Tag: Madhyom

Madhyom

  • Buddha Stupa: বুদবুদের এই গ্রামে এখন জোর কদমে চলছে খননের কাজ, জানেন কেন?

    Buddha Stupa: বুদবুদের এই গ্রামে এখন জোর কদমে চলছে খননের কাজ, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর মহকুমার বুদবুদের ভরতপুর গ্রাম। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই গ্রামের কথা অনেকের অজানা। এই গ্রামেই কয়েকশো বছর আগে বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) ছিল। সেই বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে এই বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) । কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সেখানে এখন জোর কদমে খনন কার্য চলছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী স্থানগুলিকে আরও উন্নত করে সেখানে যাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। ভরতপুরে যে বৌদ্ধ স্তূপ (Buddha Stupa) রয়েছে সেটি প্রাচীন ইতিহাস বহন করে। রাজেন্দ্র যাদব নামে এক আধিকারিকের নেতৃত্বে এই এলাকায় খনন কাজ শুরু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৌদ্ধ ধর্মের নানান স্থান খনন করে অনেক প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরেছেন। এই এলাকায় সেই কাজ করার তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সাংসদ এসএস আলুয়ালিয়া খনন কার্যের কাজ খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে প্রাচীন স্থাপত্যগুলিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে প্রাচীন ঐতিহ্য বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে খনন কার্য চালিয়ে তা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা হবে। খনন কার্য কেমন হচ্ছে তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আমি এসেছিলাম।

    কী করে হদিশ মিলল এই বৌদ্ধস্তূপের (Buddha Stupa)?

    পঞ্চাশ বছর আগেও এই গ্রামের পাশেই বৌদ্ধস্তূপ রয়েছে তা এলাকার মানুষ জানতেন না। গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা নিত্যানন্দবাবু বলেন, আমরা তখন ক্লাস এইটে পড়ি। গ্রামের রাস্তা তৈরির জন্য গ্রামের পাশে উঁচু ঢিবির মাটি কেটে আনা হয়। তখনই আমরা বেশ কয়েকটি ইটের হদিশ পাই। রাতের বেলায় গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে খননকার্য শুরু করেন। একটি মন্দিরের বেশ কিছু ইটের হদিশ পাই। আমরা বিষয়টি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাই। তাদের উদ্যোগে সরকারি সাহায্যে শুরু হয় খননকার্য। সালটা ১৯৭১। বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে খননকার্য হয়। নোটিসও দেওয়া হয়। তারপর আচমকাই খননকার্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, আবার বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) সেই আগের জায়গায় চলে গিয়েছিল। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এতদিন ধরে অবহেলায় পড়েছিল এই বৌদ্ধস্তূপ। নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ফের খনন কার্য শুরু হওয়ায় খুব ভাল লাগছে। আগামীদিনে এই গ্রামই বৌদ্ধস্তূপের (Buddha Stupa)  কারণে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। প্রচুর পর্যটক আসবে এই গ্রামে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বৌদ্ধস্তূপকে (Buddha Stupa)  ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dadagiri: গোঘাট বিএলআরও অফিসে ঢুকে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, আতঙ্কিত আধিকারিকরা

    Dadagiri: গোঘাট বিএলআরও অফিসে ঢুকে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, আতঙ্কিত আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গোঘাট -২ ব্লকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে তখন সাধারণ মানুষের ভিড়ে গম গম করছে। রেভেনিউ অফিসার সোম শেখর সরকারের চেম্বারে চলছে জমির মিউটেশন নিয়ে শুনানি। তাই, ঘরে এলাকার মানুষের ভিড়ও ছিল। আচমকাই সেখানে গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সাহাবউদ্দিন খান ঢোকেন। মিউটেশন সংক্রান্ত কোনও একটি বিষয় নিয়ে প্রথমে কথা হয়। আধিকারিকের কথা তাঁর পছন্দ হয়নি। তাই, তিনি স্বমূর্তি ধারণ করেন। প্রথমেই রেভেনিউ অফিসারের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে শারীরীকভাবে হেনস্থা করা হয়। টেবিলে থাকা ফাইলপত্র সব ফেলে দেওয়া হয়। সামনে থাকা চেয়ার উল্টে দেওয়া হয়। এককথায় ওই আধিকারিকের ঘরে ঢুকে তৃণমূল নেতা তান্ডব (Dadagiri) চালায় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে। বিএলআরও ইতিমধ্যেই গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কেন বিএলআরও অফিসে ঢুকে দাদাগিরি দেখালেন ওই তৃণমূল নেতা? Dadagiri

