Tag: Madhyom

Madhyom

  • BJP: শুভেন্দুর সভার আগেই খেজুরিতে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মী

    BJP: শুভেন্দুর সভার আগেই খেজুরিতে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! একাধিক বাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত বহু বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে এসে খেজুরির ঠাকুরনগরে ৩ রা এপ্রিল প্রশাসনিক জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল ১০ এপ্রিল সেই মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা রাজনৈতিক জনসভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রশাসন সভার অনুমতি না দিলেও কলকাতা হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে। আর সেই সভার আগেই তৃণমূলীদের তাণ্ডব ও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হল খেজুরিতে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, খেজুরি-১ ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কন্ঠীবাড়ী গ্রামে।  রাস্তাঘাট নেই। বারবার আবেদন জানিয়েও মেলেনি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। ফলে, এই ক্যাম্পের কোনও প্রয়োজন নেই বলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।  পাশাপাশি খেজুরির বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বহু বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে ও দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বারাতলা অঞ্চলের ১৭০ নম্বর বুথে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি (BJP)  কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। একাধিক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় একজন মহিলা কর্মী কোমরে গুরুতর চোট পেয়েছেন। হাতও ভেঙে দিয়েছে। দু- তিনজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আলো বালা রঞ্জিত, আঙ্গুরবালা রঞ্জিত, দিপালী পাত্র ,স্বপন মালি ,সুকুমার বেরা, সুমন মালি সহ কয়েকজন বিজেপি (BJP)  কর্মী জখম হয়ে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    কেন হামলা চালাল তৃণমূল?

    রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ও তার পাশের বিধানসভা খেজুরি। গত বিধানসভা ভোটে জমি রক্ষার আন্দোলন খ্যাত নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পাশের বিধানসভা খেজুরিতেও পরাজিত হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী। যে জমি আন্দোলন,  যে নন্দীগ্রাম খেজুরির হাত ধরে রাজ্যের মসনদে বসেছে তৃণমূল সেই নন্দীগ্রাম ও খেজুরি পুন:দখলই এই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান লক্ষ্য।  উল্টোদিকে, বিধানসভা ভোটের সাফল্য ধরে রেখে নন্দীগ্রাম খেজুরি থেকে তৃণমূলকে একদমে উৎখাত করে দেওয়াই লক্ষ্য বিজেপির (BJP) । এমন প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সভা ও পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমে বাড়ছে খেজুরি, নন্দীগ্রাম সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।  পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে চাইছে তৃণমূল। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে এলাকায় বিজেপি (BJP)  কর্মীদের উপর সন্ত্রাস তৈরি করতেই তৃণমূলীরা হামলা চালায়। এমনই অভিযোগ বিজেপির (BJP) ।

    কী বললেন বিজেপির বিধায়ক ?

    তৃণমূলীদের হামলার প্রতিবাদে শনিবার খেজুরির গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ মোড়ে বিজেপি (BJP)  কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূলীরা হামলা চালায়। বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আসলে ভয় দেখিয়ে কেউ জনসভায় না যায়, সেই চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো যাবে না। দলীয় সভায় কর্মীদের ভিড় উপচে পড়বে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খেজুরি ২ ব্লকের সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, তৃণমূল উন্নয়ন করেছে, গন্ডগোল করার দরকার নেই। মানুষ ভালোবেসে ভোট দেবেন আমাদের। এইসব মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারে থাকার চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP) ।  পঞ্চায়েত ভোটের পর এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kurmi: চারদিন ধরে চলছে কুড়মিদের রেল অবরোধ, শনিবারও একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, ব্যাপক ভোগান্তি

    Kurmi: চারদিন ধরে চলছে কুড়মিদের রেল অবরোধ, শনিবারও একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, ব্যাপক ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আদিবাসী (Tribal People)  কুড়মি (kurmi) জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে কুড়মিদের (kurmi)  পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ চারদিন ধরে পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে চলছে রেল অবরোধ। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে রেল ও সড়ক অবরোধ চলছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে কোনও সমাধান হয়নি। শনিবার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা বসে। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রবিবার থেকে কোটশিলা স্টেশনে নতুন করে অবরোধ শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    আন্দোলনের জেরে কত ট্রেন বাতিল হল?

