Tag: Madhyom

Madhyom

  • Haryana: মুসেওয়ালা-ধাঁচে হরিয়ানায় গুলি করে খুন আইএনএলডি নেতাকে, নেপথ্যে বিষ্ণোই?

    Haryana: মুসেওয়ালা-ধাঁচে হরিয়ানায় গুলি করে খুন আইএনএলডি নেতাকে, নেপথ্যে বিষ্ণোই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানায় (Haryana) প্রকাশ্যে গুলি করে খুন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন বিধায়ক নাফে সিং রাঠিকে। আততায়ীদের গুলিতে খুন হয়েছেন তাঁরই সফরসঙ্গী জয়কিষাণও। অতর্কিত এই আক্রমণে অন্য একজনও মারা গিয়েছেন বলে খবর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও দুজন।

    এলোপাথাড়ি গুলি

    স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে ঝাঝরের বাহাদুরগড় এলাকায় গিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন বিধায়ক নাফে। একটি এসইউভিতি ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত তিন নিরাপত্তারক্ষী। দুই দলীয় কর্মীও ছিলেন গাড়িটিতে (Haryana)। ছিলেন চালকও। আচমকাই অন্য একটি গাড়িতে করে এসে এসইউভি গাড়িটি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ীরা। গুলি লাগে আইএলএলডি নেতার ঘাড়, পিঠ ও কাঁধে। গাড়িতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁর সফরসঙ্গী জয়কিষাণও লুটিয়ে পড়েন। 

    কী বলছেন চিকিৎসক?

    এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। আততায়ীরা এলাকা ছাড়লে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন নাফে ও জয়কিষাণকে। ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কথায়, “ঘাড়ে, পিঠে ও কাঁধে এতগুলো গুলি লাগায় প্রবল রক্তক্ষরণ হয়। ব্লাড ভেসেল ফেটে গিয়েছিল। তাই হার্ট অ্যাটাক হয়। তার জেরেই হয় মৃত্যু। তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে যাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাঁদের থাই সহ শরীরের একাধিক জায়গায় গুলি লেগেছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যায় পুলিশ। যদিও ততক্ষণে পগার পার আততায়ীরা। ঝজ্জরের এসপি অর্পিত জৈন বলেন, “গুলি চালানোর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে পুলিশের একাধিক দলকে।” সোমবার দুপুর পর্যন্ত আততায়ীদের নাগাল পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনায় সরকারকেই দুষছে আইএনএলডি। দলের নেতা অভয় চৌতালা বলেন, “রাঠির ওপর যে আক্রমণ হতে পারে বা তাঁকে খুন করা হতে পারে, এই তথ্য রাজ্য সরকারকে আগেই দেওয়া হয়েছিল।”

    দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ খট্টরের

    আততায়ীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তিনি জানিয়েছেন, দোষীদের রেয়াত করা হবে না। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ আততায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অনেকে সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। জনপ্রিয় গায়ককেও একইভাবে হত্যা করেছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিঞ্চোইয়ের গ্যাং। এই ঘটনার নেপথ্যেও বিষ্ণোই ও তার সহযোগী কালা জাঠেদি রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের (Haryana)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় মানুষ। প্রতিদিন সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মহিলারা। আজ তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশে পেয়েছেন বিরোধী দল বিজেপিকে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের প্রতিবাদ রুখতে চাইছে রাজ্য সরকার। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপির তিন দিনের ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এবার ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আদালতের দ্বারস্থ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। অনুমতি মেলেনি। এরপরই হাইকোর্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। গত শুক্রবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব স্থির করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল। ধর্না কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না চলবে। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি। অবশ্য সেনার তরফে ধর্নার অনুমতি পেয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। 

    আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ময়দান এলাকা সেনার অধীন

    উল্লেখ্য, ময়দান এলাকার মালিক সেনা। তাই সেখানে ধর্না করতে গেলে সেনার অনুমতি প্রয়োজন পড়ে। তবে বিজেপির দাবি, সেনার অনুমতি থাকলেও পুলিশি ছাড়পত্র মেলেনি। পুলিশ নাকি বিজেপিকে বলেছে, সেই এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানো মানা। তাই ধর্নার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে বিজেপির পালটা যুক্তি, কয়েকদিন আগেই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না করেন। এই আবহে ধর্নার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা”, মহিলাদের ক্ষোভের মুখে মেয়র

    Asansol: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা”, মহিলাদের ক্ষোভের মুখে মেয়র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা” ঠিক এইভাবেই এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের তৃণমূল মেয়রকে। জানা গিয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা, মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে পেয়ে এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। এলাকায় দীর্ঘ দিনের একটা প্রধান সমস্যা হল জলের সমস্যা। যদিও মেয়র আস্বস্ত করেছেন জলের সঙ্কট মিটে যাবে।

    রক্তদান শিবিরে ক্ষোভের মুখে মেয়র (Asansol)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার আসানসোলের (Asansol) সার্থকপুর এলাকায় একটি রক্তদানব শিবিরে যোগদান করেছিলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। কিন্তু এলাকার মানুষ পানীয় জলের সমস্যার মধ্যে অনেকদিন ছিলেন আর তাই তৃণমূল মেয়রকে কাছে পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু মেয়র, এলাকার মানুষকে পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের কথা বললেও মানুষের রাগকে প্রশমিত করা যায়নি। এলাকার মানুষ তীব্র স্বরে চেঁচামেচি শুরু করেন এবং বিক্ষোভ দেখান। এরপর মহিলারা বলেন, “লাল কালিতে কাগজে লিখে দিন। তারিখ লিখে দিলে তবেই বিশ্বাস করব।” একই সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও এক বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় অনেক দিন ধরে জলের সমস্যা। অনেক অভিযোগ জানিয়েও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। আমরা দ্রুত এলাকার সমস্যার সমাধান চাই।”

    তৃণমূল মেয়রের বক্তব্য

    মেয়র (Asansol) মানুষের ক্ষোভের মুখে নিজের মেজাজ হারিয়ে বিক্ষোভকারীদের বলেন, “সিপিএমের আমলে এই ভাষায় এভাবে মেয়র বিধায়কদের সরাসরি বলতে পারতেন? আমরা মানুষের সঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশে থাকি তাই এই ভাবে বলতে পারছেন। তাছাড়া জামুড়িয়া এলাকায় জলের সমস্যা আজকের নতুন নয়। বহু পুরাতন। বর্তমানে জলের ট্যাঙ্কারে করে জল এনে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জলের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ দ্রুত শেষ হলেই এলাকার সমস্যা মিটে যাবে।” এই প্রসঙ্গে মেয়র আরও বলেন, “আমিও এলাকার মানুষ, গ্রামীণ এলাকার বিধায়ক। ফলে গ্রামের সমস্যা আমি খুব ভালো ভাবে জানি। তবে এটা কোনও ক্ষোভ নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: ‘মিথ্যে’ বলার অভিযোগ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে, পর্দা ‘ফাঁস’ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী

    Mohamed Muizzu: ‘মিথ্যে’ বলার অভিযোগ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে, পর্দা ‘ফাঁস’ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ‘মিথ্যে’ বলার অভিযোগ উঠল মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) বিরুদ্ধে। যিনি দাবি করেছেন, তিনি মলদ্বীপেরই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ।

    চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু

    তাঁর অভিয়োগ, ভারতীয় সেনাদের নিয়ে মিথ্যে বলছেন চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। এক্স হ্যান্ডেলে আবদুল্লা লেখেন, “একশো দিন পেরিয়ে গেল। এটুকু পরিষ্কার যে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু হাজার হাজার ভারতীয় সেনা নিয়ে যে দাবি করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। এটি ওঁর অন্য অনেক মিথ্যের তালিকায় আরও একটি সংযোজন। বর্তমান প্রশাসন সঠিক পরিসংখ্যান দিতে ব্যর্থ। এই মুহূর্তে দেশে কোনও বিদেশি সশস্ত্র সেনা নেই।”

    ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

    মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। গত ১৭ নভেম্বর মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন তিনি। তার পরেই নিতে থাকেন একের পর এক ভারত বিরোধী সিদ্ধান্ত। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েও মুইজ্জু দাবি করেছিলেন, তাঁদের দেশে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা রয়েছে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বর্তমানে ভারতীয় সেনা রয়েছেন মাত্র ৭০ জন। ক্ষমতায় এসেই ১০ মে-র মধ্যে মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নিতে বলে মুইজ্জু সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে টানাপোড়েন

    প্রথা অনুযায়ী, যাঁরাই মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি পদে বসেন, তাঁরা প্রথমে ভারত সফরে আসেন। দীর্ঘদিনের সেই প্রথা ভেঙে ভারত নয়, তখতে বসেই মুইজ্জু প্রথমে যান তুরস্ক সফরে। এর পর, চিনা ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে বেজিংকে মিত্র দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তার পর থেকে ক্রমেই অবনতি হতে থাকে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের। সম্প্রতি সে সম্পর্কে তলানিতে এসে ঠেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর করা অমমাননাকর মন্তব্যের পর।

    এর পরেই ভারতীয় পর্যটকরা মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন। প্রমাদ গোণেন সে দেশের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। কারণ মলদ্বীপে ফি বছর যত পর্যটক বেড়াতে যান, তাঁদের সিংহভাগই ভারতীয়। একদা পরম মিত্র দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরিতাও মেনে নিতে পারেননি সেদেশের মুইজ্জু-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রধানরা। এহেন পরিস্থিতিতে মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) মিথ্যের বেলুন ফাটিয়ে দিলেন সে দেশেরই প্রাক্তন মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

  • Gyanvapi Mosque: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Gyanvapi Mosque: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তহখানায় হিন্দুদের পুজো ও আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজার্চনা শুরু হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টে এদিন বারাণসী জেলা বিচারকের রায়ই বহাল রাখল।

    মসজিদের বেসমেন্টে পুজোর অনুমতি

    বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘ব্যস তহখানায়’ পুজোর অনুমতি দিয়েছিল ৷ গত ১৭ জানুয়ারি বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস তেহখানার’ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেয়ারটেকার নিযুক্ত করে ৷ আর ৩১ জানুয়ারি মসজিদের ওই অংশে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে পুজো করার অনুমতি দেয় ৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ ৷ সোমবার সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ 

    পুজোর পিছনে যুক্তি 

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট কীভাবে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি পায়, এই নিয়ে আপত্তি তুলেছিল মুসলিম পক্ষ। অঞ্জুমান ইন্তজামিয়া মসজিদ কমিটি বারাণসী আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু, জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রথমে হাইকোর্টে যেতে বলে শীর্ষ আদালত। মসজিদ কমিটির দাবি, ওই প্রকোষ্ঠে কোনও বিগ্রহ নেই, এবং সেখানে কখনও পুজোপাঠ হয়নি। আচার্য বেদব্যাস পীঠ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শৈলেন্দ্রকুমার পাঠকের আবেদন ছিল, ওখানে ব্যাস পরিবারের লোক পুজোপাঠ করতেন। ব্রিটিশ যুগেও ওখানে পুজো হতো।

    আরও পড়ুন: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    পুরাতত্ত্বের দাবি

    ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই তার বিস্তারিত রিপোর্টে জানিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) আগে সেখানে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর ভূগর্ভস্থ দক্ষিণ প্রকোষ্ঠে পুজোর অনুমতি দেয়। জেলাশাসককে দক্ষিণ প্রকোষ্ঠের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে একজন পুরোহিতের সেখানে চারবেলা আরতি ও পুজোপাঠের অনুমতি দেওয়া হয়।

