Tag: Madhyom

Madhyom

  • Weather Update: দিনে কাঁপছে কলকাতা! রাতে বাড়ল তাপমাত্রা, সপ্তাহান্তে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    Weather Update: দিনে কাঁপছে কলকাতা! রাতে বাড়ল তাপমাত্রা, সপ্তাহান্তে কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুয়াশা-মাখা সকালেই ঘুম ভাঙল কলকাতার। লেপ-কম্বল ছাড়তেই ইচ্ছে করছে না। তবু স্কুল-অফিস, ছুটি তো নেই! বেলা বাড়তে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও অনবরত বইছে ঠান্ডা হাওয়া। তারপর গতকালের বৃষ্টি। যার জেরে কার্যত জুবুথুবু অবস্থা শহরবাসীর। দিন যেন দিন নয়। স্বাভাবিকের অনেকটা নিচে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Weather Update) । আবার মেঘে ঢাকা আকাশ থাকার জন্যই রাতে পারদপতনে বাধা।

    শীতের আমেজ শহর জুড়ে

    ঠান্ডার মধ্যে মূলত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে অস্বস্তি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.২ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ ডিগ্রি কম। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.১ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। আবহবিদরা (Weather Update) বলছেন, আজ দক্ষিণবঙ্গের ২ জেলায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারেও দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি চলবে। শুক্রবার সকালের দিকে শহর কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। শীতের আমেজ থাকলেও কাঁপন কমেছে।  কলকাতার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। বৃষ্টির পরেও তাপমাত্রা খুব একটা নামবে না, বরং বাড়তে পারে। 

    আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর এল চাকরির চিঠি! ষাটোর্ধ্ব ৬২ জনকেও শিক্ষকের নিয়োগপত্র রাজ্যের

    কুয়াশার দাপট

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে (Weather Update) জানা গিয়েছে, আপাতত আগামী দিন চারেক উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশার (Fog) দাপট থাকবে। এমনিতেই মারাত্মক ঠান্ডায় কাঁপছে শৈলশহর দার্জিলিং (Darjeeling)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Forecast) বলছে এবার শূন্যের নীচে নেমে যেতে পারে পাহাড়নগরী দার্জিলিঙের পারদ (Darjeeling Weather)। হতে পারে তুষারপাতও। আগামী  দু-তিনদিন ঠান্ডায় কাঁপবে উত্তরবঙ্গে পাহাড়ি এলাকাগুলি। পার্বত্য এলাকাগুলিতে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। জমিয়ে শীত উপভোগ করছেন উত্তরবঙ্গবাসী। আগামী কয়েক দিন একইরকম থাকবে আবহাওয়া।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডলম্যান’ হিসাবে গ্রেফতার (Recruitment Scam) হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। গতকাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁরই বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, অফিসে হানা দেয়। সূত্রের খবর, প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানা থেকে প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি চালান বলে খবর। ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন রায়ের অফিস ছিল টাকা লেনদেনের অন্যতম বড় আস্তানা, প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম ‘মিডলম্যান’। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি করে দেওয়া হতো তাঁর অফিসের মাধ্যমে। সেই টাকা তারপর পৌঁছে যেত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে।

    জিজ্ঞাসাবাদ প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীকেও

    তদন্তের শেষে তিনটি ট্রাঙ্ক ও তিনটি ট্রলিতে ভর্তি করে কাগজপত্র নিয়ে যায় ইডি। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথির মধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের পাস বইও রয়েছে। গতকাল রাতে সস্ত্রীক প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদও করেন আধিকারিকরা। তদন্তে (Recruitment Scam) নেমে ইডি আধিকারিকরা প্রসন্ন রায়ের অফিসের কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    সাত সকালেই হাজির হয় ইডি 

    জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহারও ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। এর আগে প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানায় সিবিআই তল্লাশি চালালেও এই প্রথম অভিযানে নামে ইডি। গতকাল সকালেই ইডি আধিকারিকরা নিউটাউনে অবস্থিত প্রসন্ন রায়ের অফিসে প্রথমে পৌঁছান। তবে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর চাবি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার প্রসন্ন ঘনিষ্ঠ এক পরিবহণ ব্যবসায়ী রোহিত ঝা-এর বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment: মৃত্যুর পর চাকরির চিঠি পেলেন ৪ জন! ৬২ ষাটোর্ধ্বকেও শিক্ষকের নিয়োগপত্র রাজ্যের