    বুধবার থেকে রেল অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। গত চারদিনে প্রায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবারও কুড়মিদের (kurmi)  লাগাতার আন্দোলনের জেরে বাতিল করা হয়েছে একগুচ্ছ দূরপাল্লার ট্রেন। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এদিন ৭২ টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক, শালিমার সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেন রয়েছে।  একাধিক ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রেল। রেল ও সড়ক অবরোধের ফলে গোটা জঙ্গলমহল একেবারে স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার রেল অবরোধ চারদিনে পা দিল। ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে ৪ এপ্রিল থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছিল। সেই অবরোধ এদিন পাঁচদিনে পড়ল। তবে, পুরুলিয়া জেলায় রেল অবরোধ করা হলেও সড়ক অবরোধ করা হয়নি। এবার সড়ক পথ অবরোধ করা হবে বলে সংগঠনের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: পুলিশি বাধায় রিষড়ায় ঢুকতে পারলেন না ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, কী বললেন তাঁরা?

    Rishra: পুলিশি বাধায় রিষড়ায় ঢুকতে পারলেন না ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, কী বললেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাম নবমীর দিন রিষড়ার গন্ডগোলের পর  প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। তারপর ঘটনাস্থলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। শুক্রবার আইএসএফ-র প্রতিনিধিরা ঢুকতে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শনিবার দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিদের রিষড়া (Rishra) যাওয়ার আগেই আটকে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এদিন রিষড়াকাণ্ডে (Rishra)  ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে যান। রিষড়া (Rishra)  ঢোকার বেশ কিছুটা আগেই শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি মোড়ে দিল্লি রোডে তাদের কনভয় আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়,  ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনও প্রতিনিধি দলকেই এই মুহূর্তে রিষড়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তাই, ওই দলের সদস্যদের ফিরে যেতে বলা হয়।

    কমিটিতে কারা রয়েছেন?

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। প্রতিনিধি দলের মধ্যে  একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নরসীমা রেড্ডি, আইনজীবী চালুওয়ালি খন্না, আইনজীবী ওমপ্রকাশ ব্যাস,  অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রচপাল সিং এবং প্রবীণ সাংবাদিক সঞ্জীব নায়েক রয়েছেন। শনিবারই এই প্রতিনিধি দল এসেছেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁরা কলকাতায় থাকবেন। শনিবার রিষড়া (Rishra) এবং রবিবার তাদের হাওড়ার শিবপুর যাওয়ার কথা। আর ১০ এপ্রিল নবান্নে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ১০ এপ্রিল কলকাতায় তাঁদের সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা রয়েছে। প্রথম দিন রিষড়ায় (Rishra)  পরিদর্শনের আগে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

    কী বললেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা?

    রিষড়া (Rishra)  ঢোকার আগেই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পুলিশের কাছে বাধা পান। তাঁরা বলেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, তাহলে কেন তাঁদের আটকানো হবে? ওই এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাঁরা। কিন্তু, প্রশাসন তাদের বাধা দিচ্ছে। ভারতবর্ষের আইন সব মানুষকে দেশের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার দিয়েছে। তাঁরা ১৪৪ ধারা মেনে একজন একজন করে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও তাঁদের আটকানো হয়েছে।  তাঁদের প্রশ্ন“কী লুকোতে চাইছে পুলিশ? আমরা রিষড়ায় (Rishra)  গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতাম। সেদিন পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? মানুষের কতটা ক্ষতি হয়েছে? সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতাম। আমরা বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

  • Scam: সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কারা জড়িত জানেন?

