Tag: Madhyom

Madhyom

  • Ram Mandir: রাম মন্দির নির্মাণে অনুদান তারকাদেরও, কে কত দিলেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির নির্মাণে অনুদান তারকাদেরও, কে কত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই হতে চলেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আজ সোমবারই রামলালার (Ram Mandir) মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে অযোধ্যায়। হাজির থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলিউডের তারকা থেকে শিল্পপতিরা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। ‘মাহেন্দ্রক্ষণ’-এর যত এগিয়ে আসছে, ততই দেশজুড়ে বাড়ছে উন্মাদনা।

    ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪ বছরের মাথায় উদ্বোধন হচ্ছে মন্দির। জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মাণে (Ram Mandir) খরচ হয়েছে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা। রামমন্দির তৈরিতে বিপুল আর্থিক অনুদান দিয়েছেন সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষজন। অক্ষয় কুমার থেকে অনুপম খের, হেমা মালিনী আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

    কোন তারকা দিয়েছিলেন কত? দেখে নেওয়া যাক—

    অক্ষয় কুমার

    দিন কয়েক আগেই গত ১৭ জানুয়ারি অক্ষয় কুমার সকলকে অনুরোধ করেছিলেন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) নির্মাণে অনুদান দেওয়ার জন্য। সেসময়ই তিনি নিজের অনুদান দেওয়ার বিষয়টিও জানান। কিন্তু টাকার পরিমাণ কোনওভাবেই সামনে আনেন নি তিনি। শোনা যায়, কোটিতে দান করেছেন অক্ষয় কুমার।

    অনুপম খের

    রাম মন্দিরের নির্মাণে ইটের জন্য পয়সা দিয়েছেন অনুপম খের। সে কথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি এক ভিডিও বার্তায় (Ram Mandir)। তাঁর অনুদানের প্রতিটি ইটের উপর ‘রাম’ লেখা।

    প্রণিতা সুভাষ

    কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি ছবির অতিপরিচিত মুখ প্রণিতা সুভাষও অনুদান করেছেন রামমন্দির নির্মাণে। জানা গিয়েছে তিনি দিয়েছেন ১ লক্ষ টাকা।

    গৌতম গম্ভীর

    বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের অনুদানের পরিমাণ এক কোটি টাকা।

    মুকেশ খান্না

    ‘শক্তিমান’ও অনুদান করেছেন মন্দির নির্মাণে। তিনি দিয়েছেন এক লক্ষ ১১ হাজার টাকা। নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন একথা।

    পবন কল্যাণ

    দক্ষিণী অভিনেতা পবন কল্যাণও রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণে অর্থ সাহায্য করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। পবন দিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

    হেমা মালিনী

    বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীও অনুদান করেছেন মন্দির নির্মাণে। যদিও অর্থের পরিমাণ সকলের সামনে আনতে চাননি তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই অযোধ্যা পৌঁছন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। রামনগরীতে (Ram Mandir) পা রেখেই মোহন ভাগবত জানান, অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ভারতবর্ষের ‘পুনর্নির্মাণ’ অভিযানের সূচনা হতে চলেছে। এর পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘দ্বন্দ্ব এবং তিক্ততা’-র অবসান হওয়া উচিত।

    গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ

    প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায়ের ভিত্তিতে নির্মাণ হয়েছে রাম মন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে সমাজমাধ্যমের পাতায় মোহন ভাগবত লেখেন, ‘‘গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ। যে বিতর্ক, যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল, তা এখন শেষ হওয়া উচিত। সেই নিয়ে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা-ও শেষ হওয়া উচিত। সমাজের আলোকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এ বার দেখা উচিত, যাতে ওই বিতর্ক নির্মূল হয়।’’

    রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’

