Tag: Madhyom

Madhyom

  • TMC: পাট্টা বিলি ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বচসা-হাতাহাতিতে উত্তেজনা

    TMC: পাট্টা বিলি ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বচসা-হাতাহাতিতে উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী জমির পাট্টা বিতরণ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং ভূমি কর্মাধ্যক্ষর অনুগামীদের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ব্লক চত্বরে। কর্মসূচি চলাকালীন প্রকাশ্যে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং ভূমি সংস্কার আধিকারিককে ধমক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। কর্মসূচি বন্ধ করার দাবি। 

    একে অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, তাঁকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাট্টা বিতরণের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যাদের জমি রয়েছে তাদেরই পাট্টা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। পাল্টা বন্যাত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে খোঁচা দিলেন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। যদিও পাট্টা বিতরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মানতে নারাজ সরকারি আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল (TMC) নিয়ে ফের ব্যাপক অস্বস্তিতে তৃণমূল। 

    কীভাবে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়াল দুপক্ষ?

    মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তথ্যমিত্র কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (TMC) নির্দেশ অনুযায়ী পাট্টা বিতরণ কর্মসূচি চলছিল বুধবার। যাদের নিজস্ব জমি নেই, যারা ভূমিহীন, দুয়ারে সরকারে আবেদনের মাধ্যমে তারা সরকারি জমির পাট্টা পাবে-এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী চলছিল কর্মসূচি।কর্মসূচি চলাকালীন হঠাৎই ব্লক চত্বরে এসে হট্টগোল শুরু করেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস। তাঁর অভিযোগ, এই পাট্টা বিতরণ কর্মসূচির কথা তাঁকে জানানো হয়নি। রাতের অন্ধকারে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাট্টা বিতরণের তালিকা তৈরি করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র। যারা ভূমিহীন তারা পাট্টা পাচ্ছে না, অথচ যাদের জমি রয়েছে তারা পাচ্ছে। তাই তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর সাহার কাছে দাবি জানান, এই কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে। প্রকাশ্যে সরকারি আধিকারিকদের রীতিমতো ধমক দেন তিনি। তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক উত্তেজনা। আদিত্য মিশ্র এবং কোয়েল দাসের অনুগামীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আসতে হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে। যদিও সরকারি আধিকারিকদের দাবি, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই কর্মসূচি হয়েছে। কোনঔ দুর্নীতি হয়নি। অন্যদিকে ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র পাল্টা বন্যাত্রাণ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন সভাপতি কোয়েল দাসকে।

    কী বললেন সরকারি আধিকারিকরা?

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু বলেন, আমাদের যেভাবে ধমক দেওয়া হয়েছে, তা খুব দুর্ভাগ্যজনক। নির্দেশ অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে এই কর্মসূচি হয়েছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর সাহা বলেন, ধমক দিলেও কিছু করার নেই। আমরা আমাদের কাজ করব। সঠিকভাবে অনুসন্ধান করে পাট্টা প্রাপকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এখানে দুর্নীতির (TMC) বিষয় নেই।

    তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

    সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই কটাক্ষ বিজেপির। মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, এক পক্ষ দুর্নীতির ভাগ পেয়েছে। অন্য পক্ষ পায়নি। এই নিয়ে ঝামেলা। এটাই তো এদের সংস্কৃতি। এই দলকে (TMC) মানুষ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলবে। ফলে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Life Sentence: স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা আদালতের

    Life Sentence: স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের পরিণতি যে কী ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক হতে পারে, সেরকমই একটি ঘটনা সামনে এল আদালতের রায়কে ঘিরে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে খুন করেও অবশ্য শেষ রক্ষা হল না। স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Sentence) নির্দেশ শোনাল আদালত। 

    ১০ আগস্ট গভীর রাতে কী ঘটেছিল?

    ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে মালদার মানিকচকের বাসিন্দা দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, দিলীপ রায়ের সঙ্গে অপর এক মহিলার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তিনি মারধর ও নির্যাতন করতেন। সেই ঘটনার জেরেই ১০ আগস্ট গভীর রাতে শোবার ঘরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। মৃত গৃহবধূর নাম সুপ্রিয়া রায়। বাপেরবাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা থানা এলাকায়। ওইদিন প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ছুটে আসে পরিবারের লোকজন। বাড়িতে এসে মেয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তারপরেই মৃত গৃহবধূর বাবা অভিনয় মন্ডল মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

    পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল?

    অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সহ আরও একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মালদা জেলা আদালতে শুরু হয় এই মামলা। প্রায় ৮ বছর ধরে চলে শুনানি। অবশেষে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দিলীপ রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ, ৩০২, ৩০৪বি ও ৩৪ ধারায় মামলা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ তে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেল, দুহাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাস জেলের সাজা ঘোষণা করে আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Sentence), পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস জেল হেফাজতের সাজা ঘোষণা করে আদালত। 

    সরকারি আইনজীবী কী জানালেন?

    সরকারি পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুন্ডু বলেন, এই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Sentence) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মোট ১৬ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ছয় বছরের সন্তানের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণিত করেছে আদালত। অবশেষে সাজা ঘোষণা হল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nalanda University: ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! শুরু শিক্ষাদান

    Nalanda University: ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়! শুরু শিক্ষাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতের শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতি কেমন ছিল, তা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জানলেই আমরা বুঝতে পারি। সমগ্র এশিয়া মহাদেশ ও বিশ্বজুড়ে এর খ্যাতি ছিল। প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nalanda University) ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের একেবারে সঠিক অবস্থান সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানান বিবাদ আছে। প্রাচীন ভারতের ১৬ টি মহাজনপদের অন্যতম শক্তিশালী জনপদ মগধের রাজধানী রাজগৃহ, যা বর্তমনকালের রাজগীর। সেই রাজগীরের কাছেই এই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এসেছিলেন শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি এখানে অধ্যাপক হিসাবে বহুদিন কাজ করেন। 

    কেমন ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়?

    এটি ছিল একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়  (Nalanda University)। এখানে সবরকম সুযোগসুবিধা পাওয়া যেত। এখানে ছিল এক মস্ত বড় গ্রন্থাগার, যার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এই গ্রন্থাগারটি ছিল সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বিশাল গ্রন্থাগার, যেখানে অজস্র বইয়ের সমাহার ছিল। দূর দূর থেকে ছাত্ররা ছুটে আসতেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিন, কোরিয়া, তিব্বত, সুমাত্রা ইত্যাদি দেশ থেকে দলে দলে ছাত্ররা আসতেন। এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষাদান করা হত। সমগ্র বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এটি। ১২০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নালন্দা মহাবিহার ছিল ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আনুমানিক ১২০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বখতিয়ার খিলজি এই মহাবিহার ধ্বংস করেন, যার ধ্বংসাবশেষ ১৯৯৫ সালে খনন করা হয়। বেদ, ‘হেতুবিদ্যা’ (ন্যায়শাস্ত্র), ‘শব্দবিদ্যা’ (ব্যাকরণ ও ভাষাতত্ত্ব), ‘চিকিৎসাবিদ্যা’ (ভেষজবিদ্যা), জাদুবিদ্যা-সংক্রান্ত অন্যান্য গ্রন্থ (অথর্ববেদ) ও সাংখ্য দর্শন সম্মন্ধে এখানে শিক্ষাদান করা হত। গবেষণা অনুযায়ী আইন, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও নগর-পরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষাদান করা হত।

