Tag: Madhyom

Madhyom

  • Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে এসে বিপাকে এলাকার বিধায়ক। এক হাঁটু কাদায় নামিয়ে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। ভাতারের (Purba Bardhaman) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে এমনই ভাবে এলাকার উন্নয়নের চিত্র পরিদর্শন করালেন। বেশ কয়েক মিটার ভাঙা রাস্তা হাঁটলেন বিধায়ক নিজে। গ্রামবাসীরা বললেন, হাঁটু কাদায় বিধায়ক হেঁটে দেখুক কেমন লাগে?

    কী হয়েছে ঘটনা (Purba Bardhaman )?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের মূল রাস্তার বেহাল দশা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে, পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার ও জোর কদমে চলছে। শনিবার সকালে, ভাতারের (Purba Bardhaman) কালুরচট্ট গ্রামের প্রচারে যান বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর আসনের প্রার্থী আব্দুর রউকের সমর্থনে মূলত প্রচার করতে যান। গ্রামের মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে তিনি বিপত্তিতে পড়েন বলে জানা গেছে। গ্রামবাসীরা বলেন, আজকে এই মুহূর্তে এই এক হাঁটু কাঁদার রাস্তায় আপনাকে হাঁটতে হবে! আর তাতেই বেহাল কাদামাখা রাস্তায় হাঁটতে হল বিধায়ককে। কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিধায়ক যে রাস্তা খারাপ! তিনি তারপর বলেন – ভোটের জন্য কাজ দেরি হচ্ছে, ভোটের পরেই শুরু হবে রাস্তা তৈরীর কাজ। বর্ষা এলে কাদা ও জলে হাঁটা দায় হয়ে ওঠে এলাকাবাসীদের। গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে এই রাস্তা মেরামত করতে হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূল বিধায়ক (Purba Bardhaman) মানগোবিন্দ অধিকারী গ্রামবাসীদের ক্ষোভের প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল বলেই এটা সম্ভব, গ্রামের রাস্তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ ছিল। আজ প্রচারে ওই গ্রামে যাওয়ায় মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে আমায় হেঁটে যেতে বলেন। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই, মানুষের জন্য রাজনীতি করি। সুবিধা, অসুবিধা শুনি, দেখি আবার সমাধানও করি। গ্রামের মানুষের আবদার মেনেই জল কাদা রাস্তায় হেঁটেছি। ভোট মিটলেই এই রাস্তা পঞ্চায়েত থেকে তৈরি করে দেওয়ার কথা দিয়েছি। তাতেও যদি না হয়, আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে এই রাস্তা তৈরি করে দেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র বিপন্ন, মৃত্যু হয়েছে সুস্থ গণতন্ত্রের, তাই তার পুনর্জন্ম কামনা করে ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ করলেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। শনিবার সকালে বিজেপির শহর মন্ডল কমিটির ডাকে অশোক লাহিড়ীর নেতৃত্বে এই শ্মশান যাত্রার আয়োজন হয়। গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

    কী ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?   

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট বিজেপি পার্টি অফিস থেকে খিদিরপুর শ্মশান পর্যন্ত গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা করল বিজেপি। বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মন শহর মন্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত সহ বিজেপি নেতৃত্বরা শনিবার গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা হয়। দীর্ঘ প্রায় তিন কিমি পথ অতিক্রম করে খিদিরপুর শ্মশানে যায় গণতন্ত্রের শব মিছিল। অশোক লাহিড়ী নিজেই মৃতদেহ বহন করেন।

    কেন শ্মশান যাত্রা?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু ঘটিয়েছে রাজ্য সরকার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন প্রায় ২০ হাজার প্রার্থী। এটা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়, সেই কারণেই গণতন্ত্রের মৃতদেহ দাহ করে তার পুনর্জন্ম হোক, এই আশা প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur)।

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য?

    বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur) জানান, যেভাবে রাজ্যে খুন জখম বেড়ে চলেছে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ দিতে হচ্ছে, তাতে বোঝা যায় রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সেকারণে এদিন গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, বালুরঘাটে আমরা দেখলাম গুটি কয়েক মানুষজন দলবল বেঁধে গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা করলেন। আমি বলবো পশ্চিমবঙ্গে কোনও গণতন্ত্র হত্যা হয়নি। গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে ২০১৪ সালে যখন ভারতবর্ষে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: প্রচার দূরের কথা এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না বিজেপি প্রার্থী, কী বলছে তৃণমূল?