    Primary Recruitment: মৃত্যুর পর চাকরির চিঠি পেলেন ৪ জন! ৬২ ষাটোর্ধ্বকেও শিক্ষকের নিয়োগপত্র রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে জীবন শেষ। মৃত্যুর পর ব্যাক্তির নামে ইস্যু হল প্রাথমিকে চাকরির নিয়োগপত্র। একজন নয়, এমন চারজন রয়েছেন, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে এবং এতদিন পর নিয়োগপত্র ইস্যু হয়েছে। হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই নিয়োগ পত্র ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবিপিটিএ এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। বিজেপির অভিযোগ অকর্মণ্যদের দিয়ে কাজ চললে এমনই হয়।

    প্রবীণদের নিয়োগপত্র

    সম্প্রতি হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন ৬৬ জনের নিয়োগপত্র দেন, যাঁদের সকলেরই বয়স ষাট পেরিয়ে গিয়েছে। চারজনের মৃত্যুও হয়েছে। একদিকে যখন চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এক ঝাঁক তরুণরা, তখন অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়া প্রবীণ-বৃদ্ধদের হাতে এল চাকরির নিয়োগপত্র। এই বয়সে নিয়োগপত্র কী জন্য হাতে এল, তাও স্পষ্ট নয় প্রবীণদের অনেকের কাছে। এদিকে নিয়োগপত্রে স্কুলের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাই ধোঁয়াশা কাটাতে কেউ ছুটছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলে। আবার কেউ ছুটছেন সার্কেল অফিসে। 

    কী বলছেন প্রবীণরা

    নিয়োগপত্র পেয়েছেন এমন একজন হলেন পান্ডুয়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু ভট্টাচার্য। তিনি পান্ডুয়া সার্কেলে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বলেন, ‘সে সময় বামফ্রন্ট সরকার ছিল, আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলাম। আমারা চাকরি পাইনি। পরে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। এখন শিক্ষা সংসদ থেকে নিয়োগপত্র পেয়েছি। কী করে হল জানি না।’ আবার ৭১ বছরের বৃদ্ধ অচিন্ত আদক বলেন, ‘আমরা ৮৩ সালে মামলা করেছিলাম। এখন চাকরি দিচ্ছে, কী করে দিল জানি না। ষাট বছরে তো অবসর হয়, আর এই বয়সে কী করে চাকরি করব?’

    তদন্তের দাবি

    এবিটিএ কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহন পণ্ডিতের কথায়, ‘সারা ভারতবর্ষে এই ধরনের ঘটনা হয়নি। অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সাল থেকে তারা এফেক্ট পাবেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরই চাকরি চলে যাবে। এবং পঞ্চাশ লাখ টাকা করে পাবে। এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা। আমরা তদন্ত চাই বিষয়টার সত্য উদঘাটিত হোক।’ বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, ‘মারা গিয়েছেন এমন লোককেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিদের কারোরই চাকরির বয়স নেই। এমন একটা অকর্মণ্য সরকার চলছে যাদের কাছে কোনও খবরই নেই কে মারা গেল কে জীবিত আছে। হাইকোর্টে শিক্ষা সংসদের আইনজীবী ছিলেন সেখানে কেন আপডেটেড তথ্য দেওয়া হয়নি? জনগনের টাকা এই ভাবে অপচয় হচ্ছে।’ 

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    প্রবীণ ষাটোর্ধ্ব চাকরি-প্রাপকরা বলছেন, নিয়োগপত্রে সই রয়েছে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন শিল্পা নন্দীর। বিষয়টি নিয়ে তাই যোগাযোগ করা হয়েছিল শিল্পা নন্দীর সঙ্গেও। কিন্তু তিনি কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। চুপ শিক্ষা সংসদও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘বাবা’র ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, করলেন কন্যাদান

    Narendra Modi: ‘বাবা’র ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, করলেন কন্যাদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ তাঁকে চেনে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তিনি বিশ্বনেতা (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার ভারতের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেল ‘বাবা’র ভূমিকায়। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন দক্ষিণ ভারতের সফরে। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে বিগত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন মন্দির দর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী। পালন করছেন তাঁর বিশেষ ব্রত। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন কেরালার ত্রিশূরের গুরুভায়ুর শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে। সেখানেই পুজো দেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি যোগ দেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে কন্যাদানও করতে দেখা যায়।

    কার হয়ে কন্যাদান করলেন মোদি?