    উচ্ছ্বসিত হিন্দুপক্ষ

    হিন্দু পক্ষের এই জয়ের পর আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, ‘আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়ার প্রথম আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ১৭ এবং ৩১ জানুয়ারি বারাণসী জেলা আদালতের রায় বহাল রাখার কথা জানিয়েছে হাইকোর্ট। অর্থাৎ জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ব্যস জি কা তহখানাতে পুজো চলবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: বাংলার একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের উদ্বোধনে মোদি, জানেন কী কী পাচ্ছে রাজ্য?

    Indian Railways: বাংলার একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের উদ্বোধনে মোদি, জানেন কী কী পাচ্ছে রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেল (Indian Railways) অনেক আগেই দেশের অনেক রেল স্টেশনের পরিকাঠামো বদলের ঘোষণা করেছিল। আজ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দেশের ৫৫৩টি ‘অমৃত ভারত’ স্টেশন (Amrit Bharat Scheme) সহ আরও ১৫০০ ওভারব্রিজ-আন্ডারপাসের কাজের সূচনা হবে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে স্টেশনের উন্নয়ন এবং সাবওয়ের শিল‌্যান‌্যাস করবেন নরেন্দ্র মোদি। এই ২০০০ রেল পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব শাখার একাধিক স্টেশন রয়েছে। যার মধ্যে বাংলার বহু স্টেশনের আধুনিকীকরণ, মানোন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি নতুন ওভারব্রিজ-আন্ডারপাসের কাজের সূচনাও হবে। 

    দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বাংলার ২২টি অমৃত ভারত স্টেশন

    সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (Indian Railways) মধ্যে অমৃত ভারত প্রকল্পে ৪৬টি স্টেশন রয়েছে। যার মধ্যে ২২টি স্টেশন বাংলার। তালিকায় রয়েছে খড়্গপুর, মেচেদা, উলুবেরিয়া, আন্দুল, পাঁশকুড়া, দিঘা, হলদিয়া সহ একাধিক স্টেশন। উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে ৫৯৭.১৫ কোটি টাকা। ১০৮টি রোড ওভারব্রিজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    এর মধ্যে, আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত মোট ১৫টি অমৃত ভারত স্টেশনের (Amrit Bharat Scheme) কাজের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আদ্রা ডিভিশনে অমৃত ভারত স্টেশনের জন্য ৪০৯.৩৭ কোটি বরাদ্দ রয়েছে। তার মধ্যে ১২টি বাংলার। ২৭০.১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। বাকি ৩টি ঝাড়খণ্ডের। আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত বাংলার যে ১২টি অমৃত ভারত স্টেশন (Indian Railways) রয়েছে তার মধ্যে পুরুলিয়ার আদ্রা, পুরুলিয়া, আনাড়া, বরাভূম, মধুকুণ্ডা, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, জয়চন্ডী পাহাড়, মেদিনীপুরের গড়বেতা, শালবনী, চন্দ্রকোনা রোড ও পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুর। শুধু ঝাঁ চকচকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নই নয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকেও আলাদাভাবে নজর কাড়বে এইসব স্টেশনগুলি।

    পূর্ব রেল শাখায় বাংলার ১৭টি স্টেশন অমৃত ভারত

    অন্যদিকে, পূর্ব রেলের (Indian Railways) অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের ২৮টি স্টেশনের পূনর্বিন্যাসের কাজের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে রাজ্যেরই ১৭টি স্টেশন রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৭০৪ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশনের জন্য। ৩০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে ব্যান্ডেল। অত্যাধুনিক পরিষেবা ও সুবিধা সহ এই স্টেশনটিকে বিশ্বেমানে রূপান্তরিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্গত পানাগড় স্টেশনের উন্নয়নের শিলান্যাস করা হবে অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Scheme) আওতায়। পাশাপাশি, ১২৩.৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি আন্ডারপাসের উদ্বোধন হবে, যার মধ্যে ১০টি পেয়েছে বাংলা। ডানকুনি ও বর্ধমানের বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস হবে।

