Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে শুরু প্রতিরোধ, চট্টগ্রামে গণরোষে মৃত ২ জামাত নেতা

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে শুরু প্রতিরোধ, চট্টগ্রামে গণরোষে মৃত ২ জামাত নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষুদ্ধ জনতার হাতে এবার নিহত দুই জামাত নেতা। পালাবদলের বাংলাদেশে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ছিল, অবশেষে গণরোষে তাঁদের মরতে হল। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের (Chittagong) সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়ায়। এখানেই ক্ষুব্ধ জনতা ওই দুই জামাত নেতাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে খবর। নিহত দুই জামাত নেতার নাম নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেহ বলে জানা গিয়েছে। দুজনেরই বয়স প্রায় ৩৫ বছর হবে বলে চট্টগ্রামের পুলিশ জানিয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৫ জন। যাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।

    পালাবদলের বাংলাদেশে (Bangladesh) সন্ত্রাস চালাত জামাত নেতারা

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল সোমবার রাত ১০টা নাগাদ সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নিহত জামাত নেতা নেজামের দেহের পাশে পড়ে রয়েছে একটি রিভলবার। অভিযোগ, গত বছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় নেজাম ও তার সহযোগীরা সন্ত্রাস চালাত। এবার সেই নেজামকেই পিটিয়ে মেরে ফেলল উত্তেজিত জনতা।

    ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ (Bangladesh)

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতের নামাজের পর ৯টার দিকে অন্তত ২০ জন সশস্ত্র অনুগামীকে নিয়ে স্থানীয় জামাত নেতা নেজাম উদ্দিন এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় যান। সেখানে দাঁড়াতেই এলাকার জনগণ স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকে ‘ডাকাত আসছে ডাকাত আসছে’ বলে ঘোষণা করে দেয়। এরপরেই তৈরি হয় ব্যাপক ভিড়। এমন সময় নেজামের সহযোগীরা জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। আধঘণ্টা ধরে চলে গোলাগুলি। অবস্থা বেগতিক বুঝে পালাতে যায় জামাত নেতারা। এই আবহে মধ্যেই আরও ১০০ থেকে ১৫০ এলাকাবাসী লাঠিসোটা ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ভিড় করে।

    পুলিশও সমীহ করত নেজামকে (Bangladesh)

    নেজাম ও তাঁর সহযোগী আবু সালেহসহ আরও কয়েকজনকে ধরে ফেলে জনতা। ক্ষুব্ধ জনতার মারধরে নেজাম ও আবু সালেহ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হলেও ইকবাল ও ওবায়দুল হক নামের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা নেজাম উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা এলাকায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর থেকে নেজাম ও তাঁর বাহিনী তোলাবাজি শুরু করে। চলতে থাকে সন্ত্রাস। জানা গিয়েছে, ইউনূস জমানায় পুলিশও ওই দুই জামাত নেতাকে সমীহ করে চলত।

  • Sambhal Masjid: বড় জয় হিন্দুপক্ষের, সম্ভল মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার অনুমতি হাইকোর্টের

    Sambhal Masjid: বড় জয় হিন্দুপক্ষের, সম্ভল মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভল জামা মসজিদের (Sambhal Masjid) দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ উল্লেখ করার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। মুসলিম কমিটি ওই কাঠামোটি সাদা রং করা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ শব্দটি লিখে দেওয়ার।

    ‘বিতর্কিত কাঠামোলেখার নির্দেশ (Allahabad High Court)

    মুসলিম কমিটি আপত্তি তোলার পর ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়ে দেয়, তারা এই আপত্তির বিষয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চায়। এর পরেই হিন্দু পক্ষের দাবির ভিত্তিতে হাইকোর্ট মসজিদটির দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার নির্দেশ দেয়। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়েছে, মসজিদের (Sambhal Masjid) রং করার বিষয়ে অন্য পক্ষ তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তারা এও জানিয়েছে, মসজিদের দেওয়াল রং করার বিষয়ে মুসলিম পক্ষের চাপ সম্পর্কে তারা প্রশ্ন তুলেছে। এর পরেই আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ মার্চ।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    এই মসজিদটিকে (Sambhal Masjid) ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, শাহি জামে মসজিদটি ঐতিহাসিক হরিহর মন্দির ধ্বংস করার পরে নির্মিত হয়েছিল। অনেকের বিশ্বাস, মন্দিরটি এই জায়গায়ই অবস্থিত ছিল। গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে মসজিদে একটি সমীক্ষা হয়। সেই সমীক্ষার পরেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে চারজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরেই শুরু হয় তদন্ত। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ টিম মসজিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট জমা দেয়। এর আগে আদালত এএসআইকে মসজিদ (Sambhal Masjid) পরিদর্শন করতে এবং তার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর (Allahabad High Court) মাসে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায় ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা একটি প্রাচীন মন্দিরের দ্বার খোলা হয়। গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে মন্দিরটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দ্বার খোলার পর মন্দিরটিতে সকালে আরতিও অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরে ভগবান হনুমানের একটি মূর্তি এবং একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

    মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শাহি জামা মসজিদের (Sambhal Masjid) একদম কাছেই রয়েছে এই মন্দিরটি। প্রশাসন যখন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানে নামে সেই সময় এই মন্দিরটি আবিষ্কার করে। স্থানীয়দের দাবি, ১৯৭৮ সালে গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর এলাকা ছেড়ে পালান স্থানীয় হিন্দুরা। সেই কারণেই বন্ধ ছিল মন্দিরটি (Allahabad High Court)।

  • PM Modi: মোদির নেতৃত্বে বাড়ছে দেশের রফতানি, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যাচ্ছে চিন-ভিয়েতনামে!

