Tag: Madhyom

Madhyom

  • TikTok Ban:  ভারতের পথেই আমেরিকা, চিনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ হতে চলেছে মার্কিন মুলুকে

    TikTok Ban: ভারতের পথেই আমেরিকা, চিনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ হতে চলেছে মার্কিন মুলুকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের দেখানো পথেই এবার হাঁটতে চলেছে আমেরিকা। শর্ট ভিডিও তৈরির জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ টিকটক আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল ভারতে। মার্কিন মুলুকেও এবার নিষিদ্ধ হবে চিনা অ্যাপ টিকটক। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বিল পাশ হয়েছে আমেরিকার সংসদে। ভারতে টিকটক (TikTok) অ্যাপ নিষিদ্ধ (TikTok Banned) হয়েছে প্রায় চার বছর হল।  ২০২০ সালে ভারত সরকার এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। 

    বিপুল ভোটে বিল পাশ

    বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও টিকটককে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ঐক্যমত পোষণ করেছে। টিকটককে নিষিদ্ধ করতে যৌথভাবে এই বিল পেশ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ডেমোক্র্যাট সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি এবং রিপাবলিকান সদস্য মাইক গ্যালাহে। বুধবার ইউএস হাউস অভ রিপ্রেজেনটেটিভে টিকটককে (TikTok) নিষিদ্ধ করার বিল পাশ হয়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেই বিল পাশ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টিকটককে নিষিদ্ধ ঘোষণার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৫২ জন। এর বিরোধিতায় ভোট দিয়েছেন ৬৫ জন। যদিও হাউস অব রিপ্রেজেনটিভে এই বিল পাশ হয়ে গেলেও সেনেটে পাশ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। সেনেটে পাশ হলেই তবে আমেরিকায় নিষিদ্ধ হবে টিকটক।

    ভারতে আগেই নিষিদ্ধ

    ভারতে মূলত জেনারেশন ওয়াই এবং জেড- এর কাছেই মারাত্মক ভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল এই টিকটক অ্যাপ। তবে এই অ্যাপ ব্যান হওয়ার পর এর বেশ কিছু ফিচার ইনস্টাগ্রামে যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল রিলস। টিকটক (TikTok) ছাড়াও একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে। সেই তালিকায় রয়েছে উই চ্যাট, শেয়ারইট, হ্যালো, লাইক, ইউসি নিউজ, ইউসি ব্রাউজার, বিগো লাইভ ও আরও অনেক অ্যাপ। ইউজারদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বজায় রাখার খাতিরেই এইসব অ্যাপ ব্যান করা হয়েছিল। এ যাবৎ ৩০০-র বেশি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতে। 

    আরও পড়ুন: আহমেদনগর এখন থেকে অহল্যানগর, নয়া নামে সিলমোহর মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার

    কেন এই পথে আমেরিকা

    ভারতে নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বের অনেক দেশেই রমরমিয়ে এখনও ব্যবসা করছে টিকটক (TikTok) অ্যাপ। চিন, আমেরিকা, রাশিয়া- সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এক লক্ষেরও বেশি কর্মী রয়েছেন যাঁরা টিকটকে কর্মরত। প্রায় ১৭ কোটি আমেরিকান বর্তমানে টিকটক ব্যবহার করেন। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন হচ্ছে এই অভিযোগেই টিকটক নিষিদ্ধ ঘোষণার উদ্যোগ শুরু হয়। এই অ্যাপ ইতিমধ্যেই গুগল এবং অ্যাপল স্টোর থেকে বাদ গিয়েছে।  চাইনিজ মালিকানা থেকে এই অ্যাপের মালিকানা অন্য হাতে গেলে তবেই তা অনুমোদিত হতে পারে মার্কিন মুলুকে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ahmednagar: আহমেদনগর এখন থেকে অহল্যানগর, নয়া নামে সিলমোহর মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার

    Ahmednagar: আহমেদনগর এখন থেকে অহল্যানগর, নয়া নামে সিলমোহর মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর (Ahmednagar) জেলার নাম পরিবর্তন করা হল। ১৮ শতাব্দীতে ইন্দোরের রানি ছিলেন অহল্যাদেবী হোলকার (Ahilya Devi Holkar)। তাঁর নামেই এই জেলার নামান্তর করে রাখা হচ্ছে অহল্যানগর (Ahilyanagar)। বুধবার মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) এই কথা জানান। এবার থেকে আহমেদনগর পরিচিত হবে অহল্যানগর নামে। অহল্যাদেবী হোলকারের ২৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানেই এই নয়া নামকরণের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল।

    কেন এই নাম পরিবর্তন (Ahmednagar)

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানান, জেলার বাসিন্দাদের দাবি মেনে আহমেদনগরের (Ahmednagar) নাম পরিবর্তন করে অহল্যাদেবী হোলকর নগর করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ও অহল্যাদেবী হোলকারের শাসনের আদর্শকে মাথায় রেখেই মহারাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, “যদি অহল্যাদেবী হোলকার না থাকতেন, তবে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির থাকত না। তাই তাঁকে স্মরণ করে এই নয়া নামকরণ করা হল।” মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সামাজিক মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে জানানো হয়, আহমেদনগরের (Ahmednagar) নাম ‘পুণ্যশ্লোক অহল্যাদেবী নগর’ করার বিষয়ে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে ৷  

    অহল্যাদেবী হোলকারের পরিচয়

    মারাঠা রানি ছিলেন অহল্যাদেবী। ইন্দোরের প্রায় সবটা জুড়ে তাঁর রাজত্ব ছিল। তাঁর স্বামী খান্দেররাও হোলকারের মৃত্যুর পর তিনি রাজ্য শাসন করেন। তিনি রাজধানী পরিবর্তন করেছিলেন। তিনি চৌন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইসলাম শাসকদের হাতে ধ্বংস হওয়া ভারতের শতাধিক হিন্দু মন্দিরের সংস্কার করেছিলেন তিনি। তাঁর সাহায্যেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নতুন করে নির্মাণ করা হয়। 

    শিবাজির বিরুদ্ধে অভিযান 

    পুণে থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আহমেদনগরের (Ahmednagar) নামকরণ করা হয়েছিল ১৫ শতাব্দীর শাসক আহমেদ নিজাম শাহের নাম থেকে। জানা যায়, জীবনের শেষলগ্নে মুঘল বাদশা আলমগীর ঔরঙ্গজেব দিল্লি ছেড়ে আহমেদনগরে এসে বসবাস শুরু করেন। ছত্রপতি শিবাজির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান চালিয়েছিলেন এখান থেকেই। ১৭০৭ দশকে আহমেদনগরে প্রয়াত হন ঔরঙ্গজেব। এই জেলাতেই তাঁর সমাধি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    স্টেশনের নাম বদল

    এছাড়াও এদিন আরও কয়েকটি স্টেশনের নাম পরিবার্তন করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, কারি রোড স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে হবে লালবাগ, স্যান্ডহার্স্ট রোড স্টেশনের নামকরণ করা হবে ডংরি, মেরিন লাইন স্টেশনের নাম মুম্বাদেবী, চার্নি রোড স্টেশনের নাম হবে গিরগাঁও, কটন গ্রিন স্টেশনের নাম হবে কালাচৌকি, ডকইয়ার্ড রোড স্টেশনের নাম মাজগাও এবং কিংস সার্কেল হবে তীর্থঙ্কর পরশনাথ। স্যান্ডহার্স্ট রোড স্টেশনটিকে দু’টি স্টেশন হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে ৷ কারণ, এটি সেন্ট্রাল এবং হারবার উভয় লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    One Nation One Election: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ ভারতের গণতন্ত্রের জন্য ঐতিহাসিক দিন।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন রাষ্ট্রপতির হাতে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র (One Nation One Election) রিপোর্ট তুলে দেন মোদি সরকারের গড়া কমিটির প্রধান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়েই এমনতর মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ‘ঐতিহাসিক দিন’ (One Nation One Election)

