Tag: Madhyom

Madhyom

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানি, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানি, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য জনসাধারণকে হয়রানিতে ফেলার অভিযোগ উঠল বামনগোলা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখালেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, গত ১৬ তারিখ থেকে স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthya Sathi) কাজ শুরু হয়। কয়েকটি কাজ করার পর বামনগোলা ব্লকের আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করা হবে। সেই অনুযায়ী বামনগোলা ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা সকাল দশটা থেকে পাকুয়াহাট কলেজ অডিটোরিয়ামে এসে উপস্থিত হন। সকাল থেকে পাকুয়াহাট কলেজ অডিটোরিয়ামে এসে বহু অপেক্ষা করেও দেখা মেলেনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কর্মীদের। অফিসের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা জানিয়ে দেন, আজ কোনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করা হবে না। আজ তাঁদের ডাকা হয়নি।

    কী বলছেন ক্ষুব্ধ মহিলারা?

    প্রখর রোদে ছাতা মাথায় দিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন বহু মহিলা। তাঁদেরই একজন বললেন, ১৬ তারিখে একবার এসেছিলাম। কিন্তু ফিরে যেতে হয়েছে। এরপর মঙ্গল ও বুধবার সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও লোকই আসেনি। জিজ্ঞাসা করলে বলছে, আমরা কাউকে ডাকিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে ওই মহিলা বলেন, আমাদেরকে ডেকে দিনের পর দিন এভাবে হয়রানিতে ফেলার কী মানে?

    কী আশ্বাস দিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা?

    অবশেষে কার্ড করতে আসা লোকজন ক্ষোভ উগরে দিয়ে মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কের পাকুয়াহাট এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে। অবশেষ খবর পেয়ে বামনগোলা থানার পুলিশ ও বামনগোলা ব্লকের জয়েন্ট ভিডিও ঘটনাস্থলে আসেন। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, আগামী দিনগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড করা হবে নিজ নিজ এলাকায়। কবে কোন জায়গায় হবে, তা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরেই তাঁরা পথ অবরোধ তুলে নেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat Heat wave: ৪১ ডিগ্রিতে জ্বলছে শহর, একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে তাপমাত্রার পারদ

    Balurghat Heat wave: ৪১ ডিগ্রিতে জ্বলছে শহর, একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে তাপমাত্রার পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে দুপুর। বালুরঘাটের রাস্তাঘাট ফাঁকা। শহরে বিগত প্রায় দেড় মাস বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র তাপপ্রবাহে (Balurghat Heat wave) কার্যত ধুঁকছেন জেলাবাসী। বৃষ্টির অভাবে একদিকে যেমন চাষবাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। সমস্যায় শহরবাসী। সকাল থেকেই সূর্যের চোখরাঙানি। তাপমাত্রার পারদ দুপুরে গিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে চল্লিশের কাছাকাছি। 

    এমন আবহাওয়া কবে দেখেছেন, মনে করতে পারছেন না কেউ

    বালুরঘাটে সাধারণ মানুষের কাছে এইরকম আবহাওয়া স্মরণাতীত। ছোট থেকে যাঁরা বালুরঘাটে বড় হয়েছেন, তাঁরাও মনে করতে পারছেন না, এত দীর্ঘ সময় বৃষ্টিবিহীন বালুরঘাট কবে ছিল। এত গরম (Balurghat Heat wave) এর আগে কখনও হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই। সকাল থেকেই রাস্তাঘাট ফাঁকা। অফিসপাড়াতেও সেভাবে ব্যস্ততা চোখে পড়ছে না। জেলাবাসী তাকিয়ে রয়েছেন আকাশের দিকে এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য।

    কংক্রিটের বহুতলই কি এর কারণ?