    প্রসঙ্গত, ৫০০ বছরের লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির (Ram Mandir)। মন্দিরের নির্মাণকে ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’ বলে উল্লেখ করেন মোহন ভাগবত। তিনি লিখেছেন, ‘‘রাম জন্মভূমিতে রামলালার প্রবেশ এবং তার প্রাণপ্রতিষ্ঠা আদতে ভারতবর্ষের পুনর্নির্মাণ অভিযানের সূচনা, বৈরিতা ছাড়া সকলকে গ্রহণ, সম্প্রীতি, ঐক্য, উন্নয়ন, শান্তির পথ দেখানোর সূচনা।’’ মোহন ভাগবতের কথায় উঠে এসেছে বিদেশি আক্রমণকারীদের প্রসঙ্গও। তিনি লিখেছেন, ‘‘বিদেশি আক্রমণকারীরা ভারতে মন্দির ধ্বংস করেছে। এক বার নয়, বার বার। ওদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সমাজকে মনোবলহীন করে তোলা, যাতে ওরা দীর্ঘ সময় বাধাহীন ভাবে ভারতে রাজত্ব করতে পারে।’’

    ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি

    প্রসঙ্গত, ১৫২৮ সালে রাম মন্দির (Ram Mandir) ধ্বংস করে সেই স্থানে বাবরি মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। একথাও উল্লেখ পেয়েছে মোহন ভাগবতের লেখায়। তবে ভারতের ক্ষেত্রে বিদেশি আক্রমণকারীদের কৌশল খাটেনি বলেই মনে করেন মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি। প্রতিহত করার লড়াই এখানে ক্রমাগত চলেছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই কারণেই বার বার জন্মভূমি (রাম)-র দখল নিয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা হয়েছে। তার জন্য অনেক যুদ্ধ, লড়াই, আত্মত্যাগও হয়েছে। রাম জন্মভূমি ইস্যু ভারতবাসীর মর্মে প্রবেশ করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir Inauguration: ২০ হাজার অতিথির জন্য মহাপ্রসাদ, ‘কন্দমূল, সরযূ নীর’ বাক্সে থাকছে আর কী কী?

    Ram Mandir Inauguration: ২০ হাজার অতিথির জন্য মহাপ্রসাদ, ‘কন্দমূল, সরযূ নীর’ বাক্সে থাকছে আর কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদামি রঙের কাগজের ব্যাগে লালচে মেরুন রঙের কার্ডবোর্ডের বাক্স! ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir Inauguration) লগ্নে আগত ২০ হাজার বিশেষ অতিথির হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশেষ এই বাক্স। এটি রামলালার মহাপ্রসাদ (Ram Mandir Prasad)। এই বাক্সে প্রসাদের মিষ্টি ছাড়াও থাকবে আরও বেশ কিছু পুজোর জিনিসপত্র। রবিবার রাতেই একটি ভিডিয়োতে প্রকাশ্যে এসেছে সেই বাক্সের ভিতরের ছবি।

    কারা পাবেন এই বিশশেষ প্রসাদ 

    সোমবার রাম মন্দিরের উদ্বোধনে (Ram Mandir Inauguration) আগত অতিথি এবং সাধু-সন্তদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া রামলালার মহাপ্রসাদের বিশেষ বাক্স। অতিথির মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তেমনই রয়েছেন সিনেমা জগৎ, ক্রীড়া জগতের তারকারাও। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট জনেদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অযোধ্যায়। তাঁদের জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে রামমন্দিরের মহাপ্রসাদের বাক্সটি। বাক্সের উপরে রয়েছে সোনালি রঙের রাম মন্দিরের ছবি। ডালা খুললেই দেখা যাবে ছোট ছোট খোপে রাখা নানারকম জিনিস। 

    কী কী থাকবে প্রসাদে

    এই বিশেষ বাক্সে থাকবে কন্দমূল, সরযূ নীর, কুমকুম এবং রুদ্রাক্ষ। রাম ভক্তদের বিশ্বাস বনবাসে থাকাকালীন কন্দমূল খেয়েই ক্ষুধা নিবৃত্ত করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র। এছাড়াও বাক্সে থাকছে দেশি ঘি, পাঁচ রকমের শুকনো ফল, বেসন এবং চিনি দিয়ে বানানো লাড্ডু। হাতের কব্জিতে বাঁধার জন্য লাল রঙের তাগা, সুপুরি এবং না ভাঙ্গা চল যাকে ‘অক্ষত’ বলা হয়। এর সঙ্গেই একটি ছোট বোতলে সরযূ নদীর জল, একটি কৌটোয় সিঁদুর।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    রামলালার মহাপ্রসাদের থালা

