Tag: Madhyom

Madhyom

  • Siliguri TMC: শিলিগুড়িতে কোন্দলে জেরবার তৃণমূল, জেলা সভানেত্রীকে সরাতে মরিয়া বিরোধী গোষ্ঠী

    Siliguri TMC: শিলিগুড়িতে কোন্দলে জেরবার তৃণমূল, জেলা সভানেত্রীকে সরাতে মরিয়া বিরোধী গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের (Siliguri TMC) গোষ্ঠী কোন্দল চরমে। দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ নিজেই বলছেন, আমাকে কালিমালিপ্ত করতে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আমার বিরুদ্ধে চারিত্রিক এবং অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ। সম্প্রতি দলের জেলা কমিটির বৈঠকে সভানেত্রীর এই বক্তব্যে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও জটিল আকার নিয়েছে।

    গোষ্ঠী কোন্দলে হতাশ পাপিয়া স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি

    শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই পাপিয়া ঘোষের বিরোধী গোষ্ঠী জোটবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। পাপিয়া অনুগামীদের বক্তব্য, চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ মঞ্চ তৈরি হয়। শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমরনাথ দাস, ফাঁসিদেওয়া ব্লক সভাপতি আখতার আলি সহ আরও কিছু নেতার সঙ্গে পাপিয়া ঘোষের সংঘাত (Siliguri TMC) শুরু হয়। এর পিছনে অলোক চক্রবর্তীর মদত রয়েছে বলে মনে করছেন পাপিয়া অনুগামীরা।
    দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করার বদলে রাজ্যের কিছু নেতার ভূমিকায় হতাশ হয়ে পাপিয়া ঘোষ গত মাসে নিজেকে দলের সব রকম কর্মসূচি থেকে গুটিয়ে নিয়ে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়েছিলেন। ফোনও ধরেননি। সম্প্রতি শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের একটি হোটেলে জেলা কমিটির বৈঠকে পাপিয়া ঘোষ তাঁর বিরোধীদের বার্তা দিয়ে বলেন, কাউকে আমার প্রমাণ দেওয়ার কিছু নেই। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে আয়নায় আমি আমার মুখটা দেখি। রাতে বাড়ি ফিরেও দেখি। তাতে দেখেছি, আমি ঠিক আছি। আমি নিজের কাছে পরিষ্কার রয়েছি।সততার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। মাঝে কিছুদিনের জন্য কেন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম, তার কারণ পরে বলব। দলের (Siliguri TMC) মিডিয়া হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পাপিয়া ঘোষ নিজেই তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করেছেন। ওই ভিডিওতে পাপিয়াদেবীকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমার বিরুদ্ধে চারিত্রিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে কেউ কেউ আমাকে এই পদ থেকে সরাতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি সততার সঙ্গে তৃণমূল করি। আমি এ ধরনের কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই।

    কে পাপিয়া, কেন সভানেত্রী

    ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের সর্বত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝড়ে তৃণমূলের জয় জয়কার। তখন শিলিগুড়িতে (Siliguri TMC) একের পর এক নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে তৃণমূল। দু’বার জেলা সভাপতি পরিবর্তন করেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। দু’বছর আগে আলোচনার বাইরে থাকা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে পাপিয়া ঘোষকে দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভানেত্রী করে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। চেয়ারম্যান করা হয় কংগ্রেসের আইএনটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি অলোক চক্রবর্তীকে। প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ও কোচবিহারের প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মেয়ে পাপিয়াদেবী দায়িত্ব নিয়েই শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয় এনে দেন। এই সাফল্যে তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সুনজরে পড়ে যান।

    কেন কোন্দল, সংঘাত

    দল সূত্রে খবর, বিরোধী গোষ্ঠী পাপিয়ার এই সাফল্য মেনে নিতে পারেনি। তখন থেকেই শুরু হয় পাপিয়া দেবীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের চক্রান্ত। কেননা তিনি শিলিগুড়িতে তৃণমূলের (Siliguri TMC) গোষ্ঠী কোন্দল সরিয়ে নেতা-কর্মীদের এককাট্টা করে তোলেন। বসে যাওয়া পুরনো নেতা-কর্মীদের সম্মান দিয়ে দলের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনেন। যা দলের একটা অংশ মেনে নিতে পারেননি, তাদের একচেটিয়া দাপট খর্ব হওয়ার আশঙ্কায়। শিলিগুড়ির এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, তারপর থেকেই পাপিয়া ঘোষকে সরাতে পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করছে দলের কিছু নেতা। তাদের মধ্যে সভাপতি পদের প্রত্যাশী রয়েছেন একাধিক নেতা। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্যই সভাপতি হওয়ার এই নোংরা লড়াই। বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্য নেতৃত্ব সব জানে। তদন্ত হলে কে ঠিক প্রমাণ হয়ে যাবে।

