়। শামসেদসাহেব ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তের খোঁজ করেন। কিন্তু, সেখানে রক্ত না থাকায় চারিদিকে হন্যে হয়ে তিনি রক্ত খুঁজছিলেন। কোথাও রক্তের হদিশ পাননি তিনি। অবশেষে শামসেদসাহেব আরামবাগ ট্রাফিকের ওসি সরোজ কুন্ডুর কাছে গিয়ে তাঁর সমস্যার কথা বলেন। ওই পুলিশ আধিকারিক রক্তের গ্রুপ জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন। তুহিন শুভ্র হাজরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার ওই পুলিশ আধিকারিককে রক্ত দেওয়ার কথা জানান। তুহিনের বাড়ি আরামবাগ (Arambagh) থানার জয়রামপুর গ্রামে। তিনি রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতালে চলে যান। সেখানে তিনি রোগীর জন্য রক্ত দেন। শামসেদসাহেব বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব। তাঁরজন্য আমার মেয়ের জীবন রক্ষা পেল।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    আরামবাগ (Arambagh) ট্রাফিকের ওসি সরোজ কুন্ডু বলেন, ওই রোগীর বাবাকে চরম অসহায় দেখাচ্ছিল। তিনি মেয়ের রক্তের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন। তাঁর কাছে রক্তের গ্রুপ জেনে আমি পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করি। আর তাতেই কাজ হয়ে যায়। ওই সিভিক নিজেই উদ্যোগী হয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি তাঁকে সঙ্গে করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করি।

    কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?

    এ বিষয়ে অবশ্য রক্তদাতা সিভিক ভলান্টিয়ার তুহিন শুভ্র হাজরা বলেন, আমি একজন মানুষ হিসাবে অন্য একজন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারিনি।  আমার এই ছোট উদ্যোগে ওই রোগী উপকৃত হলেন। কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে সকলের দাঁড়ানোর দরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    Post Poll Violence: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা  অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তদশ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু তার ঠিক পরই কোভিডবিধি অমান্য করে বিজয়োল্লাসের নামে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে সন্ত্রাস (Post Poll Violence) চলেছিল, তাতে অভিযোগের তির ছিল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। ২ মে দুপুর ১২ টা থেকে কলকাতা শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের এগিয়ে থাকা আসনগুলিকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় উল্লাস। কালীঘাটে প্রচুর সমর্থক শত শত বাইক নিয়ে শুরু করে দেয় মিছিল। অভিযোগ, এরপর তারা নির্বাচনী গণনাকেন্দ্রেরও দখল নিয়ে নেয়। বিরোধীরা সেই সময়ই অভিযোগ করেছিল, তাদের এজেন্টদের পুলিশি সহযোগিতায় ভয় দেখিয়ে, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কার্যত এলাকাছাড়া করে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। বেলা ১ টা থেকে খবর আসতে শুরু করে, কলকাতার বাইরে বারাকপুরের চাকুলিয়া মোড়, পুরুলিয়ার পলিটেকনিক কলেজ, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, মালদা, বালুরঘাট, বর্ধমান শহর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়ার জি টি রোড, মুর্শিদাবাদের মতো জায়গায় গণনাকেন্দ্র দখল করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। নির্বাচন কমিশনকে কোনও সদর্থক ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়নি বলেও অনেকে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন।

    রাজ্যজুড়েই শুরু হয়ে গেল হামলা, ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি

    ঠিক বেলা দেড়টা। কলকাতায় গণনা চলছে। তার মধ্যেই শুরু হয়ে গেল হিংসাত্মক হামলা। খাস কলকাতার উল্টোডাঙার মুরারীপুকুর লেনে তৃণমূল পরিচালিত একটি ক্লাবে ডিজে চালিয়ে চলছে উল্লাস। কসবায় তৃণমূল সমর্থকরা বিজয় উল্লাসের নামে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করে শিষ্টাচারের মাত্রা ছাপিয়ে গেল। চটুল গানের নাচের সঙ্গে নেতাদের মুখে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, বিরোধীদের মারধর, এবং বাড়িতে হামলা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ে বোমা মারল দুষ্কৃতীরা। গড়িয়ার রবীন্দ্রপল্লির ব্রহ্মপুরে বেলা ৩ টে থেকে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা শুরু হল। ধীরে ধীরে এসব ছড়িয়ে পড়ল হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, গড়িয়া, নাকতলা, টালিগঞ্জ, বাঘাযতীন, যাদবপুর, বেলেঘাটা, এন্টালি, কাশীপুর, জোড়াবাগান, বড়বাজার, মানিকতলা, জোড়াসাঁকো অঞ্চলে। শুরু হল দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের উপর  হামলা। চলল বাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি। হাওড়ার জি টি রোড ৬ নম্বর মোড়ে এক কাপড়ের দোকানে চলে লুঠপাট। বোটানিক্যাল গার্ডেনে চলে বোমাবাজি (Post Poll Violence)। 