    রামলালার প্রসাদের (Ram Mandir Prasad) থালাতেও রয়েছে মাহাত্ম্য। বিশ্বরেকর্ডধারী শেফ বিষ্ণু মনোহর নিজে হাতে তৈরি করছেন রামলালার প্রসাদ। রামলালার প্রসাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাম হালুয়া। ৯০০ কেজি সুজি এবং ১০০০ কেজি চিনি দিয়ে প্রায় ৭ হাজার কেজি রাম হালুয়া তৈরি করা হবে। এতে ব্যবহৃত হবে আড়াই হাজার গ্যালন দুধ এবং ৩০০ কেজি কাজু। ১৪০০ কেজি ওজনের একটি কড়াইতে এই রাম হালুয়া প্রসাদ রাঁধবেন বিষ্ণু মনোহর। নাগপুর থেকে বয়ে বয়ে অযোধ্যা নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই বিরাট কড়াইটি। জানা গিয়েছে, রামলালার এই মহাপ্রসাদ পাবেন মোট দেড় লাখ রাম ভক্ত। অতীতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এ ছাড়াও রাম মন্দিরের মহাপ্রসাদের তালিকায় রয়েছে থেপলা, আমন্ড বাদাম, কড়াইশুঁটির কচুরি। প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের সময় এই প্রসাদগুলি রামলালার সামনে অর্পণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আয় বাড়বে যোগী রাজ্যের, কত হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে মন্দিরকে ঘিরে বহু বিতর্ক হয়েছে, যে মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করতে গিয়ে দিতে হয়েছে আত্মবলিদান, সেই মন্দিরই হাল ফেরাবে উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতির। অন্তত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট থেকে তা-ই জানা গিয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দির এবং অন্যান্য পর্যটনস্থলগুলি থেকে রাজস্ব আয় হতে পারে ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    রবিবার এসবিআইয়ের তরফে প্রকাশ করা হয় রিপোর্টটি। সেখানে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রের পিলগ্রিমেজ রিজুভেনেশন অ্যান্ড স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অগমেন্টেশন ড্রাইভ প্রকল্পে আদতে লাভবান হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশই। এ রাজ্যের বাজেট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে সরকারের কোষাগারে রাজস্ব জমা হবে ২.৫ লাখ কোটি টাকা। এর সঙ্গে পর্যটন বাবদ আয় ধরলে টাকার অঙ্কটা হবে স্ফীতকায়। যা আদতে শক্ত করবে রাজ্যের অর্থনীতির ভিত।

    বাড়বে পর্যটক

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩-এ উত্তরপ্রদেশে পর্যটকের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের পদক্ষেপের ফলে আমরা আশা করছি, উত্তরপ্রদেশে পর্যটকরা যা ব্যয় করবেন, তার পরিমাণ চলতি বছরের শেষে পেরিয়ে যাবে ৪ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি। রিপোর্ট (Ram Mandir) থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে দেশের পর্যটকদের কাছ থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের রোজগার হয়েছিল ২.২ লাখ কোটি টাকা। ওই বছর যোগী রাজ্যে বেড়াতে আসা ভিনদেশিদের থেকে সরকার আয় করেছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ওই বছর অযোধ্যা দর্শনে এসেছিলেন ২.২১ কোটি পর্যটক।

    আরও পড়ুুন: ৮ লক্ষ প্রদীপশিখায় রামের ছবি, তৃণমূল নেতার উদ্যোগে বিস্মিত ভাটপাড়া

    রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে যে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই কারণেই রাম জন্মভূমিতে তৈরি হয়েছে আস্ত একটি বিমানবন্দর। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকেও। সরকারের আশা, রাম মন্দির দর্শনের পর রামের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলি দর্শন করবেন পর্যটকরা। কেবল তাই নয়, রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাও। নেপালে রামের শ্বশুরবাড়ি। আর লঙ্কায় রাবণ-বধ করেছিলেন ভগবান। এই তিন দেশের সহযোগিতায় যদি একটি ট্যুরিস্ট ম্যাপ তৈরি করা যায়, তাহলে পর্যটকের আনাগোনা আরও বাড়বে বলেই আশা সংশ্লিষ্টমহলের (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NAM Summit: দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছেন ভারতীয়রা, স্বীকার করলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট

    NAM Summit: দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছেন ভারতীয়রা, স্বীকার করলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বদলাচ্ছে দেশের অর্থনীতির হাল। তাতে সব চেয়ে বেশি অবদান যাঁদের, তারা ভারতীয় অভিবাসী। এই ভারতীয়দের জন্যই যে বদলাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চিত্র, সেকথা মনে করিয়ে দিলেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়েওরি মুসেভানি। পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ উগান্ডা। রাজধানী কাম্পালা। এখানেই এবার হচ্ছে নন অ্যালায়েড মুভমেন্টের ১৯তম সামিট (NAM Summit)।

    প্রেসিডেন্টের স্বীকারোক্তি

    এই সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়েই প্রেসিডেন্ট মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করে নেন ভারতীয় অভিবাসীদের অবদান। প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিলাম ভারতীয় অভিবাসীরা আমাদের দেশে কতগুলো কল-কারাখানা বানিয়েছেন। তারা আমায় বলল, তাঁরা (ভারতীয় অভিবাসীরা) ফিরে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ কল-কারখানা স্থাপন করেছেন।” ভারতীয় অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়ানো যে ঠিক হয়নি, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়েওরি মুসেভানি। উগান্ডা থেকে এশিয়ান, বিশেষত ইন্ডিয়ান-উগান্ডানদের তাড়ানো হয়েছিল ইদি আমিনের শাসনকালে। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে মুসেভানি বলেন, “সরকার কাজটি (ইন্ডিয়ান-উগান্ডানদের তাড়ানো) ভুল করেছিল।”

    কী বললেন মুসেভেনি?

    উগান্ডার প্রেসিডেন্ট বলেন, “নন-অ্যালায়েড মুভমেন্টের (NAM Summit) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও কখনও কখনও ভুল করেছিল। এই যেমন উগান্ডায় করেছিল।” প্রসঙ্গত, আমিনের শাসনকালে ভারত-উগান্ডা সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। যার জেরে এক সময় উগান্ডার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে ভারত। আমিনের সিদ্ধান্তের প্রভাব যে উগান্ডার অর্থনীতিতে পড়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট। বলেন, “নন-অ্যালায়েড মুভমেন্টে আপনাদের একজন নেতা ছিলেন, যিনি দেশীয় অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছিলেন। যাঁদের দেশ থেকে তাড়ানো হয়েছিল, চিনি, হোটেল এবং ইস্পাত উৎপাদন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান কম নয়।”

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মুসেভেনি বলেন, “আমাদের (নন-অ্যালায়েড মুভমেন্ট) দেশগুলিতে বিনিয়োগের পরিবেশ খতিয়ে দেখা হয়। আমরা এই সব লোকদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে সরকারে ফেরে আমার দল। তারপর ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। আমরা আমাদের এশিয়ান নাগরিক বা অ-নাগরিকদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। অথচ এঁদেরই তাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইডি আমিন। আমরা তাঁদের ফিরিয়ে এনেছি। এনিয়ে পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়েছিল। কেউ বলছিলেন, কাজটি ঠিক হবে না। আমরা বলছিলাম, না, তাঁদের অবশ্যই সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। সেই মতো সম্পত্তি ফেরতও দেওয়া হয়েছে।” নন-অ্যালায়েড মুভমেন্ট (NAM Summit) প্রতিষ্ঠায় ভারতের অবদানও স্বীকার করেছেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পুরুষোত্তম। তিনি (Ram Temple) অবতার। দুষ্ট দমন করে শিষ্ট পালন করতেই তিনি ধারণ করেছিলেন পার্থিব দেহ। যে শরীর ধারণ করলে কষ্ট পায় জীব, সেই পঞ্চভৌতিক শরীর ধারণ করে দুঃখ-কষ্ট-বিরহ-দহনজ্বালা তিনি সয়েছেন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো।

