Tag: Madhyom

Madhyom

  • Aditya-L1: আদিত্যর ক্যামেরায় একই ফ্রেমে ধরা দিল পৃথিবী, চাঁদ! ছবি প্রকাশ করলো ইসরো

    Aditya-L1: আদিত্যর ক্যামেরায় একই ফ্রেমে ধরা দিল পৃথিবী, চাঁদ! ছবি প্রকাশ করলো ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজস্বী তুলে পাঠালো আদিত্য-এল১ (Aditya-L1)। একইসঙ্গে, একটি ফ্রেমে পৃথিবী ও চাঁদের ছবিও পাঠিয়েছে ভারতের প্রথম সৌরযান (India Sun Mission)। সেই ছবি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে ইসরো। 

    আদিত্যর তোলা ছবি প্রকাশ ইসরোর

    এদিন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে সেলফিও তুলছে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1)। এরসঙ্গেই, দেখা যাচ্ছে আরেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিওতে পৃথিবী ও চাঁদ রয়েছে একই ফ্রেমে। ধীরে ধীরে, আঁধারে মিলিয়ে যাচ্ছে চাঁদ। একইসঙ্গে পৃথিবীর ঘূর্ণনও স্পষ্ট ধরা পড়েছে।

    গত শনিবার, ১১টা ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় ১ হাজার ৪৮০ কেজি ওজনের আদিত্য-এল১ (India Sun Mission)। উৎক্ষেপণের ৬৩ মিনিট পর ইসরোর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপিত করা হয়েছে আদিত্য-এল১ উপগ্রহকে। 

    এখন কোথায় আছে আদিত্য-এল১?

    ইসরো জানিয়েছে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ছেড়ে বেরোয়নি ইসরোর সৌরযান। চন্দ্রযান ৩-এর মতোই পৃথিবীর চারদিকে পাঁচবার চক্কর কাটবে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1)। একইসঙ্গে কক্ষপথ বদল করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় গতিও সঞ্চয় করে নেবে। তাতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ১৬ দিন। এখনও পর্যন্ত দু’বার সফলভাবে কক্ষপথ বদল করেছে আদিত্য-এল১। প্রথমটি হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয়টি হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর। এর পর আরও দুবার কক্ষপথ বদল করবে আদিত্য-এল১। 

    পঞ্চম লাফের মাধ্যমে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে পেরিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে আদিত্য-এল১ (India Sun Mission)। আদিত্য-এল১ উপগ্রহের চূড়ান্ত গন্তব্য হলো পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী ল্যাগ্রাঞ্জ-১ পয়েন্ট বা এল-১ পয়েন্ট। এটি পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরের একটি ‘হ্যালো’ পয়েন্ট। সেখানেই গিয়ে স্থায়ীভাবে থাকবে এবং সূর্যের জরিপ করবে আদিত্য-এল১ (Aditya-L1)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC ODI World Cup 2023: নতুন করে বিশ্বকাপের চার লাখ টিকিট ছাড়ছে বিসিসিআই, মিলবে কবে?

    ICC ODI World Cup 2023: নতুন করে বিশ্বকাপের চার লাখ টিকিট ছাড়ছে বিসিসিআই, মিলবে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। কয়েকটি ম্যাচ ঘিরে টিকিটের হাহাকার চোখে পড়েছে। একটি বিশেষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট কাটতে গিয়ে অনেকেই বিফল মনোরথ হয়ে ফিরেছেন। তাঁদের জন্যে আশার কথা শোনাল বিসিসিআই। সমর্থকদের বিপুল আগ্রহ দেখে নতুন করে টিকিট ছাড়া হচ্ছে। বুধবার বোর্ড ঘোষণা করেছে, সব মিলিয়ে চার লক্ষ টিকিট ছাড়া হবে।  আরও বেশি সমর্থককে মাঠে বসে এই প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত। 

    বোর্ডের নয়া বিবৃতি

    বোর্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করার পর নতুন করে আরও চার লক্ষ টিকিট বাজারে ছাড়া হচছে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,  ‘আমরা এটাই চাইব যে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে যতটা বেশি সংখ্যক দর্শক মাঠে হাজির হতে পারেন। সেকারণে আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এই টিকিটের বুকিং আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, https://tickets.cricketworldcup.com ওয়েবসাইট থেকে আপনারা অনায়াসেই বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের টিকিট বুক করতে পারবেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে এখানে টিকিট পাওয়া যাবে। এখান থেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকিট বুক করা যাবে। যদি এরপর তৃতীয় পর্যায়ে আবারও টিকিট ছাড়া হয়, তাহলে সেই ব্যাপারেও জানিয়ে দেওয়া হবে।’

    ভারত-পাক ম্যাচের টিকিট নিয়ে উন্মাদনা

    ইতিমধ্যেই টিকিট নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়েছে বলে অনুমান। আমেদাবাদের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বিক্রি হয়ে যাওয়া টিকিট নতুন করে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি টিকিটের দাম উঠেছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫৮০ টাকা। ডাক যোগে টিকিট পাঠানোর খরচ আলাদা ভাবে দিতে হবে ক্রেতাকে। অথচ এই টিকিটগুলির আসল দাম ৬০০০ টাকা। ভায়াগোগো নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এমনই দাম উঠেছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের। ১৪ অক্টোবরের ম্যাচের ১০০টি টিকিট এখনও তাদের কাছে আছে বলে দাবি সংস্থাটির।

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আগেই লোকসভা ভোট! কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    টিকিটে ২০০০ কিমি ভ্রমণ

