Tag: Madhyom

Madhyom

  • Nuh Clash: নুহ-র যে পোস্টারে ছড়িয়েছিল হিংসা, তা সাঁটিয়েছিল আশিফ, জানাল হরিয়ানা পুলিশ

    Nuh Clash: নুহ-র যে পোস্টারে ছড়িয়েছিল হিংসা, তা সাঁটিয়েছিল আশিফ, জানাল হরিয়ানা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকটি পোস্টারকে ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হরিয়ানার নুহ, গুরগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকা। ৩১ জুলাই ব্রিজমণ্ডল জলাভিষেক যাত্রায় অংশ নেওয়া হিন্দু পুণ্যার্থীদের ওপর আছড়ে পড়েছিল হিংসা (Nuh Clash)। এই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভিএইচপিকে দায়ী করে মুসলমান এবং বাম ঘেঁষা পত্রপত্রিকাগুলি। যদিও আসল সত্য প্রকাশ করল হরিয়ানা পুলিশ।

    আশিফ লোহার ছাঁট ব্যবসায়ী

    জানা গিয়েছে, সেদিনের ওই পোস্টার সেঁটে ছিল আশিফ নামে এক যুবক। সে পেশায় লোহার ছাঁট ব্যবসায়ী। এহেন আশিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। টানা জেরায় নিজের দোষ কবুলও করে সে। হিন্দি দৈনিক ভাস্করের দাবি, গুরগ্রামের পুলিশ জানিয়েছে, জলাভিষেক যাত্রার ঠিক একদিন আগে সেক্টর ৬৯ এ যে পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছিল, সেগুলি সাঁটিয়েছিল আশিফ। এই পোস্টারগুলিতে জলাভিষেকের আগে মুসলমানদের এলাকা খালি করে দিতে বলা হয়েছিল। তার জেরেই এলাকায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে হিংসা (Nuh Clash)।

    হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা

    ৩১ জুলাই জলাভিষেক যাত্রায় অংশ নেন হিন্দু পুণ্যার্থীরা। আচমকাই হিন্দুদের ওই যাত্রায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। এর পরেই শুরু হয় হিংসা। এলাকার একটি মসজিদ লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। সেক্টর ৫৭-এর অঞ্জুমান জামা মসজিদে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। গুলির ঘায়ে মসজিদের ইমাম সহ মৃত্যু হয় চারজনের। এঁদের মধ্যে দুজন হোমগার্ড ও স্থানীয় এক বাসিন্দাও ছিলেন। পুলিশ জানায়, জলাভিষেক যাত্রার দিনের ওই হিংসায় অন্তত ৬০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই পুলিশ কর্মী।

    বাম ঘেঁষা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ইসলামিস্ট সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল (Nuh Clash) দাবি করেছিল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রার আগে এলাকা খালি করে দেওয়ার পোস্টারে ভয় পেয়েছিলেন মুসলিমরা। এক্স হ্যান্ডেলে তারা লিখেছে, কর্মসূত্রে আসা মুসলমানেরা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কারণ পোস্টারে লেখা হয়েছে দু দিনের মধ্যে জায়গা খালি না করলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে।

    আরও পড়ুুন: “কিছু শহুরে মাওবাদী এখন কংগ্রেস চালাচ্ছে”, ভোপালের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    পুলিশকে আশিফ জানায়, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে মোজেদের বাড়ি ও স্ক্র্যাপইয়ার্ডের সামনে পোস্টারগুলি সাঁটায় সে। পোস্টার সাঁটানোর পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এই পরিস্থিতিরই সুযোগ নিয়ে আশিফ একচেটিয়া ব্যবসা করার মতলবে ছিল। বিশেষ উদ্দেশ্যেই সে পোস্টারে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নাম ব্যবহার করেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pandit Deendayal Upadhyay: জাতীয়তাবাদী লেখক, দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক ছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়

