Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayet: চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ে নামলেন গ্রামবাসীরা, জানেনই না পঞ্চায়েত প্রধান!

    Panchayet: চাঁদা তুলে রাস্তা সারাইয়ে নামলেন গ্রামবাসীরা, জানেনই না পঞ্চায়েত প্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি। মাটির রাস্তা হয়নি পাকা। বর্ষায় কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটাচলা করাই দায় হয়ে যায়। কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। স্কুলের কচিকাঁচারা রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় খালে, নালায় পড়ে যায়। অবশেষে বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে, স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রাস্তা সারাই শুরু করলেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফোসকারডাঙা এলাকার ঘটনা। তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন সত্যিই যেন এখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, গ্রামের এই সমস্যা এবং তা থেকে প্রতিকার পেতে গ্রামবাসীরা যে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নাকি তিনি জানেনই না। বলা বাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এটা বিরোধীদের বড় অস্ত্র হতে চলেছে। 

    কীভাবে তৈরি হচ্ছে রাস্তা?

    গ্রামবাসীদের চাঁদায় এখানে বালি ও পাথর কেনা হয়েছে। তারপর কোদাল, বেলচা হাতে নিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজে নেমেছেন বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা রবিবার থেকে এই কাজ শুরু করেছেন। আগামি কয়েকদিনে রাস্তা সারাইয়ের কাজ সম্পন্ন করবেন বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের পঞ্চায়েত ও গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় ফোসকারডাঙা এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 
     

    রাস্তা সারাইয়ে গ্রামের মহিলারাও, কী বললেন তাঁরা?

    গ্রামের পুরুষদের সাথে রাস্তা সারাইয়ের কাজে হাত দিয়েছেন মহিলারাও। গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তী রায় বলেন, “অনেক বলেও আমাদের এলাকার রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষায় এলাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। অসুস্থ মানুষকে কাঁধে করে পাকা রাস্তায় তুলে সেখান থেকে গাড়িতে তুলতে হয়। স্কুলের বাচ্চারা এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খালে, নালায় পড়ে যায়। গ্রামের পঞ্চায়েত ও অঞ্চলের (Panchayet) প্রধানকে বলেও কোন কাজ হয়নি। তাই নিজেরা চাঁদা তুলে সেই টাকা দিয়ে বালি, পাথর কিনেছি। আর আমরা নিজেরা কাজ করে বর্ষার আগেই রাস্তা তৈরি করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আজও চলবে তাপপ্রবাহ! উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Weather Report: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে আজও চলবে তাপপ্রবাহ! উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে আজও রীতিমতো গরমের হলকা ও অস্বস্তি বজায় থাকবে। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি থাকবে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ বিগত কয়েকদিনের মতোই থাকবে। বেলা বাড়লেই রয়েছে লু’-এর সতর্কতা। এ বছর গরমের বাড়াবাড়ি। গত কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি উপরে পারদ। দার্জিলিংয়েও যেন গরমের অনুভূতি। হতাশ পর্যটকরা। তবে উত্তরবঙ্গের মাটি আজ ভিজতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা  

    ২০ এপ্রিল থেকে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলায় বৃষ্টি না হওয়ায় একটাই কারণ ছিল, জলীয় বাষ্পের অভাব। এবার বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করায় সুখবর মিলল। শনিবার ও রবিবার উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে কবে হবে আবহাওয়ার পরিবর্তন

    তবে ২২ শে এপ্রিল আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। প্রচণ্ড গরমের দাবদাহ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। উপকূলের জেলা-সহ তিন-চার জেলায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকতে পারে সপ্তাহের শেষে। 
    জানা গিয়েছে, শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। ২২ এপ্রিল শনিবার দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া। এদিকে, কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় তাপের সঙ্গে শুরু হয়েছে আর্দ্রতার অত্যাচার। ফলে কলকাতায় ভ্যাপসা গরমের দাপট থাকবে। ঘর্মাক্ত পরিবেশে অস্বস্তি আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত তাপপ্রবাহ চলবে (Weather Report)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Threat: তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে, কেন?

    Threat: তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপম দত্তের পর এবার আপনার নম্বর, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়ার অভিযোগ উঠল আনিসুর রহমান ওরফে গুড্ডু রহমান নামে তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাপুটে এক নেতার সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রায় দেখা যায়। ফলে, তৃণমূল কর্মী হয়ে দলীয় কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন ওই কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়া হল?

