Tag: Madhyom

Madhyom

  • Assam Flood: ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, জলের তলায় একাধিক জেলা, অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত মৃত ১৫ 

    Assam Flood: ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, জলের তলায় একাধিক জেলা, অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত মৃত ১৫ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাসছে অসম। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে প্রতি বছরই বন্যা হয়ে থাকে। চলতি বছরে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে (Assam Flood)। প্রায় দুই লক্ষ মানুষ এই বন্যায় বিপর্যস্ত। এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যার কারণে। অসমে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ নদীই বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। তাদের জলস্তর অনেক বেড়েছে। জলস্তর বৃদ্ধির কারণে, গুয়াহাটি এবং জোড়হাটের নিমতি ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেরি পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

    ত্রাণশিবিরে বহু মানুষ

    সোমবার অসম (Assam Flood) সরকারের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বন্যায় রাজ্যে এক লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে সোমবার। ব্রহ্মপুত্র-সহ রাজ্যের একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ওই নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি। বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে সরকারি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র নদীর জল কোথাও কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। 

    ১৭টি জেলা বন্যার কবলে

    রাজ্যের নানা প্রান্তে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারাই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে অসমের (Assam Flood) মোট ১৭টি জেলা বন্যার কবলে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর। তার পরেই তালিকায় আছে ধেমাজী। এই দুই জেলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়, ধুবরি, তেজপুর এবং জোড়হাটের নিমতি ঘাটে ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওয়াহুন, বেকি, জিয়া-ভারালি, ডিসাং, দিখাউ এবং সুবানসিরি নদীও লাল দাগ অতিক্রম করেছে। একই সময়ে, ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে গুয়াহাটিতে ফেরি পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে ত্রাণশিবির খুলেছে অসম সরকার। এখনও পর্যন্ত ৪৫টি ত্রাণ প্রায় ৫০০ জন সেই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে অগাস্ট! শেষ এক মাসে ডেঙ্গি সংক্রমণ ১০ হাজার

    চাষের জমি জলের তলায়

    বিপর্যয় মোকাবিলা দল জানিয়েছে, বন্যায় রাজ্যে আট হাজার হেক্টরের বেশি চাষের জমি জলের তলায়। ৮০৮৬.৪০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার জলে তলিয়ে গেছে এবং ৮১৩৪০টি বড় প্রাণী এবং ১১৮৮৬টি হাঁস-মুরগি সহ ১৩০৫১৪টি প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে অসমে অনবরত বৃষ্টির কারণে উঁচু এলাকাগুলি থেকে বৃষ্টির জল গড়িয়ে নামছে নীচের দিকে। তাতেই ফুলেফেঁপে উঠছে একাধিক নদী। বৃষ্টি না থামলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। উদলগুড়ির দুটি এলাকা এবং বিশ্বনাথ ও দাররাং-এর একটি করে এলাকা থেকে বন্যার জলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • ISRO: ‘‘কংগ্রেস টাকা বরাদ্দ করত না, বিশ্বাস করত না ইসরোকে’’, দাবি প্রাক্তন বিজ্ঞানীর

    ISRO: ‘‘কংগ্রেস টাকা বরাদ্দ করত না, বিশ্বাস করত না ইসরোকে’’, দাবি প্রাক্তন বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণার কাজে কংগ্রেস সরকার টাকা বরাদ্দ করত না, বিশ্বাস করত না ইসরোকেও (ISRO), ঠিক এমনই অভিযোগ তুললেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণ। একটি ভিডিও বার্তায় ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানীকে (ISRO) এই কথাগুলো বলতে শোনা যাচ্ছে। নাম্বি নারায়ণের এই ভিডিও বার্তা ইতিমধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টও করা হয়েছে। ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন বিজ্ঞানীর আরও দাবি, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকার ইসরোকে (ISRO) বিশ্বাস করত না। কোনও রকম বাজেট বরাদ্দ করত না।

    কী বললেন নাম্বি নারায়ণ? 

    ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন বিজ্ঞানী ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান’ নামের একটি সংবাদ সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণ স্থানকে ‘শিবশক্তি’ নাম দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, অবতরণ স্থানের এমন নামকরণ নিয়ে কংগ্রেস কটাক্ষ করেছে বিজেপিকে। এ প্রসঙ্গে নাম্বি নারায়ণ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে পছন্দ নাই হতে পারে, এটা তাদের সমস্যা। তবে কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। এটা মানতেই হবে। এর জন্য আর কে কৃতিত্ব পাবে! আগের কংগ্রেস সরকার আমাদের (ISRO) জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ করেনি। ইসরোর ওপর তাদের কোনও আস্থা, বিশ্বাস কিছুই ছিল না।’’ প্রসঙ্গত, মিথ্যা মামলায় নাম্বি নারাযণকে দীর্ঘদিন ধরে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি নাকি বিদেশিদের তথ্য পাচার করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় তাঁকে। ইতিমধ্যে তাঁর জীবনীর ওপর একটি ছবিও বানিয়েছেন মাধবন, যার নাম ‘রকেট্রি-দ্য নাম্বি এফেক্ট’।

    কংগ্রেস-বিজেপি চাপানউতোর

    প্রসঙ্গত চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার পর থেকেই কংগ্রেস-বিজেপি চাপানউতোর চলছে। চন্দ্রযান ১, ২০০৮ সালে যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল সেই স্থানের নামকরণ কংগ্রেস করেছিল ‘জওহর’। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে। এই নিয়ে বিজেপি বলে, ‘‘কংগ্রেসের আমলে চন্দ্রমিশন হলে চাঁদের বিভিন্ন জায়গার নামকরণ হতো ইন্দিরা পয়েন্ট, রাজীব পয়েন্ট ইত্যাদি।’’ কংগ্রেস আবার দাবি করেছে, জওহরলাল নেহরু ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা। সে দাবিকেও নস্যাৎ করেছে বিজেপি। তাদের মতে, ইসরো (ISRO) প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৬৯ সালে, অন্যদিকে জওহরলাল নেহরুর মৃত্যু হয়েছে ১৯৬৪ সালে। তাহলে কীভাবে তিনি ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা হতে পারেন?

    আরও পড়ুুন: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘ইন্দিরা গান্ধী যখন চাঁদে পৌঁছলেন…’’! এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই চাঁদে পাঠালেন মমতা

    Mamata Banerjee: ‘‘ইন্দিরা গান্ধী যখন চাঁদে পৌঁছলেন…’’! এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই চাঁদে পাঠালেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাকেশ রোশন-পর্ব অতীত। এবার খোদ প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেই চাঁদের পাঠিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুধু তাই নয়, এমনও দাবি করলেন যে, চাঁদে পৌঁছে রাকেশকে ফোন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী!

    ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

    সোমবার, ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে উপলক্ষে আয়োজিত একটি সমাবেশে যোগ দিয়ে বক্তব্য পেশ করছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা (Mamata Banerjee)। সেখানেই চাঁদে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডিং প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর (Former PM Indira Gandhi) সময়ের কথা টেনে আনেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই বেফাঁস কথা বলে ফেলেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘এর আগেও আপনারা জানেন, ইন্দিরা গান্ধী চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন, সালটা ’৬৯-’৭০ হবে। ছোট ছিলাম। তখন রোজ খবরের কাগজ পড়তাম। সেই সময় দেখেছিলাম কাগজে একটা স্টোরি বেরিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী যখন চাঁদে পৌঁছল, রাকেশকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, উপর সে হিন্দুস্তান ক্যায়সা লাগ রাহা হ্যায়? (ওপর থেকে ভারতকে কেমন লাগছে?) ও বলেছিল, সারে জাহা সে আচ্ছা – এই কথাটা আমি আজও মনে রাখি। তার কারণ, সেদিন থেকে গর্ব হয়েছে।’’

     

     

    ২৩ তারিখ কী বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী?

