Tag: Madhyom

Madhyom

  • Moloy Ghatak: কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র, এবার যাবেন কি?

    Moloy Ghatak: কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র, এবার যাবেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। ভোট মিটলে যাবেন। এবার তাই পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই ফের একবার রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) দিল্লিতে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Scam) জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে তাঁকে দিল্লিতে হাজির হতে বলা হয়েছে। 

    ১২ বার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন মলয়?

    শেষবার ২০ ও ২৬ জুন তলব করা হয়েছিল মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak)। সেই সময় তিনি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন যে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ভোট মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। সেইমতো ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় এর আগে একাধিকবার আইনমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, কোনওবারই তিনি হাজিরা দেননি। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ১২ বার হাজিরা এড়িয়ে গেছেন তিনি। এবার তিনি কী করবেন, সেই দিকে নজর রয়েছে সকলের। 

    সিবিআইয়ের নজরেও মলয়

    এই মামলায় ইডির আগে, সিবিআইও জেরা করেছিল মন্ত্রীকে। মামলা তদন্তে সিবিআই বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। তারা পৌঁছে গিয়েছিল মলয়ের আসানসোলের বর্তমান বাড়ি, পৈতৃক বাড়িতে। এমনকী রাজভবনের মন্ত্রী কোয়ার্টারের যে ফ্লোরে মলয় (Moloy Ghatak) থাকেন সেখানেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। পরে, এই মামলায় ইডি-ও সামন্তরাল তদন্ত শুরু করলে, ডাক পড়ে মলয় ঘটকের। যে প্রেক্ষিতে, মন্ত্রীমশাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 

    এবার হাজিরা না দিলে কী পদক্ষেপ?

    শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, অন্তত ১৫ দিন সময় নিয়ে মন্ত্রীকে ডাকতে হবে। সেই মতো, ৫ জুন কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) মলয় ঘটককে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। তবে সেই ডাকে সাড়া দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। ১৯ জুন দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। এরপর ২৬ জুনও হাজিরা দেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) এবারও যদি হাজিরা না দেন, তাহলে কী আইনি পদক্ষেপ করা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জয়ীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট! পঞ্চায়েতের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

    Calcutta High Court: জয়ীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট! পঞ্চায়েতের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে কমিশনের ভূমিকা ‘খুব সন্তোষজনক নয়’, অভিমত হাইকোর্টের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election 2023) গণনাকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানিয়েছে, নির্বাচনে জয়ী সমস্ত প্রার্থীর ভাগ্য নির্ভর করবে আদালতে চলা মামলার ভবিষ্যতের উপর। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।

    চাঞ্চল্যকর নির্দেশ হাইকোর্টের

    বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat election 2023) সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে,কমিশন যাঁদের জয়ী ঘোষণা করেছেন, তাঁদের জয় মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের (Calcutta High Court) রায়ের পরেই চূড়ান্ত হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই। এই সময়ের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ, ব্যালট সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলার প্রেক্ষিতে জানায়, “কমিশনের ভূমিকা খুব সন্তোষজনক নয়। আজও তাদের কোনও অফিসার হাজির নেই বক্তব্য জানানোর জন্য। ৬৯৮ বুথে কীসের ভিত্তিতে পুনর্নির্বাচন হল তার ব্যখ্যা দিতে প্রস্তুত নয় কমিশন। আদালত এটা বুঝতে পারছে না কেন এত সতর্কতার পরেও গোলমাল ঠেকানো গেল না।”