    আগামী ৫ অক্টোবর থেকে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শুরু হতে চলেছে। ভারতীয় ক্রিকেট দল আগামী ৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ ১৪ অক্টোবর। এই ম্যাচের টিকিট পাওয়ার আশায় ওড়িশা থেকে অবিনাশ নামে এক ব্যক্তি ২০০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে আমেদবাদে পৌঁছেছেন বলে খবর। টিকিট না পেলে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হবে বলে দাবি, প্রকাশ নামে আর এক ক্রিকেট অনুরাগী। আমেদাবাদে ঠিক স্টেডিয়ামের পিছনেই থাকেন ক্রিকেট পাগল কৌশিক। তাঁর কথায়, “আমি স্টেডিয়ামের ঠিক পিছনেই থাকি। আমি অনলাইনে টিকিট বুক করার চেষ্টা করছি কিন্তু এখনও তা করতে পারিনি। আশা করি অফলাইন কাউন্টারও খুলবে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shah Rukh Khan: ভোর ৫টার শো হাউসফুল! ‘জওয়ান’ শাহরুখে বুঁদ নিউটাউনের প্রেক্ষাগৃহ

    Shah Rukh Khan: ভোর ৫টার শো হাউসফুল! ‘জওয়ান’ শাহরুখে বুঁদ নিউটাউনের প্রেক্ষাগৃহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোরবেলায় কখনও কোনও সিনেমা হলের সামনে গিয়েছেন? গেলে দেখতে পাবেন, গোটা চত্বর ফাঁকা। আশপাশের চায়ের দোকানে হয়তো জনাকয়েক লোকজনকে দেখতে পাবেন। তবে, বৃহস্পতিবার সাতসকালে নিউটাউনের একটি মাল্টিপ্লেক্সের সামনে যা দেখা গেল, তা অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। বৃষ্টি ভেজা শহরের রাস্তা প্রায় খালি। ঘড়ির কাঁটা বলছে সওয়া চারটে। বৃষ্টি পড়ছে। কিন্তু নিউটাউনের ওই মাল্টিপ্লেক্সের সামনে পৌঁছে দেখা গেল চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। হলের সামনে থিক থিক করছে ভিড়। তাঁদের মুখে একটাই স্লোগান- ‘শাহরুখ! শাহরুখ!’ (Shah Rukh Khan)

    “জওয়ান” ঘিরে প্রেক্ষাগৃহে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে

    ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে মুক্তি পেল শাহরুখের নতুন ছবি ‘জওয়ান’। ‘জওয়ান’-এর অগ্রিম বুকিং শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রথম কয়েক দিনের শো-এর টিকিট বিক্রি প্রায় শেষের দিকে। পরিসংখ্যানের দিক থেকে তা ‘পাঠান’ এর অগ্রিম টিকিট বিক্রিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। নিউটাউনের মিরাজ সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ‘জওয়ান’-এর শোয়ের ব্যবস্থা করেছে।  প্রথম দিনে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় এই প্রেক্ষাগৃহে সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে কান পাতা দায়। দর্শকদের চিৎকারে ভোরের প্রেক্ষাগৃহে তখন অন্য ছোঁয়া। ‘জিন্দা বান্দা’ গানে একাংশ আসন ছেড়ে উঠে পা মেলালেন। নয়নতারাকে দেখে যেমন হাততালি পড়ল, বিজয় সেতুপতিও সেখানে কোনও অংশে কম নন। দীপিকা পাড়ুকোনের এন্ট্রিতেও দর্শকরা একই রকম পাগলামো করলেন। বড় পর্দায় সিনেমার যে কোনও বিকল্প নেই, সেটাই প্রমাণ করল দর্শকদের বাঁধ ভাঙা আবেগ।

    সাতসকালে সিনেমা দেখতে আসা নিয়ে শাহরুখ (Shah Rukh khan) ভক্তরা কী বললেন?

    ‘পাঠান’ মুক্তির পর আরও এক বার এই ভিড় প্রমাণ করল, শাহরুখের (Shah Rukh Khan) প্রতি শহর কলকাতার নিঃশর্ত ভালবাসা এবং সমর্থনকে। ছবি শুরুর আগে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে দেখা গেল, দর্শকদের মধ্যে কারও চোখে ঘুমের রেশ কাটেনি। কেউ আবার আগেভাগে নিজের টিকিট দেখে নিতে ব্যস্ত। তবে সকলের মুখেই হাসির রেখা। সেটাই তো স্বাভাবিক। আগামী ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট যে জগতে তাঁরা প্রবেশ করবেন, সেখানে তো শুধুই অনুরাগী এবং তাঁর আবেগের জয়গান। কলকাতায় ‘পাঠান’-এর প্রথম শো ছিল সকল ৬ টা ৪৫ মিনিটে। ভক্তের ‘ঈশ্বর’ দর্শনের সময় এ বার এগিয়ে এসেছে প্রায় ২ ঘণ্টা। গড়িয়া থেকে আসা এক অনুরাগী বললেন, “এটা কোনও সমস্যাই নয়। মাঝ রাতে শো থাকলে আরও ভাল হত। প্রয়োজনে সারা রাত এখানেই থাকতাম। কিন্তু শারুখকে সবার আগে পর্দায় দেখতে চাই।” হাওড়া থেকে আসা এক অনুরাগী জানালেন, প্রথম দিনেই তাঁর দু’বার ‘জওয়ান’ দেখার পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু সাধারণ সিনেপ্রেমীরা নন, কাক ভোরে শাহরুখ দর্শনের সাক্ষী হতে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন তারকাদের একাংশও।

    ভক্তদের সঙ্গে রাত জাগলেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)

    বৃহস্পতিবার ভক্তদের মতো রাত জাগলেন শাহরুখ খান। তিনি লিখলেন, “তোমাদের অনেক ভালবাসা। আশা করব তোমরা আনন্দ পাবে। সারা রাত জেগেছিলাম তোমাদের প্রেক্ষাগৃহে যেতে দেখব বলে।”

    রায়গঞ্জ শহরে শাহরুখ ভক্তদের ভিড়

    রায়গঞ্জ মাল্টিপ্লেক্সে এদিন সকাল থেকেই শাহরুখ (Shah Rukh Khan) ভক্তরা ভিড় করেন। জওয়ান সিনেমা দেখতে ভোর বেলায় রায়গঞ্জ শহর ছা়ড়াও আশপাশের গ্রাম থেকে ভক্তরা হলে ভিড় করেন। প্রথম শো-ই হাউস ফুল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ৬ মাস আগেই লোকসভা ভোট! কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    Lok Sabha Election 2024: ৬ মাস আগেই লোকসভা ভোট! কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক ভোট’ ইস্যুতে সংবিধান মেনে চলার বার্তা দিলেন নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা ভোট একসঙ্গেই করতে চায় কেন্দ্র সরকার। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে বিশেষ কমিটিও গঠন করেছে সরকার। বুধবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,  ‘‘আইনের মধ্যে থেকে আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’’