    ঠিক পাঁচদিন আগে, অর্থাৎ ২৩ তারিখ, মমতা (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, ‘‘ইন্দিরা গান্ধী যখন প্রাইম মিনিস্টার ছিলেন তখন চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিলেন। এখন মানুষ যায়নি, যন্ত্র গিয়েছে।’’ এখানেই থেমে না থেকে, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, চাঁদের মাটিতে পৌঁছেছিলেন রাকেশ রোশন। তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী প্রশ্ন করেছিলেন, মহাকাশ থেকে ভারতকে কেমন লাগছে? রাকেশ রোশন বলেছিলেন, সারে জাহাসে আচ্ছা!’’ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। সমাজ মাধ্যমে হরেক মিম প্রকাশিত হয়েছিল। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সোমবার মমতার বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বন্যা।

    আরও পড়ুন: ‘‘চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন’’! মমতার মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

    তারিখ নিয়েও বিভ্রাট!

    শুধু এটাই নয়। তারিখ নিয়েও বড়ো বিভ্রাট ঘটান মমতা (Mamata Banerjee)। তৃণমূলনেত্রীর কথায় সালটা ’৬৯-’৭০ হবে। ইতিহাস বলছে, সেই সময় প্রথমবার চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল মানুষ। চাঁদে পৌঁছেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অল্ড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। অন্যদিকে, রুশ রকেটে চেপে রাকেশ শর্মা মহাকাশে পৌঁছেছিলেন ১৯৮৪ সালে। 

    পোখরানে পাইপ সরবরাহ করেছিলেন মমতা!

    এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এ-ও দাবি করেন, পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণের সময় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পাইপ সরবরাহ করেছিলেন। মমতা বলেন, ‘‘অটলবিহারী বাজপেয়ীও করেছেন পোখরান। আমিতো জানি, আমি তখন রেল মিনিস্টার ছিলাম। পাইপগুলো কোথা থেকে গিয়েছে, এগুলো আমাকেও জোগাড় করতে হয়েছে। ভেতরকার ব্যাপার বলবো কেন? সিক্রেট আমি কখনও বলি না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • All Party Meeting: আজ নবান্নে মমতার ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাবে না বিজেপি! নেই বাম-কংগ্রেসও

    All Party Meeting: আজ নবান্নে মমতার ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাবে না বিজেপি! নেই বাম-কংগ্রেসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) থাকবে না বিজেপি। দলের অন্যতম মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘একটি অনৈতিহাসিক ও অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে সামনে এনে ইতিহাস বিকৃত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হচ্ছে। তার শরিক বিজেপি হবে না।’’ প্রধান বিরোধী বিজেপির পাশাপাশি বৈঠকে যাচ্ছে না সিপিআইএম, সিপিআইয়ের মতো দলগুলি। কংগ্রেসও যাবে না বলেই খবর।

    বিজেপির মত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে (All Party Meeting)  যাচ্ছে না তাঁর দলের কোনও প্রতিনিধি। সেই সঙ্গে, তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, আগামী দিনেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও ক্ষেত্রে মঞ্চ ভাগাভাগি করবে না বিজেপি বিধায়করা। ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে পালিত হবে, তা ঠিক করতে মঙ্গলবার বিকেল চারটে থেকে নবান্নে রয়েছে এই বৈঠক।  সেখানে বহু বিশিষ্টজনকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভায় ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু সেই কমিটির সদস্যরা নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়ে বিভিন্ন দিনে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেখানে দিনটি নিয়ে ঐক্যমত হয়নি। তার পরেই সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে অগাস্ট! শেষ এক মাসে ডেঙ্গি সংক্রমণ ১০ হাজার

