Tag: Madhyom

Madhyom

  • Primary Recruitment: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    Primary Recruitment: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের  (Calcutta High Court) নির্দেশ সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, হাইকোর্ট চার মাস আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হয়ে গেলেও এখনও কাউকে চাকরি দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য

    এনসিটিই-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্নাতক স্তরে উপযুক্ত নম্বর থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেয়নি পর্ষদ। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মোট ৭৪ জন চাকরিপ্রার্থী। এনসিটিই-র গাইডলাই অনুযায়ী ৪৫ শতাংশ নম্বর দরকার স্নাতর স্তরে। ওই আবেদনকারীদেরও ৪৫ শতাংশ নম্বর ছিল। কিন্তু অভিযোগ, পর্ষদ বলেছিল স্নাতক স্তরে ৫০ শতাংশ দরকার। এনসিটিই-র সেই গাইডলাইন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলার শুনানিতে গত ১০ এপ্রিল তাঁদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। তাঁর নির্দেশ ছিল, মামলাকারীদের তথ্য যাচাই করে জুন মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। কিন্তু সেই জুন পেরিয়ে জুলাইও শেষ হয়ে গেল। অথচ, ওই ৬২ জনের এখনও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এমন অবস্থায় তাই এবার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এনেছেন ওই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    গত ২৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, তথ্য যাচাই করে মামলাকারী ৭৪ জনের মধ্যে ৬২ জনকে প্রাথমিকের শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে শূন্যপদের তালিকাও চাওয়া হয়েছে। তালিকা এলেই তাঁদের শীঘ্রই নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানায় পর্ষদ। তার মধ্যেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Guinness World Records: মাথা দিয়ে ১ মিনিটে ২৭৩টি আখরোট ভাঙলেন! গিনেস বুকে ভারতীয় যুবক

    Guinness World Records: মাথা দিয়ে ১ মিনিটে ২৭৩টি আখরোট ভাঙলেন! গিনেস বুকে ভারতীয় যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন ভারতীয় তাঁর নিজের মাথা দিয়ে ২৭৩টা আখরোট ভেঙে বিশ্বরেকর্ড করলেন। রীতিমতো সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে শোরগোল পড়েছে সামজিক মাধ্যমে। আখরোট ভেঙে বিশ্বরেকর্ড গড়া এই যুবকের নাম নবীন কুমার। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের (Guinness world records) ট্যুইটার থেকে সেই আখরোট ভাঙার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজারের উপর মানুষ এই ভিডিও দেখেছেন। কেউ কেউ ভিডিও দেখে লিখেছেন, এটা কি সত্যই বাদাম!

    কীভাবে বিশ্ব রেকর্ড করলেন (Guinness world records)?

    একটি লম্বা টেবিলের উপরে সারিসারি আখরোট রেখে নিজের মাথা দিয়ে ঝড়ের গতিতে ভেঙে চলেছেন। এই দৃশ্য দেখে দর্শকরা রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন। কীভাবে সম্ভব হয়েছে! তাও আবার মানুষের মাথা দিয়ে এই বাদাম ভাঙার কাজ! মাত্র ২৭ বছরের নবীন কুমার গড়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪.৫টা করে আখরোট ভাঙার নজির গড়েছেন। এর আগে পাকিস্তানের মহম্মদ রশিদের রেকর্ড ছিল ২৫৪টি আখরোট ভাঙার। যদিও মহম্মদ প্রথম বারেই সাফল্য পানিনি, ২০১৪ সালে ভেঙে ছিলেন ১৫০টি এবং এরপর আরও পরিশ্রম করে ২০১৬ সালে ভেঙে ছিলেন ১৮১টি আখরোট। ২০১৮ সালে ইতালিতে যখন প্রতিযোগিতা হয়েছিল, সেই সময় নবীনের বয়স ছিল মাত্র ২২। অপরে সেই সময় মহম্মদের বয়স ছিল ৩৬। মহম্মদ সেই বছর ২৫৪টি আখরোট ভেঙে বিশ্বরেকর্ড করলেও সেই বছর নবীনের আখরোট ভাঙার সংখ্যা ছিল ২৩৯টি। নবীন ২০১৭ সাল থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তিনি এই বিষয়ে বিশেষ অনুসরণ করতেন প্রভাকর রেড্ডিকে। প্রভাকরের কাছ থেকে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নেন নবীন। পাঁচ বছর পর আবার এই বছর নিজে পরিশ্রম করে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন এবং বিশ্বরেকর্ডের (Guinness world records) সাফল্য অর্জন করেন। নবীন তাঁর সাফল্যকে বলেন, “আমি এটা প্রমাণ করতে চাইছিলাম যে রেকর্ড ভাঙা যায়।”

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কী বলেছেন?