    PM Modi: মোদির নেতৃত্বে বাড়ছে দেশের রফতানি, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যাচ্ছে চিন-ভিয়েতনামে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ক্রমশই উন্নতির শিখরে পৌঁছাচ্ছে ভারত। রফতানির দিক থেকেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে নিজের জায়গা অনেকটাই মজবুত করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, অ্যাপল ফোনে ব্যবহৃত একাধিক সরঞ্জামের রফতানিকারক দেশ হিসেবে নিজের জায়গা মজবুত করেছে ভারত। বিশ্বের বাজারে ভালো ব্যবসা শুরু করেছে ভারতে নির্মিত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম। এই সমস্ত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরবরাহ করছে চিন এবং ভিয়েতনামে। সেখানেই বিক্রি হচ্ছে ভারতে উৎপাদিত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম (Global Electronics Supply Chain)। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির মানচিত্রে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে ভারত। অনেকে মনে করছেন ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের এমন সরবরাহ ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক যা আগে কখনও দেখা যায়নি এবং বিশ্বব্যাপী এই ভাবেই বাণিজ্যে ভারতের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর অবশ্য একটাই কারণ তা হল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া কর্মসূচি।

    মোদির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে ভারতের বাণিজ্য নীতির

    ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই ধরনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন বিশ্ব বাণিজ্য নীতির আমূল পরিবর্তনের ফলে। যে ধরনের উদ্যোগ মোদি সরকার (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিয়েছে তার যথেষ্ট প্রশংসা করছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন উদ্যোগের ফলে ভারতবর্ষে ব্যবসার এক আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যেখানে অ্যাপেল ফোনের সরবরাহ সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থাগুলি যেমন মাদার সন গ্রুপ, জাবিল গ্রুপ এবং টাটা ইলেকট্রনিক্স এক অনুকূল পরিবেশ পেয়েছে। এই পরিবেশ নির্মাণ পুরোটাই সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের নীতির কারণে। যার ফলে সহজ হয়েছে উৎপাদন বাণিজ্য। এর ফলেই ভারতবর্ষে গড়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক শিল্পের এক বড়সড় ইকোসিস্টেম। ভারতবর্ষের অভ্যন্তরে এমন ইকোসিস্টেম আগে কখনও দেখা যায়নি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতেই তা সম্ভব হয়েছে। অনুকূল বাণিজ্যের পরিবেশ পেয়ে এই সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে উৎপাদন করতে পারছে। সেই উৎপাদিত সরঞ্জাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। রফতানিকারক দেশ হিসেবে এভাবেই এগিয়ে চলেছে ভারত।

    কূটনৈতিক দিক থেকে কেন গুরুত্বপূর্ণ

    প্রসঙ্গত এই ধরনের রফতানিকারক দেশ হওয়াতে ভারতবর্ষের কূটনৈতিক দিক থেকেও একটি উল্লেখযোগ্য স্থান এসেছে। তা হল বাণিজ্যে চিনের যে একাধিপত্য, সেটাও এবার কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে শুধু বিশ্বের অন্যান্য দেশেই যে ভারতের বাণিজ্য বিস্তৃত হবে তা নয়, অ্যাপলের সরঞ্জাম তৈরির মাধ্যমে এদেশেও অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের কর্মসংস্থানেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে এবং তা বাড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    ২০৩০ সালের মধ্যে রফতানি ব্যবসা হবে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

    প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে ভারতের এমন প্রবেশ এটাই প্রমাণ করে যে দেশ অর্থনীতিতে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। আপেলের সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি ভারত নজর দিয়েছে অন্যান্য ইলেকট্রনিক উৎপাদন সংস্থাগুলিতেও। এই সেক্টরগুলিতে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগও ব্যাপক পরিমাণে আসছে বলেই খবর। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, ভারতবর্ষের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে রফতানিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ঢুকে পড়বে ভারত। আপাতত এই লক্ষ্যমাত্রা এগিয়ে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।

    বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ভারতবর্ষের এমন উন্নতি বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ভারতবর্ষের এমন উদ্যোগ আসলে সামনে আনছে যে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন সংস্থাকারী দেশ হিসেবে ভারত ক্রমেই অন্যান্য যেকোনও দেশকে পিছনে ফেলতে চলেছে খুব শীঘ্রই। এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতি এক মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে। প্রতিবেদনের প্রথমেই বলা হয়েছে যে ভারত বর্তমানে রফতানি করছে অ্যাপল কোম্পানির বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, দুটি দেশে এক, চিন এবং অপরটি হল ভিয়েতনাম। এই দুই দেশই আপেলের বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত। ভারতের এমন উদ্যোগ যথেষ্ঠ প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলবে তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান- এই সব দেশকেও। এই দেশগুলিই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে ইলেকট্রনিক্সের বাজারকে কব্জা করে রয়েছে।

  • Amit Shah: ২০৪৭-এর মধ্যেই জোড়া লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, কী সেই দুই, জানালেন শাহ

    Amit Shah: ২০৪৭-এর মধ্যেই জোড়া লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, কী সেই দুই, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির আগেই ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং একটি সম্পূর্ণ উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।” এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার, পুষ্টি নিশ্চিত করার এবং গ্রামীণ অঞ্চল, ভূমিহীন কৃষক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের উন্নয়নে দুগ্ধ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

    দুগ্ধ খাত দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “ভারতের কৃষি ব্যবস্থা মূলত ক্ষুদ্র কৃষকদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেন, “আমাদের দুগ্ধ খাত দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। কিন্তু একই সঙ্গে এটি গ্রামীণ এলাকা, ভূমিহীন কৃষক এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখে। এটি আমাদের দেশের পুষ্টির দায়িত্বও পালন করে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদের সামনে দুটি লক্ষ্য স্থির করেছেন – বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়া এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ উন্নত জাতি হওয়া। আমাদের দেশের কৃষি ব্যবস্থা একদিক থেকে ক্ষুদ্র কৃষকদের ওপর নির্ভরশীল।”

    আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে

    তিনি বলেন, “তাই দুগ্ধ ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প নেই। খুব কম বিকল্পই আছে। এবং আমি বিশ্বাস করি এই সেমিনারটি দুগ্ধ খাতে সমস্ত সম্ভাবনা খুঁজতে একটি সর্বাঙ্গীণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণে সহায়ক হবে। গত দশ বছরে আমরা কৃষিতে সমৃদ্ধির পথে একটি (PM Modi) প্রতিশ্রুতিমূলক সূচনা করেছি। গ্রাম থেকে বিশ্বমঞ্চে যাওয়ার সাহস বেড়েছে। নতুন নতুন পদ্ধতির উন্নয়ন হয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমে দল হিসেবে সফল হওয়ার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খামার থেকে কারখানা পর্যন্ত পুরো শৃঙ্খলটি গ্রামীণ পরিমণ্ডলের মধ্যেই থাকা উচিত।”

    ‘মানুষের জন্য মুনাফা’

    তিনি (Amit Shah) বলেন, “‘মানুষের জন্য মুনাফা’ এই নীতিটি কেবলমাত্র সমবায়ের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হতে পারে। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে দুগ্ধ খাতে বৃত্তাকার অর্থনীতির ওপর একটি গাইড প্রকাশিত হয়। ছোট বায়োগ্যাস, বড় বায়োগ্যাস এবং সংকুচিত বায়োগ্যাস প্রকল্পগুলির জন্য এনডিডিবির আর্থিক সহায়তা স্কিম চালু করা হয়েছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি আমাদের মন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী বৃত্তাকার অর্থনীতির ধারণায় কিছু যোগ করতে চাই, যাতে দুগ্ধ খাতে ১০০ শতাংশ সম্ভাবনা অনুসন্ধান করা যায়। আমি এনডিডিবি এবং নাবার্ডকে অনুরোধ করছি যে তারা কিছু জেলা বা রাজ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে হয়তো ছ’মাসের মধ্যে পাইলট প্রকল্প চালু করুক।”

    গ্যাস উৎপাদনের মডেল

    শাহ বলেন, “বিভিন্ন অঞ্চলে গ্যাস উৎপাদনের মডেলগুলি পরীক্ষা করা উচিত। ২৫০টি জেলা দুধ উৎপাদক সমিতির মধ্যে এই ধরনের মডেল বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট কর্মসূচি স্থির করা উচিত। কোনও (PM Modi) জেলা যেখানে দুগ্ধ উৎপাদক সমিতি আছে, স্থানীয় কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করে গ্যাস উৎপাদন প্রকল্প ছাড়া থাকা উচিত নয়। আমি বিশ্বাস করি এটি এনডিডিবি এবং নাবার্ডের দায়িত্ব— এনডিডিবিকে লজিস্টিকের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নাবার্ডকে তৈরি করতে হবে অর্থায়ন পরিকল্পনা।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “পশুপালকরা দুধ সরবরাহ করুক ব্যক্তিগত বা সমবায়ে। আমাদের নেটওয়ার্ক এখনও অসম্পূর্ণ। উচ্চ মানের বীজ দিয়ে শুরু করে বেশ কিছু মাত্রা যোগ করা দরকার।”

    পশুপালকদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির দিক

    তিনি বলেন, “গুজরাটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে এবং এটি সারা দেশে সম্প্রসারিত করা উচিত। দেশের অনেক অংশে অনুরূপ উন্নয়ন ঘটেছে। সুতরাং, ২৫০টি জেলা সমিতিরই উচিত একটি মডেল গ্রহণ করা। সমবায়গুলির উচিত সমবায় দুগ্ধ নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা পশুপালকদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির দিকটিও দেখভাল করা।” তিনি বলেন, “আমরা গুজরাটে ‘সমবায়ের মধ্যে সহযোগিতা’ ধারণা চালু করেছি, যাতে সমস্ত হিসাব সমবায় খাতে খোলা হয়। আজ, গুজরাটের ৯৩ শতাংশ সমবায় প্রতিষ্ঠান সমবায় ব্যাংকে তাদের হিসেব রাখে, যার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম সুদের হারে তহবিল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থাও শক্তিশালী হয়েছে। আমি বুঝি যে, সমবায় খাতের পেশাদাররা কখনও কখনও সমবায় ব্যাংকের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু নিজেদের দূরে রাখার পরিবর্তে আমাদের একসঙ্গে কাজ করে এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে হবে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এনডিডিবিকে নিশ্চিত (PM Modi) করতে হবে যাতে যন্ত্রপাতি উৎপাদনের প্রচেষ্টায় সমস্ত সমবায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে জেলা দুগ্ধ উৎপাদনকারী ইউনিয়নগুলি এই উদ্যোগগুলির অংশীদার হতে পারে। লাভ অবশ্যই ফিরে আসতে হবে সমবায় খাতে। যদিও এনডিডিবি-ই প্রধান অংশীদার থাকবে, তবুও জেলা দুগ্ধ উৎপাদনকারী ইউনিয়ন— যারা একই সঙ্গে ভোক্তাও— তাদেরও এই উদ্যোগগুলিতে একটি অংশ পাওয়া উচিত (Amit Shah)।”

  • Rohit Sharma: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককে এভাবে অসম্মান! কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির

    Rohit Sharma: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককে এভাবে অসম্মান! কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককেও অসম্মান করা যায়! এটাই রীতি কংগ্রেস ও তৃণমূলের। এমনই মনে করছে নেটপাড়া। ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বডি শেমিং ও কটাক্ষ করা নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস (Congress Leader Shama Mohammad) নেত্রী শামা মহম্মদ এবং তৃণমূল (TMC)-নেতা সৌগত রায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য কড়া ভাষায় কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের সমালোচনা করে বলেছেন, “এটা শুধু লজ্জাজনক নয়, চরম নিন্দনীয়!”

    শামা-সৌগতর মন্তব্য

    সোমবার কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র শামা মহম্মদ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) “একজন খেলোয়াড়ের নিরিখে বেশি মোটা” বলে কটাক্ষ করেন। রোহিতকে ভারতের “সবচেয়ে প্রভাবহীন অধিনায়ক” বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় কংগ্রেস নেত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “রোহিত শর্মা অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য নন, তিনি দলে থাকারও যোগ্য নন! আমি শুনেছি সম্প্রতি রোহিত শর্মার ফর্ম খুব খারাপ যাচ্ছে। ও একটি শতরান করেছে। তাছাড়া দু’রান, তিন রান, চার রান, পাঁচ রানেই আউট হয়ে যায়। ওর দলে থাকার যোগ্যতা নেই। ভারত জিতে যাচ্ছে, কারণ অন্য খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে। অধিনায়কের কোনও অবদান নেই। শামা মহম্মদ যা বলেছেন, সেটা সত্যি।” এই বক্তব্য নিয়ে প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে।

    নেটিজেনদের নিশানা

    রোহিতকে সমালোচনা করায় সৌগতকে নিশানা করে রীতিমতো কটাক্ষের বন্যা বয়ে যায় নেটপাড়ায়। এক নেটিজন বলেন, “সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ওপেনিং জুটি: রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল – না। সৌগত রায় ও শুভমন গিল – হ্যাঁ। উনি সেঞ্চুরি করবেন।” একজন তো আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, “লর্ডসের মেঘলা সকালে স্যাঁতস্যাঁতে পিচে সৌগতবাবু ব্যাট করছেন। আর মিচেল স্টার্ক বল করছেন। দারুণ।” অপর একজন বলেন, “রোহিতকে বাদ দিয়ে সৌগত রায়কে দিয়ে ওপেন করানোর আবেদন করছি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে। ওঁনাকে একবার সুযোগ দেওয়া দরকার। এখন উনি খুব ভালো ব্যাট করেন।”

    কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর তোপ

    কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র এবং তৃণমূল সাংসদকে আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “ক্রীড়াবিদদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ তাঁরা নিজেদের পেশাদার কেরিয়ার সামলাতে পারেন। এই সব দলের নেতারা যে মন্তব্য করেছেন, তা স্রেফ চূড়ান্ত লজ্জার নয়, জঘন্যও বটে। তাঁরা একজন অ্যাথলিটের বডিশেমিং করেছেন। দলে তাঁর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের ক্রীড়াবিদদের কঠোর পরিশ্রমকে খাটো করা হয়। যাঁরা অনেক কিছু বিসর্জন দিয়ে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে বিজেপি (Netizens Trolls Saugata)। পদ্ম শিবিরের নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধীর ক্যাপ্টেনসিতে যারা ৯০টি নির্বাচনে হেরেছে, তাঁরা আবার রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেনসিকে ম্যাড়মেড়ে বলে! আমার ধারনা দিল্লিতে ৬টি ও ৯০টি নির্বাচনে হেরে যাওয়াটা খুবই প্রভাব-প্রতিপত্তির বিষয়, কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপ জেতাটা তা নয়! রোহিত শর্মার অসাধারণ ধারবাহিকতা রয়েছে খেলোয়াড় ও ক্যাপ্টেন হিসেবে।” ক্রমশ অস্বস্তি বাড়তে থাকে কংগ্রেসের। পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে আঁচ করে কংগ্রেস শামার বক্তব্যের সঙ্গে দলীয় অবস্থানের দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান, “শামা মহম্মদের মতামত একান্তই তাঁর নিজেস্ব। দলের সঙ্গে এক কোনও যোগ নেই। দল শামাকে সেই পোস্টটি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতের ক্রীড়াবিদদের অবদানকে সবসময় সম্মান করে কংগ্রেস।”

  • Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে (Kashmir-Manipur Remark) ভিত্তিহীন মন্তব্যের অভিযোগে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি। কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে তুর্কের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানান রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দায়সারা মন্তব্য করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগে সরব হন তিনি। ভারত সুস্থ ও বৈচিত্র্যময় গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদেই বিশ্বাসী বলে জানান অরিন্দম। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ভারতকে নিয়ে এসব ভিত্তিহীন ও সারবত্তাহীন দাবির থেকে বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

    ভারতের কড়া জবাব

    রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন (ইউনাইটেড নেশন্‌স হাই কমিশন ফর হিউম্যান রাইট্‌স)-এর প্রধান ভল্কার তুর্কের কাশ্মীর ও মণিপুর প্রসঙ্গে মন্তব্য অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। সোমবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন তুর্ক। ওই সময়ে ভারতের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। তুর্ক জানান, কাশ্মীরে মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্থার শিকার হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে মণিপুরে হিংসা বন্ধ করতে আরও উদ্যোগী হওয়ারও প্রস্তাব দেন তিনি। জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম সাধারণ সভায় ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন অরিন্দম।

    ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

    রাষ্ট্রপুঞ্জে অরিন্দম বাগচী বলেন, “যেহেতু ভারতকে নাম করে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই আমি প্রথমেই বলতে চাই, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারতে একটি সুস্থ, প্রাণবন্ত এবং বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা রয়েছে। অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন মন্তব্যগুলি বাস্তব পরিস্থিতির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।” অরিন্দমের মতে, এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগকে (Kashmir-Manipur Remark) বার বার ভুল প্রমাণ করেছেন ভারতবাসীরা। ভারতের বৈচিত্র এবং ভারতীয় সমাজের মুক্তচিন্তাকে আরও ভালো করে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। তুর্কের উদ্বেগ উড়িয়ে দিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি রয়েছে এবং উন্নয়নও হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন, সেখানে ভোটদানের হার এবং পর্যটনের বিকাশের কথাও তুলে ধরে ভারত। এই ঘটনাগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রুত উন্নয়নের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় জানান অরিন্দম।

    ভারতের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হোক

    বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেওয়ার সময়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দিল্লি। জেনেভায় ওই সভায় তুর্ককে পাল্টা জবাব দিয়ে বাগচী বলেন, “এধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্যকে বারবার ভারত ভুল প্রমাণিত করেছে। ভারত সম্পর্কে বলতে গেলে আরও পড়াশোনা করে আসার অনুরোধ রইল। ভারতের বৈচিত্র্য ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে সঠিক জ্ঞানটুকু থাকা প্রয়োজন।” রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সোমবার বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি তুলে ধরার সময়ে ইউক্রেন, গাজা, আমেরিকা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে সেখানে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের সাফ বার্তা, যাঁরা বলছেন এসব কথা, তাঁদের উদ্দেশে একটাই পরামর্শ— আয়নায় নিজেকে ভালো করে দেখুন।

    মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা

    উল্লেখ্য, অশান্তি কবলিত মণিপুরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। তারপর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ৩ মে মণিপুরে শুরু হয় মেতেই-কুকি সংঘর্ষ। সেই থেকেই জাতিহিংসায় উত্তপ্ত উত্তরপূর্বের রাজ্যটি। এই মুহূর্তে মণিপুরের কী পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী করণীয়, সবটাই আধিকারিকদের থেকে খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দ্রুত উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে আগামী দিনে বড়সড় পদক্ষেপ করা হতে পারে, বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কাশ্মীরে উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, এমন একটি যুগ ছিল যখন দেশের অন্যান্য অংশে আইন প্রয়োগ করা জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর করা যায়নি। সারা দেশে দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ৩৭০ ধারার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর তা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এখন সময় বদলেছে। ৩৭০ ধারা রদের পর সারা দেশ যে সুবিধা পায়, সেই সুবিধাই পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। এখানে সম্প্রতি পর্যটন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপত্যকায় নয়া রেল প্রকল্প চালু হয়েছে। আগামী দিনে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে যা সাহায্য করবে। উন্নয়নের শক্তি, পর্যটন সম্ভাবনা, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের নেতৃত্বই এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশ, এমনই আশা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। উন্নত ভারত গঠনের জন্য উন্নত-আধুনিক কাশ্মীরও চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জেলেনস্কি উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্কিন সমর্থন ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধেটিকে থাকার সম্ভাবনা কম। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এবার কী করবেন তিনি? ইউরোপ কি তাঁকে বাঁচাতে পারবে? এমন প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। কোনও কোনও মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। চাপে পড়ে অবশ্য জেলেনস্কির (Ukraine) সুর নরম। এখন বিপদ বুঝে মুখে সমঝোতার বার্তাও দিয়েছেন নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে জেলেনস্কির বার্তা, ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠা খুব শীঘ্রই দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপের বন্ধুরা সেই পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা রাখি।’’ জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়া থেকে ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে আমেরিকা। যা দেওয়া বাকি ছিল, এখন তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।

    গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি

    দিন কয়েক আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন (Donald Trump) সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির যৌথ বিবৃতি ভেস্তে যায়। ওই সময়ে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানের। পরে দু’দেশের যৌথ সাংবাদিক বিবৃতির সময়ে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প এবং ভান্সের তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে কিছু ক্ষণ, যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখা যায়নি। এর জেরেই ভেস্তে যায় আমেরিকা-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি। এরপরেই শোনা যায়, হোয়াইট হাউস থেকে মধ্যাহ্নভোজ না সেরেই বেরিয়ে যান জেলেনস্কি। এই আবহে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানো আপাতত বন্ধ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।

    হোয়াইট হাউসের শীর্ষ আধিকারিক কী বললেন সংবাদমাধ্যমকে

    হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে স্থির রয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। আমরা চাই আমাদের বন্ধুরাও সেই একই লক্ষ্যে স্থির থাকুক। আমরা তাই আপাতত সাহায্য (ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য) বন্ধ রেখে তা পর্যালোচনা করছি, যাতে এর মাধ্যমে কোনও সমাধানের পথ বেরোয়।” বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য আপাতত বন্ধ রেখে শান্তিচুক্তির জন্য চাপ তৈরি করতে চাইছে আমেরিকা। আসলে ট্রাম্প চাইছেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধ করতে উদ্যোগী হোন জেলেনস্কি।

  • India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের বদলা নিতে মরিয়া ভারত (India Vs Australia)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে টানা দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন রোহিত-বিরাটরা। কিন্তু ফাইনালে আশাভঙ্গ হয় ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়তে পারে মঙ্গলবার। বদলার ম্যাচে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। এ বারও নকআউট ম্যাচ। যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে রোহিত ব্রিগেডের।

    মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া

    দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia)। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারত। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপের ম্যাচগুলি খেলেছে পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক পিচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়াও করেছে। কিন্তু বাকি দু-ম্যাচের মধ্যে একটিতে বল গড়ায়নি, আর একটি মাঝপথেই ভেস্তে যায়। এ বার খেলতে হবে দুবাইয়ের মন্থর পিচে। ভারতের কাছে ভয়ের কারণ ট্র্যাভিস হেড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল, ভারতে জোড়া স্বপ্ন একার হাতে ধূলিসাৎ করেছেন। দ্বিতীয়জন স্টিভ স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে রানের খিদে কোনও দিন তাঁর কমবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশেনের মতো পুরনো ‘শত্রু’রা তো রয়েছেনই।

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন। যতই ভাঙাচোরা দল হোক, অস্ট্রেলীয় (India Vs Australia) আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা উজাড় করে দেয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫০ রান তাড়া করে জেতার পরেই তা বোঝা গিয়েছে। অন্যদিক, ভালো খেললেও রোহিতদেরও হলুদ জার্সি নিয়ে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে। এবার সেই আতঙ্ক বদলের পালা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ব্যাটিং ভরসা দিয়েছে। তিনটি ম্যাচেই ব্যাটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডার সামলে দিয়েছে। শ্রেয়স আয়ারের দায়িত্বশীল ব্যাটিং, অক্ষর পটেলের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার পরিমিত আগ্রাসন ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। রোহিত-কোহলি যে কোনও দিন জ্বলে উঠতে পারেন। রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব— এই স্পিন ত্রয়ী এখন গোটা বিশ্বের ত্রাস। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী, যাঁর বল এখনও অস্ট্রেলিয়া খেলেনি। ফলে বোলিং বিভাগে ভারত বেশ শক্তিশালী হয়েই নামবে।