    জয়রামবাটী মাতৃ মন্দিরের আদলে বিষ্ণুপুর স্টেশন

    জানা গিয়েছে, রাজ্যের রেল (Indian Railways) স্টেশনগুলির মান উন্নয়নে ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৫৬ কোটি টাকা খরচ হবে শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা মায়ের পদধূলি ধন্য বিষ্ণুপুর স্টেশনের জন্য। জয়রামবাটী মাতৃ মন্দিরের আদলে গড়ে উঠবে বিষ্ণুপুর রেল স্টেশন (Amrit Bharat Scheme)। জয়রামবাটী মাতৃ মন্দিরের আদলে মডেল স্টেশন তৈরি করার পাশাপাশি আন্দুল সোনামুখী স্টেশনেরও মানে উন্নয়ন হবে। 

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দল এই সব স্টেশনে সাংসদ, বিধায়ক, নেতাদের হাজির থাকতে বলেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Simi Terrorist: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    Simi Terrorist: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ বছর ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। তবুও ধরা যাচ্ছিল না নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা সিমির সদস্য হানিফ শেখকে। অবশেষে রবিবার দিল্লি পুলিশের সাউদার্ন রেঞ্জ স্পেশ্যাল সেল  গ্রেফতার করল ওই জঙ্গি নেতাকে। ২০০১ সাল থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দেশদ্রোহী মামলা। ইসলামিক মুভমেন্ট নামের এক উর্দু ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিল হানিফ। প্রচুর মুসলিম যুবককে জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    কে এই হানিফ শেখ

    স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া-র (সিমি) বিভিন্ন কার্যকলাপ সামলাতেন হানিফ শেখ। ২০০১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’-এর অভিযোগও আনা হয়। হানিফের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে মামলা দায়ের হয়।  তার পর থেকেই ‘পলাতক’ ছিলেন তিনি। হানিফ শেখ ১৯৯৭ সালে মারুল জলগাঁওতে কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন। সে বছরই তিনি সিমি-তে যোগ দেন। জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ শুরু করেন। তাঁর উৎসাহ দেখে তৎকালীন সিমি প্রধান সহিদ বদর ২০০১ সালে ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’-এর উর্দু সংস্করণের হানিফকে সম্পাদক করে দেন। সেখানে হানিফের একাধিক লেখা ‘যুব সমাজ’-এ প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ ওঠে। 

    আরও পড়ুন: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    কীভাবে গ্রেফতার হানিফ

    শুরুতে হানিফের বিষয়ে তেমন তথ্যই ছিল না পুলিশের কাছে। সিমির ম্যাগাজিন ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’ এ লেখা সম্পাদকীয় কলমে ‘হানিফ হুদাই’নামই ছিল পুলিশের কাছে একমাত্র লিঙ্ক। এই সূত্র  ধরেই দেশেরে নানা প্রান্তে অভিযান চালায় পুলিশ। গত ৪ বছর ধরে হানিফকে ধাওয়া করছে পুলিশ। তবে বারবারই সে ছিল অধরা। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হানিফ সম্পর্কে তথ্য একত্রিত করতে থাকে পুলিশ। সিমির এই সদস্য কোথায় ডেরা তৈরি করতে পারে, তার সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করে দিল্লি পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ জানতে পারে, মহম্মদ হানিফ নাম নিয়ে মহারাষ্ট্রের ভুসাওয়ালে একটি উর্দু স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কাজ করছে হানিফ শেখ। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। পাতা হয় ফাঁদ। ২২ ফেব্রুয়ারি গোপন আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই হানিফকে ধরে ফেলে পুলিশ। অভিযোগ, গত ২৫ বছর ধরে বহু মুসলিম যুবককে বিপথে নিয়ে গিয়েছে হানিফ। অন্তরালে থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের যেখানেই সভা হত সেখানে হাজির হতেন তিনি। শুধু তা-ই নয় সংগঠনের জন্য টাকার জোগানও দিতেন হানিফ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির 