    কী বলছেন অলোক চক্রবর্তী

    অলোক চক্রবর্তী  বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। পাপিয়া ঘোষ সম্প্রতি দলের (Siliguri TMC) জেলা কমিটির বৈঠকে যে অভিযোগ করেছেন, এ ব্যাপারে তিনি আমাদের জানাননি। জানালে আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতাম। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ উঠলেও আমি বলব, পাপিয়া ঘোষ ভালো কাজ করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: ন্যায্য মূল্যের ওষুধ না পেলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, বললেন মন্ত্রী অখিল গিরি

    Tamluk: ন্যায্য মূল্যের ওষুধ না পেলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, বললেন মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে সরকারি হাসপাতাল (Tamluk) গুলোতে শুরু হয়েছিল ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। আজ সেই দোকান গুলো থেকে সময় মতো পাওয়া যাচ্ছে না ওষুধ। এলাকার মানুষকে ন্যায্য মূল্যের প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে বাইরে থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। অভিযোগ জানিয়েও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে বিশেষ অভিযোগ এলাকাবাসীর।   

    কী সমস্যা তমলুক (Tamluk) হাসপাতালে?

    দীর্ঘদিন ধরেই তমলুক হাসপাতালে (Tamluk) আসা রোগী ও তাঁদের পরিবারের অভিযোগ ছিল, হাসপাতালের মধ্যে ন্যায্য মূল্যের দোকানে কোনও ওষুধ মেলে না। বাইরে থেকেই চড়া দামে ওষুধ কিনে এনে রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। এই প্রশ্ন বারবার উঠে আসছে যে, যেখানে ন্যায্য মূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায়, সেই জায়গায় কেন চড়া দামে ওষুধ নিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ?

    হাসপাতালের (Tamluk) রোগীদের অভিযোগ

    গ্যাসের সমস্যা নিয়ে আসা শম্ভু জানা নামক এক রোগীর বক্তব্য, আমরা গ্রামের মানুষ, দশ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছি হাসপাতালে স্বাস্থ্য দেখাতে। হাসপাতালে (Tamluk) এক্স রে হচ্ছে না, প্রয়োজনীয় ওষুধ এখানে দেওয়া হচ্ছে না, ন্যায্য মূল্যের দোকানে দরকারি ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। শম্ভু বাবু আরও বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আবেদন করব গ্রাম বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে ঠিক করে সাধারণ মানুষ পান তার বিষয়টা যেন বিবেচনা করেন। হাঁটুর ব্যাথা নিয়ে আসা আরেক রোগী কল্যাণী রায় বলেন, এত দূর থেকে আসলাম কিন্তু ডাক্তার বাবুর দেওয়া ওষুধ, হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের দোকানে পাওয়া যায় না। ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে বলা হচ্ছে। রোগীদের প্রশ্ন বাইরে থেকে কিনতে হলে এখানে হাসপাতালে কেন আসলাম? এইরকম অভিযোগ করেন কল্যাণী দেবী। সরকারি হাসপাতালের যেমন পরিষেবার অভাব, ঠিক তেমনিই নেই স্বাস্থ্যের জন্য ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে প্রয়োজনীয় ওষুধ। সাধারণ মানুষকে অত্যন্ত অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে অথচ প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।     

    তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীর বক্তব্য

    গত ১৪ মে তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরি তমলুকে এক অনুষ্ঠানে এসে বলেন, সরকারি হাসপাতালে (Tamluk) ওষুধ রয়েছে কিন্তু দেওয়া হয় না, বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। আরও বলেন, সরকার তাহলে যে ওষুধ দিচ্ছে তা কোথায় যাচ্ছে? স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলেন যে ওষুধ তো সরকার দিয়েছে তাহলে আমরা কেন নেবো? রোগীদের বাইরে থেকে কেন কিনতে বলব আমরা? আর তাই যদি হয় তাহলে সরকারের দেওয়া ওষুধের কি হবে? বলে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন। উনি আরও বলেন, এর ফলে আমাদের সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আর এরকম করা আমাদের চলবে না বলে বুঝিয়ে দেন। সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতির কথা খুব স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করে নেন মন্ত্রী অখিল গিরি। মন্ত্রীর কথায় রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের ঘুম কবে ভাঙ্গবে তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Baruipur: বারুইপুরের চম্পাহাটিতে দু-মাসের জন্য বন্ধ বাজি তৈরি ও বিক্রি!

    Baruipur: বারুইপুরের চম্পাহাটিতে দু-মাসের জন্য বন্ধ বাজি তৈরি ও বিক্রি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজবজের পর এবার বারুইপুরের (Baruipur) চম্পাহাটিতে দু-মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল বাজি তৈরির কাজ। মূলত রাজ্যে একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম দুটি বাজির বাজারের মধ্যে একটি বজবজ এবং অন্যটি বারুইপুরের চম্পাহাটি। এবার বারুইপুর পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে দু মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল চম্পাহাটির বাজির বাজার। এদিন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিৎ রায়ের নির্দেশ চম্পাহাটির বিভিন্ন বাজি বাজার এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়, আগামী দু মাস কোনওভাবেই বাজি তৈরি এবং বিক্রি করা যাবে না।

    মাথায় হাত পড়েছে বাজি তৈরির কর্মচারীদের (Baruipur)

    অন্যদিকে সোমবার বিকাল থেকেই বারুইপুরের (Baruipur) চম্পাহাটি সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। তবে চম্পাহাটিতে কমবেশি দেড়শোটির উপর বাজির দোকান রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মচারী কাজ করেন। হঠাৎ করেই পুলিশ-প্রশাসনের এমন নির্দেশে মাথায় হাত পড়েছে বাজি তৈরির কর্মচারী থেকে শুরু করে বাজি কারখানার মালিকদের। অনেকেরই দাবি, এইভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে তাঁদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে যাবে। কারণ বেশিরভাগ মানুষই বাজি তৈরির ওপর নির্ভর করেই তাঁদের জীবন চালান।

    আটক হচ্ছে রাশি রাশি বাজি

    এদিকে পুলিশি অভিযানে আটক হচ্ছে প্রচুর বাজি-বারুদ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতের অন্ধকারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি (Explosive) উদ্ধার করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কালিনগর এলাকার সাহা স্টোরের গোডাউন থেকে আনুমানিক ২৫ পেটি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়। এর আনুমানিক ওজন প্রায় আড়াই কুইন্টাল। স্টোরের মালিক অভিযুক্ত উত্তমকুমার সাহা পলাতক। নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ এলাকায়। অন্যদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকাতেও। সেখানেও একইভাবে বিশাল পরিমাণ বাজি (Explosive) উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলগঞ্জের ইছাপুর পঞ্চায়েত এলাকার কাঠুরিয়াতে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মেলে প্রায় ২০০ কুইন্টাল বাজি। একটি বাড়িতে এই বিশাল পরিমাণ বাজি কেন মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা অনেককেই ভাবাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এগুলি সবই বেআইনি বাজি। কারণ পুলিশি তল্লাশি খবর পেয়েই ওই কারখানার মালিক পালিয়ে যায়। পুলিশ আপাতত অন্য একজনকে গ্রেফতার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ভর্তি নিচ্ছে না বহু বেসরকারি হাসপাতাল! ভোগান্তি চরমে

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ভর্তি নিচ্ছে না বহু বেসরকারি হাসপাতাল! ভোগান্তি চরমে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিখরচায় চিকিৎসা তো দূর অস্ত! স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড রয়েছে জানতে পারলেই বেসরকারি হাসপাতাল মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। রোগী ভর্তি পর্যন্ত করছে না। এমনই অভিযোগ উঠছে শহরের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ফলে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে ভোগান্তিতে রোগী ও তাঁর পরিজনেরা।

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? 

