Tag: Madhyom

Madhyom

  • Arvind Kejriwal: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    Arvind Kejriwal: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Policy Case) অবশেষে গ্রেফতার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এই মামলায় ৯ বার ইডি-র সমন এড়িয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তাও শেষরক্ষা হলো না। বৃহস্পতিবারই এই মামলায় কেজরিওয়ালকে কোনও প্রকার রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করে দিল্লি হাইকোর্ট। এর পরই, এদিন সন্ধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দলটিতে রয়েছেন ১২ জন আধিকারিক। জানা যায়, একেবারে, ওয়ারেন্ট নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। রাত ৯টা নাগাদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোন।

    আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার (Arvind Kejriwal)

    আবগারি নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির কয়েকজন নেতাকে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন (Arvind Kejriwal) দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহও। চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয় বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে। এবার গ্রেফতার হলেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে, এই মামলায় ইডি ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। নানা অজুহাতে প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

    রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করে হাইকোর্ট

    ইডি যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করে, সেই আর্জি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এদিন আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেন, “ইডি নিশ্চয়তা দিক যে তাদের সমনে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ (Liquor Policy Case) করা হবে না।” কিন্তু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ধোপে টেকেনি। মেলেনি রক্ষাকবচ। তার পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে হাজির হয় ইডি। ঘণ্টাদুয়েক তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, তার আগে, শেষ মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন কেজরিওয়াল। গ্রেফতারি আসন্ন বুঝতে পেরে শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আর্জি জানিয়েছিলেন জরুরিভিত্তিতে শুনানির। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মধ্যরাতে শুনানি হবে না এই মামলার। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি না হওয়ায় রাতেই গ্রেফতার করা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। 

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বাসভবন চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আপ কর্মী, সমর্থকেরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশে জারি করা হয়েছে ১১৪ ধারা। শুক্রবার পিএমএলএ আদালতে হাজির করানো হবে আপ প্রধানকে। দেশের ইতিহাসে কেজরিওয়ালই (Arvind Kejriwal) প্রথম, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফাতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি (Liquor Policy Case)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীবারে তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি। এবারের তালিকায় অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি লোকসভা কেন্দ্রে কারা প্রার্থী হবেন, তাঁদের নাম নেই। এদিন মাত্র ৯টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলির সবই তামিলনাড়ুর।

    প্রার্থিতালিকা প্রকাশ (Lok Sabha Election 2024)

    এই তালিকায় নাম রয়েছে তেলঙ্গনার প্রাক্তন রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজনেরও। মঙ্গলবারই রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। পদ্ম প্রতীকে তিনি লড়বেন চেন্নাই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে (Lok Sabha Election 2024)। ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর তেলঙ্গনার রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হয়েছিল তামিলিসাইকে। একুশের ১৬ ফেব্রুয়ারি পুদুচেরির রাজ্যপালের অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। রাজ্যপালের পদে ইস্তফা দিয়ে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরলেন তিনি। 

    কোন আসনে কারা প্রার্থী?

    নীলগিরি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগনকে। কোয়েম্বাটোর কেন্দ্রে লড়বেন বিজেপির তামিলনাড়ু রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই। তামিলসাই, আন্নামালাই ও এল মুরুগনের পাশাপাশি বিশিষ্ট নেতা পন রাধাকৃষ্ণাণ এবং এসি শানমুগমও পদ্ম চিহ্নে লড়ছেন। কন্যাকুমারি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাধাকৃষ্ণাণ। ভেলোরে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন আর শানমুগম। এ নিয়ে মোট তিন দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। প্রথম দফার প্রার্থিতালিকায় নাম ছিল ১৯৫ জনের। এর মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গের ২০টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও। পরে একজনের প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করা হয়। তাই বাকি রয়েছে ২৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা। উল্লেখ্য যে, এ রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ৪২টি। দ্বিতীয় দফায় বিজেপি প্রকাশ করেছিল ৭২ জনের নাম। আর এদিন তৃতীয় দফায় প্রকাশ করা হল ৯ জনের নাম।