    North 24 Parganas: প্রচার দূরের কথা এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না বিজেপি প্রার্থী, কী বলছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতে (North 24 Parganas) বাম আমলে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই যে ঘরছাড়া হয়েছিলেন তারপর ২২ বছর পরও ফিরতে পারেননি গ্রামের বাড়িতে। সন্ত্রাসের জেরে লাগাতার হুমকির মুখে পড়েতে হয়েছে তাঁকে। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে আজ বসবাস করতে হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে। তাও পরিবার ছেড়ে শত যোজন দূরে! ঘরছাড়া হয়েও তিনি এবারের পঞ্চায়েত ভোটে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা পরিষদ আসনে।

    কোথায় লড়াই করছেন (North 24 Parganas)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে দীপঙ্কর হালদার নামে ওই বিজেপি নেতা বারাসত (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর আসন থেকে লড়াই করছেন। আরও জানা যায়, একদা এই শাসনের বারাসত ২ নম্বর ব্লকের বেতাজ বাদশা ছিলেন মজিদ মাস্টার। তবে, বহু বাধা, বিপত্তি অতিক্রম করে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সন্ত্রাসের জেরে এখনও এলাকায় ঢুকতেই পারেননি এই বিজেপি প্রার্থী। প্রচার তো দুরের কথা! এলাকা ছাড়া হয়ে আছেন এই প্রার্থী। ফলে, এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরে সরগরম হয়ে উঠেছে শাসন অঞ্চল।

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি (North 24 Parganas) জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, এলাকায় ভোটের প্রচার করতে গেলে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়। এই এলাকায় শাসক দলের সন্ত্রাস চলছে। বিজেপি প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমিক দেওয়া হচ্ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন বিজেপির এই জেলা সভাপতি। এই এলাকাকে বিরোধী শূন্য করে শাসক দল একতরফা জয়ী হতে চাইছে। সকল অভিযোগ পত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলে জানান এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    শাসক দলের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীর প্রচার করতে না পারার বিষয়ে জানতে চাহিলে সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে এমন কোনও অভিযোগ নেই। তাছাড়া ওই এলাকা আমার বিধানসভার মধ্যে পড়ছে না, হাড়োয়া বিধানসভার মধ্যে পড়ছে। এখানে বিরোধী প্রার্থীদের প্রচারে আটকানোর কোনও ঘটনা ঘটছে না। ওই প্রার্থীর সমস্যা হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল শাসক দলের এই মন্ত্রী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Bus Tragedy: গভীর রাতে চলন্ত বাসে আগুন! ঘুমের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ ২৬

    Maharashtra Bus Tragedy: গভীর রাতে চলন্ত বাসে আগুন! ঘুমের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ ২৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার (Maharashtra Bus Tragedy) সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। চলন্ত বাসে আগুন লেগে গভীর রাতে ঘুমের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৩ শিশু সহ ২৬ জন যাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে বুলধানায় সমৃদ্ধি মহামার্গ এক্সপ্রেসওয়েতে। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মহারাষ্ট পুলিশ জানিয়েছে, ৩২ জন যাত্রীকে নিয়ে যবৎমল থেকে পুণে যাচ্ছিল বাসটি। রাত দেড়টা নাগাদ পথে চাকা ফেটে যাওয়ায় একটি খুঁটিতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় বাস। অভিঘাতে আগুন ধরে যায় বাসটিতে (Maharashtra Bus Tragedy)। রাত হওয়ার কারণে সকলেই প্রায় ঘুমের মধ্যে ছিলেন। ফলে তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তাতেই মৃত্যু ঘটেছে ২৫ যাত্রীর। বাকিদেরও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, সেখানে আরেকজন মারা যান।

    কপালজোরে বেঁচে যান ৭ জন

    তবে, বেঁচে গিয়েছেন বাসের চালক সহ ৭ জন। হাসপাতালে শুয়ে চালক জানান, বুলধানা শহরে বাসের চাকা ফেটে যায়। তার পরই একটি খুঁটিতে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় বাসটি। পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনার জেরে বাসের জ্বালানির ট্যাঙ্কটি ফেটে যায়। এর পরেই সেখান থেকে ডিজেল লিক করে। তার জেরেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে (Maharashtra Bus Tragedy)। জানা গিয়েছে, যে দিকে দরজা থাকে, সে দিকেই উল্টে যায় বাসটি। তার ফলে দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা বাসের মধ্যে থেকে বেরোতে পারেননি। বুলধানা জেলার পুলিস সুপার সুনীল কাদাসানে বলেন, ‘‘ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার হল মৃতদেহগুলি সনাক্ত করা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তা হস্তান্তর করা।’’

    আরও পড়ুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

    শনিবার বেলায় ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra Bus Tragedy)। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘‘দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী সরকারি খরচে আহতদের অবিলম্বে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।’’ ফড়নবিশ বলেছেন, ‘‘মৃতদেহগুলি এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে তাদের চেনা যাচ্ছে না। যদি নিহতদের দেহ সনাক্ত করা না যায়, তবে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।’’

    শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Sundarban: সুন্দরবনে বাঘে মানুষের লড়াই, দুই মহিলার মারে রণে ভঙ্গ দিল বাঘ!

