Tag: Madhyom

Madhyom

  • Rainganj: ফিল্মি কায়দায় দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুঠ করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    Rainganj: ফিল্মি কায়দায় দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুঠ করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে ফিল্মি কায়দায় দিনে দুপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার  রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের এনএস রোডের একটি সোনার দোকানে। দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এভাবে ডাকাতির ঘটনায় শহরের (Raiganj) ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর পরই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। দোকানের মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী ভাবে সোনার দোকানে ঢুকল দুষ্কৃতীরা?

    নববর্ষের জন্য সোনার দোকানে অলংকারে ঠাসা ছিল। এদিন দোকান খোলার পর পরই দুজন ক্রেতা সেজে ভিতরে ঢোকে। কিছুক্ষণ পর আরও তিনজন আসে। পরে, আগ্নেয়াস্ত্র বের করে স্বমূর্তি ধরে তারা লুঠপাট চালায়। দোকানের কর্মী জীবেশ ভৌমিক বলেন, প্রথমে দুজন ক্রেতার মতোই দোকানে আসে। ফলে, আমরা অলংকার দেখানোর জন্য তাদের জিজ্ঞাসা করি। সঙ্গে সঙ্গে  আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে বলে। আমাদের কাছে থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। তাদের সহযোগিতা করতে বলে। আমরা যদি তা না করি তবে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।  দুজনে এসব কথা বলতে বলতে আরও তিনজন ভিতরে ঢোকে। সকলেই হিন্দিতে কথা বলছিল। আর যার কাছে মোবাইল পায়, কেড়ে নিয়ে ভেঙে দেয়। আমাদের সকলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা দোকানের জিনিসপত্র লুঠ করতে থাকে। আমাদের দোতলা নিয়ে গিয়ে ক্যান্টিনের মধ্যে আটকে রেখে ওরা চলে যায়। আমরা ৪৫ মিনিট সেখানে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকি। এরমধ্যে তারা সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দেয়।  ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। দোকানের কর্মীদের সঙ্গে তারা কথা বলে।

    দিনের বেলায় সোনার দোকানে ডাকাতি নিয়ে কী বললেন চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক?

     উত্তর দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শংকর কুন্ডু বলেন, শহরে (Raiganj) এই ধরনের ঘটনা এর আগে কোনওদিন ঘটেনি। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের কাছে খুবই আতঙ্কের। দিনের বেলায় সোনার দোকানে সবকিছু লুঠ করে নিয়ে পালাল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gajan Festival: গাজন উৎসবে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন, বাণ ফুঁড়ে আরাধনা করেন শিবের

    Gajan Festival: গাজন উৎসবে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন, বাণ ফুঁড়ে আরাধনা করেন শিবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কগাজন উৎসবে (Gajan Festival) মাতোয়ারা আরামবাগ মহকুমার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার নীলষষ্ঠীর পুজোর দিন থেকেই আরামবাগের মইগ্রাম, বাতানল, নারায়ণপুর, খানাকুলের ঘন্টেশ্বর ছাড়াও পুরশুড়া ও গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গাজন উৎসব। কয়েকশো বছরের পুরনো মইগ্রাম, বাতানল ও খানাকুলের ঘন্টেশ্বরে শিবের গাজনে অগণিত ভক্তের ঢল নেমেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এখানে মহিলারাও সন্ন্যাসী হন। পাশাপাশি চলে বাণ ফোঁড়া। কেবলমাত্র পুরুষরাই বাণ ফোঁড়েন, তেমনটা নয়, মহিলারাও বাণ ফুঁড়ে শিবের আরাধনা করেন।

    ছুটে আসেন বিদেশি পর্যটকরাও

    এই বাণ ফোঁড়া দেখতে শুক্রবার সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে ওঠে বাতানল, মইগ্রাম ও ঘন্টেশ্বরের গাজন উৎসবে (Gajan Festival)। তবে আরামবাগের বাতানাল গ্রামের রাত গাজন হল খুবই বিখ্যাত। বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই বাতানাল গ্রামের বুড়ো শিবের রাত গাজন দেখতে বহু দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত শিবের ভক্ত ও বিদেশি পর্যটক এখানে উপস্থিত হন। এছাড়াও দিনের বেলা দিন গাজনেও প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসেন এই গাজনের দিনে। অন্যান্য জায়গার থেকে বাতানাল গ্রামে শিবের গাজন হল প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী। ইংল্যান্ড, রাশিয়া, আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু বিদেশি আসেন। শুধু তাই নয়, আরামবাগের মুইগ্রাম এলাকাতেও বহু বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে।

    কী জানালেন উৎসব কমিটির কর্মকর্তারা?

