Tag: Madhyom

Madhyom

  • ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপে ব্যর্থতা! তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

    ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপে ব্যর্থতা! তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে (ODI World Cup 2023) লিগ পর্বে সাতটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারেনি শাকিব আল হাসানের দল। হারতে হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের মতো দলের কাছেও। এই ব্যর্থতার কারণ জানতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (Bangladesh Cricket Board)। 

    কেন তদন্ত কমিটি

    ওডিআই বিশ্বকাপের (ODI World Cup 2023) দল গঠনের পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল বাংলাদেশ ব্রিগেড নিয়ে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের মতো তারকা ক্রিকেটারকে দলে না নেওয়ার জন্যই শুরু হয়েছিল তুমুল সমালোচনা। প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও শেষরক্ষা করতে পরেনি তারা। একে পর এক ম্যাচ হেরে ক্রমশই বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের জায়গা হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসানের দল লিগ পর্বে ন’টি ম্যাচের মাত্র দু’টিতে জয় পেয়েছিল। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটারেরা প্রায় কেউ ফর্মে ছিলেন না। মাহমুদুল্লা ছাড়া কোনও ব্যাটারই রান পাননি। বোলারেরাও সাফল্য পাননি। ভাল হয়নি দলের সার্বিক ফিল্ডিংও।

    তিন সদস্যের কমিটি

    দলের বেহাল দশার কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিসিবি। বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, “ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশ ব্রিগেডের পারফরম্যান্স কেন এমন হয়েছে তা দেখার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই কমিটি। হারের কারণ খতিয়ে দেখার পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে।” কমিটিতে রাখা হয়েছে বিসিবির (Bangladesh Cricket Board) তিন জন ডিরেক্টরকে। তাঁরা হলেন এনায়েত হোসেন, মাহবুব আনাম এবং আক্রম খান। ক্রিকেটার এবং দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থতার কারণ খুঁজবে তিন সদস্যের এই কমিটি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    স্পনসরহীন বাংলাদেশ

    বিসিবি সূত্রে খবর, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স-এর জন্যই কোনও সংস্থা চুক্তি করতে রাজি হচ্ছে না। আপাতত স্পনসরহীন অবস্থাতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ দল। অক্টোবর পর্যন্ত ‘দারাজ’-এর সঙ্গে চুক্তি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট সংস্থার। ২০২১ থেকে ২০২৩-এ পর্যন্ত দারাজ-এর সঙ্গে সেই চুক্তি শেষ হওয়ার কথা নভেম্বরে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করতে আর আগ্রহী নয় সংস্থাটি। তাই পুরো টার্ম শেষ হওয়ার আগেই মাঝপথে সরে দাঁড়িয়েছে দারাজ। এতে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য শেষ হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ফি বার ঘটা করে জনগণের টাকায় হচ্ছে মোচ্ছব। রাজ্যবাসীর আইওয়াশ করতে সই হয় মউ-ও। সেসবই যে আসলে ধোঁকা, তা বেআব্রু করে দিলেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarakhand Tunnel Rescue) আটকে পড়া বাংলার এক শ্রমিকের পরিবার। বিষয়টি তাহলে খোলসা করেই বলা যাক।

    ‘বাংলায়ই কাজ করুক ছেলে’

    স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ইলেকট্রিকেলে ডিপ্লোমা করেছিলেন সৌভিক পাখিরা। হুগলির পুরশুড়ার এই তরুণ তার পরেও চাকরি পাননি। চাষবাস করতেন। শেষমেশ কাজ পান উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে, সুড়ঙ্গ শ্রমিক হিসেবে। সেখানেই আরও ৪০ জন শ্রমিকের সঙ্গে টানা সতের দিন সুড়ঙ্গ-বাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়েছেন সৌভিক। তবে বাড়িতে ফেরেননি। সৌভিকের মায়ের অভিযোগ, বাংলায় কাজ নেই বলেই বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। তবে আর পাঁচজন বাঙালি মায়ের মতোই তিনিও চান, বাংলায়ই কাজ করুক লেখাপড়া জানা ছেলে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদারও টানা সতের দিন আঁধার-বাস (Uttarakhand Tunnel Rescue) করেছেন সুড়ঙ্গে। তাঁর পরিবারেরও আক্ষেপ, রাজ্যে কাজ থাকলে বাইরে যেতে হত না মানিককে।

