Tag: Madhyom

Madhyom

  • Election Commission of India: আধার না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission of India: আধার না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জেলায় বহু মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার কথা বললেও, নানা রকম গুজব ছড়াতে থাকে অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে ঘোলাজলে রাজনীতি করতে নেমে পড়ে তৃণমূলও। আধার কার্ড না থাকলে সমস্যা হবে? ভোট কি দেওয়া যাবে? এসব প্রশ্নের জবাব দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। কমিশন মঙ্গলবার সাফ জানিয়েছে, আধার না থাকলে ভোট দিতে কোনও অসুবিধা হবে না। বিকল্প পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। মঙ্গলবারই এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাগুলি বলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (CEC on Aadhaar)।

    কী বললেন রাজীব কুমার?

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission of India) রাজীব কুমার বলেন, ‘‘সর্বদল বৈঠকে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাদের অনুরোধ করে আধারের (CEC on Aadhaar) বিকল্প ব্যবস্থা রাখার জন্য। ভোট দেওয়ার জন্য আধার কার্ড লাগবে এমন কোনও বিষয় নয়। পাঁচ থেকে ছ’ দিন আগে ভোটার স্লিপ পেয়ে যাবেন ভোটাররা। যদি কারও আধার কার্ড না থাকে তিনি ভোট দিতে পারবেন। আরও ১২-১৩ রকমের ডকুমেন্ট আছে সেগুলি দেখিয়েই ভোট দেওয়া যাবে। ভোটার কার্ড না থাকলেও অন্য বৈধ ডকুমেন্ট দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। আধার বাধ্যতামূলক নয়। যদি ভোটার স্লিপ না থাকে তাহলেও ওই একই ডকুমন্টে দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে।’’

    লোকসভা নির্বাচনে নজরদারিতে থাকবে অ্যাপ (Election Commission of India)

    লোকসভা নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফ থেকে। দেশের অন্যান্য রাজ্যে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা এবং ভোটের সময় হিংসা নিয়ে কমিশন সদা চিন্তিত। তাই সব থেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্যই। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করতে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করছি। প্রতিটি এলাকায় অবজারভার রাখার পাশাপাশি হেল্পলাইনও থাকবে। সেখানে সমস্ত রকম অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে।’’  জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশপাশি থাকবে অ্যাপও। যার মাধ্যমে অশান্তির ঘটনা ঘটলে সরাসরি তার ছবি তুলে কমিশনের দফতরে পাঠানো যাবে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন (Election Commission of India) । অবৈধ আর্থিক কার্যকলাপ রুখতেও একটি অ্যাপ থাকবে। প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা আছে কিনা তা জানা যাবে এই অ্য়াপ থেকেই। ভোটের সময় অনুপ্রবেশ রুখতেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Bengal: বারাসতে আজ সভা মোদির, গঙ্গার নীচে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন

    PM Modi in Bengal: বারাসতে আজ সভা মোদির, গঙ্গার নীচে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলাতেও তুলেছেন ঝড়। আগেই আরামবাগ-কৃষ্ণনগরে জোড়া সভার পর ফের বুধবার বারাসতে সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Bengal)। তার আগে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের অন্তর্গত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড সহ শহরের তিনটি মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    তিন মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন

    মঙ্গলবার রাতেই ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। রাত্রিবাস করেন রাজভবনে। আজ, বুধবার, প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। এদিন সকালে মেট্রো রেল সহ ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Bengal) নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন দেশের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো রুট (গ্রিন লাইন)। এর পাশাপাশি, অরেঞ্জ লাইনের অন্তর্গত কবি সুভাষ-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং পার্পল লাইনের অন্তর্গত তারাতলা-মাজেরহাট মেট্রো রুটেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশে প্রথম কোনও শহরে মেট্রো চলবে নদীর তলা দিয়ে। এমন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, তারপর জনগণের জন্য খুলে যাবে মেট্রোর দরজা। সাধারণ মানুষের মধ্যে এনিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে।