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Guinness world records) থেকে বলা হয়, প্রভাকর খুব ভালো ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করেছেন নবীনকে। নবীন এখন বিশ্বজয়ী। আগামী দিনে মহম্মদের করা অনেক রেকর্ডকে ভাঙতে সক্ষম হবেন তিনি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নিজের ট্যুইটে অভিনন্দন করে বলেছে, “নতুন বিশ্বরেকর্ড! নবীন কুমার মাত্র এক মিনিটে নিজের মাথা দিয়ে ২৭৩টি আখরোট ভেঙে বিশ্বসেরা নির্বাচিত হয়েছেন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: গাড়ি কেনাই কাল হল! হাওড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় দুই অধ্যাপিকা সহ তিনজনের মৃত্যু

    Howrah: গাড়ি কেনাই কাল হল! হাওড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় দুই অধ্যাপিকা সহ তিনজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই অধ্যাপিকাসহ তিনজনের। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই রোডে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া উড়ালপুলে। জখম যুবককে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়ির ভিতরে থাকা দুই অধ্যাপিকা সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। দু-জনেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ছিলেন। জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার বাসিন্দা নন্দিনী ঘোষ (৩৬) মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশা রায় (৩৩) দূরশিক্ষা বিভাগের পরিবেশ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক। মিশার বাড়ি সোদপুরে। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে গাড়িচালক বিশ্বজিত রায়ের(৩১)। বিশ্বজিতের বাড়িও উত্তরপাড়ায়।

    ঠিক কীভাবে দুঘর্টনা ঘটেছে?

    দুই অধ্যাপিকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোয়ার্টার রয়েছে। তবে, মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে গাড়ি করে যাতায়াত করতেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খড়্গপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেলারটি। উল্টো লেনে ছিল গাড়িটি। মেদিনীপুর থেকে নন্দিনীর গাড়ি করে তাঁরা হাওড়ার দিকে ফিরছিলেন। হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া উড়ালপুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেলারটি হঠাৎই ডিভাইডার টপকে পাশের লেনে চলে যায়। সেই সময় ওই লেনে কোলাঘাটের দিক থেকে আসছিল নন্দিনীদের গাড়িটি। ট্রেলারের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গাড়ির মধ্যে আটকে পড়েন চালক সহ তিন যাত্রী। খবর পেয়ে আসে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের নিয়ে আসা হয় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    নন্দিনী ঘোষের বাবা সুদীপ ঘোষ বলেন, এক সময় মেয়ে শ্রীরামপুর কলেজে পড়াত। পরে, সে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়। ট্রেনে যাতায়াত করত। কিন্তু, লকডাউনের সময় গাড়ি কিনেছিল। গাড়ি করে যাতায়াত করত। সঙ্গে সোদপুরের মিশা থাকত। সোমবার সকালে আমি নিজে হাতে টিফিন তুলে দিয়েছি। বিকেলের পর মেদিনীপুর থেকে বেরিয়ে ওর মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। রাত ৮ টার পর আর তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। প্রাক্তন আইপিএস হিসেবে তিনি লালবাজারে পুরানো সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই হাওড়ার (Howrah) পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কার্যত তিনি ভেঙে পড়েন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Biggest Statue: পুণের লাভাসায় বসতে চলেছে মোদির ২০০ মিটার উঁচু মূর্তি, উদ্বোধনের তারিখ প্রকাশ্যে

    Modi Biggest Statue: পুণের লাভাসায় বসতে চলেছে মোদির ২০০ মিটার উঁচু মূর্তি, উদ্বোধনের তারিখ প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুণের লাভাসা নগরে কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবথেকে উঁচু মূর্তি (Modi Biggest Statue) বসতে চলেছে। এই মূর্তিকে ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা। ডার্বিন প্লাটফর্ম ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (DPIL) সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মূর্তি বসানো হবে বলে জানানো হয়। এর আগে সোনার কয়েন দিয়ে ১৫৬ গ্রামের একটি মূর্তি গুজরাটে নির্মাণ হয়েছিল। কিন্তু পুণের এই মূর্তিটি আগামী ৩১ ডিসেম্বরে উন্মোচন করা হবে বলে জানা গেছে। এই মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে আমেরিকা, ইজরায়েল, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।

    মোদির এই মূর্তি কেমন হবে (Modi Biggest Statue)?