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়। বেসরকারি হাসপাতালেও বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন রাজ্যবাসী। সেজন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু করা হয়। চিকিৎসা খরচ বাবদ পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থেকে যে কোনও মানুষ চিকিৎসা করাতে পারেন। স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড থাকলে, তাঁর চিকিৎসার খরচের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজ্য সরকার ব্যয় করবে। তাঁকে কোনও খরচ দিতে হবে না।

    অভিযোগ কী?

    স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে একাধিক জায়গায় রোগী ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে। রোগী ও পরিবারের একাংশের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নিতেই চাইছে না। সম্প্রতি বেলঘরিয়ার বছর সত্তরের অনিতা বসুর স্ট্রোক হয়। তাঁকে প্রথমে পার্ক সার্কাসের একটি নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় রোগী ভর্তি করাতে হবে জানার পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেঁকে বসে। তারা জানায়, আপাতত ওখানে চিকিৎসার সুযোগ নেই। অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে।এরপরে পরিবার অনিতাদেবীকে বাইপাসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়। এরপরে তাঁকে স্থানীয় এক নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। বিপুল অর্থ ব্যয় করেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। 
    স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) আওতায় অস্ত্রোপচার করানোর কথা জানার পরেই আর দিন জানানো হচ্ছে না হাওড়ার সুদর্শন হালদারকে। তিনি জানান, গলব্লাডারে স্টোনের সমস্যা নিয়ে মাসখানেক আগে বাইপাসের একটি প্রথম সারির হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সবরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলেও তাঁর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আওতায় চিকিৎসা হবে জানার পরেই টালবাহানা শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর অভিযোগ, বারবার যোগাযোগ করলেও কবে অস্ত্রোপচার করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু কতদিন? তার কোনও উত্তর নেই। এদিকে পেটের যন্ত্রণা ও অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা বাড়ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেয়ে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও ভোগান্তি অব্যাহত। সূত্রের খবর, সুদর্শন হালদার বা অনিতা বসু কোনও ব্যতিক্রম নন। স্বাস্থ্য সাথীর ভোগান্তির তালিকা দীর্ঘ। 

    কী বলছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? 

    বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি না করার অভিযোগ অস্বীকার করছে। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) আওতায় থাকা রোগীদের পরিষেবা দিতে যে তাদের অসুবিধা হচ্ছে, তা তারা স্বীকার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যাপোলো হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, পরিষেবা দিলেও সরকারের কাছ থেকে সময় মতো টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। বিল মাসের পর মাস পড়ে থাকছে। এভাবে হেলথ ইন্ডাস্ট্রি চালানো মুশকিল। স্বাস্থ্য ভবনে বারংবার জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে সাফ জানিয়েছেন আমরি হাসপাতালের এক কর্তা। তিনি বলেন, “সরকার তৃতীয় একটি মাধ্যমের সাহায্যে আগে স্বাস্থ্য সাথীর বিল মেটাত। তার ফলে অনেকটা সময় লাগত। স্বাস্থ্য দফতরে জানানোর পরে বলা হয়,  এরপর থেকে সরকার সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালকে টাকা দেবে। কিন্তু তারপরেও টাকা পেতে অনেক দেরি হয়। কোটি কোটি টাকার পরিষেবা এভাবে দেওয়া যায় না। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই অনীহা তৈরি হয়।” বেসরকারি হাসপাতাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে এত বড় পরিকাঠামো গড়ে তোলেনি, স্পষ্ট বলেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক কর্তা। তিনি বলেন, “সরকার সহযোগিতা না করলে, স্বাস্থ্য সাথী সফল হবে না। আর রোগী হয়রানি বাড়বে।” তাছাড়া, সরকার যে টাকা অস্ত্রোপচারের জন্য নির্ধারিত করেছে, তাতে চিকিৎসকেরা পরিষেবা দিতে রাজি নন বলেই জানাচ্ছেন ওই কর্তা। তিনি বলেন, একদিনে একাধিক স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় থাকা রোগীর অস্ত্রোপচার করতে রাজি হন না চিকিৎসকেরা। কারণ, তাঁরা ওই পরিষেবা দিয়ে যা পারিশ্রমিক পান, তা একেবারেই যথাযথ নয়। 

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) জন্য কোনও বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে চায়নি, এমন লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে তদন্ত করা হবে।” তবে, স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথীর একাধিক সমস্যা নিয়ে বারবার স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছে। সেগুলো সমাধানের পরিবর্তে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে নির্বাচনী প্রচার হিসাবেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই মানুষের ভোগান্তি চলছেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”, মদনের পর বিস্ফোরক তাপস রায়

