Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayat Vote: শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার করা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Vote: শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার করা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) বাকি মাত্র আর পাঁচদিন। ভোট ঘিরে একাধিক মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে। এমনই একটি অভিযোগ জমা পড়ে কোর্টে যে  শারীরিকভাবে অক্ষম হলেও ভোট গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের একাংশ এনিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সাফ নির্দেশ দিল, যাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম, তাঁদের কোনওভাবেই ভোটের পোলিং অফিসার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, এ ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনস্বার্থ মামলা করেছিল রাজ্যের শিক্ষানুরাগী যৌথ মঞ্চ। সোমবার মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এদিন  কমিশনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘‘এই ভোটের কাজে প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা উচিত নয় কমিশনের।’’

    ভোট কর্মীর অভাব

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে শাসক দল, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। একাধিক বিষয়ে মামলা জমা পড়েছে আদালতে। এর মধ্যে ভোটের দফা বৃদ্ধির আবেদন করেছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। ভোট যদি একদফায় হয় তবে তা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে শুক্রবারের মধ্যেই বুথে বুথে পোলিং অফিসার পাঠাতে হবে কমিশনকে। কমিশনের অন্দরের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে সরকারি কর্মীর নাকি পর্যাপ্তভাবে মিলছে না। তাই, নির্বাচনের কাজে শারীরিক প্রতিবন্ধী সরকারি শিক্ষকদেরও পোলিং অফিসার করার কথা চিন্তা করে কমিশন। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে তা আর সম্ভব হলনা।

    ৮০ শতাংশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদেরও ভোট কর্মী করেছিল কমিশন

    ভোট কর্মী হিসেবে ডাক পাওয়া সরকারি শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, পোলিং অফিসার করতে চেয়ে এর আগেও লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে এই ভাবেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল প্রতিবন্ধী সরকারি শিক্ষকদের। এ বারও সেই একইকাজ করা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ৬০, ৭০ এমনকি ৮০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের পঞ্চায়েত ভোটে পোলিং অফিসার করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর বিরুদ্ধে প্রথমে তাঁরা স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হন। কিন্তু এখানে সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন না তাঁরা। কারণ, এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কথা জানানো সত্ত্বেও পোলিং অফিসারের কর্তব্য থেকে অব্যাহতি পাননি সরকারি শিক্ষকেরা। সোমবার অবশ্য আদালত সেই সমস্যার সমাধান করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Srijita Dey: পাত্র জার্মান ব্যবসায়ী! সাত পাকে বাঁধা পড়লেন বাঙালি অভিনেত্রী সৃজিতা

    Srijita Dey: পাত্র জার্মান ব্যবসায়ী! সাত পাকে বাঁধা পড়লেন বাঙালি অভিনেত্রী সৃজিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানির একটি চার্চে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন বাঙালি অভিনেত্রী সৃজিতা দে (Srijita Dey)। যদিও বাংলার চেয়ে মুম্বইয়ের টেলি ধারাবাহিকের জগতে বেশ পরিচিত সৃজিতা।  ‘উত্তরণ’ থেকে ‘বিগ বস’ বাংলার মেয়েকে হিন্দি ধারাবাহিকের দর্শক চেনেন বেশ অনেক বছর ধরেই। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন সৃজিতা। সৃজিতার জার্মান স্বামী মাইকেল ব্লোম পাপে পেশায় একজন ব্যবসায়ী। 