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরের পর। গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা এলাকার তৃণমূল নেতা সাহাবউদ্দিনসাহেব জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে যান। ২ মার্চ  তাঁর মিউটেশনের দিন ধার্য হয়।কিন্তু, সেদিন ওই নেতা অফিসে কোনওকারণে যেতে পারেননি। সেই বকেয়া কাজ করতেই এদিন দুপুরে অফিসারের কাছে হাজির হয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অফিসার নিয়ম মেনে কয়েকদিন পর আসার কথা বলেন। কিন্তু, এদিন সেই কাজ করে দেওয়ার জন্য ওই তৃণমূল নেতা চাপ দিতে থাকেন। এরপরই দুজনের মধ্যে বচসা হয়। পরে, শাসক দলের ওই নেতা অফিসের মধ্যে দাদাগিরি (Dadagiri) দেখান বলে অভিযোগ।

    এই বিষয়ে রেভেনিউ অফিসার সোম শেখর সরকার বলেন, আমি হেয়ারিং করছিলাম। তিনি প্রথম থেকেই আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে থাকেন। নিয়ম মেনে কয়েকদিন পর তাঁকে আসতে বলি। তিনি সে সব কথা না শুনে আমার উপর চড়াও হন। আমাকে হেনস্থা করেন। টেবিলের নথি ফেলে দেন। এই ঘটনায় আমি খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিএলআরও আনন্দ বিশ্বাস বলেন, ওই নেতা এসে রেভেনিউ অফিসারের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। অফিসের মধ্যে তান্ডব চালান। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েছি। যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা সাহাবউদ্দিন খান বলেন,কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তা মিটিয়ে নেওয়াও হয়েছে। কোনও তান্ডব চালানো হয়নি। দাদাগিরি দেখানো হয়নি। আমরা একসঙ্গে বসে চা খেয়েছি। এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে। তবে, তৃণমূলের গোঘাট ২ নম্বর ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া তাঁর পাশে দাঁড়াননি। তিনি বলেন,এই ঘটনা নিন্দনীয়। দল কোন ভাবেই সমর্থন করে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    Madan Mitra: অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। কালারফুল বয়। ইদানিং তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। দলের অন্দরেই অনেক নেতা প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেছেন। কিছুদিন আগে তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাতে ডোন্ট কেয়ার। নিজের মতো করে খোশমেজাজে থাকেন শাসক দলের দাপুটে এই কালারফুল নেতা (Madan Mitra)। অনুব্রতহীন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল কেমন হবে তা নিয়ে দলের অন্দরেই জোর চর্চা চলছে। দুদিন আগেই বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বেলঘরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, অনুব্রতের নেতৃত্বে সাংগঠনিক ক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁচ্ছে ছিল যে ও নেই মানে অনেকেই ধরে নিয়েছে বীরভূমে আমরা হেরে যাব। এটা বলতে পারি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার বীরভূম সব থেকে ভাল রেজাল্ট দেবে। আমি তো নির্বাচনের সময় ওই জেলায় যেতে পারব না। তবে, দল অনুমতি দিলে আমি বীরভূমের সীমান্ত পর্যন্ত যাব। দল আমাকে ঢোল দিলে আমি বীরভূম সীমান্তে দাঁড়িয়ে চড়াম চড়াম করে ঢোল বাজাব। অনুব্রতের মতো করে এসব কথা বলে ভোটের  কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীদের কী দেওয়ার কথা বললেন মদন মিত্র?