    কমিশনকে  ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ

    আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছে, শান্তিপুর্ণ পরিস্থিতি যাতে বিঘ্নিত না হয় তা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। অথচ তাতে ব্যর্থ রাজ্য, এই অভিযোগ গুরুতর। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে এতদিন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা ঠিকঠাক পালন করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে আদালত। অ্যাডিশিনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যাবহারের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ উঠেছে তার কারণ কমিশনের অসহযোগিতা। নিরন্তর কমিশন অসহযোগিতা চালিয়ে গেছে। কোনও রকম তথ্য ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি। এরপরই ভোট এবং গণনার সময়কার বিভিন্ন জায়গার ভিডিও ফুটেজ কমিশনকে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, চলল গুলি, মৃত তিন আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    আদালতে অভিযোগ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে গণনা পর্বের মাঝেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাঙড়। বোমা-গুলির দাপটে এখনও পর্য়ন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে গণনা চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী প্রার্থী এবং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী গুরু কৃষ্ণ কুমার এদিন আদালতে বুথ দখল ও বুথ লুটের কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে বলেন, ব্যালট পেপার টেম্পারিং হয়েছে। ভোট লুট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়নি বহু বুথে। এমনকি গণনার দিনও অশান্তি হয়েছে বিভিন্ন গণনা কেন্দ্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GST Council Meet: খরচসাপেক্ষ অনলাইনে গেমিং, সস্তা হচ্ছে ক্যানসারের ওষুধ, সিনেমাহলে খাওয়া-দাওয়া

    GST Council Meet: খরচসাপেক্ষ অনলাইনে গেমিং, সস্তা হচ্ছে ক্যানসারের ওষুধ, সিনেমাহলে খাওয়া-দাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তা হচ্ছে ক্যানসার-সহ বিভিন্ন দূরারোগ্য ব্যধির ওষুধ। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে জিএসটি (GST) পরিষদের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানান, ক্যানসার, দূরারোগ্য ব্যধির ওষুধ এবং বিশেষ ধরনের চিকিৎসার জন্য খাবারের উপর জিএসটি আর থাকছে না। 

    সস্তা ক্যানসারের ওষুধ

    জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে একাধিক বিষয়ে কর-হার কমানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার হওয়া ওষুধের দাম। ক্যানসার ও ফুড ফর স্পেশাল মেডিক্যাল পারপাসে এতদিন ১২ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হত। যা থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি জনসাধারণের মুখে হাসি ফোটাবে সিনেমাহলে খাওয়া-দাওয়ার খরচের ক্ষেত্রে জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন সিনেমাহলের মধ্যে যে সমস্ত রেস্তোঁরা বা ফুডচেন রয়েছে তারা এতদিন খাওয়া বা পানীয়র জন্য ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করত। যা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে। এছাড়া রান্না না করা বা না ভাজা খাবার। সম্ভবত তা বলতে রেডি টু কুক খাবারের কথাই বোঝানো হচ্ছে। আগে এই সব খাবারের উপর ১৮ শতাংশ হারে পণ্য পরিষেবা কর ধার্য করা হত। তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া ইমিটেশন জরি তথা নকল জরির উপর পণ্য পরিষেবা কর বর্তমানের ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

    দামি অনলাইন গেম

    তবে, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই কেন্দ্রের তরফে অনলাইন গেমিং, ঘোড়া দৌড় ও ক্যাসিনোর উপরে ২৮ শতাংশ জিএসটি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন গেমিং, ঘোড়া দৌড়ের উপরে জিএসটি বসানোর পরিকল্পনা করছিল কেন্দ্র, অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, ২৮ শতাংশ জিএসটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের উপরে ভিত্তি করেই বসবে। কোন খেলায় দক্ষতার প্রয়োজন আর কোন খেলা ভাগ্যের জোরে জেতা যায়, তা আলাদাভাবে বিচার করা হবে না। এই সিদ্ধান্তের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রবল হতাশ অনলাইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রি। তবে জিএসটিতে এই বৃদ্ধি ‘নৈতিকতার ভিত্তিতে’ই করা হয়েছে, বলে দাবি কাউন্সিলের। 

    আরও পড়ুুন: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, চলল গুলি, মৃত তিন আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    কোন কোন জিনিসের দাম কমছে? 

    ১) ক্যানসারের ওষুধ এবং বিরল রোগের ওষুধের উপর কোনওরকম জিএসটি ধার্য করা হবে না। ফলে ওই ওষুধগুলির দাম কমবে। 
    ২) বেসরকারি সংস্থাগুলির স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পরিষেবায় জিএসটি কার্যকর হবে না। 
    ৩) রান্না না করা স্ন্যাকসের দামের উপর থেকে জিএসটি কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। যা আগে ১৮ শতাংশ ছিল। না ভাজা স্ন্যাকসের ক্ষেত্রেও একই হারে জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। 
    ৪) জরি সুতোর জিএসটি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা আগে ১২ শতাংশ ছিল, এখন তা পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে।
    ৫) কয়েকটি ক্ষেত্রে সিনেমা হলে খাবারের উপর জিএসটি কমে যাচ্ছে। ১৮ শতাংশ থেকে কমে পাঁচ শতাংশ করা হযেছে।

    কোন জিনিসের দাম বাড়ছে?

    এবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র অনলাইন গেমিং, হর্স রেসিং এবং ক্যাসিনোয় বাড়তি খরচ হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Iskcon: শ্রীরামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, নিষিদ্ধ হলেন ইস্কনের সন্ন্যাসী

    Iskcon: শ্রীরামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, নিষিদ্ধ হলেন ইস্কনের সন্ন্যাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার ইতিহাস এবং দুই শ্রদ্ধেয় ও পূজনীয় ব্যক্তিত্ব শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিজনক মন্তব্য করায় এবং ‘যত মত তত পথ’-এর অপব্যাখ্যা করায় ইস্কনের (Iskcon) দ্বারকার ব্রহ্মচারী সাধু এইচজি অমোঘ লীলা দাস প্রভুজিকে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করল ইস্কন। এমনকী প্রায়শ্চিত্ত করতে ওই সাধু এক মাসের জন্য যাচ্ছেন বৃন্দাবনে। এই সময়ে তিনি জনজীবন থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে গোবর্ধনে থাকবেন। ইস্কন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট  রাধারমণ দাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছেন। তিনি  বলেছেন, নিজের কৃতকর্মের জন্যে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন অমোঘ লীলা স্বামী।

    কী নিয়ে এত বিতর্ক?

    উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে এই অমোঘ লীলা ব্রহ্মচারীর (Iskcon) একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যাতে তাঁকে স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের একাধিক বক্তব্যের সরাসরি বিরোধিতা করতে দেখা যায়। এমনকী তিনি বাঙালি বিদ্বেষি কিছু কথাও বলেন। তিনি বলেন, মাছ খাওয়া আর সিগারেট খাওয়া এক জিনিস। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতা ও শ্রী রামকৃষ্ণের যত মত তত পথ নিয়ে বিদ্রুপ করেন। নবীন ব্রহ্মচারীর বক্তব্যে আহত হন বহু ভক্ত, ব্রহ্মচারী ও সন্ন্যাসী। গর্জে ওঠে বাংলা পক্ষ-সহ একাধিক সংগঠন। সবাই সেই হিন্দিভাষী ব্রহ্মচারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন। অতঃপর টনক নড়ে ইস্কনের।

    ক্ষমা চেয়ে নিল ইস্কন (Iskcon) 

    সংগঠনের পক্ষে রাধারমণ দাস জানান, ওই ব্রহ্মচারী (Iskcon) যা বলেছেন, সেটা একান্তই তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। ইস্কনের কোনও সমর্থন নেই। উলটে এই ধরনের বক্তব্য পেশ করার জন্য অমোঘ লীলা ব্রহ্মচারীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রায়শ্চিত্ত করতেও পাঠানো হচ্ছে। 
    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, শ্রী অমোঘ লীলা দাস যে মন্তব্য করেছেন, তা ইস্কনের মূল্যবোধ ও শিক্ষার পরিপন্থী। আমাদের সংস্থা সব আধ্যাত্মিক পথ এবং ঐতিহ্যের প্রতি সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধা প্রচার করে এসেছে। আমরা অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি যে কোনও ধরনের অসম্মান ও অসহিষ্ণুতার নিন্দা করি। আমরা ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।

    কে এই অমোঘ লীলা প্রভুজি (Iskcon) ?