    ভোট-পরবর্তী প্রথম হত্যাকাণ্ড

    দুপুর আড়াইটে নাগাদ কাঁকুড়গাছি রেল কলোনির পাশে পিটিয়ে খুন (Post Poll Violence) করা হয় অভিজিৎ সরকারকে। চলে বোমাবাজিও। প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল বাঁশ, বাটাম, রড নিয়ে আক্রমণ চালায়। বাড়িতে চারটে পোষা কুকুর ছিল। বাড়ির লোক বিজেপিতে ভোট দিয়েছে, কেবলমাত্র এই অপরাধে পোষা কুকুরকেও পিটিয়ে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। দোষ একটাই ছিল, অভিজিৎ কেন রাজনৈতিক আক্রমণ ও হামলার চিত্র ফেসবুকে লাইভ করলেন। সিসিটিভির তার গলায় পেঁচিয়ে বাড়িতে পাথর দিয়ে থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে। অভিজিতের মা এবং দাদা বিশ্বজিৎ সরকার কিছুই করতে পারেননি। কারণ তাঁদের হাত-পা বেঁধে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। দাদা বিশ্বজিৎ বার বার বলেছেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁর ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বিচার বিভাগের কাছে ন্যায্য বিচার চেয়েই দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
     
    আইনের শাসন কি আদৌ ছিল? 

    বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনার দিন সারা কলকাতা জুড়ে কোনও আইনের শাসন ছিল না। পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়। সর্বত্র সন্ত্রাস, আক্রমণের (Post Poll Violence) ছবি এবং ভিডিও দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হাইকোর্টের নির্দেশে সমস্ত হত্যা এবং সম্পত্তিহানির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে এবং বিশেষ বিচার বিভাগীয় সিট গঠিত হয়েছে। দুই বছর হয়ে গেল, কিন্তু সেই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। (চলবে)

     

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Biryani: মহাভারতের সেই ‘পলান্ন’ই কি আজকের বিরিয়ানি? কী বলছে ইতিহাস?

    Biryani: মহাভারতের সেই ‘পলান্ন’ই কি আজকের বিরিয়ানি? কী বলছে ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকাল বাইরের খাবার খেতে মানুষ এতটাই পছন্দ করে যে, বাজারে নতুন নতুন খাবারের সন্ধানও মেলে সহজে। নানা পদের খাবার আজ হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। তবে যে যাই বলুক না কেন, বিরিয়ানির (Biryani) সঙ্গে কিন্তু কোনও খাবারের তুলনাই চলে না। বিখ্যাত কয়েকটি পদের মধ্যে একটি হল বিরিয়ানি। ভারতের কলকাতা, দিল্লি, লক্ষ্নৌ, হায়দরাবাদের বিরিয়ানি আজ বিশ্ববিখ্যাত। যেমন খেতে সুস্বাদু, তেমন এর চাহিদা। গোটা ভারত জুড়ে রমরমিয়ে চলছে এই পদটি। কখনও মটন, কখনও বা চিকেন, যে কোনও বিরিয়ানি আজ এতটাই জনপ্রিয়, যা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গেছে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই বিরিয়ানির উৎপত্তি কোথা থেকে? কী এই বিরিয়ানির ইতিহাস?

    কীভাবে ভারতে জনপ্রিয় হল বিরিয়ানি?