    এক্স হ্যান্ডেলে মোদির সেনাপতি (Amit Shah) লিখেছেন, “এটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়েছিল মোদি সরকার। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন রামনাথ কোবিন্দজি। তিনিই (One Nation One Election) মাননীয় রাষ্ট্রপতির হাতে রিপোর্টটি তুলে দেন।” এদিন কোবিন্দ যখন রাষ্ট্রপতির হাতে রিপোর্টটি তুলে দেন, তখন সেখানে শাহের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে আসা প্রাক্তন সাংসদ গুলাম নবি আজাদও।

    কমিটির সদস্য

    রাষ্ট্রপতির হাতে যে রিপোর্টটি (One Nation One Election) তুলে দেওয়া হয়েছে, তার পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৮ হাজার ৬২৬। ১৯১ দিন ধরে কমিটির সদস্যরা স্টেকহোল্ডার, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন। করেছেন রিসার্চ ওয়ার্কও। উল্লেখ্য, উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি গঠিত হয়েছিল গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর। কমিটিতে শাহ (Amit Shah) ও গুলাম নবি ছাড়াও ছিলেন ১৫তম ফিনান্স কমিশনের ভূতপূর্ব চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার ভূতপূর্ব সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্যপ, প্রবীণ আইনজীবী হর্ষ সালভে এবং প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি। বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন নিতিন চন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    কমিটির সদস্যরা দেশের ৪৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে ৩২টি রাজনৈতিক দল লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভার ভোট করানোর পক্ষপাতী। বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নিয়ে দেশবাসীর প্রতিক্রিয়া জানতে দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। অংশ নিয়েছিলেন ২১ হাজার ৫৫৮ জন। এঁদের ৮০ শতাংশই সব নির্বাচন এক সঙ্গে করানোর পক্ষপাতী। এই রিপোর্টে কমিটি বেশ কয়েকটি সুপারিশও করেছে। তার মধ্যে রয়েছে সব নির্বাচনের জন্য একটাই ইলেক্টোরাল রোল ও একটাই এপিকের ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দুই কমিশনার, চেনেন জ্ঞানেশ ও সুখবীরকে?

    Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দুই কমিশনার, চেনেন জ্ঞানেশ ও সুখবীরকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থাকার কথা তিনজন। ছিলেন মাত্র একজন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (Lok Sabha Elections 2024) দুই শূন্য পদে নিয়োগ করা হল দুই কমিশনারকে। এঁরা হলে সুখবীর সিং সান্ধু ও জ্ঞানেশ কুমার। এঁদের নিয়োগের আগে এদিন সকালে বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। কমিটিতে রয়েছেন লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা তথা সাংসদ অধীর চৌধুরীও। এই কমিটির আর এক সদস্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সুখবীর ও জ্ঞানেশের নিয়োগের খবর প্রকাশ্যে আনেন অধীরই।

    চিনুন জ্ঞানেশকে (Lok Sabha Elections 2024)

    গত অগাস্টে নির্বাচন কমিশনার বিল, ২০২৩ পাশ করিয়ে কেন্দ্র জানায়, তিন সদস্যের প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই কমিটি যে নাম বা নামগুলি প্রস্তাব করবে, তাঁকে বা তাঁদের নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি। জ্ঞানেশ কুমার (Lok Sabha Elections 2024) ১৯৮৮ ব্যাচের কেরল ক্যাডারের আইএএস। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। তাঁর আমলেই ভূস্বর্গে রদ হয় ৩৭০ ধারা। কয়েকদিন আগে সমবায় মন্ত্রকের সচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন জ্ঞানেশ। ওই মন্ত্রক গঠনের পর থেকেই ওই পদে ছিলেন তিনি। মন্ত্রকটি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে। 

    সান্ধু কে জানেন?