    Scam: সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! কারা জড়িত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে লোন দেওয়ার নামে কোটি,কোটি টাকার দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা তথা চিংড়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের নির্দেশের পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও তদন্তে এলেন না সমবায় আধিকারিকরা। কতদিনে মিলবে সুরাহা? ক্ষুব্ধ খানাকুল -২ ব্লকের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকরা।

    সমবায়ের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৭ – ১৮ আর্থিক বর্ষে খানাকুলের চিংড়া সমবায় সমিতি থেকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ঋণ হিসাবে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা তোলা হয়। যা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ওই এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি সমবায়ের এলাকার বাইরেও বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকে কার্যত ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এসব করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সমবায় সমিতির ম্যানেজার প্রভুনাথ পোড়েল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর্থিক তছরুপের (Scam)  সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশরের নেতৃত্বে এলাকার কৃষকরা গণ স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। গত ডিসেম্বর মাসে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন হুগলি জেলাশাসক। কিন্তু, এরপরেও সেই অর্থে কোনও তদন্তই শুরুই হয়নি বলে অভিযোগ। গত ৬ এপ্রিল রাজ্য সমবায় দফতরের অধিকারিকদের খানাকুলের চিংড়া এলাকায় দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আসার কথা ছিল। সেইমতো স্থানীয় কৃষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, অবশেষে কোনো সমবায় আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। ফলে, ক্ষুব্ধ এলাকার কৃষকরা।

    কী বললেন স্থানীয় কৃষকরা?

    ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছিল সমবায় দুর্নীতিতে (Scam)  খানাকুল সহ জেলা ও রাজ্যের বেশকিছু প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যাঙ্কের একাংশের কর্মীরা যুক্ত আছে। তদন্তকারীরা না আসায় সেই অভিযোগ ফের তুলতে শুরু করেন কৃষকরা। শঙ্কর সাঁতরা, দেবপ্রসাদ মাইতি নামে কৃষকরা বলেন, আমাদের টাকা নিয়ে অন্যদের লক্ষ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হচ্ছে। সমবায়ের ম্যানেজার দুর্নীতির (Scam)  সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনের একটি অংশ জড়িত থাকায় কেউ তদন্ত পর্যন্ত করতে আসছে না।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ইশর বলেন, এই দুর্নীতিতে (Scam)  সমবায়ের ম্যানেজার শুধু নয় আরও অনেক প্রভাবশালী যুক্ত আছেন। তবে, প্রধানের বিরুদ্ধেও লোনের নামে টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি লোন নিয়েছিলাম। তা পরিশোধও করছি। পাশাপাশি খানাকুল বিধানসভার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মুন্সী নজিবুল করিম সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও সমবায় সমিতি থেকে লোনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

     কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, চাকরি নিয়ে তৃণমূল শুধু দুর্নীতি (Scam)  করেনি, সমবায় সমিতিতে ওরা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি (Scam)  করেছে। সমবায়ের বাইরে লোককে টাকা পাইয়ে দিয়েছে। এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা।

    সমবায় সমিতির কর্মীরা কী বললেন?

    এদিকে দুর্নীতির (Scam)  বিষয়টি জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই সমবায় সমিতির ম্যানেজার। সমবায় সমিতির কর্মীদের দাবি,তিনি কাজের জন্য অন্যত্র রয়েছেন।তবে, সূত্রের খবর,তিনি এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বহাল তবিয়তে দিদির দূত হিসাবে কাজ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে বচসা। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান শহরের ঢলদীঘি মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার উপর হামলার (Attack)  ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    শুক্রবার বর্ধমান শহরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা ছিল। তারজন্য সভার আগে থেকে শহরের রাস্তা  বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকায় মুড়ে দিয়েছিলেন। আক্রান্ত বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি  পিন্টু শ্যামের বক্তব্য, শহর জুড়ে আমাদের দলীয় পতাকা ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কয়েকজন আমাদের পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছিল। আমি তার প্রতিবাদ করি। আর দলীয় পতাকা খুলতে তাদের বাধা দিই।  প্রথমে আমার সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। পরে, একজন আমাকে তেড়ে আসে। সঙ্গে আরও দুজন ছুটে আসে। আমি তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওরা আমাকে হামলা (Attack) করে। একজন আমাকে ছুরি চালিয়ে দেয়। আমি ছুটে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিই। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তার ফুটেজ সংগ্রহ করলেই পুলিশ জানতে পারবে কারা হামলাকারী (Attack)। আমাদের দাবি, হামলাকারীদের(Attack)  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি?