    রাজ্যের শিল্প-চিত্রকে আক্রমণ তথাগতর

    রাজ্যের দু’ প্রান্তের এই দুই তরুণের করুণ কাহিনিটাই বস্তুত এ রাজ্যের শিল্প-চিত্র। ২০১১ সালে বাম-শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের কুর্সি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর থেকে শিল্প-শিল্প করে ধুয়ো তোলা হয়েছে বারংবার। তার পরেও শিল্প হয়নি বলে অভিযোগ। শিল্প হবে বলে জনগণের করের টাকায় ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। লক্ষ্মী ধরতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্ষদদের (বিরোধীদের ভাষায় স্তাবক) নিয়ে ১২ দিন কাটিয়ে এসেছেন বিদেশে। তার পরেও লক্ষ্মীলাভ হয়নি রাজ্যের। অগত্যা রাজ্যের হা-শিল্প দশা ঘোঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী চপকেও (নিন্দুকরা বলছেন ঢপের চপ) শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি একবারও ভেবে দেখলেন না, প্রতি ঘরেই যদি তরুণরা তেলেভাজার দোকান দেন, তাহলে কিনবে কে?

    নিতান্তই নিরুপায় হয়ে তাই বাংলার তরুণদের খাটতে যেতে হচ্ছে তামাম ভারতে। পেটভর্তি বিদ্যে নিয়ে কেউ খাটছেন জন, কেউ বা সুড়ঙ্গ শ্রমিক। বিপদে পড়ে সেখান থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরছেন, তাঁরা কী করবেন? অতি কঠোর বাস্তব এই প্রশ্নটাই তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সুড়ঙ্গ শ্রমিকরা তো অক্লান্ত চেষ্টার ফলে মুক্তি পেলেন। প্রশ্ন, এখন তাঁরা কী করবেন? তাঁদের পরিবারবর্গ বলছেন, তাঁদের আর রাজ্যের বাইরে যেতে দেবেন না। তাহলে কি তাঁরা মাননীয়ার ‘ডবল ডবল চাকরি’র ভরসায় বসে থাকবেন? নিউটাউনে বিনিয়োগ টেনে আনার যে কু-নাট্য অভিনীত হল, তার ওপর (Uttarakhand Tunnel Rescue) ভরসা করবেন?

    প্রাক্তন রাজ্যপালের এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় দুর্নীতির শিকড়ে (Recruitment Scam) পৌঁছতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান। তৃণমূলের বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছছে সিবিআই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসাবেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে ওই দুই কাউন্সিলরের বাড়িতে।  

    পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য

    পাটুলিতে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসাবেই পরিচিত তিনি। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বাপ্পাদিত্যের বাড়ির সামনে পৌঁছন বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা বাড়ির সদর দরজার সামনে কড়া নাড়েন। বেশ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর নিজেই দরজা খুলে দেন বাপ্পাদিত্য। সিবিআই আধিকারিকেরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ দেবরাজ

    এদিন সকাল ৯টা ১০ নাগাদ বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। তখন দেবরাজ বাড়িতে ছিলেন না। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বাড়ি পৌঁছে যান। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ভিতরে ঢুকে যান। দেবরাজ তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী। এর আগেও তাঁকে একটি মামলায় তলব করেছিল সিবিআই। রাজনৈতিক মহলে তাঁকে অনেকেই চেনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে।

    আরও পড়ুন: শক্তিশালী সাইক্লোনের রূপ নেবে ‘মিগজাউম’! শনি-রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা

    সিবিআই তল্লাশি মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারেও

    সকাল থেকেই নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। ডোমকলের পাশাপাশি বড়ঞাতেও চলছে তল্লাশি। সেখানে ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। আবার বড়ঞাতে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bullet Train: দু’বছরেই বুলেট ট্রেন চলবে দেশে! সময় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, কবে চালু?