    প্রাক্তন আইএএস সান্ধু ১৯৮৮ ব্যাচের উত্তরাখণ্ড ক্যাডারের অফিসার। তাঁর আদত বাড়ি পাঞ্জাব। ২০২১ সালে পুষ্কর সিং ধামি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন সান্ধুকে সে রাজ্যের মুখ্যসচিব করা হয়। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারপার্সন হিসেবেও কাজ করেছেন সান্ধু। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগে সান্ধু কাজ করেছেন অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। অমৃতসরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন তিনি। অমৃতসরেরই গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও লাভ করেছিলেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আইনের স্নাতকের ডিগ্রিও।

    আরও পড়ুুন: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    তিনজন নির্বাচন কমিশনারকে একত্রে বলা হয় কমিশনের ফুল বেঞ্চ। একজন কমিশনার অবসর নেওয়ায় কাজ চালাচ্ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। ৯ মার্চ হঠাৎই ইস্তফা দেন অরুণ। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তাই কমিশনারের দুই শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ২১২ জনের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় জ্ঞানেশ ও সুখবীরকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohammed Shami: কেমন আছেন, কবে ফিরবেন মাঠে? শামির বিকল্প কি খুঁজছে বিসিসিআই?

    Mohammed Shami: কেমন আছেন, কবে ফিরবেন মাঠে? শামির বিকল্প কি খুঁজছে বিসিসিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোড়ালিতে সার্জিকাল টেপ, বিছানার পাশে রাখা রয়েছে ক্রাচ! সোশ্যাল সাইটে নিজের ছবি পোস্ট করলেন ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। বিষণ্ণ মুখে শামি জানালেন চোটের জন্য অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তিনি সুস্থ আছেন। তবে চোট সারাতে সময় লাগবে। 

    কেমন আছেন শামি

    আগেই জানা গিয়েছিল যে, মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) পক্ষে আসন্ন আইপিএল (IPL 2024) খেলা সম্ভব হবে না। বিসিসিআই সেই জল্পনায় সিলমোহর দিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘চলতি বছর, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামির অস্ত্রোপচার হয়। ডান পায়ের গোড়ালিতে সমস্য়া হয়েছিল ওঁর। বিসিসিআইয়ের মেডিক্য়াল টিমের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন শামি। আসন্ন আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি।’

    এবার শামি সোশ্যাল সাইটে তাঁর কয়েকটি ছবি পোস্ট করে অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময়ের আপডেট দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে শামির গোড়ালি মুড়েছে সার্জিকাল টেপ। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সেলাইয়ের দাগ। তিনি বসে আছেন বিছানায়। যার এক পাশে রয়েছে ক্রাচ! শামির (Mohammed Shami) মুখ বিষণ্ণ। তিনি ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ফলোয়ার্সের উদ্দেশে লেখেন, ‘সবাইকে হ্য়ালো, আমার আরোগ্য সংক্রান্ত আপডেট দিতে চাই আপনাদের। ১৫ দিন হয়ে গেল আমার অস্ত্রোপচারের, সদ্য়ই আমার সেলাই কাটা হয়েছে। আমি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, তার জন্য় আমি কৃতজ্ঞ। আমি এগিয়ে যাচ্ছি। আমার নিরাময় যাত্রার পরের পর্যায়ের অপেক্ষায় আছি।’ শামির এই পোস্টটি শেয়ার করে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে ভারতীয় বোর্ড।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    শামির বিকল্প

    অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা তিনটি সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত। চলতি বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার জন্য এই সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা ভেবেই মহম্মদ শামির বিকল্প পেসার খোঁজার রাস্তা শুরু করে দিয়েছে বোর্ড। জোরে বোলিংয়ের জন্য উমরান মালিকের সঙ্গে চুক্তি করা তারই একটা ধাপ বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জোরে বোলিং কাজে লাগবে। অস্ত্রোপচারের পর শামি কতটা সুস্থ থাকবেন তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। তাই উমরানকে বিকল্প হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অঞ্চল সম্মেলন করেন। বস্তুতপক্ষে, এদিনের অঞ্চল সম্মেলন পাড়া বৈঠকের রূপ নেয়। এদিন বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকায় সুকান্ত মজুমদার দেওয়াল লিখন করেন। এরপর কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী প্রচারও সেরে নেন তিনি।

     অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাতে জায়গা দেব না (Sukanta Majumdar)

