Tag: Madhyom

Madhyom

  • Narendra Modi: ২০৩৬ অলিম্পিক্স আয়োজনে ত্রুটি রাখবে না ভারত! আশার কথা শোনালেন মোদি

    Narendra Modi: ২০৩৬ অলিম্পিক্স আয়োজনে ত্রুটি রাখবে না ভারত! আশার কথা শোনালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত ভারতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। শিল্প-বাণিজ্য, ক্রীড়া-বিনোদন সবক্ষেত্রেই জগৎ সভার শ্রষ্ঠ আসনই স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এমনই এক স্বপ্ন পূরণের কথা জানালেন মোদি। খেলার দুনিয়ায় ভারতের টার্গেট ২০৩৬ অলিম্পিক্স, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জানালেন, আগামী ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমসের আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে ভারত। 

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    চেন্নাইয়ে খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমসের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি, যাতে ২০২৯ সালের ইউথ অলিম্পিক্স এবং ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স আয়োজন করা যেতে পারে ভারতে। খেলা শুধু মাঠের মধ্যেই সীমিত নেই, এটা নিজেই একটা স্বতন্ত্র অর্থনীতি।” প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য, তিনি গ্যারান্টি দিয়েছেন ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করার। আর সেক্ষেত্রে ‘ক্রীড়াক্ষেত্রের অর্থনীতির’ বৃদ্ধিও যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, সে কথাও তুলে ধরেন মোদি। শুধু তাই নয়, গত এক দশকে খেলার দুনিয়া কীভাবে আমূল সংস্কার করা হয়েছে, সে কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। অতীতে যেভাবে বিভিন্ন খেলার নিয়ামক বোর্ডগুলিকে কেন্দ্র করে বিস্তর অভিযোগ উঠে আসত, সে সব দিন এখন অতীত। মোদির কথায়, ‘খেলার ভিতরের খেলা’ বন্ধ হয়েছে বিগত এক দশকে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে খেলার দুনিয়ায় আলাদা জায়গা বানিয়ে নিয়েছে ভারত। প্যারালিম্পিক্স থেকে শুরু করে এশিয়ান গেমস সর্বত্র ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা সাফল্য পেয়েছেন। 

    ক্রীড়াক্ষেত্রে রাজনীতি অতীত

    প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন বলেন, “গত দশ বছরে সরকার বিভিন্ন সংস্কার এনেছে এবং খেলোয়াড়রাও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন, যার ফলে গোটা ক্রীড়াক্ষেত্রেই বদল এসেছে।” তাঁর মতে, ভারতে খেলোয়াড় বা প্রতিভার কোনওদিনই কোনও অভাব ছিল না। কিন্তু গত এক দশকে যেভাবে প্রতিটি পদক্ষেপে সরকার তাঁদের সাহায্য করেছে, তাতে তাঁরা নিজেদের মধ্যে একটা নতুন আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন। এবার সরকার ২০৩০ সালের যুব অলিম্পিক্স (Youth Olympics) ও ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স (Olympics) ভারতে আয়োজনের চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Medical: মেডিক্যাল কলেজে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে সিলমোহর কমিটির, শাস্তির কোপে ২ পড়ুয়া?

    Kolkata Medical: মেডিক্যাল কলেজে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে সিলমোহর কমিটির, শাস্তির কোপে ২ পড়ুয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুরে র‌্যাগিং-এর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যজুড়ে। সেই রেশ এখনও কাটেনি। এরই মাঝে ফের ঘটল র‌্যাগিংয়ের ঘটনা। মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) হাসপাতালের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে মান্যতা পেল র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ। প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আনেন দুই জুনিয়র পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক পড়ুয়ার অ্যাকাডেমিক কার্যকলাপেও বিধিনিষেধ জারি করতে পারে কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকদের আচরণ যাতে পরিবর্তন করা যায়, তাই কাউন্সেলিংয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শুক্রবারই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষের কাছে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে।

    কী বলছে কর্তৃপক্ষ?