    Bullet Train: দু’বছরেই বুলেট ট্রেন চলবে দেশে! সময় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, কবে চালু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র দুই বছরের। ২০২৬ সালেই দেশে বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) প্রথম সেকশনের কাজ শেষ হবে বলে জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। বুধবার দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। রেলমন্ত্রী জানান, গুজরাটের বিলিমোরা এবং সুরাটের মধ্যে ৫০ কিলিমিটার রেল রুটে প্রথম বুলেট ট্রেন সেকশনটি গড়ে তোলা হবে। সেই কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৬ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে। 

    বুলেট ট্রেনের কথা

    রেলমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভায়ডাক্ট (পিলারের উপরে বসানো কংক্রিটের রেলপথ) এবং ২৩০ কিলোমিটার পিলার বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বিলিমোরা-সুরাট সেকশনটি মুম্বই-আমেদাবাদ রুটেরই অংশ। ইতিমধ্যেই গুজরাটের ভালসাদ, নভসারি, সুরাট, বরোদা এবং আনন্দ জেলায় বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ভায়াডাক্ট বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১০ হাজার কোটি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। ৫ হাজার কোটি করে দেবে গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র সরকার। বাকি অর্থ ০.১ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দেবে জাপান।

    রেলের নানা নয়া পরিকল্পনা

    শুধু বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্প নয়, দেশের রেল পরিষেবাকে আরও উন্নতি করতে নতুন কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, তাও এদিন জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে ট্রেনে দেশীয় কবচ প্রযুক্তি বসানোর কাজ আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্য়ু রুখতে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ‘গজরাজ’ প্রযুক্তির কথাও জানান অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এদিন রেলমন্ত্রী জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে রেলপথে সংযুক্ত করতে, আরও রেললাইন বসানো হবে। করোনার জেরে উদ্ভুত অতিমারি পরিস্থিতির আগে, দেশে এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৬৮। নতুন ট্রেন যুক্ত করায়, বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ১২৪ হয়েছে। শহরতলিতে ৫ হাজার ৬২৬ ট্রেনের পরিষেবা মিলত আগে, এখন তা বেড়ে ৫ হাজার ৭৭৪ হয়েছে এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যাও বেড়ে ২ হাজার ৭৯২ থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮৫৬। ২০২২-‘২৩ সালে যেখানে যাত্রীসংখ্যা ছিল ৬৪০ কোটি, ২০২৩-‘২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৫০ কোটি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PMGKAY: ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের! আরও ৫ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন ৮১ কোটি মানুষ

    PMGKAY: ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের! আরও ৫ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন ৮১ কোটি মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ খাদ্যশস্য যোজনায় (PM Garib Kalyan Yojana) আরও ৫ বছর তালিকাভুক্ত নাগরিকদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য (Free food grains) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েছে। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আরও ৫ বছরের জন্য এই সরকারি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হল। 

    কী এই যোজনা

    জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় এমনিতেই প্রতি মাসে ভর্তুকিযুক্ত দামে প্রদত্ত ৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হয় দরিদ্র মানুষদের।  করোনা মহামারির (Covid Pandemic) ফলে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া চালু করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে রেশন কার্ড থাকা ভারতীয় নাগরিকরা প্রতিমাসে পাঁচ কিলো করে হয় গম না হয় চাল পাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহ প্রকল্পের মাধ্যমে ছোলাও দেওয়া হচ্ছিল। দেশের ৮১ কোটি দরিদ্র মানুষকে প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য এই প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র সরকার।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায়, আরও ৫ বছর ধরে দরিদ্র মানুষকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে এর জন্য সরকার প্রায় ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করবে।” তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তহবিল আরও বাড়ানো হবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ য়ে বাড়ানো হবে, তা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নভেম্বরের শুরুতেই ছত্তীসগঢ়ের দুর্গে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ এই ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে। কিন্তু, বিজেপি সরকার এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৫ বছরের জন্য বাড়াবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি।” বুধ-দুপুরে ‘শাহি’ মঞ্চে কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন সভা ছিল বিজেপির। সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত?