    এদিন একইভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে অঞ্চল সম্মেলনের পাশাপাশি পাড়া বৈঠক ও নির্বাচনী প্রচার করেন তিনি। এদিন এই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তিনি কথা বলেন। সিএএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। CAA মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও নাগরিকত্বতা নষ্ট হবে না। সব থেকে কথা হচ্ছে CAA হচ্ছে অপশনাল। আপনি চাইলেই আবেদন করতে পারেন, না চাইলে আপনি আবেদন করবেন না। কিন্তু, আমাদের বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। CAA লাগু হয়েছে, যাদের ইচ্ছে হবে তারা CAA তে আবেদন করবে। বাংলায় অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলাতে শরণার্থীরা স্বাগত। কিন্তু, অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাতে জায়গা দেব না। এই দেশ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল, এটাই সত্যি। আর এটাই আমাদেরকে মানতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    ফের শাহজাহানকে নিয়ে তৎপর ইডি

    সন্দেশখালিতে ইডি হানা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “শেখ শাহজাহান তো বিশাল বড় একটা চক্র চালাত। দেখতে পাচ্ছেন না শাহাজানকে বাঁচানোর জন্য কত চেষ্টা। এখন ইডি ধরেছে। এখন শেখ শাহাজানকে তাজমহল দেখাবে ইডি। দেখবেন সব বেরিয়ে আসবে। শাহজাহানের টাকা বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। কারণ, চিটফান্ডের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাওয়ার অভাব আছে, বাংলার মানুষকে বোকা পেয়েছেন নাকি। ৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাঁদের খাওয়ার অভাব? খাওয়ার অভাব এসে দেখুক, বাংলার গ্রামে গঞ্জের মানুষদের। সুখে আছেন তো বুজতে পারছেন না, গরিব সাজার নাটক করছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: “বাতিল হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ”, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি হাইকোর্টের

    SSC Scam: “বাতিল হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ”, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ প্রমাণিত হলে,  দু’টি বিকল্পের কথা জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগও।

    দুটি পথের কথা বলল হাইকোর্ট 

    বুধবার, এসএসসি-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ‘পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত? পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের নিয়োগ কেন? ৫-১০ হাজার ব্যক্তির ভবিষ্যতের থেকে দেশের ভবিষ্যৎ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবটা অবৈধ হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে।’ দু’টি বিকল্পের কথা উল্লেখ করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। প্রথমত, দুর্নীতি (Recruitment Scam Case) প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ। অথবা বাতিল করা হতে পারে গোটা নিয়োগের অংশবিশেষ।

    আরও পড়ুন: মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেবে না, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন আদালতে বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর পরেই বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘যদি কমিশনকে বিশ্বাস না করা যায়, তা হলে তো গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া উচিত। আপনারা বিতর্কিত চাকরিপ্রাপক এবং তাঁদের পরিবারের ১০ হাজার লোকের কথা বলছেন। কিন্তু যে ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের কথাও তো ভাবতে হবে।’’

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত বিজেপির

    হাইকোর্টের মতামতকে স্বাগত জানিয়েই বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই প্যানেলের মধ্যে সামান্য কিছু হলেও কিছু পরীক্ষার্থী ছিলেন, যাঁরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। কিন্তু পুরো প্যানেল যদি বাতিল হয়ে যায়, যদিও এছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বোঝা যাচ্ছে, তাহলে তাঁরাও তো প্রতারিত হবেন। সুতরাং কমিশনকে এগিয়ে আসতে হবে, আদালতকেও বিষয়টা দেখতে হবে। যাতে নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে পুরো প্যানেলটাকে চেক করানো যায়।’

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
  • One Nation One Election: চালু হচ্ছে ‘এক দেশ এক ভোট’! রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট কোবিন্দ কমিটির

    One Nation One Election: চালু হচ্ছে ‘এক দেশ এক ভোট’! রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট কোবিন্দ কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে চালু হয়ে যাচ্ছে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)! বৃহস্পতিবারই এ সংক্রান্ত রিপোর্টটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে তুলে দেন মোদি সরকারের গড়া কমিটির প্রধান তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির হাতে ওই রিপোর্ট তুলে দেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া প্রাক্তন সাংসদ গুলাম নবি আজাদ।

    এক দেশ, এক নির্বাচন’

    লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও সেরে ফেলতে চায় মোদি সরকার। তাদের যুক্তি, এতে নির্বাচনী ব্যয় কমবে। একটি ভোটার তালিকায়ই দুটি নির্বাচন হওয়ায় কাজের চাপ কমবে সরকারি কর্মীদের। বিভিন্ন সময় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ায় লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণ বিধি। তার জেরে উন্নয়ন যায় থমকে। লোকসভার সঙ্গে বিধানসভাগুলিরও নির্বাচন (One Nation One Election) হলে, উন্নয়নের চাকা গড়াবে তরতরিয়ে। মোদি সরকারের এই ভাবনাকে নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছে নীতি আয়োগ, আইন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনও। নির্বাচনী খরচ বাঁচাতে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র তত্ত্বের জয়গান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কী বলছে কেন্দ্র?

    প্রধানমন্ত্রীর ভাবনাকে বাস্তবে রূপদান করতে গত বছর ১ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে মোদি সরকার। এদিন ১৮ হাজার পাতার সেই রিপোর্টটিই রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়েছে সুপারিশগুলি। ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র স্বপক্ষে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল রাজ্যসভায় বলেছিলেন, “এর ফলে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের সাশ্রয় হবে, তা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় হতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    জানা গিয়েছে, এদিন যে রিপোর্টটি পেশ করা হয়েছে, তাতে কমিটি সর্বসম্মতভাবে গোটা দেশে এক সঙ্গে সব নির্বাচন করানোর পক্ষে সায় দিয়েছে। প্রথম ধাপে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যের বিধানসভাগুলির নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। পরবর্তী একশো দিনের মধ্যে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত স্তরের স্থানীয় নির্বাচনও সেরে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এক সঙ্গে সব নির্বাচন করানো গেলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়ও যেমন রদবদল ঘটবে, তেমনি পরিবর্তন ঘটবে শাসনকার্যেও। রাজ্য নির্বাচন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জাতীয় নির্বাচন কমিটিকে দেশের সব নাগরিকের জন্য একটি মাত্র ইলেক্টোরাল রোল ও ভোটার কার্ড তৈরি করতে পারে (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিএ-র দাবিতে মিছিলের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিএ-র দাবিতে মিছিলের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্ট ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ-র দাবিতে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে কমিটিকে ওই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।

    নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও (Calcutta High Court)

    বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এখানেও বেশ কিছু শর্ত মেনে চলার কথা বলা হয়েছে মিছিলকারীদের। বেঞ্চের নির্দেশ, “এক লাইনে মিছিল করতে হবে। মিছিল শেষে কেবল একজন মাত্র বক্তৃতা দিতে পারবেন। শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। মিছিল যেন কোথাও দাঁড়িয়ে না যায়।” প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্য, “মিষ্টি দই, আলুপোস্ত, লুচি যেমন বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, মিটিং-মিছিলও তাই। এখানে সবাই জন্মগত যোদ্ধা।” তিনি বলেন, “কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে সংগঠনকে। কর্মসূচি শেষ করতে হবে দু’ ঘণ্টার মধ্যে।”

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    মিছিলে শর্ত আদালতের 

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থাও নির্দেশ দিয়েছিলেন, হাওড়া রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। দুপুর ১টা থেকে কর্মসূচি শুরু করা যাবে। মিছিলে সর্বাধিক ১৫০০ জন থাকতে পারবেন। পুলিশ ওই মিছিলের ওপর প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করতে পারবে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

    মিছিল শুরু দুপুর ১টায়

    এদিনের শুনানিতে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে আপত্তি জানায় রাজ্য। সওয়ালে রাজ্যের এজি বলেন, “ওই জায়গায় কোনও কর্মসূচি হয় না। শাসক বা বিরোধী কাউকে কোনও দিন অনুমতি দেওয়া হয় না। গতবারের চেয়ে এবার কর্মসূচিতে লোকের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।” এজির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “একটি লাইন ধরে মিছিল যাবে। সেখানে সরকারি কর্মচারীরা অংশ নেবেন। সরকার তো তাঁদের সবার পরিচয় জানবে। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয় (Calcutta High Court)।” প্রসঙ্গত ডিএ-র দাবিতে বৃহস্পতিবার কোঅর্ডিনেশন কমিটির মিছিল শুরু হওয়ার কথা দুপুর ১টায়। শেষ হবে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে।

