Tag: Madhyom

Madhyom

  • White Paper On Economy: কী ছিল, কী হল! গত ১০ বছরে মোদি সরকারের অর্থনীতির শ্বেতপত্রে বিধ্বস্ত কংগ্রেস

    White Paper On Economy: কী ছিল, কী হল! গত ১০ বছরে মোদি সরকারের অর্থনীতির শ্বেতপত্রে বিধ্বস্ত কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ ও এনডিএ আমলে দেশের আর্থিক অবস্থার তুলমূল্য বিচার করা হল। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র  (White Paper  On Economy) প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজপেয়ী সরকারের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে একটি ‘সুস্থ অর্থনীতি’ পেয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। কিন্তু, ১০ বছর আগে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট ভারতীয় অর্থনীতিকে শুধু খারাপ অবস্থায় নয়, ‘সঙ্কটাপন্ন’ অবস্থায় ছেড়ে গিয়েছিল, বলে দাবি করা হয়েছে শ্বেতপত্রে।

    কী আছে শ্বেতপত্রে

    ‘শ্বেতপত্র’ এক ধরনের তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট। এতে কোনও বিষয় নিয়ে সরকারি নীতি, সরকারের কৃতিত্ব এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কেন্দ্রের দাবি, ২০০৪ সালে যখন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশ। শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে তা ছিল ৭ শতাংশ। কৃষিক্ষেত্রে তা ছিল ৯ শতাংশে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে ব্যর্থ কংগ্রেস। শ্বেতপত্রে দেখানো হয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০১৪- এই এক দশকে গড় বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৮.২ শতাংশ। আর এই চড়া মুদ্রাস্ফীতি রুখতে ইউপিএ কোনও পদক্ষেপই করেনি বলে অভিযোগ। এরই পাশাপাশি শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বৃহত্তর অর্থনৈতিক কল্যাণের জন্য বহু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ সরকার। তৈরি করেছে শক্তিশালী পরিকাঠামো। 

    কী হয়েছে

    ভারতীয় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলিকে ‘সুস্থ’ করতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল মোদি সরকার। সেই সময় বিশ্বের অন্যতম ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি ছিল ভারতের অর্থনীতি। পরের দশ বছরে, মোদি সরকার ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় সর্ববৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। ইউপিএ আমলে ২জি কেলেঙ্কারি ছিল। এখন, ভারতের জনসংখ্যার অধিকাংশ সর্বনিম্ন মূল্যে ৪জি যোগাযোগের সুবিধা পান। ২০২৩-এ গোটা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দ্রুত ৫জি রোলআউট হয়েছে। সেই সময় কয়লা কেলেঙ্কারি ছিল। আজ প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগাতে, স্বচ্ছ এবং উদ্দেশ্যমূলক নিলাম ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। সেই সময়, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সংকট ছিল। এখন, ভারতের ঘরে রেকর্ড পরিমাণ, ৬২০ বিলিয়নের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: সরগরম বিধানসভা, মুখ্যমন্ত্রী বেরোতেই ‘চোর-চোর’ স্লোগান বিজেপির

    BJP West Bengal: সরগরম বিধানসভা, মুখ্যমন্ত্রী বেরোতেই ‘চোর-চোর’ স্লোগান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ফের উঠল চোর চোর স্লোগান। গত নভেম্বর মাসের পরে ফের ‘চোর-চোর’ স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। রাজ্যের একাধিক চুরি-দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের। গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী-বিধায়করা। শাসক দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা-মন্ত্রীদের দেখে এর আগে রাস্তায় সাধারণ জনগণের গলায় ‘চোর-চোর’ স্লোগান শোনা গিয়েছে। সেই আওয়াজ ফের একবার উঠে এল রাজ্যের বিধানসভায়। ‘চোর-চোর’ স্লোগানের পাশাপাশি বিজেপি বিধায়করা (BJP West Bengal) মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিও দেন।

    কলকাতা পুলিশকে ধমক বিরোধী দলনেতার

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বলে পুলিশ বিধানসভার গেটে বিজেপি বিধায়কদের (BJP West Bengal) গাড়ি আটকে দেয়। অভিযোগ এরফলে বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল সমেত একাধিক বিজেপি বিধায়ক আটকে পড়েন। এই ঘটনার খবর কানে যেতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কলকাতা পুলিশের অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘কে আপনারা গাড়ি আটকানোর। এটা কি কলকাতা পুলিশের জমিদারি? আপনারা আমাদের নির্বাচিত করেননি। মানুষ আমাদের বিধানসভায় পাঠিয়েছেন। কোন হরিদাসের গাড়ি পাস করানোর জন্য আপনারা আমাদের বিধায়কদের গাড়ি আটকেছেন? তিনি হুমকি দেন, ভবিষ্যতে এ কাজ করলে পরিণতি খারাপ হবে।’’

    বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি 

    এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিধানসভার গেটের কাছে বিজেপি বিধায়করা (BJP West Bengal) ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলেন। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের বচসাও শুরু হয়। এরই মধ্যে তৃণমূল বিধায়করা এগিয়ে আসেন। তখনই বিজেপি-তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য সে পরিস্থিতি এড়ানো গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal BJP: জাতীয় সঙ্গীতের বদলে রাজ্য সঙ্গীত বিধানসভায়, প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা

    West Bengal BJP: জাতীয় সঙ্গীতের বদলে রাজ্য সঙ্গীত বিধানসভায়, প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বিধানসভা। জাতীয় সঙ্গীতের বদলে শাসক দলের বিধায়করা গাইলেন রাজ্য সঙ্গীত।  প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকমাস আগেই ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গ তো আলাদা কোনও দেশ নয়, তখন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত কেন বাদ দিতে চাইছে মমতা সরকার?  বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়করা রাজ্য সঙ্গীত শুরু করতেই পাল্টা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করলেন শুভেন্দু অধিকারী সমেত অধিবেশনে উপস্থিত বিজেপি বিধায়করা (West Bengal BJP)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বাজেট করা হয় শাসক দলের তরফে।

    বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ

    রাজ্য সঙ্গীতের পরেই বাজেট ভাষণ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই সময়েই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা (West Bengal BJP), নেতৃত্ব দেন খোদ বিরোধী দলনেতা। বেশ কিছুক্ষণ তুমুল হইহট্টগোল চলতে থাকে বাজেট অধিবেশনে। এনিয়ে পরে, সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওটা রাজ্য সঙ্গীত না বলে জাতীয় সঙ্গীত বলা হয়েছে। তাই আমরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছি। দেশকে দু’ভাগ করার চেষ্টা করছে। যা খুশি চাপিয়ে দিলে কোম্পানির লোকেরা মেনে নেবেন, বিজেপি বা জনগণ মানবে না। দেশপ্রেম, রাষ্ট্রবাদ ও ভারত মাতার অবমাননা হলে বিজেপি আপস করবে না।’’

    বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    বিধানসভার অধিবেশন শেষে বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা। সেখানেও নন্দীগ্রামের বিধায়ক (West Bengal BJP) বিধানসভায় রাজ্য় সঙ্গীত গাওয়ার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ দাবি করেছেন বাংলার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। বাংলার জাতীয় সঙ্গীত কি হয়। বাংলার স্টেট সঙ্গীত আমরা মানব না। অধ্যক্ষ অত্যন্ত আপত্তিকর কথা বলেছেন। উনি যদি বলতেন একটা সুন্দর বাংলা গান গাইব, তাতে কোনও আপত্তির বিষয় ছিল না। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী দেশ একটাই৷ ভারতবর্ষকে এভাবে দু’টুকরো করা যাবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: হেমন্তের দিল্লির বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির মালিক কংগ্রেস সাংসদ, দাবি ইডির

    Hemant Soren: হেমন্তের দিল্লির বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির মালিক কংগ্রেস সাংসদ, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি জালিয়াতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাসভবন থেকে বাজেয়াপ্ত  দামি গাড়িটি আসলে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ শাহুর। ইডি সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গত বছর রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। ধীরজকে ওই গাড়ি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি।

    গাড়ি আসলে কার

    ঘটনাচক্রে ধীরজ শাহুর বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক জায়গা থেকে মাস দুয়েক আগেই সাড়ে তিনশো কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডিসেম্বরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অর্থ উদ্ধার করেছিল ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট। যদিও তিনি দাবি করেছিলেন, ওই বিপুল অর্থের সঙ্গে কোনও যোগ নেই কংগ্রেসের। সমগ্র টাকা উদ্ধারে ১০ দিন সময় লেগেছিল। ইডি সূত্রের দাবি, গাড়িটি কংগ্রেস সাংসদ শাহুর নামে নথিভুক্ত। কিন্তু হেমন্তের দিল্লির বাসভবনে সেই গাড়ি ছিল কেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেজন্যই জেরা করা হতে পারে ধীরজকে।

