Tag: Madhyom

Madhyom

  • India-China Border: রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য! গালওয়ান সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখে ৬৮ হাজারের বেশি জওয়ান 

    India-China Border: রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য! গালওয়ান সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখে ৬৮ হাজারের বেশি জওয়ান 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ান সংর্ঘষের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-চিন (India-China Border) সেনা সংঘর্ষের পর যুদ্ধ প্রায় বেঁধে গিয়েছিল। ২০২০-র ১৫ জুন। গালওয়ান (Galwan) উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত-চিন সেনা। জানা গেছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার সামাল দেওয়ার জন্য ওই ঘটনার পর রাতারাতি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর। ৬৮ হাজারের বেশি সেনা জওয়ান, প্রায় ৯০টি ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র রাতারাতি আকাশপথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতীয় বায়ুসেনার মাধ্যমে। তাঁদের পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়। 

    ভারত-চিন বৈঠক

    ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ‘বিতর্কিত’ অংশে যুদ্ধাস্ত্র মজুত রাখা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে এখনও স্থির ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি নয়াদিল্লি। এই আবহে সেনার এই পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারত এবং চিনের শীর্ষ সেনা আধিকারিকেরা। সীমান্ত নিয়ে ১৯তম এই বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে সেনা সূত্রের খবর। ভারতের তরফে এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে ‘সেলফি’! ১০,০০০ টাকা পুরস্কার, বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের

    বায়ুসেনার নজরদারি 

    রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে সূত্রের খবর, নজরদারি হিসেবে বায়ুসেনার সু-৩০ এমকেআই এবং জাগুয়ার যুদ্ধবিমানকে ব্যবহার করা হয়েছিল। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের কাজ ছিল তাদের। রিপোর্ট অনুযায়ী, খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাহিনী সহ অস্ত্রশস্ত্র পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মজুত করা হয়েছিল। প্রতিবেশী দেশ আক্রমণ করলে যাতে উপযুক্ত জবাব দেওয়া যায়, তারজন্য সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সংঘর্ষের পরেও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা থাকায়, ভারতীয় বায়ুসেনা চিনা কার্যকলাপের উপর বাজপাখি নজরদারি রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে দূরবর্তী পাইলট বিমান (আরপিএ) মোতায়েন করে। প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে আরও জানা গেছে গেছে যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মোট ৯ হাজার টন ওজন বহন করেছিল বায়ুসেনার বিমানগুলি। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে লালফৌজের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে মোতায়েন করা হয় মিগ এবং রাফাল যুদ্ধবিমান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Thane Hospital: থানের সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন রোগীর মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ 

    Thane Hospital: থানের সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন রোগীর মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানের (Thane Hospital) ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ হাসপাতালে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ তুলেছে রোগীর পরিবারেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের ডিনকে দুদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তানজি সাওয়ান্ত। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (CM Eknath Shinde)।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অধিকাংশ রোগীকে এই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অনেকের বয়স ৮০-এর ঊর্ধ্বে। ফলে হাসপাতালের (Chhatrapati Shivaji Maharaj Hospital) ওপর চাপ বেড়েছে। মৃত রোগীদের সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ১৩ জন, জেনারেল ওয়ার্ডের ৪ জন মারা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১০ জন মহিলা, ৮ জন পুরুষ। এঁদের মধ্যে ৬ জন থানে শহরের বাসিন্দা, ৪ জন কল্যাণ এলাকার, ৩ জন সাহাপুরের এবং ভিওয়ান্ডি, উলহাসনগর ও গোবান্দির একজন করে রয়েছেন। এছাড়া মৃত আরেক রোগী অন্য এলাকার বাসিন্দা এবং আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মৃত রোগীদের কেউ কিডনির সমস্যা, কেউ ক্রনিক প্যারালাইসিস, কেউ আলসার, কেউ সেপ্টিসিমিয়া-সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। আবার কেরোসিন পান করায় বিষক্রিয়ার জেরেও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাহুল গান্ধীকে জোর ধাক্কা মোদির, বলছে রিপোর্ট

