Tag: Madhyom

Madhyom

  • Shah-Nadda in Kolkata: লক্ষ্য ২০২৪! লোকসভা ভোটের রণকৌশল স্থির করতে কলকাতায় শাহ-নাড্ডা

    Shah-Nadda in Kolkata: লক্ষ্য ২০২৪! লোকসভা ভোটের রণকৌশল স্থির করতে কলকাতায় শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ নির্বাচন। সেই লক্ষ্যপূরণে বছর শেষের আগেই বঙ্গ-সফরে এলেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। বড়দিনের রাতেই কলকাতায় পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। আজ দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে দুজনেরই। তবে, প্রধান অবশ্যই বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক। যেখানে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল কী হবে তা রাজ্য নেতৃত্বকে বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা।

    বড়দিনের রাতেই শহরে শাহ-নাড্ডা

    গোটা তিলোত্তমা যখন বড়দিনের আনন্দে মশগুল, তখনই বড় লড়াইয়ের প্রস্তুতি সারতে কলকাতায় এলেন শাহ-নাড্ডা। সোমবার প্রায় রাত পৌনে একটা নাগাদ (ইংরেজি ক্যালেন্ডারের পাতায় মঙ্গলবার) বিশেষ বিমানে করে দমদম বিমানবন্দরে একসঙ্গে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃবৃন্দ। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিউটাউনের হোটেলে পৌঁছন শাহ-নাড্ডা। সেখানেই রাত্রিবাস করেন দুজনে।

    দিনভর কর্মসূচি শাহ-নাড্ডার…

    আজ, মঙ্গলবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে শাহ-নাড্ডার। বিজেপি সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁরা প্রথমে যাবেন জোড়াসাঁকোর গুরুদ্বারে। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরে যাবেন এবং পুজো দেবেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে কালীঘাট মন্দিরে যেতে পারেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। 

    মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তাঁরা নিউটাউনের হোটেলে ফিরে যাবেন এবং সেখানেই দুপুর ১টা নাগাদ রাজ্য নেতৃত্বের কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তারপর ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলের সোশ্যাল মিডিয়ার ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন শাহ ও নাড্ডা। এরপর ফের নিউটাউনের হোটেলে ফিরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। তা শেষে সন্ধ্যে ৬টার বিমানে তাঁরা ফিরে যাবেন দিল্লিতে।

    চব্বিশে টার্গেট ৩৫

    ২০১৯ লোকসভা ভোটে, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছিল বিজেপি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে ৩৫টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে বিজেপি। সোমবার সে কথা জানিয়েও দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “লোকসভা ভোটে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসন জয় করার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহজি। আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখে এগোচ্ছি।” দলীয় কর্মীদের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের রণকৌশল স্থির করতেই শাহ ও নাড্ডার এবারের কলকাতা সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ

    টার্গেট পূরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৪টে করে আসন পিছু একজন স্পেশাল অবজার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে দাবি, কোন কোন কেন্দ্রগুলোতে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা আছে, কোথায় ভাল লড়াই দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত কোথায় সেই সম্ভাবনা কম, তার ভিত্তিতেই কেন্দ্র ধরে ধরে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, যা এদিন কোর কমিটির বৈঠকে পেশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NewsClick: রাজসাক্ষী হতে চান নিউজক্লিকের এইচআর-প্রধান অমিত চক্রবর্তী!

    NewsClick: রাজসাক্ষী হতে চান নিউজক্লিকের এইচআর-প্রধান অমিত চক্রবর্তী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানালেন নিউজ পোর্টাল নিউজক্লিকের (NewsClick) হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তী। দিল্লি কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত অমিত। বিদেশি তহবিল লঙ্ঘনের অভিযোগে এই সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই।

    নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অভিযোগ, চিন সহ নানা বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে এই নিউজ পোর্টাল। সেই সঙ্গে কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে যাতে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো না হয়, সেই চেষ্টাও এই নিউজ পোর্টাল করেছিল বলে অভিযোগ। উনিশের লোকসভা নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টাও সংবাদ মাধ্যমটি করেছিল বলে অভিযোগ। সংস্থার (NewsClick) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অভিযোগ, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই অর্থ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই একুশেই নিউজক্লিকের অফিসে হানা দেয় ইডি। মাস দুয়েক আগে তল্লাশি চালায় সিবিআইও। গ্রেফতার করা হয় প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তীকে।

    অমিতের আবেদন

    অক্টোবরের ৩ তারিখে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল প্রবীরকে গ্রেফতার করে। তার পরেই ৪০০ জন পুলিশ কর্মী দিল্লি, নয়ডা, গুরগ্রাম, মুম্বই ও গাজিয়াবাদের ৩০টি ঠিকানায় হানা দেন। এফআইআরে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, চিন থেকে এই পোর্টালে ৭৫ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব খর্ব করতেই ওই টাকা দেওয়া হয়েছে নিউজক্লিককে। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করাও উদ্দেশ্য ছিল তাদের। গত সপ্তাহেই অমিত ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ৩০৬ ধারায় আবেদন করেছিলেন আদালতে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর জ্ঞান মতো তদন্তে সাহায্য করবেন, এবং ঘটনায় কারা জড়িত, তাঁদের নামধাম জানাবেন বলেন, তাহলে আদলত ক্ষমা করার একটি সুযোগ পাবে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতেই ওই ধারায় আবেদন করেছিলেন নিউজক্লিকের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান।

    আরও পড়ুুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    অমিতের আবেদন সেশন কোর্ট পাঠায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তিনি যে রাজসাক্ষী হতে চান, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। প্রসঙ্গত, নিউজক্লিক মামলায় ২২ ডিসেম্বর আদালতে তদন্তের জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি পুলিশ। এমতাবস্থায় রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন (NewsClick) অমিতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পথ চলা শুরু হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডেই ‘ডেবিউ’ হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)! নতুন বছরের মাঝ-এপ্রিলে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে বিজেপি। জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহৃত হয়েছে ৩৭০ ধারা। রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও পূরণ হতে চলেছে জানুয়ারির ২২ তারিখে। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, পদ্ম শিবির এবার মনোনিবেশ করতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে।

    কোথায় লাগু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    জানা গিয়েছে, নতুন বছরের গোড়ায়ই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। তার পর একে একে এই আইন লাগু হবে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অসম, ত্রিপুরা এবং মণিপুরে (UCC)। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। গত বছর নির্বাচনে জয়ের পরেই রাজ্যে এই আইন লাগু করতে উদ্যোগী হন তিনি।

    আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে কমিটি

    এই বিধি কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়েছিল ধামী সরকার। সরকার জানিয়েছিল, সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইন প্রচলনের রূপরেখা তৈরি করবে ওই কমিটি। দেশাই ছাড়াও কমিটিতে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌড়, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেখা ডাঙ্গওয়াল। এই কমিটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের মতামত নিয়েছে। যাঁদের মতামত নেওয়া হয়েছে তাঁরা সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্তরেও বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে সক্রিয়তা। গত ১৪ জুন ২২তম আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও আমজনতার। এই জনমত সংগ্রহের সময়সীমা প্রথমে দেওয়া হয়েছিল এক মাস। পরে কয়েক দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে এর মেয়াদ (UCC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • INS Imphal: নৌসেনার হাতে এল ঘাতক ‘আইএনএস ইম্ফল’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    INS Imphal: নৌসেনার হাতে এল ঘাতক ‘আইএনএস ইম্ফল’, কতটা শক্তিশালী এই রণতরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। মঙ্গলবার নৌবাহিনীতে ‘কমিশন’ বা অন্তর্ভুক্ত হলো দেশীয় স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘আইএনএস ইম্ফল’। প্রতিক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রণতরীকে যুক্ত করা হলো। উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ বিশিষ্টজনেরা।

    কতটা শক্তিশালী ‘ডি-৬৮’?

