Tag: Madhyom

Madhyom

  • Ram Mandir: প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় পা পড়ল ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের

    Ram Mandir: প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় পা পড়ল ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের পরে অযোধ্যায় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। তথ্য বলছে, গতকালই অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ৩ লাখ ২৫ হাজার ভক্তের পা পড়েছিল পবিত্র অযোধ্যা ধামে। বালক রামের মূর্তি দর্শনে ইতিমধ্যে সময়সীমা বাড়িয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। যার ফলে বিপুল সংখ্যক ভক্তের রাম মন্দির দর্শন করতে কোনওরকম অসুবিধা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এগিয়ে এসেছেন স্বয়ংসেবকরাও। আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে ইতিমধ্যে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেছেন এব্যাপারে।

    ২৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব হাজির ছিলেন অযোধ্যায়

    যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ মতো, ২৬ জানুয়ারিও উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব সঞ্জয় প্রসাদ, আইনশৃঙ্খলার ডিজি প্রশান্ত কুমার অযোধ্যা পৌঁছে যান এবং সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। দিনভর ভক্তদের ভিড় সামলে দুই শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকর্তা লখনউতে ফেরেন সন্ধ্যাবেলায় এবং দিনের শেষে রিপোর্ট দেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই দুই শীর্ষ প্রশাসনিক আমলার সঙ্গে অযোধ্যা ধামে (Ram Mandir) সর্বক্ষণই ছিলেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিভিশনাল কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপার।

    ভোরের মঙ্গল-আরতি ও রাতে শয়ন-আরতির সময়

    ২৬ জানুয়ারি সকাল নাগাদ মন্দির (Ram Mandir) প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখে অযোধ্যার স্থানীয় প্রশাসনও। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, মঙ্গল আরতির জন্য বালক রামের গর্ভগৃহের দরজা খোলা হয় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ। এরপরে শ্রীঙ্গার আরতির জন্য পরবর্তীকালে দরজা খোলা হয় সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ। ভক্তদের দর্শন শুরু হয় সকাল সাতটা থেকে। দুপুর ১২টা নাগাদ ভোগ আরতি হয় এবং সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সন্ধ্যা আরতি হয়। পরবর্তীকালে রাত্রিতে আবার নটার সময় ভোগ আরতি হয়। রাত্রি দশটা নাগাদ শয়ন আরতি হয়। সকালের মঙ্গল আরতির সময় অবশ্য ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ‘ইন্ডি’ জোটে লেগেছে ঠোকাঠুকি! রাহুলকে বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না মমতার প্রশাসন

    Indi Alliance: ‘ইন্ডি’ জোটে লেগেছে ঠোকাঠুকি! রাহুলকে বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না মমতার প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোট (Indi Alliance) একেবারে ঘেঁটে ঘ। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। বুধবার তৃণমূল নেত্রী মমতা জানিয়ে দেন, আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল একাই লড়াই করবে। রাহুল গান্ধী না জানিয়ে বাংলায় আসায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জেরেই  কয়েকদিন আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চ খুলে দেয় মমতার পুলিশ। এমনকী শিলিগুড়িতে রাহুল গান্ধীর সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। এ বার অধীরের লোকসভা কেন্দ্রেই রাহুলের সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Indi Alliance)

    ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে আবার ২৮ জানুয়ারি বাংলায় আসবেন রাহুল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে থাকার কথা তাঁর। রাহুল-সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের রাত্রিবাসের জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি প্রশাসন বাতিল করে দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশাসনিক সভা রয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়ামে। রাজ্য সরকারের সভা পূর্ব নির্ধারিত। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক তাদের জানিয়ে দিয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়াম দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসাবে নিকটবর্তী এফইউসি মাঠ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, কংগ্রেসের দাবি, ওই মাঠে রাহুল এবং তাঁর গোটা টিমের রাত্রিবাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গাই নেই। স্বাভাবিকভাবে বার বার রাহুলের সভা বা কংগ্রেস কর্মীরা মমতার প্রশাসন, পুলিশের বাধার মুখে পড়ায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কী বললেন?