    PM Modi: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবসেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।  রবিবার রাজ্য বিজেপি নেতত্বের তরফে জানানো হয় ৬ মার্চ নয়, আগামী ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন মোদি। ৮ মার্চ নারী দিবস। বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির বিশেষ নাম রাখা হয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা’।  সূত্রের খবর, ওইদিন সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদি। 

    নারী শক্তি বন্দনা

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা মহিলাদের জুড়তে চান প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। বিজেপি সূত্রে খবর, ১ মার্চ আরামবাগ, ২ মার্চ কৃষ্ণনগর এবং ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন মোদি। প্রথমে বারাসতের সভা করার দিন ৬ মার্চ ঠিক হলেও সন্দেশখালির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। সন্দেশখালিতে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানকার মহিলাদের রাতের অন্ধকারে পার্টি অফিসে ডেকে তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এমন ঘটনা চলেছে বছরের পর বছর।  বিজেপি নেতৃত্ব এই সভার নাম দিয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’। সন্দেশখালি সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মহিলারা প্রধানমন্ত্রীর ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মহিলাদের জন্য মোদি সরকার কী কী করেছে, সেই বার্তাও তুলে ধরা হবে। 

    আরও পড়ুন: আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি, এগিয়ে এল পরীক্ষার দিন, জানাল পর্ষদ

    প্রধানমন্ত্রীর সভার উদ্দেশ্য

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনা জেলারই বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বাংলায় তিনটি কর্মসূচি নিয়েছেন। ১ মার্চ আরামবাগে সভা করবেন তিনি। ২ তারিখে সভা হবে কৃষ্ণনগরে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ওই দিনই মহাশিবরাত্রি। তাই সে দিন প্রধানমন্ত্রী বারাসতে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’ পালন করবেন। সে দিন এক লক্ষ মহিলার উপস্থিতিতে সভা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বিধানসভা এবং লোকসভায় মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করেছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর নারী শক্তিকে সম্মান জানিয়েছেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের উদ্দেশে নিজের কথা বলবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Fact Finding Team: সন্দেশখালির পথে ফের বাধা, কী বলল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম?

    BJP Fact Finding Team: সন্দেশখালির পথে ফের বাধা, কী বলল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ফের বাধার মুখে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (BJP Fact Finding Team)। এর আগেও একবার সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধা পেয়ে ফিরতে হয় ওই দলকে। রবিবার আরও একবার যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন ওই টিমের সদস্যরা। গ্রেফতারও করা হয় টিমের ছয় সদস্যকে। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তাঁরা। করেন সাংবাদিক বৈঠক।

    ‘লোকাল পুলিশ আমাদের আটকায়’

    প্রসঙ্গত, টিমে রয়েছেন পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি, রজপাল সিং, ওপপ্রকাশ ব্যাস, সঞ্জীব নায়ক, ভাবনা বাজাজ, এবং চারু আলি খান্না। আইনজীবী তথা এনসিডাব্লুর সদস্য চারু আলি খান্না বলেন, “এদিন আমরা সন্দেশখালিতে যাচ্ছিলাম। তখন লোকাল পুলিশ আমাদের আটকায়। ওঁদের যুক্তি, ওখানে ১৪৪ ধারা চলছে, তাই যাওয়া যাবে না। আমরা বলি, আমাদের এই দলে ৬ জন রয়েছেন, ২ জন মহিলাও রয়েছেন। অন্তত আমাদের শুধু মহিলা সদস্যদের যেতে দিন। পুলিশ আমাদের কথা কানে তোলেনি। ভোজেরহাটে ২ জন আইপিএস অফিসার আমাদের আটকান। আমরা বলি, আমাদের আটকানোর (BJP Fact Finding Team) কারণ কি? ওখানে তো মন্ত্রী, বিধায়করা যাচ্ছেন।”