    শাহি-ভাষণের আগে বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “অমিত শাহের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। ভয় পাচ্ছেন। ভাবছেন, ধরে নিয়ে যাবে। পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিয়েছে। এদের চিনে রাখুন। ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের ৩৫ লক্ষ্যমাত্রা পার করব। এই বার, ৩৫ পার।” সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি জিতবে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের কেন্দ্রে সরকার গড়বে বিজেপি। ২০২৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    শাহি-বচন 

    বাংলায় বিজেপি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভোট-হিংসা সব চেয়ে বেশি হয় বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেননি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “এক সময় যে বাংলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে কেবলই শোনা যায় বোমার শব্দ। আমি গুজরাটে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি। যে বাংলা এক সময় গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত, সেই বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন দিদি।” তিনি বলেন, “মোদিজির পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছেন। ভোট দিয়ে বিজেপি কর্মীরা বদলা নেবেন এই প্রতিটি রাজনৈতিক হত্যার।” শাহ বলেন, “মোদিজিকে উন্নয়ন করতে (Sukanta Majumder) দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে যখন সরগরম বিজেপির ধর্মতলার সভামঞ্চ, ঠিক তখনই রাজ্যবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিধানসভা চত্বরে ধরনায় বসল তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ আবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই ‘নিস্তরঙ্গ’আন্দোলনে ‘সুনামি’আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্মতলার সভা শেষ করে তিনি সটান চলে যান বিধানসভা চত্বরে। সেখানে ঢুকেই ‘মমতা চোর’স্লোগান দিতে থাকেন।

    বিজেপির সভা

    বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোর পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করে বিজেপি। সভামঞ্চ আলোকিত করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপির একঝাঁক নেতার উপস্থিতিও জৌলুস বাড়িয়েছিল পদ্ম-সভার। বিজেপির এই সভার উদ্দেশ্য ছিল, কীভাবে তৃণমূল বিরোধী মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে। কীভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুটেপুটে খেয়েছেন তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী। সভা উপলক্ষে এদিন আক্ষরিক অর্থেই যখন অল রোডস লিড টু ধর্মতলা, ঠিক তখনই কালো পোশাক পরে শাসক দলের বিধায়করা বসেছিলেন বিধানসভা চত্বরের ধর্নায়। ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তাতে যে আদতে বিশেষ লাভ হয়েছে, তা মনে করছেন না রাজনীতির কারবারিরাও। তাঁদের মতে, এদিন তামাম রাজ্যের ফোকাসে ছিলেন অমিত শাহ। তিনিই কেড়ে নিয়েছিলেন প্রচারের (Suvendu Adhikari) সবটুকু আলো। তাই হালে পানি পাননি মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা।

    শুভেন্দুর আগমনে উঠল ঢেউ 

    এই ধর্নায়ই অবশ্য হাজার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্ব ঝলসে উঠল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আগমনের পর। সভা শেষের পর দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ‘জায়ান্ট কিলার’ (নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর রাজ্যবাসী তাঁকে চেনেন এই নামেই) চলে আসেন বিধানসভা চত্বরে। ‘চোর’, ‘চোর’স্লোগান দিতে দিতে তিনি চলে আসেন নাট্য-রঙ্গের মূল দৃশ্যে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘চোর’, ‘চোর’, ‘মমতা চোর’। ‘চাকরি চোর মমতা’, ‘ডিএ চোর মমতা’। তাঁর সতীর্থরা ধ্বনি দিতে থাকেন, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’। পরে বিধানসভার প্রধান প্রবেশদ্বারের মুখে বসে পড়েন গেরুয়া বিধায়করা। পদ্ম ও ঘাসফুল শিবিরের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে সরগরম বিধানসভা চত্বর। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সরকার চোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর। তিনিই সব দুর্নীতির মাথা। আমরা তাঁর শাস্তি চাই।”

    আরও পড়ুুন: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     
  • Indian Navy IAC 2: আরও একটি দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আসছে নৌসেনার হাতে! সিদ্ধান্ত আজই?

    Indian Navy IAC 2: আরও একটি দেশীয় বিমানবাহী রণতরী আসছে নৌসেনার হাতে! সিদ্ধান্ত আজই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনীর বাড়বাড়ন্তকে মাথায় রেখে আইএনএস বিক্রান্ত-এর পর দেশে আরও একটি প্রায় সমান ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবাহী রণতরী (Indian Navy IAC 2) নির্মাণ করার প্রস্তাবে সম্ভবত শীঘ্রই সায় দিতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ভারত মহাসাগরে চিনকে রোখা প্রয়োজন