    অনুব্রত মণ্ডলের সৌজন্যে গত কয়েকটি নির্বাচনের সময় গুড় বাতাসা, নকুল দানা, চড়াম চড়াম সহ নতুন নতুন অনেক শব্দে রাজনীতির ময়দানে আমদানি হয়েছিল। শুধু তৃণমূল নেতা কর্মীরা নয় বিরোধী দলের নেতারাও এই সব শব্দ ব্যবহার করে অনুব্রতকে বার বার কটাক্ষ করেছেন। এদিন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, পঞ্চায়েতে দল যেখানে দায়িত্ব দেবে সেখানে যাব। গুড় বাতাসা খারাপ জিনিস নয়। গরমে গ্রামের মানুষকে এখনও গুড় বাতাসা দেওয়া হয়। তবে, পঞ্চায়েতে আমাদের যে সব কর্মীরা গরমের মধ্যে দলের হয়ে খাটবেন, তাদের জন্য গুড় বাতাসা নয়, মিনারেল ওয়াটার দেব। চিলড ওয়াটার দেব। আর অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্যান্ত বাঘের থেকে জখম বাঘ অনেক ভয়ানক। ওরা (পড়ুন বিজেপি) যদি মনে করে একজন অনুব্রতকে আটকে রাখলেই বাংলা ফাঁকা হয়ে যাবে তাহলে ওরা ভুল করছে। কারণ, রাজ্যে একটিই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তার ছায়ার সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। ফলে, বিজেপি যে স্বপ্ন দেখছে তা সফল হবে না। আর অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বীরভূমে তৃণমূল ভাল ফল করবে।

    সাগরদিঘিতে দলের ভরাডুবি নিয়ে তিনি (Madan Mitra) মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম জোট হয়েছিল। রাজ্যে একটি আসন নেই। মানুষের কাছে সহানুভূতি চেয়ে ভোট আদায় করেছে। কার ভোট কোথায় গিয়েছে তা রেজাল্টে তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ফলে, মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। এসব জোট করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বলিউড সুপারহিট সিনেমা বান্টি অর বাবলির কথা মনে আছে। সেলুলয়েডের পর্দায় তাদের চুরি বা কেপমারির কৌশল দেখে হতবাক হয়েছিলেন আমজনতা। এবার বাস্তবের বান্টি অর বাবলি হদিশ পাওয়া গিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। তবে, তারা সম্পর্কে বন্ধু নয়, তারা স্বামী-স্ত্রী। ইতিমধ্যেই নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্ষু চড়কগাছ কমিশনারেটের কর্তাদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত চার-পাঁচ বছরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলার ১৫ টি থানা এলাকায় স্কুটি নিয়ে অভিনব কায়দায় কেপমারি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার অধিকাংশ থানা এলাকায় বহু মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে পগার পার হয়ে যেত তারা। যদিও কমিশনারেটের কর্তাদের পাতা ফাঁদে পড়ে আপাতত তারা এখন শ্রীঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আকবর আলি এবং রাবিয়া বিবি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিভিন্ন থানা এলাকা মিলে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি তারা হাতিয়েছে। আরও কত টাকা তারা হাতিয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই স্কুটি করেই তারা অপারেশন চালাত।

