Tag: Madhyom

Madhyom

  • Asia Cup 2023: ব্যর্থ দুনিথের দুরন্ত পারফরম্যান্স! শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত

    Asia Cup 2023: ব্যর্থ দুনিথের দুরন্ত পারফরম্যান্স! শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: এশিয়া কাপের ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ে সরাসরি ফাইনালের ছাড়পত্র পেল রোহিতরা। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কাকে ৪১ রানে হারায় ভারত। প্রথমে ৪৯.১ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় রোহিতরা। জবাবে ৪১.৩ ওভারে ১৭২ রানে শেষ শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ৪ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ব্যর্থ হয় দুনিথ ওয়েল্লালাগের বলে এবং ব্যাটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ৫ উইকেট নেওয়ার পর ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কার তরুণ অলরাউন্ডার। আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও উল্টোদিকে সঙ্গীর অভাবে দলকে জেতাতে পারেননি ২০ বছরের ক্রিকেটার।

    এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত (Asia Cup 2023)। পাকিস্তান ম্যাচের পুনরাবৃত্তি চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। শুরুটা পাকিস্তান ম্য়াচের মত ভালো হয়েছিল। রোহিত শর্মা হাফসেঞ্চুরি করেন। কিন্তু তাল কাটে বিপক্ষের ঘূর্ণির সামনে।

    ভারতের ইনিংস

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও হাফসেঞ্চুরি এল রোহিতের ব্যাটে। ৫১তম ওডিআই হাফসেঞ্চুরি করলেন রোহিত শর্মা।। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই ম্যাচে নামার আগে ওডিআইতে ১০ হাজার রান পূর্ণ করার জন্য রোহিতের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে কাসুন রজিথাকে ছয় মেরে ওডিআইতে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করেন ভারত অধিনায়ক। এশিয়া কাপে বর্তমানে সর্বাধিক রান করা ক্রিকেটার রোহিত। রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের জুটি ৮০ রান করে। রোহিত করেন ৫৩ রান। শুভমান গিল ১৯ রান করে আউট হন। দুনিথ ক্লিন বোল্ড করেন শুভমান গিলকে। এটা ছিল এই ইনিংসে দুনিথের প্রথম শিকার। এরপর এই শ্রীলঙ্কান স্পিনারকে আর আটকানো যায়নি। তাঁর শিকার হতে থাকেন একেরপর এক ভারতীয় ব্যাটার। শুভমানের পর ফেরেন বিরাট। তারপর রোহিত। দুনিথ এদিন পাঁচ উইকেট নেন। 

    কোহলির উইকেটই সেরা

    রোহিত, বিরাট ও গিল… এই তিন উইকেটের মধ্যে কোনটি সেরা এই নিয়ে দুনিথকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিরাটের ক্ষেত্রে বলেন, ‘সেটা ছিল স্বপ্নের উইকেট।’ দুনিথ বাদে চারটে উইকেট নেন চরিথ আশালঙ্কা। শেষে একটি উইকেট নেন মহেশ ঠিকশানা। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি ভারত। ৪ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ২১৩ রানে অল আউট ভারত। শ্রীলঙ্কার সামনে এ বার টার্গেট ২১৪। ভারতের ১০টি উইকেটই যায় লঙ্কান স্পিনারদের ঝুলিতে।

    শ্রীলঙ্কার ইনিংস

    শ্রীলঙ্কা হেরে গেলেও, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, ওয়েল্লালাগের লড়াই প্রশংসনীয়। ৪১ রান করেন ধনঞ্জয়। ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়েল্লালাগে। ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেন শ্রীলঙ্কার এই অলরাউন্ডার। ওয়েল্লালাগের সঙ্গে ধনঞ্জয়ের জুটি ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিল। ধনঞ্জয়কে আউট করে ভারতকে ম্যাচে ফেরান জাদেজা। এরপর বাকি কাজটা করে দেন হার্দিক ও কুলদীপ। ৪৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন কুলদীপ। ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন জাদেজা। ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বুমরা। ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন হার্দিক। ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সিরাজ। ভারতীয় বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে টানা ১৩ ম্যাচে জয়ের পর বিজয়রথ থামে লঙ্কার। শ্রীলঙ্কা বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি এখন ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে পরিণত হল। সেই ম্যাচে যে দল জিতবে তারা ভারতের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট হাতে পাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Weather Update: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে টানা চার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Bengal Weather Update: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে টানা চার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুর থেকেই আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি নামল কলকাতায় (Kolkata)। সকাল থেকে গুমোট গরমে হাঁসফাঁস করছিল শহরবাসী, কিন্তু দুপুরের পরে তুমুল বৃষ্টিতে কাটল সেই অস্বস্তি। হাওয়া অফিস (Bengal Weather Update) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে টানা চারদিন এমনই বৃষ্টি (Rain) হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।  হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার জেরেই আগামী চারদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী বলছে হাওয়া অফিস