    নির্বাচন কমিশনের অভিমত

    সামনেই মধ্য প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ভোপালে পৌঁছন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন,  ‘‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে ফেলাই আমাদের কাজ। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনে সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়েছে, তা অনুযায়ী আমরা নির্বাচন সংগঠন করে থাকি।’’ একইসঙ্গে রাজীব কুমার আরও বলেন, ‘‘এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ছয় মাস আগেই নির্বাচন করা যায়। রাজ্য বিধানসভাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সংবিধান এবং এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় থেকে আমরা নির্বাচন করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘যোগ্য জবাব দেওয়া প্রয়োজন’’! সনাতন ধর্ম বিতর্কে মুখ খুললেন মোদি

    নির্বাচন নিয়ে জল্পনা

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের এই মন্তব্যের পরই আবার আলোচনা শুরু হয় তাহলে কি এগিয়ে আসতে চলেছে লোকসভা ভোট? যদিও এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি রাজীব কুমার। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন (Chief Election Commissioner)।  ডিসেম্বরে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। গত প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গলায় নানাভাবে এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রক্রিয়ার কথা শোনা গিয়েছে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে একইসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন হতে পারে দেশে। এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন নির্বাচনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে। আবার, নির্বাচিত সরকারগুলিও কাজ করার জন্য বেশি সময় পাবে। বাড়বে কেন্দ্র-রাজ্য সম্বন্বয়। আর তাই এক দেশ এক ভোটের পক্ষে সওয়াল করছে শাসকদল। প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশন চলাকালীন এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘যোগ্য জবাব দেওয়া প্রয়োজন’’! সনাতন ধর্ম বিতর্কে মুখ খুললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘‘যোগ্য জবাব দেওয়া প্রয়োজন’’! সনাতন ধর্ম বিতর্কে মুখ খুললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিনের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জি২০ সম্মেলনের আগে মন্ত্রীদের সঙ্গে এক প্রস্তুতি বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, এই ধরনের মন্তব্যের ‘যোগ্য জবাব দেওয়া প্রয়োজন।’ এছাড়াও ভারত বনাম ইন্ডিয়া ইস্যুতেও মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী।

    উদয়নিধির বিতর্কিত মন্তব্য

    উল্লেখ্য, সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার সঙ্গে তুলনা করে এই ধর্মের বিলোপ চেয়েছেন ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন। গত সপ্তাহের শেষের দিকে ডিএমকে নেতা বলেছিলেন, ‘সনাতন (ধর্ম) হল ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির মতো। তাই এটিকে শুধু বিরোধিতা করাই নয়, এটিকে পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।’ উদয়নিধির সেই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। বিজেপি তরফে নাগাড়ে আক্রমণ শুরু হয় ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে। পদ্ম শিবির থেকে দাবি করা হয়, তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা ‘গণহত্যার ডাক দেওয়ার’ সামিল। যদিও বিজেপির সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন উদয়নিধি। তিনি নিজের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চাইতে নারাজ। 

    ইন্ডিয়া-ভারত ইস্যুতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    অন্যদিকে, ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ বিতর্কে বুধবার বিরোধীদের মোকাবিলার দিশানির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই বিষয়ে মন্ত্রিদের কথা বলার দরকার নেই, এই ইস্যুতে সবার কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত, অনুমোদিতরাই এই বিষয়ে মন্তব্য করুন। তাঁর পরামর্শ, ‘এই সব বিষয় নিয়ে ইতিহাস ঘাঁটার দরকার নেই, সংবিধান মেনে বাস্তবিক দিকটি তুলে ধরুন। ইস্যুটির সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলুন।’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘গণতন্ত্রের মন্দিরকে নিয়ে রাজনীতি করছেন সোনিয়া’’, অভিযোগ প্রহ্লাদ জোশীর

    অস্বস্তিতে ‘ইন্ডিজোট

    প্রসঙ্গত, উদয়নিধি স্ট্যালিনের মন্তব্যে গোটা দেশ তোলপাড়। জাতীয় রাজনীতিতে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপির বহু নেতাই বিপক্ষের ‘ইন্ডি’ জোটের দিকে আঙুল তুলেছেন। উদয়নিধির এমন বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে বেশ অস্বস্তিতে ‘ইন্ডি’ জোটের অন্যান্য দলগুলিও। এই বিষয়টি নিয়ে শিবসেনার উদ্ধবপক্ষ সমেত ‘ইন্ডি’ জোটের একাধিক দল নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। দেশজুড়ে তোলপাড়ের মাঝেই উদয়নিধি স্ট্যালিনের শিরোচ্ছেদের নিদান দেন অযোধ্যার মহন্ত পরমহংস আচার্য। তাঁর কথায়, ‘আমি ওঁকে বলব, আগে সনাতন ধর্মের ইতিহাস পড়ে আসুন। তারপর এই নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করবেন। সনাতন ধর্ম নিয়ে উনি যা যা বলেছেন, তার জন্য অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। নচেৎ উনি কঠোর শাস্তি পাবেন।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU: হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার! যাদবপুরে পরিদর্শনের পর কী ভাবছে ইসরো?