    বছর ৪৩ এর পাঞ্জাবি অমোঘ লীলা প্রভুজি ইস্কনের (Iskcon) দ্বারকা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট। পূর্বাশ্রমের নাম আশিষ অরোরা। লখনউতে জন্ম। বাবা র-এর  আধিকারিক ছিলেন। সেই সুবাদে মিজোরাম, গ্যাংটক, দার্জিলিংয়ে স্কুল জীবন কেটেছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করে একটি মার্কিন বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতেন। ২৯ বছর বয়সে ইস্কনে যোগ দেন। ভাল কথা বলার সুবাদে প্রবচনকারী হিসাবে দ্রুত গুরুত্ব বাড়ে। কিন্তু তিনি মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ধর্মের অপব্যাখ্যা করেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ইস্কন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন’’, পঞ্চায়েত ফলাফলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন’’, পঞ্চায়েত ফলাফলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪-ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও চলছে পঞ্চায়েত ভোটগণনার (Panchayat Elections 2023) কাজ। ফলে, চূড়ান্ত ফল আসতে এখনও কিছুটা দেরি। তবে, তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। শাসক শিবির যে জিতছে, তা ধরে নিয়েই আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের এই জয়কে আমল দিতে নারাজ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কটাক্ষ, এটা যে জনমত নয়, তা সকলেই জানেন।

    ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘প্রশাসনের সঙ্গে মানুষ কীভাবে লড়বে। এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়। এবারের নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি আসন তৃণমূলের পাওযার কথা নয়। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়ায় বিজেপির জয় হতো। রাজ্যের পুলিশ কার্যত খোলাখুলি সমর্থন করল। আদালতে আমাদের লড়াই চলবে। বহু কাউন্টিং এজেন্ট বাড়ি ফিরতে পারছেন না ভয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দু-তিনবার ফোন করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা এটা নিয়ে ভাবিত নন, কারণ এটা যে জনমত নয় তা সকলেই জানেন।’’

    গণনা নিয়ে কী অভিযোগ বিরোধী দলনেতার?

    ভোট গণনা (Panchayat Elections 2023) নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। ব্যালট পেপার গোনা ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকলেও তৃণমূলের পক্ষে যাওয়া ব্যালট পেপারগুলি গৃহিত হয়েছে। আর তেমনই ব্যালটে যদি বিরোধীদের পক্ষে ভোট গিয়ে থাকে, তাহলে সেগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    এদিকে, তৃণমূলের জয় নিয়ে শাসকদলের নেতা হয়েও দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। তিনি বলেন “এরকম রক্তাক্ত করে জিতে কী হবে। জেতার জন্য খুন, লুট, পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গণনার দিন ময়নাতে বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ে গেল বৃদ্ধের

    Panchayat Vote: গণনার দিন ময়নাতে বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ে গেল বৃদ্ধের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) গণনার দিন ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোবরদান গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল এক ব্যক্তির হাত। ওই ব্যক্তির নাম গুরুপদ ভূঁইয়া (৬৪)। ব্যক্তির পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে বাঁশ বাগানে বাঁশ কাটতে গিয়েই এই বিপত্তি। সে সময় বাড়ির অদূরে একটি কাঠ রাখার জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটে । তাতে গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। গুরুপদর বাম হাতের কব্জি সম্পূর্ণভাবে উড়ে যায়। এছাড়াও কপাল এবং মাথাতে গুরুতর আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে তাম্রলিপ্ত গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ এসে প্রায় ৬টি বোমা উদ্ধার করেছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    কী বলছে গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে?

    গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বাবা বাঁশ কাটতে গিয়েছিল, সেখানেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাবার বাম হাতের কব্জি পুরো উড়ে গিয়েছে। মাথাতেও আঘাত লেগেছে।’’ যদিও তাঁর বাবা কোনও রকম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে।

    ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাস চলছে    

    ভোটের (Panchayat Vote) আগে থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ করে আসছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। ২ মাস আগে ময়নার বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেসময় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বার বার বিস্ফোরণও হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা এলাকায়। মঙ্গলবার গণনার দিনও বোমা বিস্ফোরণ ঘটল সেখানে। বিজেপির অভিযোগ, এলাকার দখল নিতে বার বার ইচ্ছাকৃত ভাবে অশান্তি পাকাচ্ছে শাসকদল। পঞ্চায়েত ভোটের সময় বাকচা-সহ ময়নার নানা জায়গায় অশান্তির খবর মিলেছে। গণনার দিনও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না।

    আরও পড়ুুন: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পরশু অর্থাৎ, ১৩ তারিখ ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৪ জুলাই, ফরাসি জাতীয় দিবস ‘বাস্তিল দিবস’-এর (Bastille Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রঁর পাশে বসে কুচকাওয়াজ দেখবেন তিনি, যাতে অংশ নিতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনা। 

    মোদির সফরেই রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি?