    বিরোধী-জোটে মতভেদ

    বামেরা যে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে (All Party Meeting)  যাবে না, তা লিখিত ভাবেও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিমান বসু জানিয়েছেন, দেশভাগের যন্ত্রণা এখনও লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে জাগরূক। সেই প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কোনও প্রতিষ্ঠা দিবস পালনে আমরা বিশ্বাসী নই। বৈঠকে যোগদান করবে না কংগ্রেসও । প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি ওই বৈঠকে যাবেন না। যুক্তি হিসাবে কংগ্রেস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ দিবসের নামে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপির লড়াই চলছে। এ নিয়ে কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই। যদি সর্বদল বৈঠক ডাকতেই হয়, তাহলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন। সূত্রের খবর, একদিকে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হচ্ছে, অন্যদিকে এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের মনোভাবে শাসক দলের অনেকেই বিরক্ত। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছে বিজেপির নানা সূত্র। কেন্দ্র-বিরোধী জোটে ঐক্য ও মতাদর্শের কতটা ফারাক তা এর থেকে বোঝা যায় বলে অভিমত, রাজনৈতিক মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপের ম্যাচে টিকিটের হাহাকার! একদিনেই কলকাতায় পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট শেষ

    ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপের ম্যাচে টিকিটের হাহাকার! একদিনেই কলকাতায় পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট শেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে ভারতের ম্যাচগুলির টিকিট বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু বাকি দেশগুলির ম্যাচ নিয়েও টিকিটের হাহাকার পড়ে গিয়েছে। সবথেকে বেশি টিকিটের চাহিদা পাকিস্তান ম্যাচের। মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে ভারত বাদে বাকি দেশগুলির যে ম্যাচ রয়েছে তার সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কলকাতাতেও একই অবস্থা। সেখানে শুধু নেদারল্যান্ডস বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের কিছু টিকিট বাকি। 

    পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা

    ২৫ অগাস্ট থেকে ভারত বাদে বিশ্বকাপে বাকি ম্যাচগুলোর টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ভারত বাদে যেই দেশের টিকিটের চাহিদা সবথেকে বেশি, সেটা হল পাকিস্তান। প্রথম দিনের টিকিট বিক্রির পর দেখা গিয়েছে  পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে চাহিদা আকাশ প্রমাণ। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ দীর্ঘদিন হয়নি। ২০১৬ সালের পর ভারতের মাটিতে মুখোমুখি হবে ভারত পাকিস্তান। ফলে পাকিস্তান দলকে ভারতের মাটিতে খেলতে সমর্থকরা দেখেননি দীর্ঘদিন। আর বিশ্বকাপ এবার ভারতে হওয়ায় পাকিস্তানের নাগরিকরাও ভারতে এসেছে পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকা দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা নজর কেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সবকিছু করতে পারি…’’! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে সোনা জিতে আরও কঠোর প্রতিজ্ঞা নীরজের

    পাঁচটা ভেন্যুতে বিশ্বকাপের মোট ৯টা ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। হায়দ্রাবাদ পেয়েছে দুটো ম্যাচ। এছাড়া আছে কলকাতা, বেঙ্গালুরু, আমেদাবাদ ও চেন্নাই। এরমধ্যে আমেদাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাবররা। ফলে এই ম্যাচের টিকিটের চাহিদা সবার থেকে বেশি। যদিও এই ম্যাচের টিকিট বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। পাকিস্তানের ৯টা ম্যাচের মধ্যে ৪টে ম্যাচের টিকিট একদিনে শেষ হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান বনাম নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ও পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড। স্টেডিয়ামগুলো হল যথাক্রমে বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও হায়দ্রাবাদ। ভারত পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৪৯৮এ ধারায় মামলা, অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার নয়! পুলিশের জন্য নির্দেশিকা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ৪৯৮এ ধারায় মামলা, অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার নয়! পুলিশের জন্য নির্দেশিকা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় মামলা হলে অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা যাবে না বলে পুলিশকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এক্ষেত্রে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে পুলিশকে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির এই ধারায় কোনও মহিলার ওপর অত্যাচারের ক্ষেত্রে তাঁর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়। 