    রাজনৈতিক টানাপড়েন

    এদিকে, এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও রাজনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে। এই হাসপাতাল থানে পৌরনিগমের অন্তর্গত। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা গোষ্ঠী এই পুরনিগমের ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী। অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। গত কয়েক দিনে ৫ রোগীর মৃত্যুর পরেও ‘প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি। প্রশাসনের তরফে অবশ্য গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানের পুর কমিশনার অভিজিৎ ভাঙ্গার। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে স্বয়ং এই ঘটনার নজরদারি করছেন। স্বাস্থ্য কমিশনের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটিতে জেলা কালেক্টর, পুরপ্রধান, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সহ মুম্বইয়ের জে.জে হাসপাতালের দুই চিকিৎসক রয়েছেন। আগামী ২ দিনের মধ্যে এই তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs West Indies: ১৭ বছর পর! ক্যারিবিয়ানদের কাছে লজ্জার হার ভারতের

    India vs West Indies: ১৭ বছর পর! ক্যারিবিয়ানদের কাছে লজ্জার হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পঞ্চম তথা নির্ণায়ক টি-২০ ম্যাচে ৮ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া (India vs West Indies)। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের তোলা ১৬৫-৯ রান ৮ উইকেট বাকি থাকতেই তুলে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অপরাজিত ৮৫ রান করে নায়ক ব্রেন্ডন কিং। ভাল খেললেন নিকোলাস পুরানও। ভারতের কোনও বোলার দাগ কাটতে পারলেন না। এর ফলে ক্যারিবিয়ানদের কাছে পাঁচ ম্যাচের এই টি-২০ সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে হারল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৭ বছর পর ভারতকে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে পরাস্ত করল।

    পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল

    এই সিরিজের শুরু থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দল ‘এক্সপেরিমেন্ট’-এর পথে হেঁটেছিল। আর তাই প্রথম দুটো ম্যাচ হারতে হয়েছিল হার্দিক ব্রিগেডকে। গত দুটো ম্যাচে জিতে সিরিজে সমতা ফেরালেও রবিবার নির্ণায়ক ম্যাচে হারল ভারত।  ব্যর্থ সূর্যকুমার যাদবের অর্ধশতরান। পরের বছরের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে খেলতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু সিরিজের ফলাফল বোঝাল, এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই ব্যর্থ ভারত।

    আরও পড়ুন: এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতল ভারত, হকি দলকে শুভেচ্ছা জয় শাহের

    ম্যাচে দাপট ওয়েস্ট ইন্ডিজের

    এদিন টসে জিতে ভারতীয় দল ব্যাট করতে নামলেও শুরুটা তাদের ভাল হয়নি। যশস্বী জয়সওয়াল (৫) এবং শুভমান গিল (৯) তিন ওভারের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। সূর্য এবং তিলক বর্মা তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। অষ্টম ওভারে আউট হয়ে যান তিলক বর্মা। সঞ্জু স্যামসন (১৩) এবং হার্দিক পান্ডিয়া (১৪) বিশেষ নজর কাড়তে পারলেন না। ১৮ ওভারে সূর্যও আউট হয়ে ফিরে যান। আর্শদীপ সিং (৮) এবং কুলদীপ যাদব (০) ১৯ ওভারের মধ্যেই নিজেদের উইকেট খুইয়ে আসেন। অক্ষর প্যাটেল (১৩) শেষ ওভারে আউট হলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে রোমারিও শেফার্ড চারটে, আকিল হুসেন এবং জেসন হোল্ডার দুটো করে উইকেট শিকার করেছেন। 

    বল হাতে অবশ্য শুরুটা খারাপ হয়নি ভারতের। দ্বিতীয় ওভারেই মারমুখী কাইল মেয়ার্সকে তুলে নেন আর্শদীপ। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে চালিয়ে খেলতে থাকেন ব্রেন্ডন কিং এবং পুরান। ওখানেই ম্যাচ বেরিয়ে যায় ভারতের হাত থেকে। একমাত্র কুলদীপ যাদব রানের গতি কিছুটা থামান। তাঁকে খেলতে গিয়ে সমস্যা পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্রিকেটার। ভারতের আর কোনও বোলারকে খেলতে সমস্যা হয়নি। ছয় মেরে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন কিং। এদিন ম্যাচের শেষ পর্যায় তিলক  বর্মা ও যশস্বীকে দিয়ে বল করিয়ে চমকে দেন হার্দিক। তিসক সাফল্য পেলেও ম্যাচ ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পকেটে চলে গিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durand Derby: সাড়ে চার বছর পরে ডার্বি জয়! মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল

    Durand Derby: সাড়ে চার বছর পরে ডার্বি জয়! মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর পর ডার্বি জিতল ইস্ট বেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারাল লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের নায়ক নন্দকুমার শেখর। সাড়ে চার বছর পর নন্দকুমারের গোলে ডার্বি জয় লাল হলুদ শিবিরের। এর আগে টানা আটটি ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকেই তাগিদ স্পষ্ট ছিল ইস্টবেঙ্গলের। মোহনবাগান অনেকবার পেনাল্টি বক্সের কাছে পৌঁছলেও বক্সের ভিতরে ঢুকতে পারছিল না প্রতিবার। উগো বুমো কয়েকটা শট নেন বক্সের বাইরে থেকেই। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স বেশ জমাট দেখায় প্রথম থেকেই। উল্টো দিকে, ইস্টবেঙ্গল প্রথমার্ধেই কয়েকবার পৌঁছে গিয়েছিল গোলের কাছে। কখনও ডিফেন্ডাররা বের করে দেন। কখনও কিপার বাঁচান। তবে সাকুল্যে গোলের লক্ষ্যে শট ছিল মাত্র দুটি। মোহনবাগান ১১টা শট নিলেও তার বেশিরভাগই ছিল গোলের বাইরে। 

    ইস্টবেঙ্গলের অনবদ্য জয়

    আবেগের বড় ম্যাচে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে অনেকটাই এগিয়ে ছিল সবুজ মেরুন। অন্য দিকে, আন্ডারডগ তকমাই যেন অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গলের। বড় ম্যাচে কাউকেই এগিয়ে পিছিয়ে রাখা যায় না। এ বারও পরিস্থিতি অন্যথা হল না। সিলেবাসের বাইরে থেকে ইস্টবেঙ্গলের অনবদ্য জয়। শনিবার কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়লাভ করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ২৭ বছর বয়সি চেন্নাইয়ের ফুটবলার নন্দকুমার শনিবারই প্রথম ডার্বি ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। ম্যাচের ৬০ মিনিটে তিনি ইস্টবেঙ্গল দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিলেন। জয়সূচক গোলও সেটাই। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি জয়ের নায়ক বললেন, “বলে বোঝাতে পারব না। এখানে আসার পর থেকেই সমর্থকদের উৎসাহ চোখে পড়ছে। আর আজকের মত পরিবেশে খেলা তো যে কোনো ফুটবলারের স্বপ্ন।”

    কোচ কুয়াদ্রাত অবশ্য টুর্নামেন্টের পরের ম্যাচের দিকে নজর দিচ্ছেন বেশি করে। জানালেন, সমর্থকদের জন্য খুব খুশি। গত দু বছর খুব একটা সাফল্য পায়নি ক্লাব তা সত্ত্বেও এই সমর্থন উৎসাহ দিয়েছে খেলোয়াড়দের। কুয়াদ্রাত আরও বলেন, মোহনবাগানের সামনে বড় টুর্নামেন্ট রয়েছে, সে কারণে হয়তো অনেক বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চেয়েছিল ওরা। আমি শুধু ফুটবলারদের বলেছিলাম কাউন্টার অ্যাটাক আর সেটপিস গুলো কাজে লাগাতে।

    আরও পড়ুন: গোল খেয়ে ধরাশায়ী জাপান! এশীয় হকির ফাইনালে ভারত

    অন্যদিকে , ডার্বিতে হার মেনে নিতে পারছেন না মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, ‘ইস্টবেঙ্গলকে অভিনন্দন। আটটা ম্যাচ পর তারা জয় পেল। এটা অত্যন্ত ভালো ওদের জন্য। ম্যাচের পর ম্যাচ একটা দল হারতে পারে না। একদিন না একদিন তো জিততেই হত। ওরা ভালো খেলেছে। আজ অনেক ভালো খেলেছে। আমরা যে খেলা খেলেছি তাতে জেতার যোগ্যতা ছিল না। ওরা অনেক ভালো ফুটবল খেলেছে।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • JP Nadda: হাওড়ায় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে জেপি নাড্ডা, কী করলেন?