    TMC: “যোগ্যতায় আমার ধারে কাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”, মদনের পর বিস্ফোরক তাপস রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের পর এবার বেসুরো হলেন বরানগরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস রায়। মন্ত্রী, সাংসদ, চেয়ারম্যান যারা হয়েছেন তাদের অনেকের যোগ্যতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুললেন। একদা মমতা ঘনিষ্ঠ বর্ষীয়ান এই তৃণমূল (TMC) নেতার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। যার এক ফোনেই পিজিতে রোগী ভর্তি হওয়া শুধু নয়, ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট হত তাঁর। সেই মদন নিজে খোদ পিজিতে সশরীরে হাজির হয়ে রোগী ভর্তি করতে পারেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর যতটা না বেশি ক্ষোভ, তার থেকে অনেক বেশি ক্ষোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি তাঁর সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তাপসবাবুর এই বেসুরো মন্তব্য তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

    ঠিক কী বলেছেন বরানগরের বিধায়ক?

    বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “যে নতুন প্রজন্ম উঠে এসেছেন, তাঁরা লোকসভা, রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন, মন্ত্রী, বিধায়ক, মেয়র, চেয়ারম্যান হয়েছেন, এঁদের সকলের যে যোগ্যতা আছে তা মনি করি না। দল সমস্ত দিকে নজর রাখছে, সকলে জায়গা পাবে না। আমারও মন্ত্রীসভায় জায়গা হয়নি। যোগ্যতায় আমার ধারেকাছে নেই, তাঁরাও সব মন্ত্রী হয়েছেন”। এমনিতেই তাপসবাবু মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তাপসবাবুর এই বেসুরো মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে রাজ্য মন্ত্রীসভায় রদবদল হয়। সেখানে তাপস রায়ের ঠাঁই পাওয়া নিয়ে জল্পনা ছিল। কিন্তু, দল তার উপর আস্থা না রেখে বারাকপুর মহকুমার অন্য এক বিধায়কের উপর আস্থা রেখেছিল। শুধু বারাকপুর বলে নয় রদবদলে রাজ্যের একাধিক তরুণ বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছিলেন। তারমধ্যে হুগলির এক বিধায়কও রয়েছেন। যারা মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন সকলেই অভিষেক ঘনিষ্ঠ। স্বাভাবিকভাবে অভিষেকের নির্দেশে নতুন মন্ত্রীসভায় নতুনরা ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু, অভিষেক যাদের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী করেছেন তাঁদের অনেকেই যে যোগ্য নন তা তাপসবাবুর মন্তব্যে স্পষ্ট। কার্যত তাপসবাবু তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে অভিষেকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: ভেঙে পড়ল সামরিক বিমানের অংশ, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Paschim Medinipur: ভেঙে পড়ল সামরিক বিমানের অংশ, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত সামরিক বিমান থেকে ভেঙে পড়ল অংশবিশেষ। রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল গোয়ালতোড় থানার শিওরবনি গ্রামের ধামোচা জঙ্গলে। বিকট শব্দে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দেয়।ভেঙে পড়া অংশটি দেখতে ধাতু নির্মিত বিশাল লম্বা বেলুনের মতো। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেটি বিমানের তেলের অতিরিক্ত ট্যাঙ্ক। যদিও কাছেই কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস থাকায় সেখানকার আধিকারিকরাই এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবেন বলে এলাকার মানুষ মনে করছেন। 

    ঠিক কী ঘটেছিল ?

    জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে শিওরবনি (Paschim Medinipur) গ্রামের ধামোচা জঙ্গলের জমির খুব কাছ দিয়ে একটি বিমান উড়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিমান থেকে ভেঙে পড়ে একটি অংশ। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র শব্দ হয় এলাকায়। জঙ্গলের মাঝে বিমানের ভাঙা অংশ পড়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা অজিত মাল বলেন, হঠাৎ দেখলাম কী একটা উড়ে গেল, আর তারপরই দেখি কিছু একটা পড়ল জঙ্গলে। তবে অংশ বিশেষ ভেঙে পড়লেও দুবার বিমানটি এখানে পাক দিয়েছিল এবং তারপর চলে যায়। সেই সঙ্গে অজিতবাবু আরও বলেন, গ্রামের ভিতরে পড়লে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হত। গ্রামের মানুষ তা ভেবে আতঙ্কিত বোধ করছেন। কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস (Paschim Medinipur) থেকে বিভিন্ন সময় সামরিক বিমানের মহড়া চলে। মহড়া চলার সময়ই বিমানে বিশেষ বিপত্তি হয়েছে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। 