    আরও পড়ুুন: নয়া ভারতের রূপকার, ‘শান্তির দূত’ মোদিকে আগাম আমন্ত্রণ রাশিয়া, ইউক্রেনের

    তামিলনাড়ুতে লোকসভার আসন রয়েছে ৩৯টি। এর মধ্যে ২০টিতে প্রার্থী দেবে বিজেপি। বাকি ১৯টি আসনে লড়বে এনডিএ-র শরিকরা। সম্প্রতি দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল বিজেপির বাংলার সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সোমবার বৈঠকে বসে বিজেপির জাতীয় নির্বাচন কমিটি। সেখানেই বাংলার বাকি আসনের প্রার্থীদের নাম ঠিক হয় বলে সূত্রের খবর। তবে সেই প্রার্থিতালিকা কেন এদিন প্রকাশ করা হল না, তা নিয়ে ছড়িয়েছে জল্পনা (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নয়া ভারতের রূপকার, ‘শান্তির দূত’ মোদিকে আগাম আমন্ত্রণ রাশিয়া, ইউক্রেনের

    PM Modi: নয়া ভারতের রূপকার, ‘শান্তির দূত’ মোদিকে আগাম আমন্ত্রণ রাশিয়া, ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের ব্যাপারে তিনি এক প্রকাশ নিশ্চিত। মন্ত্রিসভার সদস্যদের একশো দিনের কাজের পরিকল্পনা করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হলে তিনিই হবেন টানা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, ভারত-ভাগ্য-বিধাতা। সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই (PM Modi) এবার আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখল রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।

    যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ (PM Modi)

    বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ার পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ফোনে ফের যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের তরফে আমন্ত্রণ জানানো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    পুতিনকে কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দূরভাষে কথা হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছিলেন, “ভারত ও রাশিয়ার স্পেশাল ও প্রিভিলেজড স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ গভীর ও আরও বাড়াতে কাজ করব বলে আমরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানই সম্মত হয়েছি।” মোদি-পুতিনের আলোচনায় অনিবার্যভাবেই এসে পড়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। পুতিনকে ফের যুদ্ধ বন্ধের পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। উজবেকিস্তানে এসসিও সম্মলনের ফাঁকে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়ও প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়”। বুধবারও পুতিনের সঙ্গে আলোচনার সময় মোদি তাঁকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটাতে বলেছেন বলে সূত্রের খবর।

    এদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারত-ইউক্রেন অংশীদারিত্ব আরও পোক্ত করতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে খুব সুন্দর আলোচনা হয়েছে। শান্তি ফেরাতে ভারতের নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং অবিলম্বে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে যুদ্ধ থামাতে ভারত মানবিক সাহায্য করে যাবে।” প্রেস বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “ভারত চায় যে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা, কূটনীতি, ক্রমাগত সংলাপ হওয়া উচিত যাতে উভয় পক্ষই যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করেনি। সে খবর মাধ্যম জানিয়েছিল পাঠককে। আবারও রাশিয়া-ইউক্রেনকে শান্তির ললিত বাণী শোনাচ্ছে রাইজিং ইন্ডিয়া। যে ভারতের রূপকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Patanjali: সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইল রামদেবের সংস্থা, কী বলল পতঞ্জলি?

    Patanjali: সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইল রামদেবের সংস্থা, কী বলল পতঞ্জলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন পতঞ্জলির (Patanjali) ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা যোগগুরু বাবা রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। সংস্থার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে অভিযোগের ভিত্তিতে রামদেব ও বালকৃষ্ণকে মঙ্গলবার তলব করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই বুধবার রীতিমতো হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন পতঞ্জলি কর্তৃপক্ষ।

    দুঃখ প্রকাশ পতঞ্জলির (Patanjali) 