    ‘আইএনএস ইম্ফল’ (INS Imphal) হলো প্রজেক্ট-১৫বি অন্তর্গত নির্মিত চারটি স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজের মধ্যে তৃতীয়। এই প্রকল্পের প্রথম যুদ্ধজাহাজটি ছিল ‘আইএনএস বিশাখাপত্তনম’, নৌসেনায় কল-সাইন ‘ডি-৬৬’। ফলে, বাকি তিনটিও বিশাখাপত্তনম শ্রেণির রণতরী। নৌসেনায় ইম্ফলের কল-সাইন হচ্ছে ‘ডি-৬৮’। দ্বিতীয় জাহাজটি ছিল ‘আইএনএস মরমুগাও’, কল-সাইন ‘ডি-৬৭’। শেষ তথা চতুর্থ জাহাজটির নাম রাখা হবে ‘আইএনএস সুরাট’, কল-সাইন ‘ডি-৬৯’। গত বছরের মে মাসে তাকে প্রথমবার জলে ভাসানো হয়েছে।

    ‘আইএনএস ইম্ফল’-এর ওজন প্রায় ৭৪০০ টন। ১৬৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এই যুদ্ধজাহাজ সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র ও সেন্সরে সজ্জিত। এটিই হতে চলেছে এখনও পর্যন্ত নৌসেনার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে আধুনিক ডেস্ট্রয়ার। এতে একদিকে যেমন রয়েছে ব্রহ্মোসের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বাধুনিক সংস্করণ, তেমনই রয়েছে মাঝারি পাল্লার অত্যাধুনিক ‘বারাক-৮’ ভূমি থেকে আকাশ মিসাইল থেকে শুরু করে জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও সাবমেরিন-বিধ্বংসী টর্পিডোর বিপুল বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্ভার। এতে রয়েছে একটি ৭৬ মিমি সুপার র‌্যাপিড মাউন্টেড মেইন নেভাল গান এবং চারটি একে-৬৩০ ৩০ মিমি গান— যা কম দূরত্বে আকাশপথে হামলা করা শত্রুর যে কোনও বিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। এই জাহাজের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩০ নট বা ঘণ্টায় ৫৬ কিমি। 

    স্বয়ংক্রিয়শীলতা এবং স্টেলথ বৈশিষ্ট্য

    এমনিতে, ডেস্ট্রয়ার শ্রেণির জাহাজের মারণক্ষমতা মারাত্মক। তবে নৌসেনার (Indian Navy) তরফে জানানো হয়েছে, ‘আইএনএস ইম্ফল’ (INS Imphal) সাবমেরিন-ধ্বংসে বিশেষভাবে পারদর্শী। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আরবিইউ-৬০০০’ সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার, ৫৩৩ মিমি টর্পিডো লঞ্চার এবং অ্যান্টি-সাবমেরিন হেলিকপ্টারের দৌলতে এটি ভয়ঙ্কর ঘাতক হিসেবে পরিণত। এছাড়া, যে কোনও ধরনের পরমাণু, জৈব ও রাসায়নিক হামলা থেকে বাঁচার ক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজের। ‘আইএনএস ইম্ফল’-এর স্বয়ংক্রিয়শীলতা এবং স্টেলথ (শত্রু রেডারে অদৃশ্য থাকার ক্ষমতা) বৈশিষ্ট্য একে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। 

    সর্বাধুনিক রেডার সিস্টেম মোতায়েন

    বন্দর ও সমুদ্রে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ট্রায়ালের পর গত ২০ অক্টোবর, ভারতীয় নৌসেনার হাতে পাকাপাকিভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল এই অত্যাধুনিক রণতরীকে (INS Imphal)। গতমাসেই এই জাহাজ থেকে দূরপাল্লার ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কমিশন না হওয়া কোনও জাহাজ থেকে সেই প্রথম কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা হয়েছিল। এই জাহাজে অন্যতম শক্তি হলো এর রেডার সিস্টেম। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে আধুনিক ও সবচেয়ে শক্তিশালী রেডার বসানো হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজে। 