    JU: হস্টেলে ফেসিয়াল রেকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহার! যাদবপুরে পরিদর্শনের পর কী ভাবছে ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল এবং ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার দ্বিতীয় দিন তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছেন। হস্টেলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার পর ক্যাম্পাসেও গিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুই প্রতিনিধি। কোথায়, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োগ করায় সুবিধা হবে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। 

    ‘জোন’ ভাগ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন 

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশকে আলাদা ‘জোন’ হিসাবে ভাগ করে পরিদর্শন করে ইসরোর প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার তাঁরা শুধু ক্যাম্পাসে ঘুরলেও এদিন তাঁরা মেন হস্টেলেও যান। এই হস্টেলের এ২ ব্লকের যেখানে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল, সেই অংশ বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। ইসরোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।উপাচার্য আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথা বলেছিলেন। যাদবপুরে ইসরোর সুপারিশে প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা বলেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইসরোর প্রতিনিধি দলের অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার তাঁরা ক্যাম্পাসে আসেন।

    আরও পড়ুন: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ব্যবহার

    সূত্রের খবর, মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই (AI) এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফডিআই (RFDI)কে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তার কাজ এগোতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে ইসরো।  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে জোরদার করতে উন্নত পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন গেটে বসতে পারে উন্নত প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা, সেই সমস্ত বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখে তারা।  এরপর চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবে এই প্রতিনিধি দল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Notice: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা! নুসরতের সঙ্গে আরও এক অভিনেত্রীকে তলব ইডির 

    ED Notice: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা! নুসরতের সঙ্গে আরও এক অভিনেত্রীকে তলব ইডির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা মামলায় এবার অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে তলব করল ইডি। মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, যে কোম্পানির মাথায় ছিলেন রাকেশ সিং এবং নুসরত জাহান, ওই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখাও। তদন্তকারীদের দাবি, ওই কোম্পানি বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে নয়ছয় করেছে। 

    কে এই রূপলেখা

    বুধবার রূপলেখাকে তলব করেছে ইডি। রূপলেখা জানিয়েছেন, নোটিস হাতে পেলে তিনি ইডির মুখোমুখি হবেন। সূত্রের খবর, যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখা। ইন্ডাস্ট্রিতে খুব বেশি নাম না করলেও টলিপাড়ায় একাধিক ছবিতে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল রূপলেখাকে। ‘ইচ্ছে’ এবং ‘কলি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তা ছাড়া ওড়িয়া ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

    কী অভিযোগ

    ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। প্রথম বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। নুসরতের বিরদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। শঙ্কুদেব পণ্ডার অভিযোগ ছিল, “প্রবীণদের অর্থ নিয়ে চিটিংবাজি চলছে। তাঁদের পয়সা নিয়ে ফ্ল্যাট কেনা হচ্ছে। অন্যদিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নুসরত জাহান। নায়িকা তথা সাংসদ বলেন, “আমি দিনভর কাজে ব্যস্ত থাকি। কলকাতায় এসে যদি জানতে পারি এই ধরনের কোনও নোটিশ এসেছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই যাবতীয় পদক্ষেপ করব।” পাশাপাশি তাঁকে ডাকা হলে তিনি অবশ্যই যাবেন বলে জানান এই তারকা সাংসদ।

    আরও পড়ুন: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    নুসরত স্পষ্ট জানান, সংশ্লিষ্ট সংস্থার থেকে তিনি ঋণ বাবদ কিছু টাকা নিলেও তা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন। তাঁর কাছে যাবতীয় নথি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই সংস্থার ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা রাকেশ সিংকে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে নতুন করে এক অভিনেত্রীর নাম সামনে আসায় শোরগোল পড়েছে। বেলঘরিয়ার রূপলেখার ফ্ল্যাট আছে একটি। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে রূপলেখা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি এবং রাকেশ অন্য একটি সংস্থার ডিরেক্টর। ওই সংস্থার সঙ্গে তাঁদের আর কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: “আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    PM Narendra Modi: “আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন পরেই দিল্লিতে বসছে জি২০ সম্মেলন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সাক্ষাৎকার দিলেন ‘মানি কন্ট্রোল’-কে। বর্তমান পৃথিবীতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ভারতের অবস্থান এবং ভূমিকা ঠিক কী হতে চলেছে, এ বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘মানি কন্ট্রোল’কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হল।

    প্রশ্ন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত সভাপতিত্ব করছে, এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর (PM Narendra Modi): যদি আপনারা জি২০ সম্মেলনের দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন আমাদের মোটো রয়েছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। যার অর্থ ‘‘এক পৃথিবী, এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যৎ’’। আমাদের কাছে সমস্ত পৃথিবী হল একটা পরিবারের মতো। যেখানে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্য সদস্যের উপর। যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি তখন আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাই। গত ৯ বছর ধরে আমরা সাক্ষী থেকেছি ‘‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’’ এই নীতির। এটাই হল আমাদের বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উপাদান।

    সবকা সাথ: সমগ্র পৃথিবী একসঙ্গে থেকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা।

    সবকা বিকাশ: পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে মানব উন্নয়নের কাজ করা।

    সবকা বিশ্বাস: প্রত্যেকের বিশ্বাসকে জিতে নেওয়া।

    সবকা প্রয়াস: প্রতিটি দেশের যে সমস্ত কিছু শক্তি এবং রসদ আছে, তার ভরপুর প্রয়োগ করা।

    প্রশ্ন: বর্তমানে আপনি (PM Narendra Modi) বিশ্ব নেতাদের সম্মেলন করছেন, যখন সারা পৃথিবী একটি ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এমন অস্থির-পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি। এই আবহে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের থিম রাখা হয়েছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’, ‘‘এক পৃথিবী এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যৎ।’’ এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া ঠিক কী? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বিগত কয়েক বছরে সারা পৃথিবী সাক্ষী থেকেছে ভারতবর্ষের উন্নয়নের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই উন্নয়ন হয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী হয়েছি, আমাদের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সংস্কার হয়েছে। সামাজিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা এগিয়েছি। ডিজিটাল, ফিনান্সিয়াল সহ আরও অনেক দিকে ভারতের উন্নতি যথেষ্ট সদর্থক। বিদ্যুৎ, হাউসিং সমেত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত উন্নতির শিখর ছুঁয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং সংস্থা ভারতের এই বিকাশকে স্বাগত জানিয়েছে। সারা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা ভারতবর্ষকে তাঁদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