    ডার্বিন প্লাটফর্ম ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড সংস্থার অধিকর্তা অজয় হরিনাথ সিং এই মূর্তি বসানোর কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির এই মূর্তি (Modi Biggest Statue) হল ভারতের একতা এবং অখণ্ডতার বিশেষ প্রতীক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন। দেশের একতা এবং অখণ্ডতাকে নতুন দিশা দেখিয়েছেন। তাঁর অবদান দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।’’

     মূর্তির সঙ্গে আর কী থাকবে?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi Biggest Statue) এই মূর্তি, গুজরাটের তৈরি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তির থেকেও বেশি উঁচু হবে। গুজরাটে বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তিটি উচ্চতায় ছিল ১৮২ মিটার। আর লাভাসায় মোদির এই নবনির্মিত মূর্তির উচ্চতা হবে প্রায় ১৯০ থেকে ২০০ মিটার। এই মূর্তির নিচে নির্মাণ করা হবে একটি জাদুঘর। সেখানে প্রদর্শিত হবে ভারতের প্রাচীন ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের নানা চিত্র। এখানে থাকবে নতুন আধুনিক ভারতের একটি চিত্ররেখা। আগত দর্শক, পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ শিক্ষামূলক বিনোদনের ব্যবস্থাও রাখা হবে। এছাড়া, এই জাদুঘরে থাকবে নরেন্দ্র মোদির জীবন সংক্রান্ত নানান তথ্য ও  ছবির সংকলন। আগত দর্শকদের এই তথ্য চিত্র এবং ছবির নানান খণ্ডচিত্র অনুপ্রেরণা সঞ্চার করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। অন্যদিকে, চাকরি বিক্রি করে ৭১ জনের কাছ থেকে মোট ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) বিরুদ্ধে সিবিআই-এর (CBI) ২৪ পাতার চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য।

    গ্রেফতার চার শিক্ষক

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছে টাকা দিয়ে চাকরি কেনা চার শিক্ষককে (Teacher recruitment scam)। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত চার শিক্ষককে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়। তাঁদের ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিবিআই তার নথিতে উল্লেখ করেছে, গ্রেফতার হওয়া ওই চার শিক্ষক ঘুষের টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। সিবিআই আগেই দাবি করছিল যে, একাধিক প্রার্থীর বয়ান থেকে তাপসের টাকার লেনদেন প্রকাশ্যে এসেছে। তবে কে কাকে টাকা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। এদিন আদালতে সিবিআই তদন্তকারীরা যে নথি পেশ করেন, তাতে ওই চার শিক্ষকের নাম ছিল এবং নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই চার শিক্ষক টাকা দিয়ে চাকরি কেনেন।

    আরও পড়ুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কার থেকে কত টাকা

    সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ, চাকরি বিক্রি করে মুর্শিদাবাদের ৫ শিক্ষকের কাছ থেকে মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন তাপস মণ্ডল। এর মধ্যে ধৃত সায়গর হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। ধৃত জাহিরুদ্দিন শেখ, সৌগত মণ্ডল দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং ধৃত সীমার হোসেন চাকরি কিনতে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। চার্জশিটের ১ নম্বরে নাম থাকা আশিক আহমেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অযোগ্য শিক্ষককে। সোমবার সমন করে, এই ৪ শিক্ষককে আদালতে তলব করা হয়। তারপর আদালত কক্ষ থেকেই গ্রেফতার করে ৪ জনকে জেলে পাঠান আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ২১ অগাস্ট পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও শিক্ষককে এর আগে গ্রেফতার হয়নি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: জায়গা নেই, একটি বেডে দুজন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আতঙ্কে ২ রোগীর পরিজনরা

    Dengue: জায়গা নেই, একটি বেডে দুজন ডেঙ্গি আক্রান্ত! আতঙ্কে ২ রোগীর পরিজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলায় গত দুসপ্তাহের মধ্যে দুজন ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। জেলায় হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গির চোখ রাঙানিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সরকারি হাসপাতালে। নাজেহাল হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই তীব্র হওয়ায় বেডে জায়গা নেই রোগীদের। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের।

    রোগীর পরিবারের লোকজনেরা কী বললেন?