    ভগবান রাম

    ভারতভূমে প্রতিষ্ঠা করেছেন রামরাজ্য। তাই তিনি হয়েছেন মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই চরিত্রের পায়েই প্রণতি স্বীকার করেন আসমুদ্রহিমাচলবাসী। আবার নিছকই মহাকাব্যীয় কল্প-চরিত্র বলে গল্পকথা রটিয়ে দেয় অর্বাচিনের দল। এহেন মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জন্য তৈরি হয়েছে আস্ত একটি মন্দির। বানর সেনার সেতু বন্ধনের মতো যে মন্দির তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন তামাম ভারতবাসী। যে মন্দিরে ২২ জানুয়ারি, সোমবার প্রতিষ্ঠিত হবে তাঁর বালকরূপের প্রতিমূর্তি। রচনা হবে নয়া ইতিহাস। যে ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন দেশ-বিদেশের হাজার আটেক মানুষ। তাঁরা সবাই (Ram Temple) যে ভক্ত, তা নন। তবে তাঁদের প্রত্যেকের কাছে রাম মর্যাদা পুরুষোত্তম।

    পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য ‘মহাভারত’

    এহেন অবতার পুরুষোত্তমের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে ‘মহাভারত’। অযোধ্যায় তিনি প্রকাশিত হন সেই কোন ইতিহাসের কালে। তারপর তাঁর দৃপ্ত পদচারণা অখণ্ড ভারতে। যে ভারতভূম ছিল তাঁর এক সময়ের লীলাভূমি, সেখানেই তিনি ছিলেন নিজ ভূমে পরদেশির মতো। তারপর সরযূ নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে সময়ের স্রোত। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আক্ষরিক অর্থেই এবার রাজপ্রাসাদে ঠাঁই পেতে চলেছেন ভগবান রাম।

    অযোধ্যা

    তাঁর শৈশবের লীলাভূমি অযোধ্যা (Ram Temple) এখন ফৈজাবাদ জেলার অন্তর্ভুক্ত। এই অযোধ্যায়ই কেটেছিল তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোর। পরে বিয়ে হয় তাঁর। সীতাকে বিয়ে করতে তিনি গিয়েছিলেন নেপালের জনকপুরে। পরে পিতা দশরথের প্রতিজ্ঞা পালনে তিনি হন বনবাসী। তাঁর সঙ্গ নেন স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণ। এর পর লঙ্কার রাবণ কর্তৃক অপহৃত হন সীতা।

    অশোকবন

    একদা রাজনন্দিনীর ঠাঁই হয় রাবণের অশোক বনে। বানর সেনার সহায়তায় সেখানে গিয়ে সীতাকে উদ্ধার করেন রাম। এজন্য তুমুল যুদ্ধ হয় লঙ্কায়। যে যুদ্ধে হত হন রাবণ। আসুরিক শক্তি অবনত হয় পুরুষোত্তম রামের পায়ে। সীতা এলিয়ার গ্রামের এই অশোক বনে রয়েছে সীতা আম্মার মন্দির।

    চিত্রকূট-পঞ্চবটী

    রামের (Ram Temple) পদধূলিতে ধন্য হয়েছে মধ্যপ্রদেশও। এখানে চিত্রকূট পাহাড়ের কাছে নদী তীরে লক্ষ্মণ তৈরি করেছিলেন কুটির। এখানেই রামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল ভাই ভরতের। এখান থেকেই রামের পাদুকা নিয়ে ভারত ফিরে যান অযোধ্যায়। নাসিকের পঞ্চবটী বনে রাম-সীতার বসবাসের জন্য কুটির তৈরি করেছিলেন লক্ষ্মণ। এখান থেকেই অপহৃত হন সীতা। অন্ধ্রপ্রদেশের লেপাক্ষীও ধন্য হয়েছে রামের পদধূলিতে। এখানেই সীতা চুরির ঘটনার কথা রাম জানতে পারেন ভক্ত জটায়ূর কাছে। এখানেই ডানা কাটা অবস্থায় পড়েছিলেন জটায়ূ। এখানেই শাপোদ্ধার হয় শবরীর, রামের অপেক্ষায় এক যুগ ধরে পাথর হয়ে পড়েছিলেন যিনি।

    আরও পড়ুুন: গোধরা গণহত্যায় হত ৫৮ করসেবকের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ অযোধ্যায়