    ১১ কিমি রোড-শো, বারাসতে সভা

    এর পাশাপাশি, রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। মেট্রো উদ্বোধনের পর উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। দমদম বিমানবন্দর চত্বর থেকে ১১ কিলোমিটার রোড শো করে বারাসতের কাছারি ময়দানে পৌঁছাবেন তিনি। বেলা ১১.৩০টা থেকে ১২.৩০টা পর্যন্ত জনসভায় উপস্থিত থাকবেন। এনিয়ে সাজোসাজো রব বিজেপির মধ্যে। মঙ্গলবারও সভাস্থল পরিদর্শন করেন বিজেপি নেতারা। আজকের সভা বিজেপি সরাসরি সম্প্রচারিত করবে ৬ হাজার স্থান থেকে। সভাতে হাজির থাকবেন সন্দেশখালির মহিলারাও। সূত্রের খবর, ওই মহিলারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিজেদের মুখে অত্যাচারে কাহিনীও শোনাতে পারেন। বারাসতের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পরে তিনি সেখান থেকে বিমানবন্দরে ফিরে চলে যাবেন উত্তরপ্রদেশে।

    পাখির চোখ বাংলা!

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আজ বুধবারও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মমতা-সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নিজের বক্তব্য রাখবেন তিনি। লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই, এক সপ্তাহে ২ বার মোদির (PM Modi in Bengal) বঙ্গ সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এতেই বোঝা যায়, লোকসভা ভোটে বাংলা যেন পাখির চোখ গেরুয়া শিবিরে কাছে। বারাসতে বুধবারের সভার পরে মোদির ফের আসার কথা রয়েছে আগামী ৯ মার্চ। শিলিগুড়িতে ওইদিন সভা করার কথা তাঁর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi in Bengal: রাজ্যে ফের প্রধানমন্ত্রী, বুধে সভা বারাসতে, থাকবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা?

    Modi in Bengal: রাজ্যে ফের প্রধানমন্ত্রী, বুধে সভা বারাসতে, থাকবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গল-সন্ধ্যায় কলকাতায় পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Bengal)। বুধবার বারাসতে জনসভা করবেন তিনি। সেই কারণেই এদিন এলেন শহরে। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই প্রধানমন্ত্রী সোজা চলে যান রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে। এখানেই ভর্তি রয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নবতিপর প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। তাঁকে দেখতেই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী।

    স্বামী স্মরণানন্দকে দেখতে হাসপাতালে মোদি

    রামকৃষ্ণ মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। ৭টা ১৩ মিনিট নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় রওনা দেয় রাজভবনের উদ্দেশে। এখানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। বুধবার সকাল থেকেই গুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (Modi in Bengal)। এদিন সকালে হাওড়া-ধর্মতলা রুটে মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর গুচ্ছ কর্মসূচি 

    এর পাশাপাশি ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড সহ মোট তিনটি মেট্রো রেল রুটের উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে দমদম বিমানবন্দর চত্বর থেকে ১১ কিলোমিটার রোড শো করে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছবেন বারাসতের কাছারি ময়দানে। বেলা ১১.৩০টা থেকে ১২.৩০টা পর্যন্ত থাকবেন এখানকার জনসভায়।

    প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায়ই দেখা যেতে পারে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। পার্টি মিটিংয়ের অছিলায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের দলবল এলাকার সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিস কিংবা বাগানবাড়িতে ডেকে নিয়ে যেত বলে অভিযোগ। তার পর চলত নির্যাতন। প্রতিবাদ করলে ভয় দেখানো হত। এই নির্যাতিতারাই মুখ ঢেকে উপস্থিত হতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সভায়। তাঁকে শোনাতে পারেন শাহজাহানের দলবলের অত্যাচারের কাহিনি।

    আরও পড়ুুন: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়!