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা বহুদিন আগে স্টেডিয়াম চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম। এতদিন কিছু বলেনি। কিন্তু, আমাদের কর্মসূচির দুদিন আগে অনুমতি বাতিল করার ঘটনা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা নেতা অপূর্ব সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত। আর এটা তৃণমূল বাধা দিয়েছে এমন নয়। প্রশাসন মনে করেছে বলেই অনুমতি দেয়নি। আর অন্য কে কোথায় সভা করবে, সেটা তাঁদের দলীয় ব্যাপার। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জোট (Indi Alliance) ভেস্তে দেওয়ার জন্য অধীর চৌধুরীকে দায়ী করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই বিহারে বদলি করা হল ৪৭৮ জন আমলাকে

    Nitish Kumar: রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই বিহারে বদলি করা হল ৪৭৮ জন আমলাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টালমাটাল বিহারের (Nitish Kumar) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় ৪৭৮ জন আমলাকে বদলি করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এঁদের মধ্যে সার্কেল অফিসার এবং রাজস্ব দফতরের পদস্থ কর্মীরাও রয়েছেন। ট্রান্সফারের এই কাজটি করেছে রাজস্ব ও ভূমি রাজস্ব দফতর। সূত্রের খবর, বদলির কাজটি হয়েছিল গত জুন মাসে।

    নীতীশ ফিরছেন এনডিএ শিবিরে!

    যদিও নানা সমস্যায় এতদিন কার্যকর হয়নি সেই নির্দেশ। ঘটনার পরেই জল্পনা ছড়ায় ‘মহাগটবন্ধন’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন নীতীশ। হাত মেলাতে পারেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গে। বছর দেড়েক আগে এই জোট ছেড়েই নীতীশ ভিড়েছিলেন মহাগটবন্ধনে। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার নীতীশ হাত ধরতে পারেন বিজেপি নেতৃ্ত্বাধীন জোটের। শুক্রবারই ২২ জন আইএএস, ৭৯ আইপিএস এবং বিহার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভের ৪৫ জন আধিকারিককে বদলি করেছিল রাজ্য সরকার (Nitish Kumar)। পাঁচ জেলাশাসককেও বদলি করা হয়েছিল। তার পর শনিবার বদলি করা হল ৪৭৮ জনকে।

    কাকে কোথায় বদলি 

    জানা গিয়েছে, পাটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিংকে স্পেশাল সেক্রেটারি করে নিয়ে আসা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে। তিনি ২০১০ ব্যাচের আইএএস অফিসার। কিছুদিন আগে স্টেট এডুকেশন দফতরের সঙ্গে বিবাদের জেরে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে ২০১১ ব্যাচের আইএএস অফিসার কপিল অশোককে। তিনি কারা দফতরের আইজি। ২০১৩ ব্যাচের আইএএস অফিসার নওল কিশোর চৌধুরী। তিনি গোপালগঞ্জের জেলাশাসক। তাঁকে ভাগলপুর জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আবার ভাগলপুরের জেলাশাসক সুব্রত কুমার সেনকে দেওয়া হয়েছে মুজফফরপুরের দায়িত্ব। তিনি ২০১৩ ব্যাচের আইএএস।

    আরও পড়ুুন: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব, দু’ তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

    এনডিএ শিবির ছেড়ে আসা নীতীশের দল বদলের ‘অভ্যাস’ বহু পুরানো। ২০১৫ সালে আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেছিলেন নীতীশ। পরে হাত ধরেন বিজেপির। সেবার এভাবেই তিনি বাঁচিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে গিয়েছিলেন বিজেপিকে আঁকড়ে ধরে। পরে ফের শত্রুতা ভুলে হাত ধরেন লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির। আবারও ভিড়েন বিজেপি শিবিরে। বছর দেড়েক আগে বিজেপির পাট চুকিয়ে মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের তিনি (Nitish Kumar) ঝুঁকছেন বিজেপির দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Emanuel Macron: অলিম্পিকে ভারতের প্রস্তাবকে সমর্থন করবে ফ্রান্স, আশ্বাস মাক্রঁর