    নালন্দার পুনরুজ্জীবন, আবার শুরু হয়েছে শিক্ষাদান

    প্রথমে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম ২০০৬ সালে নালন্দাকে (Nalanda University) আবার ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেন। তার বছর চারেক বাদে অর্থাৎ ২০১০ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বিল, যেখানে প্রস্তাব রাখা হয় নতুন আকারে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং তাতে পড়ানো হবে ভাষাতত্ত্ব, ইতিহাস, পররাষ্ট্রনীতি, পরিবেশবিদ্যা বা বৌদ্ধ দর্শনের মতো নির্বাচিত কিছু বিষয়। যাতে নালন্দা আবার সেই আগের মতো এক উচ্চশিক্ষা দানকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। তার জন্য গড়ে তোলা হয় ‘নালন্দা মেন্টর গ্রুপ’-যার নেতৃত্বে ছিলেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর অমর্ত্য সেন আচার্যের পদে মনোনীত হন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ আবার তার শিক্ষাদান শুরু করেছে। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, দেশ বিদেশ থেকে আসছে ছাত্ররা, এখানে শিক্ষা গ্রহণ করতে। 

    কী কী বিষয় এখন পড়ানো হয়?

    বর্তমানে এখানে (Nalanda University) ৬টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পড়ানো হয়। সেগুলি হল-হিন্দু স্টাডিজ, বিশ্ব সাহিত্য, Sustainable Development, বাস্তুশাস্ত্র ও পরিবেশ বিদ্যা, ইতিহাস, বুদ্ধিস্ট স্টাডি এবং দর্শন। 
    তাছাড়া এই বিষয় গুলিতে PhD ও করানো হয় এখান থেকে। আবার ধীরে ধীরে পুরনো জায়গা ফিরে পাচ্ছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের গর্ব, ভারতবাসীর গর্ব নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heat Wave: আবার চড়ছে তাপমাত্রা! গরমে কোন পাঁচটি বিপদ থেকে সাবধান থাকবেন?

    Heat Wave: আবার চড়ছে তাপমাত্রা! গরমে কোন পাঁচটি বিপদ থেকে সাবধান থাকবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঝড়-বৃষ্টির সাময়িক স্বস্তি কাটিয়ে ফের চড়ছে তাপমাত্রার পারদ (Heat Wave)। তীব্র তেজ আর ঘাম বাড়াচ্ছে অস্বস্তি। তার মধ্যেই চলছে স্কুল, কলেজ, অফিস। অনেকেই কাজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে থাকছেন। 

    কোন পাঁচ বিপদ অপেক্ষা করছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় (Heat Wave) বাইরে থাকলে পাঁচটি বিপদের ঝুঁকি তৈরি হয়। হিট স্ট্রোক, হিট এক্সশন, হিট ক্র্যাম্প, সান বার্ন আর হিট Rash। 

    হিট স্ট্রোকের উপসর্গ কী কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখেই বোঝা যাবে, গরমে (Heat Wave) হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে কিনা। উপসর্গগুলি হল শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যাওয়া, জ্বর না থাকলেও আচমকা শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা এবং হাত-পায়ে ঝিমঝিম ভাব, পেশির শক্তি হঠাৎ কমে আসা, চোখ-নাক লাল হয়ে ওঠা, নাক দিয়ে হঠাৎ জল পড়তে থাকা, জ্ঞান হারানো বা চেতনা কমে যাওয়া। 

    কোনও ব্যক্তির হিট স্ট্রোক হলে কীভাবে সাহায্য করবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরমে (Heat Wave) হঠাৎ কোনও ব্যক্তিকে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে দেখলে প্রথমেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কারণ, হিট স্ট্রোক একটি জরুরি চিকিৎসার তালিকায় থাকা বিষয়! তাই রোগীর দ্রুত চিকিৎসা জরুরি। তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাম্বুলেন্স আসার আগে কয়েকটি প্রাথমিক চিকিৎসা করলে রোগী উপকার পাবেন। যেমন আক্রান্তকে ঠান্ডা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। তার শরীর ঠান্ডা করা জরুরি। তাই ভিজে কাপড় বা ভিজে তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিতে পারলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে, কখনই তাকে ঠান্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। আগে শরীরের উত্তাপ কমাতে হবে, তারপর পানীয় দিতে হবে। 

    হিট এক্সশনের উপসর্গ কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমে (Heat Wave) হিট এক্সশন হলে ঘাম মারাত্মক হবে। চোখ-মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যাবে। বমি ও মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যাবে। দুর্বলতা ও ক্লান্তি বোধ হবে। 

    হিট এক্সশন থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, অতিরিক্ত ঘাম হলেই জল খেতে হবে। পরিমাণ মতো জল পান করলে হিট এক্সশন এড়ানো যেতে পারে। গরমে (Heat Wave) শরীরের ক্লান্তি দূর করতে বারবার স্নানের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

    হিট ক্র্যাম্পের উপসর্গ কী? 