    মইগ্রামের গাজন উৎসব (Gajan Festival) কমিটির সম্পাদক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, নীলষষ্ঠী ও গাজন উৎসবের পৌরাণিক ইতিহাস সবার জানা। শিবকে সন্তুষ্ট করতেই এই গাজন। ভক্তরা নিজেদের উপর শারীরিক অত্যাচার করে শিবের ধ্যান ভঙ্গ করেন। এলাকা ছাড়া দূরদূরান্তের মানুষ উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গেই মইগ্রামে গাজন দেখতে ভিড় জমান। সব মিলিয়ে বলা যায়, আরামবাগ মহকুমার বাসিন্দারা এখন গাজন উৎসবে মেতে উঠেছেন।

    গাজন (Gajan) শব্দের মানে কী ?

    গবেষকদের মতে, গা শব্দের অর্থ হল গ্রাম। এবং জন মানে জনগণ। বিশ্বাস মতে, এই সময় হর কালীর বিবাহ হয়েছিল। শিব হলেন জনগণের দেবতা। গ্রামের জনগণ সবাই দেবতার বিয়েতে বরযাত্রী যাওয়ার উদ্দেশে সমবেত হন। আবার অন্য একটি মত হল, গাজন (Gajan Festival) শব্দটি এসেছে ‘গর্জন’ থেকে। অনেকে বলেন, সন্ন্যাসীদের হুঙ্কারই শিবসাধনায় গাজন নামে প্রচলিত হয়। বাংলার মঙ্গলকাব্যেও গাজনের উল্লেখ মেলে। ধর্মমঙ্গল কাব্যে রাণী রঞ্জাবতী ধর্মকে তুষ্ট করতে গাজন (Gajan Festival) পালন করেছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে। গাজন বা চরক শুধুই শিবের আরাধনা হলেও এই উৎসব পালিত হয় ধর্মরাজকে ঘিরেও। আর দুই দেবতার পুজোতেই জাতপাতের ভেদাভেদ ভেঙে যে কেউ অংশ নিতে পারে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Strike: দণ্ডিকাণ্ডে এবার বাংলা বনধের ডাক দিলেন আদিবাসীরা! জানেন কবে?

    Strike: দণ্ডিকাণ্ডে এবার বাংলা বনধের ডাক দিলেন আদিবাসীরা! জানেন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তপশিলি উপজাতি কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে এই ঘটনা নিয়ে তিন দিনের মধ্যে যাবতীয় রিপোর্ট তলব করেছে। দণ্ডিকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতার করার ঘটনায় খুশি নয় আদিবাসী সমাজ। বরং, রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এবার বাংলা বনধের (Strike) ডাক দিল আদিবাসী সংগঠন সেঙ্গেল অভিযান। দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের  দাবিতেই এই বনধের ডাক বলে দাবি আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতাদের। 

    কবে হচ্ছে বাংলা বনধ(Strike)?

    দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ এপ্রিল গভীর রাতে বালুরঘাট থেকে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। তাঁরা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ডিএসপি পদ মর্যাদার এক আধিকারিক এই মামলার তদন্তকারি অফিসার।  ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। আগামী ১৭ তারিখ তাঁদের ফের আদালতে তোলা হবে।  সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ জোনালের সভাপতি মোহন হাঁসদা বলেন,  আদিবাসী মহিলাদের দিয়ে যারা দণ্ডি কাটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছি। শুনলাম এই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, যে নেত্রী এই যোগদান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিলেন তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানাই। আদিবাসীদের উপর নির্যাতন, বঞ্চনার বিরুদ্ধেই আমরা আগামী সোমবার ১৭ই এপ্রিল বাংলা বনধ (Strike) ডেকেছি। আর বনধ (Strike) সফল করার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব।

    জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে কী লিখলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