    Emanuel Macron: অলিম্পিকে ভারতের প্রস্তাবকে সমর্থন করবে ফ্রান্স, আশ্বাস মাক্রঁর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের অঙ্গীকার। অলিম্পিকে ভারতের যেকোনও প্রস্তাবকে সমর্থন করবে ফ্রান্স, বললেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emanuel Macron)। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই আশ্বাস দিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আয়োজিত নৈশভোজের আসরে যোগ দিয়ে ম্যাক্রঁ জানান, ভারতের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ফ্রান্স। বাদ নেই ক্রীড়াক্ষেত্রও। খেলার দুনিয়ায় ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছে ফ্রান্স।

    কী বললেন মাক্রঁ

    ফ্রান্স ২০২৪ সালের অলিম্পিকের (Olympics in India) আয়োজক। ক্রীড়া বিশ্বের সবচেয় বড় আসর এই বছর  ২৬ জুলাই থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত। অলিম্পিক শেষ হওয়ার পরপরই, প্যারিসে ২৮ অগাস্ট থেকে 8 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্যারালিম্পিকের আসর বসবে। গত ১৯ জানুয়ারি খেলো ইন্ডিয়া গেমসের উদ্বোধন করার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যে কেন্দ্র সরকার ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমসের আয়োজন করতে ইচ্ছুক। সেই প্রসঙ্গ ধরেই মাক্রঁ বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে খেলাধুলায় একটি শক্তিশালী সহযোগিতা গড়ে তুলতে পেরে আনন্দিত হব। আমরা অবশ্যই ভবিষ্যতে ভারতে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের বিষয়কে সমর্থন করব।”

    আরও পড়ুন: ‘উপহার’ মাক্রঁর! ৩০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া পেতে চলেছেন ফ্রান্সে পড়ার সুযোগ

    প্রধানমন্ত্রী মোদির আশা

    ২০৩৬ সালের অলিম্পিক টুর্নামেন্টের আয়োজনের ব্যাপারে ভারত বিড করবে, বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছিলেন এক্ষেত্রে একটাও সুযোগ হাতছাড়া করা হবে না। বিশ্বের সবথেকে বড় টুর্নামেন্টকে ভারতে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে। ভারত অলিম্পিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে যথেষ্ট উৎসাহী হয়ে রয়েছে। এটা ১৪০ কোটি দেশবাসীর শতাব্দীপ্রাচীন স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। অলিম্পিক টুর্নামেন্ট ভারতে আয়োজন করা, সকলের কাছেই একটা স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে ভিত, রসদ এবং সংগঠনমূলক ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব, দু’তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

    Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব, দু’তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ও বিচারপতি সৌমেন সেনের সংঘাতের শুনানিতে এ সংক্রান্ত সব বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। স্থগিত করে দিয়েছে সিবিআই তদন্তও।

    পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সেনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গড়ে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস। সেখানে আপাতত মেডিকেলে ভর্তি মামলায় হাইকোর্টের সব বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। সোমবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    সিবিআই তদন্ত স্থগিত

    এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাও স্থগিত থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। সেই অনুমতিও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যের পাশাপাশি নোটিশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকেও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তও আপাতত স্থগিত থাকছে।

    আরও পড়ুুন: খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের দফতরের দুর্নীতির কথা ভালোভাবে জানতেন বালু, দাবি ইডির

    কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “দুই বেঞ্চের কারও বিরোধিতা করা হচ্ছে না। তবে ডিভিশন বেঞ্চে যে আবেদন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানাতে চাই।” কোনও নথি ছাড়াই কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চ অর্ডার পাস করল, সে প্রশ্নও তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল।

    প্রসঙ্গত, মেডিকেল কলেজে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথমে সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পরে খারিজ করে দেয় সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর। ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর নির্দেশনামায় বিচারপতি সেন সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ তোলেন। এই মামলায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন সিবিআইকে। দুই বিচারপতির এহেন বেনজির দ্বন্দ্বে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আরও পারদ পতন কলকাতায়, মাস-শেষে কি ফের বৃষ্টি! কী বলছে পূর্বাভাস?