    এ প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College) এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী বলেন, “আজকে তদন্ত কমিটি সমস্ত স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে, সব স্টেকহোল্ডারদের ডেকে একটা ডিসকাশন স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। যাঁরা অভিযোগ করেছে, তারাও আমাদের ছাত্র। আবার যারা অভিযুক্ত, তারাও ছাত্র। আমরা পরিষেবার ওপর বিশেষ নজর রাখি। যাতে মুখ্য় উদ্দেশ্য ব্যাহত না হয়। তবে এ বিষয়টিও দেখতে হবে, যাতে অ্যাকাডেমিক পরিবেশও বিঘ্নিত না হয়, সেটাও বিশেষ ভাবে দেখা হচ্ছে। একটা বিষয় পরিষ্কার, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনওভাবে এই ধরনের কোনও অন্যায়কে বরদাস্ত করবে না।” কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আলোচনা চলছে। যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে আমরা কিছু অস্বাভাবিক আচরণ তো দেখেছি। যে বিভিন্ন ধরনের রায় আমরা পেয়েছি, তার থেকে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে।”

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল ওই ২ জুনিয়র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনির?

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১০ জানুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের (Kolkata Medical College) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। হাসপাতালের দুই জুনিয়র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ওই অভিযোগ করেন বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের দুই চিকিৎসক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, মানসিক নির্যাতন, এমনকী থুতু ছিটিয়ে দেওয়ার মতোও অভিযোগ ওঠে। পরে এই ঘটনা সোশ্য়াল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। মেডিক্যাল কলেজের এহেন ঘটনা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শুরু করে কমিটি। শুক্রবারই সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ram Mandir: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বাংলা থেকে দিলীপ ঘোষ পাঠালেন ১০১ কেজি মধু

    Ram Mandir: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বাংলা থেকে দিলীপ ঘোষ পাঠালেন ১০১ কেজি মধু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে মাত্র আর একটা দিন। তারপরেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অযোধ্যায় নবনির্মিত মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। দেশজুড়ে এখন সাজো সাজো রব। পাড়ায় পাড়ায় রাম পুজোর প্রস্তুতিও চলছে। রাম নগরীতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দেশ, বিদেশ থেকে আসছে রামলালার জন্য সামগ্রী ও উপহার। বাংলা থেকে রামের জন্য বিশেষ সামগ্রী পাঠালেন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ রামলালার জন্য পাঠালেন ১০১ কেজি খাঁটি মধু। প্রসঙ্গত, রামলালার জন্য রাজস্থান থেকে ঘি, বৃন্দাবন থেকে লাড্ডু, সীতার বাড়ি জনকপুর থেকেও পাঠানো হয়েছে উপহার। রামলালার জন্য এসেছে ২৪ কুইন্টাল ওজনের ঘণ্টাও। অযোধ্যাজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, অসংখ্য রাম ভক্ত, সাধু সন্তদের ভিড়ে ঠাসা রাম নগরী।

    কী বলছেন দিলীপ ঘোষ 

    জানা গিয়েছে, শুক্রবারই দিলীপবাবুর পাঠানো সুন্দরবনের এই বিশেষ মধু পৌঁছে গিয়েছে অযোধ্যায়। সূত্রের খবর, দুধের ক্যানে করে পাঠানো হয়েছে এই মধু। রামলালার জন্য মধু পাঠিয়ে দিলীপবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই অযোধ্যায় রামের (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে বিদেশ থেকেও পুণ্যার্থীরা বিভিন্ন সামগ্রী পাঠাচ্ছেন। আর বাংলা কেন পিছিয়ে থাকবে। তাই মধু পাঠানোর উদ্যোগ।”  সুন্দরবনের মধু খুবই জনপ্রিয়। মনে করা হচ্ছে ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবে কাজে লাগবে এই মধু।