    প্রশাসনের তৎপরতা

    ঘটনাস্থলে দ্রুত এসে পৌঁছায় গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। প্রথামিক ভাবে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, বিমানের ভাঙা অংশ অতিরিক্ত তেলের ট্যাঙ্ক। কিন্তু ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়েছে বিমানের ওই অংশ, সেই বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কলাইকুণ্ডা এয়ারবেসে খবর দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। এলাকার মানুষকে অহেতুক আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?  

    Suvendu Adhikari: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপর পরে ময়নায় চলতি মাসের ২ তারিখে খুন হন বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। সোমবার দুই মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের একজন করে সদস্যকে নিজের দফতরে নিয়োগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মতো বিরোধী দলনেতারও চাকরি দেওয়ার কিছু কোটা থাকে। সেই কোটা থেকেই এই দুজনকে নিয়োগ দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। জানা গেছে, এক বছরে তিনজন করে গ্রুপ ডি অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ করার সুযোগ থাকে বিরোধী দলনেতার সেই পদেই এদের দুজনকে নিয়োগ করা হল।

    সোমবারই বিধানসভায় আসেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা

    সোমবারে বিধানসভায় আসেন মৃত্যুঞ্জয়ের বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন এবং বিজয় কৃষ্ণ ভূঁইয়ার ছেলে প্রসেনজিৎ ভূঁইয়া। জানা গেছে, আগামী এক বছর বিরোধী দলনেতার অফিসে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন এই দুইজন। এক বছর এদেরকে প্রবিশন পিরিয়ডে থাকতে হবে। এরপর তাদের স্থায়ীকরণের আবেদন যাবে রাজ্য সরকারের কাছে, এক বছরের মধ্যে যদি চাকরি তাঁরা ছেড়ে না যান, তাহলে এই আবেদন পাঠানো যায়। এদিন, এ প্রসঙ্গে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের স্ত্রী বলেন, ‘‘চাকরিটা হওয়ায় সংসারের সমস্যার কিছুটা সুরাহা হল। কিন্তু যারা গুলি করে আমার স্বামীকে মেরেছে তাদের শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই। যতদিন বিচার না পাব, লড়াই জারি থাকবে।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের কাছে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলাম কিন্তু এমন নির্দয় সরকার যে কোন সাড়া দিল না। তাই আমরা একটা ব্যবস্থা করলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তো কালিয়াগঞ্জে গিয়ে দেখে এলাম বহাল তবিয়তে মোয়াজ্জেম ডিউটি করছে। ন্যূনতম শাস্তিও দেওয়া হয়নি পুলিশ অফিসারকে।’’ প্রসঙ্গত, এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum Blast:  বজবজের পর এবার দুবরাজপুর! তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

    Birbhum Blast: বজবজের পর এবার দুবরাজপুর! তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের দুবরাজপুরে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে  ভেঙে পরে কংক্রিটের সিঁড়িঘর। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। প্রতিবেশীর এক শিশুও বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) শব্দে অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন পলাতক।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে তোলপাড় রাজ্য। মজুত বারুদ নিয়ে ঘুম ছুটেছে পুলিশ প্রশাসনের। নবান্ন থেকে ৬ দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামে মজুত থাকা বোমায় বিস্ফোরণ (Birbhum Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, শেখ শফিক ওরফে মোরি শেখ নামে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির সিঁড়ি ঘরে শতাধিক তাজা বোমা মজুত ছিল। সেই বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরে বীরভূমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে, সমস্ত বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। ভেঙে পড়ে কংক্রিটের সিঁড়ির ঘর। অন্যান্য ঘরের ইট ভেঙে পড়ে, বড় ফাটল দেখা দেয়।

    কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য,” বিস্ফোরণের বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বিভিন্ন জেলায় বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে খবরে দেখছি। আমাদের গ্রামে এভাবে বিস্ফোরণ (Birbhum Blast) হবে তা ভাবতে পারিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি, শফিকের বাড়ি একাংশ বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আওয়াজে পাশের বাড়ির এক শিশু জ্ঞান হারায়। তাকে স্থানীয় সেকেন্দ্রাপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাড়ির লোকজন”। খবর পেয়েই গ্রামে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। আরও বোমা মজুত রয়েছে কিনা দেখতে বোলপুরে সিআইডি, বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। শেখ বিল মহম্মদ ও তাঞ্জিলা বিবি নামে দুই প্রতিবেশী বলেন, “আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।  আমরা বাইরে বেরিয়ে দেখি চারিদিক ধোঁয়াতে ভরে গিয়েছে। ভয়ে এখনও আমাদের হাত-কাঁপছে। বিস্ফোরণ হল বলেই জানতে পারলাম বোমা ছিল।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “রাজ্য জুড়েই দেখছেন বারুদের স্তুপে বসে আছি আমরা। তৃণমূল রাজ্যটাকেই বারুদের স্তুপ বানিয়ে ফেলেছে। ওদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে বোমা। পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।” যদিও, সমস্ত বিষয় না জেনে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ বস্তা বাজি ও বিস্ফোরক! কে ফেলে দিয়ে গেল? 

    Egra: এগরায় পুকুর থেকে উদ্ধার ১৫ বস্তা বাজি ও বিস্ফোরক! কে ফেলে দিয়ে গেল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্য কি বারুদ আর বোমার স্তূপে পরিণত হল? এগরার খাদিকুলের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর যে হারে বিভিন্ন জায়গায় বোমা ও বাজির মশলা উদ্ধার হচ্ছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশ্নটা ভেসে আসছে। আরও প্রশ্ন উঠছে, এতদিন পুলিশ কি ঘুমিয়ে ছিল? এগরার (Egra) ঘটনায় তো পুলিশের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে, তারা মোটা টাকার বিনিময়ে জেনেবুঝেও এই ধরনের কাজে কোনও বাধা দেয়নি। পুলিশ ঘটনার পর গ্রামে গেলে তাদের ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। আরও মজার বিষয় হল, পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, তা এগরা থানার আই সি-কে সরিয়ে দেওয়ার মতো পদক্ষেপেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। 

    পুকুর থেকে উদ্ধার বাজি-বারুদ

    এগরার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ ১২ জনের। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরলেও এখনও এলাকার পুকুর থেকে উদ্ধার হচ্ছে বস্তার পর বস্তা নিষিদ্ধ বাজি এবং বাজি তৈরির সামগ্রী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২নং ব্লকের (Egra) দেশবন্ধু অঞ্চলে সাহাড়দা গ্রামে রবিবার রাতে একটি পুকুর থেকে ৮ বস্তা বারুদ ও নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। তারপর সোমবার সকালেও ফের পুকুর থেকেই আরও ৭ বস্তা বাজি-বারুদ উদ্ধার হয়েছে। ১৫ বস্তা বারুদ ও বাজি জমা দেওয়া হয়েছে থানায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে পুলিশ। পুরো এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    কী বলছেন গ্রামের মানুষ? কী বলছেন উপপ্রধান?

    এখানকারই বাসিন্দা অশোক কুমার মাইতি বললেন, কচুরিপানার ভিতর থেকে বারুদ, বোমা এবং বাজি বানানোর নানা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ ঘিরে রেখে প্রথমে পুলিশকে খবর দিয়েছিলাম। তারা এসে এগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কীভাবে এল এসব? অশোকবাবুর মতে, কাছেই রুকনিপুরে আতশবাজির কারখানা আছে। এগরার ঘটনার পরই সেখানকার লোকজন এখানে এসে এসব ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শান্ত গ্রামকে তারা অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই এসব করছে। এতে তৃণমূলের মদত আছে বলেই তিনি মনে করেন। ওই গ্রামে এর আগেও বাজি বিস্ফোরণে অনেকে মারা গিয়েছিল। অন্যদিকে, দেশবন্ধু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলোক মহাপাত্র বলেন, এটা চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করারই চেষ্টা। না হলে কেউ মাঠে-ঘাটে এভাবে ওসব ফেলে রেখে যায়? তিনি সরাসরিই বলে দেন, এটা বিজেপি করেছে। না হলে বিজেপির লোকজন ওখানে সকাল সকাল পৌঁছে যায় কী করে?