    দুবাই-এর পিচ নিয়ে রোহিত

    ভারত একই ভেনুতে তিনটি ম্যাচ খেলায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে ভারত (India Vs Australia)। সেমিফাইনালের আগে সেই প্রশ্নের সমালোচনা করে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচেই পিচে আলাদা চ্য়ালেঞ্জ থাকছে। তিন ম্যাচেই পিচ আলাদা আচরণ করেছে। এটা আমাদের হোমগ্রাউন্ড নয়। এটা দুবাই। সারা বছর এখানে খেলি না। এখানকার পরিবেশ আমাদের কাছেও নতুন।’ রোহিত আরও যোগ করেন, ‘এখানেও চার-পাঁচটি পিচ রয়েছে। প্রত্যেকটা পিচেরই চরিত্র ভিন্ন। সেমিফাইনালে কোন পিচে খেলা হবে, সেটার আচরণ আমিও জানি না। যাই হোক না কেন, দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে, সেখানেই খেলতে হবে।’

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি।

    কখন, কোথায় দেখবেন ম্যাচ: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, প্রথম সেমিফাইনাল দুপুর ২.৩০, স্পোর্টস ১৮, স্টার স্পোর্টস, জিওহটস্টারে সম্প্রচার

  • Maoists: দেশে এখন সক্রিয় ১২ মাওবাদী কমান্ডার ও ৪০০ ক্যাডার, নির্মূল হবে ১ বছরেই, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

    Maoists: দেশে এখন সক্রিয় ১২ মাওবাদী কমান্ডার ও ৪০০ ক্যাডার, নির্মূল হবে ১ বছরেই, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীদের (Maoists) বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানে প্রায় নিশ্চিহ্ন লাল-সন্ত্রাস। এই অবস্থায় মাওবাদীদের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার সবরকমের প্রস্তুতি চালাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অন্তত এমনটাই বলছে। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করার পরেই দেখা যাচ্ছে, আর মাত্র ১২ জন কমান্ডার ও ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার জীবিত রয়েছে, যাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে তাদের জন্য আর এক বছর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই ৩৬৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা তাদেরকে নির্মূলের সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

    দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্য (Maoists)

    মাওবাদী (Maoists) দমন অভিযান অত্যন্ত সফল হয়েছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে ২০২১ সাল থেকে ৩৮৫ জন মাওবাদীকে এখনও পর্যন্ত নিকেশ করা গিয়েছে। আরও চমকপ্রদ তথ্য হিসেবে উঠে আসছে, এই নিকেশ অভিযানে ৩৮৫ মাওবাদীর মধ্যে ৩১০ জনকেই নিকেশ করা গিয়েছে ২০২৪ সালে। অর্থাৎ চমকপ্রদ সাফল্য। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক জনসভা ও অথবা সরকারি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটা কথাই বারে বারে ঘোষণা করেছেন যে, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। দেখা যাচ্ছে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে ব্য়াপক সফলও হয়েছে মোদি সরকার।

    শীর্ষ মাওবাদী নেতারা কেউই জীবিত নেই (Maoists)

    মাওবাদী দমন এই অভিযানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকও সামনে এসেছে। কোন পদ্ধতিতে হয় এই অভিযান সে নিয়ে মুখও খুলেছেন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর তরফ থেকে প্রথম টার্গেট করা হয় মাওবাদী কমান্ডারদের এবং এই কারণেই শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতারা এখন আর প্রায় কেউই জীবিত নেই। এদের আঘাত করে গোটা সংগঠনকে নাড়িয়ে দিতে চায় নিরাপত্তা বাহিনী। কারণ এই কমান্ডারদের নির্দেশেই কাজ করে ক্যাডাররা। কমান্ডোরা মূলত নির্দেশ দেওয়ার কাজ করত মাওবাদী ক্যাডারদেরকে (Maoists)। এবার তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ায় দিশাহীন হয়ে পড়েছে ক্যাডাররা। এর ফলে মাওবাদীরা দ্রুতই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথেই রয়েছে। এইখানেই সফল মোদি সরকার। আগেই বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে তথ্য রয়েছে আর মাত্র ১২ জন সক্রিয় মাওবাদী কমান্ডার বেঁচে রয়েছে এবং তারাই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তেই মাওবাদীরা ব্যাপক আর্থিক সংকটেও ভুগছে।

    শেষবার মাওবাদী দমনের অভিযানের আগে ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার সক্রিয় ছিল বস্তারে

    প্রসঙ্গত, বস্তার ডিভিশনে শেষবার মাওবাদী দমনের অভিযানের আগে ৪০০ মাওবাদী ক্যাডার (Maoists) সক্রিয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি, সেখানে আরও অন্যান্য ৮০০ মাওবাদী ছিল। এই মাওবাদীরা অবশ্য মাঠে নেমে যুদ্ধ করত না। তারা মাওবাদী ক্যাডারদের বিভিন্ন সাহায্য করত, যারা যুদ্ধ করত তাদেরকে। সাপোর্টিং ক্যাডার হিসেবে থাকত এই ৮০০ মাওবাদী। এদের মধ্যে অনেকে মাওবাদী আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করত। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শাখা সংগঠনের যুক্ত থাকত।