    যখন বিশ্বব্যাপী মহামারি ছড়িয়ে পড়ল, তখন সবার একটা কৌতূহল ছিল যে ভারত কীভাবে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে! আমরা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পেরেছি। ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদেরকেও এই সুবিধা আমরা দিয়েছি। আমাদের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার আমাদের সাহায্য করেছে সরাসরি উন্নয়নকে ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে। আমরা ২০০ কোটিরও বেশি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ বিনামূল্যে দিতে পেরেছি। আমরা ১৫০-এরও বেশি দেশে করোনার ভ্যাকসিন এবং ওষুধ সরবরাহ করতে পেরেছি। এটা আমাদের মানবকেন্দ্রিক বিকাশ নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে।

    এরই মাঝে বিগত ৯ বছর ধরে সারা পৃথিবী সাক্ষী থেকেছে, অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার এবং বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকাঠামো তৈরিতে ভারত ঠিক কতটা এগিয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গা করে নিতে পেরেছে আমাদের দেশ। সে কারণেই আমরা জি২০ এর মতো শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে পেরেছি। জি২০ বিষয়ে যখন আমরা আমাদের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করি, বিশ্বব্যাপী তা গ্রহণ করা হয় এবং প্রশংসিত হয়। তার কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন ইস্যুতে সমস্যার সমাধান করতে আমরা সক্ষম, যা সকলেই জানে। বর্তমান জি২০ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে আমরা লঞ্চ করব বায়োফুয়েল-অ্যালায়েন্স। এর ফলে পরিবেশ বান্ধব শক্তির ব্যবহার যেমন বাড়বে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে, তেমনই খরচ কমবে জ্বালানির।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) ব্যাখ্যা করেছেন যে ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ সম্মেলন আসলে জনগণের সভাপতিত্ব। শুধু একটি বা দু’টি শহরে নয়, জি২০ এর ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন শহরে। কেন নিলেন এমন সিদ্ধান্ত?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: অনেক মানুষই আমার জীবন সম্পর্কে পুরোটা জানেন। আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে, অনেক দশক ধরেই সাংগঠনিক কাজ করতাম রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ক্ষেত্রে। সেই হিসেবে আমাকে জেলায় জেলায় সফর করতে হতো। ভারতবর্ষের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই আমার সফর করার সৌভাগ্য হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে আমি অনেক কিছু শিখেছি, ভারতের বৈচিত্র, বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের সংস্কৃতি, তাদের সমস্যা এবং আরও বিভিন্ন দিক সম্পর্কে। যা আমার কাছে একটা অনন্য অভিজ্ঞতা। এই এত বৈচিত্রতার মধ্যেও আমি লক্ষ্য করেছি যে আমাদের মধ্যে একটা সাধারণ বিষয় আছে এবং সেটা হল ‘হ্যাঁ পারব’ ‘আমরা পারব’। ক্ষমতার বৃত্তে থেকে সর্বপ্রথম ভাবা গিয়েছে দিল্লির বাইরেও কিছু করার কথা।

    আমরা (PM Narendra Modi) আরও দেখেছি যে পৃথিবীব্যাপী নেতারা শুধুমাত্র রাজধানীতে অথবা দু-একটি নির্বাচিত শহরে আসতেন। এবারে দেশের প্রায় কম বেশি গুরুত্বপূর্ণ সব শহরেই অনুষ্ঠিত হয়েছে জি২০ সম্মেলন। যার ফলে বিশ্বের নেতারা ভারতের বৈচিত্র নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এই যেমন ধরুন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল তিনি বেঙ্গালুরুতে সফর করেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বারাণসীতে সফর করেছেন। পর্তুগিজের রাষ্ট্রনেতারা গোয়া এবং মুম্বইতে সফর করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনের সফর করেছেন। দিল্লির বাইরেও বিভিন্ন জায়গাতে সফর করার সুযোগ পেয়েছেন বিশেষ তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। জি২০ সম্মেলনে ২২০টি মিটিং হয়েছে দেশের ৬০টি শহরে, ২৮টি রাজ্যে এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এক লাখেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন ১২৫টি দেশ থেকে। আমাদের দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ কোনও না কোনও ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এই অনুষ্ঠানগুলোকে সফল করার জন্য।

    প্রশ্ন: জি২০ গঠন করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটকে সামলানোর জন্য। ঘটনা হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে অসংখ্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, কিন্তু সেগুলি তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সেভাবে সফল হয়নি। আপনি (PM Narendra Modi) কি মনে করেন জি২০ তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সফল হবে? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমি মনে করি এটা আমার বিষয় নয়। কিন্তু আমি মনে করি এটা একটা ভালো প্রশ্ন। সম্প্রতি, জি২০, ২৫ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই দেখতে হবে জি২০ কতটা উদ্দেশ্য পূরণ করতে পেরেছে! জি২০ প্রসঙ্গে বলতে গেলে এটা বলা যায় যে বিভিন্ন দেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, ধারাবাহিকভাবে জি২০ এর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের মতো করে তথ্য আদান-প্রদান করছে। বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছে। আমাদের দেশ ভারতও এই অ্যাকটিভ ফোরামের অংশ। সন্ত্রাসবাদ থেকে কালো টাকা, জলবায়ু থেকে সার্বিক উন্নয়ন-এই সমস্ত বিষয়েই আলোচনা হয়েছে এবং পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্ন: পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন শক্তির বিচ্ছিন্নতা নজরে পড়ছে। যেমন একদিকে চিনের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে জোট, অন্যদিকে আমেরিকার নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্য আরেকটি জোট। অন্যদিকে ভারত ‘মাল্টি পোলার’ পৃথিবীর পক্ষে সওয়াল করছে। এ বিষয়ে আপনার (PM Narendra Modi) কী বক্তব্য?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের উপর নির্ভরশীল। এই সময়ে মধ্যে এটাও বাস্তব যে প্রত্যেক দেশই তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। তাই এই আবহে সচেতনতা বাড়াতে হবে আমাদের, প্রত্যেকের সাধারণ উদ্দেশ্যটা ঠিক কী। বর্তমানে পৃথিবীতে অনেকগুলি শক্তি অবস্থান করছে। প্রত্যেকেই অন্য দেশের একাধিক ইস্যুতে সম্মত হচ্ছে। আবার বিরুদ্ধ মতও পোষণ করছে। এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিজ দেশের স্বার্থকে তুলে ধরতে হবে আমাদের। বহু দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে যারা বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আবার বিরোধিতাও করেছে।