    রামেশ্বরম

    তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম এবং ধনুষ্কোটিও রয়েছে রামের লীলাভূমির তালিকায়। ভক্ত হনুমান যখন সীতাকে অশোক বনে খুঁজে পেলেন, তখন রাম এই জায়গাটিতে একটি ধনুক পুঁতে রাখেন। সীতা উদ্ধারে লঙ্কায় যেতে বানর সেনার সাহায্যে এখানেই হয়েছিল সেতুবন্ধন। রাবণকে পরাস্ত করে দিভিরুমপোলা এলাকা থেকেই সীতাকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যার দিকে রওনা দেন রাম। শ্রীঙ্গভেরপুরে গঙ্গা পার হন রাম-লক্ষ্মণ-সীতা। গঙ্গা পেরিয়ে রাম-লক্ষ্মণ-সীতা পৌঁছান প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে। এখানেই ভরদ্বাজ ঋষির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রামের। পরে ভাই ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাম চলে যান চিত্রকূট পর্বতের দিকে। রামটেক এখানে ঋষি অগস্ত্যর কাছে ব্রহ্মাস্ত্রের বিষয়ে জানেন রাম।

    দণ্ডকারণ্য

    সেখান থেকে তাঁরা চলে যান ছত্তিশগড়ের দণ্ডকারণ্যে। আশীর্বাদ নেন অত্রি ঋষির। তাঁর স্ত্রী অনসূয়া সীতার হাতে তুলে দেন তাঁর হারানো গয়নার কয়েকটি। দণ্ডকারণ্যের পর তাঁরা যান কর্নাটকের কিষ্কিন্ধ্যায়। এখানেই রাম-লক্ষ্মণের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বালি ও সুগ্রীবের। কিষ্কিন্ধ্যার হৃত সাম্রাজ্য ফেরত পেতে সুগ্রীবকে সাহায্যও করেছিলেন রাম। লঙ্কায় যাওয়ার যে সেতু তৈরি করা হয়েছিল, সেই সেতু রাম সেতু নামে পরিচিত। ভান্ডারদারা, তুলজাপুর, সুরিবানা, কোপ্পালের ধুলোয়ও রয়েছে মর্যাদা পুরুষোত্তমের পদচিহ্ন। তিরুচিরাপল্লি, রামপদ এবং রামনাথপূরম ধন্য হয়েছে তাঁর পদধূলিতে।  সুভেলায় সেনাদের একত্রিত করেছিলেন রাম।

    আলাইমান্নার

    শ্রীলঙ্কায় রয়েছে আলাইমান্নার সমুদ্র সৈকত। এখানেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল রাম-রাবণের। ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে এই জায়গায়ই দশানন বধ করেন রাম। দুষ্ট দমন শেষে শিষ্ট পালন করতে পুরুষোত্তম অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন রামরাজ্য। সোমবার তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোরের সেই লীলাভূমিতেই প্রতিষ্ঠিত (Ram Temple) হবেন রামলালা। আবারও প্রতিষ্ঠা হবে রামরাজ্য। যে রাজ্যে সুখে কাল কাটাবেন ভারতবাসী। মন দেবেন রাম-নাম জপে। অস্ফুটে বলবেন, ‘মন জপ নাম…’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য তুলে ধরে বাথৌ ধর্ম”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য তুলে ধরে বাথৌ ধর্ম”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য তুলে ধরে বাথৌ ধর্ম।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিন দিনের অসম, মেঘালয় সফরে গিয়েছেন শাহ। অসমের শোনিতপুরে ১৩তম ট্রেন্নিয়াল বাথৌ মহাসভা কনফারেন্সে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে বোড়োল্যান্ড সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংশা করেন শাহ।

    শাহের মুখে মোদি-স্তুতি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই যে উত্তর-পূর্বে হিংসা দমন সম্ভব হয়েছে, তাও জানান তিনি। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যান বাথৌনিজমের অন্তর্নিহিত দর্শনের আলোচনায়। এই ধর্মের মধ্যে যে নৈতিকতা রয়েছে, তাও তুলে ধরেন তিনি। ১৯৬২ সালে গুয়াহাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয় দুলারাই বাথৌ গৌথাম। এই প্রতিষ্ঠান বোড়ো সম্প্রদায়কে বাথৌ ধর্মে দীক্ষিত করতে নিরলস চেষ্টা করে চলেছে। মহাসভা যে বাস্তব ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে (Amit Shah) বোড়ো সম্প্রদায়ের মধ্যে যেভাবে বাথৌইজমের বীজ প্রোথিত করছে, তারও প্রশস্তি শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে।