    JP Nadda: হাওড়ায় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে জেপি নাড্ডা, কী করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে বঙ্গে এসে বিজেপির ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসুচীর অঙ্গ হিসাবে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের বাড়ি দেউলটি থেকে মাটি সংগ্রহ করলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জেলা পরিষদ সভাধিপতিদের নিয়ে হাওড়ার দেউলটির একটি হোটেলে এদিন সকালে একটি  কর্মশালার উদ্বোধন করেন নাড্ডা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে দুপুরে দেউলটিতে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে পরিদর্শনে আসেন জে পি নাড্ডা।

    ভিজিটার্স বুকে কী লিখলেন জে পি নাড্ডা (JP Nadda)?

    দেউলটিতে শরৎচন্দ্রের বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। “আমার মাটি আমার দেশ” কর্মসূচির সূচনা করেন তিনি। সেই মাটি নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির কর্তব্যপথ বাগানে। এদিন দেউলটিতে এসে শরৎচন্দ্রের বাসভবনে, সেখানকার লাইব্রেরি রুমে ঘুরে দেখেন তিনি। সেখানকার ভিজিটার্স বুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখেন তিনি। তিনি লেখেন ‘আজ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহান মানুষের নিবাস স্থানে আসতে পেরে নিজেকে খুবই সৌভাগ্য প্রাপ্ত মনে করছি। এই জায়গা থেকে অনেক প্রেরণা পেলাম।’ তিনি প্রথমে ওই বসতবাড়িতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর তিনি ওই বাসভবন চত্বরে একটি আম গাছ রোপণ করেন। পরে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রূপনারায়ণ নদীতীরে এই বাড়িতে যে কক্ষতে বসে তাঁর সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছিলেন সেই ঘর পরিদর্শন করেন। এরপর জেপি নাড্ডা আরেকটি কক্ষে গিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত জিনিসগুলো পরিদর্শন করেন। পরে, ওই বাড়ির দোতলার ঘরগুলিও তিনি ঘুরে দেখেন। দোতলা বাড়ির বারান্দাতে উঠে উপস্থিত সমর্থক মানুষদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, অনুপম হাজরা, রাঁচির মেয়র আশা লাকড়া, অমিত মালব্য, বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন সেখানে এক জাতীয় পতাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন নাড্ডা। জে পি নাড্ডার সফর উপলক্ষে দেউলটির সামতাবেড়ে শরৎচন্দ্রের বসতবাড়ি এলাকাকে সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। দুপুরে জে পি নাড্ডা সেখানে আসেন। ১.৪০ নাগাদ তিনি দেউলটি আসেন। প্রায় আধ ঘন্টা ছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Criminal Laws: চাকরি, বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেক্স ‘অপরাধ’! নয়া বিলে প্রস্তাব কেন্দ্রের

    Criminal Laws: চাকরি, বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেক্স ‘অপরাধ’! নয়া বিলে প্রস্তাব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিচয় লুকিয়ে কোনও মহিলাকে বিয়ে করলে বা চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তাকে ‘অপরাধ’ বলে গণ্য করা হবে। প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) আইনে সেই সুপারিশই করা হয়েছে। যে প্রস্তাবিত আইন ঔপনিবেশিক আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে কার্যকর করা হবে বলে শুক্রবার সংসদে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    কী বলা হয়েছে নয়া বিলে

     ১৮৬০-এর আইপিসি-র পরিবর্তে জায়গা করে নিতে পারে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ (BNS) বিল। শাহ বলেন, ‘মহিলাদের উপর অপরাধ সংক্রান্ত আইনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং তাঁরা যেসব সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা এই বিলে তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রথম বিয়ে-চাকরি-প্রোমোশনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়ে করলে তাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। ‘  ওই প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, পরিচয় লুকিয়ে কোনও মহিলাকে বিয়ে করলে সেটাও অপরাধের আওতায় নিয়ে আসা হতে চলেছে। 