    গত বছর এই মরশুমে বালুরঘাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫° সেলসিয়াস, এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১°। যা গরমের মরশুমের রেকর্ড তাপমাত্রা (Balurghat Heat wave)। বালুরঘাট শহরের এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ গাছ কেটে, জলাশয় ভরাট করে কংক্রিটের বহুতল গড়ে তোলা বলে জানান পরিবেশপ্রেমী তুহিনশুভ্র মন্ডল। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পুরসভা, প্রশাসন সহ শহরের মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।

    তিনি বলেন, আসলে বালুরঘাটের মতো আপাত দূষণহীন একটা শহরে, বালুরঘাটের মতো সবুজ একটা শহরে কেন হঠাৎ এত গরম বাড়ছে? আমরা একটা সমীক্ষা করে দেখেছি, প্রতি বছর শহরে গাছের সংখ্যা কমছে। প্রতি বছর ক্রমশ হাইরাইজের সংখ্যা বাড়ছে, জলাভূমিকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা অনেকবার পৌরসভা এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সচেতনতার বার্তা নিয়ে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছেছি। বিপদ আমাদের ঘরের দুয়ারে চলে এসেছে। পরিবেশকে বাঁচাতে না পারলে আমরা কেউ বাঁচবো না। এটা বোঝার সময় হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chicken: সানস্ট্রোকে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    Chicken: সানস্ট্রোকে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির (Chicken)৷ আর এই কারণে আগুন দাম হতে পারে মুরগির মাংসের, এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি ২৪০ টাকার আশপাশে দাম চলছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এরকম চলতে থাকলে তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেটাই এখন চরম দুশ্চিন্তার বিষয়। বোলপুরের বেশ কয়েকটি ফার্মে কয়েকদিন ধরেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে মুরগি৷ স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের৷

    কোনও ব্যবস্থাই কাজে আসছে না

    কয়েকদিন ধরেই বীরভূমের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে৷ কখনও কখনও ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল সাধারণ জনজীবন৷ অতিষ্ঠ পশু-পাখিরাও৷ শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতরের তরফে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বইছে লু৷ এই তাপপ্রবাহের কা্রণেই মৃত্যু হচ্ছে পোলট্রি মুরগির (Chicken)। বোলপুরের সিয়ান এলাকায় প্রচুর পোলট্রি মুরগির ফার্ম রয়েছে। এমনিতেই গরমে মাংসের বিক্রি কমে গিয়েছে। কমেছে ডিমের চাহিদাও। গরম থেকে মুরগিদের বাঁচাতে ফার্মের জলছাদ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ফ্যান। তা সত্ত্বেও প্রতিদিন শয়ে শয়ে মুরগি মারা যাচ্ছে৷ দাবদাহ এতটাই বেশি যে কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না৷ 

    কী বলছেন ফার্ম মালিকরা?

    এক পোলট্রি ফার্ম মালিক মনির শেখ বলেন, “রোজ এসে দেখছি ৫০ থেকে ৬০ টি করে মুরগি মরে পড়ে আছে৷ এত গরম পড়েছে, সানস্ট্রোক হয়ে মারা যাচ্ছে মুরগি (Chicken)৷ ছাদে জল দিচ্ছি। ফ্যান লাগিয়ে দিচ্ছি। তাতেও কাজ হচ্ছে না৷ শুধু আমার ফার্মে নয়, আশপাশের ফার্মেও একই অবস্থা।”

    মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    উল্লেখ্য, পোলট্রির মুরগি এমনিতেই দুর্বল প্রাণী৷ অতিরিক্ত গরম ও ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না৷ এবছর তাপমাত্রার পারদ চড়তেই থাকছে৷ এখনই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে তীব্র গরমে প্রতিটি ফার্মে রোজ শয়ে শয়ে মৃত মুরগি (Chicken) মিলছে৷ যাতে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের৷ প্রসঙ্গত, এই তীব্র দাবদাহ থেকে বল্লভপুর অভয়ারণ্যের হরিণদের রক্ষা করতে জলের সঙ্গে ওআরএস দেওয়া হচ্ছে৷ শরীর ঠান্ডা রাখতে ভূট্টো পাতা, সবুজ পাতা খাওয়ানো হচ্ছে। নিয়মিত নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা কিন্তু মুরগি নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: ‘বন্দে ভারত’-এর জন্য হাওড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণে উদ্যোগী রেল, ফাইল আটকে নবান্নে!