    Weather Update: আরও পারদ পতন কলকাতায়, মাস-শেষে কি ফের বৃষ্টি! কী বলছে পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৌষের শেষ থেকেই কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে কলকাতা (Weather Update)। মাঘের মাঝামাঝিও শীতাতুর পরিবেশ শহরে। শীতের শেষ স্পেলটা ভালভাবে উপভোগ করল রাজ্যবাসী। চলতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবি ছুটির (Winter in Bengal) তিনদিন শীত বিলাসেই কাটলো কলকাতার। চিড়িয়াখান, ভিক্টোরিয়া, যাদুঘর কলকাতার সাবেক পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে ভিড় জমলো ইকো পার্ক, নিকো পার্ক, এয়্যারক্র্যাফ্ট মিউজিয়াম, সায়েন্স সিটি চত্বরে। জমজমাট কলকাতা বইমেলাও। ভিড় দেখা গেল ময়দান চত্বরেও।

    শীতের শহর

    হাড়কাঁপানো শীতের দেখা না মিললেও কনকনে উত্তুরে হাওয়ার কারণে কলকাতা-সহ (Weather Update) দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা কমের দিকেই। হাওয়া অফিস (Winter in Bengal) জানিয়েছে, শুক্রবার এবং শনিবারের মধ্যে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের নেই। শুক্রবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তা সামান্য কমে হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিনও তাপমাত্রায় বিশেষ বদল দেখা যাবে না। শনিবার সকালেও শহরের আকাশে কুয়াশার দাপট ছিল। বেলা বাড়তে রোদ ঝলমলে পরিবেশের সঙ্গে রয়েছে শীতল হাওয়া।

    আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    বৃষ্টির পূর্বাভাস

    নতুন মাসের প্রথম দিন থেকে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update)। ফলে আবার চড়বে তাপমাত্রার পারদ। শনিবার এমনই পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। বুধবার অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি থেকে আবার মেঘ জমবে কলকাতা-সহ পুরো দক্ষিণবঙ্গের আকাশে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে রাজ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলেও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে তাপমাত্রা। বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের ঘূর্ণাবর্ত ও বঙ্গোপসাগরে আবারও উচ্চচাপ বলয় তৈরি হবে। জলীয় বাতাস ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    দার্জিলিঙে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি এবং তুষারপাত হলেও কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলির এবং কালিম্পং এলাকায় পার্বত্য এলাকায় আবহাওয়া (Weather Update) শুষ্ক থাকবে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলায় সকালের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনা আছে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা কিছু এলাকায় থাকবে। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে সকালের দিকে কোল্ড-ডে পরিস্থিতির মতো আবহাওয়া তৈরি হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: নীতীশ নিয়ে বিপাকে ‘মহাজোট’, সরকার বাঁচাতে সপ্তাহান্তে ছোটাছুটি আরজেডির

    Nitish Kumar: নীতীশ নিয়ে বিপাকে ‘মহাজোট’, সরকার বাঁচাতে সপ্তাহান্তে ছোটাছুটি আরজেডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার ফের বিপাকে আরজেডি-জেডিইউ-কংগ্রেস ‘মহাজোট’। গত কয়েকদিন ধরে বিহার-জুড়ে জোর জল্পনা, মহাজোটের সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে ফিরতে চলেছেন জেডিইউ-র সর্বেসর্বা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এই নিয়েই বিহারের রাজনীতিতে (Bihar Politics) এখন তোলপাড়। চারদিকে ছোটাছুটি পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। কোথাও সরকার বাঁচানোর চেষ্টা, তো কোথাও নতুন সরকার গড়ার প্রয়াস।