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Bengal Weather Update) সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণাবর্ত ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার কথা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার জেরেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের দু’একটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শুক্রবার অবধি। কলকাতা সহ বাকি জেলার দু’একটি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ঘূর্ণাবর্তের কারণে বুধবার থেকেই তাপমাত্রা একটু কমবে।

    উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে অল্প। মঙ্গল এবং বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদহের কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। আগামিকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে আগামী কয়েকদিন। সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাত। এদিকে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় বজ্রপাত সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আগামী কয়েকদিন। এই সপ্তাহে উত্তরের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। 

    আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    শহরের আবহাওয়া

    মঙ্গলবার বিকেলে দেওয়া দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার (West Bengal Weather) পূর্বাভাস অনুযায়ী, শহরে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে। মঙ্গলবার সকালে শহরের আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। দুপুর গড়াতেই মেঘের চাদরে ঢাকল সূর্য। কয়েক পশলা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের বেশ কিছু অঞ্চল। আগামিকাল, বুধবার থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। এর জেরে গোটা দক্ষিণবঙ্গে জারি থাকবে হলুদ সতর্কতা। 

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’!  মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনগণের করের টাকায় মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে (Mamata Foreign Tour) যাচ্ছেন। আগেও বহুবার গিয়েছেন কিন্তু রাজ্যে শিল্পের প্রসার চোখে পড়েনি, অভিমত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, “টাকার সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট হল দুবাই। যা আগেই রেডি করেছেন ভাইপো ও তাঁর স্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন।”  তিনি বলেন, ভোটের আগে ডাবল ডাবল চাকরি, ছয়মাসে শিল্প এনে দেখিয়ে দেবো, এইসব প্রতিশ্রুতির তিনি কিছুই করতে পারেননি। এবার সেই আবারও মিথ্যার আশ্রয়। 

    টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই!

    স্পেন যাওয়ার আগে একদিন দুবাইতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Foreign Tour)। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, পাশ্চাত্যের দেশে যেতে দুবাইকেই কেন ট্রানজিট পয়েন্ট করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘দুবাইয়ে টাকা সাইফন হচ্ছে। দুবাইতে কিছু আইন আছে যেখানে বেআইনি টাকা সাইফন হয়। এর আগে ভাইপো, ভাইপোর স্ত্রী ও ভাইপোর শ্যালিকা প্লট রেডি করেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্লটের সাক্ষী। তিনি দুবাইকে ট্রানজিট পয়েন্ট করেছেন স্পেনে যাওয়ার জন্য নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাওলার মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে যে টাকা তার পরিবার সরাচ্ছে সেই টাকাকে ওখানে সুরক্ষিত করার জন্য’। উল্লেখ্য, গত মাসেই বিদেশ সফর থেকে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও দুবাই হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। 

    রাজ্যের দায়িত্বে স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকা

    নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের (Mamata Foreign Tour) সময় রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকাকে। এব্যাপারে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূল দলের একটাই পোস্ট আর বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। বিধান রায়, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু বিদেশ সফরে গেলে সিনিয়র মোস্ট সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে যেতেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকেই বিশ্বাস করেন না, তাই এক শীর্ষ আমলাকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন।” শুভেন্দু আরও বলেন, “চন্দ্রযান চাঁদে পাঠাতে ভারত সরকারের ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর আমাকে জেলে ঢোকাতে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখনও পর্যন্ত ২৯৫ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। যা পুরোটাই জনসাধারণের। কিন্তু আমার বাড়ির লোক ব্রিটিশের জেলে ছিল, আমি সহজে মাথা নত করব না।” 

    আরও পড়ুুন: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কেন বিদেশ সফরে মমতা

    মঙ্গলবার সকালে ১২ দিনের বিদেশ সফরে দুবাই, স্পেনের মাদ্রিদ গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Foreign Tour)। মূলত বিনিয়োগ টানতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বিদেশ সফর বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন দুবাইয়ে একটি বাণিজ্য সম্মেলন ও প্রবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। স্পেনেও একটি বিজনেস সামিটে যোগ দেবেন তিনি। জানা যাচ্ছে, স্পেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বৈঠক ফুটবল নিয়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর, মাদ্রিদে লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দলের বৈঠক। বাংলা ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে সরকারের সঙ্গে কোনও বিশেষ চুক্তি হতে পারে লা লিগার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue And Kiwi: বাজারে কিউই-র ব্যাপক চাহিদা! ডেঙ্গিতে কি সত্যিই কাজ দেয় এই ফল?