    আরও পড়ুন: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বাজেয়াপ্ত গাড়ির বঙ্গ যোগ

    জমি জালিয়াতি মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি ইডির হাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত। ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের রক্ষাকবচের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন হেমন্ত। কিন্তু শীর্ষ আদালতে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির সঙ্গে বঙ্গ যোগও রয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যে গাড়ি রয়েছে, তার রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিল কলকাতার এক ব্যবসায়ী যোগেশ আগরওয়াল। রিয়েল এস্টেট এবং মোটর প্রশিক্ষণ স্কুলের ব্যবসা রয়েছে যোগেশের। ফলে, মোটর ট্রেনিং স্কুলের আড়ালে দুর্নীতির চক্র রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সন্দেহ এবং সেটা কী ধরনের দুর্নীতি, ইডি তা খতিয়ে দেখতে চাইছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • State Budget 2024: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    State Budget 2024: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশা দেখাতে পারেনি রাজ্য বাজেট। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট (West Bengal Budget 2024) পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তা শেষ হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বাজেটকে ভোটের গিমক, বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁর পাশে ছিলেন অর্থনীতিবিদ তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি। 

    বাজেটে রাজ্যের অগ্রগতির দিশা নেই

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বাজেট ভোটের প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ, শিল্প বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে রাজ্যের অগ্রগতির কোনও দিশা নেই।’’ তাঁর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার বাজেটের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় অর্থ বিলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু অসমে মহিলারা আড়াই হাজার টাকা করে পান। মধ্যপ্রদেশেও অনেক বেশি টাকা মহিলাদের দেওয়া হয়। এখানে মহিলাদের ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০ করা হচ্ছে মাত্র।’’ উল্লেখ্য, বাজেটে রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাসে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। সেই ঘোষণাকেই কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ তফসিলি জাতি উপজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। বাজেটে তাঁদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা ওঁদের অপমান। সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলাদের তুলনায় ওঁদের দ্বিগুণ টাকা পাওয়ার কথা। ২০০ টাকা বাড়িয়ে ওঁদের অপমান করা হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    বাজেটে উপেক্ষিত সব স্তরের মানুষ

    বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘এই বাজেটে সরকারের আয়ের উৎসের নির্দিষ্টভাবে কোনও উল্লেখ নেই। এই বাজেটে দার্জিলিংয়ের পাহাড়, জঙ্গলমহল, সুন্দরবন, কৃষক উপেক্ষিত। আমরা আশা করেছিলাম রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৫ হাজারের বদলে ১০ হাজার টাকা করবেন। আমরা আশা করেছিলাম উত্তরপ্রদেশের মতো পিএম কিষাণ সম্মান নিধি আরও ছ হাজার রাজ্য দিয়ে ১২ হাজার করবে রাজ্য। তাই কৃষকদের জন্য এই সরকার এই বাজেটে কিছু রাখেনি। শেষে ডিএ নামক বস্তুটিকে রেখে আবার রাজনীতি করার চেষ্টা হয়েছে। এই বাজেটে ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার পরেও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক ৪০ শতাংশ। তাছাড়া ডিএ পাওয়া যাবে মে মাস থেকে। মানে ভোট গণনার পর। বাজেটে ৫ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করা হলেও কবে কোন দফতরে কত নিয়োগ হবে তার কোনও উল্লেখ নেই। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs England: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের দুই টেস্টেও নেই কোহলি! ফিরতে পারেন রাহুল ও জাদেজা

    India vs England: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের দুই টেস্টেও নেই কোহলি! ফিরতে পারেন রাহুল ও জাদেজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টেও টিমে থাকছেন না বিরাট কোহলি। রাজকোট তো বটেই রাঁচিতেও হয়তো ফিরবেন না কিং কোহলি। সিরিজের শেষ ম্যাচে  ধর্মশালায় পঞ্চম টেস্টের জন্য ফিরতে পারেন বিরাট। তবে কোহলি না ফিরলেও দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র  জাদেজা। ভাইজ্যাগ টেস্টে মহম্মদ সিরাজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তবে রাজকোট টেস্টে তাঁর ফিরে আসা কার্যত নিশ্চিত। বিসিসিআই সূত্রে খবর, নির্বাচকেরা শেষ তিন টেস্টের জন্য ভারতীয় দল সম্ভবত এই সপ্তাহেই বাছাই করবেন।

