Tag: Madhyom

Madhyom

  • ABVP: দিল্লির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঝড় এবিভিপির, সেন্ট্রাল প্যানেলে বিপুল জয়

    ABVP: দিল্লির ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঝড় এবিভিপির, সেন্ট্রাল প্যানেলে বিপুল জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বড় জয় পেল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন সেন্ট্রাল প্যানেলে চারটির মধ্যে তিনটে পদেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, সম্পাদক এবং সহ-সম্পাদক পদে এই জয় মিলেছে। অন্যদিকে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে এবিভিপি জিততে পারেনি সহ সভাপতি পদটি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শনিবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন সব দলের কাছেই একটি প্রেস্টিজ ফাইট ছিল। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট, তার আগে দিল্লির ছাত্র সংসদ ভোটে এবিভিবির (ABVP) বিপুল জয় যুব সমাজের মতামতের প্রতিফলন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে প্রচারে নেমেছিলেন খোদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কিন্তু এদিনের ফলাফলে তাঁকে ফের হতাশ হতে হল। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির।

    কোন প্রার্থী কত ভোটে জিতলেন 

    সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন এবিভিপি (ABVP) প্রার্থী তুষার দেধা, তাঁর জয়ের ব্যবধান ৩,৭২২ ভোট।

    সহ-সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের অভি দাহিয়া, মাত্র ৯৪০ ভোটে পরাস্ত হয়েছেন এবিভিপি প্রার্থী সুশান্ত ধানকার।

    সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন এবিভিপি প্রার্থী অপরাজিতা, তাঁর জয়ের ব্যবধান ১২,৮২০ ভোট।

    সহ-সম্পাদক পদে জয় লাভ করেছেন এবিভিপি প্রার্থী শচীন বৈশ্লা। তাঁর জয়ের ব্যবধান ৯,৭৭৫ ভোট।

    ট্যুইট কিরণ রিজিজুর 

    এভিপির এই বড় জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এবিভিপি (ABVP) প্রার্থীদের অভিনন্দন যেমন জানিয়েছেন, পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করেছেন।

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২টির মধ্যে ৩৪টি কলেজে জিতল এবিভিপি

    সেন্ট্রাল প্যানেল ছাড়াও বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলিরও ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অখিল ভারতের বিদ্যার্থী পরিষদ ছাড়াও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই, সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই, সিপিআই (এম এল)-এর ছাত্র সংগঠন আইসা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে ছিলেন চন্দ্রশেখর। প্রধান নির্বাচন কমিশনের কথায়, মোট ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছিল এই নির্বাচনে। যেখানে প্রায় একলাখ ছাত্র-ছাত্রী ভোটদান করেছিল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ১৭টি কলেজে জয় পেয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন, অন্যদিকে এবিভিপি জিতেছে ৩৪টি কলেজে। করোনাকালে বিগত বছরগুলিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন বন্ধ ছিল। শেষবারের মতো ২০১৯ সালে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। সেবারও চারটি প্যানেলের মধ্যে তিনটিতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল এবিভিপি (ABVP) প্রার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: এশিয়ান গেমসের কোয়ার্টার ফাইনালে ভলিবল দল! টেবল টেনিসে জয় বাংলার সুতীর্থার

    Asian Games 2023: এশিয়ান গেমসের কোয়ার্টার ফাইনালে ভলিবল দল! টেবল টেনিসে জয় বাংলার সুতীর্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে  এশিয়াডের টিম ইভেন্টগুলি। আজ, শনিবার বিকেলে ১৯তম এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) শুভ উদ্বোধন। ভারতের মোট ৬৫৫ জন অ্যাথলিট (কর্তাদের দল আলাদা) এবার এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছেন। এত বড় দল এর আগে কোনওদিন গেমসে অংশ নেয়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবার দেশের হয়ে দু’জন পতাকা বইবেন। একজন নামী মহিলা বক্সার লভলিনা বারগোঁহাই (Lovlina)। অন্যজন পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং (Harmanpreet Singh)।