    প্রশ্ন: বহুমুখী সংস্কারের ক্ষেত্রে আপনার নীতি ঠিক কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: কোনও প্রতিষ্ঠানে কখনও সংস্কার হতে পারে না, যদি তা পৃথিবীর কোনও নিয়মকে লঙ্ঘন করে। আমরা প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথা বলি। এর বাইরেও বহুমাত্রিক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, সামাজিকভাবে অগ্রগতির জন্য সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হওয়ার জন্য এবং সভ্যতার অগ্রগতির জন্য যে কোনও ক্ষেত্রে সংস্কার খুবই প্রয়োজন। এটা তখনই সম্ভব যখন গণতান্ত্রিকভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিটি দেশের সঙ্গে প্রতিটি দেশের একটি সম্পর্ক তৈরি হবে। সারা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে যোগাযোগের সেতু তৈরি হলেই এটা সম্ভব। এক দেশের মানুষের সঙ্গে অপর দেশের মানুষের যোগাযোগ বাড়বে বাণিজ্য এবং পর্যটনের মাধ্যমে, বিজ্ঞান এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে, সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে।

    প্রশ্ন: সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের আজ সুসম্পর্ক রয়েছে।  আপনার (PM Narendra Modi) কি মনে হয় যে জি২০ তে ভারতবর্ষ বর্তমানে সকল দেশের বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বিগত কয়েক দশকের একটি অস্থিরতার পরে ২০১৪ সালে ভারতের জনগণ একটি স্থায়ী সরকারকে নির্বাচিত করেছেন। যে সরকারের অ্যাজেন্ডা শুধুই সারা ভারতের অগ্রগতি এবং বিকাশ। এই সংস্কারগুলি সম্ভব হয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এবং সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যখনই কোনও দেশ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে তখনই তারা বুঝেছে যে ভারত একটি বিশ্বস্ত বন্ধু। সেই সমস্ত দেশগুলির নিজেদেরও নানা সমস্যার মোকাবিলা এবং সংস্কারের জন্য ভারতকে দরকার পড়ছে। এইভাবেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

    প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে উন্নত দেশগুলি তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি, উপরন্তু দেখা যাচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে তারা অর্থ ব্যয় করেই চলেছে। এবিষয়ে জি২০ সম্মেলনে বিশ্বের ধনী দেশগুলি সম্পর্কে আপনার (PM Narendra Modi) বার্তা ঠিক কী?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমার মনে হয় আমাদের সকলকে বুঝতে হবে যে সারা পৃথিবীতে উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নত দেশ রয়েছে। শুধুমাত্র জলবায়ুর পরিবর্তন কোনও অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটা সারা পৃথিবীব্যাপী সমস্যা। আমাদের এটা বুঝতে হবে যে এই পৃথিবীতে গরিব দেশগুলির সাহায্য দরকার। বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্য়াকে যা বিপদে ফেলবে তা অবশ্যই সারা বিশ্বের সমস্যা-এটা আমাদের বুঝতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নীতি এবং কৌশলেও পরিবর্তন করতে হবে। পারস্পরিক দোষারোপ, সমালোচনা এগুলি আমাদের যেন লক্ষ্য না হয়। পরিবর্তে আমাদের সম্পূর্ণ ফোকাস করতে হবে কৃষি সমেত শক্তিক্ষেত্র এবং জীবনযাত্রার মানের ওপর।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) অপ্রচলিত শক্তির ক্ষেত্রে সর্বদাই সওয়াল করেন। অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের বিষয়ে জি-২০ এর সদস্য দেশগুলির কী করা উচিত? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আমি আপনাদেরকে বলে দিতে চাই, ২০২৩ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ আমাদের শক্তি আসবে নন ফসিলস্ জ্বালানির উৎস থেকে। সরকার এখন নজর দিচ্ছে ইলেকট্রিক যানবাহন শিল্পের উপর এবং এতে এখন সফলতাও দেখা গিয়েছে। মানুষ ভাল রকমের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কারণ এটি একটি বিকল্প শক্তির উৎস। গত ৯ বছরে মোদি সরকারের নানা প্রকল্পের ফলে নিরাপদ স্যানিটেশন, ব্যবস্থা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স বর্তমানে একটি মন্ত্র নিয়েছে তা হল, ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান সান ওয়ান গ্রিড’। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। ভারতবর্ষ এমন একটি দেশ যা দেশের মানুষের জীবন শৈলী এবং পরিবেশকে পাশাপাশি সমান দৃষ্টিতে দেখছে। বিশ্বব্যাপী আমাদের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপ করা উচিত যাতে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়। তাই যা প্রকৃতি, পরিবেশকে ধ্বংস করবে এগুলো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। আমি মনে করি স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন একজন মানুষ সদা তাঁর স্বাস্থ্যের প্রতি যেমন দৃষ্টি রাখেন, তেমনি আমাদেরও নিজেদের গ্রহের প্রতি সদা দৃষ্টি রাখা দরকার। ভারতের নীতি হল প্রকৃতি বান্ধব। যে কোনও অঞ্চলের অধিবাসীদের দেখলেই তা বোঝা যায়।

    প্রশ্ন: বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের সুবিধার্থে জি২০ এর ছাতার তলায় ভারতের ভূমিকা ঠিক কী? 