    এই জনপ্রিয় পদটির উৎপত্তি নিয়ে অনেক মতবিরোধ আছে। ইতিহাস ঘাঁটলে এর সম্বন্ধে অনেক মতামত আমাদের চোখে পড়ে। কেউ কেউ বলেন, আরবের ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই ভারতে আসে এই বিরিয়ানি (Biryani)। তবে প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী ভারতে বিরিয়ানির উৎপত্তি মুঘল বাদশাদের হাত ধরেই। শাহজাহানের শাসনকালে তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম সৈন্যদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে চান এবং দেখেন, সৈন্যদের বেশিরভাগ ক্লান্ত, করুণ অবস্থায় রয়েছে তারা। তখন তাঁর মাথায় প্রশ্ন আসে, এরকম হলে তারা বাঁচবে কী করে বা যুদ্ধই করবে কী করে? তখন মমতাজ এক উপায় বের করেন। তিনি রান্নাঘরে খানসামাকে আদেশ দেন, সৈন্যদের জন্য এমন একটি পদ তৈরি করতে হবে, যেটি খেলে তাদের শরীরে শক্তি আসে এবং তারা সুস্থ থাকে। সেই সূত্রেই তিনি বলেন যে মশলা সহযোগে ভাতের সঙ্গে মাংস মিশিয়ে একটি পদ তৈরি করতে, যা খেলে শক্তি তো আসবেই। সঙ্গে পেটও ভরে থাকবে অনেকক্ষণ। আর সেই থেকেই নাকি উৎপত্তি বিরিয়ানির। আধুনিক শেফরা আবার বলছেন, এই বিরিয়ানি নাকি এমন একটি পদ যা দেওয়ান ই আম থেকে দেওয়ান ই খাস-এ পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ মুঘলদের এই পদ রাজ পরিবারে খাস হওয়ার আগে থেকেই সাধারণ মানুষ এবং সৈন্যসামন্তরা এই খাবার খেতেন। মুঘলরা ভারতে আসার ১০০ বছর আগেও এই বিরিয়ানির মতো পদের অস্তিত্ব ছিল।
     
    মহাভারতেও এমন এক পদের নাম পাওয়া যায়, সেটাই কি আজকের বিরিয়ানি?

    মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনা আমাদের জানা। এই মহাভারতেরই অনেক জায়গায় একটি শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। সেটি হল ‘পলান্ন’। কোথাও ধৃতরাষ্ট্র যুধিষ্ঠিরকে এই ‘পলান্ন’ খাওয়ার কথা বলেছেন, আবার কোনও জায়গায় দ্রৌপদী ও পাণ্ডবরাও এই পদ খেতেন। কী এই  পলান্ন? এই শব্দটির সংস্কৃত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পল শব্দের অর্থ মাংস এবং অন্ন শব্দের অর্থ ভাত। অর্থাৎ মাংস মিশ্রিত ভাতকেই পলান্ন বলা হত। তাহলে সেই পলান্নই কি আজকের বিরিয়ানি (Biryani)? এমনটাই মনে করা হয় আজকের দিনে দাঁড়িয়ে। অনেক ঐতিহাসিক একে বিরিয়ানির পূর্ব পদ বলেও অভিহিত করেছেন।  তবে আবার কেউ কেউ বলছেন, ভাত আর মাংস মিশ্রিত করলেই সেটি যে বিরিয়ানি, এমনটা নয়। তাই এই বিরিয়ানির উৎপত্তি নিয়ে আজও মতবিরোধ আছে পুরোমাত্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat Road: বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে গিয়ে রাস্তা ভেঙে খান খান, ক্ষোভ শহরজুড়ে

    Balurghat Road: বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে গিয়ে রাস্তা ভেঙে খান খান, ক্ষোভ শহরজুড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই রাস্তা খারাপ। তার উপর সেই রাস্তা খুঁড়েই দেওয়া হচ্ছে জলের সংযোগ। এইভাবে জল দেওয়া হলেও পরে আর রাস্তার সেই ভাঙা অংশের সংস্কার হচ্ছে না। যার ফলে বালুরঘাট শহরের বহু রাস্তাই (Balurghat Road) ভাঙাচোরা। গর্তের মধ্য দিয়েই চলছে যানবাহন। যা নিয়ে কার্যত গোদের উপর বিষফোঁড়ার দশা বালুরঘাটে। অভিযোগ, শহরের অনেক জায়গায় রাস্তার খোয়া উঠে গিয়েছে। শহরের মূল রাস্তাগুলি দিয়ে চলাচল করা গেলেও অলিগলির রাস্তা একেবারেই বেহাল। ওইসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম সমস্যায় পড়ছে মানুষ। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। 

    কীভাবে হল এই পরিস্থিতি, কী বলছেন বাসিন্দারা?

    জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক হল বালুরঘাট শহরে বন্ধ থাকা জলের কানেকশন দেওয়া চালু হয়েছে। তা করতে গিয়ে বহু রাস্তা (Balurghat Road) ফাটিয়ে পাইপগুলি বাড়িতে পৌঁছনো হচ্ছে। কিন্তু রাস্তার ভাঙা অংশ আর সংস্কার করা হচ্ছে না। কোনওরকমে মাটি দিয়ে বোজানো হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই মাটি বেরিয়ে রাস্তার এক হাত পর পর বিশাল গর্ত দেখা যাচ্ছে। যার ফলে সাইকেল, মোটরসাইকেল, টোটো ও রিক্সার চাকা অনেক সময় আটকে পড়ছে কিংবা তীব্র ঝাঁকুনি খেয়ে ঝুঁকি নিয়েই ছুটছে মানুষ। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন আগে থেকেই শহরের এ কে গোপালন কলোনি, চৌরঙ্গি, শিবতলা, রঘুনাথপুর, সত্যজিৎ মঞ্চ থেকে হাসপাতাল মোড় সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার অনেক অংশ বেহাল। সেই বেহাল গর্তের রাস্তায় জল জমে থাকে। এমনকী অনেক রাস্তায় গর্ত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা অলিগলির রাস্তা। শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের নানা জায়গায় রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। এদিকে পুরবোর্ড গঠনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও রাস্তা সংস্কার হয়নি। তাই পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের এক বাসিন্দা পিকু দাস বলেন, বহু রাস্তার অনেক জায়গায় গর্ত। ভাঙাচোরা হয়ে পড়ে রয়েছে। কোথাও আবার পিচ নেই। এরপর মাঝে আবার রাস্তাগুলি খুঁড়ে জলের পাইপলাইন বসানো হচ্ছে। সেই রাস্তা আর বোজানো হচ্ছে না। যার ফলে রাস্তা দিয়ে একেবারেই চলতে পারছি না। বাইক, সাইকেল নিয়ে চলাচল করাই এখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷ 

    এরা একই কাজ একবারে করতে চায় না, তোপ বিরোধীদের

    এব্যাপারে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। ডিওয়াইএফআই শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক ধীরাজ বসু বলেন, এই বোর্ড এমনিতেই শহরের উন্নয়ন করতে পারছে না। যে রাস্তাগুলি খোঁড়া হচ্ছে, তা মাটি দিয়েও ঠিকমতো বন্ধ করা হচ্ছে না। এরা মানুষের সমস্যা বোঝে না। নিজেদের পদ টিকিয়ে রাখার লড়াই চলছে। তাই শহরবাসীর উন্নয়ন, সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে ভাবার সময় নেই।বিজেপির টাউন মন্ডল কমিটির সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, জলের কানেকশন দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সেই রাস্তার (Balurghat Road) ভাঙা অংশগুলি সংস্কার করা যায়। কিন্তু এরা একই কাজ একবারে করতে চায় না। কারণ দুবারে করলে দুবার টেন্ডার করা যাবে। তাই শহরের ভোগান্তি নজরে আসে না। দীর্ঘদিন ধরেই শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে মূল রাস্তা বেহাল। অথচ এসব এই তৃণমূল পুরবোর্ডের নজরে আসছে না। 

    দ্রুত সংস্কার হবে, আশ্বাস চেয়ারম্যানের

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, জলের কানেকশন দেওয়ার পরে ওই পাইপলাইনের উপরে আগেই ঢালাই দেওয়া যায় না। পরবর্তীতে জল যেতে সমস্যাও হতে পারে। তাই কিছুদিন পাইপলাইনের উপরে মাটি দিয়ে বুজিয়ে রাখা হয়। পরে সমস্যা না হলে তা স্থায়ীভাবে ঢালাই দিয়ে দেওয়া হবে। শহরের যে রাস্তাগুলি খারাপ, সেগুলি দ্রুত সংস্কার করা হবে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Avishek Banerjee: লাল কার্পেট, এলাহি আয়োজন, তবুও তৃণমূল বিধায়কের বাড়িমুখো হলেন না অভিষেক