    দলীয় নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, শুক্রবার বর্ধমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি  শ্যামাপদ মণ্ডল কর্মসূচিতে ছিলেন। রাতে তিনি বর্ধমানেই ছিলেন। এদিন পিন্টু তাকে বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনে তুলে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময়ে পিন্টু দেখে ঢলদীঘি মোড়ে কয়েকজন আমাদের দলীয় পতাকা খুলে দিচ্ছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও (Attack)  হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুষ্কৃতীরাজ চলছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ওদের লোকজন হয়নি। তাই, এসব মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করতে চাইছে। যেহেতু আজ আমাদের মিছিল রয়েছে, তাই ওরা এসব করছে। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিতে যোগদানের শাস্তি দণ্ডিকাটা! কাঠগড়ায় তৃণমূল, কোথায় জানেন?

    BJP: বিজেপিতে যোগদানের শাস্তি দণ্ডিকাটা! কাঠগড়ায় তৃণমূল, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপিতে যোগদান করার শাস্তি  দণ্ডিকাটা! শুনতে অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। আর এই শাস্তির বিধানদাতা তৃণমূলের মাতব্বররা। বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে ফেরার জন্য দণ্ডি কেটে প্রায়শ্চিত করতে হয়েছে আদিবাসী তিনজন মহিলাকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বালুরঘাট শহরের মানুষ। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই দণ্ডি কাটার দায় দলের স্থানীয় নেতাদের ওপর চাপিয়েছে। তবে, বিজেপিতে (BJP)  যাওয়ার জন্য শাসক দলের নেতাদের এই বিধান দেওয়া নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি (BJP)  নেতৃত্ব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিজেপি-র নেতা, কর্মীরা ধর্না ও বিক্ষোভ সমাবেশে বসেন।

     ঠিক কী ঘটেছিল?

    ৬ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকে প্রায় দুশো জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে (BJP)  যোগদান করেন। শুক্রবার দলবদলুরা সকলেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। যদিও শুক্রবার সন্ধ্যায় জনাচারেক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলে যোগ দিতে দেখা যায়। আর বিজেপিতে (BJP)  যোগ দেওয়ার শাস্তি হিসেবে নাকখত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কতদূর থেকে দণ্ডি কেটে ওই কর্মীদের ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রায়শ্চিত করতে হবে তা ঠিক করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে কাঁঠালপাড়ায় অবস্থিত তৃণমূল জেলা কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কেটে আসেন চারজন আদিবাসী মহিলা। পরে, তাঁরা ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। এই বিষয়ে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, এদিন কয়েকজন যোগ দিয়েছেন। বাকিরা আগামীদিনে যোগ দেবেন।

    দণ্ডি কাটার নিদান নিয়ে কী বললেন বিজেপির (BJP)  রাজ্য সভাপতি?

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির (BJP)  জেলা নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। এবার এই অমানবিক ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির (BJP)  রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, জোর করে আদিবাসী ওই মহিলাদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। আর বিজেপি করার অপরাধে তাদের নাকখত দেওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আদিবাসী মহিলাদের অপমান করেছে তা আদিবাসী সমাজের অপমান। তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। গোটা রাজ্যের আদিবাসী সমাজকে এই অমানবিক ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আবেদন জানাচ্ছি। অন্যদিকে, জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    দলবদলুদের দণ্ডি কাটার শাস্তির নিদান নিয়ে জেলা জুড়়ে সবমহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। শাসক দল ব্যাকফুটে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, তৃণমূলে কেউ যোগ দিলে আমরা জানতে পারতাম। এরকম খবর আমাদের কাছে নেই। আর দণ্ডি কাটার ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক হয়নি। এরকম হলে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ফিল্মি কায়দায় ভরা বাজারে তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    Nadia: ফিল্মি কায়দায় ভরা বাজারে তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে লোকজনে থিক থিক করছে। দুটি বাইকে কয়েকজন এসে একেবারে ফিল্মি কায়দায় এক তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার বড় চুপড়ি বাজারে। বছর পঁচিশের মেয়ের সামনেই পর পর গুলি করে করে খুন করা হল বাবাকে। দোকানের মধ্যে ঢুকে প্রাণ বাঁচানোর আর্ত চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত লুটিয়ে পড়লেন সুঠাম চেহারার ওই ব্যক্তি। আর মৃত্যু নিশ্চিত বুঝতে পেরে ভরা বাজারে লোকজনের সামনে বাইক ছুটিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম  আমোদ আলি বিশ্বাস (৫৩)।  তাঁর বাড়ি বড় চুপড়ি এলাকায়।

    কে এই আমোদ আলি ?