    Dengue And Kiwi: বাজারে কিউই-র ব্যাপক চাহিদা! ডেঙ্গিতে কি সত্যিই কাজ দেয় এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। বর্ষার মরশুমে কয়েক গুণ বেড়েছে ডেঙ্গির দাপট। ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক জটিলতা। সুস্থ হলেও ক্লান্তি আর দুর্বলতা গ্রাস করছে। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেক সময় লাগছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে সঙ্গে থাকুক বিশেষ ফল (Dengue And Kiwi)। আর তাতেই এড়ানো যাবে বড় বিপদ।

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেখতে খানিকটা সবেদার মতো। কিন্তু কাটলেই সম্পূর্ণ আলাদা। মোটা বাদামি খোসা ছাড়ালেই হালকা সবুজ রং। আর কালো রঙের দানা! দাম বেশি হলেও বাজারে এখন দেদার পাওয়া যাচ্ছে কিউই। পুষ্টিবিদদরা জানাচ্ছেন, এই ফল (Dengue And Kiwi) নিয়মিত খেলেই একাধিক বিপদের সঙ্গে ডেঙ্গির মোকাবিলা করা সহজ হবে।

    কী উপকার আছে এই ফলে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিউই নিয়মিত একটা খেলে শরীরের জন্য তা যথেষ্ট উপকারী। কিউই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এই ফল নিয়মিত খেলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়। বিশেষত বর্ষা বা শীতের ঋতু পরিবর্তনের সময় এই ফল নিয়ম করে খেলে নানা ভাইরাসঘটিত রোগ এড়ানো যায়। কারণ, ভিটামিন সি শরীরে এই ধরনের রোগকে বাসা বাঁধতে দেয় না। তাই ডেঙ্গির মতো রোগে আক্রান্ত হলে নিয়মিত কিউই খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে না। পাশাপাশি ভিটামিন সি-র জোগান অব্যাহত থাকলে যে কোনও বড় বিপদ এড়ানো সহজ হয়। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিউই (Dengue And Kiwi) ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। দেহের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই ফল বিশেষ সাহায্য করে। ডেঙ্গি হলে কিডনি, লিভার এবং চোখে একাধিক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গি জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। এমনকি প্রাণনাশের আশঙ্কাও তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো জরুরি। তাই ডেঙ্গি হলে কিউই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। যাতে অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। 

    কিউই ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডেঙ্গি হলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের অনেক সময়ই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই এই সময়ে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকা জরুরি। নিয়মিত একটা কিউই খেলে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব। 

    এর পাশপাশি, পুষ্টিবিদদরা জানাচ্ছেন, ফুসফুস থেকে জরায়ু, যে কোনও রকম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত কিউই খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকে। ফলে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 

    তাছাড়া হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কিউই ফল। এমনই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদরা। ডেঙ্গি আক্রান্তের হজমের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই কিউই সেই সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি, যেহেতু কিউই হজম শক্তি বাড়ায়, তাই ডেঙ্গি আক্রান্তের খাবারের ইচ্ছে বজায় থাকে। দুর্বলতা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য যা খুবই জরুরি।

    কীভাবে খাবেন কিউই? 

    পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে নিয়মিত একটা কিউই (Dengue And Kiwi) খাওয়া উচিত। তবে, অতিরিক্ত কোনও রকম নুন বা মশলা মেশানো হলে, গুণমান কমে যায় বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাই তাঁদের পরামর্শ, পরিষ্কার জলে ধুয়ে এই ফল খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে ডেঙ্গি হলে অনেক সময়ই খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। তখন কিউই শুকিয়ে ড্রাই ফ্রুটসের মতো করে খাওয়া যেতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কিউই কেটে গোলমরিচ মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখলে তার স্বাদ যেমন থাকে, তেমনি উপকারও এক রকম থাকে। তাই এভাবেও কিউই ফল রাখা যেতে পারে। এতে খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    Durga Puja 2023: চন্দ্রযান ৩-এর যা খরচ, মমতা তার ৫৭ শতাংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন পুজো কমিটিগুলিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ পাঠাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, জানেন কি? তবে এটা জানলে অবাকই হবেন যে, চন্দ্রযান ৩ তৈরির যা বাজেট, তার ৫৭ শতাংশ মমতা বিলিয়েছেন পুজো কমিটিগুলিকে। দেশ যেখানে কম খরচে চাঁদে যান পাঠাচ্ছে, সেখানে রাজ্য সরকার এভাবে কোটি কোটি টাকা ডোল দিল স্রেফ ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে? বাজারে অন্তত এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রত্যেক দুর্গাপুজো কমিটিকে (Durga Puja 2023) দেওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা করে। ইসরো এত কম খরচে চাঁদে চন্দ্রযান ৩ পাঠাল, অথচ এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের করের টাকা খরচ হচ্ছে পুজোর ক্লাবগুলির পিছনে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, দুর্গাপুজো কেবল উৎসব নয়! প্রচুর বিনিয়োগ এবং ব্যবসার সুযোগ রয়েছে, তাই এই অনুদান। পাল্টা রাজ্যের অনুদান বিতরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তারা বলছে, ক্লাবের নামে তৃণমূলের চোরেদের টাকা দিচ্ছে সরকার। এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অর্থ সঙ্কটের কথা বলছেন। তাহলে এই টাকা আসছে কোথা থেকে?

    মোট কত অনুদান দেওয়া হচ্ছে (Durga Puja 2023)?

    রাজ্যের সব দুর্গাপুজো কমিটির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ অনুদান ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই বছর প্রত্যেক দুর্গাপুজো কমিটিকে (Durga Puja 2023)  ১০ হাজার করে টাকা বৃদ্ধি করে, মোট অনুদান দেওয়া হবে ৭০ হাজার টাকা। অর্থ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতার ৪ হাজার সহ রাজ্যের মোট ৪০ হাজার পুজোর জন্য সরকারি কোষাগার থেকে এক কথায় বেরিয়ে যাবে ২৮০ কোটি টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাবদ ৭০ কোটি ধরলে সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ হবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণে খরচ হয়েছিল ৬১৫ কোটি টাকা। আর রাজ্যের পুজো কমিটিকে অনুদানের পরিমাণ ৩৫০ কোটি টাকা! ফলে সব মিলিয়ে হিসাব দাঁড়াচ্ছে চন্দ্রযান তৈরি করতে যত টাকা খরচ হয়েছে, তার ৫৭ শতাংশ টাকা মুখ্যমন্ত্রী খরচ করছেন পুজোর ক্লাবগুলির জন্য। অথচ রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা মিলছে না। তাই একে কটাক্ষ করছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশও। যে টাকায় ভারতের চন্দ্রযান ৩ চাঁদে পৌঁছেছে, সেই টাকার একটা বড় অংশ খরচ হচ্ছে উন্নয়নের জন্য নয়, ক্লাবগুলির জন্য। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এই বেলাগাম অনুদানে সরব হয়েছে বিজেপিও।

    তৃণমূলের চোরেদের পকেটেই টাকা দেওয়া হল!

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইদ্রিশ আলির মতো মানুষরা ভারতের চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ নিয়ে অবিবেচকের মতো মন্তব্য করেছেন। তাঁর কাছে চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ মানে অর্থের অপচয় করা মাত্র। রাজ্য সরকার যে অর্থ অপচয় করে পুজো কমিটিগুলিকে দিতে চলেছে, তা তো সাধারণ মানুষের করের টাকা। রাজ্য সরকার এইভাবে সাধারণ মানুষের টাকা খরচ করতে পারে কি? রাজ্যে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা টাকা চুরি করেছেন, এই পুজোর ক্লাবে অনুদান, কার্যত কিছু তৃণমূলের চোরেদের পকেটেই টাকা দেওয়ারই সমান। এছাড়াও বিজেপির কাউন্সিলার সজল ঘোষ বলেন, আমাদের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো (Durga Puja 2023) বেশ বড় পুজো। লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয়। আমরা গত দুই বছর ধরে সরকারের এই অনুদান গ্রহণ করছি না।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের দেশে কেমন আছে প্রজ্ঞান ও বিক্রম? জানতে অপেক্ষা আরও ৯ দিনের