    Avishek Banerjee: লাল কার্পেট, এলাহি আয়োজন, তবুও তৃণমূল বিধায়কের বাড়িমুখো হলেন না অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সামনের রাস্তা লাল কার্পেটে মোড়া। খাওয়ার জন্য এলাহি আয়োজন। সকাল থেকে পিল পিল করে কর্মী- সমর্থক এসে বা়ড়ির সামনে ভিড় করছেন। মোতায়েন পুলিশও। একেবারে সাজ সাজ রব। আর হবে নাই বা কেন, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) আসার কথা রয়েছে দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর ইসলামপুর গোলঘরের বাড়িতে। রবিবার দুপুরে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে খাওয়ার কথা ছিল দলের এই শীর্ষ নেতার। শনিবার তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই কথাও। কিন্তু, সকাল থেকেই কয়েকশো কর্মী-সমর্থককে নিয়ে করিমসাহেব প্রতীক্ষা করলেও কথা রাখেননি অভিষেক।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক করিমসাহেবের খাসতালুক ইসলামপুরে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) রবিবার সভা ছিল। সেই সভায় তৃণমূল বিধায়ক আমন্ত্রিত ছিলেন না। যা নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা চলছিল। বিধায়কের অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগী হন অভিষেক (Avishek Banerjee) । তিনি রবিবার করিমসাহেবের বাড়িতে দুপুরে খাওয়াদাওয়া করবেন বলে বার্তা পাঠান। ভিভিআইপি যাবেন বলে পুলিশ প্রশাসনের কাছেও একই খবর ছিল। সকাল থেকেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ফলে, করিমসাহেব ধরে নিয়েছিলেন অভিষেক তাঁর বাড়িতে আসছেন। এই খবর জানাজানি হতেই তাঁর বাড়িতে প্রচুর কর্মী-সমর্থক ভিড় করতে শুরু করেন। অবশেষে অভিষেক (Avishek Banerjee) করিমসাহেবের বাড়িতে না গিয়ে সোজা ইসলামপুরের কোর্ট ময়দানে দলীয় সভায় যোগ দেন। সভাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে করিমসাহবেবের বাড়ি। তিনি অভিমানে দলের সভায় যোগ দেননি। তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকশো কর্মী-সমর্থকও এদিন সভামুখো হননি। তৃণমূল নেতা মহম্মদ কফিরুউদ্দিন বলেন, করিমসাহেব আমাদের নেতা। তাঁকে অপমান করা হয়েছে। আমরাও তাই মিটিংয়ে যাইনি।

    অভিষেক (Avishek Banerjee) বাড়িতে না আসায় কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

     এদিন দিনভর অপেক্ষা করার পর অভিষেক (Avishek Banerjee)  না আসায় ক্ষোভ উগরে দিলেন করিমসাহেব। তিনি বলেন, আমি তো অভিষেককে আসতে বলিনি। তিনি নিজেই আসবেন বলেছিলেন। তাই, লাল কার্পেট সহ সব কিছুর আয়োজন করেছিলাম। কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক এখানে জমায়েত হয়েছিলেন। সকলকেই তিনি হতাশ করলেন। আসলে আমি তো তাঁকে চিনি না। উনিও আমাকেও চেনেন না। রাজীব গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই আমার আশীর্বাদ নিয়েছেন। অভিষেক (Avishek Banerjee) আমার আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হলেন। আর দলীয় সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই আমি যাইনি। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে দলীয় বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশ্যেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক। এমনকি জেলা নেতৃত্বের প্রতিও তাঁর বিদ্রোহী মনোভাব সকলের জানা। এমনিতেই দলীয় সভায় ডাক না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন তিনি,  এবার অভিষেক (Avishek Banerjee) তাঁর বাড়িতে না আসায় তিনি জেলা রাজনীতিতে কার্যত ব্রাত্য হয়ে গেলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেলেঘাটা, পার্টি অফিসে ভাঙচুর, গুলি চালানোরও অভিযোগ