    সামনে তার পেশা ছিল চাষ বাস। আর ভিতরে  জমি কেনা বেচা থেকে শুরু করে অপরাধ জগতের অনেক কিছু করত সে। আর এসব অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল দলের স্থানীয় কোন সভায় লোক জড়ো করার কাজটা ভালো করেই দেখাতো সে। শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকলে তাকে সহজে পুলিশ ধরবে না এই আশায় এমন কৌশল করত সে এমনই দাবি তৃণমূলের একাংশের । এক কথায় বড় চুপড়ি গ্রামের ‘বড় দাদা’ বলেই পরিচিত ছিল সে। ইদানিং অবশ্য তার লোকবল কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবু, শুক্রবার খুনের ঘটনার ঘণ্টা খানেক পরেও তৃণমূলের স্থানীয় প্রাক্তন যুব সভাপতি বিপিন সাধুখাঁ দাবি তুলেছিলেন, নিহত ব্যক্তি তাদের দলের গ্রাম নেতা। আমোদ দলের অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন বলে দাবি তোলেন তিনি । গ্রাম থেকে তৃণমূলের একাংশ এমন দাবি তুললেও তৃণমূলের বর্তমান ব্লক ও নদিয়া (Nadia) জেলা নেতৃত্ব অবশ্য তাতে সায় দেয়নি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিশির রায় জানান , “আমোদ আমাদের দলের সমর্থক। এটুকু ছাড়া আর কিছু নয়।” এদিকে পুলিশের চোখে দাগি দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত ছিল আমোদ। তার বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক অভিযোগের রেকর্ড আছে পুলিশি খাতায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে এই আমোদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েই হাঁসখালি থানার পুলিশ একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১২ বোরের ৩ রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করেছিল।   

    কিভাবে তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হল ?

    পানের নেশা ছিল আমোদের। বাড়ি থেকে বাজার আধ কিমিও নয়। বাড়ি থেকে বাজারে এসে যথারীতি পান কিনেছিল সে। তারপর একটা চায়ের দোকানে গিয়েছিল। মেয়ে সেলিনাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে চা দোকানে ঢুকতে না ঢুকতেই আমোদকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। একদম কাছ থেকে একাধিক গুলিতে ঝাঁঝরা করে তাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়েই বাইক নিয়ে দ্রুত চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুটি বাইকে মোট ৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল বলে জানান তার মেয়ে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এর আগে আমোদকে তিন বার খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। ওই তিনবার প্রাণে বাঁচলেও এবার জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগটুকুও পায়নি সে। কারা এ খুন করল, কোথা থেকে এসেছিল, সে তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: এটাই বোধহয় তৃণমূলের উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তার প্রতিবাদে ৩৫ টি পরিবার শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে

    BJP: এটাই বোধহয় তৃণমূলের উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তার প্রতিবাদে ৩৫ টি পরিবার শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কথার ফানুস উড়িয়ে যিনি সবসময়ই প্রচারের আলোয় থাকতে ভালবাসেন, এটি সেই অনুব্রত মণ্ডলের বিখ্যাত উক্তি। সত্যি, মালদহের এই গ্রামে গেলে দেখা যাবে, উন্নয়ন রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে। এখানে কবি শঙ্খ ঘোষের সেই লাইনগুলিই যেন মনে পড়ে যায়। “রাস্তাজুড়ে খড়্গহাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।” আর তারই খেসারত দিতে হল শাসকদলকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মালদহের গাজোলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরালো বিজেপি। গাজোল ব্লকের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাজিলাপাড়া এলাকায় তৃণমূলের প্রায় ৩৫টি পরিবারের শতাধিক কর্মী-সমর্থক দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করলেন। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। বিধায়ক নিজে উপস্থিত থেকে এদিন প্রায় ৩৫ টি তৃণমূল পরিবারের শতাধিক কর্মী-সমর্থকের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন।

    কেন এতগুলি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ? 