    কী এই ধারা

    সাম্প্রতিক অতীতে এমন বেশ কয়েকটি মামলা সামনে এসেছে, যেখানে এই ৪৯৮ এ ধারা অন্যায় ভাবে প্রয়োগ করে, প্রকৃতপক্ষে নির্দোষ স্বামী বা তার পরিবার পরিজনকে হয়রান করা হয়েছে। মামলাগুলিতে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু মহিলা এই আইনের অপপ্রয়োগ করে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের থেকে মোটা টাকা আদায় করার চেষ্টা করছে। এই অন্যায় রুখতে এবার সক্রিয় হল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    কী বলল আদালত

    সেকশন ৪০ প্রয়োগ: আইন বলছে, পুলিশ যখন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাবে, সেক্ষেত্রে স্বতপ্রণোদিতভাবে সেকশন ৪০ প্রয়োগ করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠাবে মামলার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যদি পুলিশ আধিকারিকের মনে হয় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা, তাহলে এ ক্ষেত্রে গ্রেফতারি এড়ানো যেতে পারে। তবে দুই পক্ষের আলোচনায় বিবাদ মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে অথবা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার সুযোগ পেতে পারেন অভিযুক্ত ।

    সরাসরি গ্রেফতার নয়: সেকশন ৪০ প্রয়োগ না করেই বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্তকে যদি পুলিশ সরাসরি গ্রেফতার করে, তাহলে তা তদন্তের গাফিলতি হিসাবেই বিবেচিত হবে। আর এ ক্ষেত্রে আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো যেতে পারে। অভিযোগ প্রমাণ হলে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    উপযুক্ত প্রমাণ পেশ: কোর্ট বলছে, ‘ যদি ফৌজদারি আইন একজন অভিযোগকারীকে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেয়, তাহলে এটিকে যৌক্তিক প্রমাণ প্রতিপন্য করে, তাকে ন্যায়সঙ্গত করতে হবে।’

    গ্রেফতারের কারণ নথিভুক্ত করা: একজন অভিযুক্তকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার পরে, পুলিশ অফিসারকে অবশ্যই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে।

    ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূমিকা: ম্যাজিস্ট্রেটদের, আটকের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে, “পুলিশ অফিসার দ্বারা পূর্বোক্ত শর্তাবলীতে প্রদত্ত প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করতে হবে এবং শুধুমাত্র তার সন্তুষ্টি রেকর্ড করার পরে, ম্যাজিস্ট্রেট আটকের অনুমোদন দেবেন।”

    সময়োপযোগী রিপোর্টিং: একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করার সিদ্ধান্ত অবশ্যই “মামলার প্রতিষ্ঠানের তারিখ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে” জানিয়ে দিতে হবে, যাতে বৈধ কারণে সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya-L1: রবির উদ্দেশে রওনা শনিতেই! ‘আদিত্য-এল১’ উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণা ইসরোর

    Aditya-L1: রবির উদ্দেশে রওনা শনিতেই! ‘আদিত্য-এল১’ উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। তারিখ জানা গিয়েছিল আগেই। এবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়লো। ইসরো জানিয়ে দিল, আগামী ২ সেপ্টেম্বরেই সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে বিশেষ সোলার প্রোব বা অন্বেষণকারী উপগ্রহ ‘আদিত্য-এল১’। অর্থাৎ, আগামী শনিবারই রবির দেশে পাড়ি দেবে ভারতের সূর্য-যান।

    রবির দেশে পাড়ি শনিতেই…

    চাঁদ চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। গত বুধবারই ইতিহাস রচনা করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের যান পাঠিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করার অনন্য কৃতিত্বও অর্জন করেছে ইসরো। কিন্তু, এত কিছু সত্ত্বেও, দম ফেলার জো নেই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। কাজ এখন অনেক বাকি। সময় নষ্ট না করে ভবিষ্যতের মিশনের প্রস্তুতি এখন থেকেই চলছে পুরোদমে। এবার গন্তব্য সূর্য।

     

     

    গত বৃহস্পতিবারই, ইসরোর তরফে ইঙ্গিত মিলেছিল যে, ২ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ হতে পারে আদিত্য মিশনের। সোমবার তাতে পড়ল সরকারি সিলমোহর। এদিন ইসরোর তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার। ‘আদিত্য-এল১’-কে (Aditya-L1) যেখানে পাঠানো হচ্ছে, তা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১২৭ দিন। ‘আদিত্য-এল১’ মিশন হতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে প্রথম সৌর অভিযান। 

    ‘আদিত্য-এল১’ নামের তাৎপর্য কী?