    গরমে (Heat Wave) হিট ক্র্যাম্পের সমস্যাও দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ হিট ক্র্যাম্প স্পষ্ট করে। যেমন, পেশিতে টান ও যন্ত্রণা। গরমে বারবার পেশিতে টান ও যন্ত্রণা অনুভব হলে বুঝতে হবে হিট ক্র্যাম্প হয়েছে। 

    কীভাবে সুস্থ থাকবেন? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত গরমে (Heat Wave) শারীরিক কসরৎ কিছুটা কমানো জরুরি। বিশেষত যাঁদের হিট ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা হচ্ছে, তাঁরা কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। তাতে শারীরিক অস্বস্তি কমবে। পাশপাশি ডাবের জল, ফলের সরবৎ খাওয়া দরকার। তাতে দূর্বলতা কমে এবং ঘামের ফলে যে ক্লান্তি বোধ হয়, তাও কমে যায়। 

    সান বার্ন ও হিট Rash এর উপসর্গ কী কী? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত সময় রোদে (Heat Wave) থাকলে সান বার্ন ও হিট Rash-এর মতো ত্বকের সমস্যা দেখা যায়। চামড়ায় লাল দাগ। ঘাড়, মুখ ও গলায় ব্রণোর মতো গুটি দেখা দেয়। চামড়া অনেক সময় গরম হয়ে যায়। 

    কীভাবে কমাবেন সান বার্ন ও হিট Rash? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাইরে থেকে (Heat Wave) ফিরে অবশ্যই ঠান্ডা জলে স্নান করতে হবে। যেসব জায়গা লাল হয়ে গিয়েছে, তাতে বারবার জল দিতে হবে। ময়েশ্চারাইজার লাগালে চামড়া নরম হয়, তাতে সান বার্ন কমে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ এক টোটোচালক, গুলি চালানোর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ এক টোটোচালক, গুলি চালানোর ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। থানায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। পুলিশকে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা মাধ্যম যাচাই করেনি)। এই বিক্ষোভ আন্দোলনে এক টোটো চালক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নতুন করে রহস্য দানা দাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ না আন্দোলনকারী, কারা গুলি চালিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মনোজ কুমার বর্মন নামে ওই টোটো চালকের বাম হাতে গুলি লাগে বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিক্ষোভ চলাকালীন কিভাবে টোটো চালক গুলিবিদ্ধ হলেন তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন? গুলিতে জখম যুবক মনোজবাবু বুধবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, আমি টোটো নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। থানার সামনে জমায়েত দেখে আমি টোটো রাস্তার ধারে রেখে সেখানে গিয়েছিলাম। গণ্ডগোল শুরু হওয়ার পরই আমি গুলিবিদ্ধ হলাম। কে গুলি চালিয়েছে তা বুঝতে পারিনি।

    থানায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে কতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) থানায় তাণ্ডব, অগ্নিসংযোগ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের উপর হামলা সহ একাধিক অভিযোগে পুলিশ ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আদালতের এপিপি নিলাদ্রী সরকার বলেন, বুধবার ধৃত ৩২ জনকে রায়গঞ্জ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ৯ জনকে আটদিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকি ২৩ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    গণ্ডগোলের পর কী অবস্থা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj)?

    ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিবেশ। পথে বেরিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বুধবার সকালে থানায় গিয়ে দেখা গেল, একাধিক স্থানে তাণ্ডবের ছাপ স্পষ্ট। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ইট, পাথরের টুকরো। থমথমে পরিবেশ হলেও থানায় ধ্বংসস্তুপ সাফাইয়ের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে তাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় থানা চত্বর। সেই ঘটনার পর সকাল থেকে স্বাভাবিকের পথে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত থানার পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষজন। মঙ্গলবার ওই এলাকার বাড়িতে ঢুকে পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। সেই আঘাত এসে পড়ে নব নির্মিত আধুনিকমানের যাত্রী প্রতিক্ষালয়ের ওপর। যাত্রী প্রতিক্ষালয় তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত ঠান্ডা পানীয় জলের জলাধারও ভেঙে এক প্রকার গুঁড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বুধবার কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা স্থানীয় কাউন্সিলার মনোজ সরকার ও শহর তৃণমূলের সভাপতি রাজীব সাহাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, আন্দোলনের নামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের। তাণ্ডবের পর এদিন এলাকায় জুড়ে পুরসভার পক্ষ থেকে সাফাই অভিযান চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন লকেট

    BJP: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্গাপুরের লাউদোহার প্রতাপপুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন হুগলির বিজেপির (BJP) সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ওই ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলা হচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী এই কথা বলছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ যেভাবে রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। মৃত্যুর পরও তাকে সম্মান দেওয়া হয়নি। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই রাজ্যের নির্যাতিতা মহিলারাই। এটা বাংলার মানুষ আশা করেনি। তাই রাজ্যের কোনও সংস্থার মাধ্যমে কালিয়াগঞ্জের ঘটনার তদন্ত করা সম্ভব নয়। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    পুলিশের হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    কালিয়াগঞ্জ থানায় মঙ্গলবার রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন লাগানো হয়। পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়। একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে পুলিশকে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, পুলিশ নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করলে কোনও সমস্যা হয় না। পুলিশ এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। সেইজন্যই মার খাচ্ছে, হেনস্থা হচ্ছে। তবে, পুলিশ জনতার রোষে পড়ুক, সেটা আমিও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সমর্থন করি না। কিন্তু, পুলিশ কালিয়াগঞ্জে  প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে, তাতে জনতার রোষ যে বাড়বেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  

    অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন। অভিষেকের বৈঠক শেষ হওয়ার পর ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে বিজেপি (BJP) সাংসদ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, রাজা রাজ্য ভ্রমণে বেরিয়েছেন। সৈন্যদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছেন। আর কী করে ভোট লুঠ করতে হয়, তা তাদের শেখানো হচ্ছে। ট্রেলারে যদি এরকম হয়, তাহলে পঞ্চায়েত ভোটের সময় কী হবে? এদিন দলীয় কর্মীরা এই সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য নেত্রীকে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলেন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blood Donation: বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনই স্বেচ্ছায় রক্তদান, নজর কাড়লেন নবদম্পতি

    Blood Donation: বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনই স্বেচ্ছায় রক্তদান, নজর কাড়লেন নবদম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রক্তদানে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়, দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর”। স্ত্রীর এমন ভ্রান্ত ধারণা বদলাতে দাম্পত্য জীবন শুরুর প্রথম দিনই রক্তদান (Blood Donation) শিবিরের আয়োজন করলেন স্বামী। বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনই স্বেচ্ছায় রক্তদান করে এলাকার মানুষের মন কাড়লেন উখড়া সন্ন্যাসী কালীতলাপাড়ার নবদম্পতি। 

    কে এই দম্পতি?

    বর্ধমানের উখড়া এলাকার বাসিন্দা রাহুল ব্যানার্জি বরাবরই সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি উখড়া এলাকার রক্তদান (Blood Donation) ক্লাবের সদস্যও। তাঁদের ক্লাব নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকে। গ্রামগঞ্জের মানুষ রক্ত দিতে ভয় পায়। রক্ত দিলে শরীর অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়ে-এমন ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে অনেকের মনে। তাঁর স্ত্রী মৌমিতার বাড়ি গুসকরায়। মৌমিতার সঙ্গে রাহুল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন গত ২৪ শে এপ্রিল সোমবার। মঙ্গলবার প্রীতিভোজের দিন সকালেই রাহুলের বাসভবন উখড়ায় বিবাহমণ্ডপে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের। নববধূকে সঙ্গে নিয়ে এদিন তাঁর পরিবার ও আত্মীয়দের মধ্যে প্রায় ২৫ জন সদস্য স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন। বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনেই রাহুল-মৌমিতার এই কর্মকাণ্ড প্রশংসা অর্জন করেছে এলাকায়।

    রক্তদান নিয়ে কী বললেন ওই দম্পতি?
     