    ঠিক তার তিনদিন আগে, বড় খবর এল কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে। সোমবারই জানা গিয়েছিল, এবারের সফরে বড় সামরিক মউ হতে চলেছে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে। ওই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও দুটি ফরাসি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, মোদির এই সফরে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন তৈরির (Safran Jet Engine) করার বিষয়টিরও নিষ্পত্তি হতে পারে। আরও পড়ুন: ফ্রান্স থেকে ফের রাফাল, সাবমেরিন কিনবে ভারত!

    তেজস মার্ক-২ এর জন্য এফ-৪১৪ ইঞ্জিন চুক্তি সম্পন্ন

    দীর্ঘদিন ধরেই, ভবিষ্যতের দেশীয় যুদ্ধবিমানের জন্য উন্নতমানের বিদেশি জেট ইঞ্জিন জোগাড় করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ভারত। সম্প্রতি, সদ্য মার্কিন সফরের মধ্যেই এরকমই একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে দেশীয় যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কর্তারা। চুক্তি মোতাবেক, মার্কিন জেনারেল ইলেকট্রিকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এদেশেই তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মূলত ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য তৈরি হতে চলা তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হবে। আরও পড়ুন: সামরিক শক্তিকে মজবুত করতে বিশেষ ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতেই

    অ্যমকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ

    তবে, তেজস-এর পাশাপাশি, পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির কাজও এগিয়ে চলেছে ভারতে। এই যুদ্ধবিমান হল অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা সংক্ষেপে অ্যামকা। একইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে, নৌসেনার জন্য আরেকটি অধিক-শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়তে সক্ষম যুদ্ধবিমান যার নাম রাখা হয়েছে টুইন ইঞ্জিন ডেক-বেসড ফাইটার বা সংক্ষেপে টিইডিবিএফ (Jet Engine For AMCA)। ভারত চাইছে এই দুই যুদ্ধবিমানে জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিনের চেয়েও আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করতে। সেই তালিকায় দুটি ইঞ্জিন বাছাই করা হয়েছিল। একটি ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন ও দ্বিতীয়টি ইংল্যান্ডের রোলস-রয়েস। এখন কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, রোলস-রয়েসকে টপকে ফরাসি সাফরানকেই (Safran Jet Engine) হয়ত বাছতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর!

    সূত্রের খবর, ফরাসি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা সাফরান-এর তৈরি ইঞ্জিনটি (Jet Engine For AMCA) ১১০ কেএন (কিলো নিউটন) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। যা ভারী যুদ্ধবিমানকে অতি সহজেই প্রয়োজনীয় গতি ও ক্ষমতা দিতে পারবে। তবে, এই ইঞ্জিনকে বাছার এটাই একমাত্র কারণ নয়। জানা যাচ্ছে, ফরাসি সংস্থাটি ভারতকে কোনও গোপনীয়তা ছাড়া ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ইঞ্জিন দিতে রাজি। সম্প্রতি, সাফরানকে এই মর্মে অনুমতি দিয়েছে মাক্রঁ সরকার। যার পরই, সাফরানের তরফে, ভারতকে এই নিয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

    ভারতে তৈরি হবে সাফরানের নতুন ইঞ্জিন

    সূত্রের খবর, ফরাসি সংস্থার থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা অস্বীকার করা অত্যন্ত কঠিন। জানা যাচ্ছে, ভারতের জন্য একেবারে সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের ইঞ্জিন (Safran Jet Engine) ছাড়াও তৈরি করার যাবতীয় নতুন উপাদান, নতুন পরিকাঠামো দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে যন্ত্রপাতির পূর্ণ ভান্ডার। সর্বোপরি, গোটাটাই তৈরি হবে ভারতে। যা নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য। এক কথায়, এই নতুন ইঞ্জিনটি শুধুমাত্র ভারতেই তৈরি হবে। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ট্যাগ নিয়ে বাজারে আসবে। 