    টিমের অভিযোগ

    টিমের অভিযোগ, “এর পর আচমকাই পুলিশ অ্যাগ্রেসিভ হয়ে যায়। আমাদের তোলা হয় পুলিশ ভ্যানে। পরে আমাদের লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের যেতে দেওয়া হলেও, আমাদের যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করব। পুরো ঘটনাটি খুলে বলব। বিজেপির এই টিমের সদস্যদের অভিযোগ, আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, নিরাপত্তার কোনও খামতি হবে না। বর্তমান সরকার গোটা বিষয়টা সাপোর্ট করছে। যাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়েছে, তাঁকে প্রোটেক্ট করার চেষ্টা চলছে।”

    আরও পড়ুুন: “১৮তম লোকসভা দেশের তরুণদের আকাঙ্খার প্রতীক”, মন কি বাতে বললেন মোদি

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যে ফের একবার সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করবে, তা জানিয়ে দিয়েছেন এই টিমের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, “আমরা ফের যাওয়ার কথা ভাবছি। আমাদের সাইকোলজিকাল টর্চার করা হয়েছে। পুলিশ আমাদের জোরপূর্বক আটকেছে।”

    শনিবার পুরো বিষয়টি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। তার পরেও এদিন পুলিশ তাঁদের সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়ায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ ওই টিমের সদস্যরা (BJP Fact Finding Team)। তাঁরা বলেন, “রামনবমীর দিনও আমাদের এভাবে হ্যারাস করা হয়েছে। পুলিশ পলিটিক্যাল এজেন্ট। আমরা আবারও আসব। আবারও গ্রেফতার হব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Malda: সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    Malda: সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আবাস যোজনার তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার জন্য বৃদ্ধার একমাত্র সম্বল জমানো ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় আরও ২০ হাজার টাকার দাবি করে ওই তৃণমূল নেতা। টাকা না দিতে পারায় হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন বৃদ্ধা। ইতিমধ্যে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। মূল অভিযোগ, এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) কালিয়াচক ব্লকের সাহাবানচক গ্রামের ভাগজান এলাকায়।

    বৃদ্ধার অভিযোগ (Malda)?

    ভাগজান (Malda) এলাকার সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা রানি বেওয়া বলেন, “আবাস যোজনার পূর্ণ চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম ছিল কিন্তু আমি ঘরের টাকা পাইনি। আমার নামের টাকা অন্য জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠনো হয়েছে। এই কাজের জন্য তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রধান আমার কাছ থেকে কাটমানি চেয়েছিলেন। সেই কাটমানির কিছুটা অংশ টাকা তাঁকে দিয়েও ছিলাম। আমার নিজের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, স্বামী বহুদিন আগে মারা গিয়েছেন, চিন্তায় চিন্তায় আমার সংসার চলে। আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাইলে কীভাবে দেবো? আমি দিতে না পারায় আমার বাড়ির টাকা অন্য জনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এই ঘটনায় স্থানীয় (Malda) তৃণমূল নেতা জিয়াউল হক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কারো কাছে আমি কাটমানি দাবি করিনি। রানি বেওয়া নামে মালতিপুর মৌজায় কারো নামে ঘর তালিকায় ছিলনা। গোপালপুরে বনি বেওয়া নামক একজনের নাম ছিল। ঘটনা চক্রে স্বামীর নাম এক হওয়ায় গোলমাল হয়েছিল। আমি তৃণমূল করি বলে আমার উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।” ইতিমধ্যে ঘটনার কথা জানিয়ে মালদা জেলা শাসক এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।  


     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share