    ভলিবলে দারুণ শুরু

    পদক জয়ের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় পুরুষ ভলিবল দল। শনিবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে চাইনিজ তাইপেকে ২৫-২২, ২৫-২২, ২৫-২১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিলেন অমিত গুলিয়া, আশোয়াল রাইরা। গ্রুপ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে জায়গা করে নেয় ভারত। প্রথম ম্যাচে হারিয়েছিল কম্বোডিয়াকে। তবে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের লড়াইটা ছিল বেশ কঠিন। কারণ, প্রতিপক্ষ দলটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। যারা তিন বার এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বাধা টপকে বড় চমক দেয় ভারতীয় পুরুষ ভলিবল দল। সাফল্যের সেই ধারা অব্যাহত রইল শেষ ষোলোর লড়াইয়েও। 

    শক্তির নিরিখে এই ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল ভারত। চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধ ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিততে ভারতীয় পুরুষ ভলিবল দলের সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। আশোয়াল ছাড়াও ভারতের জয়ে বড় অবদান রয়েছে বিনীত কুমারেরও। একাই ১৪ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছেন আশোয়াল। বিনীত সংগ্রহ করেছেন ১২ পয়েন্ট। তবে প্রথম সেটে একটা সময় ১০-৬ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিল চাইনিজ তাইপে। সেখান থেকে দুরন্ত কামব্যাক করে ভারত। সেই সেট শেষ পর্যন্ত ২১-২১ হয়। যদিও শেষ হাসি হাসে ভারত।


    লড়াই হয় দ্বিতীয় সেটেও। একটা সময় স্কোর ছিল ১৭-১৭। তবে তৃতীয় সেটে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দেননি ভারতীয় খেলোয়াড়রা। সেট জেতার পাশাপাশি ম্যাচও পকেটে পুরে ফেলে ভারত। ২৪ সেপ্টেম্বর হবে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। এক্ষেত্রে ভারতের প্রতিপক্ষ হতে পারে শক্তিশালী জাপান কিংবা কাজাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতলে কত টাকা পাবে টিম ইন্ডিয়া? পুরস্কারমূল্য জানাল আইসিসি

    টেবিল টেনিসেও জয়-যাত্রা

    টেবিল টেনিসে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেলন বাংলার সুতীর্থা। পুরুষদের দলগত ম্যাচে জিতেছেন হরমীত, মানবও। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন দিয়া পরাগ চিতালে ও নেপালের সিক্কা শ্রেষ্ঠা। ১১-১, ১১-৬, ১১-৮ ব্যবধানে জেতেন দিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলার ঐহিকা মুখোপাধ্যায় ১১-৩, ১১-৭, ১১-২ ব্যবধানে উড়িয়ে দেন নবিতা শ্রেষ্ঠাকে। বাংলার আরও এক কন্যা সুতীর্থাও সহজ জয় পেয়েছেন ইভানা থাপা মাগারের বিরুদ্ধে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: পুজোয় দার্জিলিঙে ফের যানজটে নাকাল হবেন পর্যটকরা, হেলদোল নেই রাজ্যের

    Darjeeling: পুজোয় দার্জিলিঙে ফের যানজটে নাকাল হবেন পর্যটকরা, হেলদোল নেই রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিঙে হোটেল ফাঁকা নেই। ট্রেনের টিকিটও প্রায় শেষ। পুজোর পর্যটন মরশুমে টয় ট্রেন, টাইগার হিলের আকর্ষণে দলে দলে দেশ বিদেশের পর্যটকরা দার্জিলিঙে (Darjeeling) ছুটে আসবেন। কিন্তু,যানজট যন্ত্রণায় একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাঁরা ঘরে ফিরবেন, এই আশঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা, সকলের।

    দার্জিলিংয়ে কেন এত যানজট? (Darjeeling)

    ব্রিটিশ আমলের পর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আর পাহাড়ের পরিকাঠামো, বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিকল্প রাস্তা হয়নি। পার্কিং জোন নেই বললেই চলে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। এর ফলে যানজটে হাঁসফাঁস করছে দার্জিলিং (Darjeeling)। পানীয় জলের সঙ্কট ও যানজটের জন্য দার্জিলিং থেকে পর্যটকরা এক সময় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে আবার পর্যটকরা দলে দলে পাহাড়মুখো হয়েছেন। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার  রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার পাহাড়ে এসেছেন। নানা উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছেন, ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবিও করেছেন। তাঁদের সহযোগী গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)ও কিছুই করেনি। সেকারণেই পাহাড়জুড়ে যানজট সমস্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও অবহেলিতই থেকে গিয়েছে দার্জিলিং পাহাড়। এবারও পুজোর ভ্রমণে দলে দলে পর্যটক দার্জিলিঙে আসবেন। তাতে যানজট সমস্যা আরও তীব্র হবে। এনিয়ে পাহাড়বাসীও চিন্তিত। কেননা পর্যটকরা দলে দলে আসায় পাহাড়ের রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। যানজট ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। 