    ভারতে বড় বিনিয়োগে রাজি সাফরান

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, অ্যামকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন (Jet Engine For AMCA) ব্যবহার করতে উৎসাহী ভারত। এর পাশাপাশি, সাফরান বর্তমানে ১২৫ কেএন ইঞ্জিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ভবিষ্যতে, সেই ইঞ্জিনও ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও দুদেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। ইতিমধ্যেই, হায়দরাবাদে সাফরানের একটি কারখানা গড়ে উঠছে। সেখানে এয়ারবাস এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবিমানে ব্যবহৃত লিপ ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ হবে। এছাড়াও, ভারতে গ্যাস টার্বাইন তৈরির একটি কারখানা গড়ছে সাফরান। 

    যদিও এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভারতের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ডিআরডিও প্রধান সমীর ভি কামাত সম্প্রতি প্যারিসের সাফরানের কারখানায় গিয়েছিলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া প্যারিস এয়ার শো-তেও হাজির ছিলেন তিনি। এই প্রস্তাবটি বিষয়টি এখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আলোচনার অধীনে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, চুক্তি হওয়ার পর, এই ইঞ্জিনকে হাতে পেতে অন্তত ১০ বছর লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা নির্মিত হয়েছে”, সোমবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। আসলে, চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা ভুলে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান ৩-এর ইতিহাস লিখতে চাইছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-এর নকশা তৈরি করা হয়েছে ব্যর্থতাকে ভিত্তি করেই। 

    ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’ ঠিক কী?

    সাধারণত, অধিকাংশ মিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ‘সাফল্য-ভিত্তিক নকশা’। যা চন্দ্রযান ২-এর সময়ও করা হয়েছিল। এই নকশার ভিত্তি হল সাফল্য। অর্থাৎ, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ করলে, সফল হতে পারে একটি গোটা মিশন। অন্যদিকে, ব্যর্থতা-ভিক্তিক নকশা উল্টো পথে হাঁটে। এখানে দেখা হয়, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ না করলে, ব্যর্থ হতে পারে মিশন। এবার সেই ভুলগুলো শুধরানোর জন্য কী কী করা প্রয়োজন, যাতে ব্যর্থতার মুখ না দেখতে হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যর্থতার যাবতীয় সম্ভাব্য কারণগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হয়। এইভাবে একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা হয়। 

    ইসরো প্রধানের যুক্তি

    ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, “খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায় চন্দ্রযান-২ খুব কম পরিমাণেই আলোর তীব্রতা সহ্য করতে সক্ষম ছিল। আঘাত সইবার ক্ষমতাও ছিল কম। আমরা বিষয়টিকে মাথায় রেখে চন্দ্রযান-৩-কে তৈরি করেছি। চন্দ্রযান-২-এর নকশায় কী কী ভুল ছিল সেগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভুলগুলি শুধরে নিয়ে আমরা চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা প্রস্তুত করেছি। কী কারণে আমাদের আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল সেই বিষয় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারে কীভাবে চন্দ্রযান-৩-কে রক্ষা করা যায় তার উপায়গুলো খুঁজে বার করা হয়েছে।” চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করে রোভারকে স্থাপন করে গবেষণার কাজ চালাবে চন্দ্রযান-৩। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩-এর সাহায্যে উৎক্ষেপিত হবে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩-এ থাকছে প্রোপালশান, ল্যান্ডার, রোভার। ১৪ জুলাই দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩-কে। আশা করা হচ্ছে চাঁদের বুকে সেটি অবতরণ করবে ২৩ থেকে ২৪ অগাস্টের মধ্যে। 

    আরও পড়ুন: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    চন্দ্রযান-৩ নিয়ে আশা

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশন সফল হলেই চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান অবতরণকারীদের তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম তুলবে ভারত। জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাঁর কথায়, “চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ পরবর্তী চেষ্টা। চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ড করে রোভারকে স্থাপন করার ক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। চাঁদের কক্ষপথে যাতে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে সেভাবেই মহাকাশযানটিকে তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩-এর ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভারটি কাজ করা শুরু করবে। ১৪ দিন (পৃথিবীর ১৪ দিন চাঁদের ১ দিনের সমান) ধরে চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারে থাকা একাধিক ক্য়ামেরার মাধ্যমে হাতে আসবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal Helicopter Crash: নেপালে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা! নিহত ৫ বিদেশি পর্যটক সহ ৬