    আসনেই লুকিয়ে রসায়ন…

    বিহারে বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। ম্যাজিক ফিগার ১২২। আরজেডির রয়েছে ৭৯টি আসন। জেডিইউয়ের হাতে রয়েছে ৪৫টি আসন। বিজেপির রয়েছে ৭৮টি আসন। এছাড়াও বিহারে কংগ্রেসের ১৯ ও বামেদের ১৬ জন বিধায়ক রয়েছেন (Bihar Politics)। এনডিএ শরিক জিতেন রাম মানঝির হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চার ৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। আরজেডির সঙ্গে যদি কংগ্রেস ও বামেদের বিধায়ক সংখ্যা যোগ করা যায়, তাহলে মোট সংখ্যা ১১৪-তে পৌঁছে যায়, যা ম্যাজিক ফিগারের থেকে আট কম। অন্যদিকে, নীতীশ (Nitish Kumar) যদি এনডিএ-তে যোগ দেন, সেক্ষেত্রে বিজেপির ৭৮-এর সঙ্গে জেডিইউ-এর ৪৫ ও হাম-এর ৪ যোগ করলে সংখ্যাটা পৌঁছে যায় ১২৭-এ। যা ম্যাজিক ফিগার থেকে পাঁচ বেশি। এদিকে, জিতেন রাম মানঝির সঙ্গে কথা বলে লালু প্রসাদ যাদব তাঁর ছেলেকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাবও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও জিতেন রাম মানঝি বলেছেন, তিনি এনডিএ-র সঙ্গে আছেন, তাদের সঙ্গেই থাকবেন।

    রাজনৈতিক নেতাদের ছোটাছুটি…

    এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহান্তে পর পর বৈঠক ও কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত বিহারের রাজনৈতিক দলগুলি (Bihar Politics)। একদিকে, নীতীশকে (Nitish Kumar) আটকানোর রণকৌশল নির্ধারণ দলের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা ও লাল-পুত্র তেজস্বী যাদব। আজ, শনিবার ও রবিবার— এই দুদিন মহাজোটের কাছে ‘অ্যাসিড-টেস্ট’ হতে চলেছে। সূত্রের খবর, আরজেডির শীর্ষ নেতৃত্ব তেজস্বীর বাসভবনে মিলিত হতে চলেছেন। শুক্রবারের বৈঠকে তেজস্বী দলীয় নেতাদের জানান যে, গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেন। মহাজোট থেকে আরজেডি-র সমর্থন তুলে নেওয়া উচিত বলে প্রস্তাব পেশ করেন কয়েকজন নেতা। কিন্তু, তেজস্বী নেই প্রস্তাব খারিজ করেন। পরিস্থিতি বিচার করতে বৈঠকে ব্যস্ত বিজেপিও। শনিবার ও রবিবার কার্যনির্বাহী বৈঠক ডেকেছে বিহার বিজেপি। অন্যদিকে, বিহার প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, পূর্ণিয়াতে শনির দুপুরে বৈঠকে বসছে দলের বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়করা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kavach Trial: ১৬০ কিমি বেগে ছুটছে ট্রেন, ব্রেক কষলেন না চালক, কবচ পরীক্ষায় সাফল্য

    Kavach Trial: ১৬০ কিমি বেগে ছুটছে ট্রেন, ব্রেক কষলেন না চালক, কবচ পরীক্ষায় সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনা এড়াতে কবচ সিস্টেমের (Kavach Trial) বড় সাফল্য পেল ভারতীয় রেল। ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা স্পিডে যাওয়া ট্রেনে দুর্ঘটনা রুখতে এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা কার্যকর বলেও দাবি করা হল। সম্প্রতি উত্তর-মধ্য রেলের আগরা ডিভিশনে পরীক্ষামূলক ভাবে ওই কবচ ব্যবস্থার কার্যকরিতা দেখা হয়। পালওয়াল-মথুরা শাখায় একটি সেমি-হাইস্পিডের ইঞ্জিনে কবচ লাগিয়ে পরীক্ষা করা হয়। 