    Vande Bharat Express: ‘বন্দে ভারত’-এর জন্য হাওড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণে উদ্যোগী রেল, ফাইল আটকে নবান্নে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সৌজন্যে রাজ্যে চলাচল করছে হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। হাওড়া স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াতকারী এই সুপারফাস্ট ট্রেনটিকে ঘিরে যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপন তুঙ্গে। রেলমন্ত্রক এখন চাইছে, হাওড়া স্টেশনে এই ট্রেনের ঢোকা ও বেরনোর পথ আরও সুগম, আরও মসৃণ করতে। বন্দে ভারতের মতো ভিভিআইপি ট্রেনের যাত্রীরা যাতে প্ল্যাটফর্মে নানারকম অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন, তার জন্যও সচেষ্ট হয়েছে রেল। কিন্তু হলে কী হবে, অভিযোগ উঠেছে, সেই চিরাচরিত রাজ্যের অসহযোগিতায় ওই প্রকল্পটি দিনের আলো দেখতে পাচ্ছে না। রাজ্যের এই মনোভাবে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ রেল তথা কেন্দ্রীয় সরকার।

    হাওড়া স্টেশনে কী প্রকল্প হাতে নিয়েছে রেল?

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য ১ নম্বর প্লাটফর্মটিকে আরও লম্বা এবং প্রশস্ত করা হবে। বর্তমানে এর যা দৈর্ঘ্য, নতুন প্লাটফর্ম হবে তিনগুণেরও বেশি। ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্লাটফর্ম বেড়ে হবে ৬৩০ মিটার। স্বাভাবিকভাবেই তা ছাড়িয়ে যাবে বঙ্কিম সেতু। ‘গতিশক্তি’ প্রকল্পের আওতায় এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। অর্থ আছে, আছে উদ্যোগও। কিন্তু রাজ্যের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, বলছেন রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা।

    রাজ্যে কোথায় আটকে রয়েছে অনুমোদন?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজ করার জন্য বঙ্কিম সেতুর একাংশে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে ২৫ দিন। সে কথা জানিয়ে তারা কেএমডিএ-কে চিঠি দিয়েছে তা প্রায় ছ-মাস আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সবুজ সংকেত আসেনি। অন্যদিকে, কেএমডিএর একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই কাজ করতে হলে বঙ্কিম সেতু যেভাবে বন্ধ রাখতে হবে, তা নিয়ে তারা চিন্তিত। এই কারণে বিষয়টির (Vande Bharat Express) অনুমোদন পেতে তারা দ্বারস্থ হয়েছে নবান্নের। সেই ফাইল এখন বিবেচনার জন্য পড়ে রয়েছে।  ফলে এই প্রকল্প আদৌ দিনের আলো দেখবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের জেলা কমিটিতে এবার ঠিকাদারদেরই রমরমা! বেজায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা

    TMC: তৃণমূলের জেলা কমিটিতে এবার ঠিকাদারদেরই রমরমা! বেজায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিকাদার-আবৃত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা কমিটি। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কমিটি আলিপুরদুয়ারের শাসকদলের অন্দরে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরখানেক আগে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়ির সভায় ঠিকাদারদের সম্পর্কে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। অনেকেই শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় ঠিকাদারি চালাত বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে অভিযোগ গিয়েছিল। অভিষেক জেলায় এসে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ঠিকাদারি করলে দল করা যাবে না। ফলে, দলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা অনেকেই আশায় ছিলেন, ঠিকাদারমুক্ত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরকেই এবারে দলের জেলা কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হবে। আর বাস্তবে নতুন কমিটি দেখে কর্মীরা হতবাক। নিচুতলার কর্মীদের বক্তব্য, এই ঠিকাদারদের দলে নেওয়ার অর্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করা। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।

    জেলা কমিটিতে কতজন ঠিকাদার রয়েছে, জানেন?

    ১২৭ জনের জেলা কমিটিতে আলিপুরদুয়ার শহর এলাকারই প্রায় ১০ জনের মতো প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ঠাঁই পেয়েছেন। এছাড়াও নামে-বেনামে ছোটখাট আরও কুড়িজন মতো ঠিকাদার রয়েছেন গ্রামাঞ্চলে, যাঁরা শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের ব্যবসাকেই মূলত ফুলেফেঁপে তুলেছেন। তৃণমূলের (TMC) জেলা কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন ঠিকাদাররা। আর জেলা কমিটিতে ঠিকাদারদের পদ দেখে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই হতাশা শাসকদলকে আরও অনেকটাই বিপাকে ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন চিন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি পেশায় একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। চিন্ময়বাবু বলেন, নিজের পেশাকে অস্বীকার করতে পারি না। তবে, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করব।