    TMC Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেলেঘাটা, পার্টি অফিসে ভাঙচুর, গুলি চালানোরও অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ (TMC Clash) এবার খাস কলকাতায়। রবিবার ছুটির দিনে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলেঘাটা। পার্টি অফিসে যথেচ্ছ ভাবে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি গুলিও চলেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ এক যুবককে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। অন্যান্য ক্ষেত্রে যা হয়, এখানেও পুলিশ গুলি চলেছে বলে স্বীকার করেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্ট কুলিয়া রোডে এলাকার নেতা রাজু নস্করের অফিসে মূলত ওই ভাঙচুর চলেছে। অফিসের কাচ থেকে শুরু করে আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালানো হয়। ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয় অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িও।

    এলাকায় আতঙ্ক, দোকানপাট বন্ধ

    হাসপাতালে শুয়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যেভাবে এদিন আচমকা গুলি চালানো হয়েছে, তাতে তিনিও হতবাক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেলেঘাটা। মুহূর্তের মধ্যে এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। তবে শুধু গলির মধ্যে তৃণমূল নেতার ওই অফিসকে ঘিরেই যে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল, তা নয়। গন্ডগোলের (TMC Clash) রেশ ছড়িয়ে পড়ে মূল রাস্তা বেলেঘাটা মেন রোডেও। সংঘর্ষ চলে সেখানেও। ফলে সেখানেও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মেন রোডে দাঁড়িয়ে এখানকার এক বাসিন্দাও জানিয়েছেন যে তিনি বেশ কয়েকটি গুলির আওয়াজ শুনেছেন।

    কী সাফাই দিলেন তৃণমূল নেতা?

    এলাকার তৃণমূল নেতা রাজু নস্করের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন তার দলের লোককে পয়সা খাইয়ে তৃণমূলে ঢুকেছে। এছাড়া বেলেঘাটাতে যে সমাজ বিরোধীরাও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেকথাও তিনি স্বীকার করেছেন। এটা তৃণমূলের কোনো গোষ্ঠী কোন্দলের (TMC Clash) লড়াই নয় বলে তার দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chardham Yatra: প্রবল তুষারপাতে সাময়িকভাবে বন্ধ চারধাম যাত্রা! ফের কবে শুরু?

    Chardham Yatra: প্রবল তুষারপাতে সাময়িকভাবে বন্ধ চারধাম যাত্রা! ফের কবে শুরু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারধাম যাত্রা (Chardham Yatra) আপাতত বন্ধ করল উত্তরাখণ্ড সরকার। উত্তর ভারত জুড়ে খারাপ আবহাওয়া এবং তুষারধসের জেরে আপাতত আর এগোতে দেওয়া হচ্ছে না পুণ্যার্থীদের। সূত্রের খবর, শ্রীনগরে আটকে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ধস নেমেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ হাইওয়ে। গাড়ি যাতায়াতের পথও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চামোলি পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাজপুর এলাকায় ধস নামে। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বদ্রীনাথ হাইওয়ে। এই পথ ধরেই তীর্থযাত্রীদের গাড়ি যায়। ফলে সেই রাস্তা খালি না হওয়া পর্যন্ত আটকে পড়েছেন যাত্রীরা। সকলেই বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। খারাপ আবহাওয়ার জেরে শ্রীনগর থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বহু মানুষের সঙ্গে সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে রাতে থাকার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। 

    যাত্রা শুরু কবে হল

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অর্থাৎ গত ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ বছরের চারধাম যাত্রা (Chardham Yatra)। প্রতি বছর এই পবিত্র তিথিতেই শুরু হয় চারধাম যাত্রা (Chardham Yatra)। গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রীর দরজা সেদিন থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে। কেদারনাথ ধামের দরজা খুলেছে গত ২৫ এপ্রিল থেকে। বদ্রীনাথে ভক্তদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে গত ২৭ এপ্রিল থেকে।

    প্রবল তুষারপাত বদ্রীনাথে 

    এদিকে, বদ্রীনাথ ধামে প্রবল তুষারপাত চলছে। IMD-র পূর্বাভাস মোতাবেক ৩০ এপ্রিল এবং ১ মে বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথে তুষারপাত চলবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চারধামের (Chardham Yatra) এই দুই ধামে যাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছে। হাজার হাজার পুণ্যার্থী দর্শনের জন্য জোড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু, আবহাওয়ার জেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন সকলেই।