    আরও পড়ুন: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    এমনিতে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ নতুন নয়। পুলিশে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালতেও গড়ায় একাধিক মামলা। কিন্তু ভারতীয় দণ্ডবিধিতে সেই বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও ধারা নেই। প্রস্তাবিত আইনে সেই বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ওই বিলে বলা হয়েছে, ‘প্রতারণামূলক উপায় বা প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনওরকম উদ্দেশ্য ছাড়াই কোনও মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া, তাঁর সঙ্গে সহবাস করা এবং যেরকম যৌনসম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি ধর্ষণের আওতায় আসে না, সেরকম ক্ষেত্রে (অপরাধীর) ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে এবং জরিমানাও দিতে হবে।’প্রতারণামূলক উপায়’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, সেটাও ওই প্রস্তাবিত আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, ‘প্রতারণামূলক উপায়’-র আওতায় পদোন্নতি বা চাকরির ভুয়ো প্রতিশ্রুতি, প্ররোচনা বা ‘পরিচয় গোপন করে বিয়ের’ বিষয়গুলি রাখা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের পুলিশ হেফাজত, কী বলছেন স্বপ্নদীপের বাবা-মা?

    JU Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের পুলিশ হেফাজত, কী বলছেন স্বপ্নদীপের বাবা-মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে (JU Student Death) তোলপাড় সারা রাজ্য। স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর অভিযোগ যে তাঁর ছেলেকে হস্টেলে খুন করা হয়েছে। তদন্তে নেমে স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর যাদবপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সৌরভ চৌধুরী নামে এক প্রাক্তনীকে। ধৃত সৌরভকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। এদিন বিচারক তাকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের নিচে সম্পূর্ণ রক্তাক্ত অবস্থায় উলঙ্গ স্বপ্নদীপকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু (JU Student Death) হয় বলে জানা যায়।

    কী বলছেন স্বপ্নদ্বীপের বাবা?

    অন্যদিকে সৌরভ চৌধুরীর গ্রেফতারির পর স্বপ্নদীপের বাবা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘‘সৌরভকে ধরা হয়েছে শুনে আমি খুব খুশি। আমি বিভিন্ন সোর্স থেকে খবর পাচ্ছি যে ওরা বাইরের লোককে ডেকে এনে হস্টেলে নতুন ছাত্রদের উপর শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং অত্যাচার করতো। সৌরভের মতো কয়েকজনকে ধরা হলে আমার কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। আমি চাই খুনিরা (JU Student Death) উপযুক্ত শাস্তি পাক। এদের ফাঁসি হোক। যাতে দ্বিতীয় কোন স্বপ্নদীপের স্বপ্ন না ভেঙে যায়। আর কোনও বাবা যেন এত আর্তনাদ না করে। ছেলে হারানোর আর্তনাদ কী, আমি জানি। আমাদের হীরের টুকরো হারিয়ে গিয়েছে।’’ 

    স্বপ্নদীপের মায়ের বিবৃতি

    শোকে আচ্ছন্ন রয়েছেন স্বপ্নদীপের মা স্বপ্না কুণ্ডু। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার ছেলে কারও কষ্ট দেখতে পারতো না। আর ওকে ওরা খুন (JU Student Death) করলো।’’ স্বপ্নদীপের মা এদিন আরও বলেন, ‘‘আমি সেদিন রাতে যেতে চেয়েছিলাম। সৌরভ আমাকে ফোন করে বললো, না সকালে আসুন। কিন্তু আমার ছেলে বারবার বলছিলো মা খুব ভয় করছে। আমাকে নিয়ে যাও। সৌরভ ফোনে এও বলে, স্বপ্নদীপ ওপরে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছে, কোনও চিন্তা করবেন না।’’

    এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস হওয়ার পরেও সৌরভ চৌধুরী কিভাবে হস্টেলে থাকতে পারলো? কেন ঘটনার দিন, রাতে পুলিশকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল? তবে কি সত্যিই এমন কিছু ঘটেছিল, যা চাপা দেওয়ার জন্যই এই কাণ্ড করল হস্টেলের প্রাক্তনীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Medinipur: ঘুরতে গিয়ে আক্রান্ত চিকিৎসক, অপহৃত বান্ধবী! শুনুন হাড়হিম করা ঘটনা

    Medinipur: ঘুরতে গিয়ে আক্রান্ত চিকিৎসক, অপহৃত বান্ধবী! শুনুন হাড়হিম করা ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে এসে অপহৃত তরুণী। চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করে, নার্সিং পড়ুয়া ওই চিকিৎসকের বান্ধবীকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক ভর্তি মেদিনীপুর (Medinipur) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রায় ছয় ঘণ্টার চিরুনি তল্লাশির পর গ্রামবাসীদের তৎপরতায় উদ্ধার হয় তরুণী। হাড়হিম করা ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।

    কোথায় ঘটনা ঘটল (Medinipur)?

    শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর (Medinipur) হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের এক হাউস স্টাফ চিকিৎসক তাঁর বান্ধবী নার্সিং পড়ুয়াকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ফুলপাহাড়ী ড্যামে। সন্ধ্যার মুখে হঠাৎই মোটরবাইকে করে মুখে গামছা বেঁধে দুই ব্যক্তি হাজির হয় সামনে। প্রথমে চিকিৎসকের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল এবং পকেটে থাকা টাকা। এরপর বেধড়ক প্রহার করা হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় সাহায্যের জন্য যখন চিকিৎসক চিৎকার শুরু করে, আর ঠিক তখনই তরুণীকে নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুই দুষ্কৃতীরা। এরপর গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খবর দেয় গুড়গুড়িপাল থানায়। রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসককে উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন ওঁই চিকিৎসক।

    পুলিশের ভূমিকা

    ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশকে খবর দিলে, ঘটনাস্থলের চারপাশে কার্যত চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে (Medinipur) পৌঁছায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ একাধিক ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। মেদিনীপুর পুলিশ লাইন থেকে নিয়ে আসা হয় বিশাল বাহিনী। আশেপাশের প্রতিটা গ্রামে তন্নতন্ন করে খোঁজা হয় তরুণীকে। প্রায় ছয় ঘণ্টা তল্লাশির পর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ স্থানীয়দের তৎপরতায় জঙ্গল লাগোয়া একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় তরুণীকে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও শারীরিকভাবে সুস্থ অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয় তরুণীকে। প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করে তরুণীকে ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। জেলা পুলিশের ডিএসপি ওয়াই কাদেরির দাবি, কিভাবে ঘটলো এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    ঘটনার পর এলাকাবাসীদের দাবি, রাত বাড়লেই ফুলপাহাড়ী (Medinipur) ড্যামে বাড়ছে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। বাড়ছে অসামাজিক কাজ। অবিলম্বে ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছে এলাকাবাসীর তরফে। যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে এখনও পর্যন্ত আটক কিংবা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটারের দূরত্বে এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো? তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। হাড়হিম করা এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে মেদিনীপুর শহরজুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi (Amendment) Bill: ‘দিল্লি অধ্যাদেশ বিল’ পরিণত হল আইনে, সই করলেন রাষ্ট্রপতি