    দক্ষিণের সুপারস্টার সুরেশ গোপীর কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, সুরেশ এক জন খ্যাতনামা দক্ষিণী অভিনেতা তো বটেই, সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদও তিনি। একাধিকাবার নিজের পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। নরেন্দ্র মোদি তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। এবার নিজের কন্যাদানের গুরু দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতেই তুলে দিলেন সুরেশ। প্রধানমন্ত্রী এদিন বিবাহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণামও করেন, ঠিক যেভাবে কোনও কন্যার পিতাকে নিজের মেয়ের বিবাহে দেখা যায়।

    হিন্দু রীতি অনুযায়ী কন্যাদান

    হিন্দু রীতি অনুসারে, কন্যাদানের দায়িত্ব অর্পিত থাকে পিতা বা পিতার অবর্তমানে পিতৃস্থানীয় কারও। পরিবারের জ্যাঠা, কাকা বা মামারাও এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ওই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীকে পিতার ভূমিকায় দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেক বিশিষ্টজনই।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Uzbekistan: ব্যর্থ সুনীলদের লড়াই, উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হার ভারতের

    India vs Uzbekistan: ব্যর্থ সুনীলদের লড়াই, উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও হার মানল ভারত। এশিয়ান কাপে জয়ে ফিরতে পারল না সুনীলরা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াকু ফুটবলের পর উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধেও লড়াই করল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু প্রথমার্ধে রক্ষণের কিছু ভুলে ৩-০ গোলে ম্যাচ হারতে হল ভারতকে। 

    রক্ষণের ভুল চোখে পড়ল

    ভারতের রক্ষণকে থিতু হওয়ার সময় দিলে তা ভাঙতে সমস্যা হবে, বুঝে গিয়েছিল উজবেকিস্তান। তাই খেলার শুরুতেই গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করল তারা। ম্যাচের ৪ মিনিটেই গোল করলেন আব্বোসবেক ফাইজুলায়েভ। বক্সের মাথা থেকে বল বাড়ান শেরজদ নাসরুল্লায়েভ। দৈহিক উচ্চতা কাজে লাগিয়ে হেডে গোল করেন ফয়জুল্লায়েভ। এগিয়ে যায় উজবেকিস্তান। দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি উজবেকিস্তানকে। ১৮ মিনিটে ফের রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয় ভারতকে। ফয়জুল্লায়েভ বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে সেই শট আকাশ মিশ্রর গায়ে লেগে বারে প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে। কিন্তু রক্ষণের কেউ না থাকায় তা ক্লিয়ার করা যায়নি। ভারতীয় ডিফেন্স পুরো বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল। সেই বল ফলো করে এসে সার্জিভ সহজেই গোল করে। ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল খায় ভারত। নাসরুল্লায়েভের একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বল ধরেই দলের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন নাসরুল্লায়েভ।

    সিরিয়াকে হারাতেই হবে

    দ্বিতীয়ার্ধে, ভারতীয় দল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। কিন্তু কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় সুনীলরা। ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকায় বেশি ঝুঁকি নিচ্ছিল না উজবেকিস্তান। নিজেদের মধ্যে বল ধরে রাখার খেলা খেলছিল তারা। তাগিদ দেখাচ্ছিল ভারত। গোলের জন্য ওঠায় কোনও কোনও সময়ে রক্ষণে ফাঁক তৈরি হচ্ছিল। সেখান থেকে প্রতিআক্রমণে উঠছিল উজবেকিস্তান। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পথ অনেক কঠিন হয়ে গেল ভারতের। এশিয়ান কাপের নক আউটে যেতে হলে পরের ম্যাচে সিরিয়াকে হারাতেই হবে ভারতকে। তারপর নির্ভর করতে হবে নানা অঙ্কের উপর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ তারিখে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যাতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখতে পারেন, তাই ঘোষণা করা হয়েছে অর্ধদিবস ছুটি।

    অর্ধদিবস ছুটি

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি সব কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রীয় সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। বিজেপি-শাসিত রাজ্যেও রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে ছুটি। উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিন মদের দোকান বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, অসম এবং হরিয়ানা সরকারও। স্কুল ও সরকারি অফিসে ছুটি ঘোষণা করেছে গোয়া সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গে এদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়নি।