    বারাসতের মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে রওনা হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন ১টা বেজে ৫ মিনিটে। ১টা বেজে ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান রওনা দেবে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে। আগামী ৯ মার্চ তৃতীয় দফায় রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন শিলিগুড়িতে একদিকে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। পরে যোগ দেবেন দলীয় সমাবেশে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই একবার বাংলা সফর করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। হুগলির আরামবাগ এবং নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করেছেন তিনি (Modi in Bengal)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • Sk. Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে দিল না সিআইডি

    Sk. Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে দিল না সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) সিবিআই-এর হাতে তুলে দিল না সিআইডি। যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) মূল অভিযুক্ত শাহজাহানকে নিয়ে যেতে ভবানী ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা৷ সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কিন্তু ২ ঘণ্টারও বেশি সময়ের অপেক্ষার পর শাহজাহানকে ছাড়াই খালি হাতে ফিরে যেতে হল সিবিআইকে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে৷ সেই যুক্তিতেই এদিন সিআইডির পক্ষ থেকে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়নি।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) অবিলম্বে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আজই বিকেল ৪.৩০টার মধ্যে শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে সিবিআইকে নথি দেওয়ারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ‘৫০ দিন পালিয়ে থাকার পর ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহান একজন সাধারণ নাগরিক নন, তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যে রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটা রাজ্যের শাসক দল। ন্যায়বিচারের স্বার্থে, স্থানীয়দের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যেই সিবিআই।’

    কোথায় শাহজাহান

    বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিবিআই-এর দুই আধিকারিক প্রায় ২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে নিয়ে শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছন৷ মনে করা হচ্ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে হয়তো শাহজাহানকে সিবিআই-এর হেফাজতেই তুলে দেবেন সিআইডি আধিকারিকরা৷ কিন্তু প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষার পর যখন সিবিআই আধিকারিকরা ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁদের সঙ্গে শেখ শাহজাহান ছিলেন না৷ শাহজাহানকে না নিয়েই ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা চারটি গাড়ি৷  

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সুপ্রিম কোর্টের অজুহাত

    সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবারই ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল সরকার। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি লড়বেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। শীর্ষ আদালতে জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানি চেয়েছিল রাজ্য। যদিও সুপ্রিম কোর্ট ওই আর্জিতে সাড়া দেয়নি। তবুও সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়বে রাজ্য এই অজুহাতেই মঙ্গলবারও শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়নি সিআইডি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

    .

  • Ration Distribution Case: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়!

    Ration Distribution Case: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই বিপুল পরিমাণ টাকারই ০.৫ শতাংশ পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Ration Distribution Case) এমনই জানিয়েছে ইডি।

    সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ইডির (Ration Distribution Case)

    মঙ্গলবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় ইডি। তাতেই নাম রয়েছে শঙ্করের। রয়েছে তাঁর কোম্পানির নামও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র বিপুল পরিমাণ টাকা, বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তরিত করে শঙ্কর ০.৫ শতাংশ করে কমিশন পেয়েছেন। সেখান থেকেই কোটি টাকা রোজগার করেছেন তিনি। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Ration Distribution Case) ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এই নেতাকে। এই গ্রেফতারির দু’ মাসের মাথায় এদিন দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করল ইডি।

    কী রয়েছে চার্জশিটে?

    চার্জশিটটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮৩। তাতে শঙ্করের পাশাপাশি রয়েছে তাঁর চারটি কোম্পানির উল্লেখও। চার্জশিটে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর টাকা বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তরিত করতে সাহায্য করেছেন শঙ্কর। তার বদলে পেয়েছেন কমিশন। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যে শঙ্করের যোগাযোগ ছিল, তা প্রথম থেকেই দাবি করেছিল ইডি। হাসপাতাল থেকে মেয়েকে লেখা জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতেও শঙ্করের উল্লেখ ছিল বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    আরও পড়ুুন: “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে”, রাজ্যকে নির্দেশ রাজীব কুমারের

    এদিন ইডি যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০১১ সাল (এই বছরই ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল) থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হাওয়ালার মাধ্যমে সাড়ে সাতশো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কমিশন বাবদ তারই ০.৫ শতাংশ পেয়েছিলেন শঙ্কর। ইডির অভিযোগ, বিদেশে শঙ্কর লেনদেন করেছেন ২০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয়র।