    অনিশ্চিত কোহলি

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর তিন দিন আগে, বিসিসিআই ঘোষণা করেছিল যে, কোহলি ‘ব্যক্তিগত কারণে’ প্রথম দু’টি টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।  দ্বিতীয়বার বাবা হতে চলেছেন বিরাট। যে কারণে জাতীয় টিম থেকে ছুটি নিয়েছেন, এমনই শোনা যাচ্ছে। তৃতীয় টেস্টে তাঁর ফেরার কথা ছিল। কিন্তু জানা গিয়েছে, আরও দুই টেস্টে সম্ভবত কোহলিকে পাওয়া যাবে না। ভারতের সিনিয়র তারকা ব্যাটসম্যান রাজকোট এবং রাঁচিতে অনুষ্ঠিত যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্ট মিস করতে পারেন। ৬ মার্চ ধর্মশালায় শেষ টেস্টে দলে ফিরতে পারেন কোহলি। তাই আপাতত তাঁকে বাইরে রেখেই রাজকোটে সিরিজ ২-১ করার পরিকল্পনা শুরু করেছেন অধিনায়ক রোহিত। হায়দ্রাবাদ টেস্ট হারের পর ভারতীয় টিমকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সি নিয়েও উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। সে সব মিটিয়ে বিশাখাপত্তনমে ভারত দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছে। সিরিজ ১-১ করেছে রোহিত ব্রিগেড। খুশি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এখন সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা তাঁর মাথায়।

    ফিরছেন সিরাজ, জাদেজা, রাহুল

    চোটের কারমে দ্বিতীয় টেস্ট মিস করেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং কেএল রাহুল। কেএল রাহুল, যিনি কোয়াড স্ট্রেনের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন। এবং জাদেজা প্রথম টেস্টের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। তিনি এখন বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এনসিএ-র ফিজিয়োর কাছ থেকে চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য এখনও অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে রাহুল এবং জাদেজা-দুই খেলোয়াড়ের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। তৃতীয় টেস্টের আগে আরও এক সপ্তাহ বাকি। জাদেজা তৃতীয় টেস্টে ফিরতে না পারলেও, রাহুলের প্রত্যাবর্তনের আশা প্রবল। ফিরছেন মহম্মদ সিরাজও। সিরাজের প্রত্যাবর্তন বোলিং লাইন-আপের শক্তি বাড়াবে।

  • PM Modi: কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রকে ‘কালো টিকা’র সঙ্গে তুলনা প্রধানমন্ত্রীর, কেন জানেন?

    PM Modi: কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রকে ‘কালো টিকা’র সঙ্গে তুলনা প্রধানমন্ত্রীর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (PM Modi) আনা শ্বেতপত্রের পাল্টা কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খাড়্গেদের সেই কৃষ্ণপত্রকে ‘কালো টিকা’র সঙ্গে তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে কোনও পরিবারে কোনও শিশুর যাতে নজর না লাগে তার জন্য কালো টিকা পরিয়ে দেওয়া হয়। গত ১০ বছরে সমৃদ্ধির নতুন নতুন শিখর ছুঁয়েছে দেশ। এমন এক বিশুদ্ধ বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তাতে যাতে নজর না লেগে যায়, তার জন্য কালো টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তার জন্য সম্মাননীয় খড়্গেজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।” প্রসঙ্গত, ইউপিএ জমানায় অসংখ্য দুর্নীতি সামনে আসে। দেশজুড়ে পথে নামেন সমাজ কর্মীরাও। সেই সমস্ত আর্থিক কেলেঙ্কারিগুলিকে নিয়েই মোদি সরকার প্রকাশ করতে চলেছে শ্বেতপত্র।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    বৃহস্পতিবার বিদায়ী সাংসদদের কাজ সহ অন্যান্য বিষয়ে রাজ্যসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ভাষণে উঠে আসে বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে দেশ যে উন্নতি ও  সমৃদ্ধির কথাও। এই সময়ই কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্র প্রকাশ নিয়ে বলতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এনিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত ভাল। দেশের প্রগতিতে যাতে নজর না লাগে, তার জন্য এই ‘কালো টিকা’ অত্যন্ত জরুরি ছিল। যখন ভালো কিছু হয়, তখন কালো টিকা নজর থেকে বাঁচায়। এই ব্যবস্থাকেও স্বাগত জানাচ্ছি।” ৯ ফেব্রুয়ারি চলতি অধিবেশনের সমাপ্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোদি সরকারের (PM Modi) দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ অধিবেশনের সমাপ্তি হবে ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনিবার।