    বার কাউন্সিলের আর্জি

    মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ছুটি ঘোষণার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছে বার কাউন্সিল। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র রাম মন্দির উদ্বোধনের তাৎপর্য, ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এর নানা প্রভাবের উল্লেখ করেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠানটি হবে সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে ডিডি নিউজ ও ডিডি ন্যাশনালে। ইউটিউবে দূরদর্শনের চ্যানেলেও লাইভ দেখা যাবে অনুষ্ঠানটি।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    সোমবারের অনুষ্ঠান নিয়ে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব গোটা দেশে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার আমন্ত্রিত। এঁদের মধ্যে ভিভিআইপি রয়েছেন তিন হাজার জন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে। অতিথিদের থাকার জন্য বুক করা হয়ে গিয়েছে হোটেল। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকে। তৈরি করা হয়েছে নয়া বিমানবন্দরও। যেহেতু ২২ তারিখে ভিভিআইপির ভিড়ে ঠাসা থাকবে অযোধ্যা, তাই আমজনতা দেব দর্শন করতে পারবে তার পরের দিন থেকে। মন্দির কমিটির আশা, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার মানুষ অযোধ্যায় আসবেন দেব (Ram Mandir) দর্শনে।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি বাংলা বলতে চাই। আপনারাও বাংলায় সওয়াল করুন।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মঙ্গলবারই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টে কেন বাংলায় মামলার সওয়াল করা হবে না?’  

    ‘আমি বাংলায় বলতে চাই’

    বৃহস্পতিবার এজলাসে ঢুকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি বাংলায় বলতে চাই। আমি আশা করব, আপনারাও বাংলায় সওয়াল করবেন। কারণ এজলাসে উপস্থিত অনেক মামলাকারী রয়েছেন, যাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়। তবে কারও অসুবিধা থাকলে তিনি ইংরেজিতেই বলতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট উত্তর চাইলে তার উত্তরও দেব। আদালতকে আমাদের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।” আইনজীবী শীর্ষন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আইনের সমস্ত বিষয় ইংরেজিতেই হয়ে থাকে। বাংলায় সওয়াল করলে কীভাবে চলবে? সওয়াল পর্ব কী কাজে ব্যবহার করা হবে?

    ‘২১ ফেব্রুয়ারি অর্থহীন হয়ে পড়বে’

    প্রত্যুত্তরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি তা বলিনি। আদালত চত্বরে যাঁরা আসেন, আদালত কক্ষে কী হচ্ছে তাঁরা যাতে তা বুঝতে পারেন, সেকথা ভেবেই সওয়ালটা বাংলায় করা হোক। কারও বাংলায় সমস্যা থাকলে ইংরেজিতে বলতে পারবেন। আমি বাংলায় বলতে চাই। অন্য দিনও বাংলায় শুনানি করব।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি এখানে অনেকে এসে বাংলায় কথা বলেছেন বলে জিভ কাটছেন। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যেখানে জিভ কাটতে হয়, সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির কোনও মানে হয় না।” আইনজীবী তথা কলকাতা পুরসভার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “এটা ভালো সিদ্ধান্ত। ভারতের বিভিন্ন আদালতে সেখানকার মাতৃভাষায় কথোপকথন হয়।”

    আরও পড়ুুন: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    এই সময় বিচারপতি আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, “এই শুরুটা আপনি করুন। ভাষার প্রতি সংবেদনশীলতা থাকা প্রয়োজন।” এই সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই বাংলা নিয়ে কেউ আমার কাছে ব্যাখ্যা চাইলে আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে তার উত্তর দেব।” এর পরেই বাংলায় কোর্ট অফিসারকে বিচারপতি বলেন, “তালিকায় থাকা পরের মামলাটি ডাকা হোক।” দেশের গা থেকে পরাধীনতার গ্লানি মুছতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার আদালতের গা থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের গন্ধ মোছার ‘ভগীরথ’ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CV Ananda Bose: ‘‘দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করুন’’, রাজ্যকে নির্দেশ আনন্দ বোসের

    CV Ananda Bose: ‘‘দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করুন’’, রাজ্যকে নির্দেশ আনন্দ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে নবান্নকে নির্দেশ দিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকারকে এই নিয়োগে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। সূত্রের খবর, রাজভবনের পিস রুমে একাধিক অভিযোগ এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান না থাকায় নানা রকম সমস্যা হচ্ছে বলেই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।