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) উত্তর:  ভূ-রাজনৈতিক এবং অন্যান্য উপাদান বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। এরকম অবস্থায় প্রতিটি দেশের প্রয়োজন একটি স্থায়ী নীতি যা বাণিজ্য, শিল্প এবং নতুন নতুন আবিষ্কারকে উৎসাহিত করবে। জি২০ সম্মেলনের সভাপতিদের জন্য ভারত একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জি২০ এর সভাপতিত্বের দ্বারা ভারত খুব উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করছে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারের ক্ষেত্রেও ভারতের দৃষ্টি রয়েছে।

    প্রশ্ন: বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির উন্নয়নের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্যনীতি থাকা প্রয়োজন কি? 

    প্রধানমন্ত্রীর (Pm Modi) উত্তর: ভারত বর্তমান জি২০-তে সভাপতিত্ব করছে। এর পাশাপাশি বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত সদা আগ্রহী। যে সমস্ত দেশ জি২০ এর সদস্য নয়, সেই দেশগুলোর উন্নয়নের দিকেও ভারতের দৃষ্টি রয়েছে। যেমন আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ। সম্ভবত এটা জি২০ ইতিহাসে প্রথম যখন ইন্দোনেশিয়া, ভারত এবং ব্রাজিল এই তিন দেশ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির সম্পর্কে আওয়াজ তুলেছে।

    প্রশ্ন: কম এবং মধ্য আয়ের দেশগুলিতে ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই সমস্ত দেশগুলির সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং ঋণ কমানোর জন্য জি-২০ কী করতে পারে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ সম্মেলন হচ্ছে যেখানে কম এবং মধ্য আয়ের দেশগুলির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আলোচনা হবে। আমরা এই সমস্ত দেশগুলির স্বার্থের পক্ষে আওয়াজ তুলেছি। আমরা সমন্বয়ে আস্থা রাখি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই এই ঋণের পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে আমাদের (PM Narendra Modi) মনে হয়। জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা এবং বিভিন্ন দেশের জাতীয় ব্যাঙ্কের গভর্নররা এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বর্তমানের এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ঋণের এই সংকটের খবর এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌঁছে যেতে খুব বেশি সময় নেয় না। যার ফলে আরেক দেশ সহজেই বুঝে যায় যে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি না করার জন্য কী কী করতে হবে। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কুফল আনতে পারে এই সমস্ত নীতিগুলি থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই জাতীয় ভুল নীতি শুধু অর্থনীতি নয় সমাজকেও ধ্বংস করে দেয়।

    প্রশ্ন: আমাদের দেশ ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’-এর ক্ষেত্রে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। ইউপিআই, আধার বা ওএনডিসি-এই সমস্ত কিছুই রয়েছে যা প্রভাব সৃষ্টি করেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। বিশ্বের মাপকাঠিতে আপনি (PM Narendra Modi) কীভাবে দেখেন একে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: বছর বছর ধরে আমাদের দেশ প্রতিভার জন্য পরিচিত। বর্তমানে ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ গত ৯ বছর ধরে আমাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে। ভারতবর্ষের এই প্রযুক্তি বিপ্লব শুধুমাত্র যে অর্থনীতিক প্রভাবিত করেছে তা নয়, সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে। মানবকেন্দ্রিক এই উন্নয়নের মডেলে আমরা ভরপুর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছি। জনধন প্রকল্প, আধার এবং মোবাইল এই তিন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষের কাছে দেশের উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ভারতবর্ষে বিদেশী প্রতিনিধিরা এসে আশ্চর্য হয়েছেন যে কীভাবে রাস্তার ধারের ব্যবসায়ীরাও কিউআর কোড শেয়ার করে ক্রেতাদের কাছে টাকা নিচ্ছেন। করোনার সময়কালে একটি টেক প্ল্যাটফর্ম Cowin আমাদেরকে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন দিতে সাহায্য করেছে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। একটি উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’-এর নীতি সারা দেশের বিভিন্ন অর্থমন্ত্রীরা গ্রহণ করেছেন।

    প্রশ্ন: সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য মুদ্রাস্ফীতি একটি বড় সমস্যা, এ বিষয়ে জি২০ এর ধনী দেশগুলির কী দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে মুদ্রাস্ফীতির বোঝা না বইতে হয়? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: মুদ্রাস্ফীতি আজকে একটা সারা পৃথিবীব্যাপী ইস্যু। করোনা মহামারির পর থেকে সারা পৃথিবীতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। জি২০ সম্মেলনে একটি মিটিং হয় বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রী এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নরদের মধ্যে। সেখানে তাঁরা বলেন, ‘‘একটা শক্তিশালী নীতির প্রয়োজন। যেখানে প্রত্যেকটি দেশ মিলিতভাবে এই মুদ্রাস্ফীতিকে রোধ করতে পারবে।’’ আমাদের ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে আমরা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে ২০২২ সালে সারা পৃথিবীব্যাপী যে মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে, ভারতে তার থেকে ২.২ শতাংশ কম রয়েছে। এই কারণে আপনারা বুঝতে পারবেন এই বছরের রাখি বন্ধনের সময় আমরা গ্যাসের দাম কমাতে পেরেছি উপভোক্তাদের জন্য।

    প্রশ্ন: ভারতবর্ষ বর্তমানে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ২০২৭ সালের মধ্যে আমরা তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছি। সারা পৃথিবীব্যাপী এর প্রভাব কী হতে পারে?