    পাহাড়ে যানজট সমস্যা নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    শুধু পর্যটকরাই নয়,দার্জিলিঙের (Darjeeling) বাসিন্দারাও নাজেহাল হচ্ছেন। পাহাড়ের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরীভিত্তিতে সমতল শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে  যানজটের কারণে দীর্ঘক্ষণ সময় চলে যায়। দার্জিলিং পুলবাজারের বাসিন্দা গৌলন শেরপা, চক বাজারের দীপেন ঠাকুরিরা বলেন, সুভাষ ঘিষিং দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের দায়িত্বে থাকার সময় শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত রোহিনীর রাস্তা তৈরি করেছিলেন। তা নাহলে দার্জিলিঙের অবস্থা আরও শোচনীয় হত। রাজ্য সরকার, জিটিএ পরিকল্পিত উন্নয়নের ভাবনায় দার্জিলিংকে যানজট মুক্ত করার জন্য কিছুই করছে না। এই অবহেলায় যানজটের পাশাপাশি গাড়ির ধোঁয়ায় দার্জিলিং বায়ু দূষণে জর্জরিত। আগামী দিনে এই দূষণের কারণে দার্জিলিং পর্যটক শূন্য হয়ে পড়তে পারে।

    পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা জিটিএ কী করছে?

    জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনিত থাপা বলেন, সম্প্রতি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে দার্জিলিং পাহাড়ের প্রধান রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করতে কিছু বাইপাস তৈরি করা হবে। এতে মূল রাস্তায় যানজট দেখা দিলে সেই বিকল্প রাস্তা দিয়ে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, যানজটও কমবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam Case: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    Recruitment Scam Case: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের খতিয়ানে তাঁরা উধাও। এমন ঘটনায় বিস্মিত বিচারপতিও। দুই প্রাথমিক শিক্ষক (Recruitment Scam Case) কোথায় গেলেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আসলে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি’কে দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের তালিকা আদলতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো তালিকা জমা দিয়েছে ইডি। যেখানে দুই শিক্ষকের নাম রয়েছে, যাঁদের পদবী ‘রজক ও ‘শেখ’। এই দুই অভিযুক্ত শিক্ষক ২০২০ সালে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন বলে দাবি ইডির। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া হলফনামায় ওই দুই শিক্ষকের কোনও উল্লেখই নেই। 

    জেনে বুঝেই নামগুলি বাদ!

    অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছে ইডি এবং সিবিআই। যা পরে আদালতের নির্দেশে পর্ষদকে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার ভিত্তিতেই আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে পর্ষদ। এখন প্রশ্ন উঠছে, ইডির তালিকায় ‘রজক’ ও ‘শেখ’ পদবীধারী দুই শিক্ষককে ভুয়ো হিসেবে চিহ্নত করা হলেও, তা পর্ষদের হলফনামায় উল্লেখ নেই কেন? তাহলে কি জেনে বুঝেই নামগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। 

    ইডির তালিকা নিয়ে পর্ষদের জবাব

    ইডির তালিকায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রায় ২২০৭ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে ২০১৬-১৭’তে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৮০৪ জন। আর ২৫০ জনের চাকরি হয়েছিল ২০২০ সালে। শুধু তাই নয়, আরও ৬৩ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে, যা ২০২৬-১৭ সালেই বিশেষ প্যানেল গঠন করে নেওয়া হয়েছিল। যা ইডির পক্ষ থেকে অবগত করা হয়েছিল পর্ষদকেও। তবে মজার ব্যাপার হল, পর্ষদ দাবি করছে ২০২০ সালে নিযুক্ত ২৫০জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন ছাড়া ২৪৮ জনের নিয়োগ বৈধ। এমনকী পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৮৯৪ ও ৬৩ জন টেট পাশ করেছিল। 