    প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Case) মামলায় ইডি প্রথম চার্জশিট পেশ করে গত ১২ ডিসেম্বর। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তবে তদন্তে সেই টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও দাবি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার চার্জশিটে জানা গেল বিদেশে পাচার হওয়ার টাকার পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকা (Ration Distribution Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: রাজ্যের সম্মতির অভাবে আটকে চার্জ গঠন, নিয়োগ মামলায় অভিযোগ সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: রাজ্যের সম্মতির অভাবে আটকে চার্জ গঠন, নিয়োগ মামলায় অভিযোগ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় ফের একবার রাজ্যের দিকেই আঙুল তুলল সিবিআই। এখনও একাধিক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদন না থাকায় চার্জ ফ্রেম করা যাচ্ছে না বলে হাইকোর্টে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর কথা শুনে এবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জ গঠনের অনুমতি দিতে রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সিবিআইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার আদালতের পর্যবেক্ষণ হয় অনুমতি দিতে হবে অথবা খারিজ করতে হবে। অনন্তকাল এ নিয়ে সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রসঙ্গত, সিবিআই চার্জশিট দিলেও রাজ্য সরকার দুর্নীতি (Recruitment Scam) দমন আইনের ধারার ব্যাপারে অনুমতি না দেওয়ায় নিম্ন আদালতে চার্জ গঠন করা যাচ্ছে না বলে বার বার অভিযোগ উঠেছে। যদিও রাজ্যের তরফে যুক্তি ছিল, আদালতের নির্দেশে তদন্ত হওয়ায় রাজ্যের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। অভিযোগ, সে কথা রাজ্যের তরফে কোর্টে (Calcutta High Court) লিখিত ভাবে কখনও বলা হয়নি।

    আরও পড়ুন: পোর্টাল তৈরির পথে কমিশন, ভোটে অবৈধ লেনদেনে নজর রাখবে ইডি-আয়কর?

    রাজ্যের উপর ক্ষুব্ধ

    এসএসসি মামলায় (Recruitment Scam) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি চার্জশিট দাখিল হয়েছে? এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এই প্রশ্ন করেন সিবিআই-কে। এখানেই  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, চার্জশিট হয়েছে। কিন্তু সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগে। ২০২২ সালে রাজ্যের কাছে সেই চার্জ ফ্রেম করার অনুমতি চাওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত তারা কোনও উত্তর পাননি বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এই কথা শুনে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানাতে হবে রাজ্যকে। বিচারপতি রাজ্যের থেকেও জানতে চান, কত সময় লাগে এই কাজ করতে। তখন রাজ্য জানায়, কিছুটা সময় লাগে। কারণ সমস্ত নথি যাচাই করে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এরপর সরাসরি রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, ‘সময় লাগে সেটা বুঝলাম, কিন্তু কত সময় ? দুই বছর?’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে”, রাজ্যকে নির্দেশ রাজীব কুমারের

    Lok Sabha Election 2024: “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে”, রাজ্যকে নির্দেশ রাজীব কুমারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বিঘ্নে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ব্যবস্থা করুক রাজ্য।” মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ও ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে। এই বিষয়টাকে নিশ্চিত করতে হবে। ভয়মুক্ত হয়ে যাতে প্রত্যেকে উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে পারেন।”

    কড়া হাতে হিংসা দমন

    নির্বাচন পূর্ববর্তী ও নির্বাচনোত্তর পর্যায়ের হিংসাকে কড়া হাতে দমন করা হবে বলেও জানান তিনি। রাজীব বলেন, “কোনওরকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।” তিনি বলেন, “একটা বিষয়ই সুনিশ্চিত করে বলে দিতে চাই, কোনওভাবেই নির্বাচনে কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। টাকার খেলাও বরদাস্ত করা হবে না। ভোটার উৎসবের মেজাজে ভোট দেবেন, এ ব্যাপারে প্রশাসন ও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার যেন তাঁদের অধঃস্তনদের এক্ষেত্রে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। যদি তাঁরা করেন তো ভালো, না হলে আমরা তাঁদের দিয়ে করিয়ে নেব।”

    “সিটিজেন্স ভিজিলেন্সের”