    Delhi (Amendment) Bill: ‘দিল্লি অধ্যাদেশ বিল’ পরিণত হল আইনে, সই করলেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বাদল অধিবেশনেই সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়েছিল দিল্লি অধ্য়াদেশ বিল। এবার রাষ্ট্রপতির দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেন ‘জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩’-এ (Delhi Amendment Bill)। রাষ্ট্রপতি এই বিলে সই করতেই তা আইনে পরিণত হল। এর ফলে দিল্লির আমলা নিয়োগ এবং বদলি সংক্রান্ত সব কিছু  সিদ্ধান্তই এবার নিতে পারবে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিলের (Delhi Amendment Bill) পাশাপাশি লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাস হওয়া ‘ব্যক্তিগত ডিজিটাল ডেটা সুরক্ষা বিল’,  ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংশোধন বিল’, ‘জনবিশ্বাস বিল’ এই বিলগুলোতেও সই করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল যে দিল্লি অর্ডিন্যান্সের সংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি যাচাই করা হবে সংসদের অধিকারের সীমাও।  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়েছেন দিল্লিতে সুষ্ঠু পরিষেবার স্বার্থে এই আইনের প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, দিল্লির সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ক্ষমতা এর ফলে কেন্দ্রের হাতেই থাকল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতদিন দিল্লির পুলিশ-প্রশাসন কেন্দ্র সরকারের হাতে ছিল। কেননা দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (Delhi Amendment Bill)। কিন্তু দিল্লি বিল আইনে পরিণত হতেই অনেকটাই ক্ষমতা খর্ব হল আম আদমি পার্টি সরকারের, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: ‘অমৃত বাটিকা’য় থাকবে নেতাজির পৈত্রিক ভিটের মাটিও, কেন জানেন?

    বিলের ইতিবৃত্ত   

    গত ১ অগাস্ট লোকসভায় ‘জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩’ পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ধ্বনিভোটের মাধ্যমে এই বিল পাস হয় লোকসভায়। পরবর্তীকালে চলতি মাসের ৭ তারিখের রাজ্যসভাতেও আনা হয় দিল্লি অধ্যাদেশ বিল (Delhi Amendment Bill)। এখানেও বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১৩১টি এবং বিপক্ষে ভোট দেন ১০২ জন সাংসদ। দুই কক্ষে পাশ হয়ে যাওয়ার পর অপেক্ষা ছিল কেবল রাষ্ট্রপতি সইয়ের। এবার সেটাও হয়ে গেল। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • PM Modi: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    PM Modi: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার এই সম্মেলনে মোদির মুখে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শোনা গেল বাংলার শাসকদলের কড়া সমালোচনা। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে গত ৮ জুলাই শুধু খুনোখুনি, ভোটলুট এবং বিরোধীদের উপর অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মোদি।

    বাংলার বিজেপি কর্মীদের কুর্নিশ

    শনিবার বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ’ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কার্যকর্তারা ভারতমাতার জন্য, পশ্চিমবঙ্গের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, পশ্চিমবঙ্গের ভাইবোনের জন্য সংঘর্ষ করছেন, তা এক প্রকার সাধনার সমান। নিজেদের তিল তিল করে নিংড়ে যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের পুরনো বৈভব ফেরানোর চেষ্টা করছেন, তা কুর্নিশযোগ্য।’’ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা (Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের কর্মীদের ক্ষমতা ও কাজের এক্তিয়ার বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  বলেন, “জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ রাজ্যের ক্য়াবিনেটের থেকেও বেশি ক্ষমতা রাখেন, অনেক কাজ করতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    ভোট প্রহসন তূণমূলের

    প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতেও দেওয়া হয়নি। হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে পঞ্চায়েত স্তরের বিজেপি নেতা-কর্মীদের। ভয়ে কেউ কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘শুধু যে বিজেপি কার্যকর্তাদের ধমকেছে এমন নয়, ভোটারদেরও ভয় দেখিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের যে সমর্থক এবং তাঁদের আত্মীয় আছেন, তাঁদেরও বাঁচা মুশকিল করে দেওয়া হয়েছে। আর তার পর ভোটের সময় ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। তখন তোলাবাজদের ফৌজ ছাপ্পাবাজের ফৌজ হয়ে যায়। সব গুন্ডাদের ভাড়া করা হয়, কী ভাবে এবং কোন কোন বুথ কে দখল করবেন তা ঠিক করে ফেলা হয়। তার পর ভোটের মেশিন নিয়ে পালানো… এবং এখানেই শেষ নয়। ভোটগণনার সময়েও বিজেপির কার্যকর্তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের গণনাকেন্দ্রের কাছে থাকতে না দেওয়া— এত জুলুমের পরেও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছেন।’’ 

    শনিবারই জি২০-র দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতি সম্পদের ব্যবহারকে প্রভাবিত করে। বাজারকে বিকৃত করে। পরিষেবা সরবরাহকে প্রভাবিত করে এবং শেষ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share