    গত ১ বছর ধরে চলেছে মধু সংগ্রহের কাজ

    জানা গিয়েছে, মধু পাঠানোর পরিকল্পনা গত ১ বছর ধরেই চলছে। এবিষয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মধুর বিষয়ে তিনি গত বছরের জুন-জুলাইয়ে তিনি সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা অঞ্চলের বাসিন্দা, রাম ভক্ত হরিপদ মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। হরিপদ, তাঁর ছেলে গোকুল এবং এলাকার আরও কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গত ৬ মাস ধরে (Ram Mandir) মৌমাছির চাক থেকে প্রভু রামের জন্য এই বিশেষ মধু সংগ্রহ করার কাজ চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan vs East Bengal: মোহনবাগানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে সুপার কাপের শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল

    Mohun Bagan vs East Bengal: মোহনবাগানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে সুপার কাপের শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলিঙ্গ সুপার কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ৩-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। পৌঁছে গেল সুপার কাপের সেমিফাইনালে। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল মোহনবাগান। লাল-হলুদ মশালে পুড়ে খাক হয়ে গেল পালতোলা নৌকা। ০-১ থেকে ৩-১ গোলে জিতলেন কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। জোড়া গোল করেন ক্লেইটন সিলভা। একটি গোল করেন নন্দকুমার।

    মশাল জ্বলল সুপার কাপে

    এদিন চলতি মরসুমের তৃতীয় ও বছরের প্রথম ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে দুটো ডার্বি হয়েছিল। ডুরান্ডে গ্রুপ পর্বের ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। টানা আটটি ডার্বি হারের পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। ডুরান্ড ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান (East Bengal vs Mohun Bagan)। বদলা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সবুজ মেরুন। এ বার যেন ইস্টবেঙ্গলের বদলার পালা ছিল। মরসুমে তিনটির মধ্যে দুটো ডার্বি জিতল ইস্টবেঙ্গল।

    প্রথম সারির সাত ফুটবলার না থাকার ফল টের পেল সবুজ-মেরুন। সব বিদেশি থাকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিতে পারল না তারা। অগস্টে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বের পর সেই প্রতিযোগিতারই ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। আবার ডার্বিতে জিতল তারা। ইস্টবেঙ্গলের জয়ের নায়ক ক্লেটন সিলভা। জোড়া গোল করলেন তিনি। অপর গোলটি করেন নন্দকুমার। মোহনবাগানের গোলদাতা হেক্টর ইয়ুস্তে। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে মোহনবাগান। প্রথম গোলও দেয় সবুজ মেরুন। কিন্তু তারপর থেকেই যেন বদলে যায় ইস্টবেঙ্গল। গোল শোধ করতে মাত্র পাঁচ মিনিট নেয় তারা। গোল পেয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গলের খেলা। মোহনবাগানের মাঝমাঠ ক্রমশ ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে। আর খেলায় ফিরতে পারেনি তারা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Thailand’s Ayutthaya: তাইল্যান্ডের আয়ুথায় যেন ভারতের অযোধ্যা, দুই নগরের সেতুবন্ধনে রামচন্দ্র

    Thailand’s Ayutthaya: তাইল্যান্ডের আয়ুথায় যেন ভারতের অযোধ্যা, দুই নগরের সেতুবন্ধনে রামচন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যা ও আয়ুথায় (Thailand’s Ayutthaya) দুই শহর। একটি অবস্থিত ভারতে এবং অপরটি তাইল্যান্ডে। এই দুটি স্থানের মধ্যে ভৌগলিক দূরত্ব অনেকটাই কিন্তু দুই শহরকে জুড়েছে আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্ম বিশ্বাস। ভারতের রাম জন্মভূমির প্রতিধ্বনি যেন শোনা যাচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিদেশি শহর আয়ুথায়তে। রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে সাজসাজো রব চলছে অযোধ্যায়। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। অন্যদিকে তাইল্যান্ডের আয়ুথায়তেও চলছে সেই মুহূর্তের উদযাপনের প্রস্তুতি।