    জার্মান চার্চে বিয়ে

    হিন্দি টেলিভিশনে সৃজিতার (Srijita Dey) প্রথম কাজ ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’-তে। তার পর একে একে ‘উত্তরণ’, ‘করম আপনা আপনা’, ‘অন্নু কি হো গেয়ি ওয়াহ ভাই ওয়াহ’-তে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় মাইকেল ব্লোম পাপের। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এরপর বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। আগেই নায়িকা জানিয়েছিলেন একবার খ্রিস্টান এবং আরেকবার বাঙালি মতে বিয়ে করবেন তিনি।  লাল বেনারসির বদলে সাদা গাউনে দেখা গেল তাঁকে। মাথায় ছিল মাটি ছোঁয়া ভেল। রবিবার বিয়ের ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করে তিনি লেখেন ‘আজ আমরা হাতে হাত রেখে চিরকালীন পথের যাত্রা শুরু করলাম’। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি সুসজ্জিত চার্চে স্বামী মাইকেলের সঙ্গে বিয়ের মন্ডপের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন সৃজিতা। অন্য এক ছবিতে বিয়ে শেষে চুম্বনরত নবদম্পতি।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Sreejita De (@sreejita_de)

    আরও পড়ুন: দিশেহারা ভক্তরা! কেন নেটদুনিয়া থেকে বিরতি নিলেন কাজল?

    মুম্বইয়ে রিসেপশন

    বাঙালি সৃজিতা (Srijita Dey) আসলে হলদিয়ার মেয়ে। যদিও বর্তমানে তাঁর বাসস্থান মুম্বই। ‘বিগ বস’ (Big Boss) -এ  প্রথম জানা গিয়েছিল সৃজিতার সম্পর্কের কথা। প্রায় চার বছরের সম্পর্ক ছিল অভিনেত্রীর। সৃজিতার প্রেমিক আসলে জার্মান। তাঁর সঙ্গে জার্মানির একটি চার্চেই বিয়ে সারলেন সৃজিতা। বিয়ে জার্মানিতে হলেও, শোনা যাচ্ছে আগামী ১৭ জুলাই মুম্বইয়ে রিসেপশনের আয়োজন করেছেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধব ও সতীর্থদের জন্য এই আয়োজন। আলো আঁধারিতে ঢাকা সৃজিতার বিয়ের ছবি দেখ মুগ্ধ অনেকেই। সহকর্মী থেকে শুরু করে অনুরাগী, সবাই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁদের। সৃজিতার কথায়, মাইকেলই তাঁর জীবনকে স্থিতধী করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস! ২ মাস পর মণিপুরে উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Manipur Violence: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস! ২ মাস পর মণিপুরে উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আবেদনের পর মণিপুরের জাতীয় সড়কে দু’মাস পর অবরোধ তুলে নিল কুকি সংগঠনগুলি। গত মে মাসে মণিপুরে (Manipur Violence) অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে এনএইচ-২ বা ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। এই অবরোধ উঠে যাওয়ায় মণিপুরের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উঠল জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মণিপুর (Manipur Violence) রাজ্যে মোট দু’টি জাতীয় সড়ক রয়েছে। একটি ইম্ফল-ডিমাপুর এবং অন্যটি ইম্ফল-জিরিবাম (এনএইচ-৩৭)। দু’নম্বর জাতীয় সড়কটি কাংপোকপি জেলার কাছে মে মাস থেকে অবরুদ্ধ। অবশেষে সেই অবরোধ উঠল। ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট ও কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন এই দুই কুকি উপজাতি সংগঠনের তরফে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, জাতীয় সড়কের অবরোধ অবিলম্বে তুলে নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই দুই সংগঠন এমন একটি গোষ্ঠী যারা আগে উগ্রপন্থী গোষ্ঠী হিসাবে প্রমাণিত হলেও পরে তারা সরকারের সঙ্গে সন্ধির রাস্তা নেয়। তারাই জানিয়েছে যে, মণিপুরের কাংপোকপিতে তারা ন্যাশনাল হাইওয়ের রাস্তা বনধ তুলে নিচ্ছে। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত গোষ্ঠীকে বনধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি সমস্ত পক্ষকে শান্তির রাস্তা অবলম্বনের বার্তা দেন। এরপরই এই পদক্ষেপ। সংগঠনগুলির তরফে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে “শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার যে বার্তা দিয়েছে সেই কথা মাথায় রেখেই অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে”।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    ফের হিংসা চুরাচাঁদপুরে