    Chandrayaan 3: চাঁদের দেশে কেমন আছে প্রজ্ঞান ও বিক্রম? জানতে অপেক্ষা আরও ৯ দিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য অস্ত গিয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নাগাদ আবার দক্ষিণ মেরুতে সূর্য উঠবে। বর্তমানে সেখানে কনকনে ঠান্ডা। এমন অবস্থায় ল্যান্ডার বিক্রম অথবা রোভার প্রজ্ঞান ঠিক কেমন আছে? আদৌ কি কার্যক্ষমতা বজায় রয়েছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন নয় এর উত্তর মিলবে আরও ৯ দিন পরেই। তবে তাঁরা এও জানাচ্ছেন, বিক্রমের প্রযুক্তি স্বাভাবিক থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। পৃথিবীর রাত্রি ও চাঁদের রাত্রির পার্থক্য তাপমাত্রার দিক থেকে অনেকটাই বেশি। চাঁদে সূর্য ডুবলে তাপমাত্রা নেমে যায় ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে। এই প্রবল ঠান্ডায় চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) প্রযুক্তি ঠিক কাজ করবে কিনা তা স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না, কিন্তু এতেও আশা ছাড়ছে না ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

    স্লিপ মোডে রয়েছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান

    ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভারকে স্লিপ মোডে পাঠানো হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ হবে যেখান থেকে সেই যন্ত্রাংশগুলি এখনও  চালু রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করে ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। তারপর পেটের ভিতর থেকে গুটিগুটি পায়ে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। সেসময় দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো ছিল। এই সময়ে চাঁদের বায়ুমন্ডলের গঠন সমেত চন্দ্রপৃষ্ঠের রাসায়নিক উপাদান এসব কিছুরই অনুসন্ধান চালায় রোভার প্রজ্ঞান। ল্যান্ডার বিক্রমের একাধিক ছবিও তোলে প্রজ্ঞান।

    চন্দ্রপৃষ্ঠে ১০০ মিটারেরও বেশি হেঁটেছে প্রজ্ঞান

    ইসরো নিজেদের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে সেসব ছবি। ছয় চাকার প্রজ্ঞান চাঁদে ১০০ মিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে ইসরো। পরবর্তীকালে চাঁদে রাত নামার আগে হফ পরীক্ষাও করা হয়, অর্থাৎ ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3) মাটি থেকে ৪০ সেন্টিমিটার লাফ দেয়। এই হফ পরীক্ষা পরবর্তীকালে চন্দ্রপৃষ্ঠে মানব অভিযানে সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shanti Swarup Bhatnagar Prize: ‘‘এখনও বহু পথ চলা বাকি’’, বললেন দেশের সেরা চিকিৎসক দীপ্যমান

    Shanti Swarup Bhatnagar Prize: ‘‘এখনও বহু পথ চলা বাকি’’, বললেন দেশের সেরা চিকিৎসক দীপ্যমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশেষ অবদানের জন্য শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন বাঙালি চিকিৎসক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় (Dipyaman Ganguly)। চার দশক পর বঙ্গের কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বাঙালি হিসেবে এ বছর এই সম্মান পেয়েছেন দীপ্যমান। বাংলায় কাজ করে একমাত্র বাঙালি হিসেবে পুরস্কৃত হওয়ার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল সায়েন্স বিভাগে দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়েছেন তিনি। তবে এটা শুরু, এখনও অনেক পথ চলা বাকি বলে জানালেন বাঙালি চিকিৎসক-গবেষক।

    কেন এই সম্মান

    দীর্ঘদিন ধরেই অনাক্রম্যতা (ইমিউনোলজি) বিষয়ে গবেষণা করছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় (Dipyaman Ganguly)। তাতে বিশেষ ভাবে ছিল অটোইমিউন ডিজিজ। সাম্প্রতিক কালে কোভিডে অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কী ভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেটি নিয়েও গবেষণা করেন তিনি। করোনাকে হারাতে প্লাজমা থেরাপিকে হাতিয়ার করেছিলেন চিকিৎসকরা। প্লাজমা থেরাপির নেপথ্য কারিগর ছিলেন বাঙালি চিকিৎসক-গবেষক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এখন ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজিতে গবেষণা করছেন। পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পাওয়া প্রসঙ্গে নির্বিকার দীপ্যমান বলেন, “সম্মান পেয়ে ভাল লাগছে। তবে এখনও বহু পথ চলা বাকি। মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চাই। গবেষণা চালিয়ে যাব। আরও বড় কিছুর সন্ধান করাই আমার লক্ষ।”