    কী ভাবে তারা অপারেশন চালাত? Loot

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকবর আর রাবিয়া বিবির বাড়়ি খড়দহ থানা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে টাকা লুঠ (Loot) করে চলেছে। কমিশনারেট এলাকার মধ্যে জেটিয়া, নৈহাটি, খড়দহ, নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকা এবং জেলা পুলিশ এলাকার মধ্যে মধ্যমগ্রাম, বারাসতসহ একাধিক থানা রয়েছে। এছাড়া হুগলি জেলায় চন্দননগর, চুঁচুড়াসহ পাঁচটি থানা এলাকায় হানা দিয়েছে। প্রথমে স্কুটি করে তারা একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হত। পাড়ার লোকজন জানতেন কাজের বের হচ্ছেন। কারণ, তাদের বাড়ি রহড়া থানায়। সেখানে তারা কোনও অপরাধ করেনি। ফলে, এলাকার মানুষ তাদের সন্দেহ পর্যন্ত করত না। তাদের পোশাক, পরিচ্ছদ ছিল দেখার মতো। কোনও থানা এলাকায় গিয়ে একটি ব্যাঙ্ককে তারা বেছে নিত। সেই ব্যাঙ্কের সামনে তারা অপেক্ষা করত। রাবিয়া বিবি স্কুটি থেকে নেমে কিছুটা দূরে থাকত। ব্যাঙ্ক থেকে বয়স্ক কোনও লোকজন বের হলেই তাকে তারা টার্গেট করত। তার পিছনে ধাওয়া করত। টোটো বা অটোতে করে সেই বয়স্ক লোকজন উঠলেই সেই গাড়িতেই যাত্রী সেজে রাবিয়া বিবি উঠে পড়ত। আর পিছনে পিছনে তার স্বামী স্কুটি নিয়ে তার গাড়ি লক্ষ্য করত। রাবিয়াবিবি সুযোগ বুঝে গাড়ির মধ্যে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে আলাপ জমাত। এরপর সুযোগ বুঝে ব্যাগে ব্লেড চালিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত ( Loot)।  বুঝে ওঠার আগেই স্বামীর স্কুটি করে সে পগার পরা হয়ে যেত। ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Juggler: গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন জাগলার দীপকের, দিল্লি রোডে চলছে অনুশীলন

    Juggler: গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন জাগলার দীপকের, দিল্লি রোডে চলছে অনুশীলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিজের মধ্যে অদম্য জেদ আর লক্ষ্য স্থির থাকলে কোনও কাজই যে অসাধ্য নয় তা প্রমাণ করেছেন দীপক রায়। পেশায় একজন পাম্প অপারেটর। তাঁর বাড়ি হুগলির ভদ্রেশ্বর মণ্ডলপাড়ায়।  তিনি জাগলিং (Juggler) এর জাদুগর। তিন তিনটি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড তাঁর ঝুলিতে। চতুর্থ বার বিশ্ব রেকর্ড করার অপেক্ষায়। বছর বিয়াল্লিশ এর এই যুবক পেশায় চন্দননগর পুরনিগমের পাম্প অপারেটর হলেও নেশায় একজন জাগলার (Juggler)। ফুটবল মাথায় নিয়ে বিভিন্ন খেলা দেখানো তাঁর নেশা। আর এই নেশাই তাঁকে পাগল করে তুলেছে। কি অসাধারণ ব্যালেন্স তা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