    সোলার প্রোবের উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই জল্পনা চলছিল। ২০২০ সালেই এই মিশন লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা অতিমারির জন্য তা পিছিয়ে যায়। ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1) আদতে একটি করোনাগ্রাফি স্যাটেলাইট। ইসরোর আমদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ এম দেশাই জানান, এই মিশনের সব কাজ ও প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এবার বাকি শুধু উড়ানের। হিন্দু দেবতা সূর্যের আরেক নাম আদিত্য। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই নামকরণ করা হয়েছে উপগ্রহের (ISRO Sun Mission)। অন্যদিকে, এল-১ শব্দবন্ধের একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এল১-এর পুরো অর্থ হলো ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’। এটি সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী জায়গার একটি বিশেষ বিন্দু, যা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

    কেন ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’ পয়েন্টকে বাছাই করা হলো?

    দুটি মূল কারণে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1) উপগ্রহকে এই ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’ পয়েন্টে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে, প্রতিটি বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষীয় বল রয়েছে, যার জেরে তা একে অপরের দিকে টানে। যেমন পৃথিবীর রয়েছে অভিকর্ষজ বল। সাধারণ ভাষায়, যাকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ইসরো বিজ্ঞানীদের মতে, এই এল১ পয়েন্ট সৌর মণ্ডলের এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যেখানে সূর্য বা পৃথিবী, কারও ওই শক্তি বা বল কাজ করে না, অথবা, সম-শক্তিতে বিপরীত দিকে কাজ করে। যার ফলে, এই পয়েন্টে থাকলে, ‘আদিত্য-এল১’ স্থির থাকতে পারবে অনন্তকাল। দ্বিতীয়ত, এই জায়গা থেকে কোনও রকম বাধা ছাড়াই সর্বক্ষণ সূর্যকে দেখতে পারবে ‘আদিত্য-এল১’। এমনকী, গ্রহণের সময়েও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ সূর্যকে নিরীক্ষণ করতে কোনও বাধাই থাকবে না। ফলে সূর্যে কী হয়ে চলেছে তার রিয়েল-টাইম অ্যাক্টিভিটি দেখা যাবে।

    কী কাজ করবে ‘আদিত্য-এল১’?

    সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1)। এই মিশনের উদ্দেশ্য সৌরজগৎ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো। অর্থাৎ সূর্যের জলবায়ু, সৌর শিখা, সৌর ঝড়-সহ একাধঝিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। করোনা থেকে নির্গত তরঙ্গ, চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করা হবে। জানা গিয়েছে, ৭ ধরনের বৈজ্ঞানিক পেলোড থাকবে এই উপগ্রহে (ISRO Sun Mission)। যেগুলির সাহায়্যে নানা ভাবে সূর্যকে ঘিরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। সূর্যের ফোটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার, সূর্যের বাইরের স্তরের উপর নজর রাখা হবে। এর জন্য ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পার্টিকেল ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর।

    ভবিষ্যতে ইসরোর মিশনের তালিকায় রয়েছে কী কী?

    অন্যদিকে, অদূর ভবিষ্যতে পর পর মহাকাশ মিশন রয়েছে ইরসোর ঝুলিতে। ২০২৪ সালে মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে ইসরো। এই অভিযানের নাম ‘মঙ্গলযান ২’। এই অভিযানে মঙ্গলের মাটিতে নামানো হবে ল্যান্ডার। ২০২৪ সালে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘নিসার’ (নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার) পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। মহাকাশে ভারতের প্রথম মানবাভিযান ‘গগনযান’ নিয়েও ইসরোয় তুঙ্গে ব্যস্ততা। এটিই এখন নয়নের মণি, পাখির চোখ। ২০২৪ বা ২০২৫ সালে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারতের এই মহাকাশযান। এছাড়া, প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ‘শুক্রযান-১’ অভিযানের প্রস্তুতিও।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ৪, নিখোঁজ আরও কতজন?