    আয়ুথায় থেকে মাটি ও জল এসেছে অযোধ্যায় 

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে ইতিমধ্যে আয়ুথায় থেকে মাটি ও জল আনা হয়েছে। তাইল্যান্ডের ৩ নদীর জল এসেছে রাম মন্দিরের নির্মাণে। এই নদীগুলি হল চাও ফ্রায়া, লোপ বুড়ি, এবং পা সাক। নদীর তীরে অবস্থিত প্রাচীন শহর আয়ুথায় (Thailand’s Ayutthaya) ব্যাংকক থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং তা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমাও পেয়েছে, শহরে গৌরবময় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের জন্য।

    কী বলছেন হিন্দু সংগঠনগুলির নেতৃত্ব

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যাংকক শাখার সদস্যরা বলছেন, আয়ুথায়তে (Thailand’s Ayutthaya) অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দিরগুলিতে বড় স্ক্রিন লাগানো হবে ২২ জানুয়ারি এবং সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মাটির প্রদীপ সেখানে জ্বালানো হবে সন্ধ্যা বেলায়। রামায়ণ পাঠ এবং তার সঙ্গে রাম ভজনও চলবে দিনভর। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলছেন, “আয়ুথায় হল তাইল্যান্ডের অযোধ্যা। আমরা সেখান থেকে পবিত্র মাটি এবং জল পেয়েছি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের জন্য।” স্বামী বিজ্ঞয়ানন্দ হলেন ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “অযোধ্যার নামকরণ থেকেই আয়ুথায় নামটি এসেছে। ভগবান রামের জন্মস্থান এবং হিন্দু ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক বোঝাতেই এমন নামকরণ আয়ুথায়।” তিনি আরও জানান, রাজা রামাথিবোদি ছিলেন আয়ুথায়ের প্রথম শাসক। তিনিই এই শহরের নামকরণ করেন। এবং এই নামকরণেই বোঝা যায় যে রামায়ণের প্রভাব ঠিক কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তাঁর পরবর্তী চক্র রাজ বংশের রাজারাও রামকে গ্রহণ করেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, আয়ুথায়ের রামায়ণ বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা প্রচার করেছিলেন। তাইল্যান্ডের স্থানীয় ভাষায় যার নাম হয়েছিল রামাকিয়েন। ফ্রা নাখোন সি  হল আয়ুথায়ের সরকারি নাম। এই শহর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দে এবং এটি ছিল সিয়ামিজ রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানী।

    ১৭৬৭ সালে বর্মা সেনার আক্রমণে ধ্বংস হয় আয়ুথায় 

    সিয়ামিজ বংশের রাজা কিং ইউথং তিনি পরবর্তীকালের জনপ্রিয় হয়েছিলেন রামাথিবোদি নামে।  জানা যায়, ১৪ থেকে ১৮ শতকের মধ্যে খুবই  দ্রুত বেড়ে উঠেছিল এই শহর এবং পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম নগর হয়ে উঠেছিল। জানা যায়, ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে বর্মা সেনা আক্রমণ করে এই শহর এবং লুটপাট চালায় প্রচুর। এখানকার বাসিন্দারা শহর ছাড়তে বাধ্য হন। কার্যত বর্মার সেনারা এই শহরকে জ্বালিয়ে দেয়। পরবর্তীকালে তা নতুনভাবে আর গড়ে ওঠেনি সেই একই স্থানে এবং এটি একটি আর্কিওলজিক্যাল সাইট হিসেবেই থেকে গিয়েছে। আয়ুথায় (Thailand’s Ayutthaya) এখন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্কিওলজিক্যাল ধ্বংসাবশেষ হিসেবে থেকে গিয়েছে।