    হলফনামায় লেখা হয়েছে, “সংস্থার বিজ্ঞাপনে আপত্তিকর বাক্য থাকার জন্য আমি দুঃখিত। আমরা নিশ্চিত করব যে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিজ্ঞাপন যাতে জারি করা না হয়। আমাদের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র এই দেশের নাগরিকদের পতঞ্জলির পণ্যগুলি খাওয়ার মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার পরামর্শ দেওয়া।” বালকৃষ্ণ জানিয়েছেন, “কোম্পানির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র এই দেশের নাগরিকদের পতঞ্জলির পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার পরামর্শ দেওয়া, যার মধ্যে পুরানো সাহিত্য ও আয়ুর্বেদিক গবেষণা দ্বারা সম্পূরক ও সমর্থিত উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন করা।”

    পতঞ্জলির হলফনামা

    তিনি বলেন, “ড্রাগস ও জাদু প্রতিকার আইনের বিধান, যা জাদু নিরাময়ের দাবির বিজ্ঞাপনগুলিকে নিষিদ্ধ করে, তা প্রাচীন ও আইনে সর্বশেষ পরিবর্তনগুলি করা হয়েছিল যখন আয়ুর্বেদ গবেষণায় বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাব ছিল।” হলফনামায় পতঞ্জলি (Patanjali) বলেছে, “এখন ক্লিনিক্যাল গবেষণা সহ প্রমাণ ভিত্তিক বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে। যে গবেষণা আয়ুর্বেদে পরিচালিত, যা উল্লিখিত সময়সূচিতে উল্লিখিত রোগের প্রেক্ষাপটে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে অগ্রগতি প্রদর্শন করবে।”

    আরও পড়ুুন: “সিএএ নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের উদ্বেগের কারণ নেই”, বললেন শাহও

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে পতঞ্জলি প্রতিষ্ঠা করেন রামদেব। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ও চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমজনতাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। গত নভেম্বরে কোভিড-১৯ এর টিকা নিয়েও মিথ্যে প্রচার করেছিল পতঞ্জলি। কোভিড প্রতিরোধী না হওয়া সত্ত্বেও শুধু ‘করোনিল’ কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকারও বেশি মুনাফা লুটেছে পতঞ্জলি। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমান্নুলার বেঞ্চ রামদেব ও বালকৃষ্ণকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন। তার প্রেক্ষিতেই এদিন হলফনামা দাখিল করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে রামদেবের সংস্থা (Patanjali)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MS Dhoni: আইপিএল শুরুর আগের দিন চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ধোনি, দায়িত্বে কে এলেন?

    MS Dhoni: আইপিএল শুরুর আগের দিন চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন ধোনি, দায়িত্বে কে এলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ১৭তম আইপিএল। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অগণিত ক্রিকেট ভক্তের চেন্নাই সুপার কিংস-কে সমর্থনের একটাই কারণ, তা মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) এ বার আর অধিনায়ক থাকছেন না চেন্নাইয়ের। তাঁর বদলে নতুন অধিনায়ক হলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আইপিএল শুরু হওয়ার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই এমন ঘোষণা করল চেন্নাই। বৃহস্পতিবার, চেন্নাইয়ে আইপিএল অধিনায়কদের যে ফটোশুট হয়েছে, সেখানেও ধোনির বদলে দেখা গিয়েছে রুতুরাজকে।

    ২০২২ সালেও বদল হয়েছিল চেন্নাইয়ের অধিনায়ক

    প্রসঙ্গত, আইপিএলে ধোনি (MS Dhoni) বেশি দিন অধিনায়ক থাকছেন না, এটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। তাঁর উত্তরসূরি কে হতে পারেন, তা নিয়েও জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন। প্রথম থেকেই শোনা যাচ্ছিল পরবর্তী অধিনায়ক রূপে রুতুরাজের নাম। বৃহস্পতিবার সেই জল্পনাই সত্যি হল। ২৭ বছর বয়সি রুতুরাজ এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। তবে এবারই প্রথম নয়। ২ বছর আগে, ২০২২ সালের প্রতিযোগিতা শুরুর ঠিক আগেই এ ভাবে রবীন্দ্র জাডেজাকে আচমকা অধিনায়ক করা হয়েছিল চেন্নাইয়ের। তবে পরিকল্পনা সফল হয়নি। জাডেজার নেতৃত্বে চেন্নাই একের পর এক ম্যাচে হারতে থাকে। মাত্র আটটি ম্যাচের পরেই জাডেজাকে সরিয়ে ফের দায়িত্বে ফেরেন ধোনি (MS Dhoni)। প্রসঙ্গত, সেবার ধোনি নিজেই জাডেজাকে অধিনায়ক করেছিলেন বলে জানা যায়।