    এই প্রসঙ্গে রাহুলবাবু বলেন, তিনি একজন সমাজকর্মী এবং নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের (Blood Donation) কাজ করে থাকেন। বিবাহের অনুষ্ঠানের মধ্যে একটা রক্তদান শিবির করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তবে স্ত্রীকে এই পরিকল্পনার কথা যখন বলেন, প্রথমে তিনি একটু ভীত হলেও সব ভয় কাটিয়ে স্বামীর এক কথায় তাঁর পাশে দাঁড়ান। রাহুলবাবু আরও বলেন, বিবাহিত জীবনের প্রথম দিনেই এই ইচ্ছাকে স্ত্রী যেভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তার জন্য তিনি গর্বিত। তিনি জানান, প্রত্যেক মানুষেরই যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এই ধরনের সমাজ কল্যাণমূলক রক্তদানের অনুষ্ঠান করা উচিত। দম্পতির বক্তব্য, বিবাহের অনুষ্ঠানে সাজসজ্জা, আড়ম্বর এবং খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের পাশাপাশি এই ধরনের ক্ষুদ্র অথচ মহৎ কর্মকাণ্ড নিয়ে সকলেরই এগিয়ে আসা ভীষণভাবে প্রয়োজন। ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় রাজ্যে রক্তের সংকট একেবারে দূর না হলেও কিছুটা রক্তের সংকট মিটবে বলে আশা তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    Malda School: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চক, পেন্সিল হাতে নিয়ে ক্লাসে ঢুকেছেন স্কুলের (Malda School) শিক্ষক। পড়ুয়াদের ভিড়ে ঠাসা ক্লাসরুম। শিক্ষক সবে ক্লাস শুরু করেছেন। আচমকাই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আর দুটি কাচের বোতল নিয়ে অপরিচিত মাঝবয়সী একজন ক্লাসরুমে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন। তাঁকে দেখে শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সকলেই ভয়ে সিঁটিয়ে গেলেন। শিক্ষকের বই-খাতা রাখার টেবিলে দুটি কাচের বোতল রাখেন ওই বন্দুকবাজ। ওই ব্যক্তি ক্লাসের পড়ুয়াদের বলেন, কাচের বোতলে অ্যাসিড আর পেট্রল বোমা রয়েছে। স্কুলের মধ্যে বন্দুকবাজের এরকম দাপাদাপির খবর শুনলে মনে হতেই পারে মার্কিন মুলুক কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কোনও এলাকার ঘটনা। কিন্তু, ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে এই রাজ্যেই। ঘটনাস্থল পুরাতন মালদহের মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল (Malda School) । চোখের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একজনকে দেখে ক্লাস সেভেনের পড়ুয়ারা কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

    কেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে হামলা চালালেন ওই ব্যক্তি?

     বন্দুকবাজের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের (Malda School)  অন্যান্য ক্লাসের পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা স্কুল গেটের বাইরে ভিড় করেন। স্থানীয় লোকজনের ভিড়ে স্কুল গেটের সামনে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মালদহ থানার পুলিশ আসে। ততক্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্লাসরুমের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হাতে একটি কাগজ নিয়ে বলতে থাকেন, তৃণমূল আর পুলিশ প্রশাসন আমার স্ত্রী ও ছেলেকে দুবছর ধরে অপহরণ করে রেখেছে। আমি বিডিও থেকে নবান্ন পর্যন্ত সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। আমি এর আগে ফেসবুকে বিষয়টি বলেছিলাম। কিন্তু, কেউ কথা রাখেনি। আজ, আমি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছি। আমার ব্যাগের মধ্যে ইলেকট্রনিক বোমা রয়েছে। হাতে নাইন এমএম রয়েছে। আর দুটি কাচের বোতলের একটিতে অ্যাসিড বোমা, অন্যদিতে পেট্রল বোমা রয়েছে।  বোমা ফাটলে গোটা ক্লাসরুম ঝলসে যাবে। এই কথাগুলি তিনি যখন বলছিলেন, তখন ক্লাসের মধ্যে থাকা পড়ুয়ারা কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন। আর ক্লাস রুমের বাইরে তখন শিক্ষক, অভিভাবক আর পুলিশ অফিসারদের ভিড়। এক পুলিশ আধিকারিকের তত্পরতায় ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রসহ অ্যাসিড বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