    জেলা কমিটিতে ঠিকাদার থাকা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের (TMC) আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, বিভিন্ন পেশার মানুষ দলের জেলা কমিটিতে রয়েছেন। এনিয়ে কোথাও কোনও বিরোধ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, দলের যুবরাজ ঠিকাদারদের দলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, জেলা নেতৃত্ব সে কথা কি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিগ্গা কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূল (TMC) দলটাই তো এখন ঠিকাদারদের দ্বারা পরিচালিত। তারাই লুটেপুটে খাবে, সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না। এই নতুন কমিটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সাধারণ মানুষের জন্য এই দল আর কাজ করবে না। এটা ব্যবসাদার, ঠিকাদারদের পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Demonstration: দিকে দিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার, পিএইচই-র জলাধারের সামনে বিক্ষোভে গ্রামের মহিলারা

    Demonstration: দিকে দিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার, পিএইচই-র জলাধারের সামনে বিক্ষোভে গ্রামের মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে রাজ্যজুড়ে। অন্যদিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে দিকে দিকে। সোমবার সকালেই আরামবাগে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা, যার জেরে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এদিন সেই পানীয় জলের দাবিতেই পিএইচই-র জলাধারের সামনে গ্রামের মহিলাদের বিক্ষোভে (Demonstration) উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলে। তাঁদের এই আন্দোলনে যোগ দিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মণ্ডল।

    কী অভিযোগ ঘিরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা?

    আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কিছুটা অংশে জল পরিষেবা দিয়ে থাকে পিএইচই এবং কিছুটা অংশে আসানসোল পুরসভা। তীব্র গরমে বেশ কয়েকদিন ধরে গোবিন্দপুর গ্রামে পিএইচই’র জল পরিষেবা অত্যন্ত অনিয়মিত বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সোমবার গ্রামের বেশ কিছু মহিলা একত্রিত হয়ে পিএইচই’র জলাধারের সামনে উপস্থিত হয়ে তীব্র বিক্ষোভে (Demonstration) ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এই তীব্র গরমেও জল পাচ্ছেন না তাঁরা। মহিলাদের আসতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মন্ডল এসে উপস্থিত হন সেখানে। তিনিও অভিযোগ করেন, জল পরিষেবা মানুষকে দিতেই হবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে পিএইচই জল দিচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগকে সমর্থন করে পিএইচইর আধিকারিকদের জল সরবরাহের ক্ষেত্রে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি। পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।

    কী বলছেন এখানকার কর্মীরা?

    বিক্ষোভ (Demonstration) প্রসঙ্গে এখানকারই এক অপারেটর বললেন, গরমের সময় এধরনের সমস্যা একটু হয়ে থাকে। সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যে কোনও কারণে হতে পারে। পুরসভা এবং পিএইচই মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে এখানে কর্মীরা থাকেন না বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, এতবড় প্রজেক্টে লোক না থাকলে কি চলে?  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MLA: ‘‘আমার কাছেও ঘুষ চেয়েছিল জীবন’’! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক বাবা

    MLA: ‘‘আমার কাছেও ঘুষ চেয়েছিল জীবন’’! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে। সেই খবর সাঁইথিয়ার বাড়িতে বসে টের পেয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কের (MLA) বাবা বিশ্বনাথ সাহা। ছেলের কী হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে সেদিকে নজর রাখছিলেন বৃদ্ধ বাবা। বাবা হিসেবে ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করাই স্বাভাবিক ঘটনা। ৬৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পর সোমবার ভোরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সাত সকালে উঠে সেই খবরও পান বিশ্বনাথবাবু। ছেলে গ্রেফতার হওয়ার খবর জানতে পেরে অনেকটাই স্বস্তি পান তিনি। এতদিন ধরে মনে মনে ভগবানের কাছে এটাই হয়তো প্রার্থনা করছিলেন। আর সেটাই সত্যি হওয়ায় বুকে বল ফিরে পান তিনি। ছেলে নিজের খাসতালুক ছেড়ে নিজাম প্যালেসে যেতেই ছেলের বিরুদ্ধে জমে থাকা একরাশ ক্ষোভ তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে উগরে দেন।

    বিধায়ক (MLA) ছেলের বিরুদ্ধে বাবার ঠিক কী অভিযোগ?