    জাতীয় সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও, অশান্তি যেন সম্পূর্ণ থামছে না উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। নতুন করে ফের হিংসা ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন দিকে। চুরাচাঁদপুরের সীমান্তে, গুলিবর্ষণের ঘটনায় মেইতি সম্প্রদায়ের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি রবিবার চুরাচাঁদপুর (Manipur Violence) জেলায় ছড়িয়ে পড়া হিংসায় প্রাণ গিয়েছে আরও এক জনের। মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার খোইজুমন্তবি গ্রামে নতুন করে হিংসার ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজন “গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক” অস্থায়ী বাঙ্কারে এলাকা পাহারা দিচ্ছিলেন সেই সময় যখন অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে তিন জন নিহত হন। পাশাপাশি শনিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ইম্ফলের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCP: ‘আসল এনসিপি’ কে? শরদের পাল্টা চালে মহারাষ্ট্রে অগ্নিপরীক্ষার মুখে অজিত

    NCP: ‘আসল এনসিপি’ কে? শরদের পাল্টা চালে মহারাষ্ট্রে অগ্নিপরীক্ষার মুখে অজিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে মহা নাটক। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে ভাইপো অজিত পাওয়ার-সহ নয় বিদ্রোহী বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানালেন এনসিপি (NCP) নেতা শরদ পাওয়ার। রবিবারই বিজেপি-শিবসেনার সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার সহ একাধিক বিধায়করা।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি

    এনসিপি সূত্রে খবর, শরদ পাওয়ারের (SHARAD PAWAR) দল এনসিপির (NCP) তরফে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভার স্পিকারের কাছে পিটিশন দাখিল  করা হয়েছে। রবিবার অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)সহ এনসিপির যে ৯ জন নেতা শিবসেনা-বিজেপি সরকারে মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন, তাদের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন রাহুল নারভেকর। পাশাপাশি, দলের তরফে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও চিঠি লিখে জানানো হয়েছে যে এনসিপির প্রধান শরদ পাওয়ারই। ১৯৯৯ সালে তিনি এই দল প্রতিষ্ঠা করেন, তারপর থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং এখনও দলের নেতৃত্বে কোনও পরিবর্তন আসেনি। অজিত পাওয়ারের শিবিরের কোনও আবেদন শোনার আগে যেন শরদ পাওয়ারের শিবিরের বক্তব্য শোনা হয়, সেই অনুরোধও জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে দাবি অজিতের

    দল বিরোধী আইনে শাস্তি পাওয়া থেকে বাঁচতে অজিত পাওয়ারের কমপক্ষে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন চাই। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, অজিত পাওয়ার দাবি করেছেন বিধানসভায় এনসিপির (NCP) যে ৫৩জন বিধায়ক রয়েছে, তার মধ্যে ৪০ জনেরই সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। দলের নাম এবং প্রতীকেই তাঁরা আগামী সব নির্বাচনে লড়বেন, বলেও জানান অজিত। মনে করা হচ্ছে, শিবসেনার মতোই এ বার এনসিপির ‘স্বত্বাধিকার’ নিয়েও লড়াইয়ে নামতে চলেছেন কাকা শরদ এবং ভাইপো অজিত। রবিবার দুপুরে হঠাৎই নাটকীয়ভাবে অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান অজিত। তার পরই হাত মেলান শিন্ডে-বিজেপি (Shinde) সরকারের সঙ্গে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন পাওয়ারের ভাইপো। তাঁর সঙ্গে আরও আট এনসিপি বিধায়ক শপথগ্রহণ করেন। তাঁরা হলেন ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অদিতি টাটকারে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হাসান মুশারিফ, ধরমরাজ বাবারাও আতরাম, সঞ্জয় বাঁসোদে এবং অনিল ভাইদাস পাতিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আরে ও নন্দলাল…’’! সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আরে ও নন্দলাল…’’! সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবজির বাজারে রীতিমতো আগুন। এনিয়ে স্যোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা রকমের মিম। কোথাও কোথাও লঙ্কা মিলছে ৪০০ টাকা কেজিতে। বাকি ৩০-৪০ টাকায় যে সবজি পাওয়া যেত তা সবই ১০০ ছাড়িয়েছে। সবজির এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজের ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদিজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?” প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘আরে ও নন্দলাল ১২০০টাকার গ্যাসে ফুটবে বিনা পয়সার চাল!’’ এদিন তারই প্রত্যুত্তর দিলেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, “আগুনে বাজার! এক মাস পূর্বের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে হাটবাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল। অনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকি এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সব্জির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।”

    শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, “জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সব্জির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্য ভাবে বেড়ে গেছে। টমেটোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ – ৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশেপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশেপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালং শাকের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা মত।”

    প্রশাসনকে নিশানা বিরোধী দলনেতার

    প্রশাসনকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, “রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজিতে দাম পড়ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। মুরগি মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল। প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়ে গিয়েছে। আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে “টাস্ক ফোর্স” গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনোই দেখা যায় না।” 

     

    আরও পড়ুুন: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ! ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের

    CV Anand Bose: দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ! ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) প্রাক্তন অন্তর্বর্তী উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রর (Omprakash Mishra) বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের  আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নৈতিক অধঃপতন, বেনিয়ম, অশোভন আচরণ-সহ একাধিক অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কেন তদন্তের নির্দেশ

    উল্লেখ্য, অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে দুমাসের জন্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালে এসেছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। তবে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত উপাচার্যের জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়। অনুমতি ছাড়া তিনি কোনও জমি হস্তান্তর করতে পারবেন না। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে। এই সময় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বানানোর সপক্ষে থাকতে দেখা যায় ওমপ্রকাশকে। প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি নিয়ম ভেঙে কাজ করছেন অস্থায়ী ভিসি? পরে যদিও,ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষকদের লাগাতার চাপের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ থেকে পিছু হঠে সরকার।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে মিজেলস, রুবেলা! শিশুদের জন্য সতর্কবার্তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

    অভিযোগ প্রসঙ্গে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “আমার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনলাম। আমি যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু কোথায় দুর্নীতি বা বেনিয়ম হয়েছে তাঁর উল্লেখ নেই। রাজ্যের নামী শিক্ষাবিদদের নিয়ে সোমবার আমি একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছি। এই কথা প্রকাশ্যে আসার পরই আমার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল।’রাজভবন সূত্রে খবর ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছিল। এবার সেই বিষয়েই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Badrinath: ধসের জেরে ফের বন্ধ বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক! আটকে বহু পুণ্যার্থী

    Badrinath: ধসের জেরে ফের বন্ধ বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক! আটকে বহু পুণ্যার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস উত্তরাখণ্ডে। যার জেরে বন্ধ হয়ে গেল বদ্রীনাথ (Badrinath) জাতীয় সড়ক। বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে কিছু কিছু এলাকায় ধসের খবর মিলছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। এবার বন্ধ হয়ে গেল বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা। ভারী ধসের জেরে গত সপ্তাহেও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জাতীয় সড়ক। জানা গিয়েছে, বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক বন্ধ হওয়ার ফলে প্রচুর পর্যটক আটকে পড়েছেন। শনিবারই প্রশাসনের তরফে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ছিনকা অঞ্চলে বদ্রীনাথ হাইওয়ে-৭ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বলছে প্রশাসন?