    Pandit Deendayal Upadhyay: জাতীয়তাবাদী লেখক, দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক ছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয়তাবাদী লেখক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক এবং সমাজ সংস্কারক হিসাবে বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Pandit Deendayal Upadhyay)। আজ তাঁর জন্মজয়ন্তী। অত্যন্ত একটি সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের মধ্যে জন্ম হয়েছিল তাঁর। ভারতীয় ইতিহাসতত্ত্ব, শিক্ষা, চেতনা, আধ্যাত্মিকতা, রাজনীতি এবং সমাজতত্ত্বের উপর প্রচুর লেখালেখি করে গেছেন তিনি। ভারতীয় জনসংঘ দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পরে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন তিনি। “একাত্ম মানববাদ” দর্শনের স্রষ্টা ছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রচারক হিসাবেও অনক দিন ভারত রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণের জন্য সমর্পিত ছিলেন। 

    প্রথম জীবন (Pandit Deendayal Upadhyay)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya) উত্তরপ্রদেশের বৃজভূমিতে জন্ম গ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে। মামার বাড়িতে থেকে মেট্রিকুলেশন, ইন্টার মিডিয়েট পরীক্ষা দেন। এরপর বিএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। অত্যন্ত মেধাবী এবং পড়াশুনায় আগ্রহী ছাত্র ছিলেন। এরপর ১৯৩৭ সাল থেকে নিজেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে নিবেদন করেন। অনেক দিন সামজিক আন্দোলন এবং ভারত রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন। এরপর সংঘের প্রচারক হয়ে যান। ১৯৩৯ সালে নাগপুরে সংঘের প্রথমবর্ষ এবং ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বর্ষ সংঘ শিক্ষাবর্গ করেন। এরপর উপলব্ধি করেন সমাজকে সংস্কার করে ভরতের স্বাধীনতা অর্জন করা একান্ত প্রয়োজন। ধীরে ধীরে সমাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন।

    ভারতীয় জন সংঘের সভাপতি

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Pandit Deendayal Upadhyay) ১৮৬৭ সালে কালিকটে ভারতীয় জন সংঘের সভাপতি রূপে নির্বাচিত হন। তিনি ভারতীয় পরম্পরা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসবোধের বাইরে গিয়ে ভারতের চিন্তাকে কখনই প্রকাশ করতেন না। ভারতীয় মানসিকতার মধ্যে বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাবকে মুক্ত করার কথা বলতেন। এই জনসংঘের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বাংলার আরেক রাজনীতিবিদ ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বর্তমান ভারতের ভারতীয় জনতা পার্টি হল যথার্থ জনসংঘের উত্তরসুরী রাজনৈতিক দল।

    লেখক এবং সাংবাদিকতা

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Pandit Deendayal Upadhyay) অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র যেমন ছিলেন, সেই সঙ্গে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। ভারতীয় পুরাণ, উপনিষদ, বেদ, রামায়ণ, মহাভারতের উপর প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল তাঁর। তিনি ভারতীয় হিন্দু রাজাদের বিষয়ে উপান্যাস লেখেন। “সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত” এবং “জগতগুরু শঙ্করাচার্য” নামক দুটি উপন্যাস লেখেন। এগুলি প্রকাশ হয়েছিল ১৯৪৬ এবং ১৯৪৭ সালে। আরএসএসের প্রচারক থাকার সময় ১৯৪৫ সালে মসিক “রাষ্ট্রধর্ম” এবং সপ্তাহিক “পঞ্চজন্য” সম্পাদনা করে প্রকাশ করতেন। এছাড়াও দৈনিক “স্বদেশ” নামক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ইংরেজরা চক্রান্ত করে দেশকে ভাগ করেছিল, তাই তিনি দেশভাগের জন্য অত্যন্ত ব্যথিত হন। ১৯৬৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুঘলসরাই স্টেশনে রহস্যজনক ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়।