    ভিন রাজ্যে বাংলার মেধা

    চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১৯৮৫-র পর আর কোনও বাঙালি বাংলায় কাজ করে ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পাননি। নিউরোসায়েন্সে অবদানের জন্য সে বছর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন ডিকে গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর বীরেন্দ্রনাথ মল্লিক (নিউরোবায়োলজি/২০০১), অনিলকুমার মণ্ডল (নিউরো-ফিজিওলজি/২০০৩), মিতালি মুখোপাধ্যায় (গ্লকোমা/২০১০) ও সন্দীপ বসু (হিউম্যান জিনোমিক্স/২০১২) ভাটনগর পুরস্কার পেলেও তাঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যের বাইরের প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেয়ে দীপ্যমান বলেন, “এত বছর পর মেডিক্যাল সায়েন্সে যে বাংলার প্রাপ্তি হলো, সেটাই আমায় রোমাঞ্চিত করছে। কিন্তু ভাবতে হবে  কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা চলে যাচ্ছে?‌ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই রাজ্যে আর‌ও বেশি করে গবেষণার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

    দীপ্যমানের পড়াশোনা

    রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস উত্তীর্ণ হয়েছিলেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় (Dipyaman Ganguly)। এখন ঢাকুরিয়ায় থাকলেও দীপ্যমানবাবুদের আদি বাড়ি খড়দহের রিজেন্ট পার্কে। প্রায় এক দশক আগে সেখান থেকে সপরিবারে কলকাতায় চলে আসে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশেরই বক্তব্য, ডাক্তারি পাস করার পরেও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের জৌলুস থেকে নিজেকে দূরে রেখে যে ভাবে এই ইমিউনোলজিস্ট নিরলস গবেষণা করে চলেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের একেবারে মৌলিক বিষয়ে, তা কুর্নিশ যোগ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: আজ ফের ম্যাচ, ক্লান্ত কোহলি! পাকিস্তান-বধে পাঁচ উইকেটের রহস্য জানালেন কুলদীপ

    Asia Cup 2023: আজ ফের ম্যাচ, ক্লান্ত কোহলি! পাকিস্তান-বধে পাঁচ উইকেটের রহস্য জানালেন কুলদীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার এই গরমে টানা তিন দিন খেলা বেশ ক্লান্তির, জানালেন কিং কোহলি। রবিবার ২৪ ওভার, সোমবার খেলতে হল ৫৭ ওভার, মঙ্গলবার আবার মাঠে নেমে ১০০ ওভার খেলতে হতে পারে। এশিয়া কাপে ভারতের কঠিন সূচির কথা মেনে নিলেন বিরাট। পাকিস্তানকে হারিয়ে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে আগে ভাগেই কোহলি বলে দিলেন, “আমি অনুরোধ করব আপনি যাতে সাক্ষাৎকারটা খুব ছোট নেন। আমি প্রচণ্ড ক্লান্ত।”

    টানা ক্রিকেটের ধকল বিরাটের মুখে

    সোমবার বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক সময়ে খেলা শুরু হয়নি। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি দেরি হয়েছে শুরু হতে। মাঝেও বৃষ্টিতে অনেক ক্ষণ খেলা বন্ধ থেকেছে। পাকিস্তান পুরো ৫০ ওভার খেললে রাত প্রায় ১টা বেজে যেত ম্যাচ শেষ হতে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি ভারত। ক্লান্তি প্রসঙ্গে কোহলি বললেন, “মাঠে প্রচুর দৌড়ে রান নিয়েছি। প্রত্যেক সময়েই মনে হচ্ছিল, কাল আবার দুপুর ৩টের সময় আমাদের মাঠে নামতে হবে। ভাগ্য ভাল যে আমরা নিয়মিত টেস্ট খেলি। আমি ১০০টার উপর টেস্ট খেলেছি। তাই কী ভাবে পর দিন মাঠে নামতে হয় সেটা আমার জানা। তবে এটাও ঠিক, এই মাঠে প্রচণ্ড গরম। নভেম্বরে আমার ৩৫ বছর বয়স হবে। তাই শরীরের দিকে বাড়তি খেয়াল তো রাখতেই হবে। চাইব যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে তৈরি করতে।”