    ২০২৩ সালে ফের ধোনির নেতৃত্বে দাপট দেখায় চেন্নাই

    গত বছর ২০২৩ সালে ফের ধোনির (MS Dhoni) অধিনায়কত্বে দাপট দেখাতে থাকে চেন্নাই। ১৬তম আইপিএল-র ফাইনালে ওঠে তারা এবং গুজরাত টাইটান্সকে হারিয়ে পঞ্চম ট্রফি জিতে নেয়। সম্প্রতি অনুশীলনে ধোনিকে দেখা যাচ্ছিল বড় চুলে। ক্রিকেট ভক্তদের মনে ভাসছিল ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ বিশ্বকাপের স্মৃতি। বড় চুলের ধোনিকে ঘিরে যে নস্ট্যালজিয়া, সেটাই যেন ফিরে আসছিল সমর্থকদের মনে। ২০২৪ আইপিএল-র কাপ হাতে ধোনি, ভাবতে শুরু করেছিলেন অনেকেই। তবে তা আর হল না। ধোনি যেভাবে অধিনায়কত্ব ছাড়লেন, সেভাবেই কি পরের মরসুমে আইপিএল-ও ছেড়ে দেবেন? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে মাহি ভক্তদের মনে। সময়ই এই প্রশ্নের উত্তর দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অর্থাৎ এদিন সরাসরি প্রশাসনকেই এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুলল হাইকোর্ট, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে- এবিষয়ে রিপোর্টও চেয়েছে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং

    গার্ডেনরিচ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। মামলাকারী রাকেশের বক্তব্য, গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে যাওয়ার ফলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় এমন আরও প্রায় ৫০টি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে বলে দাবি করেন রাকেশ। এ বিষয়ে আদালতের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মামলাকারী। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘শুনলাম বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর উদ্ধারকার্য বন্ধ করে দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আর কেউ আটকে থাকলে কী হবে? প্রতিটি পঞ্চায়েত, পুরসভার একটি করে নজরদারি কমিটি থাকা দরকার। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ওই পাঁচ তলা বহুতল গড়ে উঠেছে বলে মনে হয় না।’’

    গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ!

    প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ আটকাতে আইন থাকলেই হবে না, তা বলবৎ করার মতো পরিকাঠামোও থাকতে হবে। গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ?’’ প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, তারা যখন স্কুটার বা জিপে করে কোনও এলাকা পরিদর্শনে যায়, তাদের মারধর করা হয়। পরিকাঠামো না থাকলে তারা কী করবে? মনে করুন, আপনি প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে অর্ধেক লরি ভর্তি বালি, এক লরি ভর্তি ইট নিয়ে এসে নির্মাণস্থলের সামনে রাখলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে কাউন্সিলরের গুপ্তচর চলে আসবেন। আর অনুমতি না থাকলে অনেক সময় কেউ আসেও না।’’

    যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট

    সরকারের উদ্দেশে আদালত (Calcutta High Court) এদিন আরও পরামর্শ দিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি আপাতত কয়েক দিন খাবার সরবরাহ, রেশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি, যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মতে, প্রতিটি পঞ্চায়েত সহ সব জায়গায় মনিটরিং সেল থাকা দরকার। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে যেখানে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল, সেখানে জলাভূমি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fact Check Unit: ভোটের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর প্রতিরোধে বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের

    Fact Check Unit: ভোটের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর প্রতিরোধে বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়ো খবরের রমরমা থামাতে এবং ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধিনস্থ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-র  নিজস্ব ফ্যাক্ট চেক ইউনিট (এফসিইউ)-কে সরকারি ফ্যাক্ট চেক সংস্থা (Fact Check Unit) হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করল মোদি সরকার। এই মর্মে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে। 

    বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে (Fact Check Unit)

    ২০ মার্চ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তথ্য প্রযুক্তি (মধ্যস্থতা নির্দেশিকা এবং ডিজিটাল) এর নিয়ম ৩ এর উপ-ধারা (১)-এর উপ-ধারা (৫) এর বিধানের অধীনে পিআইবি এফসিইউ-কে সরকারি ফ্যাক্ট চেক ইউনিট হিসেবে কার্যকর করা হয়েছে। ভুয়ো খবর প্রতিরোধের লক্ষ্যে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণভাবেই সমন্বয় রেখে যৌথভাবে কাজ করে চলেছে তথ্য প্রযুক্তি ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। 

    এফসিইউ কীভবে কাজ করে?

    ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পিআইবি অধীনস্থ ফ্যাক্ট চেক ইউনিট (Fact Check Unit)। ভুয়ো খবর, ভুল তথ্যের সৃষ্টিকর্তা এবং প্রচারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করাই মূল লক্ষ্য এই সংস্থার। ভারত সরকারকে নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সন্দেহজনক এবং ভুয়ো তথ্য সম্পর্কে রিপোর্ট করার জন্য পরিষেবা প্রদান করে থাকে। সরকারী নীতি, উদ্যোগ এবং প্রকল্প সম্পর্কিত কোনও ভুয়ো তথ্য থেকে থাকলে, তার বিরুদ্ধে যাতে সরকারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা যায় বা সেই বিষয়ে যাতে সরকারের গোচরে আনা যায়, সেই মঞ্চ প্রদান করে ফ্যাক্ট চেক ইউনিট। একইভাবে, এফসিইউ সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ, শনাক্ত করে এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচার প্রতিরোধ করে। একই সঙ্গে নিশ্চিত করে দেয় যে, সরকার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দ্রুততার সঙ্গে সংশোধন করা হয়েছে।

    বিভিন্ন মোডের মাধ্যমে চেক করে এফসিইউ (Fact Check Unit)

    নাগরিকরা হোয়াটসঅ্যাপ (+918799711259), ইমেল (pibfactcheck@gmail.com), Twitter (@PIBFactCheck) এবং PIB-এর ওয়েবসাইট (https://factcheck) সহ বিভিন্ন মোডের মাধ্যমে পিবিআই ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের (Fact Check Unit) সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে গত শনিবার। ৭ দফায় ভোট হবে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যে প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও হয়ে গিয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ তিন সদস্য-বিশিষ্ট। তাতে থাকেন একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং বাকি দুই জন নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু গত মাসে আচমকা নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। অন্যদিকে, অরুণ গোয়েলের ইস্তফা দেওয়ার কয়েক দিন আগেই অবসর নেন অন্য এক নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) অনুপ পাণ্ডে। তার ফলে নির্বাচন কমিশনারের দুটো পদই শূন্য হয়ে যায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনারের দুটি শূন্য পদে, দুই আমলাকে নিয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কমিটি।

    নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয় মামলা

    নির্বাচন কমিশনারের পদে আনা হয় সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারকে। এই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয় মামলা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সমেত বাকি দুই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, সামনে নির্বাচন রয়েছে। এমন সময় এই আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা ঠিক নয়। আর যাঁদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও নেই।

    নিয়োগ কমিটি 

    সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, নবনিযুক্ত দুই নির্বাচন কমিশনারকে তাঁদের পদ থেকে সরানোর কোনও কারণ আদালত দেখছে না। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন আরও জানিয়েছে, ভোটের মুখে কমিশনারদের (Election Commission) সরিয়ে দিলে তার প্রভাব নির্বাচনে পড়বে। প্রসঙ্গত, নয়া আইনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (চেয়ারপার্সন) একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (মেম্বার) এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা (মেম্বার)। আগের আইনে দেশের প্রধান বিচারপতিও থাকতেন। বর্তমান আইনে সেটা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের উদ্বেগের কারণ নেই”, বললেন শাহও