    মূলত বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে হুমকির (Threat) মুখে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া ৪ নম্বর রেলগেটের পাশে একটি বাড়ি বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছে, সেই নির্মাণে কাউন্সিলর গিয়ে বাধা দেওয়ায় তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। কামারহাটির গুড্ডুর বিরুদ্ধে ওই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর মার্চ মাসে পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে। সেই কাউন্সিলরের মতো কামারহাটি পুরসভার ওই কাউন্সিলরের হাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

    তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় বলেন, আসলে এলাকার মানুষের জন্য আমরা কাজ করি। আমার ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে গিয়ে কাজ করতে বাধা দিয়েছি। এরপরই ওই গুড্ডু আমাকে ফোন করে হুমকি (Threat)  দিতে থাকে। পানিহাটি কাউন্সিলরের মতো আমার হাল হবে বলে হুমকিও দেয়। আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

     এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, এই বিষয়ে আমি খোঁজ নেব। গুড্ডু আমাদের দলেরই কর্মী। তাই, এই ধরনের হুমকির (Threat) ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক নয়। এরকম অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তাই, এখনই এই বিষয়ে কিছু বলছি না। অভিযোগ সত্য হলে দলগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     বিষয়টি সম্পর্কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি-র রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য জয় সাহা বলেন, নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরাই অভিযোগ করছে। বেআইনি নির্মাণ করবে আর কাউন্সিলরকে টাকা দেবে না এটা কখনও হয়? এসব করেই এই দলটাই শেষ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Acrobat: দড়ির উপর খেলায় মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী

    Chinese Acrobat: দড়ির উপর খেলায় মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দড়ির উপর খেলা দেখাতেন (Chinese Acrobat) স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। ৩০-৪০ ফুট উচ্চতায় এক দড়ি থেকে অন্য দড়ি লাফিয়ে ধরতেন। অতখানি উচ্চতায় কখনও জাম্প করে একে অপরকে ধরতেন। কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি। ৩০ ফুট উচ্চতায় স্বামীকে ধরতে গিয়ে হাত ফসকে পড়ে গেলেন স্ত্রী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের আনহুই প্রদেশে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, মৃতা মহিলার নাম সান। অন্যান্যদিনের মতো এদিনও তিনি দড়ির উপর আক্রোব্যাট করছিলেন স্বামীর সঙ্গে। এটাই ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। প্রথম থেকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎই ঘটে এমন দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তাঁদের দুজন কখনও সেফটি বেল্ট পরে স্টান্ট দেখাতেন না। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। মর্মান্তিক এই ভিডিও ইতিমধ্যে পৃথিবী জুড়ে ভাইরাল হয়েছে।

    স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি অশান্তি চলছিল?

    চিনের (Chinese Acrobat) মিডিয়ার একাংশ দাবি করেছে, এদিন ঘটনার সময় বাদানুবাদ চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মৃতার স্বামী। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে কাজ করছি। কখনও আমাদের মধ্যে অশান্তি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। জেলা সভানেত্রীও দলীয় ওই নেতার বিরুদ্ধে দলের কী অবস্থান, তা জানিয়ে দিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    গত মঙ্গলবার তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ ও অন্যান্য নেতৃত্ব। দিলীপ বর্মনকে দেখেই তিনি অন্য নেতাদের মাধ্যমে তাঁকে সেই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ জমা পড়ায় জেলা নেতৃত্ব সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেই নির্দেশ অমান্য করে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় জেলা নেতৃত্ব মঙ্গলবার তাকে সেখান থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য?

    এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলের জেলা সভানেত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ বর্মন। তিনি যে জেলা সভানেত্রী তথা জেলা কমিটিকে মানেন না, সেকথাও বুধবার সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, শিলিগুড়ি পুরভোটে আমাকে এখান থেকে কেউ টিকিট দেয়নি। কলকাতা থেকে আমার টিকিট এসেছে। আর ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। কাজেই তৃণমূলের (TMC) এখানকার নেতানেত্রীরা আমাকে জেতাননি।  তাই, এখানে কে কী বলছেন, আমি সে নিয়ে ভাবতে রাজি নই। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের আমন্ত্রণেই আমি গিয়েছিলাম। আমি গোটা ঘটনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিতভাবে জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  জেলা সভানেত্রী?