    আসুন, শোনা যাক, এক বয়স্ক মহিলা কী বলছেন। তিনি জানালেন, রাস্তার যা অবস্থা, তাতে দৈনন্দিন মারাত্মক সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে। রাস্তা সারানোর দাবি নিয়ে গাজোলে যাওয়া হয়েছে, ডিএম অফিসে যাওয়া হয়েছে, দরবার করা হয়েছে ব্লক অফিসেও। আমাদেরকে কথা দিচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। আমাদের প্রধান সাহেবও বিষয়টা জানেন। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। ডেলিভারির জন্য মায়েদের নিয়ে যেতে পারছি না, রাস্তাতেই বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা গাজোল যেতে পারছি না। সন্ধ্যার পর এখানে বাইরের কোনও গাড়ি ঢুকছে না। ওই মহিলা পরিষ্কারই বলেন, আমরা খাওয়া-দাওয়া চাইছি না, ঘরবাড়িও চাইছি না। আমরা চাইছি শুধু রাস্তাটা হোক।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ? 

    বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন জানিয়েছেন, শাসক দলের দুর্নীতি, অনুন্নয়ন, সন্ত্রাস এসব দেখেই মানুষ এখন অসন্তুষ্ট ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই যোগদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীদিনে আরও বহু শাসকদলের কর্মী, এমনকী নেতারাও বিজেপিতে আসার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Guiness World Records: মাত্র চার বছর বয়সেই বই প্রকাশ করে কব্জায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    Guiness World Records: মাত্র চার বছর বয়সেই বই প্রকাশ করে কব্জায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জীবনে কিছু অর্জন করতে হলে বয়স যে কোনও বাধাই নয়, তা প্রমাণ করে দিল একটি ফুটফুটে বাচ্চা। বয়স মাত্র ৪ বছর ২১৮ দিন। কিন্তু এরই মধ্যে একটি আস্ত বই প্রকাশ হওয়ার পর তার হাজার কপি বিক্রিও হয়ে গিয়েছে। আর এমন দুর্লভ গুণের জন্যই সে অর্জন করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এর মতো দুর্লভ সম্মান।
    আবু ধাবির শহিদ রাশিদ আল মেহেরি সব থেকে কম বয়সে বই প্রকাশ করার মতো দুর্লভ কৃতিত্ব অর্জন করেছে। পুরুষদের বিভাগে তাই তার দখলে চলে এসেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। 
    হাতি এবং ভল্লুকের বন্ধুত্ব হওয়া নিয়ে লেখা ওই বই ইতিমধ্যেই আরব দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে।
    শুধু এই বাচ্চাটিই নয়, অসম্ভব গুণের অধিকারী তার আট বছরের বড় বোন। যাবতীয় উৎসাহ সে পেয়েছে তারই ওই বোনের কাছ থেকে। বাইলিংগুয়াল বই প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই সে একই ধরনের রেকর্ডের অধিকারী। এই বয়সে সে রীতিমতো একটি পাবলিশিং হাউসও চালায়। এক সাক্ষাৎকারে আবু শহিদ জানিয়েছে, সে তার বোনের সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশোনা করে, লেখে, আঁকে এবং না জানি আরও কত কীই করে। এই বই লেখার পিছনে মূল অনুপ্রেরণা তার এই বোনই। বোনকে দেখেই তার মনে হয়েছিল, সেও কিছু করে দেখাতে পারে।

    তার লেখা বইয়ের মূল বিষয়বস্তুটা ঠিক কী ? 

    গল্পটা মূলত একটি ভল্লুক আর একটি হাতিকে নিয়ে। একটি হাতি ভল্লুককে দেখে ভেবেছিল সে বোধহয় তাকে খেয়ে নেবে। কিন্তু পরিশেষে দেখা গেল আদৌ তা হল না। দুজনের মধ্যে গড়ে উঠল নিবিড় বন্ধুত্ব।

    কী বলছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ ? 