    গত কয়েক মাস ধরে গোটা জেলা জুড়ে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নাজেহাল অবস্থা। অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী পরিবার গুলিকে। বেডে জায়গা না থাকার কারণে মেঝেতেই শুয়ে চিকিৎসা চলছে অনেক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের। কিন্তু সেই একই চিত্র ধরা পড়ল শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। একটি ওয়ার্ডে রয়েছে চল্লিশটি বেড। আর ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি, তার মধ্যেও অন্যান্য রোগীদেরও চলছে চিকিৎসা। রোগীর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। কিন্তু, বাস্তবে এই হাসপাতালে কোনও পরিকাঠামোই নেই। ফলে, ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। আরও বেড সংখ্যা বাড়লে হয়তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হত রোগীদের। কিন্তু, সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই। ফলে, একটি বেডে দুজন আক্রান্তকে রেখেই চলছে চিকিৎসা। ফলে, হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসেও রোগীরা আতঙ্কিত রয়েছেন।

    কী বললেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা?

     হাসপাতলে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীদের বক্তব্য, দিনরাত এক করে আমরা কাজ করছি। কিন্তু, কিছুতেই সামাল দিতে পারছি না। এখন একটাই দুশ্চিন্তা আমাদের, প্রতিদিনই যেভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে রোগীদের সামলাতে গিয়ে নিজেরাও বেসামাল হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মুখে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan: ডার্বি নিয়ে চিন্তিত নই! ফুটবলারদের ফিট রাখাটাই আসল, দাবি মোহন-কোচের

    Mohun Bagan: ডার্বি নিয়ে চিন্তিত নই! ফুটবলারদের ফিট রাখাটাই আসল, দাবি মোহন-কোচের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানের জয়ের ধারা অব্যাহত। সোমবার কিশোরভারাতী স্টেডিয়ামে সবুজ মেরুন ব্রিগেড ২-০ গোলে হারালো পাঞ্জাব এফ সি কে। প্রথম গোলটি আত্মঘাতী। দ্বিতীয় গোলটি করেন হুগো বোমাস। এই জয়ের সুবাদে গ্রুপ শীর্ষে চলে গেল মোহনবাগান। যা শনিবার ডার্বির আগে ফেরান্দোর ফুটবলারদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।

    আক্রমণাত্মক ফুটবল

    তবে স্কোরলাইন থেকে যদি মনে হয় ম্যাচটা একতরফা হয়েছে তাহলে ভুল হবে। শুরুতে দুই দল একে অপরকে মেপে নেওয়ার চেষ্টা করে। তার মধ্যে গড়ে ওঠে কিছু বিক্ষিপ্ত আক্রমণ। মনবীরের ক্রস থেকে প্রথম গোলটি হয়। ডান দিক থেকে আসা ক্রসটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান পাঞ্জাব এফ সির মেলরয় আসিসি। বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায় (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধে  ব্যবধান বাড়ান হুগো বোমাস। বাঁ দিক থেকে বিপক্ষের বক্সে বল ভাসান লিস্টন কোলাসো। যা ধরে গোল করার চেষ্টা করেন বোমাস। কিন্তু পাঞ্জাবের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফিরতি বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি মোহনবাগনের তারকা স্ট্রাইকার।

    তবে বৃষ্টি ভেজা মাঠে পাসিং ফুটবল খেলতে বেশ সমস্যায় পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা। মোহনবাগান কোচ হুগো ফেরান্দো এই মরশুমে প্রথমবার বিদেশীদের মাঠে নামালেন। অভিষেক হল আনোয়ার আলিরও। মোহনবাগানের এই জয় প্রত্যাশিত। কারণ দল গঠনের ক্ষেত্রে এবার কার্পণ্য করেননি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে শক্তিশালী দল গড়ে তুলেছেন। নিয়েছেন দেশের প্রথম সারির এক ঝাঁক ফুটবলারকে।