     শুক্রবার ফের জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি চিঠিতে লিখিছেন, দণ্ডিকাণ্ডে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, তারা এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নন। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতে পুলিশ এই দুজনকে গ্রেফতার করেছে।  এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হচ্ছেন, প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবি জানিয়ে এদিন আবার চিঠি দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয় নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইটও  করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Corruption: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে

    Recruitment Corruption: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে মানুষ পথে বের হতে পারছেন না। ঠিক এরকমই একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সিবিআই-এর তদন্ত কিন্তু থেমে নেই। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলার শিকড়ে পৌঁছতে ঠা ঠা রোদের মধ্যেও সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূলের এক বিধায়কের বাড়িতে। বাড়ির দরজা বন্ধ করে চলল জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। তল্লাশি চলে তাঁর অফিসেও। যাঁর বাড়িতে এই তল্লাশি চলল, তিনি হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞ্চার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও সিবিআইয়ের একটি টিম পৌঁছে যায় বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে জড়াল তৃণমূল বিধায়কের নাম

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সামগ্রিক পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। উঠে আসে তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়। উঠে আসে কৌশিক ঘোষ বলে একজনের নাম, যিনি আবার জীবনকৃষ্ণ সাহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পারে সিবিআই। শুধু তাই নয়, কৌশিকের সঙ্গে বিধায়কের ঘনিষ্ঠতার নানা প্রমাণও সিবিআই-এর হাতে আসে। সিবিআই জানতে পারে, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং কৌশিক ঘোষ-দুজনে মিলেই চাকরি বিক্রির একটা চক্র গড়ে তুলেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, তাদের মধ্যে জীবনকৃষ্ণ সাহার আত্মীয় যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কৌশিকের আত্মীয়রাও। প্রথমে কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে সিবিআই জানতে পারে কৌশিক ঘোষের নাম। আর তাঁর নাম উঠতেই স্বাভাবিকভাবে চলে আসে তৃণমূল বিধায়কের নাম। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে এদিনের এই সিবিআই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। 

    অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল বিধায়কের 

    এদিন অভিযান চলাকালীন জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়িতেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় কৌশিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হওয়ায় অনেকেই তাঁর কাছে আসেন। ফলে কারও সঙ্গে ছবি দেখালে এটা প্রমাণ হয় না, ওই ব্যক্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ। যদিও এলাকার মানুষের দাবি, দুজনের ঘনিষ্ঠতার কথা কারোরই অজানা নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amartya Sen: জমি-বিবাদে অমর্ত্য সেনকে ‘চরমপত্র’! এবার কি তাহলে উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী?

    Amartya Sen: জমি-বিবাদে অমর্ত্য সেনকে ‘চরমপত্র’! এবার কি তাহলে উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতী বনাম নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি-বিবাদ এবার মারাত্মক দিকে মোড় নিল। এতদিন বিষয়টি আলাপ-আলোচনা বা চিঠি-চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখনও তাই-ই আছে। কিন্তু এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে যে নোটিশ পাঠিয়েছে, তার বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা শুরু হয়েছে। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তীকে ই-মেইল মারফত যে নোটিশ বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার পাঠিয়েছেন, তাতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৯ শে এপ্রিল ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ‘কড়া পদক্ষেপ’ নেবে কর্তৃপক্ষ। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এবার সরাসরি উচ্ছেদ অভিযানে নামতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ? 

    কী নিয়ে উভয়পক্ষের এই বিবাদ?

    বিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অমর্ত্য সেনের লিজ নেওয়া জমি। অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) দাবি, জমির পরিমাণ ১.৩৮ একর। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, জমির পরিমাণ আরও কম এবং সেটা হল ১.২৫ একর। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, ওই বাড়তি জমি অমর্ত্য সেন জোর করে দখল করে রেখেছেন এবং তা ভোগদখল করছেন। তাই তা আসলে বিশ্বভারতীর নিজস্ব সম্পত্তি। অন্যদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দাবি, বিশ্বভারতী ঠিক কথা বলছে না। ওই জমি কিনেছিলেন তাঁর বাবা। সেই সংক্রান্ত কাগজপত্রও তাঁর কাছে রয়েছে। 

    কেন পরিস্থিতি জটিল দিকে মোড় নিল?

    বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ শে মার্চ এই বিষয়ে আলোচনার জন্য অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) ডাকা হয়েছিল শুনানিতে। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। আরও কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছিল তাঁর পক্ষ থেকে। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, আইন মোতাবেক তাঁকে সাতদিনের বেশি সময় দেওয়া যায় না। যেখানে অমর্ত্য সেন চেয়েছিলেন আরও চার মাস সময়। নোটিশে একথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ১৯ তারিখ চাইলে অমর্ত্য সেনের আইনজীবী হাজির থাকতে পারবেন, এমনকি তিনি চাইলে ই-মেইলে তাঁর বক্তব্য জানাতে পারেন।

    পুলিশ-প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?

    অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) এখন রয়েছেন বিদেশে। তিনি আগামী ১৯ শে এপ্রিলের মধ্যে আসতে পারবেন, এমন সম্ভাবনাও নেই বলেই জানা গিয়েছে। তাই ‘প্রতীচী’ বাড়ি ঘিরে যে কোনও ধরনের গণ্ডগোল হতে পারে, এরকম একটা আশঙ্কা রয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অমর্ত্য সেনের এই বাড়ি ঘিরে যাতে শান্তি বজায় থাকে, তা দেখতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mango Cultivation: তীব্র দাবদাহে পোকার আক্রমণ, ঝরে যাচ্ছে আম, দাম কি এবার নাগালে থাকবে?

    Mango Cultivation: তীব্র দাবদাহে পোকার আক্রমণ, ঝরে যাচ্ছে আম, দাম কি এবার নাগালে থাকবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দয়ে পোকার আক্রমণে ঝরে যাচ্ছে আম। মাথায় হাত আমচাষিদের। গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহের ফলে এই দয়ে পোকার উপদ্রব বেড়েছে। আর যে কারণে মালদার অর্থকারী ফসল আম (Mango Cultivation) ক্ষতির মুখে। চিন্তিত মালদা জেলা উদ্যানপালন ও বাগিচা দফতরের আধিকারিকরা। জরুরি ভিত্তিতে এই পোকার উপদ্রব কমাতে আমচাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

    উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা উদ্যানপালন দফতরের

    মালদা জেলাতে ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ (Mango Cultivation) হয়। এই বছর চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। দয়ে পোকার আক্রমণের ফলে আম উৎপাদনের যে টার্গেট জেলা উদ্যানপালন ও বাগিচা দফতরের কর্তারা করেছিলেন, তাতে ভাটা পড়তে পারে, এমনই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই বছরের শুরুতে আম উৎপাদনে অনুকূল আবহাওয়ার ফলে চাষি থেকে ব্যবসায়ী সকলেই খুশিতে ছিলেন। সময়ের আগেই মালদার আমবাগান মুকুলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমজনতাও মালদার আমের স্বাদ অল্প খরচে পাবেন, আশা করেছিলেন এমনটাই। কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদহ কপালে ভাঁজ ফেলেছে সকলের। 

    কেমন আশঙ্কায় আছেন আমচাষিরা?

    আমচাষি রতন ঘোষ জানাচ্ছেন, যেহারে এই পোকার উপদ্রব বেড়েছে, তাতে আমকে বাঁচিয়ে রাখা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋণ নিয়ে আমচাষ (Mango Cultivation) করেছি। প্রথমে মুকুল ভালো হওয়ায় আশা করেছিলাম, এবার হয়তো ফলন ভালো হবে। দুপয়সার মুখ দেখবো। আজ হতাশ। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, দ্রুত এই পোকার উপদ্রব থেকে আমকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক।  

    কী বলছেন উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক?

    জেলা উদ্যানপালন বাগিচা দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, আমচাষে (Mango Cultivation) পোকার উপদ্রব শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদাহও চলছে। এই সময়  সংবেদনশীল পোকা মারার কীটনাশক স্প্রে  করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া নিম তেল জাতীয় জিনিস জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই দয়ে পোকার উপদ্রব কমে যাবে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Corruption: স্বজনপোষণের ঠেলায় পুরসভায় উপচে পড়ছে অস্থায়ী কর্মী, বেতন দিতে নাভিশ্বাস