    এদিকে দিলীপ বর্মনের এই চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিতর্কিত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল।  জেলা কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না। সেইমতো মঙ্গলবার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি থেকে তাঁকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। এটা আমাদের দলগত সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayet Vote: পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, ক্ষোভে ভোট বয়কটের ডাক

    Panchayet Vote: পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, ক্ষোভে ভোট বয়কটের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের একমাত্র রাস্তা পাকা না হলে ভোট (Panchayet Vote) বয়কটের ডাক দিলেন বাসিন্দারা। এমনকি গ্রামে পাকা রাস্তা না হওয়ায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না, এমনটাই আক্ষেপ তাঁদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘ভোট এলেই রাজনৈতিক নেতারা চিতাবাঘ থেকে ভিজে বিড়াল হয়ে যান। জোড়হাত করে হাজির হন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে গালভরা প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। আর ভোট ফুরোলেই আবার তাঁরা বাঘ হয়ে যান’। বছরের পর বছর এই ঘটনার সাক্ষী হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুরের বাসিন্দারা। তাই এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, গ্রামের রাস্তা তৈরি না হলে কেউই ভোট দিতে যাবেন না।

    কী অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের?

    গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, তৃণমূল দাবি করে, তারা ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে তাদের জননেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় নাকি মানুষের দুয়ারে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে। দরজা, জানালা খুললেই নাকি উন্নয়ন দেখা যায়। এদিকে জগৎপুর গ্রামের মানুষ দরজা খুললেই গ্রীষ্মে প্রখর ধুলোর ঝড় দেখেন, বর্ষায় এক হাঁটু কাদা দেখতে পান, সামান্য বৃষ্টিতেই গ্রামের মহিলারা শাড়ি গুটিয়ে চলাচল করেন, বৃষ্টি হলে ছেলেবুড়ো সকলে জুতো হাতে করেই চলাচল করেন। প্রায় ১ কিমি পথ জুতো হাতে চলার পর পায়ের কাদা পরিষ্কার করে তবেই জুতো পরতে পারেন। দরজা খুলে এই উন্নয়ন যখন দেখা যায়, তখন খাতায়কলমে গ্রামে ঢোকার মুখে উন্নয়নের আরও একটি চিত্র দেখা যায়। সেখানে একটি বড় সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এই বোর্ডটি বছর দুয়েক আগে লাগানো হয়েছিল। বোর্ডের অর্ধেক লেখা প্রায় অস্পষ্ট হয়ে গেছে। ভালো করে পড়া যায় না। মোটামুটি যেটা বোঝা যায় তা হল, সাড়ে ছয় লাখ টাকা ব্যয় করে এই গ্রামের কর্দমাক্ত রাস্তাটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে ভোটের আগে (Panchayet Vote) এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। 

    অশেষ ভোগান্তি নিয়ে গ্রামের মহিলারা কী বলছেন?

    এই বিষয়ে এলাকার গৃহবধূ অনিমা সামন্ত বলেন, “গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিয়ের জন্য দেখাশোনায় যাঁরা আসছেন, তাঁদের একটাই বক্তব্য, এখনও ভাঙাচোরা মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে এখানকার মানুষ। তাহলে বর্ষাকালে  কী পরিস্থিতি তৈরি হয়? একটু বৃষ্টি হয়ে গেলেই আসার আর কোনও পথ নেই। আর যাই হোক, যাঁরা দেখাশোনার জন্য আসবেন, তাঁরা জুতো হাতে এতটা পথ পেরিয়ে আসবেন, তা সম্ভব নয়। তাই কেউ বিয়ে করতে এলে যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে পালকি করে অথবা খালি পায়ে কাদা ভেঙেই আসতে হবে। এতটা ঝুঁকি নিয়ে কেউ বিয়ে করতে চাইছে না এখানে।” অপরদিকে আরেক গৃহবধূ ঝর্ণা সামন্ত বলেন, “মেয়েদের সম্মান রক্ষাও এই গ্রামে যথেষ্ট মুশকিল। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুর উপর পর্যন্ত কাপড় গুটিয়ে চলাচল করতে হয়। বাচ্চা কোলে কাদা ভাঙা যথেষ্ট মুশকিল। সারা বছরই শুনি সব কিছু হয়ে গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। এবার আর প্রতিশ্রুতিতে ভুলছি না। আগে রাস্তা, তারপর ভোট। রাস্তা না হলে কেউ ভোট (Panchayet Vote) দিতে যাব না।

    কী প্রতিশ্রুতি দিলেন অঞ্চল প্রধান?