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, তার এই সৃষ্টি রেকর্ড গড়ল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয় ২০২৩ সালের ৯ই মার্চ। যদিও তখন সেই বইটির হাজার কপি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। দুটি পশুর মধ্যে অভাবনীয় বন্ধুত্ব অসাধারণ মনে হয়েছে পাঠককূলেরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality: বালুরঘাটে সম্পত্তিকর বেড়েছে ব্যাপকহারে, ক্ষোভে ফুঁসছে শহর, আন্দোলনে নাগরিক মঞ্চ

    Municipality: বালুরঘাটে সম্পত্তিকর বেড়েছে ব্যাপকহারে, ক্ষোভে ফুঁসছে শহর, আন্দোলনে নাগরিক মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে (Balurghat Municipality) লাগামছাড়া বেড়েছে সম্পত্তিকর। এই অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ শহরে। ইতিমধ্যেই সম্পত্তিকর কমানোর দাবি নিয়ে এসডিও, জেলাশাসক ও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে বালুরঘাটের সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চ কমিটি। অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক কর ধার্য করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বর্ধিত সম্পত্তিকর নিয়েও ধন্দে তারা। কার কত কর (Property Tax) বাড়ল, কীসের ভিত্তিতে সম্পত্তিকর বাড়ল, তাও স্পষ্ট নয়। এদিকে এ নিয়ে বিরোধী দলগুলিও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।   

    কী বলছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ? 

    এবিষয়ে সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন,  সম্পত্তিকর বেড়ে বহুগুণ হয়েছে। আমরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছি। হিয়ারিং-এর নামে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা সম্পত্তিকর দিতে চাই। কিন্তু সবার সাধ্য কতটুকু, দেখা প্রয়োজন।

    কোনওরকম স্বচ্ছতা নেই, অভিযোগ আরএসপির

    আরএসপির জোনাল কমিটির সদস্য প্রলয় ঘোষ বলেন, বালুরঘাট শহরে (Balurghat Municipality) পুরকর বেড়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১০০০ গুণ সম্পত্তিকর বাড়ানো হয়েছে। কোনওরকম স্বচ্ছতা নেই।  ফলে সমস্যা হচ্ছে মানুষের। এটা নিয়ে আমাদের তরফে আন্দোলনে নামা হবে। 

    বৈষম্য চরমে, অভিযোগ বিজেপির 

    বিজেপির বালুরঘাট শহর মন্ডল সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, শহরে উন্নয়ন স্তব্ধ। তৃণমূল নেতাদের বাড়ির ট্যাক্স কম, অথচ সাধারণ মানুষের বাড়ির ট্যাক্স বেশি। কার কত ট্যাক্স বাড়ল, তাও জানতে পারছে না মানুষ। এ নিয়ে আমরা আন্দোলনে (Movement) নামব। 

    কী বলছেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান ?

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার (Balurghat Municipality) চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ২০১৮ সালে ভ্যালুয়েশন বোর্ড (Valuation Board)যেভাবে সম্পত্তিকর ধার্য করেছে, সেভাবেই কর নেওয়া হচ্ছে। সকলের সাধ্যমতোই সম্পত্তিকর নেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে বিরোধিতা করছে। যারা আপত্তি করছে, তারা আবেদন করলে, তা আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাব।

    প্রসঙ্গত, বিগত তৃণমূল বোর্ড ২০১৮ সালের ভ্যালুয়েশন বোর্ডের ধার্য করা এই সম্পত্তিকর চালু করতে চাইলেও পরে সাধারণ মানুষের চাপে তা করতে পারেনি। এই বোর্ড নতুন কর ধার্য করতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কয়েমমাস আগে এনিয়ে সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চের তরফে গণ কনভেনশন, ডেপুটেশন ও আন্দোলন হয়। এরপরে গত ১৫ মার্চ থেকে শহরের শতাধিক বাসিন্দাকে শুনানিতে ডাকা হয়। অভিযোগ, হিয়ারিং হলেও ট্যাক্স কমাচ্ছে না পুরসভা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share