    বীরভূমের সাঁইথিয়ার তালতলায় নন্দকিশোরী রাইস মিল নামে একটি চালকল রয়েছে বিধায়কের (MLA) বাবা বিশ্বনাথ সাহার। তিনি বলেন, রেশন ডিলার হিসেবে মিড ডে মিলের টেন্ডারে আমি আবেদন করেছিলাম। তালিকায় এক নম্বরে নাম ছিল। নিয়ম অনুযায়ী আমারই সেই টেন্ডার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেলে ওই টেন্ডার পাওয়ার জন্য আমার কাছেও ঘুষ চেয়েছিল। ঘুষ দিইনি বলে ও আমাকে টেন্ডারটি দেয়নি। অন্যজনের কাছে থেকে ঘুষ খেয়ে তাকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিল। চাকরি করে দেওয়ার জন্য কার কাছে কত টাকা নিয়েছে, আমার জানা নেই। অনেকেই ওর কাছে আসত দেখতাম। কিন্তু, ওর ভয়ে আমি কিছু বলতে পারতাম না। আর যে সামান্য কাজের জন্য বাবার কাছে ঘুষ চায়, সে অন্যের কাছে কাজের জন্য ঘুষ খাবে না, এটা হতে পারে না। আমার গোডাউনে ও অফিস তৈরি করেছিল। আমাকে গোডাউনও ব্যবহার করতে দিত না। আমার ব্যবসার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিছু বললেই শাসকদলের বিধায়ক (MLA) বলে আমাকে হুমকি দিত। আমাকে মারধর করতে আসত। সিবিআই হানা দেওয়ার এক সপ্তাহ আগেই আমাকে ও হাজতে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তৃণমূলের বিধায়ক (MLA) বলে আমি সবসময় ভয়ে থাকতাম। আমি আর ওকে ছেলে বলেই মনে করি না। আমার সঙ্গে আর ওর কোনও সম্পর্ক নেই। নিজের বাবার সঙ্গে যে এই ব্যবহার করতে পারে, সে সকলের সঙ্গে দুর্নীতি করবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই, সিবিআই ওকে গ্রেফতার করায় আমার কিছু মনে হয়নি। কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ অটো বন্ধের ফতোয়া! ধুন্ধুমার তারাপীঠে, বিক্ষোভ বিজেপির

    Tarapith: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ অটো বন্ধের ফতোয়া! ধুন্ধুমার তারাপীঠে, বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বেশ কয়েকজন অটোচালককে অটো চালাতে দিচ্ছে না তৃণমূল। এই অভিযোগ ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল তারাপীঠ (Tarapith)। বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন আটলা মোড়ে রাস্তার ওপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিজেপি-তৃণমূল বচসায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপক্ষের হাতাহাতিও হয়। পুলিস গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাধারণ যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।

    বিজেপির মূল অভিযোগ কী?

    বিজেপি নেতা তারক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল ইউনিয়নের নেতা বলেছে, তারাপীঠে (Tarapith) রামনবমীর পতাকা সব খুলে ফেলতে হবে। আমরা সব দেখে নেবো। অমিত শাহর সভায় যাওয়ার জন্য নাকি দুজন অটোচালককে অটো লাগাতে দেবে না। গরিব, খেটেখাওয়া মানুষের পেটে লাথি মারার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস? পশ্চিমবঙ্গবাসী দেখুন, কোন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যটাকে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ওরা আমাদের ওপর হামলাও চালিয়েছে। এ নিয়ে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি তিনি দিয়েছেন।

    অভিযোগের উত্তরে কী বললেন তৃণমূল ইউনিয়নের নেতা?

    তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের সেক্রেটারি নাশির শেখের বক্তব্য, এটা ভুল ধারণা। পাটির কোনও ব্যাপারে গাড়ি বন্ধ করা হয়নি। তারাপীঠে (Tarapith) ইউনিয়নের একটা সিস্টেম আছে। সেই অনুযায়ীই গাড়ি বন্ধ করা হয়েছিল সাতদিন। ইউনিয়নের নিয়মভঙ্গ করার জন্য ওদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। অনেকেই আছে, বেলাইনে ভাড়া খাটে। ওদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। সেটা নিয়ে বিজেপি এরকম করবে, আমরা ভাবতে পারিনি। এই সমস্যার সমাধান আমরা কালই করে দিয়েছিলাম এবং ওদের লাইনে গাড়ি লাগাতে বলেছিলাম। তা না করে ওরা আজ অত্যাচার শুরু করে দিল। ওরা আমাকেও মারধর  করেছে। দোষীকে গ্রেফতার করা না হলে তাঁরাও অটো চলাচল বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেন।

    কী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

    অবরোধ, ধর্মঘট এসব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতির বিরুদ্ধে। তাই যারা ধর্মঘট করবে বলেছিল, আমি তাদের তা না করার জন্য অনুরোধ করেছি। ওরা সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। একইসঙ্গে আমি পুলিশকেও অনুরোধ করেছি, যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বিজেপির অমিত শাহের সভায় যাওয়ার জন্যই তারাপীঠে (Tarapith) অটো চালাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক না, কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karma Tirtha:  মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘কর্মতীর্থ’ পড়ে রয়েছে কর্মহীন হয়েই, দোকানঘর হস্তান্তর কবে?

    Karma Tirtha: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘কর্মতীর্থ’ পড়ে রয়েছে কর্মহীন হয়েই, দোকানঘর হস্তান্তর কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন কোটি টাকা ব‍্যয়ে কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) তৈরি হলেও তা চালু করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে। যার জেরে আটকে রয়েছে দোকানঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও। আর এমনই অভিযোগ ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাসদর বারাসতে। যদিও উদাসীনতা কিংবা গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ যে শেষ হয়নি, সেটাকেই বড় করে দেখিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। একই দাবি করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষও। তবে এই নিয়ে কিন্তু চর্চা চলছেই। কবে এই প্রকল্প চালু হবে? কবেই বা কর্মতীর্থের দোকানঘর হস্তান্তর হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী অথবা দরিদ্র ব‍্যবসায়ীদের মধ্যে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে‌।

    নিচেরতলার অধিকাংশ দোকানঘর হয়ে গেলেও ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ

    সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে ব্লক এবং পৌরসভা ভিত্তিক একটি করে ‘কর্মতীর্থ’ (Karma Tirtha) তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও দরিদ্র ব‍্যবসায়ীরা তাঁদের নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এখানে। সেই উদ্দেশ্যেই বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে তৈরি হয়েছে কর্মতীর্থ প্রকল্পের দোকানঘর। তৃণমূল আমলে বিগত পৌরবোর্ডের শেষদিকে সরকারি সহায়তায় শুরু হয় কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। পৌরসভার নিজস্ব জমিতেই গড়ে উঠেছে তিনতলা বিশিষ্ট এই ‘কর্মতীর্থ’। প্রকল্পের নিচের তলার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। দোতলা এবং তৃতীয়তলার কাজও সম্পন্ন হওয়ার মুখে। কর্মতীর্থের নিচের তলায় রয়েছে প্রায় ৪৫টি দোকানঘর। দোতলায় রয়েছে অন্তত ৪৬টি দোকান। এছাড়া তিনতলায় হবে আরও বেশ কয়েকটি দোকানঘর। প্রথমে কর্মতীর্থের কাজ জোরকদমে হলেও পরে তা ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ। যার ফলে দোতলা এবং তিনতলার কাজ শেষ হয়নি এখনও। তবে, নিচের তলার অধিকাংশ দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও তা ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দোকানঘর হস্তান্তর কিংবা তা চালু করার প্রয়োজন মনে করেনি জেলা প্রশাসন।ফলে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে উপভোক্তাদের। এদিকে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মতীর্থ প্রকল্পে কাজ চললেও এখনও তা সম্পন্ন না হওয়ায় স্বভাবতই এই নিয়ে ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছে প্রকল্পের আওতাধীন উপভোক্তাদের মধ্যে। তবে, এই বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও প্রশ্নের মুখে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা।

    দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী কী বললেন?
     