    কেন জাগলারি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন দীপক? Juggler

    শুরুটা হয় ২০১৩ সাল থেকে।  বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেলেনিপাড়া উদয়ন ব্যায়াম সমিতি তে জিমন্যাস্টিক শেখার মধ্য দিয়ে। একদিন একজন জাগলারকে (Juggler) ফুটবল মাথায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ নাচানাচি করতে দেখেন তিনি। বিষয়টি তাঁর বেশ মনে ধরে। ভাবেন তিনিও শুরু করবেন। এরপর কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলা। দীপকের সোজা সাপ্টা বক্তব্য, ফুটবলটা গোল। আর মানুষের মাথাটাও গোল, তাহলে ফুটবল মাথায় ধরে রাখা যাবে না কেন? সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে শুরু করলেন কঠোর পরিশ্রম। সেই পরিশ্রমের ফসল পান ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। সল্টলেক স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তায় মাথায় বল নিয়ে ১৫ কিলোমিটার সাইক্লিং করেন হাতল না ধরে। ১ ঘন্টা ২৭ মিনিটে তিনি পুরোটা শেষ করেন। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে তাঁর নাম ওঠে। কারণ, তাঁর আগে কোনও প্রতিযোগী বল নিয়ে ৭ মিনিটের বেশি হাতল ছা়ড়া সাইক্লিং করতে পারেননি। তবে, তিনি সফল হয়ে থেমে থাকেননি। বরং, নতুন নতুন রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। দ্বিতীয় বার আরও অভিনব  উদ্যোগ। ২০২১ নিজের ক্লাবের মাঠে মাথায় বোতল রেখে তার ওপর ফুটবল নিয়ে ৫৮ মিনিট ঘুরে  আবারও রেকর্ড গড়েন তিনি। আগের রেকর্ড ছিল ৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ড। আর তৃতীয় বার ২০২২ এ। সাইয়ের সুইমিং পুলে মাথায় ফুটবল নিয়ে ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট সাঁতার কেটে আগের সব রেকর্ড তিনি ভেঙে দেন। দীপকবাবুকে  পাড়ায় আদর করে গোপাল বলে ডাকা হয়। ভদ্রেশ্বর শহরে একডাকে তাঁকে সবাই চেনেন। বাবা অনেক আগেই গত হয়েছেন। বাড়িতে তিনি আর তাঁর মা থাকেন। বিয়ে থা করেননি তিনি। তাঁর রোজগারে দুজনের সংসার মোটামুটি চলে যায়।  নেশা বলতে একটাই। নতুন নতুন রেকর্ড গড়া। এহেন  দীপক থেমে থাকেন কি করে? এবার নজর গিনেস বুকের দিকে। এবার নতুন ইভেন্ট মাথায় বল নিয়ে রাস্তায় স্কেটিং করা।দিল্লি রোডে জোর কদমে চলছে তাঁর অনুশীলন। ২৬ সেকেন্ডে ১০০ মিটার স্কেটিং  রেট তাঁর। কাছাকাছি ওই সময়ের মধ্যেই বিশ্বরেকর্ডও রয়েছে। পাড়ার লোকজনের বিশ্বাস, দীপকের গিনেসে বুকে নাম তোলা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান,  ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার ভোরে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভূতবাগান ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে (Fire) বেশ কয়েকটি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের(Fire)  তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশাপাশের দোকানগুলি পুড়ে যায়। আর বাজারে অধিকাংশ দোকানই কাঠের। দোকানগুলির মধ্যে প্রচুর কাঠ মজুত থাকায় আগুন (Fire) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাজারের মধ্যে একটি গ্যারাজ ছিল। সেখানের একাধিক বাইক রাখা ছিল। সবই পুড়ে গিয়েছে। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। দোকানের পাশাপাশি সেই বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

    বাজারে  কী করে আগুন লাগল ? Fire

    ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে প্রথমে একটি কাঠের দোকানে আগুন (Fire) লাগে। দমকল আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন (Fire) লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনিতেই বাজারে রাতের দিকে কেউ থাকে না। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। তাদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরা ফোন করে ব্যবসায়ীদের খবর দেন। স্থানীয় লোকজনও নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।  কিন্তু, আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দ্রুত আগুন অন্য দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। পরে, আরও তিনটি দমকলের ইঞ্জিন এসে এদিন দুপুর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। কিন্তু, ততক্ষণে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নেতাজি নগর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রদীপ পালিত বলেন, সব মিলিয়ে ৯ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে একটি বাড়িও পুড়ে গিয়েছে। দমকল বাহিনী এসে আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।

    এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। তিনি বলেন, আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জল্পনার অবসান। অবশেষে দোল উত্সবের দিন দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তিনি কেমন থাকবেন, তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হবে কি না তা নিয়ে শাসক দলের অন্দরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, অনুব্রতহীন ভোট হবে বীরভূমে। তাই, ওই জেলায় শাসক দলের নেতা কর্মীদের কাছে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন মস্তবড় চ্যালেঞ্জ। বীরভূম জেলার নেতারা সেটা প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন। শুধু তাই নয়, দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর নির্যাতন চালানোরও আশঙ্কা করছেন অনেকে। দুদিন আগেই বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন। প্রকাশ্য সভায় তিনি বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে বীরভূমের সংগঠন ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলকে কষ্ট দেওয়া হলে, এই জেলায় বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। এবার দিল্লিতে গিয়ে অনুব্রত কেমন থাকবেন তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পূর্ব মেদিনীপুরে দোল উত্সবে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, শীত ছিল বলে আগে নিয়ে হয়নি। এখন গরম পড়েছে আরামে সেখানে থাকতে পারবেন। দিল্লি গিয়ে অনুব্রত লস্যি খাবেন। সেখানে সুখেই থাকবেন। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা বীরভূমে ভোট করাবে কি করে !  সেজন্য তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। অনুব্রতের মতো অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কারণ প্রকৃত সত্য যাতে বেরিয়ে না আসে। সত্য একদিন উদঘাটন হবে।

     ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে এ কী বললেন দিলীপ ঘোষ ? Dilip Ghosh

    ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমার মুন্ডু কেটে নিলেও আমি এর বেশি ডি এ দিতে পারব না। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর করা বক্তব্যকে কটাক্ষ করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মাথা নিয়ে কি চচ্চড়ি হবে ?  রাজ্য সরকারি কর্মীরা কাজ করছেন। ডিএ তাঁদের ন্যায্য পাওনা। তাঁদের ডিএ দিতে হবে। মঙ্গলবার দোল উত্সবের দিনে সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলায় আবির খেলায় মাতেন বিজেপি সাংসদ (Dilip Ghosh)। এদিন মেচেদার শান্তিপুরে ভবতারিণী মন্দির এবং হরি মন্দিরে পুজো দেন। দলীয় কর্মী সমর্থকদের আবির মাখিয়ে মিষ্টিমুখ করেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mango:  একসঙ্গে বাজার মাতাবে দুই বঙ্গের আম, ফলনে রেকর্ড গড়বে মালদহ

    Mango: একসঙ্গে বাজার মাতাবে দুই বঙ্গের আম, ফলনে রেকর্ড গড়বে মালদহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রেকর্ড ফলনের আশায় দিন গুনছেন মালদহের আম (Mango) চাষিরা। অন্যবারের তুলনায় অনেক আগেই গাছে মুকুল চলে এসেছে। জেলার আম (Mango) চাষিদের পাশাপাশি উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিকরাও ভালো ফলনের বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের আমও একসঙ্গে বাজারে আসবে। আর ভালো ফলন হলেই এবার দামও কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আম বাঙালির রসনা তৃপ্তির জন্য আমের জোগানে এবার কোনও ঘাটতি হবে না বলে উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন।

    গত বারের তুলনায় এবার আমের ফলন কতটা বাড়বে? Mango

    আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে সময়ের অনেক আগেই মালদহে আম (Mango) বাগান গুলিতে গাছে মুকুল ফুটেছে। আগে মুকুল ফোটাই আম অনেক আগেই পরিপূর্ণ হয়ে পাকতে শুরু করবে বলে আম চাষিরা মনে করছেন। মূলত প্রতিবছর মালদহের আম জৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিক থেকে ব্যাপক হারে পাকতে শুরু করে। সাধারণ নিয়ম মত দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে মুকুল আগে ফোটে। স্বাভাবিকভাবে গাছে আমও পাকে অনেক আগে। আর উত্তরবঙ্গের তুলনায় দক্ষিণবঙ্গের আম (Mango) প্রথমে বাজারে আসে। এই জেলাতেও দক্ষিণবঙ্গের আমই প্রথমদিকে বাজার দখল করে থাকে। কিন্তু, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে এই বছর ব্যতিক্রম চিত্র ধরা পড়়েছে এই জেলায়। জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর সময়ের প্রায় তিন সপ্তাহ আগেই জেলার বাগান গুলিতে আমের (Mango) মুকুল ফুটে গিয়েছে। এর কারণ এই বছরের আবহাওয়ার হেরফের। শীত পড়লেও অনেক আগে ঠান্ডার আবহাওয়া কেটে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। মার্চে প্রথমদিকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই বাগান গুলিতে আমের (Mango) মুকুল আগেই চলে এসেছে। সাধারণত ৩১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমি জুড়ে আমের উত্পাদন করা হয়। প্রতি বছর ১০০-২০০ হেক্টর জমির পরিমাণে হেরফের হয়। গতবার এই জেলায় ২ লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন হয়েছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফলন কিছুটা মার খেয়েছিল। এবার সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কম। জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এবছর আম গাছের পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছে।  সামনে কাল বৈশাখী বা শিলাবৃষ্টি না হলে এবছর ৩ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত, দক্ষিণবঙ্গে আগে ফলন হয়। পরে, উত্তরবঙ্গের আম বাজারে আসে। কিন্তু, এবার আগেই মুকুল চলে আসায় ফলনও দুই বঙ্গে এক সঙ্গে হবে।