    Municipality Corruption: স্বজনপোষণের ঠেলায় পুরসভায় উপচে পড়ছে অস্থায়ী কর্মী, বেতন দিতে নাভিশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক সময়ে বেতন দিতে নাভিশ্বাস উঠছে। কোনও মাসেই নাকি সময়ে বেতন হয় না, এমনই জোরালো অভিযোগ ঘিরে তেড়েফুঁড়ে উঠলেন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা। বুধবার একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখানোর পর বৃহস্পতিবারও পুরসভা চত্বরে চেয়ারম্যানের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বুধবার চেয়ারম্যান অমিত রায় পুরসভায় ঢুকতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হন। তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে হাতাহাতিও হয়। আসলে বেতন ঠিক সময়ে হবে কী করে? প্রতিটি দফতরেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক নেওয়া হয়েছে (Municipality Corruption)। পুরসভার দেওয়ালে কান পাতলে এমনই অভিযোগ শোনা যায়।

    কী বলছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক?

    চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, বাম আমল থেকে যেসব অস্থায়ী কর্মী এখানে কাজ করত, তাদের সরানো হয়নি। আবার জনসংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে কাজের চাপও বাড়ছে। তাই বাড়তি কিছু লোকও নিতে হয়েছে অস্থায়ী হিসেবে।”

    বর্তমানে চিত্রটা কী? 

    পুরসভা সূত্রে খবর, এখানে প্রায় ২২০০ অস্থায়ী কর্মী (Municipality Corruption)! আর ন্যূনতম মজুরি মাথাপিছু ২৭০ টাকা প্রতিদিন। প্রায় ৬০০ জনের মজুরি রাজ্য পুর উন্নয়ন সংস্থা থেকে আসে। বাকি ওই বিপুল বোঝা পুরসভাকেই টানতে হয়। কিন্তু সেই অর্থে এই পুর এলাকায় কোনও শিল্প না থাকায় পুরকরও তেমন ওঠে না। তাই মাঝে মধ্যেই অনিয়মিত হয়ে পড়ে অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি। 

    ‘অস্থায়ী কর্মচারীদের অধিকাংশই তৃণমূলের ক্যাডার’, অভিযোগ বিজেপির

    বিরোধী দল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই বিপুল সংখ্যক অস্থায়ী কর্মীদের (Municipality Corruption) তৃণমূল আমলেই যে যেরকম পেরেছে ঢুকিয়ে গেছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করেন, এদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল পার্টির ক্যাডার। অর্ধেক লোক কাজ করে না, বাড়িতে বসে সারা মাসের মজুরি তুলে নেয়। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। এখানে বেশিরভাগ চোর। আমরা চাইছি অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করিয়ে এখানে অ্যামিনিস্ট্রেটর বসানো হোক। 

    প্রায় ২ ঘণ্টা অবস্থানের পর অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় বসেন চেয়ারম্যান অমিত রায়। আগামী সোমবারের মধ্যেই মজুরির বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এরপর অবস্থান ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটি-মাফিয়াদের কি স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে আরামবাগ মহকুমার বেশ কিছু এলাকা? অভিযোগ, সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে মাটি-মাফিয়াদের (Mafia Raj) দৌরাত্ম্য। পুকুর থেকে মাটি জেসিবি দিয়ে কেটে, ট্রাক্টরে পাচার হচ্ছে অন্যত্র। ঘটনাস্থল গোঘাটের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতের ভাতশালা এলাকা। সেখানেই শতাধিক ট্রাক্টরে চাপিয়ে মাটি এইভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। শুধু তাই নয়, সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি গ্রামের লোকজন ডেকে ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেওয়া হয়।

    খবর সংগ্রহে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হুমকির মুখে

    কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, ভাতশালা এলাকার একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এবং পুকুরের পাড়ে না ফেলে তা অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভাতশালা এলাকায় ঢুকতেই পুকুরপাড়ে থাকা সমস্ত ট্রাক্টর তড়িঘড়ি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের দেখে সাময়িক ভয় পেলেও মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মী। তারপরেই সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী গ্রামের লোকজন ডেকে তারা ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেয়। তাদের কথাতেই বোঝা গেল, এই মাটি চুরির (Mafia Raj) ক্ষেত্রে মাথায় হাত রয়েছে একাধিক নেতার। শুধু তাই নয়, রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের সমর্থনও। সেই প্রভাব খাটিয়েই দেদার চলছে পুকুর থেকে মাটি তুলে অন্যত্র পাচার।

    কী বলছে শাসকদল এবং প্রশাসন?