    তাইল্যান্ডের রামায়ণ হল রামাকিয়েন

    সংস্কৃতের পণ্ডিত পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত সত্যব্রত শাস্ত্রী তাই ভাষায় রামাকিয়েনকে সংস্কৃততে অনুবাদ করেন। রামাকিয়েন বাল্মিকী রচিত রামায়ণকে অনুসরণ করে গড়ে ওঠেনি অথবা অন্য কোনও ভারতীয় রামায়ণকে অনুসরণও এখানে করা হয়নি। তাইল্যান্ডের (Thailand’s Ayutthaya) অন্যতম অধ্যাপক সুরেশ পাল গিরি বলেন, “বর্মার সৈন্যরা যখন এই শহরকে ধ্বংস করেছিল, তখন একজন নতুন রাজার উত্থান হয়েছিল।” তিনি নিজেকে প্রথম রাম বলে অভিহিত করেছেন। ওই রাজা একটি শহরকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা বর্তমানে ব্যাংকক নামে পরিচিত। তিনি রামাকিয়েন লেখেন যা কিনা স্থানীয় ভাষায় রামায়ণ বলেই পরিচিত। এই রামায়ণ বর্তমানে সে দেশের জাতীয় মহাকাব্য হিসেবে উঠে এসেছে এবং বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতেও রামাকিয়ানের বিভিন্ন বাণী নজরে পড়ে। জানা যায়, ওই রাজা একজন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন তবুও তিনি ভগবান রামের আরাধনা করতেন।

    হিন্দু সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তাইল্যান্ড

    তাইল্যান্ডে এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক শুধুমাত্র রামচন্দ্র বা অযোধ্যাকেন্দ্রিক নয়। এর প্রতিফলন বিভিন্ন উৎসবেও মেলে। যেমন ভারতের দীপাবলি তাইল্যান্ডে পালিত হয় লয় কার্থং নামে। তাইল্যান্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেখা মেলে শিব, পার্বতী, গণেশ, ইন্দ্র এই সমস্ত মূর্তির। হিন্দু সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র বলা চলে এই দেশকে। ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের দেওয়ালে নজরে পড়ে সমুদ্র মন্থনের বিভিন্ন দৃশ্য যা বিষ্ণু পুরাণ থেকে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আয়ুথায় ছাড়াও তাইল্যান্ডের প্রায় প্রত্যেক মন্দিরেই ২২ জানুয়ারি মহাসমারোহে পালন করা হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন উৎসব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India-Maldives Relationship: ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

    India-Maldives Relationship: ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক বিতর্কের মধ্যেই উগান্ডার কাম্পালায় জোট নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর (ন্যাম) বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে মলদ্বীপের (India-Maldives Relationship) বিদেশমন্ত্রী মুসা জমিরের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরার নিরিখে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আর বৈঠক বেশ ফলপ্রসুও হয়েছে। মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এস জয়শংকর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে ‘খোলামেলা আলোচনা’ হয়েছে তাঁদের মধ্যে। 

    জয়শঙ্করের বার্তা

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে বৈঠকের ছবি দিয়ে জয়শঙ্কর জানালেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে ‘ন্যাম’ সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও।” কূটনৈতিক শিবিরের মতে, সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সচিবালয় ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনাদের মলদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার প্রেক্ষাপটে জয়শঙ্করের আজকের পার্শ্ববৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক দ্বৈরথের পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকে মলদ্বীপবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টাও করা হচ্ছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে সামরিক কুচকাওয়াজে আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মলদ্বীপের (India-Maldives Relationship) যুবা ক্যাডেটরা। পাশাপাশি ওই রাষ্ট্রের এক ঝাঁক যুবা আমলা হায়দরাবাদে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পঞ্চায়েত রাজ’-এ কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ নেবেন।

    শুক্রবার থেকেই উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় শুরু হচ্ছে নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (NAM) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন। দু’দিন ধরে চলবে এই সম্মেলন। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই কাম্পালায় গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। মলদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ সোশ্যাল মিডিয়ার লড়াই চলছে। মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করার কথাও বলেছে সে দেশের সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ভারত ও মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে। তখনই দুই দেশের মধ্যে আলাচনা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিষেকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সেই আবেদন শুনানির আগেই খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোনও যুক্তির ওপর নির্ভর করে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    কেন খারিজ মামলা

    সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন এক যুব তৃণমূল নেতা। তার প্রতিক্রিয়ায় পালটা প্রকাশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর সম্পত্তির তালিকা প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ছোড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আদালতে গিয়ে অভিষেক দাবি করেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য যেন তদন্তকে প্রভাবিত না করে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন। তাই বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অভিমত, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আবেদনে কোনও যুক্তি নেই। মামলাটি খারিজ করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী বলল আদালত

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আরও আবেদন, কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলিকে (যেগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে বিচারাধীন) তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে সেখানে স্থানান্তর করা হোক। এই আর্জিও এদিন শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, অভিষেককে নতুন করে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত এর আগে অভিষেকের আবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির বেশ কয়েকটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলা এখন বিচারপতি সিনহার এজলাসে বিচারাধীন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Scam) মামলায় গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, হার্ড ডিস্ক এবং তার মধ্যে থাকা ওএমআর-সহ সমস্ত নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারির মধ্য়ে ওই সমস্ত নথি আদালতে জমা দিতে হবে। যদি পরবর্তী শুনানির দিন কোনও কারণে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হয়, তাহলে মামলা চলাকালীন তা পেশ করতে হবে।

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানিতে বিচারপতি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হলেও তার মধ্যে থাকা নথির কপি পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে। এদিন সিবিআই-এর পাশাপাশি এসএসসি-র (SSC Scam) কাছে থাকা এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিও পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সংক্রান্ত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে রয়েছে। আদালতে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ চাইছেন, উত্তরপত্র আদালতের সামনে আসুক। একাদশ-দ্বাদশে চাকরিপ্রাপকদের দু’জন ওএমআর শিট দেখতে চেয়েছেন। তাঁরা নিজেরা ওই উত্তরপত্র পরীক্ষা করে দেখতে চান। তবে বাকি চাকরিপ্রাপকেরা উত্তরপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিপক্ষে। তাঁরা জানিয়েছেন, ডিজিটাল এই নথির সত্যতা নিয়েই তাঁদের সন্দেহ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আদালতে খারিজ আবেদন, সরকারি বাংলো খালি করলেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    সিবিআই-এর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “এই মামলার তদন্তে আমরা যে যে নথি এবং তথ্য উদ্ধার করেছি তার সবগুলিই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC Scam) দিয়েছি। তারা সেগুলি খতিয়ে দেখে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক সওয়াল করেন, “এসএসসি র ওপর আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব? এসএসসি বারবার তার অবস্থান বদল করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে তারা ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এই এজলাসেও এসএসসি সর্বশেষ যে হলফনামা দাখিল করেছে সেখানেও তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।” এরপরই আদালত সিবিআইকে নথি পেশ করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Iran Pakistan Conflict: ফের আকাশপথে হামলা চালাতে পারে ইরান! পাকিস্তানে জারি ‘হাই-অ্যালার্ট’

    Iran Pakistan Conflict: ফের আকাশপথে হামলা চালাতে পারে ইরান! পাকিস্তানে জারি ‘হাই-অ্যালার্ট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশপথে হামলা করতে পারে ইরান (Iran Pakistan Conflict)। সেই আশঙ্কায় পাকিস্তানে জারি হয়েছে হাই-অ্যালার্ট (Pakistan on High Alert)। যদি দুদেশের মধ্যে যুদ্ধে বাঁধে, তাই আগাম পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং গোয়েন্দাকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন পাকিস্তানের তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকর। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে পাক সেনাও। দুদেশের মধ্যে থাকা প্রায় ৯০০ কিলোমিটার সীমান্তে সেনা-অস্ত্র মোতায়েন বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ইরান-পাকিস্তান সংঘাত (Iran Pakistan Conflict)

    ইরান-পাকিস্তানের এই সাম্প্রতিকতম সংঘাতের সূচনা হয় বুধবার। পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে হামলা চালায় ইরান। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জয়েশ অল-আদাল গোষ্ঠী বা ‘আর্মি অফ জাস্টিস’-এর ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান। ইরানের দাবি, এই জঙ্গি সংগঠন তাদের মাটিতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। 