    Amit Shah: “সিএএ নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের উদ্বেগের কারণ নেই”, বললেন শাহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ নিয়ে অকারণ ভয়ের কোনও কারণ নেই। সিএএ তৈরি হয়েছে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।” ১১ মার্চ দেশজুড়ে সিএএ চালুর পরে পরেই কথাগুলি বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার ‘রাইজিং ভারত সামিটে’ অংশ নিয়ে তিনি ফের একবার জানিয়ে দিলেন, “সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই ভারতীয় মুসলমানদের।” ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই যে বিরোধীরা সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন, আইনটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    সিএএ আইন (Amit Shah)

    ২০১৯ সালে সংসদে পাশ করানো হয় সিএএ বিল। রাষ্ট্রপতি সই করায় বিলটি পরিণত হয় আইনে। করোনা হানা দেওয়ায় আইনটি লাগু করেনি মোদি সরকার। শেষমেশ চলতি বছরের ১১ মার্চ সন্ধেয় লাগু হয় সিএএ আইন। এই আইনের বলে ভারতের তিন মুসলিম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে এসেছেন (হিন্দু-সহ ৬টি ধর্মের মানুষ), তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই ছ’টি ধর্মের মধ্যে মুসলিম নেই। এটাকেই বিরোধীরা ‘ক্যাশ’ করছেন বলে অভিযোগ।

    ‘ভারতীয় মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই’

    ভারতীয় মুসলমানদের ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। সে প্রসঙ্গেই ভারতীয় মুসলমানদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এদিন আবারও শাহ বলেন, “সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। আমি আবারও বলছি যে, এ দেশের মুসলমানদের এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। স্বাধীনতার সময়ই এই প্রতিশ্রুতি (সিএএ) দেওয়া হয়েছিল। আমরা কেবল লিয়াকত-নেহরু চুক্তি ইমপ্লিমেন্ট করেছি।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারতে বর্তমানে ১৮ কোটি মুসলমান রয়েছেন। তাঁদের এ দেশে বসবাসের সেই অধিকার রয়েছে, যা রয়েছে তাঁদের সহনাগরিক হিন্দুদেরও। তাই সিএএ নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হবেন না।” তিনি মনে করিয়ে দেন, “সিএএ সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি আইন। এর সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্কই নেই।” বিরোধীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মুসলমানদের ভয় দেখানো (সিএএ নিয়ে) বন্ধ করুন। সিএএ নিয়ে বহিঃশক্তির কোনও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন শাহ (Amit Shah)।”

    আরও পড়ুুন: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

  • China Population Crisis: সন্তান ধারণে আগ্রহ নেই মহিলাদের! জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি চিন

    China Population Crisis: সন্তান ধারণে আগ্রহ নেই মহিলাদের! জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন বর্তমানে জনসংখ্যা সংকটের (China Population Crisis) মুখোমুখি হচ্ছে। এর কারণ বহু মহিলা ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তে তাঁদের পেশাগত জীবনের প্রতি বেশি মনোনিবেশ করছেন। পরিবার শুরু করার জায়গায় কেরিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন। যার ফলে জনসংখ্যা দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছে এবং জনসংকট একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জন্মহার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে একাধিক বিশেষ পরিকল্পনা চালিয়েছে চিন। জন্মহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৬ সালে এক-সন্তান নীতি বাতিল করেছিল চিন। এর পর ২০২১ সালে সন্তান প্রসবের ঊর্ধ্বসীমাকেও বাতিল করে ড্রাগনের দেশ। তা সত্ত্বেও দম্পতিদের সন্তান প্রসব কম হচ্ছে। এবার গবেষণায় এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান কী বলছে (China Population Crisis)?

    সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু ঝেং বলেছেন, “চিনে (China Population Crisis) বিবাহিত দম্পতিরা কম সন্তান ধারণ করছেন। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে একেবারেই সন্তান না থাকা পছন্দ করছেন। কোভিড এখনও তার অনেক নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত রেখেছে এবং ভবিষ্যতের দিকে অনিশ্চয়তার ধারা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও একটি অসহায়তার অনুভূতি রয়েছে যা অনেক মহিলাকে সন্তান ধারণ করতে নিষেধ করছে। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় পরিবার প্রসারিত করতে চাওয়া থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।” চিনের ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস রিপোর্ট করেছে যে জনসংখ্যা ২০২১ সালে ১.৪১৩ বিলিয়ন থেকে গত বছর ১.৪১২ বিলিয়ন হয়েছে। তথ্য অনুসারে, ১৯৬০ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক বৃদ্ধির হার নেতিবাচক ছিল ড্রাগনের দেশে।

     কেরিয়ারকে গুরুত্ব চিনা মহিলাদের

    পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় চিনের (China Population Crisis) কর্মশক্তিতে মেয়দের সংখ্যা বেশি। একজন অর্থনীতিবিদ অ্যান্ডি জি বলেছেন, “চিনে কেরিয়ার গড়ার ইচ্ছা আছে মহিলাদের মধ্যে। বাড়িতে থেকে মা হওয়া কখনই লক্ষ্য নয় তাঁদের। বহু মহিলা উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে কর্মক্ষেত্রে পদে উন্নতি করেছেন। ফলে তাঁরা আশা করেন যে, তাঁদের স্বামীরা তাঁদের থেকে বেশি উপার্জন করবে। ২০২০ সালে মহিলা পড়ুয়াদের ডক্টরেট ডিগ্রি নথিভুক্তিকরণ প্রায় ৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষদের তুলনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি সংখ্যক মহিলা নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।”

    সন্তানধারণ করতে উৎসাহ

    বেশি মহিলাকে সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য উৎসাহ দেওয়ার কাজ করছে ট্রিপ ডট কম হল একটি চিনা কোম্পানি। চিনে (China Population Crisis)  এই সংস্থায় ৩০,০০০ কর্মচারীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মহিলা। অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি কোম্পানি মহিলা কর্মীদের আরও সন্তান নিতে উৎসাহ দিয়ে থাকে৷ আবার এই সংস্থার সিইও জেন সান গত মাসে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমাদের সংস্থায় মহিলাদের একটি কেরিয়ার, একটি পরিবার এবং সন্তান ধারণের জন্য শুধুমাত্র সাত থেকে আট বছর সময় দেওয়া হয়। গর্ভবতী কর্মচারীদের কর্মস্থলে এবং সেখানে বিনামূল্যে ট্যাক্সি চড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়ে থাকে। তাঁদের সন্তানের জন্ম ও স্কুল শুরু হলে নগদ সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়।

    বিয়ে না করে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা

    এনইউএইচ-এর সহকারি অধ্যাপক মু বলেছেন, “চিনের (China Population Crisis) কিছু মহিলা সন্তান চান, কিন্তু তাঁরা বিয়ে বা বৈবাহিক জীবনের জন্য প্রস্তুত নন। মহিলারা এখন অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি স্বাধীন। তাই তাঁদের অনেকের কাছে বিয়ে তেমন আকর্ষণীয় বিকল্প নয়।” সিএআইসি-এর তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ৭৬.৪ লক্ষ মহিলা বিয়ে করেছে। তুলনায় ২০২০ সালের ৮১.৪ লক্ষ থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে।

    কী বলছেন সন্তানের মায়েরা

    যে মহিলাদের সন্তান ধারণের পর বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তাঁরা সামাজিক কলঙ্কের সম্মুখীন হন এবং একা সন্তান লালন-পালন করার সময় তাঁদের কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যাপক সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। চিনে একজন ৩৬ বছর বয়সি মহিলা এক সন্তানের মা বলেন, “আমি বিয়ে না করে একক ভাবে মা হওয়া লজ্জাজনক বলে মনে করি না। তবে আমি আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে গোপন রেখেছিলাম কারণ আমি চাই না যে সকলে আমাকে অন্যভাবে দেখুক।” সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে বছরের শুরুতে ঘোষণা করেছে যে অবিবাহিত বাসিন্দারা বিবাহিত দম্পতিদের মতো একই সুবিধা পাবেন। এই পদক্ষেপ যা আশা করছে চিনের (China Population Crisis) দেশটির জন্মহার বৃদ্ধি করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share