    কয়েকদিন ধরে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর মাটি পাচার (Mafia Raj) হলেও, কেন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না? তাহলে কি শাসকদলের নেতাদের হাত মাথায় থাকলে সব সম্ভব? যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় পাবে না বলে জানান গোঘাট ২ নং তৃণমূল ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া। অন্যদিকে ঘটনায় আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মন্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atm Card: পুকুরপাড়ে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়

    Atm Card: পুকুরপাড়ে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলার রতুয়া দুই নম্বর ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় বিপুল পরিমাণে এটিএম কার্ড (Atm Card) উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে। পরিত্যক্ত পুকুরের পাড় থেকে এক বস্তা এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে, যার ওজন প্রায় ১০ কেজি। এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এত এটিএম কার্ড কীভাবে এলাকায় পৌঁছল? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হন স্থানীয়রা। 

    কী করে মিলল এতো এটিএম কার্ড?

    পাড়ারই একটি অল্পবয়সী ছেলে সকালে গিয়েছিল পুকুরপাড়ে। সেখানেই সে ওই মুখবাঁধা বস্তাটি দেখতে পায়। হাইস্কুলের পিছনে একটি গর্তের মধ্যে সেটি ছিল। তারপর সে সেটি বাড়ি নিয়ে আসে। কিন্তু তার দাবি, ভিতরে কী আছে না দেখেই সেটি সে বিক্রি করে দেয়। অন্যদিকে, পড়ে থাকা কিছু এটিএম কার্ডে (Atm Card) পাড়ারই পরিচিতদের নাম দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজনের। তারা তেমনই একটি কার্ড নিয়ে হাজির হয় এক যুবকের কাছে, যার বাবার নামে ছিল একটি কার্ড। ওই যুবক তখন পুরো বিষয়টির ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। তারপরই ধীরে ধীরে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

    কোন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড?

    মালদার রতুয়া ২ ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় রয়েছে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক-এর একটি শাখা। এর ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড (Atm Card) উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, এই এটিএম কার্ডগুলির বাতিল হওয়ার সময়সীমা এখনও বাকি রয়েছে। বহু কার্ডেই দেখা যাচ্ছে, এক্সপায়ারি ডেট লেখা রয়েছে ২০২৪, ২০২৫ বা ২০২৬ সাল। গ্রাহকদের নামে তৈরি হওয়া এই এটিএম কার্ড কী করে ফেলে দেওয়া হল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা। 

    সবই বাতিল এটিএম কার্ড, জানাল কর্তৃপক্ষ

    গোটা ঘটনায় বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই এটিএম কার্ড (Atm Card) থেকে কোনও গ্রাহকের ক্ষতি হবে না। এটিএম কার্ড তৈরি হলেও কোনও গ্রাহকের কাছে ইস্যু করা হয়নি। তাদের ভাষায়, এগুলি রিজেক্টেড। এ থেকে একটা টাকাও তোলা যাবে না। বাতিল হওয়ার কারণেই এগুলি বস্তার মধ্যে ভরে রাখা ছিল। তাই কীভাবে সেটি ওই জায়গায় গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। দুজনেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার ধৃত দুজনকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭ এপ্রিল তাদের ফের আদালতে তোলা হবে বলে জানান বালুরঘাট জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সজল ঘোষ।

    দণ্ডিকাণ্ডে গ্রেফতার (Arrest) নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি করার প্রায়শ্চিত হিসেবে তৃণমূলের জেলার প্রাক্তন মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী তিনজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি ছেড়ে আসার পর তাঁদের হাতে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এমনিতেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সংগঠন একজোট হয়ে আন্দোলনে নামে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাতারাতি অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু তপনের ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে, এতদিন এই ঘটনায় দলগতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রশাসনিক স্তরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল। এবার এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপি-র জেলা নেতা বাপি সরকার বলেন, জেলার ওই তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে দণ্ডিকাণ্ড হয়েছিল। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাঁকে আড়াল করতে লোক দেখানো দুজনকে গ্রেফতার (Arrest)  করা হয়েছে। আমাদের প্রথম থেকে দাবি অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেলা তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, দণ্ডিকাণ্ডকে প্রথম থেকে দল সমর্থন করেনি। তাই , ঘটনার পর পরই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share