    কবচ সিস্টেম কী 

    অ্যান্টি ট্রেন কলিশনের কবচ সিস্টেম (Kavach Trial) পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। রিসার্চ ডিজাইনস অ্য়ান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের তরফে এই কবচ সিস্টেমকে লাগু করা হয়। এই সিস্টেমের মাধ্য়মে যেটা বলা হয়ে থাকে যে কোনও ট্রেন চালক যদি সিগন্যাল ভঙ্গ করেন তবে আপৎকালীন ব্রেক চালু হয়ে যাবে। রেল জানিয়েছে, কখনও যদি জরুরি ভিত্তিতে ট্রেন দাঁড় করানোর দরকার হয় এবং চালক যদি তা করতে না-ও পারেন, এই ব্যবস্থায় ট্রেন দাঁড়িয়ে যাবে। এড়ানো যাবে দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    কীভাবে হয়েছিল পরীক্ষা

    উত্তর-মধ্য রেলের জনসংযোগ আধিকারিক প্রশস্তি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গত ১৯ জানুয়ারি পরীক্ষামূলক যাত্রা সফল হয়েছে। কবচ (Kavach Trial) ব্যবস্থার এই পরীক্ষা হয়েছে উত্তর সেন্ট্রাল রেলওয়ের ডেপুটি চিফ সিগনাল অ্য়ান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার কুশ গুপ্তের নেতৃত্বে। সেমি হাইস্পিড ইঞ্জিনের এই কবচ সিস্টেম লাগু করা হয়। লোকোর পাইলটকে বলা হয়েছিল সিগন্য়াল লাল থাকলেও আপনি ব্রেক কষবেন না। দেখার চেষ্টা হয় কবচ ব্যবস্থা কাজ করছে কি না। সফল পরীক্ষায় দেখা যায়, সিগন্যালের থেকে দূরত্ব রেখেই ট্রেন নিজের থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে। তবে রেল আরও পরীক্ষা চালাতে চায়। তার পরেই গোটা দেশে সর্বত্র এই কবচ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Emmanuel Macron: ‘উপহার’ মাক্রঁর! ৩০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া পেতে চলেছেন ফ্রান্সে পড়ার সুযোগ

    Emmanuel Macron: ‘উপহার’ মাক্রঁর! ৩০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া পেতে চলেছেন ফ্রান্সে পড়ার সুযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৫তম  প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। ভারতের ছাত্র-ছাত্রীদের বড় উপহারও ঘোষণা করলেন তিনি। বলা হচ্ছে এটা নাকি প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতকে মাক্রঁ-র ‘উপহার’। শুক্রবার সকালেই ফরাসি প্রেসিডেন্টের এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্ট সামনে আসে। তাতে তিনি লেখেন, ‘‘২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে ফ্রান্সে পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এটি অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তবে ফ্রান্স এই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ক্যাম্পাস ফ্রান্স নামে একটি পোগ্রাম চালু হয়েছে ফ্রান্সে। এটি চালু হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সে ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভারত ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করবে

    ভারতীয় পড়ুয়াদের ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন  ইমানুয়েল মাক্রঁ। শুধু তাই নয়, যাঁরা ফরাসি ভাষা জানেন না, তাঁদেরও ফ্রান্সে পড়াশোনা করতে অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ফ্রান্স এবং ভারত আগামীদিনে একসঙ্গে মিলে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। ইমানুয়েল মাক্রঁ আরও জানিয়েছেন, ফ্রান্সে এর আগে যাঁরা পড়াশোনা করেছেন, এমন প্রাক্তন ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা প্রক্রিয়াও সহজ করে দেওয়া হবে।