    একাত্ম মানববাদ

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Pandit Deendayal Upadhyay) মনে করতেন পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, সাম্যবাদ, ব্যক্তি নির্ভর ভাবনার মধ্যে একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সব মতবাদের শিকড় দেশে নয় বিদেশে অর্থাৎ ভারতের বাইরে। এই ভাবনাগুলি মানুষের মূল্যবোধের মধ্যে মানবতার পরিসরকে অনেক দূরে নিয়ে চলে গেছে। তাই ভারতীয়ত্বকে সন্ধান করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করতেন। আর তাই তিনি তাঁর একাত্ম মানবতাবাদে, মানুষের পরস্পর দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষের পরিসরকে মানবতার সমন্বয় এবং আত্ম্যানুভবের পরিভাষায় মানব দর্শনকে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর এই দর্শনে ব্যক্তিকে সমাজ-দেশ-রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে দেখান, ভারতীয় সমাজ পরিবারকে বর্জন করে কখনই দাঁড়িয়ে থাকতে পরে না। ব্যক্তির যেমন পরিবারের প্রতি দায়িত্ব থাকে, ঠিক তেমনি পরিবার তার অধিকারকে সুরক্ষিত করে। আবার পরিবার, সামজের প্রতি কর্তব্য পালন করলে, সমাজও পরিবারের অধিকারকে সুরক্ষিত করে। ঠিক তেমনি সমাজ, রাষ্ট্রের জন্য কর্তব্য পালন করে আর রাষ্ট্র, সমাজের অধিকারকে সুরক্ষিত করে। এই ভাবেই মানবজাতি পরস্পরের মধ্যে মেলবন্ধনে একাত্মভাবের প্রতি বিশ্বাসের নাম হল মানবাতাবাদ। সকালের কাছে এক সত্যকে অনুভব করার নাম হল একাত্ম মানবদর্শন।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Jammu And Kashmir Police) এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথ অভিযানে ফাঁস হয়েছে লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি (LeT Terrorist Module) মডিউল। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলা থেকে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের পাঁচ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তাবাহিনীর। প্রসঙ্গত, আজই জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির কোর গ্রুপের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    জঙ্গিদের কাছ থেকে কী কী মিলল

    জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) যৌথ প্রয়াসে এই অভিযানে সাফল্য এসেছে, বলে সেনাবাহিনী সূত্রে খবর। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের নাম আদিল হুসেন ওয়ানি, সুহেল আহমেদ দার, আইতমাদ আহমেদ লাওয়ে, মেহরাজ আহমেদ লোন, সাবজার আহমেদ খার। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল, তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ইউবিজিএল গ্রেনেড লঞ্চার, দু’টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, পিস্তল এবং একে-৪৭ এর গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    প্রসঙ্গত, মাত্র দিন দশেক আগেই কাশ্মীরের অনন্তনাগে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে জঙ্গি এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে। মোট ৪ জন জওয়ান এবং এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকায় ৩ জন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এই জঙ্গিরা অনন্তনাগের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার ধৃত জঙ্গিদের থেকে জেরায় জানা গেছে, সামনে আরও ২টি বড় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    CV Ananda Bose: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ করতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনে উপাচার্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে সে কথা জানালেন তিনি। একই সঙ্গে কোনও কিছুতে কান না দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে উপাচার্যদের কাজ করে যেতে বললেন আচার্য। রবিবার রাজভবনে গবেষণা ও পঠন-পাঠন নিয়ে দীর্ঘ দু’ঘণ্টা উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    কী নির্দেশ রাজ্যপালের

    সূত্রের খবর, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী সমস্যা, উপাচার্যদের কাছে জানতে চান আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্বস্তরে বাংলার শিক্ষাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যান, এমনও বার্তা দেন উপাচার্যদের। এদিন মাতৃভাষায় পড়াশোনার উপর জোর দেন আচার্য। একইসঙ্গে সিভি আনন্দ বোস বলেন, এবার থেকে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি কাজ করছে কি না, তা তিনিই তদারকি করবেন। আলাদা আলাদা করে প্রত্যেক উপাচার্যের কাছ থেকে সমস্যার কথা শোনেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গেও ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয় তাঁর। রাজ্যপাল নির্দেশ দেন, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক সময়ে যেন ভর্তির ব্যবস্থা হয় ও পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।