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। এর ফলে বহু তীর্থযাত্রী ও পর্যটক আটকে পড়েছেন। অধিকাংশ যাত্রীই এদিন বদ্রীনাথ (Badrinath) থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ন্য়াশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড ইতিমধ্যেই রাস্তা সাফ করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরগুলি সরানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে একই চিত্র দেখা যায় হিমাচলেও। সেখানে ধসের কারণে হাজারেরও বেশি গাড়ি আটকে পড়েছিল।

    উত্তরাখণ্ডে বর্ষা নামতেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে  

    প্রসঙ্গত, বর্ষা নামতেই উত্তরাখণ্ডে একাধিক জায়গা বিপদসঙ্কুল হয়ে ওঠে। গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী ধামি নির্দেশ দেন প্রতিটি জেলায় ত্রাণ শিবির খোলার জন্য। এছাড়া জায়গায় জায়গায় এনে রাখা হয় জেসিবি। গত বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধস ও হড়পা বান নামে উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গায়। এর ফলেই বন্ধ হয়ে যায় বদ্রীনাথ (Badrinath) জাতীয় সড়ক। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত সপ্তাহের সোমবারও চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়েও বন্ধ হয়ে যায় ধসের জেরে। ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তখন আটকে পড়েন প্রায় কয়েক হাজার পর্যটক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Whatsapp Chat Transfer: কিউআর কোড দিয়ে স্থানান্তর করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি

    Whatsapp Chat Transfer: কিউআর কোড দিয়ে স্থানান্তর করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেয়াটসঅ্যাপে আবারও নতুন ফিচার। মেটা’র (Meta) সিইও মার্ক জুকেরবার্গ ঘোষণা করেছেন এবার থেকে ব্যবহারকারীরা দুটি ডিভাইসের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি ট্রান্সফার (Whatsapp Chat History) করার সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে একদম নিরাপদ থাকবে ইউজারদের চ্যাট হিস্ট্রি। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করে জুকেরবার্গ  লিখেছেন, ‘আপনি যদি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নতুন একটি মুঠোফোনে স্থানান্তর করতে চান, তাহলে চ্যাট না হারিয়েই আরও গোপনীয়তার সঙ্গে আপনি তা করতে পারবেন।’

    অ্যাপ থেকে বের না হয়েই সংরক্ষণ

    হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp Chat History) টিমের বিবৃতি অনুযায়ী, এই প্রথম একজন ব্যবহারকারী অ্যাপ থেকে বের না হয়েই সম্পূর্ণ চ্যাট ও মিডিয়া হিস্ট্রি সংরক্ষণ করতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করছে যে তৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যাপ বা ক্লাউড সেবা ব্যবহারের চেয়ে এটি হবে আরও নিরাপদ। কারণ, দুইটি ডিভাইসের মধ্যে হিস্ট্রি স্থানান্তরের সময় একটি কিউআর কোড অথেনটিকেটর (এক ধাপ বাড়তি নিরাপত্তা) হিসেবে কাজ করে এবং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে এনক্রিপ্টেড। ফলে ডেটা শুধুমাত্র উক্ত দুই ডিভাইসের মধ্যে স্থানান্তরিত হবে।

    ইউজারদের যাবতীয় তথ্য সুরক্ষিত

    এর ফলে ব্যবহারকারীরা পূর্বে যেভাবে ‘ব্যাকআপ’ ও ‘রিস্টোর’ এর মাধ্যমে কাজটি করতেন, এখন তার চেয়ে দ্রুত করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বড় আকারের ফাইল ও অ্যাটাচমেন্ট স্থানান্তর করা যাবে। বর্তমানে যে ফিচার চালু হয়েছে সেখানে দুটো ডিভাইসে একই অপারেটিং সিস্টেমের সাপোর্ট থাকা প্রয়োজন। তবেই ট্রান্সফার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি (Whatsapp Chat History)। আর যে ডিভাইস থেকে চ্যাট ট্রন্সফার করা হবে সেখানেও থেকে যাবে চ্যাট হিস্ট্রি। কিউআর কোড অথেনটিফিকেশনের মাধ্যমে একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি স্থানান্তর করার ফলে ইউজারদের যাবতীয় তথ্য নিরাপদে এবং সুরক্ষিত থাকবে।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি, তুষার লিঙ্গ দর্শনে অমরনাথের পথে পাড়ি দ্বিতীয় দলেরও