     স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম দেববল্লভ রায়। তার বাড়ি পুরাতন মালদহের নেমুয়া এলাকায়। একসময় তার স্ত্রী বিজেপি-র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছিলেন। পরে, তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বছর দুয়েক আগে থেকেই তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে তৃণমূল অপহরণ করে রেখেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কোনও কারণ থেকে ওই ব্যক্তি এসব করেছে। তাকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়াতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নানা অভিযোগ করেছিল। তখনও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। এবার স্কুলে (Malda School) এভাবে কেন এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj Minor Girl Death: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে মেয়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বাবা

    Kaliaganj Minor Girl Death: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে মেয়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা (Kaliaganj Minor Girl Death) এবার চলে এল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই নাবালিকার বাবা বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে হাজির হন। তিনি জানান, রাজ্য পুলিশ যেভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছে, তাতে তাঁদের কোনও আস্থা নেই। তাই তাঁরা চান, সিবিআইকে দিয়ে ওই ঘটনার তদন্ত করানো হোক। একই সঙ্গে তিনি ক্ষতিপূরণেরও আবেদন জানান। বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে মামলা করার অনুমতি দেন। গুরুত্ব বুঝে খুব সম্ভবত বিষয়টি বৃহস্পতিবারই শুনানির জন্য উঠতে পারে। জানা গিয়েছে, আবেদনকারীর হয়ে মামলা লড়বেন বিজেপির আইনজীবী সেলের কনভেনর লোকনাথ চ্যাটার্জি। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে একটি পুকুরের ধার থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।

    মৃতার পরিবারের পাশে বিজেপি 

    মঙ্গলবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য বিজেপি ওই পরিবারকে সবরকম সাহায্য ও সহযোগিতা করবে। এমনকি তারা যদি হাইকোর্টে মামলা করতে চায়, তাতেও তাঁরা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগাগোড়াই অভিযোগ করে আসছেন, এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট। ওই নাবালিকার পরিবার হাইকোর্টে মামলা করলে তাঁরা তাঁদের পাশে থাকবেন। বুধবার নাবালিকার পরিবারকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় বিজেপির উদ্যোগেই। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হাজির হয়ে নাবালিকার বাবা তাঁর অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনার (Kaliaganj Minor Girl Death) সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন শাসক দলের নেতারা। তাই পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না। একমাত্র সিবিআই তদন্তভার হাতে নিলেই প্রকৃত দোষীরা সাজা পাবে বলে তিনি মনে করেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ (Kaliaganj Minor Girl Death)। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে রাজবংশী, তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠনগুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পাল্টা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

    অন্যদিকে, রবিবারই কালিয়াগঞ্জে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচককাণ্ড নিয়ে মুখ্য়সচিব এবং ডিজিপি-কে ফোন করে রিপোর্ট চান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Public Toilet: পুরবোর্ডের মেয়াদ পেরিয়েছে এক বছর, এখনও তালাবন্দি ৭৭টি শৌচালয়!