    Sundarban: সুন্দরবনে বাঘে মানুষের লড়াই, দুই মহিলার মারে রণে ভঙ্গ দিল বাঘ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন (Sundarban) কলস জঙ্গলে মানুষ এবং বাঘের লড়াই, শেষ পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিল বাঘ, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৎস্যজীবী। এলাকায় বাঘ এবং মানুষের লড়াইতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    কী ঘটেছে ঘটনা (Sundarban)?

    স্বামী-স্ত্রী এবং মেয়ে নৌকায় করে কলস জঙ্গলে (South 24 Parganas) কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পাথর প্রতিমার জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এই মৎসজীবী পরিবার। সারাদিন কাঁকড়া ধরার পর বেলা চারটের দিকে কলস জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত ছিলেন তিন জনেই। হঠাৎ দক্ষিণ রায় স্বামী দীনু মল্লিকের ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে থাবায় করে হিড় হিড় করে টানতে থাকে! দৃশ্য দেখে এবং দিনুবাবুর চিৎকারে মেয়ে এবং স্ত্রী ছুটে আসেন। এরপর হাতে থাকা শাবল নিয়ে বাঘের উপর মারতে থাকেন মেয়ে ও মা। আর বাঘে মানুষে লড়াই চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। স্ত্রী এবং মেয়ে লাঠি শাবল নিয়ে আঘাত করতে থাকেন বাঘকে। কোনও রকমে ছিটকে জলে পড়ে যান দিনু মল্লিক। আর জলে পড়েই কোন ক্রমে প্রাণটা বাঁচাতে সক্ষম হন দিনুবাবু, অন্যদিকে স্ত্রী মেয়ে স্বামীর জন্য জলে লাফিয়ে পড়ে স্বামীকে উদ্ধার করেন। অপর দিকে ততক্ষণে বাঘ জঙ্গলের দিকে পালতে শুরু করে দিয়েছে। সেই রক্তাক্ত স্বামীকে নিয়ে স্ত্রী-মেয়ে নৌকা চালিয়ে পাথরপ্রতিমা হাসপাতাল পৌঁছান। কিন্তু বাঘের আঘাতে দিনু রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Sundarban) তরফ থেকে বলা হয়, আমাদের অভাবের সংসার, মাছ ও কাঁকড়া ধরে এবং বিক্রি করে আমাদের পরিবার চলে। পরিবারে একদিকে অভাব এবং জলে জঙ্গলে বাঘের ভয়কে নিয়েও আমাদের প্রত্যেক দিনের জীবন চলছে। পরিবারের তরফে আগেও বলা হয়, কলস জঙ্গলে আমরা মূলত কাঁকড়া ধরতে পরিবারের তিন জন গিয়েছিলাম। হঠাৎ বাঘের আক্রমণে আমরা ভীষণ ভাবে আতঙ্কিত হয়েছি। এছাড়াও মেয়ে বলেন, বাবাকে অনেক কষ্ট করে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। বাবার ঘাড়ে এবং মাথায় ভীষণ ক্ষত হয়েছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। ভগবানের অশেষ কৃপা যে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ফিরে আসতে পেড়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Neeraj Chopra: লুসানে ডায়মন্ড লিগে শীর্ষস্থান নীরজের

    Neeraj Chopra: লুসানে ডায়মন্ড লিগে শীর্ষস্থান নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীরজই সেরা! যাঁরা ভেবেছিলেন চোটের কারণে ছেলেটা হয়তো হারিয়ে যাবেন, তাঁরা ভুল প্রমাণিত হলেন। শুক্রবার লুসানে ডায়মন্ড লিগে শীর্ষস্থান দখল করলেন ভারতীয় জ্যাভেলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। ৮৭.৬৬ মিটার দূরে বর্শা ছুড়ে সোনা জিতলেন তিনি।

    সোনার ছেলে নীরজ

    মরশুম শুরু করেছিলেন একইভাবে। দোহা ডায়মন্ড লিগেও জিতেছিলেন সোনা। কিন্তু তারপর চোট সমস্যা ভোগাতে শুরু করে নীরজকে (Neeraj Chopra)। যে কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন কমনওয়েলথ গেমসে। নামতে পারেননি আরও বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায়। প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কি নীরজের দৌড় শেষ। না, লক্ষ্যে অবিচল সোনার ছেলে। এখনও বহু স্বপ্ন তিনি সযত্নে লালিত পালিত করে চলেছেন। তাঁর টাগের্ট ৯০ মিটার দূরে বর্শা ছোড়া। এভাবে এগোলে একদিন নীরজের লক্ষ্য পূরণ হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    বুদাপেস্টই লক্ষ্য নীরজের