    এর জন্য মুঠোফোনে ওয়াইফাই ও লোকেশন অপশন চালু রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp Chat History) সেটিংস থেকে চ্যাটস অপশনের অধীনে এই সুবিধা রয়েছে। একটু নিচের দিকে আসলেই ‘ট্রান্সফার চ্যাটস’ অপশনটি পাওয়া যাবে। যে ডিভাইসে স্থানান্তর করতে হবে সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ নামিয়ে নিয়ে একটি ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্টার করে নিতে হবে। এরপর সেখানে দেখানো কিউআর কোডটি পূর্বের ডিভাইসের সাহায্যে স্ক্যান করলেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতার করার কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    Cooch Behar: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেফতার করার কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারবার শিরোনামে উঠে আসা কোচবিহারে (Cooch Behar) দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি সহ একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করবেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ কোচবিহারের সার্কিট হাউসে রাত কাটাবেন তিনি, তার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করতে হবে এবং দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। সেই সঙ্গে  বলেন, হিংসায় আক্রান্ত সকল এলাকায় পরিদর্শন করবেন তিনি এবং এই পরিদর্শনের যাত্রাকে ‘মোবাইল রাজভবন’ বলে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    কী বলেছেন রাজ্যপাল (Cooch Behar)?

    উত্তরবঙ্গে গতকাল পাহাড়ে সফর শেষ করে কোচবিহারে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনের যাবেন রাজ্যপাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এলাকায় ভোট পরবর্তী ব্যাপক সন্ত্রাসের খবর উঠে এসেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দিনহাটাতে খুন হয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক কর্মী। সামনেই ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। তাই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ করতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে মতপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। হিংসা ঠেকাতে জেলে রাখতে হবে গুন্ডাদের। যে সমস্ত দুষ্কৃতীদের সাহায্যে নেতারা এলাকাকে দখলে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে। রাজ্যের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে। ভারতবর্ষ স্বাধীন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, এই রাজ্যের পরিস্থিতিকে গণতন্ত্রের অনুকুল করতে হবে। কোচবিহারকে সন্ত্রাসকে মুক্ত করতে হবে এবং নাগরিকদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। হাইকোর্টের আদেশকে দ্রুত পালন করতে হবে কমিশনকে, বলেও মন্তব্য করেন সিভি আনন্দ বোস। পুলিশকে সাধারণ মানুষের মনকে ভয়মুক্ত করে বিশ্বাস এবং আস্থাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্যের নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের অধীনে, নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যপাল নিযুক্ত করলেও নির্বাচনকে হিংসা মুক্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনেরই। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।

    অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান রাজ্যপাল

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল নিজে বলেছিলেন, রাজভবনের রাজ্যপাল নন জনগণের রাজ্যপাল হতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা এবং ভোটের প্রচারে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে রাজ্যে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বারবার কড়া মত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কমিশনকে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিষয়ে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচনের কথা খুব স্পষ্ট করে বলেছেন। রাজভবনে পিস রুম তৈরি করেছেন নিজে। রাজ্যের যে সকল স্থানে দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, তাঁদের জন্য সরাসরি পিস রুমে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করেন রাজ্যপাল। ক্যানিং পূর্ব, ভাঙরে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল এলাকা এবং যেভাবে দুষ্কৃতীরা দৌরাত্ম্য চালিয়ে আইনকে হাতে তুলে নিয়ে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, সেই বিষয়ে কমিশনকে বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। দক্ষিণবঙ্গে মনোনয়নের সময় হিংসা কবলিত এলাকা এবং বিরোধী প্রার্থীদের এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহকে শান্তিপূর্ণ করেতে চাহাইছেন। সাধারণ মানুষ যাতে নিজেরদের ভোট নিজেরা ঠিক ঠাক দিতে পারেন সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কোচবিহারে (Cooch Behar) সাংবাদিক সম্মলেনে রাজ্যপাল রাজ্যের নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসনকে দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোটিপতি প্রার্থী, সরগরম হিলি