    চিন্তামুক্ত নন কোচ ফেরান্দো

    তবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মোহনবাগান জয় পেলেও চিন্তামুক্ত থাকতে পারলেন না কোচ ফেরান্দো। গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পাঞ্জাব এফসি। ভাগ্য তাদের সহায় হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেও পারতো। জোয়ান মিরার শর্ট ক্রস পিসে লেগে প্রতিহত না হলে ব্যবধান কমাতে পারতো পাঞ্জাব। ৫৬ মিনিটে লুকাসের চকিত শট দক্ষতার সঙ্গে সেভ করেন মোহনবাগানে গোলরক্ষক বিশাল কেইথ। প্রিয় দলের জয় খুশির হাওয়া মোহনবাগান শিবিরে। সমর্থকদের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বি। অশ্বমেধ ঘোড়ার মতো ছুটছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। উল্টোদিকে ধুঁকছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ফেরান্দো জানেন ডার্বির গুরুত্ব কতটা অপরিসীম। তাই ছেলেদের চাপ মুক্ত রাখতে তিনি বলছেন, “আমি শুধু ডার্বি নিয়ে ভাবছি না। একইসঙ্গে কলকাতা লিগ এবং এফসি কাপকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই কারণেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে ছেলেদের। যাতে ক্লান্তি গ্রাস না করতে পারে। সামনে অনেক ম্যাচ। অবশ্যই ডার্বিকে বাড়তি প্রাধান্য দিতে হবে। তাই ফুটবলারদের ফিট রাখাটাও জরুরী।”

  • Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    সুশান্ত দাস

    চাঁদের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) নিজের গতি ও কক্ষপথের পরিধি দুই-ই কমিয়ে ফেলছে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ প্রথম কক্ষপথ বদল করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এইভাবে আরও চারবার এই একই প্রক্রিয়া চালানো হবে। যার শেষে চাঁদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। সেখান থেকে শুরু হবে চূড়ান্ত অবরতণের প্রক্রিয়া।

    পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী?

    কিন্তু, কীভাবে গতি কমানোর প্রক্রিয়া সম্ভব হচ্ছে? তা বোঝার আগে দেখে দেখে নেওয়া যাক উৎক্ষেপণের পর টানা ১৮ দিন ধরে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ঠিক কীভাবে নিজের কক্ষপথ ও গতি বাড়িয়েছিল মহাকাশযানটি (ISRO Moon Mission)। তাহলেই সহজ হবে গোটা বিষয়টি। ১৪ তারিখ উৎক্ষেপণের সময় চন্দ্রযান মডিউলকে পৃথিবীর থেকে ১৭০ কিলোমিটার (পেরিজি) x ৩৬ হাজার কিলোমিটার (অ্যাপোজি) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে স্থাপন করে এলভিএম-৩ রকেট। আগে দেখে নেওয়া যাক, পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী? যেমনটা বলা হয়েছে, কক্ষপথের আকার ডিম্বাকৃতি। অর্থাৎ, একটি চন্দ্রযান পৃথিবীর চারপাশে এমন একটি কক্ষপথে ছিল, যার দূরত্ব (পৃথিবী থেকে) একটি জায়গায় ন্যূনতম এবং ঠিক তার উল্টোদিকে বৃহত্তম। এই ন্যূনতম দূরত্বের অবস্থানকে বলা হয় পেরিজি (অর্থ- পৃথিবীর কাছে)। অন্যদিকে দীর্ঘতম দূরত্বের পয়েন্টকে বলা হয় অ্যাপোজি (অর্থ- পৃথিবীর দূরে)।

    গতি ও কক্ষপথ বদলের নেপথ্যে ‘পেরিজি ফায়ারিং’! সেটা কী?