    চাষিদের বক্তব্য,আগে মুকুল আসায় মালদহের আমের কোনও ক্ষতি হবে না। এতে আমাদের মতো চাষিদের অনেক সুবিধা হবে। লাভবান হবেন জেলার আম ব্যবসায়ীরা। কারণ, এক সঙ্গে গোটা রাজ্যের আম পাকতে শুরু করলে মালদহের আম সকলে কিনবেন। রেকর্ড ফলনের আশায় দিন গুনছেন জেলার চাষিরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Animal: মালদহের আমবাগানে আচমকা দেখা মিলল নীল গাইয়ের, তারপর কী হল?

    Animal: মালদহের আমবাগানে আচমকা দেখা মিলল নীল গাইয়ের, তারপর কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আমবাগানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নীলগাই (Animal)। নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমজামতলা গ্রামের  সুকুমার সাহা, নয়ন মণ্ডলরা। মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর ভাইরাল হয়ে যায়। আর চোখের দেখা এক পলক দেখতে ভিড় জমালেন এলাকার বাসিন্দা। দিনভর নীলগাইকে নিয়ে মজেছিলেন আমজামতলার বাসিন্দারা। অনেকে কাছে গিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করলেন। কিন্তু, তার নাগাল পেল না কেউ। গত বছর মে মাস নাগাদ মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের কনকনিয়া এলাকায় নীলগাই দেখতে পেয়েছিলেন এলাকাবাসী। সাধারণত উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে নীলগাই সব থেকে বেশি দেখা যায়। মালদহের আদিনা ডেয়ার পার্কেও নীলগাই (Animal) রয়েছে। ফলে, বহু আগে থেকে নীল গাইয়ের সঙ্গে এই জেলার মানুষ পরিচিত। তবে, বাড়ির দুয়ারে এভাবে নীলগাই চলে আসবে তা গ্রামের বাসিন্দারা ভাবতেও পারেননি।

     কোথায় থেকে এসেছিল নীল গাইটি? Animal

    আমজামতলা গ্রামের ধার দিয়ে পরই মহানন্দা নদী বয়ে গিয়েছে। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় বিশাল ঘন জঙ্গল রয়েছে। সেখানে নীল গাই থাকতে পারে। গরম পড়তেই মহানন্দা নদীতে এখন হাঁটু সমান জল।  সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াজাল এই এলাকায় অনেকটা এলাকা জুড়ে নেই বললেই চলে।  ফলে, খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে আসা সম্ভব। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নদীর জল কম থাকায় বাংলাদেশের ওই জঙ্গল থেকে নীলগাইটি আমজামতলায় চলে আসে। এই গ্রামে সুকুমার সাহার একটি নার্সারি রয়েছে। সেখানেই প্রথম নীলগাইটি (Animal) সকলের নজরে পড়ে। সুকুমারবাবু বলেন, অন্যদিনের মতো আমি নার্সারিতে কাজ করছিলাম। আচমকাই হরিণের মতো একটি প্রাণীকে (Animal) আমবাগানের কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখি। কাছে গিয়ে বুঝতে পারি নীল গাই। স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু হালদার, নয়ন মণ্ডলদের মতো গ্রামের প্রচুর মানুষ আম বাগানে ছুটে আসেন। খবর যায় আশপাশের গ্রামে। কেউ টোটো ভাড়া করে, কেউ বাইক নিয়ে আমজামতলায় ভিড় করেন। অনেকে চোখের সামনে নীলগাই দেখে মোবাইলে ছবিও তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম। আমাদের জেলায় নীল গাই আদিনা ডেয়ার পার্ক ছাড়া কোথাও নেই। কিন্তু, সেখান থেকে নীল গাই আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। এখন সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশ। সেখানকার জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে এই নীল গাই এখানে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বন দপ্তরকে জানানো হয়। তবে, বন দপ্তরের কর্মীরা আসার আগেই সোমবার সন্ধ্যার পর আর নীলগাইটিকে গ্রামের কোথাও দেখা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামের বাসিন্দারা নীলগাইয়ের খোঁজে তল্লাশি চালায়। কিন্তু, কোথাও তার হদিশ মেলেনি। সম্ভবত, সোমবার রাতের অন্ধকারে নীলগাইটি ফের নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে। এই বিষয়ে জানতে বন দপ্তরের এক আধিকারিককে ফোন করা হলে তিনি ফোন না তোলায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendhu Adhikari: বগটুইয়ে জমি পেল বিজেপি, ২১ মার্চ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন?