    Dakshin Dinajpur: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোটিপতি প্রার্থী, সরগরম হিলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটিপতি এবারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী! হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও, দক্ষিন দিনাজপুরের হিলির (Dakshin Dinajpur) দুর্গ ধরে রাখতে এবারে এমনই এক কোটিপতিকে প্রার্থী করল তৃণমূল। জেলাপরিষদের ১৩ নম্বর আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানো ওই তৃণমূল প্রার্থীর নাম কৌশিক মাহাতো ওরফে ডাকু।

    কোথায় (Dakshin Dinajpur) প্রার্থী হলেন এই তৃণমূল কর্মী?

    হিলির জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিধাই এলাকার বাসিন্দা হলেও এবারের নির্বাচনে ১৩ নম্বর জেলাপরিষদ আসন থেকেই লড়ছেন তিনি। হিলি ব্লকের ধলপাড়া ও বিনশিরা এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি হওয়া নতুন দক্ষিণ জেলা পরিষদের আসনটিতে প্রার্থী হওয়া কৌশিক মাহাতো, নির্বাচন কমিশনকে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি ও নগদ অর্থের পরিমান প্রায় এক কোটি টাকা। যা জেলার প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরই পিছনে ফেলে দিয়েছে। আচমকা তৃণমূল এমন কোটিপতিকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দেওয়াতেই, এখন জোর চর্চা দক্ষিন দিনাজপুর জেলা জুড়ে।

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কোটিপতি ওই তৃণমূল প্রার্থীর (Dakshin Dinajpur) কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। স্ত্রীর ব্যাঙ্ক একাউন্টে দুলক্ষ টাকা এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা রয়েছে। প্রার্থীর নিজস্ব দুই ভরি সোনার গহনা এবং স্ত্রীর রয়েছে সাতভরি সোনার গহনা। বাড়ি ও জমি হিসাবে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে কৌশিক বাবুর। এছাড়াও অন্য বিনিয়োগ হিসাবে আট লক্ষ টাকা দেখিয়েছেন এই তৃণমূল প্রার্থী। রয়েছে একটি মোটর সাইকেল ও একটি চার চাকা গাড়িও। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্যে ওই তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকা, যেখানে তিনি নিজেকে একজন এক্সপোর্টার ও মদের ব্যবসায়ী হিসাবে দাবি করেছেন। এছাড়া তাঁর একটি গেস্ট হাউসও রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া এই হিসাবই জেলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরকে ছাপিয়ে গিয়েছে। খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি, যুব সভাপতিরা নির্বাচনে লড়াই করলেও, কৌশিক মাহাতোর সম্পত্তির ধারেপাশে পৌঁছাতে পারেনি কোনও প্রার্থীই।

    প্রার্থীর বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক মাহাতো (Dakshin Dinajpur) বলেন, এই এলাকার মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রয়েছেন। জেতার ব্যাপারে তিনি একশো শতাংশ আশাবাদী। বিপক্ষ হিসাবে বিজেপিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি, কেননা বামদের তেমন কিছু নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিজের জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশা বাদী তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক মাহাতো।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    হিলির ১৩ নম্বর জেলা পরিষদ (Dakshin Dinajpur) আসনের বিজেপি প্রার্থী বাপি সরকার বলেন, রাজনীতির লড়াইয়ে কোটিপতি, লাখোপতি বলে কোন ব্যাপার নেই। সেখানে লড়াই শুধুমাত্র রাজনৈতিক। সিপিএম প্রার্থী শিবতোষ চ্যাটার্জী বলেন, কোটিপতি প্রার্থী টাকা ছিটিয়ে পিকনিক, মিষ্টির প্যাকেট বিলি করলেও ভোটারদের কিনতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share