    ফের কবে শুরু হবে যাত্রা

    উত্তরাখণ্ড সরকার জানাচ্ছে, আবহাওয়া কিছুটা পরিষ্কার হলে আগামী ৪ মে থেকে ফের কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন পুণ্যার্থীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল! রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

    BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল! রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল। বিস্ফোরক অভিযোগ এলাকাবাসীর। তীব্র দাবদাহের মধ্যে জলের জন্য হাহাকার। জলের দাবিতে রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। বালতি, কলসি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা। এলাকাবাসীর সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের  তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়োল বাজারের ঘটনা।

    কেন বিক্ষোভ?

    এই এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপির (BJP) । যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতটি শাসকদল তৃণমূলের দখলে রয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে এই এলাকায় পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকি বসানো হয়নি কোন সাবমার্সিবল পাম্প। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। বিজেপি (BJP) নেতা কৌশিকচন্দ্র দাস বলেন, তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে এই এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করছে না। কিছু দিন আগে একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হলেও সেটি বসানো হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তৃণমূল নেত্রী সুজাতা সাহার বাড়ির সামনে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প না বসিয়ে তৃণমূলের ওই নেত্রীর বাড়ির সামনে পাম্প বসানো হয়েছে। আমার স্ত্রী বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যা। এলাকার মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে বলে তৃণমূল এই শাস্তি দিচ্ছে। এদিন আমরা পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছি। দাবিপূরণ না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এলাকাবাসীর বক্তব্য, গরম পড়তেই জলস্তর অনেকটাই নেমে গিয়েছে। ফলে, পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। বিজেপিকে সমর্থন করার জন্যই পরিষেবা থেকে আমরা বঞ্চিত। এই অবস্থায় বিক্ষোভ থেকে এলাকাবাসীর একটাই দাবি দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    ওই এলাকায় জল কষ্টের কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। কিন্তু বিজেপি (BJP) করার জন্য কাজ হয়নি এ কথা মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, এটা বিজেপির মনগড়া অভিযোগ। ওই এলাকার সমস্যা নিয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর নিয়ে কথা বলেছি। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monorail: নিউটাউনে ছুটবে মনোরেল! বেসরকারি সংস্থার প্রস্তাবে কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে হিডকো?

    Monorail: নিউটাউনে ছুটবে মনোরেল! বেসরকারি সংস্থার প্রস্তাবে কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে হিডকো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজারহাট-নিউটাউনে যানজট কমাতে বিশেষ অত্যাধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থা মনোরেল (Monorail) চালু করার প্রস্তাব এসেছে। বিশ্ববাংলা গেট (নারকেল বাগান) থেকে নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া থ্রি পর্যন্ত এই বিশেষ অত্যাধুনিক মনোরেল চলবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর।

    LTR বা লাইট ট্রানজিট রেল সিস্টেম কী এবং কেন? 

    স্মার্ট সিটির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অত্যাধুনিক করতে এই বিশেষ লাইট ট্রানজিট রেল সিস্টেমে মনোরেল (Monorail) চালানোর প্রস্তাব এসেছে। একটি বেসরকারি সংস্থা হিডকোকে (হাউসিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেণ্ট কর্পোরেশন) বিশেষ এই যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। স্মার্ট সিটির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য এই মনোরেল সময়ের ব্যবধান কমাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ওয়ান এবং টু-এর মধ্যে মেট্রো রেল সংযুক্ত হয়েছে। এবার মনোরেলের সংযুক্তিকরণ হবে। স্মার্ট সিটিতে রোপওয়ের মাধ্যমেও যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এর সঙ্গে আধুনিক সংযোজন হল মনোরেল। অনেকটা কলকাতার ট্রামের মতোই দেখতে হবে। কিন্তু অত্যাধুনিক, উচ্চগতি এবং শব্দবিহীন হবে মনোরেল। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি সিটি অ্যাকশন এরিয়া থ্রি-র সঙ্গে বিশ্ববাংলা সরণীর সংযুক্তিকরণ ঘটবে, এমনটাই বলা হয়েছে প্রস্তাবে। হিডকো বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সরকারের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেই জানা গেছে।