    এই রাস্তাটি যে সত্যিই প্রয়োজনীয়, তা বালি অঞ্চলের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় পালও স্বীকার করছেন। তিনি বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণ হবে”। সবমিলিয়ে এখন দেখার, প্রশাসন বা শাসকদল ভোট বয়কট Panchayet Vote রুখতে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেয় কি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার বোমাবাজির ঘটনাও ঘটছে। দলীয় কর্মী খুন হওয়ার নজিরও রয়েছে। সেখানে আলিপুরদুয়ারে একেবারে অন্য চিত্র ধরা পড়ল। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামের তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। এই আসনটি এবার মহিলা সংরক্ষিত। তিনি স্ত্রীকেও এবার ভোটে প্রার্থী করতে চান না।

    পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে চান না কেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য?

    আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে কল কল করে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী কালকূট। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। কিন্তু, পাহাড়ি কালকূট নদীর ভাঙনে বিঘার পর বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এর আগে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে রবিবাবু এলাকাবাসীকে ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটারদের কাছে তা রাখতে পারেননি। সেই লোকলজ্জায় আর মানুষের কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবেন না তিনি। দলকে সেই কথা জানিয়েও দিয়েছেন। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস বলেন, “এবার আমার এলাকার পঞ্চায়েতের আসন মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। দল স্ত্রীকে প্রার্থী করার কথা বলেছিল, না করে দিয়েছি। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও নদীভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় আমার পক্ষে আর ভোটের সময় গিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মুখ নেই। তাই, আমি ও আমার পরিবারের কেউ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র আলিপুরদুয়ার জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, “তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। তারা আর এলাকার উন্নয়ন করবে কিভাবে? ভাঙন প্রতিরোধ করার বিষয়ে কারও কোনও উদ্যোগ নেই। দেরি হলেও ওই পঞ্চায়েত সদস্য সেটা বুঝতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগছে।”

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলার কার্যকরি সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখুন, ওই নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য টাকা এসেছিল। তৃণমূল নেতারা সেই টাকা দুর্নীতি করে খেয়ে ফেলেছেন। নাহলে ওই এলাকায় আধিকারিকরা বার বার যাওয়ার পরেও বাঁধ নির্মাণ হবে না কেন?”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক অবশ্য বলেন, “কে প্রার্থী হবেন আর কে হবেন না, তা ঠিক করবে দল। তবে, ওই এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। সমস্যার কথা জানি। ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, কাজ  হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের আশপাশ মাওবাদী পোস্টারে ছয়লাপ! কোথায় জানেন?

    Khardah: স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের আশপাশ মাওবাদী পোস্টারে ছয়লাপ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দহ (Khardah) স্টেশনে মাওবাদী পোস্টার! তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে জঙ্গলমহলে এক সময় এই ধরনের পোস্টার মাঝে মধ্যেই দেখা যেত। দাবি আদায়ে মাওবাদীদের আন্দোলনও করতে দেখেছেন রাজ্যবাসী। এবার খড়দহ (Khardah)  স্টেশন চত্বর মাওবাদী সংগঠনের নাম দেওয়া পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে রয়েছে।  মঙ্গলবার সকালে খড়দহ (Khardah) স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দুপাশে মাওবাদী পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। 

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে?

    খড়দহ (Khardah) স্টেশনের দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টারে লেখা রয়েছে, ২২ এপ্রিল কমরেড লেনিনের নামে আমাদের শপথ, ফ্যাসিবাদকে গুঁড়িয়ে দাও। শ্রমিক কৃষক রাজ বানাও। ঘরে ঘরে বেকার, বাজারে আগুন, ইভিএম ছুঁড়ে ফেলে, এবারে জাগুন। সংখ্যালঘু জনগণ, বাঁচাতে তাদের মান ও প্রাণ দিচ্ছি দেরো অস্ত্রে শান। সরকার বদল পণ্ডশ্রম। বিপ্লবীরাই ওদের যম। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে, মার্কসবাসী লেনিনবাদী  মাওবাদী সংগঠন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কিছু পোস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    এই পোস্টার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খড়দহ (Khardah)  যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, খড়দহে (Khardah) ফ্লাইওভার তৈরি হবে। তাতে কিছু বেআইনি দোকানপাট ভাঙা পড়বে। আর এই সব দোকান থেকে যারা তোলাবাজি  করে, তারা এসব করে বেড়়াচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছেন তার নিরিখে মানুষ তৃণমূলকে ভালোবাসে। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে ভয় দেখিয়ে এ ধরনের পোস্টার লাগানো হচ্ছে। এসব পোস্টার দিয়ে কোনও লাভ হবে না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, মাওবাদীরা এই এলাকায় পোস্টার দিয়েছে তা ভাবা যায় না। জায়গায় জায়গায় এই ধরনের পোস্টার পড়ছে মানে মাওবাদীরা এই সব এলাকাতেও আছে। আজ খড়দহে (Khardah) পড়েছে, কাল সোদপুরে পড়বে। পরে, অন্য কোনও স্টেশনে এই পোস্টার পড়বে। রাজ্যের পরিস্থিতি যা তাতে যা খুশি তাই হচ্ছে। আর মাওবাদীরা তো চাকরি দেয় না। তারা বোমা, গুলি তুলে দেয়। প্রশাসন যদি কড়া হাতে দমন না করে, তাহলে এই সুযোগে মাওবাদীরা ডানা বিস্তার করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gold Smuggling: বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় বিএসএফের হাতে পাকড়াও, উদ্ধার ৩৬ লাখ টাকার সোনা