    Murshidabad: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ৪, নিখোঁজ আরও কতজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার নতুন চাঁদরা এলাকার চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। নিখোঁজ আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিক। মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকে নতুন চাঁদরা গ্রাম কার্যত থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে।

    কী বললেন বিস্ফোরণে মৃতের পরিবারের লোকজন? (Murshidabad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার নতুন চাঁদরা গ্রাম থেকে প্রায় দশজন শ্রমিক দত্তপুকুরে যান। মোটা টাকার বিনিময়ে সকলকেই বাজি কারখানায় কাজ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। তাদের কাজে নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ঈশা শেখের দাদা জেরাত আলি। রবিবার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় নতুন চাঁদরা গ্রামেরই চারজন বাসিন্দার। তাঁদের নাম কলেজ শেখ, রণি শেখ, আন্দাজ শেখ এবং ছোটন শেখ। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন জেরাত আলি সহ ৬ জন। উল্লেখ করা যেতে পারে, তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ঈশা শেখের বড় দাদা জেরাত আলি। সম্প্রতি মাস কয়েক আগে একই মামলায় জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে জেরাত আলিও। মুক্তি পাওয়ার পরেই গ্রামের শ্রমিকদের নিয়ে মোটা টাকার অফার দিয়ে বাজি কারখানায় নিয়ে যায় সে। তারপরেই সেখানেই কার্যত বিস্ফোরণে মৃত্যু হল চার শ্রমিকের। এর আগেও পিংলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল নতুন চাঁদরা গ্রামের ১১ জন শ্রমিকের। ফের একবার একই গ্রাম থেকে আরও চার শ্রমিকের মৃত্যু এবং কয়েকজন শ্রমিকের নিখোঁজের ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, রাজমিস্ত্রির কাজ করানোর নাম করেই নিয়ে যাওয়া হয়ছিল। পরে, তাঁদের দিয়ে বাজি তৈরি করানো হত। এভাবে অকালে চলে যাবে তা আমরা ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: এবার নার্কোটিক্স ডিটেকশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা যাদবপুরে!

    Jadavpur University: এবার নার্কোটিক্স ডিটেকশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা যাদবপুরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারকোটিক্স ডিটেকশনের সাহায্যে হস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মাদক রোখার ভাবনাচিন্তা চলছে। সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারিও, জানালেন যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। অ্যান্টি র‌্যাগিং যে স্কোয়াড আছে, তাতে কম করে ৪০ থেকে ৫০ জনকে রাখা হবে বলেও জানান উপাচার্য। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালেয়র ক্যাম্পাসের ভিতরে ওপেন এয়ার থিয়েটার পরিষ্কার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বস্তা বস্তা মদের বোতল উদ্ধার করেন। এই খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে এবার থেকে পরিস্থিতি বদলাবে।’

    নিরাপত্তার স্বার্থে পদক্ষেপ

    বিবার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “নিরাপত্তার জন্য এক্স সার্ভিসম্যানদের কথা যেমন ভাবা হয়েছে। সিসিটিভিও বসানো হচ্ছে। পরে আরও দু’টো প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছি। অ্যালকোহল ডিটেক্ট করবে বা নার্কোটিক্স ডিটেক্ট করার জন্য যদি কিছু ব্যবস্থা থেকে থাকে। তবে সেটাও আমাদের দেশের আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল করেন যারা তাদের থেকে সাজেশন নিতে হবে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কী কী নির্ণয় করা যায় সেটাও দেখার বিষয়। সবই ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে এখন।” সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গেও এদিন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “আমরা ওয়েবেলকে অর্ডার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি দু’দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে বলেছি। ওয়েবলের লজিস্টিক এবং পরিকাঠামো কী আছে আমি জানি না। কী নিয়ম তাও জানি না। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নিরাপত্তায় একটা গাফিলতি তো ছিল। না হলে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। সরকারও নিশ্চয়ই চাইছে ইউজিসির সমস্ত নিয়ম যেন মেনে চলা হয়। আমাদের আচার্যও বলেছেন, নিরাপত্তা ও অ্যান্টি র‌্যাগিং যে নিয়ম তা মেনে এগোতে হবে। এখন ওয়েবল বরাত দেওয়ার পরও যদি দেরি করে, এটা তো কোনও সাধারণ সংস্থা নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    দিলীপের অভিযোগ