    সিবিআই-এর তালিকায় ধাক্কা

    সূত্রের খবর, ইডির তালিকা নিয়ে প্রত্যুত্তর দিলেও সিবিআইয়ের দেওয়া তালিকায় এসে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে পর্ষদ। সিবিআই তাদের তালিকায় টেট পাশ না করা ৯৬ জন এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ (ডিইএলএড) ডিগ্রি না থাকা ৪৬ জনের নাম দিয়েছিল। ৯৬ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন যাঁরা সরাসরি টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পৃথক ভাবে ২৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে যাঁদের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল কিংবা কুন্তল ঘোষের দু’জন দালালের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ৯৬ জনকে তাঁদের নথি যাচাইয়ের জন্য তলব করা হয়েছে। অন্য ৪৬ জনকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    এই হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী সৌমেন নন্দীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, ‘‘নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে বার বার বলা হয়েছে। এত দিন পুরোপুরি অস্বীকার করলেও এ বার অন্তত নথি যাচাইয়ে ডাকতে বাধ্য হয়েছে পর্ষদ। পুরো তদন্ত হলে আরও অনেক কিছুই বেরোতে পারে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    Dengue Update: এবছরে ডেঙ্গি নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে পাঠায়নি নবান্ন! এদিকে রাজ্যে মৃত্যুমিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই দিনে রাজ্যে ৬ জন ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের মৃত্যু।  এর মধ্যে দু’জন রোগী ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শহরের প্রাইভেট হাসপাতালে ভরতি ছিলেন সেই দু’জনই। মৃতদের মধ্যে একজন ছিলেন বাঘাজতিন এলাকার বাসিন্দা, অপরজন ছিলেন সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা। কলকাতার দুই রোগী ছাড়াও গতকাল ডেঙ্গি প্রাণ কেড়ে নেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজনের। তার মধ্যে দু’জন ঘাটালের বাসিন্দা এবং বাকি দু’জন খড়গপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তবুও নির্বিকার প্রশাসন।গত জুন-জুলাই থেকে রাজ্যে ডেঙ্গি বাড়তে থাকলেও প্রশাসনের টনক নড়ছে না।

    কেন্দ্রকে তথ্য দেয়নি রাজ্য

    চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue Update) নিয়ে কোনও তথ্যই কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য! কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে একথা জানা যায়। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এখনও পর্যন্ত কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০, ’২১ এবং ’২২ সালে রাজ্য সরকার ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে পাঠালেও, ২০১৮ এবং ’১৯ সালেও কোনও তথ্য দেয়নি।  

    ভয়াবহ পরিস্থিতি

    কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭০০ জন। সেই সংখ্যাটাই গতকাল বেড়ে হয় ৩৮০২। এদিকে  এই নিয়ে এবছরে সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। এদিকে শুক্রবার একই দিনে ৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় স্বভাবতই আরও আতঙ্ক বেড়েছে ডেঙ্গি নিয়ে।

    রাজ্যবাসীর প্রশ্ন

    প্রতিনিয়ত যে হারে ডেঙ্গি (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে  শহরবাসী। প্রতি বারই সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠার এবং বেশ কিছু প্রাণ চলে যাওয়ার পরে কেন টনক নড়ে রাজ্য সরকারের? বিরোধীদের প্রশ্ন, বর্ষা যখন শুরু হল, তখনই কেন পদক্ষেপ করল না রাজ্য সরকার? ডেঙ্গি যখন মহামারির চেহারা নিতে চলেছে, তখন রাস্তায় নেমে কী হবে? পুর স্বাস্থ্য বিভাগ যদি সত্যিই ঠিক মতো কাজ করত, তা হলে ডেঙ্গি এত ভয়াবহ আকার নিত না বলে অভিমত শহরবাসীর।

    আরও পড়ুন: বিরিয়ানিতে কি রং, বাসি-পচা মাংস? খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    শহরের অবস্থা

    পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, কলকাতার ১৬টি বরোর মধ্যে ডেঙ্গিতে (Dengue Update) আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক দশ নম্বর বরোয়। সেখানে গত এক মাসে তিন জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। গত বছরেও এই বরো আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষ স্থানে ছিল। বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘গত বছরের চেয়েও এ বার ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশি উদ্বেগজনক। অথচ, কলকাতা পুরসভার বাজেটে মশাবাহিত রোগ দূরীকরণে মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়। আমাদের প্রশ্ন, তা হলে ভেক্টর কন্ট্রোলের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে কাজের কাজ কী হচ্ছে?’’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Slams Pak: ‘‘অপরাধ করাটা অভ্যাস’’! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের

    India Slams Pak: ‘‘অপরাধ করাটা অভ্যাস’’! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৮তম অধিবেশনে পাকিস্তান কাশ্মীর (India Slams Pak) ইস্যু উত্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী, যার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র আক্রমণ শানান রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেতাল গেহলট। পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জানানো হয়, অধিকৃত কাশ্মীরকে (India Slams Pak) দখলমুক্ত করার জন্য। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সরাসরি সমর্থন, ফান্ডিং এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন ভারতের প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এদিন ফের দাবি করেন যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানই নাকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আনতে পারে।  পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্রভাবে নিশানা করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি পেতাল গেহলট।

    কী বললেন ভারতের প্রতিনিধি

    ভারতের প্রতিনিধি এদিন বলেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার চালানোর জন্য এই ফোরামকে অপব্যবহার করছে পাকিস্তান। এই অপরাধ করা পাকিস্তানের (India Slams Pak) অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশ এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংগঠন ভালোভাবেই জানে যে পাকিস্তান মানবাধিকার রক্ষার ইস্যুতে ডাহা ফেল। সেখান থেকেই নজর ঘোরাতে বারংবার কাশ্মীর ইস্যুর কথা তোলে পাকিস্তান। আমরা অবশ্য আরও বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই।’’

    সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান

    সন্ত্রাসকে ফান্ডিং সমেত ভারতে সন্ত্রাসবাদী (India Slams Pak) হামলায় মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক অতীতে পুলওয়ামার হামলাতেও পাকিস্তানের যোগ পাওয়া যায়। এর পরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ সাধন করে মোদি সরকার। ৩৭০ ধারার মাধ্যমে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল অনেক চওড়া হয়ে যায়। অন্যদিকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে দেখা যায় কাশ্মীরকে। সব থেকে বেশি বলিউড এবং হলিউডের ছবির শ্যুটিংও শুরু হয় সেখানে। হোটেলগুলোতেও গিজগিজ করতে থাকে পর্যটকদের ভিড়ে। তার মাঝে ফের একাধিকবার জঙ্গি হামলার প্রয়াস চালায় পাকিস্তান। চলতি বছরের জুন মাসেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর এই নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ভারত নিজেদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখে। তবে পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আমরা সন্ত্রাসবাদকে মেনে নিতে পারি না। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ কোনও ভিত্তি হতে পারে না।’ ভারতের স্পষ্ট বার্তা, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে তার জন্য পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পথ ছাড়তে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোলাই খেয়ে মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য় দেয় রাজ্য সরকার। কোভিডে (Covid) মৃত্যু হলে কত দেওয়া হয়? কোভিড-মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কোভিডে স্বামীহারা এক মহিলা দুই সন্তান নিয়ে আর্থিক অনটনের কথা জানিয়ে আদালতে এসে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই মামলায় করলে বিচারপতি শুক্রবার এই প্রশ্ন তোলেন।

    কী বললেন বিচারপতি

    ২০২০ সালের ১ অগস্ট কোভিডে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার নালাবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিভূতি কুমার সরকারের। তাঁর মৃত্যু পর কমপেনসেটরি গ্রাউন্ডে তাঁর স্ত্রী চাকরি পাবেন বলে আশা করেছিলেন। তা না পেয়ে বিভূতি বাবুর বিধবা স্ত্রী দীপ্তি সরকার হাইকোর্টে মামলা করেছেন। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। সেই মামলায় বিচারপতি এদিন বলেন, “চোলাই মদ খেয়ে কেউ মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা দিচ্ছে, আর কোভিডে মৃত্যুর ক্ষেত্রে কত টাকা দিচ্ছে রাজ্য? আদৌ কি টাকা ধার্য করা হয়?’’ এর পরেই কোনও ব্যক্তির নামোল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘‘কে এক জন ভাইপো আছে। তার চারতলা বাড়ি। কোটি টাকার বাড়ি। এত টাকা আসে কোথা থেকে?’’

    আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১০গুণ বাড়াল মোদি সরকার

    বিচারপতির মন্তব্যে চর্চা

    বঙ্গ রাজনীতিতে এই ভাইপো শব্দবন্ধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে তোলপার রাজ্য। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “মমতা নিজে বলছেন উনি গরিব ঘরের মেয়ে। ভাইপোর বাবার হার্ডওয়ারের দোকান। সেটাই রোজগারের উপায়। সেই পরিবারের সদস্য় হয়ে অভিষেক ডাক্তারি করলেন না, ইঞ্জিনিয়ারিং করলেন না, জমি কিনলেন না, চাষাবাদ করলেন না। অথচ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গেল। কনসালটেন্সি করে। আমি জানি না কী করলে এত কোটির মালিক হওয়া যায়।” সুকান্তর কথায়, কোভিডে যারা মারা গেছে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। কিন্তু ডিএ, চাকরি কিছুই দিতে পারে না। অথচ কোটি কোটি টাকা খয়রাতি হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Metro: স্টেশন তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, গঙ্গার নিচে যাত্রী নিয়ে কবে ছুটবে মেট্রো?

    Howrah Metro: স্টেশন তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, গঙ্গার নিচে যাত্রী নিয়ে কবে ছুটবে মেট্রো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গঙ্গার নিচে দিয়ে চালু হতে চলেছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া মেট্রো স্টেশন (Howrah Metro) হয়ে গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রো পৌঁছে যাবে কলকাতায়। বেশ কয়েকবার গঙ্গার নিচে দিয়ে ট্রায়াল রানের কাজও ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন গঙ্গার দুই পাড়ে মাটির তলায় মেট্রো স্টেশনের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। একই সঙ্গে মেট্রো স্টেশনের উপরেও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নানা পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে জোরকদমে। কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করে মেট্রো পরিষেবা শুরু করতে তৎপর মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

    হাওড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কত স্টেশন রয়েছে?

    কলকাতা মেট্রোর এই রুট হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা পর্যন্ত প্রায় ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। যেখানে থাকছে মোট ৪টি আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন। হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন (Howrah Metro), মহাকরণ ও এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা। প্রতি ১২ মিনিট অন্তর চলবে মেট্রো। আপাতত রোজ সারাদিন ট্রায়াল রান হচ্ছে, যা ইতিমধ্যেই শেষের পথে।

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনে (Howrah Metro) মাটি থেকে কতটা নিচে?

    রেল সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া মেট্রো স্টেশনের গেট তৈরি হচ্ছে হাওড়া রেল স্টেশনের ধাঁচে। লাল টেরাকোটা দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গেটের একাংশ। এটি দেশের দ্বিতীয় গভীরতম মেট্রো স্টেশন হতে চলেছে। যা গভীরতম মেট্রো স্টেশন পুণে মেট্রোর সিভিল কোর্ট স্টেশনের পর। সবথেকে বেশি হাওড়া মেট্রো স্টেশনে (Howrah Metro) ৩২টি এএফসি ও পিসি গেট বসানো হচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই গেট দিয়ে প্রতি মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী ঢুকতে ও বের হতে পারবেন। যাত্রীরা কোন দিক থেকে কোন দিকে যাবেন তার জন্যে ২০টি জায়গায় দিক নির্দেশিকা বোর্ড থাকবে। ঢোকা বের হওয়া নিশ্চিত করতে বিভিন্ন তল মিলিয়ে ২৭টি এসক্যালেটর ও ৭টি লিফট থাকছে। মাটি থেকে ৩৫ মিটার নিচে এই মেট্রো স্টেশন তৈরি হচ্ছে। 