    বাথৌ ধর্মের তাৎপর্য 

    মাঘ মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার বাথৌ পুজো উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করেছেন অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সরকার বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে তাঁর ধর্ম পালনে সুযোগ দিয়েছে। বাথৌ ধর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ ‘বা’ শব্দের অর্থ হল ‘পাঁচ’। ‘থৌ’ শব্দ ব্যবহার করা হয় ‘গভীর’ বোঝাতে। সুতরাং ‘বাথৌ’ শব্দের অর্থ হল, ‘মহাবিশ্বের পাঁচটি উপাদান’ (পঞ্চভূত) এবং তাদের মধ্যে লুক্কায়িত পারস্পরিক সম্পর্ক। বাথৌবাদের মূল কথা হল, এই পাঁচটি উপাদানের অন্তর্নিহিত ঐক্য। প্রকৃতির পুজোর ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকা দর্শন বুঝতেও সাহায্য করে এই ধর্ম।”

    আরও পড়ুুন: ‘ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো,’ তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বাথৌবাদের মধ্যে যে পাঁচটি নীতি রয়েছে, ভাষণ দিতে গিয়ে তার ওপরও আলোকপাত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাথৌবাদের মূল নীতি হল দয়া, সত্য, এবং ঘৃণা পরিত্যাগ। শাহ বলেন, “বোড়ো সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের সংস্কৃতি রক্ষা করছেন। চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করেও তাঁরা তাঁদের সংস্কৃতি রক্ষা করে চলেছেন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে বোড়ো চুক্তি হয়েছে, উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে যে কাঙ্খিত শান্তি ফিরে এসেছে, তারও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Maldives India Row: ভারতীয় বিমান ব্যবহারে না মুইজ্জু সরকারের, মলদ্বীপে বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    Maldives India Row: ভারতীয় বিমান ব্যবহারে না মুইজ্জু সরকারের, মলদ্বীপে বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্টের একগুঁয়ে মনোভাবের বলি কিশোর! শনিবার দ্বীপরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে বছর চোদ্দর ওই কিশোরের (Maldives India Row)। তাকে এয়ারলিফ্টের জন্য ভারতের দেওয়া ডর্নিয়ার বিমান ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি মহম্মদ মুইজু প্রশাসন। তার জেরেই অসুস্থ ওই কিশোরটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

    মুইজ্জু সরকার

    গত নির্বাচনে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী মুইজ্জুর সরকার। তার পর থেকে পরম মিত্র ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে মলদ্বীপের। দুই দেশের সম্পর্ক যখন প্রায় তলানিতে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বসে মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। তার পরে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কে আক্ষরিক অর্থেই ফাটল ধরে। বিশ্ব নেতা মোদিকে কক্ষাট করায় ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে যায় মুইজ্জু প্রশাসন। বাধ্য হয়ে (Maldives India Row) সাসপেন্ড করে অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে। তার পরেও অবশ্য উন্নতি হয়নি দুই দেশের সম্পর্কের। এহেন আবহে অসুস্থ বালককে ভারতীয় বিমান ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মুইজ্জুর সরকার।

    বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের ব্রেন টিউমার ছিল। স্ট্রোক হওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তার পরিবারের তরফে বাড়ি গাফ আলিফ ভিলিংগিলি থেকে রাজধানী মলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের অনুরোধ করা হয়। অভিযোগ, অসুস্থ কিশোরের পরিবারের অনুরোধে কান দেয়নি মুইজ্জু সরকার। যার জেরে কার্যত বেঘোরে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। ঘটনার জেরে শোকে মুহ্যমান মৃতের পরিবার। কান্না সামলে কোনওরকমে ওই কিশোরের বাবা বলেন, “ছেলের স্ট্রোকের পরেই আমরা তাকে মালেতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইল্যান্ড অ্যাভিয়েশনকে কল করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কলের উত্তর দেয়নি।”