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে সেখানে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বাম সমর্থকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন ডিন এবং অধ্যাপকদেরও। তাঁর কথায়, “যাদবপুরে কিছু বাম এবং অতি বাম সমর্থক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করছে। এদের মদত দিচ্ছেন ডিন এবং কিছু অধ্যাপক।” রবিবার বিকালে মহেশতলার মোল্লার গেটের দলীয় জনসভায় যান বিজেপি সাংসদ। সেখানেই নিজের বক্তব্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তুলে ধরে দিলীপ ঘোষ একদিকে যেমন বাম ও অতি বাম সমর্থকদের কটাক্ষ করেন, তেমনই শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “ঐতিহ্যশালী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কত প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ে পড়েন। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পড়েন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করতে সাহায্য করছে তৃণমূলও।” দিলীপের প্রশ্ন, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর প্রশাসনের সক্রিয়তা বেড়েছে এতদিন সরকার কোথায় ছিল?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Neeraj Chopra: ‘‘সবকিছু করতে পারি…’’! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে সোনা জিতে আরও কঠোর প্রতিজ্ঞা নীরজের

    Neeraj Chopra: ‘‘সবকিছু করতে পারি…’’! বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে সোনা জিতে আরও কঠোর প্রতিজ্ঞা নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা, অলিম্পিক্সে সোনার পদক, ডায়মন্ড লিগ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন, কমনওয়েলথ গেমসে সোনা, এশিয়ান গেমসে সোনা জ্যাভলিনে একের পর এক পদক জিতে ইতিহাস গড়েছেন নীরজ চোপড়া। কিন্তু খিদে এখনও কমেনি নীরজের। তাঁর পরের লক্ষ্যও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের ‘সোনার ছেলে’। সোনা জিতে নীরজ বলেন, ‘‘সবাই বলছিল এই একটা পদকই জেতা আমার বাকি। সেটাও হয়ে গেল। এ বার লক্ষ্য ৯০ মিটারের বেশি জ্যাভলিন ছোড়া। এই প্রতিযোগিতায় সোনা জেতা খুব জরুরি ছিল। সামনে আরও অনেক প্রতিযোগিতা আসছে। সেখানেও নিজের সেরাটা দেব।’’

    দেশবাসীর জন্য এই পদক

    রবিবার ভারতীয় সময় রাত ১২টা হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে ৮৮.১৭ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে সোনা জিতেছেন নীরজ। দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নীরজ বলেন, ‘‘ভারতবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। রাতে জেগে আপনারা আমায় সমর্থন করেছেন। এই পদকটা পুরো ভারতের জন্য। অলিম্পিক্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সবকিছু করতে পারি (আমরা)। আপনারাও নিজেদের ক্ষেত্রে এরকমভাবে পরিশ্রম করে যান। পুরো বিশ্বে আমাদের নাম ছড়াতে হবে।’’ নীরজের সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও ফিট হতে হবে

    শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে রাষ্ট্রপতির তরফেও। তবে নিজের ধারাবাহিকতা নিয়ে এখনও সন্তুষ্ট নন নীরজ। তিনি বলেন, ‘‘আমি তাড়াহুড়ো করিনি। কারণ, এখনও ১০০ শতাংশ ফিট হতে পারিনি। দৌড়ের গতি কম। তাই জ্যাভলিন ছোড়ার উপরেই পুরো জোর দিয়েছিলাম। দ্বিতীয় থ্রোয়ে সেটা করতে পেরেছি। আমায় আরও ফিট হতে হবে এবং রান-আপে ১০০ শতাংশ গতিতে দৌড়াতে হবে। নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share