    স্টেশনের ভিতরে তৈরি হচ্ছে সব রকম আধুনিক যাত্রী পরিষেবার জন্যে পরিকাঠামো। অন্য স্টেশনের মতো আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই বসে গেছে  স্লাইডিং ডোর, লিফট ও এসক্যালেটর। তবে, টিকিট চেকিং মেশিন হাওড়া ময়দানে বসে গেলেও হাওড়া স্টেশনে তার তোড়জোড় চলছে। হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম শুরু হচ্ছে যে জায়গা থেকে তারপর ছিল ১৬ নম্বর রেল লাইন। এই  রেললাইনটি হাওড়া স্টেশনের সব থেকে পুরানো রেল লাইন বলে মনে করেন ঐতিহাসিকরা। পরবর্তীকালে আধুনিক হাওড়া  স্টেশন তৈরি হলে ১৬ নম্বর  রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে গড়ে ওঠে গুডস ট্রেনের জন্য মালপত্র আদান-প্রদানের অফিস। ১৬ নম্বর রেললাইন ছাড়াও ১৭ নম্বর রেললাইন পর্যন্ত অনেকটাই জায়গা আছে যেখানে রেলের পুরানো কয়েকটি অফিস ও গোডাউন ছিল। এই পুরনো অফিসগুলির বেশ কিছু ভেঙে সেখানে তৈরি হচ্ছে মেট্রো স্টেশনে কাজ।

    ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার আগে যে পুরানো রাস্তা ছিল সেই রাস্তার ফুট ওভারব্রিজ ভেঙে ফেলা হয়েছে। মেট্রো চালু হলে এই দুটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে নিউ কমপ্লেক্স এ যাত্রীরা চলাচল করার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি পাতাল পথ বা আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে। তার উপরেই রয়েছে মেট্রোর স্টেশনের দুটি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ। যারা ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে মেট্রো ধরতে যাবেন তাদের জন্য ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনে এবং যারা নিউ কমপ্লেক্স থেকে মেট্রো ধরতে আসবেন। তাদের জন্য ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে দুটি মেট্রোর গেট পাশাপাশি তৈরি হয়েছে। মেট্রো স্টেশনের শেষ প্রান্তটি রয়েছে হাওড়া ময়দান এর দিকে বঙ্কিম ব্রিজের সামনে।

    কী বললেন মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক?

    মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, সম্পূর্ণভাবে আধুনিক যাত্রী পরিষেবা গড়ে তোলা হচ্ছে হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন (Howrah Metro) সহ অন্যান্য মেট্রো স্টেশনগুলিতে। মেট্রো রেলের স্টেশনটি তৈরি হচ্ছে হাওড়া স্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার মাঝখানের অংশে। যেটি হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন হাওড়া লঞ্চঘাট থেকে ডিআরএম ভবনের পাশ দিয়ে সরাসরি মেট্রো স্টেশনে যাওয়া যাবে। মেট্রো রেলের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব দ্রুত মেট্রো চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: নিজ্জরের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হত কানাডার গোয়েন্দাদের! চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি নিহত জঙ্গির ছেলের

    Canada: নিজ্জরের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হত কানাডার গোয়েন্দাদের! চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি নিহত জঙ্গির ছেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada) শুধুমাত্র যে খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে আশ্রয় দিয়েছিল এমনটাই নয়। সে দেশের গোয়েন্দারা নাকি নিয়মিত বৈঠকও করত এই খালিস্থানি জঙ্গির সঙ্গে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কানাডার সংবাদ মাধ্যমগুলির সৌজন্যে। অর্থাৎ এতদিন ধরে ভারত যা দাবি করছিল তা সত্য বলে প্রমাণিত হল। পাকিস্তানের মতো কানাডা যে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে, ভারতের এই দাবি এবার সিলমোহর পেল। নিজ্জরের নিরাপত্তার দায়িত্বভারও গ্রহণ করেছিল সে দেশের গোয়েন্দারা, একথা যে অন্য কেউ বলছে তা নয় নিহত খালিস্থানি জঙ্গি নিজ্জরের ছেলে এই স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন।  ভারতের এই দাবি সত্য প্রমাণ হওয়ার পরে কানাডা (Canada) প্রশাসনের কাছে কি আর কোনও উত্তর রইল? এমনটাই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলছে নিজ্জরের ছেলে 