    রাজীব বলেন, “সিটিজেন্স ভিজিলেন্সেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অভিযোগ ছবি তুলে কিংবা লিখে পাঠিয়ে দেবেন। লোকেশন আমরাই খুঁজে নেব। কোথাও বুথে, ভোটকেন্দ্রে কোনও অনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা দেখলেই আমাদের জানান।” তিনি জানান, যেসব ভোটারের ৪০ শতাংশের বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাঁদের ঘর থেকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে (Lok Sabha Election 2024)। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী সব রাজ্যেই গিয়েছে। গোটা দেশে যত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়েছে, তার মাত্র ১০ শতাংশ বাংলায় এসেছে।” বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই, তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজীব। বলেন, “রাজ্য পুলিশ অবশ্যই থাকবে। রাজ্য পুলিশেরই প্রাথমিক ও প্রথম দায়িত্ব নির্বাচনে নিরাপত্তা ও শান্তি সুনিশ্চিত করা।” বিভিন্ন নির্বাচনে অশান্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশা করছি, এবার সেরকম কিছু হবে না। যদি হয়, তাহলে জেলা প্রশাসনই বিষয়টি দেখে নেবে। যদি না দেখে, তাহলে আমরা জেলা প্রশাসনকে দিয়েই ব্যাপারটা দেখিয়ে নেব (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Manipur: মণিপুরে ২৫৯ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠাল সরকার, উঠছে এনআরসি-র দাবি

    Manipur: মণিপুরে ২৫৯ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠাল সরকার, উঠছে এনআরসি-র দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৩ মে থেকে ২৫৯ জন মায়ানমারের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছে মণিপুর (Manipur) সরকার, এক বিবৃতিতে একথা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরা কোনও রকম নথিপত্র ছাড়াই মণিপুরে প্রবেশ করেছিলেন। চান্দেল, চুরাচাঁদপুর, কামজং প্রভৃতি সীমান্ত দিয়েই অবৈধভাবে প্রবেশ করেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং যিনি সে রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন, বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এই কথাগুলি বলেন। অশান্তির আবহে মণিপুরে (Manipur) উঠতে শুরু করেছে এনআরসি-এর দাবিও।

    মণিপুরে উঠছে এনআরসি-র দাবি

    প্রসঙ্গত, মায়ানমারের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন কংগ্রেসের বিধায়ক লোহেশর সিং। উল্লেখ্য, মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের আবহে সেদেশের ৬,৭৪৫ জন নাগরিক বর্তমানে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে উদ্বাস্তু শিবিরে রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অসংখ্য নারী এবং শিশুরাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মণিপুরে (Manipur) এমন অনুপ্রবেশের কারণেই গত ১ মার্চ সে রাজ্যের বিধানসভাতে তাংখুল নাগা নামের এক বিধায়ক এনআরসি-র দাবি তোলেন। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, মণিপুরের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা স্বার্থে সেখানে এনআরসি খুবই প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। জনবিন্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখতেই এনআরসি প্রয়োজন সে রাজ্যে এবং এই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে মণিপুরের (Manipur) সরকার। রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লিখেছেন এনআরসি করার বিষয়ে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলকে টেক্কা! যাদবপুরে প্রচার শুরু বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মণিপুরকে ১০টি ‘কিউআরএফ ভেহিক্যল’ বরাদ্দ কেন্দ্রের

    অন্যদিকে, মণিপুরের (Manipur) এমন অশান্তির আবহে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বজায় রাখতে দশটি ল্যান্ড মাইন্ড নিরোধক ‘কুইক রিঅ্যাকশন ফাইটিং ভেহিক্যল’ বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ১০টির মধ্যে ৭টি ভেহিক্যল রাজ্যে চলেও এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে শান্তি ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন বলে খবর। এই যানবাহনগুলি নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রভূত সাহায্য করবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। এবং যে কোনও দুর্গম জায়গাতে এবং সন্ত্রাস কবলিত এলাকাতে সহজেই নিরাপত্তারক্ষীরা পৌঁছাতে পারবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, আজই শাহজাহানকে হস্তান্তর, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, আজই শাহজাহানকে হস্তান্তর, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের মামলার (Sandeshkhali Case) তদন্তভার তুলে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এদিনই বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে ধৃত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। গত পাঁচ জানুয়ারি ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিট গঠনের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ন্যাজোট ও বনগাঁ থানার তিনটি অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশও রাজ্য পুলিশকে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্ত করবে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্ত নিয়ন্ত্রিত হবে সিজিও কমপ্লেক্স থেকেই।