    এই বিষয়ে প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী অজিত সাহা বলেন,”অনেকেই এসে জিজ্ঞাসা করে, কবে থেকে চালু হচ্ছে কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) প্রকল্প। যেহেতু বিষয়টি আমাদের জানা নেই, সেই কারণে সঠিকভাবে বলতেও পারি না অনেক সময়। কিছুদিন আগে ইঞ্জিনিয়াররা এখানে এসে সবকিছু খতিয়ে দেখেছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছে, তা বলতে পারব না। যতদূর জানি, পুরো বিল্ডিংয়ের কাজ এখনও শেষ করা যায়নি। সেই কারণেই চালু করা যাচ্ছে না”।

    একই সুর চেয়ারম্যানের গলাতেও

    একই সুর শোনা গিয়েছে বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা অশনি মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তাঁর কথায়, “প্রকল্পের বরাদ্দকৃত কিছু অর্থ এসে ফিরে যাওয়ায় কাজ শেষ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে ঠিকই তবে আশা করছি, চার-পাঁচ মাসের মধ্যে প্রকল্পের দোকানঘর হস্তান্তর করতে পারব আমরা। ইতিমধ্যে সেই তালিকাও আমাদের তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রকল্পের (Karma Tirtha) কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গেলেই তা চালু করা হবে”।

    সময় লাগবে আরও দু থেকে তিনমাস, জানালেন মহকুমাশাসক

    অন‍্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসতের মহকুমাশাসক সোমা সাউ বলেন, “এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট। পৌরসভা এবং প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগেই এই প্রজেক্টের কাজ চলছে। দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও সেখানে দরজা, জানালা এবং বিদ্যুতের কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হতে আরও দু থেকে তিনমাস সময় লাগবে আমাদের। তারপরেই চালু করতে পারব এই কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) প্রকল্প”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Raid: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    CBI Raid: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে সোমবার ভোরেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার খোঁজ মিলল দ্বিতীয় মোবাইলেরও। ১৪ এপ্রিল সিবিআইয়ের নজর এড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক দুটি মোবাইল বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাত থেকে ওই পুকুরের জল বের করার কাজ শুরু হয়। মোবাইল উদ্ধার করা কী সম্ভব, তা নিয়ে তিনদিন ধরে চর্চা হয়েছে। সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরাও তিনটে পাম্প নামিয়ে পুকুর থেকে জল তোলার উদ্যোগ নেন। আর এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় শ্রমিক এবং মত্স্যজীবীরা। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পুকুরের ভিতর থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে, বাকী আরও একটি মোবাইলের খোঁজে নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়। সেই মতো সিবিআই (CBI Raid) ফের পুকুর থেকে মোবাইল খোঁজার উদ্যোগ নেয়। অবশেষে আরও একটি মোবাইলও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখন পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্কের খোঁজে পুকুরে জোরদার তল্লাশি চলছে। বিস্তারিত আসছে।

    কার খোঁজে পুকুরে ফের তল্লাশি?

    শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ সিবিআই (CBI Raid)  বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয়। দিনভর চলে তল্লাশি। তৃণমূল বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শুক্রবার বিকেলের দিকে সিবিআই আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাঁর দুটি মোবাইল এবং পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন। এরপরই সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা মোবাইলের খোঁজে পুকুরে জল বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নামানো হয় তিনটি পাম্প। শনিবার সকালের মধ্যে জল অনেকটাই কমে যায়। প্রথমদিকে ৪ জন শ্রমিক এবং একজন মত্স্যজীবী মোবাইল খোঁজার কাজ শুরু করেন। কিন্তু, তা পর্যাপ্ত নয় বলে শ্রমিকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। পুকুরে নামানো হয় জেসিবি। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রথম ফোনটি উদ্ধার হয়। তবে, এই ফোনটি সম্ভবত বিধায়কের নিজের নয়। সেটি বিধায়কের স্ত্রীর ফোন। আর মোবাইলের সঙ্গে রবিবার পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুটি বোয়াল, ২২টি কই মাছ, ৩০টি শিঙি, দুটি শোল মাছ। পরে, দ্বিতীয় মোবাইলের খোঁজে পুকুরে ২২ জন শ্রমিককে নামানো হয়। তারমধ্যে সঞ্জীব বাগদি নামে এক শ্রমিকের হাতেই দ্বিতীয় মোবাইলটি ওঠে। পুকুরের মধ্যে মোবাইলের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক ফেলেছিলেন। তার খোঁজে পুকুরে নতুন করে ফের তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share