    এর ‘প্রতিশোধ’ নিতে ২৪-ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ইরানের মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পাকিস্তান। পাক সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠনের ঘাঁটিতে এই হামলা চালিয়েছে তারা। পাকিস্তান দাবি করছে, এই অভিযানে তারা জঙ্গিদের খতম করেছে। তবে তেহরানের পাল্টা দাবি, পাক এয়ারস্ট্রাইকে চার শিশু এবং তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ফের পাক ভূমে ইরান নতুন করে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা (Pakistan on High Alert) করছে পাক প্রশাসক ও সেদেশের সেনা। 

    নতুন হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান

    ইসলামাবাদের এই আশঙ্কাযে অমূলক নয়, তার আভাস মিলেছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেই। ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের হামলার জবাব দেওয়ার জন্য জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে তেহরান (Iran Pakistan Conflict)। খুব শীঘ্রই পাক-ভূমে নতুন হামলা হতে পারে পারে সংবাদমাধ্যমটি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা  উড়িয়ে দিচ্ছেনা তারা। এই পরিস্থিতিতে ৯০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ দু’দুদেশের সীমান্তে তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে (Pakistan on High Alert)। ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের দুদিকে সেনা ও অস্ত্রের সমাগমে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সীমান্তের একদিকে ইরানের সিস্তান প্রদেশ। সীমান্তের ওপারে রয়েছে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ।

    আরেকটা যুদ্ধের ভ্রুকুটি

    ২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। প্রায় দু’বছর পরেও যুদ্ধ থামেনি। তারই মধ্যে গত ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস গোষ্ঠী। এরপর শুরু হয় সংঘর্য। এখনও সেই সংঘর্ষ চলছে। এবার ইরান-পাকিস্তান (Iran Pakistan Conflict) পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক মহলে।

  • Mahua Moitra: আদালতে খারিজ আবেদন, সরকারি বাংলো খালি করলেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া

    Mahua Moitra: আদালতে খারিজ আবেদন, সরকারি বাংলো খালি করলেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র যাতে সরকারি বাংলো খালি করতে না হয়। কিন্তু মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) আবেদন গতকালই খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। শুক্রবার সকালেই বাংলো খালি করলেন ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া (Mahua Moitra)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের অধীন ‘ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট’- এর আধিকারিকরা এসে মহুয়ার বাংলো খালি করার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

    ডিসেম্বরেই সাংসদ পদ খারিজ হয় মহুয়ার 

    প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর লোকসভায় সাংসদ পদ খারিজ হয় মহুয়া মৈত্রর। সে সময় তাঁকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করা নির্দেশ দেয় ‘ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট’। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তাই ফের তাঁর কাছে নোটিশ পাঠানো হয়। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গেলে সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়। জানা গিয়েছে, দিল্লির টেলিগ্রাফ লেনে ৯বি নম্বর বাংলোটি ছিল মহুয়া মৈত্রর।

    দর্শন হিরানন্দানির কাছে টাকা নিতেন মহুয়া

    মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে দুবাই কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে তিনি সুযোগ-সুবিধা নিতেন। তাঁর কাছ থেকে বিদেশ ট্যুরের টাকাও নেন মহুয়া। এর বিনিময়ে দর্শন হিরানন্দানির সাজিয়ে দেওয়া প্রশ্নগুলোই সংসদে উত্থাপন করতেন তিনি। শুধু তাই নয় সংসদের লগ-ইন আইডিও ছিল দর্শন হিরানন্দানির সংস্থার কাছেই। ওই সংস্থার এক কর্মী মহুয়ার হয়ে সংদের পোর্টালে লগ-ইন করে প্রশ্ন উত্থাপন করতেন। এরপরেই তাঁকে (মহুয়া মৈত্র) সংসদের এথিক্স কমিটি তলব করে। সেখানেও একপ্রস্থ নাটক করেন মহুয়া (Mahua Moitra)। এথিক্স কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেন। পরবর্তীকালে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share