    পূর্বসূরিকে স্মরণ মোদির

    এদিন রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেও, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মোদি। যা দেখে চমকে যান বিরোধীরা। মোদির মতে, দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করেছেন, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মোদি উল্লেখ করেন দিল্লি পরিষেবা বিল নিয়ে রাজ্যসভায় ভোটাভুটির প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে সরকার পক্ষের জয় নিশ্চিত ছিল। তা সত্ত্বেও হুইলচেয়ারে করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভায় এসেছিলেন ভোট দেওয়ার জন্য। মোদির মতে, সাংসদ হিসাবে তাঁর এই কর্তব্যপরায়ণতা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। যা, অন্য সাংসদদের কাছে অনুপ্রেরণা যোগাবে। সংসদে দাঁড়িয়ে পূর্বসূরির দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি। 

    রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের সংবর্ধনা

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের দিল্লির বাসভবনে সংবর্ধনা জানানো হবে রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের। বিদায়ী সাংসদদের সংবর্ধনা দেওয়ার আগে অবশ্য তার আগে রাষ্ট্রপতি তাঁদের একসঙ্গে একটি ছবি তোলার কথা। এর পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চেয়ারম্যানের বাসভবনে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিদায়ী সাংসদেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Repo Rate Unchanged: মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    Repo Rate Unchanged: মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণের চাপ থেকে মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে রেপো রেট (Repo Rate Unchanged) বাড়ানোর পথে হাঁটল না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আগের মতো রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশই থাকছে। এই নিয়ে টানা ৬ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। 

    কী বললেন শক্তিকান্ত দাস?

    গত ৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির (এমপিসি) বৈঠক (RBI Monetary Policy)। এই দ্বিমাসিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো রেট নিয়ে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে নজর ছিল সকলের। তিনদিনের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন, ‘‘এবারের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং কমিটি রেপো রেট (Repo Rate Unchanged) ৬.৫০ শতাংশে স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছয় সদস্যের মধ্যে পাঁচজন এর পক্ষে রায় দিয়েছেন।’’ একইভাবে, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি ও মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটির হারও যথাক্রমে ৬.২৫ ও ৬.৭৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। 

    শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঘোষণায় স্বস্তিতে মধ্যবিত্ত

    রেপো রেট (অর্থাৎ, যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক) অপরিবর্তিত (Repo Rate Unchanged) থাকার ফলে, গৃহ ঋণ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ঋণ, গাড়ির ঋণ ও শিক্ষা ঋণে সুদের হার একই থাকবে। তা বাড়বে না। রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে, মধ্যবিত্তদের সমস্যা বাড়ত। কারণ, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হারও বাড়িয়ে দিত। কিন্তু, রেপো রেট স্থির থাকায়, আশা করা যাচ্ছে যে, ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বৃদ্ধি করবে না। 

    মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রচেষ্টা অব্যাহত

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, রেপো রেট স্থির (Repo Rate Unchanged) থাকলে, মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করা সহজ হবে। যে কারণে, গত ৬ বার রেপো রেট এক রাখার ফলে, দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতিতে আংশিক লাগাম পরানো গিয়েছে। শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে মিশ্র সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। মূদ্রাস্ফীতিও কিছুটা কমবে বলে মনে হচ্ছে (RBI Monetary Policy)। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’’ এরসঙ্গেই তাঁর দাবি, জিডিপি বৃদ্ধির সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা আগে ৬.৫ শতাংশ রাখা হলেও তা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MGNREGA Scam: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, ইডির তলব সরকারি আমলা থেকে নির্মাণ সহায়ক কর্মীদের

    MGNREGA Scam: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, ইডির তলব সরকারি আমলা থেকে নির্মাণ সহায়ক কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ১০০ দিনের কাজের (MGNREGA Scam) প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্তে ঝোড়ো ব্যাটিং চালাচ্ছে ইডি। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই একসঙ্গে ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্ত ইতিমধ্যেই ডাব্লুবিসিএস অফিসার সহ ডেপুটি কালেক্টর এবং কয়েকজন নির্মাণ সহায়কের কর্মীর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ওই সমস্ত ব্যক্তিদের তলব করা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা গিয়েছে, এটাই শেষ নয়। আগামী দিনে আরও একাধিক সরকারি কর্মচারী, অফিসারকে তলব করা হবে। বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মিলেছে তথ্য। তাঁদেরকে পর পর তলব করা হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ (MGNREGA Scam) অনেক দিন আগে থেকেই তুলেছিল বিরোধীরা। এই নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বেলডাঙায় দু’টি, ধনিয়াখালিতে ১টি, এছাড়া অন্যান্য ২টি জায়গায় এই নিয়ে  থানায় মামলাও দায়ের হয়।

    কবে কাকে তলব করা হল?