    বিদেশ সফরে রাজ্যপাল

    বিদেশের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মৌ স্বাক্ষরিত হচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় ধরে ধরে এদিন তা পর্যালোচনা করেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণা ও পঠন-পাঠনের জন্য গত জুন মাসে শেষের দিকেই “কলকাতা কমিটমেন্ট” চালু করেছিলেন রাজ্যপাল। তার লক্ষ্যপূরণে কতটা এগোতে পারল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, তা এদিন উপাচার্যদের থেকে জানতে চান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্সে নিয়ে যেতে হবে। যে কোনও অভিযোগ এলেই তার নিষ্পত্তি দ্রুত করতে হবে। চলতি সপ্তাহে আপনাদের সঙ্গে আরও একবার আলোচনা করব। যে কোনও সমস্যা হলে আপনারা রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। রাজভবন সব সময় আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    মঙ্গলবারই বিদেশ সফরে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল বলেন, ‘আমি কয়েকদিনের জন্য বিদেশে যাচ্ছি। ইউএন সিকিউরিটি জেনারেলের আমন্ত্রণে যাচ্ছি। সেখানে বৈঠক হবে আমার। কয়েকটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব আমি। মউ করা হবে। আমি ২ বা ৩ তারিখেই ফিরে আসব।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    Dengue Update: দমদমে ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু! “সমাজবিরোধীদের মতোই রাজ্যে ভয়মুক্ত ডেঙ্গি”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন আতঙ্কের আরেক নাম ডেঙ্গি (Dengue Update)। কলকাতায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এই মশাবাহিত রোগ। কমার কোনও লক্ষণ নেই। প্রশাসনও নির্বিকার। শুধু বৈঠক, উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন এবং দোষারোপ করে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে প্রশাসন। চলছে তথ্য গোপনের চেষ্টা। শহরে ফের এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।

    আতঙ্কপুরী দমদম

    ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে আতঙ্কপুরী হয়ে উঠছে দমদম। ফের এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ দমদম এলাকা থেকে। এবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। এ নিয়ে দমদম এলাকা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৬। দমদম পুরসভার ২৭নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর অঞ্চলে মৃত্যু হল এক বয়স্ক ভদ্র মহিলার। রুনা বসাক নামে ৫৩ বছর বয়সি ওই মহিলা চলতি মাসের ১৪ তারিখ নাগেরবাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।  প্রসঙ্গত, কলকাতা ছাড়া নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এবং হুগলি জেলায় রেড জোন চিহ্নিত করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

    প্রতিদিন নতুন ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩০০

    পুজোর আগে ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্কের শেষ নেই। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রাজ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ জন নতুন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে গ্রামাঞ্চলেও। জেলায় জেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ এই তিনটে জেলা নিয়ে চিন্তার কারণ সবথেকে বেশি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭,৭৬০ জন।

    রাজ্য সরকার-পুর প্রশাসন নিরুত্তর

    রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পুজো পেরিয়েও এই দাপট বজায় থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নভেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে ডেঙ্গির দাপট। তবু নিরুত্তাপ রাজ্য। তথ্য গোপনে ব্যস্ত সরকার। সব রাজ্য ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখনও কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যকে বিঁধলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। তিনি বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোথাও কোনও তৎপরতা নেই। ডেঙ্গি রোধ করার জন্য পুরনিগমের যে ভূমিকা থাকা উচিত, জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি নেওয়া উচিত এবং কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত সেটা একবিন্দু মানে না। সেটা দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। আমাদের রাজ্যে সমাজবিরোধীরা যেমন ভয়মুক্ত হয়ে গেছে, যে পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবে না, সেরকমই মশারাও ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে এই সরকার বা পুরনিগম তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। তারাও নির্ভয়ে বিচরণ করছে।” 

    আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম সোনা! শ্যুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে চ্যাম্পিয়ন দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য

    জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার

    দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই যে, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা যে প্রেসক্রিপশন লিখছে সেখানে ডেঙ্গি শব্দ নেই, বলে মত আক্রান্তদের। কোথাও বলছে, অজানা জ্বর, কোথাও বলছে পাহাড়ি জ্বর। মুর্শিদাবাদ জেলা, মালদা জেলায় এধরনের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এখানেও ডেঙ্গি প্রতিরোধ করার যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন আছে, সরকারকে যতটা তৎপর হতে হয়, মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর যতটা মধ্যস্থতার প্রয়োজন আছে সেটা হচ্ছে না, বলে দাবি বিরোধীদের। কার্যত মানুষকে খোলা মৃত্যুর দিকে, অসহায় অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, বলে অভিমত সাধারণ মানুষের।