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহরের নামে প্রথম রণতরী

    প্রসঙ্গত, এই প্রথম দেশের উত্তর-পূর্বাংশের কোনও শহরের নামে যুদ্ধজাহাজের নামকরণ (INS Imphal) করা হলো। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাহাজের নাম-ফলকের উন্মোচন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর থেকেই প্রমাণিত যে, জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্র এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছে মোদি সরকার। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে এই নামকরণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। কমিশনিং হওয়ার পর, নৌসেনার (Indian Navy) পশ্চিম কমান্ডের অন্তর্গত মোতায়েন থাকবে ‘আইএনএস ইম্ফল’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah-JP Nadda: আজ রাতে শাহ-র সঙ্গে শহরে নাড্ডা, বৈঠক মঙ্গলবার

    Amit Shah-JP Nadda: আজ রাতে শাহ-র সঙ্গে শহরে নাড্ডা, বৈঠক মঙ্গলবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অমিত শাহ নন, একইসঙ্গে সোমবার রাতে শহরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (Amit Shah-JP Nadda)। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার উপস্থিতি নিয়ে জোর চর্চা বঙ্গ রাজনীতিতে। যদিও দুই নেতাই মূলত আসছেন একটি গুরুদ্বারে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। তাঁরা কালীঘাটে পুজোও দেবেন। এরপরই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের দায়িত্ব ও করনীয় প্রসঙ্গে পাঠ দেবেন শাহ-নাড্ডা।

    কখন আসবেন দুই নেতা

    বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ একই বিমানে কলকাতায় নামার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার। এর পরে তাঁদের যাওয়ার কথা নিউ টাউনের একটি হোটেলে। সেখানে মধ্য রাতেই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এক প্রস্ত বৈঠক সারতে পারেন শাহ-নাড্ডা। বিমান বন্দরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে স্বাগত জানাতে যাবেন। 

    কী কী কর্মসূচি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পুত্রদের ‘বীরাগাথা’ উদযাপন করতে ২৬ ডিসেম্বর ‘বীর বাল দিবস’ পালন করা হবে। সেই উদযাপনের অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার সকালে মহাত্মা গান্ধী রোডের গুরুদ্বারে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা শাহ ও নাড্ডার। ‘বীর বাল দিবসে’র কর্মসূচি সেরে তাঁরা কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যেতে পারেন। সেখানেও দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে থাকার কথা সুকান্ত ও শুভেন্দুর। তাঁদের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবন।

    আরও পড়ুন: রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে অযোধ্যায় আসছে নানা উপহার! কী কী থাকছে?

    বিজেপি সূত্রের খবর, ওখানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেবেন শাহ ও নাড্ডা (Amit Shah-JP Nadda)। ওই বৈঠকে রাজ্য নেতা, মোর্চার পদাধিকারী ছাড়াও এমন কিছু ব্যক্তিকে ডাকা হতে পারে, যাঁদের কাউকে কাউকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হিসেবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বৈঠকের পরে নড্ডাদের নিউ টাউনের হোটেলে ফিরে যাওয়ার কথা। সেখানে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা, পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আবার এক প্রস্ত বৈঠক সারতে পারেন বিজেপির দুই সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা। বৈঠক শেষে মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • COVID-19: বড়দিনে করোনার কামড়! কোন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কত?

    COVID-19: বড়দিনে করোনার কামড়! কোন রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কত?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ। আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Covid-19)। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৬২৮ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) দেওয়া তথ্য অনুসারে, সারা দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

    জেএন-১ সংক্রমণ

    এক লাফে জেএন-১ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের একাধিক রাজ্যে থাবা বসিয়েছে এই ভ্যারিয়ান্ট। বড়দিনের দিন এই পরিসংখ্যান রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জেএন-১ আক্রান্তের হদিশ মিলেছে গোয়া। সেখানে মোট ৩৪ জনের শরীরে এই ভাইরাসের প্রজাতির অস্তিস্ব মিলেছে।  এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে জেএন-১ -এ আক্রান্ত হয়েছেন ন’জন। কর্নাটকে আট জন, কেরালায় ছয় জন, তামিলনাড়ুতে চার জন এবং তেলঙ্গানায় দু’জন এই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৬২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে কেরালাতে। এই রাজ্যেই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। দেশে একমাত্র করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে কেরালায়। কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৭১। যার মধ্যে ২৫৮ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকি ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    হু’র সতর্কবার্তা

    ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ভয়াবহ আকার নিয়েছে জেএন-১ সংক্রমণ। এবার করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতির সংক্রমণ নিয়ে সতকর্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতির সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পুনরায় কোভিড-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নজরদারি এবং করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হু’র তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AI Technology: স্রষ্টার পেটেই ছুরি! পেটিএমের হাজারেরও বেশি কর্মীর চাকরি গিলে খেল এআই

    AI Technology: স্রষ্টার পেটেই ছুরি! পেটিএমের হাজারেরও বেশি কর্মীর চাকরি গিলে খেল এআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের তৈরি যন্ত্র সৃষ্টিকর্তার পেটেই আমূল বসিয়ে দিচ্ছে চকচকে ধারাল ছুরি! মগজ খাটিয়ে যে মানুষ আবিষ্কার করেছিল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI Technology), তারই পেটে টানের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তারই তৈরি ‘ডঃ ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন’! সাম্প্রতিক এক ঘটনার কথা জানলে, মনের কোণে উঁকি দেবে গল্প কিংবা কল্পলোকের এই সব নজির। ফেরা যাক, আসল কথায়।

    বড়দিনের সপ্তাহে ‘বড়’ উপহার!!!

    অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা পেটিএমে ছাঁটাই করা হয়েছে হাজারেরও বেশি কর্মীকে। বড়দিনেই সপ্তাহেই এই কর্মীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়েছে সংস্থা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বারংবার একই কাজ করার যেসব চাকরি, সেগুলিকেই এআই প্রযুক্তি দিয়ে বদলে দিয়েছে তারা। তাই উদ্বৃত্ত কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের শ্রম দিয়ে লাভের কড়ি তুলে দিয়েছেন যে সংস্থার ঘরে, বড়দিনের সপ্তাহে সেই সংস্থার এই ‘বড়’ উপহারে যারপরনাই বিস্মিত কর্মীরা। এই বয়সে কোথায় কাজ পাবেন, আদৌ পাবেন কিনা, সেসব ভাবতে ভাবতেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন পেটিএমের হতভাগ্য কর্মীরা।

    কী বলছেন পেটিএম কর্তারা?

    অল্প খরচে এআই (AI Technology) বসিয়ে কাজ হাসিল হয়ে যাওয়ায় পেটিএমের মাদার কনসার্ন ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড কর্মিছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল অক্টোবরে, পুজোর মাসেই। বড় দিনের সপ্তাহে তারাই পেটিএম সহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাঁটাই করেছে হাজারেরও বেশি কর্মীকে। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সংস্থার মুখপাত্র বলেন, “সংস্থাকে আরও কর্মক্ষম বানাতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই একটি সিদ্ধান্তে আমাদের সংস্থার যেমন উন্নতি হবে, তেমনই খরচও কমবে। তাই সব দিক ভেবেচিন্তেই আমরা নিজেদের কর্মী সংখ্যা সামান্য কমিয়েছি।” তিনি জানান, এআইয়ের কাজে তাঁরা খুশি। এই সিদ্ধান্তের জন্য এক লপ্তে ১০-১৫ শতাংশ কর্মীর খরচও কমানো যাবে।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    এআই প্রযুক্তি (AI Technology) ব্যবহার করে ‘ডিপ ফেক’ তৈরি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল দেশজুড়ে। এই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার এআইয়ের আরও ভয়ঙ্কর রূপ দেখলেন পেটিএমের ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা। যদিও পেটিএম জানিয়েছে, অচিরেই তারা ১৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে। সেক্ষেত্রে কপাল খুলবে ১৫ হাজার তরুণ-তরুণীর। মাঝ বয়সে তাঁদেরও চাকরি গিলে খাবে না তো এআই? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hijab Ban Row: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    Hijab Ban Row: বিজেপির চাপেই কি হিজাব নিয়ে ঢোঁক গিলল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের নাম কংগ্রেস। সরকারও তাদেরই। তবে মাত্র দু’ দিনের ব্যবধানে হিজাব (Hijab Ban Row) নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী বনাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতবিরোধ। দিন দুই আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এখন হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সোমবার তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, “এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস সরকার।”

    হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে 

    বিজেপি জমানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় স্কুল-কলেজে হিজাব পরে আসার ওপর। বিষয়টি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এমতাবস্থায় মে মাসে পালাবদল হয় কর্নাটকে। ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। অভিযোগ, তার পরেই শুরু হয়েছে মুসলমান তোষণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে মুসলমান ভোট পেতে দিন দুই আগে ইসোরে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া বলেন, “পোশাক বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে মেয়েদের।”

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য 

    তিনি বলেন, “কর্নাটক সরকার রাজ্যে হিজাবের (Hijab Ban Row) ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলছেন, এখন হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে রাজ্য সরকার।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রকাশ্য-ভাষণের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস সরকার।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সরকার হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও আদেশ জারি করেনি। সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

    হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কংগ্রেসের এই ভোলবদলে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেছে ভারত রাষ্ট্র সমতি। দলের নেতা কেটি রামা রাও বলেন, “সিদ্দারামাইয়া সরকার এখনও রাজ্যে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি এবং তারা এখনও এ ব্যপারে ভাবনাচিন্তা করছে। মানুষ দেখছে, কংগ্রেসের আচরণ। তারা ক্ষমতায় আসার আগে কী বলেছিল এবং ক্ষমতায় আসার পরে কীভাবে বদলে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে ঢোঁক গিলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত (হিজাব নিষিদ্ধের) প্রত্যাহারের কথা ভাবছি। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বাসবরাজ বোমাই বলেন, “গোটা রাজ্যে হিজাবের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কেবল নির্দিষ্ট ড্রেস কোড রয়েছে এমন জায়গায় হিজাব অনুমোদিত নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “হিজাবের (Hijab Ban Row) ওপর যখন কোনও নিষেধাজ্ঞাই নেই, তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রশ্নই বা কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Premier League: আসছে বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগ! নেপথ্যে সৌরভ, থাকতে পারে কলকাতা, মুম্বই, লখনউ

    Bengal Premier League: আসছে বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগ! নেপথ্যে সৌরভ, থাকতে পারে কলকাতা, মুম্বই, লখনউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগের (Bengal Premier League) আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করছেন প্রাক্তন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি আইপিএল নিলামে দেখা গিয়েছে, বাংলার ক্রিকেটাররা কার্যত ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছেন। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া, এবারের নিলামে বাংলা থেকে কোনও নতুন মুখে আস্থা রাখতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সেই জায়গায় এই টুর্নামেন্ট বাংলার তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ।

    কবে থেকে শুরু লিগ

    কয়েকবছর ধরেই সিএবি বেঙ্গল প্রিমিয়ার লিগের পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন। এই টুর্নামেন্ট যে বড়সড় আকারেই আয়োজন করা হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সিএবি কর্তারা জোর দিচ্ছেন নতুন প্রতিভা তুলে আনার উপরে। যারা জাতীয় স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আইপিএল এ বারে আগে শুরু হয়ে যাচ্ছে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে আইপিএল। তাই জুনের মাঝামাঝি লিগ চালু করতে চায় সিএবি। 

    কটা দলে হবে খেলা

    প্রাথমিক ভাবে যা ঠিক হয়েছে, একই সঙ্গে পুরুষ ও মহিলাদের টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করা হবে। যা অন্য কোনও রাজ্য করেনি। অন্যান্য রাজ্যে আইপিএলের ঢংয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালু হলেও শুধু পুরুষদের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রয়েছে। সিএবি ঠিক করেছে, একই সঙ্গে পুরুষদের লিগ হবে ইডেনে। আর মেয়েদের লিগ হবে সল্ট লেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠে। মেয়েদের ফাইনাল হবে ইডেনে। একই দিনে দু’টি করে ম্যাচ করা হতে পারে। প্রথম বছরে পুরুষদের লিগে থাকবে আটটি দল, মহিলাদের ছ’টি। তার পরে মেয়েদের দলের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ২০৩৬ অলিম্পিক্স আয়োজনে ভারত! কোথায় বসবে আসর? কী বললেন অমিত শাহ