    পঞ্চায়েত ভোটেরই অশনি সঙ্কেত?

    তৃণমূলের উপপ্রধান যাই বলুন, অভিজ্ঞ মহল বলছে, এ যেন পঞ্চায়েত ভোটেরই অশনি সঙ্কেত। রাজ্যে যে সব জায়গা ঝামেলা-গণ্ডগোলে সবসময়ই খবরের শিরোনামে থাকে, সেই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা ভোটের আগেই খবরের শিরোনামে। বিরোধীরা বলছে, এখন যে সব বোমা ফাটছে (Egra), বোমার মশলা উদ্ধার হচ্ছে, সে সবই আসলে মজুত করে রাখা ‘সম্পদ’। ভোটে এসবের সদ্ব্যবহারের কথা থাকলেও পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে যাওয়াটাই কাল হয়েছে। বিরোধীদের টাইট দেওয়ার জন্য তিল তিল করে জমানো এই সম্পদ নিয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে অনেকেই। এদের ‘যত্ন-আত্তি’ করে রাখতে গিয়েই ঘটে যাচ্ছে একের পর এক বিপত্তি। কোথাও ছাদে বোমার গায়ে রোদের তাপ লাগাতে গিয়ে তাতে বিস্ফোরণ ঘটছে, কোথাও তৈরির সময়ই প্রচণ্ড গরমের তাপে তাতে বিস্ফোরণ ঘটছে। আবার এগরার (Egra) ঘটনায় দেখা গেল, বিপদ আঁচ করে কেউ বা কারা বস্তা বস্তা বাজি, মশলা, বিস্ফোরক পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। যে সব জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, সেখানে তো গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল। এখন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় সিভিক পুলিশ। তাহলে এদের কেউই জানতে পারল না? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য। এমন প্রশ্নও উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকদায় তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি,  কেন জানেন?

    TMC: চাকদায় তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীগঞ্জের পর চাকদায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের (TMC) এক ছাত্র নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা থানার মাস্টারপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম ছাত্র নেতার নাম শুভম দাস। তিনি চাকদা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুদিন আগে পাড়ায় জোরে বাইক চালিয়ে ধূলো ওড়ানোর প্রতিবাদ করায় কালীগঞ্জ থানা এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। এরপর সামান্য বিষয় নিয়ে চাকদায় গুলি চালানোর ঘটনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বেশ কিছুদিন ধরে বুবাই নামে এক যুবক তৃণমূলের (TMC) ওই ছাত্র নেতা শুভমকে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেই শুভম রবিবার রাত আটটা নাগাদ সুমিত মণ্ডল নামে এক যুবকের বাড়ি যান। সুমিত বুবাইয়ের সম্পর্কে আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। হুমকি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বচসা বেধে যায়। এরপর সুমিতের স্ত্রী ঘর থেকে একটি বন্দুক বের করে সুমিতের হাতে তুলে দেন। সুমিত ওই ছাত্র নেতার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দিতে থাকে। পরে হঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করে। ওই ছাত্র নেতার হাতে গুলি লাগে। জানা গিয়েছে, হামলাকারী যুবকও তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কী বললেন জখম তৃণমূলের (TMC) ছাত্র নেতা?

    এ বিষয়ে শুভম দাস বলেন, সুমিতের এক আত্মীয় দীর্ঘদিন ধরে আমাকে খুন করার হুমকি দিচ্ছিল। সেই বিষয়ে সুমিতকে বলতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ও এভাবে গুলি চালিয়ে দেবে, তা ভাবতে পারিনি। ও গুলি চালাতেই আমি ছুটে পালিয়ে যাই। যদিও ততক্ষণে একটি গুলি আমার হাতে লেগেছে। তবে, সময়মতো পালাতে না পারলে আমি আর বেঁচে ফিরতাম না।

    কী বললেন নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি?

    এ বিষয়ে নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদীপ দে বলেন, চাকদা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভমকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। তবে প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা আছে। আমরা চাই, প্রশাসন তদন্ত শুরু করে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক। এই ঘটনা কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নয়, এটা পুরোপুরি অরাজনৈতিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share