    ডেঙ্গিতে ছারখার বাংলাদেশ

    বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue Update)। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে চলতি বছরে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য দফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গি বিষয়ক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেই দেশে ডেঙ্গিতে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বছরে বাংলাদেশে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩,০০৮ জন নতুন ডেঙ্গি রোগী। ফলে, সেই দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে, বর্তমানে, ১০,৪৭০ জন ডেঙ্গি রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম সোনা! শ্যুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে চ্যাম্পিয়ন  দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য

    Asian Games 2023: এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম সোনা! শ্যুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ড করে চ্যাম্পিয়ন দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) প্রথম সোনা এল ভারতের ঘরে। শ্যুটিংয়ে দেশকে সোনা এনে দিলেন দিব্যাংশ পানওয়ার, ঐশ্বর্য তোমর, রুদ্রাংশ পাটিল। দলগত বিভাগে বিশ্বরেকর্ড করে সোনা জিতেছেন তাঁরা। ব্যক্তিগত ভাবে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ জিতেছে ঐশ্বর্য। এশিয়ান গেমসে প্রথম দিনেই পাঁচটি পদক জিতেছে ভারত (India at Asian Games 2023)। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোট নয়টি পদক হল ভারতের। একটি সোনা এবং তিনটি রুপো ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ পেয়েছে ভারত। এখনও পর্যন্ত পদক তালিকায় ভারত ছ’নম্বরে রয়েছে।  

    শ্যুটিংয়ে সোনা

    বিশ্বরেকর্ড করে শ্যুটিংয়ে (Asian Games 2023) দুরন্ত সাফল্য পেয়েছে দিব্যাংশ-রুদ্রাংশ-ঐশ্বর্য। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল বিভাগে দেশকে সোনা এনে দিল তাঁরা। মোট ১৮৯৩.৭ পয়েন্ট স্কোর করেন দিব্যাংশ, ঐশ্বর্য এবং রুদ্রাংশের ভারতীয় দল। এটি বিশ্বরেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল চিনের। তারা ১৮৯৩.৩ পয়েন্ট স্কোর করেছিল। ১৮৯০.১ পয়েন্ট স্কোর করে কোরিয়া রুপো পেয়েছে। ব্রোঞ্জ পেয়েছে চিন। তাদের পয়েন্ট ১৮৮৮.২।

    সোমবার রোয়িংয়েও দু’টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে ভারত। ‘মেন্স ফোর’ বিভাগে যশবিন্দর, ভীম, পুনিত এবং আশিস ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। তাঁরা ৬:১০:৮১ সময় করেছেন। এই বিভাগে সোনা পেয়েছে উজবেকিস্তান। তাদের সময় ৬:০৪:৯৬। রুপো পেয়েছে চিন। তাদের সময় ৬:১০:০৪। ‘কোয়াড্রপল স্কালস’ বিভাগে ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছেন সতনম সিং, পারমিন্দর সিং, জাকার খান এবং সুখমিত সিং।

    বঙ্গ সন্তানের হাত ধরে প্রথম পদক

    এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) রবিবার পাঁচটি পদক জিতেছে ভারত। রোয়িং-এ ৩টি পদক ও শ্যুটিং-এ ২টি পদক জয় ভারতের। বঙ্গ সন্তানের হাত ধরে প্রথম পদক এসেছে দেশে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রুপো জয়ী মহিলা দলের সদস্য হুগলির মেহুলি। বৈদ্যবাটীর মেয়ে মেহুলির দলে ছিলেন রমিতা ও আশি চোকসি। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্যক্তিগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছেন রমিতা।