    রাজভবনের নির্দেশ

    রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, রাজভবনের পিস রুমে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তাতে বলা হয়েছে, পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ না হওয়ায় চাকরি পাচ্ছেন না যোগ্য প্রার্থীরা। পিএসসি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে কোনও আধিকারিক নেই দীর্ঘদিন। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে আগেই অপসারণ করা হয়েছে পিএসসি-র চেয়ারম্যানকে। তার পরেও দীর্ঘদিন আর নিয়োগ হয়নি এই পদে। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পিএসসি। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি দফতরে নিয়োগে দেখা দিয়েছে জটিলতা।

    আরও পড়ুুন: এবার ইরানে হানা পাকিস্তানের, এশিয়ার আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ?

    প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটতে থাকে সন্ত্রাসের ঘটনা। তার পরেই রাজভবনে পিস রুম চালু করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জানিয়ে দেন, রাজ্যে কোথাও কেউ আক্রান্ত হলে রাজভবনের পিস রুমে জানাতে পারেন। রাজভবন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এই পিস রুমে অভিযোগ জমা পড়েছিল বিস্তর। তার পর থেকে রাজভবনে খোলাই রয়েছে পিস রুম। যে রুমে প্রায়ই জমা পড়ে কোনও না কোনও অভিযোগ। চাকরি না পাওয়ার কারণ জানিয়ে পিস রুমে অভিযোগ জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তার পরেই রাজ্য সরকারকে দ্রুত পিএসসি-র চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের নির্দেশ দেন আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    Fake Job Card: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ! ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনরেগা প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে এবার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন তাঁদের সকলের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। বৃহস্পতিবার জব কার্ড সংক্রান্ত মামলায় এই কমিটি তৈরি করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই কমিটিতে থাকবেন রাজ্য, কেন্দ্র, ক্যাগ বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের এক জন করে প্রতিনিধি।

    কিসের ভিত্তিতে কমিটি

    ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এর মধ্যে একটি করেছিল শ্রমিকদের একটি সংগঠন। অন্যটি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষেত মজদুর সংগঠনের দাবি ছিল, তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছেন। অথচ কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে এই নিয়ে টানাপড়েনের জন্য প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, শুভেন্দু আদালতকে বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজের নামে বিপুল দুর্নীতি (Fake Job Card) হয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার এই দু’টি মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    কী বলল আদালত

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানতে চান, বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী? প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “দুর্নীতি যতই থাক, যাঁরা প্রকৃত দরিদ্র, তাঁদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।” কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুরুলিয়ায় এই দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া যায়। আদালত যদি সিবিআইকে নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারে। আদালত জানিয়েছে, অভিযোগের গভীরে পৌঁছতে হলে আগে দেখতে হবে যাঁরা প্রাপ্য অর্থের দাবি করছেন, তাঁদের জব কার্ড (Fake Job Card) বৈধ কি না। তাই ভুয়ো জব কার্ড ধরতে বা সঠিক জব কার্ড যাচাই করতেই বৃহস্পতিবার ওই কমিটি তৈরি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়ে তা জানতে চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বছরভর রাজ্য সফর করেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। ছুটে যান এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। এককথায় গোটা রাজ্যকে হাতের তালুর মতো চেনেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিক কী রকম। অতীতে বিবিন্ন ভোটের সময়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদন্তে অথবা রাম নবমীকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। তাই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে খোঁজ নিলেন তিনি। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছিলেন শুভেন্দু

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনেরা। ২২ জানুয়ারি কলকাতায় ‘সংহতি মিছিল’-এর ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার মিছিলে রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হতে পারে তাই তা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ওই দিন স্থানে স্থানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানান বিরোধী দলনেতা। যদিও, শাসক দলের কর্মসূচিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: উদ্বোধনের মুখে রাম মন্দির, কাটোয়ার করসেবক শোনালেন ১৯৯২ সালের অভিজ্ঞতা

    ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ

    ফলে, একদিকে মমতার মিছিল আবার ওইদিন বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও চলবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনে। সেক্ষেত্রে ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এম আবহে ওইদিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা বৃহস্পতিবারই জানতে চাইলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। চিঠিও দিলেন মুখ্যসচিবকে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে রাজ্যপালও যে সর্বদা চিন্তিত থাকেন এই চিঠিই তার প্রতিফলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share