    প্রস্তাবিত রুট 

    হিডকো যে প্রস্তাব পেয়েছে, তাতে বলা হয়, মনোরেল প্রাথমিকভাবে বিশ্ববাংলা গেট থেকে হাতিশালা পর্যন্ত ১০ কিমি পথে চলবে। এটা হবে প্রধান রাস্তা। এর সঙ্গে বিশ্ববাংলা গেট থেকে মহিষবাথান পর্যন্ত তিন কিমি রাস্তাতেও চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববাংলা গেট থেকে ইউনিটেক ১ হয়ে ইকোস্পেসের মধ্যে দিয়ে গীতাঞ্জলি পার্ক পর্যন্ত মনোরেলের (Monorail) বিশেষ করিডোর তৈরি হবে। মনোরেলের সঙ্গে হাতিশালার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উইপ্রো এবং ইনফোসিসের সরাসরি সংযুক্তিকরণ করা হবে। মূল মনোরেলের ডিপোটি ইনফোসিস কোম্পানির বিপরীতে প্রায় ১৭.৫৪ একর জমির উপর নির্মিত হবে বলে প্রস্তাবনায় রয়েছে। এই বছরে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়লে হিডকো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবি জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবি জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের জেরে উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারকে বদলের দাবি জানালেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার বালুরঘাটে মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে শুধু থানার আইসিকে বদল করলে হবে না। কারণ, এই ঘটনার জন্য শুধু আইসি একা দায়ী নয়। পুলিশ সুপারও সমান অপরাধী। এরকম ঘটনা তিনি বার বার ঘটাচ্ছেন। তাই পুলিশ সুপারকে অপসারণ করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রীর পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আগামীদিনে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের (পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হওয়া যুবক) পরিবারও আদালতে যাবে। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জের আইসি দীপাঞ্জন দাসকে শিলিগুড়ি জিআরপিতে বদলি করা হয়েছে। আর শিলিগুড়ির জিআরপি ইন্সপেক্টর সুবলচন্দ্র ঘোষকে কালিয়াগঞ্জের আইসি করা হয়েছে।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করলেন কেন?

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আমরা তৈরি আছি। সরকার যখন পঞ্চায়েত ভোট করতে চাইবে, আমরা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। আমরা  চাইছি, পঞ্চায়েত ভোট এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া এখানে পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব না। কারণ, তৃণমূল কর্মীরা নিজের দলের প্রার্থীর  নির্বাচনে ব্যালট বক্স লুঠ করে নিচ্ছে। তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচন যখন হবে, তখন তো ওরা ব্যালট বক্স লুঠ করতে আসবে। যদিও যেখানে আমরা শক্তিশালী সেখানে লুঠ করতে এলে আমরা ছেড়ে দেব না। তার ফলে কিছু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হবে। আমরা সেটা চাইছি না। তারপরও  কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট হলে প্রতিরোধ হবে। বহু জায়গায় গণ্ডগোল হবে।

    অনুব্রতকে নিয়ে কী বললেন?

    গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত এখন তিহার জেলে। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তার মেয়ে সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এদিন অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, অনুব্রত মণ্ডল নয়, এই রাজ্যে বহু তৃণমূল নেতার সপরিবারে জেলযাত্রা হবে। আগে পূণ্য করতে পরিবারের সকলকে নিয়ে মানুষ তীর্থযাত্রা করতেন। আর এই জমানায় তৃণমূলের যারা চোর রয়েছে, তারা সপরিবারে জেলে যাবে, তৃণমূলের পাপের প্রায়শ্চিত করতে। তৃণমূল করলে এভাবে জেলেই যেতে হবে।

    মন কি বাত অনুষ্ঠান নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের তপন বিধানসভার অন্তর্গত ঠাকুরপুরার জোতগোপাল ১৩৭ নম্বর বুথে মন কি বাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলইডি প্রজেক্টরের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনানো হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরায় টুডু, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রায় শতাধিক গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মন কি বাত নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে এবং সমগ্র উত্তরবঙ্গে যেভাবে আদিবাসী সমাজ ও রাজবংশী সমাজকে অপমান করা হচ্ছে, আমরা তার প্রতিবাদে এই সমাজের মানুষদের একত্রিত করে মন কি বাত শুনলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share