    এই ভাবে পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে করেত কয়েক দিন অন্তর যখন ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ওই পেরিজি পয়েন্টে এসে পৌঁছত, তখন বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং করিয়ে তার কক্ষপথ বাড়িয়ে দেওয়া হতো। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় প্রথম আর্থ-বাউন্ড পেরিজি ফায়ারিং (Earth Bound Perigee Firing)। এটা সম্ভব হতো কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যে দিকে থাকত, ঠিক সেই দিকে তার মাথা থাকতো, আর রকেট ইঞ্জিন থাকতো লেজ বা পিছনের দিকে। রকেট ফায়ারিংয়ের ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের গতি বেড়ে যেত। এক কথায় তাকে কিছুটা বাড়তি ধাক্কা দিয়ে গতি বৃদ্ধি করে দেওয়া হতো, যার ফলস্বরূপ, কক্ষপথের পরিধিও বেড়ে যেত।

    পৃথিবীর বৃত্তে কেমন ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথ বদল?

    এই ফায়ারিং যেহেতু পেরিজিতে করা হতো, তাই পেরিজি-দূরত্বে খুব একটা হের-ফের না হলেও অ্যাপোজি-দূরত্ব অনেকটা বেড়ে যেত। যেমন, অরবিট রেইজিং ম্যানুভারের (Orbit Raising Maneuvre) ফলে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ১৭৩ কিমি x ৪১,৭৬২ কিমি। এর পর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যানুভারের পর ‘চন্দ্রযান ৩’ কক্ষপথের পরিধি হয় যথাক্রমে ২২৬ কিমি x ৪১,৬০৩ কিমি, ২২৮ কিমি x ৫১,৪০০ কিমি এবং ২৩৩ কিমি x ৭১,৩৫১ কিমি। শেষ তথা পঞ্চম ম্যানুভারে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ২৩৬ কিমি x ১,২৭,৬০৯ কিমি। পাঁচবার চক্কর কাটার পর, প্রয়োজনীয় গতি জোগাড় করা ‘চন্দ্রযান ৩’-কে গত ১ অগাস্ট নিক্ষেপ করা হয় চন্দ্র-বৃত্তে। এর পর প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত শনিবার চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘চন্দ্রযান ৩’। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। এবার তখন থেকে শুরু হয় উল্টো পদ্ধতি— অর্থাৎ গতি ও কক্ষপথের পরিধি কমানোর পালা। কী করে তা সম্ভব হলো?

    রিভার্স-গিয়ারে চাঁদের চারপাশে ঘুরছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কীভাবে?

    ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করানোর সময় এমনভাবে রকেট ফায়ারিং করা হয়, যাতে দিশা এক থাকলেও, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। অর্থাৎ, পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে এগনোর সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ছিল চন্দ্র-অভিমুখে। এবার মডিউলের মুখ বিপরীত দিকে থাকায় চাঁদের চারপাশে মহাকাশযান প্রদক্ষিণ করে চলেছে পিছন দিকে মুখ করে। এক কথায়, যেন ‘চন্দ্রযান ৩’ চাঁদের চারপাশে ঘুরে চলেছে ব্যাক বা রিভার্স-গিয়ারে। অর্থাৎ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যেদিকে রয়েছে, সেদিকে রয়েছে রকেটের ইঞ্জিন। এবার লুনার পেরিজি ফায়ারিং বা পেরিলিউন ফায়ারিং-এর (Perilune Firing) মাধ্যমে সীমিত সময়ের জন্য রকেট চালানো হচ্ছে। এর ফলে, রকেট ব্যাক-থ্রাস্ট দিচ্ছে মহাকাশযানকে। অনেকটা ব্রেক কষার মতো। ফলস্বরূপ, এইভাবে বারে বারে ধাক্কা খেতে খেতে গতি ও পরিধি কমিয়ে নিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এক কথায়, আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভারের ঠিক বিপরীত হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। কারণ, যে রকেট পৃথিবীর কক্ষে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর গতি বাড়াতে সাহায্য করছিল, তা এখন উল্টোভাবে রেট্রো-রকেটের ভূমিকা পালন করে গতি কমাতে সাহায্য করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জের! আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের জের! আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ শেষে দুর্যোগের ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal)উত্তর বাংলাদেশ সংলগ্ন এলাকায় ফের ঘূর্ণাবর্ত (Cyclone) তৈরি হয়েছে। অবস্থান বদল করে মৌসুমী অক্ষরেখা আপাতত বিহারের ভাগলপুর ও মালদার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। তার জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর।  