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: আপনারা ঠিকই বলছেন ভারতবর্ষ পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। কীভাবে এটা হল, আমার (PM Narendra Modi) মনে হয় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এই শিরোপা দখল করতে অনেক কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে। সব থেকে বড় কথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার তার জনগণকে বিশ্বাস করে। জনগণের যে সামর্থ্য সেটাকেও বিশ্বাস করে। এটা মনে রাখতে হবে যে জনগণ আমাদেরকে এতটাই বিশ্বাস করে যে তারা আমাদেরকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে শুধুমাত্র একবারের জন্য নয়, দু’দুবারের জন্য। এর ফলে আমাদের দেশের রাজনৈতিক স্থিরতা এসেছে। সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বঞ্চিত শ্রেণির ক্ষমতায়ন হয়েছে। সামাজিক বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। ‘ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট’ ভারতবর্ষে এসেছে রেকর্ড পরিমাণে। ভারতবর্ষের রফতানি হয়েছে রেকর্ড পরিমাণে। বিগত বছরগুলির সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টে আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। এর ফলে সারা দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে ১৩.৫ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। যেটা আমাদের কাছে একটা বড় সফলতা। ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই শ্রীবৃদ্ধি শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয় সারা পৃথিবীর জন্যই ভাল।

    প্রশ্ন: আপনি (PM Narendra Modi) ৭২ বছরে পা দিলেন, কিন্তু আপনার এনার্জি লেভেল দেখে যে কোনও যুবকও ঈর্ষা করবে। আপনি কীভাবে এতটা তরতাজা এবং সক্রিয় থাকেন? 

    প্রধানমন্ত্রীর উত্তর: সারা পৃথিবীব্যাপী অনেক মানুষই থাকেন, যাঁরা তাঁদের শক্তিকে সময় এবং সংস্থান দিয়ে উদ্দেশ্যের পথে নিয়ে যান। এটা শুধুমাত্র আমি একা নই বা আমি ব্যতিক্রম এমনটাও নয়। আমি যখন রাজনীতিতে আসিনি তখন সমাজের জন্য কাজ করতাম এবং একদম ভূমিস্তরে এই কাজ ছিল আমার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমি ঘুরতে পেরেছি। দ্বিতীয় দিক হল, পার্থক্য আছে একটি মিশন এবং অ্যাম্বিশনের মধ্যে। যখন একজন মানুষ অ্যাম্বিশনের জন্য কাজ করেন, তখন তিনি নিজের পদ, ক্ষমতা এবং সুবিধাকে লক্ষ্য রাখেন। কিন্তু যখন একজন মানুষ মিশনের জন্য কাজ করেন, তখন তাঁর ব্যক্তিগতভাবে সেখানে পাওয়ার কিছু থাকে না। তাই উত্থান এবং পতন সেখানে খুব বেশি ভূমিকা রাখে না। তিনি মিশনের মধ্যেই নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। তাঁর যা কিছু সংস্থান আছে সেই সমস্ত কিছুকে তিনি সেখানে রাখেন। আমার মিশন হল সমগ্র দেশের উন্নয়ন। আমি আগেও বলেছি যে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে আমি সারা ভারতের প্রতিটি জেলাতেই সফর করেছি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এবং সেখানে আমি দেখেছি যে সাধারণ মানুষ কীভাবে থাকে এবং বাঁচে।

    ‘মানি কন্ট্রোল’-কে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকার থেকে অনুবাদিত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    S Jaishankar on Bharat: ‘সংবিধান বলছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত’! নাম-বিতর্কে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া না ভারতবর্ষ, এই বিতর্কে বিরোধীদের মোক্ষম জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সংবিধান যেখানে বলছে যা ইন্ডিয়া তাই ভারত, তাহলে বিরোধীদের এত জল ঘোলা করার কী দরকার। বিতর্ক না বাড়িয়ে আমি তাঁদের বলতে চাই সংবিধানটা একবার ভালো করে পড়ুন, তাহলেই ভুল ভেঙে যাবে। স্পষ্ট করে লেখা আছে যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি২০ সমাবেশে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্রও যাচ্ছে নিমন্ত্রিতদের কাছে। যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। কারণ, ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি২০ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি লেখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’দেখেই জল্পনা তাহলে কি ইন্ডিয়া নাম বদলে শুধুই ভারত হয়ে গেল? এই বিতর্কে তোলপাড় দেশের রাজনীতি ৷ এ বিষয়ে নিজের মত স্পষ্ট করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানালেন  ভারত নাম উচ্চারণ করলে যে ছবি ও ধারণা মনের মধ্যে ভেসে ওঠে সেই একই প্রজ্ঞা নিহিত রয়েছে দেশের সংবিধানে।

    প্রসঙ্গত, এদেশের সংবিধানে ইন্ডিয়া ও ভারত দু’টি শব্দেরই উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানের ১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, “India that is Bharat”। ‘সংবিধান তৈরির সময়ও ১ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে মতবিরোধ ছিল। দেশের নাম ভারত অথবা হিন্দুস্তান রাখার পক্ষে একটা বড় অংশের সমর্থন ছিল। তখন তা হয়নি। তবে এখন সময় বদলেছে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু শহরের নাম বদল করা হয়েছে। তাই এই সময়ই আসল নামে দেশের পরিচিতি গড়ে তোলা উচিত, বলে মনে করেন দেশের অনেকেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট পরীক্ষায় পাশের নম্বর নিয়ে আপাতত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট মামলায় (TET case) ৮২ না ৮৩, কত নম্বরকে টেট পাশের জন্য গণ্য করা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। ওই মামলায় ৮২ নম্বর প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সেই রায়-এ হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। বুধবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের দাবি ছিল, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে গণ্য করতে হবে ও মূল পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। সেই আর্জিকে মান্যতা দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন টেট প্রার্থী। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতের অমিল হওয়ায় মামলা যায় তৃতীয় বেঞ্চে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। টেট পরীক্ষা হয় ১৫০ নম্বরে। তার মধ্যে ৮২ পেলে শতাংশের বিচারে তা হয় ৫৪.৬৭ শতাংশ। ৫৫ শতাংশ পেলে তবেই উত্তীর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয় সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, ৫৪.৬৭ শতাংশকে ৫৫ বলেই ধরা হবে। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের দাবি ছিল, ৮২ পেলেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। 

    আরও পড়ুন: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে রায় দ্বিধা বিভক্ত হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের মত ছিল, ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেলেই টেট উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করা সম্ভব। আর বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের মত ছিল, ৮২.৫ পেলে তবেই প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে উল্লেখ করা হবে। এরপর মামলা যায় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। এদিন তিনি যে রায় দিয়েছিলেন এরপর প্রার্থীদের টেটে বসার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share