    প্রসঙ্গত, খালিস্থানপন্থী নিজ্জর চলতি বছরের ১৮ জুন শিখ গুরুদোয়ারার সামনে গুলিবিদ্ধ হন। নিজ্জরের ছেলে বলরাজ সিং নিজ্জর সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা সাপ্তাহিকভাবে বৈঠক করতেন কানাডার (Canada) গোয়েন্দাদের সঙ্গে। কখনও কখনও এই বৈঠক সপ্তাহে একবার হতো বা দুইবার হতো। শুধু তাই নয় বলরাজ সিং এও জানিয়েছেন যে কানাডার গোয়েন্দাদের সঙ্গে তাঁর বাবা শেষবারের মতো বৈঠকও  হয়েছে, মৃত্যুর দু’দিন আগে। বলরাজের কথায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই ঘন ঘন বৈঠক শুরু হয়। নিহত খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের  ছেলে আরও জানিয়েছেন, কানাডার (Canada) গোয়েন্দারা তাঁর বাবাকে বাড়িতে থাকতেই পরামর্শ দিয়েছিলেন।

    জনসমর্থন হারানো ট্রুডো খালিস্তানি জঙ্গিদের প্রশ্রয় কেন দিচ্ছে

    কানাডার (Canada) একাধিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সে দেশে জনসমর্থ হারিয়েছেন ট্রুডো। যে কোনও সময়ই ভোট হলে তাঁরা পরাজয় নিশ্চিত বলেও জানাচ্ছেন সমীক্ষকরা। এহেন পরিস্থিতিতে ক্ষমতা ধরে রাখতেই কি শিখ উগ্রবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন ট্রুডো? এমন প্রশ্নও শোনা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপ জিতলে কত টাকা পাবে টিম ইন্ডিয়া? পুরস্কারমূল্য জানাল আইসিসি

    ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপ জিতলে কত টাকা পাবে টিম ইন্ডিয়া? পুরস্কারমূল্য জানাল আইসিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র দু সপ্তাহ বাকি। অক্টোবরের ৫ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে এক দিনের বিশ্বকাপ (ODI World Cup 2023)।  তার আগে এই বিশ্বকাপে পুরস্কার মূল্য (Prize money) ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি (ICC)। বিশ্বকাপজয়ী দল পাবে ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৩ কোটি টাকারও বেশি। আর রানার্সআপ দল পাবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ১৬ কোটি টাকারও বেশি।

    কোন দল পাবে কত টাকা

    সব মিলিয়ে ১ কোটি ডলার বা ৮২ কোটি টাকা মূল্যের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এ বারের প্রতিযোগিতায় ১০টি দল খেলবে। প্রতিযোগিতায় খেলা প্রতিটি ম্যাচের জন্যেই থাকছে আর্থিক পুরস্কার। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল পাবে ৮ লক্ষ ডলার বা আনুমানিক ৬ কোটি টাকা করে। এ ছাড়া, যে ছ’টি দল নকআউটে উঠতে পারবে না, তারা প্রত্যেকে ১ লক্ষ ডলার বা ৮২ লক্ষ টাকা করে পাবে। পাশাপাশি গ্রুপ পর্যায়ে প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্যে বিজয়ী দল ৪০ হাজার ডলার বা আনুমানিক ৩৩ লক্ষ টাকা করে পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে।

    আরও পড়ুন: একদিনের ক্রিকেটে শীর্ষে ভারত, পিছনে পাকিস্তান! অজিদের পাঁচ উইকেটে হারাল টিম ইন্ডিয়া

    কোন কোন মাঠে খেলা

    একদিনের বিশ্বকাপ (ODI World Cup 2023) শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যাবে এর এক বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি। আগামী বছর আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যে আমেরিকার তিনটি মাঠের কথা আগেই জানিয়েছিল আইসিসি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন মাঠগুলিতে খেলা হবে সেটাও জানিয়ে দিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। আগামী বছর ৪-৩০ জুন প্রতিযোগিতা হবে। আইসিসি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের যে সাতটি এলাকার মাঠ বেছেছে সেগুলি হল: অ্যান্টিগা ও বারবুডা, বার্বাডোজ়, ডোমিনিকা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। এ ছাড়াও আমেরিকার ডালাস, ফ্লোরিডা এবং নিউ ইয়র্কে খেলা হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share