    Nepal Helicopter Crash: নেপালে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা! নিহত ৫ বিদেশি পর্যটক সহ ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় (Nepal Helicopter Crash) পাঁচ পর্যটকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মাউন্ট এভারেস্টের কাছেই। নিঁখোজ হওয়ার তিন ঘণ্টার মাথায় ৬টি মৃতদেহ এবং কপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাইভেট চপারটিতে সওয়ার ছিলেন চালক ছাড়া মেক্সিকোর ৫ পর্যটক। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পার্বত্য উপত্যকা সোলুকুম্ভুর লামজুরাতে।

    সকাল ১০:০৪ মিনিটে ওড়ে কপ্টারটি (Nepal Helicopter Crash)

    কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধিকারিক জ্ঞানেন্দ্র ভুল বলেন, ‘‘ সকাল ১০টা ০৪ মিনিটে হেলিকপ্টারটি রওনা হয় এরপর ১০:১২ নাগাদ সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ’’ মনে করা হচ্ছে হেলিকপ্টারটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়, পরবর্তীকালে একটি অন্য চপার পাঠানো হয় কিন্তু তাও ফিরে আসে খারাপ আবহাওয়ার কারণে। দুর্ঘটনাস্থলের স্থানীয় মানুষজন প্রশাসনকে জানিয়েছে, তারা একটি বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পায় দুর্ঘটনার সময়। সেদেশের উড়ান প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ যাত্রী নিহত হন

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের দুর্ঘটনায় ক্রু সমেত বিমানের ৭২ জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছিল। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বিমানে মোট ৫৩ জন নেপালি, ৫ জন ভারতীয়, ৮ জন রাশিয়ান, ১ আইরিশ, ২ জন কোরিয়ান এবং ১ জন করে আর্জেন্টাইন এবং ফরাসি নাগরিক ছিলেন। এর আগে ২০২২ সালেও নেপালে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মে মাসে একটি বিমান মুসতাং জেলার একটি পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ে। ঘটনায় মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফের কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৫ জনের। অপ্রশিক্ষিত চালক এবং পুরনো পরিকাঠামোর কারণেই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: বাংলায় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা! রাহুল গান্ধী চুপ কেন? প্রশ্ন সম্বিত পাত্রের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস! কোচবিহারের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অসমে, দাবি হিমন্তের

    Himanta Biswa Sarma: পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস! কোচবিহারের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অসমে, দাবি হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই হিংসা ও অশান্তির (Panchayat election chaos) ঘটনা লেগেই ছিল কোচবিহারে (Cooch Behar)। ভোটের দিন কোচবিহার জেলায় বুথের মধ্যেই খুন হয়েছেন স্থানীয় যুবক। এরপরই নাকি ভয়ে বহু মানুষ অসমে পৌঁছে গিয়েছেন। এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। 

    ট্যুইটবার্তা হিমন্তের

    হিমন্ত বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের জন্য প্রাণের ভয়ে গতকাল ১৩৩ জন অসমের ধুবরি জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাঁদের ত্রাণশিবিরে রাখার ব্যবস্থা করেছি। খাবার ওষুধ ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে।” ধুবরির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঝাপুসাবারির রণপাগলি এমভি স্কুলে ১৩৩ জনকে রাখা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।

    ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তীব্র অশান্তিতে বিধ্বস্ত বাংলা। একের পর এক রাজনৈতিক হিংসা, মারামারি, কাটাকাটি, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় প্রত্যেক জেলায় জেলায় ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও ব্যাপকভাবে এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন। তাঁদেরকেই আশ্রয় দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    ট্যুইটবার্তা শুভেন্দুর

    বিজেপি সমর্থকদের এই সহায়তা দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    তিনি ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “আমি অসমের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের অত্যাচারিত বিরোধী দল কর্মকর্তাদের ত্রাণ প্রদানের জন্য, বিশেষ করে বিজেপির যে সমর্থকরা, যাঁরা বারবার নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতার শিকার হন এবং অসম রাজ্যের কাছাকাছি থাকার কারণে, তাঁরা নিজেদের পরিবারের সাথে সেই রাজ্যে পাড়ি দেওয়া নিরাপদ বলে মনে করেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। দয়া করে আমার কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share