    Gold Smuggling: বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় বিএসএফের হাতে পাকড়াও, উদ্ধার ৩৬ লাখ টাকার সোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের (Gold Smuggling) সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে গেল এক চোরাকারবারি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃতের নাম দেবাশিষ দেবনাথ। সে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৮১ গ্রাম সোনা, যার মূল্য ৩৬ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তিকে পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে। এই ব্যক্তির সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখাই তদন্তকারী সংস্থার মূল লক্ষ্য।

    কীভাবে ধরা পড়ল ওই যুবক?

    সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, বিএসএফের জওয়ানরা গোপন সূত্রে নির্দিষ্ট খবর পেয়ে নেমেছিলেন স্পেশাল অপারেশনে। আমুদিয়ার দিক থেকে মোটর সাইকেলে আসছিল এক ব্যক্তি। সন্দেহ হওয়ায় তার পথ আটকান জওয়ানরা। বিপদ বুঝে ওই ব্যক্তি তখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে পাকড়াও করে নিয়ে আসা হয় বর্ডার পোস্ট-এ। সেখানেই তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি সোনার বিস্কুট, যেগুলি থাইয়ে টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, এগুলি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার (Gold Smuggling) করা হচ্ছিল।

    জিজ্ঞাসাবাদে আরও কী জানা গেল?

    ধৃত ওই ব্যক্তি বিএসএফের জেরায় জানিয়েছে, সে বাংলাদেশের নাগরিক গোগান মন্ডলের কাছ থেকে হোয়াটস অ্যাপে একটি কল পেয়েছিল ১৫ দিন আগে। তাতে বলা হয়েছিল, তাকে পাঁচটি সোনার বিস্কুট দেওয়া হবে, যেগুলি শায়েস্তানগরের নয়ন নামে একজনের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এই কাজের (Gold Smuggling) জন্য তার পারিশ্রমিক বরাদ্দ হয়েছিল ২০০০ টাকা। টাকার লোভেই সে এই কাজে সম্মতি জানিয়েছিল। এই ঘটনা ফের পরিস্কার করে দিল, সীমান্তে চোরাকারবারিরা এখনও কতটা সক্রিয়। তাই বিএসএফ নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, পুরসভায় দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ

    BJP: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, পুরসভায় দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকদিন আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, নতুন করে এই ঘটনায় আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। দণ্ডিকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতারির ঘটনায় খুশি নয় বিজেপি (BJP)। এর আগেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতাদের দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাটসহ সব থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি (BJP)। এমনকী, জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি করেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই একই দাবিতে ১৭ এপ্রিল বনধ ডেকে ছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। দুই দিনাজপুরে বনধে ভালো সাড়া পড়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতে মঙ্গলবার ফের আন্দোলনে নামল বিজেপি (BJP) ।

    পুরসভায় অবস্থান করে কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দণ্ডিকাণ্ড ইস্যুতে মঙ্গলবার বালুরঘাট পুরসভায় অভিযান চালায় বিজেপি (BJP)। বালুরঘাট টাউন বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন দুপুরে বালুরঘাট পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে বালুরঘাটে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির-র বালুরঘাট টাউনের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত, বিজেপির (BJP) প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মিছিল শেষে পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। বিজেপি-র টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে আমরা আরও বড় আন্দোলনে নামব। এর পাশাপাশি ৮ দফা দাবিও ছিল। অবস্থান বিক্ষোভের পর পুর কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছি। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমাদের আন্দোলন থামবে না।

    বিজেপি-র (BJP) আন্দোলন নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    দণ্ডিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ্তা চক্রবর্তী পুরসভায় আসছেন না। এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, পুরসভার কাজকর্মে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আর দাবিদাওয়া যে কেউ করতেই পারে। আইন আইনের পথে চলবে। এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share