    পুরুষদের রোয়িং লাইটওয়েট ডাবলস স্কালসে রুপো জিতলেন অর্জুনলাল ও অরবিন্দ (India at Asian Games 2023)। পুরুষদের রোয়িং-এ কক্সড এইট ইভেন্টেও রুপো জিতেছে ভারতীয় দল। রোয়িং-এ পুরুষদের কক্সলেস পেয়ার ফাইনালে ব্রোঞ্জ পেলেন লেখ রাম ও বাবুলাল যাদব। বক্সিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেন নিখাত জারিন।

    ফুটবলে নক-আউটে সুনীলরা

    তৃতীয় ম্যাচে মায়ানমারের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করেই এশিয়ান গেমসে পুরুষদের ফুটবলে নকআউটে পৌঁছল ভারত (India at Asian Games 2023)। ব্লু টাইগার্সদের কাছে সুযোগ ছিল জিতেই নকআউটে যাওয়ার। সুনীল ছেত্রীর গোলে এগিয়ে ছিল ভারতীয় ফুটবল দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরায় মায়ানমার। দীর্ঘ ১৩ বছরের ব্যবধানে এশিয়ান গেমস ফুটবলের নকআউটে ভারত। 

    আজকের খেলা

    সোমবার (Asian Games 2023) একাধিক ইভেন্টে নামতে চলেছেন ভারতের খেলোয়াড়রা (India at Asian Games 2023)। এশিয়ান গেমসে নয়া ইতিহাস রচনা করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। আজ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামছে ভারত। এশিয়ান গেমসে সোনা জয় দেখার আশায় দেশবাসী। সোমবার এশিয়ান গেমসের প্রধান ইভেন্টে নামছে বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক। তিনি নিজের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী। পদক জয়ের বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Madan Mitra: সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগী মৃত্যুতে দালালরাজকে দায়ী করলেন মদন

    Madan Mitra: সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগী মৃত্যুতে দালালরাজকে দায়ী করলেন মদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রমরমিয়ে দালালচক্র চলছে। এক বোতল রক্তের দাম ১৭০০ টাকা। সাগর দত্ত হাসপাতাল থেকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যেতে রোগীর পরিবারের কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা বিরোধী দলের কোনও রাজনৈতিক নেতার অভিযোগ নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) এই অভিযোগ করছেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার উত্তর দমদম অঞ্চলের এক রোগীকে শ্বাসকষ্ট জনিত চিকিৎসার জন্য সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে আইসিসিইউ বেডে তাঁকে স্থানান্তরের প্রয়োজন হয়। সেই বেডে দেওয়ার জন্য রোগীর পরিবারের কাছে ছয় হাজার টাকা চাওয়া হয়। মুকিম খান নামে এক দালাল রোগীর পরিবারের কাছে এই টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের এক সদস্য বিষয়টি কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্রকে জানান। পরে, মদন মিত্র (Madan Mitra) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই রোগীকে আইসিসিইউতে ভর্তি করার উদ্যোগ নেন। যদিও ততক্ষণে সেই রোগীর মৃত্যু হয়। সেই খবর পেয়ে মদন মিত্র তার দলবল নিয়ে শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

    হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? (Madan Mitra)

    তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, দালাল রাজের জন্য হাসপাতালে পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে। রাতে ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত নিতে গেলে দালালের মাধ্যমে নিতে হচ্ছে। বেশি পয়সা গুনতে হচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকজনদের। এবার থেকে আর দালাল চক্র সাগর দত্তে চলবে না। এরকম ফের দালাল চক্রের হদিশ পেলে তাকে কেউ মারবেন না, পুলিশে দেওয়ার আগে আমাদের একবার জানাবেন। প্রসঙ্গত, করোনার সময় এই সাগর দত্ত হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। দালালরাজ খতম করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরও সেই আগের মতোই এই হাসপাতালে দালালচক্র চলছে। ফলে, বিধায়কের এই হুঁশিয়ারি কতটা বাস্তবায়িত হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন কামারহাটিবাসী এবং হাসপাতালের রোগীর পরিবারের লোকজনেরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Varanasi Cricket Stadium: সচিনের হাত থেকে বিশেষ উপহার! ক্রিকেট স্টেডিয়াম মহাদেবকে উৎসর্গ মোদির