    বৃহস্পতিবারই ভারতে পা রাখেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

    প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসে যোগ দিতে উপলক্ষে বৃহস্পতিবারই ভারতে এসেছেন ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। শুক্রবার কর্তব্যপথে প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভারতে পা রেখে প্রথমে অবশ্য তবে দিল্লি নয়, নামেন রাজস্থানে। জয়পুরের ঐতিহাসিক অম্বর দুর্গ পরিদর্শন করেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন মানমন্দির জয়পুরের যন্তর মন্তরেও ভ্রমণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই মাসে ফ্রান্স সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে ইউপিআই ব্যবস্থার উদ্বোধনও করেন তিনি। ফ্রান্সের জাতীয় দিবস তথা বাস্তিল দিবসের উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিশেষ অতিথি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tanmay Agarwal: বিশ্বরেকর্ড তন্ময়ের, ১৬০ বলে ৩২৩, রঞ্জিতে নজির হায়দরাবাদের তরুণের

    Tanmay Agarwal: বিশ্বরেকর্ড তন্ময়ের, ১৬০ বলে ৩২৩, রঞ্জিতে নজির হায়দরাবাদের তরুণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বরেকর্ড গড়লেন হায়দরাবাদের ব্যাটার তন্ময় আগরওয়াল (Tanmay Agarwal)। ১৬০ বলে ৩২৩ রান করে তিনি ছাপিয়ে গেলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগকেও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুততম ত্রিশতরানের রেকর্ড গড়লেন তিনি।  ১৪৭ বলে তিনি ত্রিশতরান করেন, যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুততম। অরুণাচলের বোলারেরা তন্ময়কে থামানোর মতো কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি।

    তন্ময়ের রেকর্ড

    অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে টি-২০ ক্রিকেটের মেজাজে ইনিংস খেলেছেন তন্ময় (Tanmay Agarwal)। ঘরের মাঠে রঞ্জি ট্রফির প্লেট গ্রুপের ম্যাচে অরুণাচলের মুখোমুখি হয় হায়দরাবাদ। তারা প্রথম দিনে মোটে ৪৮ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৫২৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। প্রথম দিনে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অরুণাচল তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৯.৪ ওভারে ১৭২ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায়। দুটি ইনিংস মিলিয়ে প্রথম দিনে খেলা হয় সাকুল্যে ৮৭.৪ ওভার। দুই ইনিংস মিলিয়ে রান ওঠে ৭০১। উইকেট পড়ে ১১টি। হায়দরাবাদের ওপেনার তন্ময় আগরওয়াল ৩৩টি চার ও ২১টি ছক্কার সৌজন্যে ১৬০ বলে ৩২৩ রান করে প্রথম দিনের শেষে অপরাজিত থাকেন। অপর ওপেনার রাহুল সিং ২৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সৌজন্যে ১০৫ বলে ১৮৫ রানের ইনিংস খেলেছেন।

    ভাঙল সেওয়াগের রেকর্ড

    তন্ময় (Tanmay Agarwal) ভেঙে দিয়েছেন বীরেন্দ্র সেওয়াগের রেকর্ড। এত দিন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একটি দিনে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের নিরিখে সবার আগে ছিলেন সেওয়াগ। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একই দিনে ২৮৪ রান করেছিলেন তিনি। সেই নজির ভেঙে দিয়েছেন তন্ময়। একটি দিনেই ৩২৩ রান তুলে দিয়েছেন। ১৪৭ বলে ত্রিশতরানের রেকর্ড করেন তন্ময়। আগে এই রেকর্ড ছিল মার্কো মারাইসের। ২০১৭ সালে তিনি বর্ডার দলের হয়ে ইস্টার্ন প্রভিন্সের বিরুদ্ধে ১৯১ বলে ত্রিশতরান করেছিলেন।

     

    আরও পড়ুন: ইনিংস জয়ের স্বপ্ন দেখার শুরু! দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৭৫ রানে এগিয়ে ভারত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share