    Suvendhu Adhikari: বগটুইয়ে জমি পেল বিজেপি, ২১ মার্চ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বগটুই গ্রামের কথা মনে আছে। বীরভূমের রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর রাতের অন্ধকারে বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালের ২১ মার্চ নৃশংস এই গণহত্যার জন্য রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল রামপুরহাট শহর লাগোয়া এই বগটুই গ্রাম। এই গ্রাম ছিল তৃণমূলের খাসতালুক। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না।  এবার এই শহিদদের সন্মান জানাতে এই গ্রামে শহিদ বেদি তৈরি করছে বিজেপি। শুধু শহিদ বেদি তৈরি নয়, সেখানে শহিদদের সমবেদনা জানাতে সভাও করবে বিজেপি। এখন যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শহিদ বেদি তৈরির কাজ চলছে। মূলত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শহিদ পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বিজেপি নিজেদের জমি শক্ত করার চেষ্টা করছে বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করতে বিজেপি এই চক্রান্ত করছে। যদিও পাল্টা বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যারা শহিদ হবেন, তাঁদের এভাবে সম্মান জানানো হবে।

    ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে বিজেপির শহিদ স্মরণে কারা আসছেন? Suvendhu Adhikari

    তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা বগটুই গ্রামে তান্ডব চালিয়েছিলেন। নিরীহ মেয়ে, শিশু, বৃদ্ধাদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে গণহত্যা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন। সেই স্বজনহারা পরিবারের সদস্য শেখ বদর নলহাটিতে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendhu Adhikari) হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। শহিদদের সন্মান জানাতেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২২ সালে ২১ মার্চ নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ২১ মার্চকে সামনে রেখে বিজেপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বগটুই গ্রামে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শহিদ বেদি তৈরির কাজ চলছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendhu Adhikari) সহ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা গ্রামে যাবেন। বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আশপাশের চারটি গ্রামের সংখ্যালঘুরা হাজির হবেন। জানা গিয়েছে, স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির দেওয়ালে গড়ে উঠছে শহিদ বেদি। তিনি শহিদ বেদি তৈরি করার জন্যই জায়গা দিয়েছেন। মিহিলাল শেখ বলেন, “গত এক বছর আমরা শান্তি ঘুমতে পারছি না। মা-স্ত্রী-কন্যা সবাইকে হারিয়েছি। এই কষ্ট যেন আর কারও না হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে শহিদ বেদি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে আমি রাজি হয়েছি। ২১ মার্চ  আমরা স্বজনদের স্মরণ করব। তাই যারা আমাদের পাশে দাঁড়াবে তাঁদের সঙ্গে আমরা আছি।

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি এখন সংখ্যালঘু তোষণে নেমেছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে তারা। একটা বিভেদ করতে চাইছে। এলাকার মানুষ জানেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বজনহারাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূল কর্মীরা নিজের দলের কর্মী, সমর্থকদের খুন করেছে। এই কষ্টের দিনে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাইছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share