    আরও পড়ুুন: বাঙালি শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া, নজরুলের লেখা ‘রাম বন্দনা’ ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মেডিক্যাল ইভাকুয়েশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা আসান্ধা কোম্পানি লিমিটেডের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি কিশোরটির অকাল প্রয়াণ দুর্ভাগ্যজনক। ১৮ জানুয়ারি ছেলেটিকে জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল ইভাকুয়েশন দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। আসান্ধা কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট ও স্টাফেরা শোকন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও আল্লার কাছে কিশোরটির আত্মার শান্তি কামনা করি (Maldives India Row)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Vs Bangladesh: বাংলাদেশকে ৮৪ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু ভারতের

    India Vs Bangladesh: বাংলাদেশকে ৮৪ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করল ভারত। শনিবার গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে ৮৪ রানে হারালেন উদয় সাহারানের দল। ভারতের ৭ উইকেটে ২৫১ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১৬৭ রানে। ভারতের হয়ে এই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখালেন অধিনায়ক উদয় সাহারান, ওপেনার আদর্শ সিং ও বাঁ হাতি বোলার সাওমি পাণ্ডে। দলের জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। 

    দুরন্ত ভারত

    এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। প্রথমে ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। এই পরিস্থিতিতে ইনিংসের হাল ধরেন আদর্শ ও উদয়ন। তাঁদের জুটিতে যোগ হয় ১১৬ রান। আদর্শ ৯৬ বলে ৭৬ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি। উদয় ৯৪ বলে ৬৪ রান করেন। তিনি ৪টি বাউন্ডারি মারেন। প্রিয়াংশু মলিয়া করেন ২৩ রান। উইকেটকিপার-ব্যাটার আরাভেল্লি অবনীশও ২৩ রান করেন। ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সচিন ধাস। ৪ রান করেন মুরুগান অভিষেক। ২ রান করে অপরাজিত থাকেন রাজ লিম্বানি।

    জয়ের জন্য ২৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনও সময়ই প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি করতে পারেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারায় ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ীরা। দলের ব্যাটিং ভরাডুবির মধ্যে কিছুটা লড়াই করলেন আরিফুল ইসলাম (৪১) এবং মহম্মদ শিহাব জেমস (৫৪)। আরিফুল ৭১ বলের ইনিংসে মারলেন ৩টি চার। জেমসের ৭৭ বলের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম সাওমি পান্ডে। তিনি ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন। ৩৫ রান খরচ করে ২ উইকেট মুশিরের। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রাজ লিম্বানি, আর্শিন এবং প্রিয়াংশু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ১০০০ কোটি টাকার বদল! রেশন দুর্নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ ইডি

    Ration Scam: ১০০০ কোটি টাকার বদল! রেশন দুর্নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি। এক দশকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এর মধ্যে জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya mallick) ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যরও (Shankar Addhya) বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা রয়েছে। 

    কত টাকার বিনিময়

    ইডির (ED) দাবি, গত এক দশকের মধ্যে (২০১২-২০২৩) শঙ্করের এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার ভারতীয় মুদ্রাকে বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, এই বিদেশি মুদ্রায় বদলের মাধ্যমেই দুর্নীতির টাকা সরানো হয়ে থাকতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, এই এক হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে শঙ্করের চারটি সংস্থার মাধ্যমে। তাছাড়া হিরামতি এক্সপোর্ট সংস্থার মাধ্যমে ১১৭ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের নামে আটটি এমন সংস্থা থাকলেও নামে-বেনামে প্রায় ৫০টির বেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলে বিদেশে টাকা পাচার করেছিলেন শঙ্কর। তার মধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং হিসাবরক্ষকের নামেও সংস্থা রয়েছে। ইডির দাবি, শঙ্করই সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণ করতেন।

    আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি! বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা

    কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ

    ইডির এক কর্তার কথায়, বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসা সম্পূর্ণ ভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন। রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) ধৃত শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন আটটি সংস্থা-সহ ১০০টিরও বেশি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার তথ্য এবং গত ১০ বছরের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানার জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে তদন্তে উঠে আসা সমস্ত নথি-সহ চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দু’টি পন্থায় দুবাই ও অন্য স্থানে পাঠানো হয়েছে ওই টাকা। প্রথমত, নগদ টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে ভুয়ো সংস্থায় জমা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share