    Varanasi Cricket Stadium: সচিনের হাত থেকে বিশেষ উপহার! ক্রিকেট স্টেডিয়াম মহাদেবকে উৎসর্গ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটের মুকুটে আর একটি পালক। বারাণসীতে নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই স্টেডিয়াম শিলান্যাসে উপস্থিত ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, কপিল দেব, রবি শাস্ত্রী, রজার বিনির মতো প্রাক্তন তারকারা। এছাড়াও ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মহাদেবের শহরে এই স্টেডিয়ামটি ভগবান শিবকেই উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির হাতে টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সি তুলে দিলেন ক্রিকেটের ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এই স্টেডিয়ামের হাত ধরে উত্তরপ্রদেশ পেল তৃতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কানপুর, লখনউয়ের পর বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে এই স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামটির নাম করা হবে কাশী স্টেডিয়াম। বারাণসীতে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্যাস হলো তা পূর্বাঞ্চলের যুব সম্প্রদায়ের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ হবে বলেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ক্রিকেটে সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতের যোগ রয়েছে। নতুন দেশও ক্রিকেটে আসছে। মহাদেবের শহরে স্টেডিয়ামটিও তাঁকেই উৎসর্গ করা হলো। কাশীতে এই স্টেডিয়ামটি হওয়ায় ক্রীড়াবিদরাও উপকৃত হবেন। পূর্বাঞ্চলের উজ্জ্বল নক্ষত্র হবে স্টেডিয়ামটি।” খেলাধুলো সম্পর্কে ধারণা বদলানোর ফলেই বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের সাফল্য আসছে বলেও দাবি মোদির। ক্রীড়াবিদদের যেভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তার সুফল মিলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। 

    এদিন স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অগণিত মহিলা। প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করানোর বিষয়টিও। এদিন এই স্টেডিয়াম শিলান্যাসের পাশাপাশি ১৬টি অটল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের উদ্বোধনও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আরও একবার বারাণসীতে আসার সুযোগ পেলাম। কাশীতে এসে যে আনন্দ অনুভব করি, তা কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। চাঁদে শিবশক্তি পয়েন্ট রয়েছে। কাশীতেও।”  এদিন সে কথা মনে করিয়ে চন্দ্রযান মিশনের সাফল্যের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীকে জার্সি উপহার

    স্টেডিয়ামের শিলান্যাসে উপস্থিত যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেনারসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিলান্য়াস করলেন। উত্তরপ্রদেশে বিসিসিআই-এর প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম এটি। আমি রাজ্যের সকলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে চাই।’

    এদিন সচিন তেন্ডুলকর নরেন্দ্র মোদির হাতে টিম ইন্ডিয়ার জার্সি তুলে দেন। সদ্য প্রকাশিত বিশ্বকাপের জন্য নতুন ওডিআই জার্সি তুলে দেওয়া হয়। জার্সির পিছনে লেখা ছিল নমো ও জার্সির নম্বর ১ ।

  • Jadavpur University: ‘‘আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর শিকার’! কেন বললেন যাদবপুরের উপাচার্য?

    Jadavpur University: ‘‘আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর শিকার’! কেন বললেন যাদবপুরের উপাচার্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রদের একাংশের অন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র‌্যাগিং-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা রাজ্য। তারপরে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এবং ক্যাম্পাসে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিসিটিভি বসাতে উদ্যোগী হয় বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সিসিটিভি বসানোর বিরোধিতায় সরব হয় ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। এবার সেই নিয়েই মুখ খুলতে দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। পাশাপাশি বুদ্ধদেব সাউ এদিন আরও আশঙ্কা করেন যে কয়েকজন শিক্ষকও চাইছেন না তিনি উপাচার্য পদে থাকুন।