    কোহলির রেকর্ড

    এদিন এক দিনের ক্রিকেটে ১৩ হাজার রান হয়ে গেল কোহলির। দ্রুততম ব্যাটার হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। সোমবার রিজার্ভ ডে-র দিনে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন তিনি। কোহলির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা দাঁড়াতেই পারেননি। হ্যারিস রউফকে হারিয়ে এমনিতেই একটু চাপে ছিল পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহেরা কোহলির আগ্রাসনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। এই নিয়ে ২৭৭ ইনিংসে ১৩ হাজার রান করলেন কোহলি। টপকে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে, যিনি ৩২১ ইনিংসে ১৩ হাজার রান করেছিলেন। শাহিনের বলে দু’রান নিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন কোহলি। এক দিনের ক্রিকেটে ৪৭তম শতরান হল কোহলির। শীর্ষে থাকা সচিনের থেকে আর দু’টি শতরান পিছনে তিনি।

    আরও পড়ুন: কুলদীপের কেরামতি! কোহলি-রাহুলের শতরান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয় ভারতের

    কুলদীপের কেরামতি

    কিছু দিন পরে ভারতের মাটিতে শুরু হচ্ছে এক দিনের বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় ভারতের অন্যতম অস্ত্র কুলদীপ যাদব। পাঁচ উইকেট নিয়ে একার হাতে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এদিন কুলদীপ বলেন, “চার বছর আগে ২০১৯-এর বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ওদের দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারকেই চিনি। তাই স্পিন ওরা কী ভাবে খেলে সেটাও জানি। চেষ্টা করেছিলাম বলের মধ্যে বৈচিত্র আনতে। উইকেট লক্ষ্য করে বল করতে চেয়েছিলাম। স্পিন ভাল খেলে এমন দলের বিরুদ্ধে খেলার সুবাদে দেখেছি, ওরা শুধু সুইপ এবং রিভার্স সুইপ মারার চেষ্টা করে। ওখানেই উইকেট নেওয়ার সুযোগ চলে আসে।”

    কুলদীপ জানিয়েছেন, পাঁচ উইকেট নেওয়া কখনওই তাঁর লক্ষ্য ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন ভাল বল করতে। কুলদীপের কথায়, “প্রথম ওভার থেকেই ভাল ছন্দ পেয়ে গিয়েছিলাম। ধারাবাহিক ভাবে ভাল বল করে গিয়েছি। পাঁচ উইকেট পেলে ভাল লাগে ঠিকই। কিন্তু চারটে উইকেট পেয়ে যাওয়ার পরে কখনও ভাবি না যে আর একটা উইকেট আমাকে পেতেই হবে। সেই মুহূর্তে ভাল লেংথে বল করাই আমার লক্ষ্য থাকে। কিন্তু পাঁচ উইকেট পাওয়ার অনুভূতি যে আলাদা সেটা স্বীকার করতে বাধা নেই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার তাঁর কনভয়ের রাখা যাতায়াতের গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখে, এই দাবি তিনি প্রায় বেশ কয়েক মাস আগে করেছিলেন। সোমবার তা হাতেনাতে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা এদিন তোপ দাগেন। এমনকী জেলা পুলিশ সুপারকেও তিনি নিশানা করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    এদিন উত্তর ২৪ পরগনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের হলদিয়া মোড় পেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করার পর বিশেষ কাজে তিনি ফিরে আসেন হলদিয়া মোড়ের কাছে। তখন তিনি দেখতে পান জাতীয় সড়কের কোলাঘাটে জাতীয় সড়কের পাশে স্পিডোমিটার সরিয়ে নিচ্ছেন পুলিশ কর্মচারীরা। গাড়ি থেকে নেমে হাতেনাতে ধরে ফেলেন শুভেন্দু এবং একগুচ্ছ অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কী অভিযোগ?

    শুভেন্দু বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন সেই অভিযোগের সত্যতা প্রকাশ পেল। বিরোধী দলনেতার যানবাহনের গতিবিধির নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকার স্পিডোমিটার যে ব্যবহার করছিল এটাই তার প্রমাণ। আমি চলে যাওয়ার পর ফিরে আসব ওরা বুঝতে পারেনি। আসলে রাজ্য সরকার বিরোধী দলনেতাকে দমিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু, সম্পূর্ণটাই বিফলে পরিণত হয়।’

    পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে তিনি কী বললেন?

    বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রশাসন তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুক।’ জাতীয় সড়কের ওপর বিভিন্ন বেআইনি বিষয়গুলিও তুলে ধরেন স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সমস্তটাই দায়ভার চাপিয়ে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা পুলিশ  সুপার অমরনাথ কে-র উপর। স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানা যায়, ‘যাই অভিযোগ আসুক না কেন বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখেই স্পিডোমিটার বসানো হয়েছিল সাধারণ মানুষের স্বার্থে।’

    কিন্তু, প্রশ্ন হল, সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থেই যদি স্পিডোমিটার বসানোই হয়ে থাকে, তাহলে, আচমকা কেন তা গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছিল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shanti Swarup Bhatnagar Prize: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

    Shanti Swarup Bhatnagar Prize: গর্বিত বাংলা! বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন আইআইসিবি-র বাঙালি চিকিৎসক-গবেষক ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত চার বাঙালি বিজ্ঞানী। ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন ইমিউনোলজিস্ট শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারমোট ১২ জন এই সম্মান পাচ্ছেন। এর মধ্যে ৪ জন বাঙালি। 

    শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার কী

    দেশে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় পুরস্কার শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize)। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) এর প্রতিষ্ঠা দিবসে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। সিএসআইআর-এর প্রথম ডিরেক্টর শান্তি স্বরূপ ভাটনাগরের নামানুসারে, প্রতি বছর সাতটি বৈজ্ঞানিক শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জীববিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পদার্থবিদ্যা, চিকিৎসা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড আর্থ, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর এবং গ্রহ বিজ্ঞানের মতো ৭ টি বিষয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হয়৷ ভাটনগর পুরস্কার স্বরূপ গবেষকদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়া হয়৷ ৪৫ বছরের কম বয়সী বিজ্ঞানীরা এই সম্মান পেয়ে থাকেন৷

    দীপ্যমানের কীর্তি 

    চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১৯৮৪-র পর এই প্রথম কোনও বাঙালি শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন। কোভিডের উপর কাজ করে এই পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই অনাক্রম্যতা (ইমিউনোলজি) বিষয়ে গবেষণা করছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে বিশেষ ভাবে ছিল অটোইমিউন ডিজিজ। সাম্প্রতিক কালে কোভিডে অনাক্রম্যতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কী ভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেটি নিয়েও গবেষণা করেন তিনি। কোভিডে প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক গবেষণাও করেছেন। সেই সমস্ত কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই এই পুরস্কার পেয়েছেন দীপ্যমান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে। লিখেছেন, ‘সম্মানপ্রাপক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাই। বহু বছর পর বাংলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন গবেষকের হাত ধরে এই ভাটনগর সম্মান এল।’

    কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা?

    ৩৯ বছর পর কলকাতায় কাজ করে মেডিক্যাল সায়েন্সে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) পেলেন ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। এই পুরষ্কারের ঝুলিতে রয়েছে—একটি প্রশংসাপত্র, একটি ফলক এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা। এই পুরষ্কার পাওয়ার পর দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‌রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই রাজ্যে আর‌ও বেশি করে গবেষণার পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। কেন ভিন রাজ্যে রাজ্যের মেধা চলে যাচ্ছে?‌ সেটাও দেখতে হবে।’

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, স্বামীজি প্রচলন করেছিলেন এই পুজো

    আর কোন কোন বাঙালি পেলেন সম্মান

    যে চার বাঙালির আলোয় এ বারের ভাটনগর পুরস্কার (Shanti Swarup Bhatnagar Prize) উজ্জ্বল, তাঁরা রসায়নে আইআইটি বম্বের দেবব্রত মাইতি, পদার্থবিদ্যায় বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের (আইআইএসসি) অনিন্দ্য দাস ও টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের বাসুদেব দাশগুপ্ত এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজির দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়। দেবব্রতের গবেষণা কার্বন এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর পারস্পরিক রাসায়নিক বন্ধন নিয়ে। সন্ধিগত মৌলের অনুঘটন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জীবনদায়ী ওষুধ থেকে কীটনাশক পর্যন্ত বিভিন্ন কিছুর উদ্ভাবনে দিশা দিচ্ছে তাঁর কাজ। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেবব্রতের পড়াশোনা পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শ্রীরামপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়ে। পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার প্রাপক অনিন্দ্য দাসও বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার প্রাপক আর এক বাঙালি মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের (টিআইএফআর) বাসুদেব দাশগুপ্ত। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার স্নাতক স্তরের ছাত্র ছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share