    ‘মহার্ঘ ভাতা বাড়লে তো পুলিশেরও বাড়বে’

    পুলিশের উদ্দেশেও তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘তারা (আন্দোলনকারী) সরকারি কর্মী, তারা সব নির্দেশ মেনে চলবেন। যদি না মানেন তাহলে তাদের সনাক্ত করতে পুলিশের কোন অসুবিধা হবে না। এর আগে যখন কর্মবিরতি হয়েছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে বেতন কাটা হবে। ফলে এই সরকারি কর্মীদের ওপর আপনাদের নিয়ন্ত্রণ আছে।’’ তখন আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়, ‘‘পুলিশ অসুবিধা সৃষ্টি না করলে অশান্তি কেন হবে?’’ এর উত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘না না, পুলিশ কেন বাধা দেবে। আপনারা যদি মহার্ঘ ভাতা পান, তাহলে পুলিশও পাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    Amit Shah: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাতজোড় করে বলছি, রাজনীতি করবেন না। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের সঙ্গে অবিচার করবেন না।” বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিএএ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটাই মনে করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ‘শরণার্থী’ ও ‘অনুপ্রবেশকারী’র মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না বলেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি।

    ভোটের রাজনীতি! (Amit Shah)

    সোমবার রাতে দেশজুড়ে লাগু হয়েছ সিএএ। যথারীতি তার পরেই ভোটে ফসল কুড়োতে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল। সিএএ নিয়ে রাজনীতি না করতে বুধবারই অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ঠিক পরের দিনই একই অনুরোধ করলেন তাঁর সেনাপতি।দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই নির্বাচনে ভোট কুড়োতে সিএএ নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যথারীতি খেলে দিয়েছেন চিরাচরিত হিন্দু-মুসলিম তাস। সিএএ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘সিএএ চালু করে ভোটের আগে বিজেপি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে’।

    কী বললেন শাহ?

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন অভিযোগেরও মুখের মতো জবাব দিয়েছেন শাহ। বলেন, “যদি আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এই ধরনের রাজনীতি করেন, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ চলতে দেন, তাহলে মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে না। মমতা জানেন না, কাকে শরণার্থী বলে, আর কাকেই বা বলে অনুপ্রবেশকারী।” বিরোধীদের একই বন্ধনীভুক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধী, মমতা কিংবা কেজরিওয়াল – সব বিরোধী দল মিথ্যার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”

    ‘‘সিএএ কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না’’

    তিনি (Amit Shah) বলেন, “আমাদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব সুরক্ষিত রাখা আমাদের সার্বভৌম অধিকার। আমরা তার সঙ্গে আপস করব না। সিএএ কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না।” শাহ বলেন, “বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করছেন। বিজেপির কাছে সিএএ রাজনীতির বিষয় নয়।” শাহ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে খুব শীঘ্রই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। সেদিন আর বেশি দূরে নেই। বিজেপি ক্ষমতায় এসে বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে।”

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন, এরাজ্যে সিএএ হতে দেবেন না। এদিন এই নিয়েও তৃণমূলনেত্রীকে একহাত নেন শাহ। মোদির ডেপুটি মনে করিয়ে দেন, কোনও রাজ্য সিএএ আটকাতে পারবে না। এটা তাদের ক্ষমতায় নেই। শাহ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কোনও ক্ষমতা নেই সিএএ-কে আটকানোর। নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয় সম্পূর্ণ কেন্দ্রর বিষয়, রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই।’’ একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, এখন ভোটের জন্য বিরোধিতা হচ্ছে, কিন্তু পরে সবাই সমর্থন করবেন।

    আরও পড়ুুন: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাশ হয় সিএএ। লাগু হয়েছে সোমবার। এই আইন অনুযায়ী, মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে কেউ (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কেউ) যদি ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে নয়া এই আইন বলে (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share