    কী বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য

    এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘আমারও পদত্যাগ দাবি করছেন অনেকে। অন্যায্য দাবি করছেন পড়ুয়ারা। আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর  শিকার। কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দিচ্ছে না ছাত্রদের একাংশ। এর পিছনে সক্রিয় রয়েছে কোনও বড় মাথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের একাংশের চাপ নিতে না পেরে ডিন অফ স্টুডেন্টস বর্তমানে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন।’’ ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘মাত্র কিছু ছাত্র ১৩ হাজার সংখ্যার মধ্যে যা খুবই নগণ্য। বারবার এসে অহেতুক ঝামেলা করছে। এদের মূল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের ঢোকানো। এগুলো আমার ন্যায্য দাবি বলে কখনও মনে হয়নি। এই নিয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত হওয়া উচিত। নয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নষ্ট হয়ে যাবে।’’ 

    সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

    অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) মোট ২৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলির পরিচালনার জন্য থাকবে একটি আলাদা সার্ভার রুমও। মোট ২১টি বুলেট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এই ক্যামেরাগুলি থাকবে গেটে। অন্যদিকে যে সমস্ত গাড়ি ক্যাম্পাসে আসবে এবং ক্যাম্পাস থেকে বের হবে সেগুলির ছবি তোলার জন্য থাকছে ছ’টি ক্যামেরা। এই ক্যামেরা গুলি গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি তুলবে এবং তা সঙ্গে সঙ্গে সার্ভার রুমে পাঠিয়ে দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firecracker Market: এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও বাজি বাজার এবার এক মাস! এ কেমন সিদ্ধান্ত নবান্নর

    Firecracker Market: এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও বাজি বাজার এবার এক মাস! এ কেমন সিদ্ধান্ত নবান্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এত বেআইনি কারখানার হদিশ, এত বিস্ফোরণ, এত প্রাণহানি, তাও এ কেমন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের? এ তো বাজি (Firecracker Market) বিষয়কে উল্টে আরও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । রাজ্য সরকারের এক মাস ব্যপী বাজি বাজারের অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন বিশেষজ্ঞমহলে। রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর (এমএসএমই) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, চলতি বছরেও বাজি বাজার বসবে প্রতিটি জেলায়। তবে, অন্যান্য বারের মতো এক সপ্তাহ নয়, বাজার চলবে এক মাস ধরে!

    বাজি-বাজার নিয়ে প্রশ্ন নানা মহলে 

    সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজবজ থেকে এগরা, মালদহ থেকে দত্তপুকুর— একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় (Firecracker Market) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ছোট শিশু থেকে বাজি কারবারি মৃত্যুমিছিলের পর প্রশ্ন উঠেছিল আর কবে কড়া হবে প্রশাসন? কিছু জায়গায় বাজি নিয়ে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, এ বছর উৎসবের মরসুমে কি আর বাজি বাজারের অনুমতি দেবে সরকার? কিন্তু এতো উল্টো চাল! বাজি বিষয়কে রও উৎসাহ দেওয়া হলো। কি ভাবছে প্রশাসন? পরিবেশকর্মীদের বড় অংশেরই দাবি, এমন বাজার বসলে বেআইনি বাজির কারবার মাথাচাড়া দিতে পারে। ঘটতে পারে আরও বিস্ফোরণের ঘটনা।

    আরও পড়ুন: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    প্রশ্ন বাজি-কারবারিদের মধ্যেও

    বাজি বাজার নিয়ে প্রশ্ন বাজি-কারবারিদের (Firecracker Market) মধ্যেও।  সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাজি বাজারের ৩০ দিনের জন্য ১০০ কেজি পর্যন্ত সবুজ বাজি ও ৫০০ কেজি পর্যন্ত ফুলঝুরি বিক্রির অনুমতি দিতে পারবেন জেলাশাসক। ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, অন্যান্য বার কলকাতায় যে বৈধ বাজি বাজার বসে, সেখানে এক-একটি স্টলে ১৫ কেজি পর্যন্ত বাজি রেখে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। তা হলে কি এ বার আরও বেশি বাজি মজুত রাখা যাবে? এত বিপুল বাজি নিয়ে বাজার চালাতে গেলে বিপদ ঘটবে না তো? উৎসবের মরসুমে কালীপুজো এবং বড়দিন মিলিয়ে যেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাজি ফাটানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত, সেখানে এত বেশি দিন বাজি বাজার বসতে দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে দূরদর্শিতার অভাব স্পষ্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share