    সিবিআই তদন্তের দাবি ছিল (Sandeshkhali Case) বিজেপির

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করে আসছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, “সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) সিবিআই তদন্তই হওয়া উচিত।” পঞ্চান্ন দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর শেষমেশ গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে রাখা হয় সিআইডি হেফাজতে। শাহজাহানকে গ্রেফতার করার দিনই ইডি জানিয়েছিল, তারা দ্রুত হেফাজত চাইবে শাহজাহানের। ইডিও প্রথম থেকেই দাবি করেছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। কলকাতা হাইকোর্টে তারা এ ব্যাপারে আবেদনও করেছিল।

    প্রাক কথন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা (পরে বহিষ্কার করা হয়) শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান। প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন শাহজাহান। তার পরেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Case) আক্রান্ত হওয়ার পরেই ইডি হাইকোর্টে জানিয়েছিল, রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই তাদের। তথ্য বিকৃতির আশঙ্কাও করেছিল তারা। আদালতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, “সন্দেশখালিরকাণ্ডের তদন্ত করানো হোক সিবিআই বা কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে।” ইডির সেই দাবিকেই এদিন মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পোর্টাল তৈরির পথে কমিশন, ভোটে অবৈধ লেনদেনে নজর রাখবে ইডি-আয়কর?

    Lok Sabha Election 2024: পোর্টাল তৈরির পথে কমিশন, ভোটে অবৈধ লেনদেনে নজর রাখবে ইডি-আয়কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওরকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে নারাজ জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটে (Lok Sabha Election 2024) নজরদারিতে এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির শরণাপন্ন হতে চলেছে তারা। মঙ্গলবার একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করার কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকের আগে ২২টি কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন।

    নির্বাচনে আর্থিক দুর্নীতি রোধে ব্যবস্থা

    সূত্রের খবর, এবার লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির দ্বারস্থ হতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটে কোনও কালো টাকা বা অবৈধ লেনদেন হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টির উপর নজরদারি চালাতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং আয়কর দফতর। তিনি বলেন, “সব কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনে আর্থিক দুর্নীতি আটকাতে এই পোর্টালের সাহায্য নেওয়া হবে।” নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য প্রাথমিক দায়িত্ব নিতে হবে ডিএম, এসপি এবং প্রাথমিক প্রশাসনিক স্তরের আধিকারিকদের। রাজনৈতিক দলগুলিকে পোর্টালের মাধ্যমে সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি সিটিজেন্স ভিজিলেন্স-এর সুযোগ থাকবে। যেখানে অভিযোগ জানানো যাবে। চাইলে কোনও কিছু ছবি তুলেও পাঠানো যাবে।

    শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই লক্ষ্য

    মঙ্গলবার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কথা শুনেছে কমিশন (Election Commission)। জানা গিয়েছে, সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিল তৃণমূল সহ মোট আটটি রাজনৈতিক দল। এদিন কী কী অভিযোগ জমা পড়েছে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন রাজীব কুমার। এদিন তিনি বলেন, ‘কত দফায় ভোট হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে জেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ করবে। তারা পদক্ষেপ না করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করব।’ অর্থশক্তির পাশাপাশি পেশিশক্তির ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। ভোট পূর্ববর্তী এবং ভোট পরবর্তী হিংসা রোখার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। 

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে ফের খুনের হুমকি! কী বলল দুর্বৃত্ত?

    বাংলার ১৪ তম পার্বণ নির্বাচন

    লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বাংলায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, একটি দল বাদে সব দলই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছে। পরিদর্শকদেরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। রাজ্যে এবার ৮০ হাজারেরও বেশি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। নতুন ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার। রাজ্যের অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে নজরদারি চালাতে সরাসরি ‘ওয়েব কাস্টিং’ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজীব। নির্বাচনকে ‘বাংলার ১৪ তম পার্বণ’ বলে উল্লেখ করে রাজীব বলেন,  “আমরা চাই উৎসবের মেজাজে ভোট দিক মানুষ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share