    সূত্রের খবর, ভারতীয় জলসীমার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে বেশ কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় দেশীয় বিমানবাহী রণতরীর জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছিল ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট বোর্ডের বা সংক্ষেপে ডিপিবি-র কাছে। এই ডিপিবি হল এমন কমিটি যারা মূলত বৃহত সামরিক ক্রয় বিষয়ক প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সুপারিশ পাঠায় কেন্দ্রের সামরিক সরঞ্জাম কেনার শীর্ষ কমিটি ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা সংক্ষেপে ডিএসি-র (Defence Acquisition Council) কাছে। 

    রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বসছে বিশেষ বৈঠক

    নিয়ম অনুযায়ী, ডিপিবি-র সুপারিশের ওপর সময় মতো অ্যাকসেপ্টেন্স অফ নেসেসিটি (এওএন) বা সিলমোহর দেয় ডিএসি (Indian Navy IAC 2)। তার পর সব শেষে কেনার ছাড়পত্র দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস।  যার পরেই, গোটা প্রক্রিয়া কার্যকর হয়। সূত্রের খবর, দেশে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী তৈরি করার প্রস্তাবকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে ডিএসি-র টেবিলে পাঠিয়েছে ডিপিবি। আগামিকাল বসছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিএসি-র (Defence Acquisition Council) বৈঠক। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বিষয়ে। তবে, কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, চিনের কথা মাথায় রেখে সম্ভবত এই প্রস্তাব গৃহীত হতে পারে। 

    আইএনএস বিক্রান্ত-এর ‘মিরর’ হতে চলেছে আইএসি-২

    যা জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার ১ বা আইএনএস বিক্রান্ত-এর তুলনায় ৩০ শতাংশ বড় হবে আইএসি-২ (Indian Navy IAC 2)। বিক্রান্তের ওজন ৪৪ হাজার টন। সেখানে নকশা অনুযায়ী, আইএসি-২ এর ওজন হওয়ার কথা ছিল ৬৫ হাজার টন। পরবর্তীকালে, তা বাতিল করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিক্রান্তের মতোই নকশা অনুযায়ী হবে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী। অর্ছাৎ, নকশায় কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। এর ফলে, সময় বাঁচবে। জানা যাচ্ছে, তেমনটা হলে, ৮-১০ বছরের মধ্য়েই ভারতীয় নৌসেনার হাতে আইএসি-২ আসতে পারে।

    নতুন রণতরীর ডেকে থাকবে রাফাল-এম

    আইএনএস বিক্রান্ত তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, নতুন বিমানবাহী রণতরী নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। ওই রণতরী থেকে উড়বে অত্যাধুনিক ফরাসি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান। কয়েকদিন আগে, নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার জানিয়েছিলেন, আপাতত রিপিট অর্ডারের দিকেই ঝোঁকা হচ্ছে (Indian Navy IAC 2)। অর্থাৎ, ওজনে প্রায় এক হবে নতুন জাহাজটি। তবে, আরও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। সেই সময় তৃতীয় বড় আকারের বিমানবাহী রণতরীর নকশা তৈরি করা হবে। যা হবে ওই ৬৫ হাজার টনের আশেপাশে। যে সময় সেটি অন্তর্ভুক্ত হবে নৌসেনায়, আইএনএস বিক্রমাদিত্য অবসর নেবে।

    বৈঠকের নজরে প্রচণ্ড ও তেজস-ও

    নতুন বিমানবাহী রণতরীর পাশাপাশি, আগামিকালের বৈঠকে বায়ুসেনার পেশ করা ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া রয়েছে স্থলসেনার জন্য ১৫৬টি প্রচণ্ড সামরিক হেলিকপ্টার, যার মূল্য হতে পারে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Mamata Banerjee: ডি এ-র বদলে ছুটি! রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ভাতা নিয়ে এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: ডি এ-র বদলে ছুটি! রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ভাতা নিয়ে এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ যে মিলবে না, ডিএ (DA Hike) দিতে রাজ্য যে অপারগ তা এক প্রকার স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায় স্পষ্ট, দান-খয়রাতি করেই সরকারি কোষাগার ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। ডিএ না দেওয়ার সমর্থনে তাঁর অদ্ভুত যুক্তি,  এত ছুটি দেওয়া হচ্ছে। ডিএ দেওয়াটা তাঁর ঐচ্ছিক বিষয়। শুধু তাই নয় তিনি বলেন যে, কর্মীদের আপত্তি রয়েছে তাঁরা কেন্দ্রের চাকরি করতে চলে যেতে পারেন।  