    Public Toilet: পুরবোর্ডের মেয়াদ পেরিয়েছে এক বছর, এখনও তালাবন্দি ৭৭টি শৌচালয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকা ও ক্লাবের ফাঁকা জায়গায় শৌচালয় তৈরি করে দিয়েছে পুরসভা। কিন্তু তৈরির কিছুদিন পর থেকেই অনেক শৌচালয় (Public Toilet) বন্ধ। কিছু কিছু শৌচালয় বানানোর পর খোলাই হয়নি। আবার যেগুলি চালু ছিল, তার কোথাও জলে প্রচুর আয়রন, কোথাও আলোর ব্যবস্থা নেই, কোথাও নিকাশি ব্যবস্থা ভালো নয়। এই সামান্য সমস্যাগুলি দূর করতে এতদিন উদ্যোগ নেয়নি কেউই, এমনই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।

    সমস্যাটা ঠিক কী?

    দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাট শহরে বন্ধ সাধারণ শৌচালয়গুলি (Public Toilet)। পুরবোর্ডের মেয়াদ এক বছর পার হলেও শহরের ৭৭ টি শৌচালয় এখনও তালাবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছমাস আগে পুরসভার তরফে এক কোটি টাকা বরাদ্দে ওই শৌচালয়গুলির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই কাজ শেষ হয়নি। এমনকি অধিকাংশ শৌচালয়ের কাজ শেষ হলেও তা তালাবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরে। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, পুরসভার দায়িত্ব নিয়ে এমন বহু কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও হয়নি। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, বিগত পুরবোর্ডের আমলে ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে শহরে নতুন ৭৭ টি সাধারণ শৌচালয় (Public Toilet) গড়ে তোলার কাজ শেষ করা হয়। মূলত নির্মল বাংলা বা স্বচ্ছ মিশনের আওতায় এই শৌচালয়গুলি গড়ে তোলা হয়। নতুন পুরবোর্ড ক্ষমতায় আসতেই এই বন্ধ থাকা শৌচালয়গুলি খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। ‘সুডা’ থেকে প্রায় ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সেগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নভেম্বর মাস থেকে সেগুলির সংস্কারের কাজ চলছে। নতুন বছরেই সেগুলি খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও আজও তা হয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শহরে।

    পৌরসভা প্রতিক্রিয়ায় কী জানাল?

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, শহরের সাধারণ শৌচালয়গুলি (Public Toilet) সংস্কারের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কোনওটার ইলেক্ট্রিকের কাজ বাকি, কোনওটার জলের পাইপলাইনের কাজ বাকি। তাই সেগুলি তালাবন্দি অবস্থায় রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সেই কাজগুলি শেষ হবে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই চালু হয়ে যাবে। এছাড়াও শহরের বহু উন্নয়নের কাজ হয়েছে এবং অনেক কাজ চলছে।  

    সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া

    এবিষয়ে বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস বলেন, আমাদের এলাকায় একটি সাধারণ শৌচালয় (Public Toilet) রয়েছে। কিন্তু তা দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাজার এলাকায় এবং ডাক্তার দেখাতে বহু মানুষ বাইরে থেকে প্রত্যেকদিন আসে। কিন্তু তারা এই সাধারণ শৌচালয় ব্যবহার করতে না পেরে রাস্তার ধারে মূত্র ত্যাগ করছে। বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, তহবাজারে যে শৌচালয় রয়েছে, তা দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। যার ফলে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হয়। এর আগে পুরসভাকে জানিয়েছিলাম, তারা এবিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তবুও কোনও কাজ হয়নি। 

    সরব বিরোধীরা

    অন্যদিকে, বিরোধীরাও এবিষয়ে (Public Toilet) সরব হয়েছেন। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, তৃণমূল বোর্ড কোনও কাজই করতে পারছে না। শহরকে নির্মল বা স্বচ্ছ বললেও সামাজিক শৌচালয়গুলিকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বাধ্য হয়ে ফাঁকা জায়গাতেই মূত্রত্যাগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আরএসপির জেলা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য প্রলয় ঘোষ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই শহরে বহু সামাজিক শৌচালয় (Public Toilet) বন্ধ রয়েছে। সেগুলির জন্য কোটি টাকা এসেছে। কিন্তু তবুও কেন শৌচালয়গুলি খোলা হচ্ছে না, জানি না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share