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত

    রবিবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছিল। সোমবার কলকাতা সহ জেলায় জেলায় দিনভর চলছে একটানা বৃষ্টি। কখনও ঝিরঝিরে, কখনও ইলশেগুঁড়ি, কখনও আবার প্রবল বর্ষণ জেলায় জেলায়। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আরও আট জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। সঙ্গে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগেবইবে ঝড়ো হাওয়া। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।  

    শহরে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে মঙ্গলবার ও বুধবারেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় মেঘলা থাকবে আকাশ । আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা মঙ্গলবার এবং বুধবারও সারাদিনে পর্যন্ত ৭ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। এদিনও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে তিলোত্তমা। সোমবার বৃষ্টি হয়েছে ১৫.১ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে কমেছে তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি

    বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় আজ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। মঙ্গলবারে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পার্বত্য এলাকা দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi : মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi : মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে ফের আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সরকারি মঞ্চ থেকেই বিরোধীদের বয়কটের ডাক দিলেন তিনি। রেলের ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের ভার্চুয়াল শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছিলেন সোমবার জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসে প্রগতি ময়দানে একইভাবে বিরোধীদের নিশানা করলেন তিনি। এদিন মোদি বলেন, ‘বিরোধীরা নিজেরা কোনও কাজ করবে না, অন্যদেরও করতে দেবে না। এক ভারত উন্নতির ভারতের পথে বাধা বিরোধীরা।’ আর এই সূত্র ধরে ফের সরাসরি বিরোধী জোটের নাম না-করে মহাত্মা গান্ধীর ‘কুইট ইন্ডিয়া’ স্লোগানের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘আজ দেশজুড়ে রব উঠছে, দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, পরিবারবাদ কুইট ইন্ডিয়া, তোষণের রাজনীতি কুইট ইন্ডিয়া।’

    প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ

    গত ক’দিন ধরে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন, বিরোধী জোটকে আক্রমণের সময়ে ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘আইএনডিআইএ’ বলে অভিহিত করতে অথবা অন্য কোনওভাবে বিরোধীদের কাজকর্মের সমালোচনা করতে। এদিন সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সরাসরি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কথা না-বললেও যেভাবে গান্ধীজির ‘কুইট ইন্ডিয়া’ স্লোগান তুলেছেন, তাতে বিরোধীরা স্পষ্টই বুঝতে পারছেন, মোদির আক্রমণের তির তাঁদের দিকেই। 

    ভোটব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বে উন্নয়ন

    এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ভোটব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বে উঠে উন্নয়নে প্রত্যয়ী। সেখানে বিরোধীরা নেতিবাচক রাজনীতি করছেন। না নিজেরা কিছু করবে, না অন্যদের করতে দেবে, এই চিন্তাভাবনা নিয়ে চলছেন বিরোধীরা।’ বিরোধীদের উদ্দেশে মোদির মন্তব্য, ‘৭০ বছরে নিজেরা ওয়ার মেমোরিয়াল করেনি। কিন্তু ওয়ার মেমোরিয়াল তৈরি হওয়ার পর থেকেই সমালোচনা করেছে। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনেরও বিরোধিতা করেছে। ভবিষ্যতের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে সংসদের আধুনিক ইমারত তৈরি হয়েছে। সংসদ গণতন্ত্রের প্রতীক। সরকার, বিরোধী সকলের প্রতিনিধিত্ব থাকে। বিরোধীরা তারও বিরোধ করেছে। সর্দার প্যাটেলের মূর্তি স্থাপনেরও সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।  

    আরও পড়ুন: বিক্ষিপ্ত অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে, মণিপুর সহ আট রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘আমরা এর ঊর্ধ্বে গিয়ে উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছি। সদর্থক রাজনীতি করছি। গোটা বিশ্ব ভারতকে দেখছে। নতুন ইতিহাসের সূচনা ঘটছে দেশে।’ মোদি এদিন বলেন, তাঁতিদের উন্নতির স্বার্থে সরকার অনেক কাজ করছে। তাঁতিদের আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য দেওয়া হয়েছে। ৩০ বছর বাদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার এসেছে। যা কঠিন চ্যালেঞ্জের স্থায়ী সমাধানের পথে পদক্ষেপ করছে। এটা বলে আসলে প্রধানমন্ত্রী ২৬টি বিরোধী দলের জোটকেই খোঁচা দিতে চেয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share