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA Hike) দাবিতে রাজ‍্যজুড়ে বিক্ষোভ করছে সরকারী কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা প্রতিবছর ডিএ পাচ্ছে কিন্তু তাঁরা বঞ্চিত। কিন্তু কর্মীদের এই দাবি মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যে মুখ্যমন্ত্রী সারাক্ষণ মুখে বঞ্চনার বুলি আওড়ান, সেই তিনি কর্মীদের হকের ডিএ না দিয়ে নিজের রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করছেন। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে তাঁর উল্টো যুক্তি,  ‘মনে রাখুন কেন্দ্রীয় সরকার ৩-৪ দিন ছুটি দেয়। আর আমরা ৪০-৪৫ দিন ছুটি দিই। এই গুলো মাথায় রাখবেন।’

    আরও পড়ুন: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    ডিএ বাধ্যতামূলক নয়

    দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার (DA Hike) দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। চলতি অর্থবর্ষে তাঁদের ডিএ তিন শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু, তাতেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি, আরও জোরাল হয় আন্দোলন। সেই প্রসঙ্গে বুধবার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের দাবি,’ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক বিষয়।’  তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের কর্মীরা তাদের কাঠামো অনুযায়ী চলে। সেই অনুযায়ী বেতন বা ডিএ পায়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের কারও যদি কোনও আপত্তি থাকে সেক্ষেত্রে গিয়ে কেন্দ্র সরকারি চাকরিতে যোগদান করুক। কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। আমরা কাউকে আটকায়নি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Amit Shah: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলার জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছেন মোদিজি। কিন্তু তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজের জন্য সেই টাকা পৌঁছচ্ছে না বাংলার গরিব মানুষের ঘরে।” বুধ-দুপুরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মোদি সরকার দেশকে কী কী দিয়েছে, এদিন তারও ফিরিস্তি দেন শাহ। বলেন, “গোটা দেশে মোদিজি কীভাবে বিকাশ করছেন! গরিবদের জীবনে কত পরিবর্তন এসেছে। ওঁদের ঘর দিয়েছেন, শৌচালয় দিয়েছেন, জল দিয়েছেন। শৌচালয়ের সঙ্গে ৫ লক্ষের স্বাস্থ্যবীমাও দিয়েছেন। করোনা অতিমারি রুখতে গোটা দেশে টিকাকরণও করেছেন মোদিজি। গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদও দমন করেছেন তিনি।”

    তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ!

    বাংলার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও, তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজের জন্য তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ শাহের। বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায গরু চুরি হোক বা কয়লা চুরি কিংবা নিয়োগ দুর্নীতি, বাংলার মানুষের টাকা এঁরা খেয়েছেন। মমতাজিকে বলছি, হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান।”

    ‘শাহি’ পরিসংখ্যান 

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছ তৃণমূল। এদিন ওয়াই চ্যানেলের সভায় তারই জবাব দেন শাহ (Amit Shah)। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি দেখিয়ে দেন, ১০ বছরের ইউপিএ জমানার চেয়ে ৯ বছরের বিজেপি আমলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ঢের বেশি টাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস জমানার সরকার দিয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। আর ন’ বছরে মোদি সরকার পাঠিয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।” তিনি বলেন, “আমরা মমতাদির কাছে অনেকবার হিসেব চেয়েছি। উনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, মোদিজি বাংলার জন্য কী করেছেন? আমি হিসেব নিয়ে এসেছি। কান খুলে শুনন। যে ইউপিএ সরকারে আপনি মন্ত্রী ছিলেন, সমর্থন করেছেন, তারা বাংলাকে মাত্র ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিল। আর মোদিজি দিয়েছেন ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুুন: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    শাহ বলেন, “এছাড়াও আমরা এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। ইউপিএ সরকার ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। মোদিজি দিয়েছেন ৫৪ হাজার কোটি টাকা। একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় সড়কের জন্য দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা। রেলে এবং বন্দরে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ১৬ হাজার ও এক হাজার কোটি টাকা। সেচ খাতে দেওয়া হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আপনার ২ লক্ষ কোটি টাকার জায়গায় ভারতীয় জনতা পার্টি (Amit Shah) দিয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

LinkedIn
Share