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ডেপুটি কালেক্টর সঞ্চয়ন পানকে তলব করা হয়েছে সিজিও-তে। ওই একই দিনে হাজিরা দিতে ডাকা হয়েছে নির্মাণ সহায়ক কর্মী সন্দীপ সাধুখাঁ-কে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছে ডাব্লুবিসিএস অফিসার শুভ্রাংশু মণ্ডলকে। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের নথি পত্র সমেত হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের (MGNREGA Scam)।

    ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে চলত দুর্নীতি

    গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে দুর্নীতি চলেছে বছরের পর বছর। জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজ করেননি, এমন অনেক প্রাপকের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (MGNREGA Scam) তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা সরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনুমান ১.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এই প্রকল্পে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই চুঁচুড়া, ঝাড়গ্রাম, বহরমপুর এবং কলকাতার সল্টলেকেও তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। সকালেই চলে ঝাড়গ্রামের ডব্লুবিসিএস অফিসার শুভ্রাংশু মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান। সল্টলেক সেক্টর-ওয়ানের ইবি ব্লকে অবস্থিত ডেপুটি কালেক্টর সঞ্চয়ন পানের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। চন্দননগরে হরিদ্রাডাঙা এলাকায় সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়িতেও পৌঁছে যান গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: ‘‘‘আর কোথাও যাব না’’, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বললেন নীতীশ

    Nitish Kumar: ‘‘‘আর কোথাও যাব না’’, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বললেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ শিবিরে ভিড়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বিহারে ফের তৈরি হয়েছে বিজেপি জোটের সরকার। পুরনো ঘরে প্রত্য়াবর্তন করতেই শপথের দিনে তাঁকে (নীতীশ কুমার) অভিনন্দন জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করলেন নীতীশ। বুধবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সাক্ষাতের পর নীতীশ সংবাদমাধ্যমকে জানান, আর কখনও এনডিএ ছাড়বেন না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জেডিইউ প্রধান। সেখানেই নীতীশ জানান, ১৯৯৫ সাল থেকেই বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিল তাঁর দল। ২০১৩ সালের পর দু’বার বিচ্ছেদ হলেও, তিনি আর কখনও এনডিএ ছেড়ে যাবেন না। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৫ সাল থেকে এনডিএ জোটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। এর আগে আমি দু’বার জোট ছেড়েছি ঠিকই, কিন্তু এ বার আমি চিরকালের জন্য এনডিএ-তে যোগ দিলাম। আর আমি কোথাও যাব না।’’ নীতীশ জানান, বিহারের সরকার ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। বুধবার নীতীশের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির দুই উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরি ও বিজয় সিনহা।

    ইন্ডি জোটের কাণ্ডারী ছিলেন নীতীশ

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার কাজ প্রথম শুরু করেন নীতীশ কুমারই (Nitish Kumar)। কলকাতাতে তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে করে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকও করেন নীতীশ। এরপর পাটনাতে তাঁরই তাঁরই উদ্যোগে প্রথম বৈঠক হয় জোটের। কিন্তু ক্রমশ দূরত্ব ও মতবিরোধ বেড়েই চলছিল আরজেজির সঙ্গে। গত মাসেই বিহারের সরকারে ফের পালাবদল হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন।

    ১২ ফেব্রুয়ারি আস্থা ভোট বিহারে

    প্রসঙ্গত, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিহারের বিধানসভায় আস্থাভোট রয়েছে। বিজেপির সমর্থনে বিধানসভায় নীতীশের জেতা কেবল সময়ের অপেক্ষা। বিজেপির সমর্থনে নতুন সরকার গঠন করার পর নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে ৮ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিজেপির দুই ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রীও ছিল। বাকি মন্ত্রী পরিষদ গঠন এখনও বাকি। মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটের শরিক বিজেপি ও জেডি(ইউ) ১৭টি করে আসনে লড়েছিলেন। লোক জনশক্তি দল ৬টি আসনে লড়েছিল। মিলেছিল অভুতপূর্ব সাফল্য। ৪০ আসনের মধ্যে ৩৯ আসন জিতেছিল বিজেপি জোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share