    নিরাপত্তা বাহিনীর টার্গেট মাধবী হিদমা

    এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, তাঁরা মাওবাদী আন্দোলনকে (Maoists) একেবারে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে পারবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সময়সীমা নির্ধারিত করেছে, তার আগেই মাওবাদীদের শীর্ষ কমান্ডারদের তাঁরা নিশ্চিহ্ন করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এখন টার্গেট করেছে মাওবাদীদের এক নম্বর ব্যাটালিয়নকে। এর নেতৃত্ব রয়েছেন মাও-নেত্রী মাধবী হিদমা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী লাগাতার অভিযান চালিয়ে মাওবাদীদের এই ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের ৯০ শতাংশ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী যে ব্যাটালিয়ন-১ আর সেভাবে কখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।

    আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও

    ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করা উচিত এবং যদি তারা সেটা না করে তাহলে তাদেরকে নিকেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে মাওবাদী কমান্ডারররা অচিরেই আত্মসমর্পণ করবেন (Red Terrorism)। কারণ যেভাবে তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তাতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে, গোয়েন্দা দফতরও মাওবাদীদের উপরে সম্পূর্ণভাবে নজর রাখছে।

    চলছে উন্নয়নমূল কাজ

    মাওবাদীদের দমন অভিযানে অন্যান্য গঠনমূলক কাজও শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেমন যে সমস্ত অঞ্চলগুলিতে মাওবাদীদের প্রভাব ছিল সেই এলাকাগুলিতে রাস্তা, বিদ্যুৎ, জল, শিক্ষা— এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এর ফলেই মাওবাদীরা আর সেই সমস্ত জায়গাতে ঢুকতে পারছে না। কারণ অভাব, দরিদ্রতা ও অনুন্নয়নকে কাজে লাগিয়েই মাওবাদীরা নিজেদের কথা বলতে শুরু করে।

  • Ayodhya: মহাকুম্ভ শেষ, নেই বাড়তি চাপ, অযোধ্যার রামলালা দর্শনে চালু আগের সময়সূচিই

    Ayodhya: মহাকুম্ভ শেষ, নেই বাড়তি চাপ, অযোধ্যার রামলালা দর্শনে চালু আগের সময়সূচিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ সম্পন্ন হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। মহা শিবরাত্রির দিন ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ। চলেছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ে বিপুল সংখ্যক ভক্তের পা পড়ে রামনগরীতে। মহাকুম্ভে স্নান সেরে অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করবেন- এই উদ্দেশে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শেষ হতেই ভিড় কমেছে অযোধ্যাতেও। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ যখন চলছিল, তখন অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার থেকেই রাম মন্দির দর্শনের জন্য সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের মতোই করা হয়েছে সময়সূচী।

    রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং প্রশাসনের বৈঠক

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং অযোধ্যার (Ayodhya) প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত দিনগুলিতে ব্যাপক ভক্তদের ভিড় হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Temple)। চাপ কমাতে দর্শনের সময়সূচিতে বদল করে রাম মন্দির ট্রাস্ট। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকত মন্দির। এরপর গতকাল সোমবার চালু করা হল আগের নিয়ম।

    ভোর ৪:১৫ থেকে ৬টা পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে

    নতুন সময়সূচী অনুসারে, ব্রহ্ম মুহূর্তে ভোর ৪টায় মঙ্গল আরতির পর, স্নানের জন্য ৪:১৫ থেকে ৬টা পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে। এর পরে, সকাল ৬টায় শৃঙ্গার আরতি অনুষ্ঠিত হবে। তারপর সকাল ৬:৩০ থেকে দর্শন শুরু হবে চলবে সকাল ১১:৫০ পর্যন্ত। এরপর, ভোগের জন্য দুপুর পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে। এরপর দুপুর ১২টা থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত আবার দর্শন শুরু হবে।

    দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কখন করা যাবে দর্শন (Ayodhya)

    রামলালার দুপুরের বিশ্রামের জন্য দুপুর ১২:৩০ থেকে ১টা পর্যন্ত দরজা বন্ধ থাকবে। দুপুর ১টা থেকে আবার দর্শন শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৬:৫০ পর্যন্ত চলবে। এরপর সন্ধ্যা ৬:৫০ থেকে ৭টা পর্যন্ত বালভোগের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৭টায় আরতির পর ফের দ্বার দর্শনের জন্য দরজা খোলা হবে। দরজা খোলা থাকবে রাত ৯:৪৫ পর্যন্ত। এরপর রাত ৯:৪৫ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাত্রিভোগের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে এবং রাত ১০টায় শয়ন আরতি অনুষ্ঠিত হবে। আরতিতে অংশগ্রহণকারী দর্শনার্থীরা রাত ৯:৩০ থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন। রাত ১০টা ১৫ নাগাদ আরতি-পুজোর পর রামলালা শয়নে যাবেন। সকাল পর্যন্ত মন্দির (Ayodhya) বন্ধ থাকবে।

LinkedIn
Share