    কোন কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলবে

    সিএবি কথাবার্তা বলছে আইপিএলের কয়েক জন নামী ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সঙ্গে। তার মধ্যে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স রয়েছে। অম্বানীদের মুম্বই ইন্ডিয়ানস আছে। সঞ্জীব গোয়েন্‌কার লখনউ সুপার জায়ান্ট্স রয়েছে। এই তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির শীর্ষ স্তরে কথা বলেছেন সৌরভ নিজে। তারা আগ্রহও প্রকাশ করেছে বঙ্গ লিগে দল কেনার ব্যাপারে। প্রত্যেকটা দলে ২০ জন করে ক্রিকেটার খেলবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটা দলে একজন করে থাকবেন মার্কি প্লেয়ার। সেটা বাংলার একজন করে নাম করা তারকা ক্রিকেটারকেই রাখা হবে। এছাড়া আইপিএল টুর্নামেন্টে যেমন আইকন প্লেয়ার থাকেন, এখানেও সেভাবেই একজন ক্রিকেটারকে রাখা হবে। দলগুলোকে প্রতিটা ম্যাচেই একজন করে জেলার ক্রিকেটার এবং একজন অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটারকে বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করেন ভারতীয় রেলে। অথচ নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গির সঙ্গে! শুধু তাই নয়, ভুয়ো মেডিকেল বিল তৈরি করে রেলের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেই টাকা জমা করতেন জঙ্গিদের তহবিলে। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রেলের এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে।

    তদন্তে এনআইএ

    রেলকর্মীর জঙ্গিযোগের মূলে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। দিল্লির একটি থানায় ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অক্টোবর মাসে তিন আইএসআইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এরা হল, শাহনওয়াজ আলম, মহম্মদ আশরাফ এবং মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসি। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে তাজ্জব বনে যান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে কিছু সোর্স থেকে নিয়মিত টাকা ঢুকছে। এর পরেই কোমর কষে নামে পুলিশ।

    রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত

    জানা যায়, নয়ডার বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী ওই জঙ্গিদের নিয়মিত টাকার জোগান দিতেন। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে (ISIS) এফআইআর দায়ের করেছে উত্তর রেলওয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অর্থ জালিয়াতির মামলা। রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত। অর্থ সংগ্রহ করতে একাধিকবার ভুয়ো মেডিকেল বিল জমা দেন তিনি। এই টাকাই তিনি পাঠাচ্ছিলেন জঙ্গিদের তহবিলে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুুন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি বিজেপির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আইএসআইএসের খোঁজে মহারাষ্ট্র সহ দেশের ৪৪টি ঠিকানায় হানা দেয় এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় ১৫ জনকে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মহারাষ্ট্র মডিউলের চাঁই হল সাকিবা নাচান। এই মডিউলই গোটা দেশে জঙ্গি হামলার ছক কষছিল। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র মডিউলের সব আইএসআইএস সদস্যরা কাজকর্ম চালাচ্ছিল পদ্ম-বোরিভালি এলাকা থেকে। এখানে বসেই তারা দেশজুড়ে হামলার ছক কষছিল। জিহাদ, খিলাফত এসবের নামে জঙ্গিরা (ISIS) নষ্ট করতে চাইছিল দেশের শান্তি। এভাবেই তারা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি করতে চেয়েছিল।

    মহারাষ্ট্র মডিউলের নাচান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পরিচিত একটি নাম। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলা রয়েছে এক ডজনেরও বেশি। তার ছেলে শামিল নাচানও সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে শামিলকে (ISIS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share