    ২৫ বছরের নীরজ বলেন, ‘চোট সারিয়ে এভাবে ফিরে আসতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এখানে বেশ ঠান্ডা। এটা বুঝতে পারছি যে, আমি আগের থেকে সুস্থ। নিজের সেরাটা দিতে পারিনি। তবে এই সাফল্য আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’ ৮৭.৬৬ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে সোনা জেতার পর নীরজ আরও বলেন, ‘আমি আবার অনুশীলনে ফিরে যাব। অনেক কিছু ঠিক করতে হবে। সেগুলো করলে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব। লুসেনে আগেও ভাল ফল করেছি। গত বছরও এখানে জিতেছিলাম। আশা করছি আগামী বছরেও এই সাফল্য বজায় রাখতে পারব। এখন লক্ষ্য বুদাপেস্ট। আমার কাছে ওটাই আপাতত বড় চ্যালেঞ্জ।”

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ভারত ভ্রমণ! ৯ শহরে ৯ ম্যাচ, ৮৪০০ কিলোমিটার ঘুরবে টিম ইন্ডিয়া

    নীরজ চোট সারিয়ে ফিরলেও তিনি যে একটু অস্বস্তি বোধ করছেন তা বোঝা যাচ্ছিল। সাধারণত নীরজের প্রথম থ্রোটাই সব থেকে দূরে হয়। কিন্তু এ দিন তাঁর প্রথম থ্রো বাতিল হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় থ্রো সঠিক হলেও সেগুলি ছিল ৮৩.৫২ এবং ৮৫.০৪ মিটার। কিন্তু চতুর্থ থ্রো-টিও তাঁর বাতিল হয়। পঞ্চম থ্রো-টি ছিল ৮৭.৬৬ মিটার। যা জয় এনে দেয় নীরজকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student-VC: দেশে প্রথম! ছাত্ররাও হতে পারেন উপাচার্য, অভিনব ভাবনা রাজ্যপালের

    Student-VC: দেশে প্রথম! ছাত্ররাও হতে পারেন উপাচার্য, অভিনব ভাবনা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বা গবেষণার কাজে যুক্ত পড়ুয়াকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Interim Vice Chancellor) নিয়োগ করতে চান রাজ্যপাল। সেরা উজ্জ্বল ছাত্রকেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য করতে চান আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose), রাজভবন সূত্রে খবর এমনটাই। যদি এমনটা করা হয়, তাহলে তা অভূতপূর্ব এক ঘটনা হতে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়ার উপাচার্য হওয়ার কোনও নজির ভারতে কোথাও কোনও নেই।

    ছাত্ররাই আগামীতে উপাচার্য

    কালিম্পং কলেজে বক্তব্য রাখার সময় সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘দেশের মধ্যে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র-উপাচার্য হবে। যেসব উজ্জ্বল-মেধাবি পড়ুয়া স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন এবং গবেষণা করছেন, তাঁরাই আগামীতে উপাচার্য হবেন। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথমবার হবে।’এই ‘ছাত্র-উপাচার্য’-র ধারনা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের কাছে একটি ট্রেন্ডে পরিণত হবে বলেই মনে করছেন রাজ্য়পাল। কালিম্পং কলেজে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাক্ষেত্রে থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। শুধু তাই নয়, সমাজ থেকে হিংসা দূরীকরণেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। এর জন্য সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে এসে হাতে হাত মিলিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে পড়ুয়ারাই যে ভারতের ভবিষ্যৎ স্থির করবে, এমনও মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ‘এডুকেশন হাব’ হয়ে উঠবে।

    দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র

    ‘পড়ুয়া-উপাচার্য’ প্রসঙ্গ টানার আগে এ দিন শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সমাজকে হিংসামুক্ত করার বার্তা দেন রাজ্যপাল। পড়ুয়ারা দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র আর হিংসামুক্ত সমাজ চান কি না, তা জানতে চান। কালিম্পং কলেজ অডিটোরিয়ামের দর্শকাসনে বসা ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে কিছুটা নীরব থাকায় রাজ্যপাল তাঁদের উচ্চস্বরে উত্তর দিতে বলেন। সবাই ‘হ্যাঁ’ বলার পরে, তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তাতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন তৈরি করা। একই সঙ্গে দরকার হিংসামুক্ত সমাজ। এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    দুর্নীতি দমনের জন্য কমিটি রাজ্যপালের

    ইতিমধ্যেই শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে যখন জেরবার রাজ্য সরকার, তখন সেই দুর্নীতি দমনের জন্য কমিটি তৈরি করেছেন রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেন তিনি। কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা খতিয়ে দেখবে এই ‘অ্যান্টি কোরাপশন কমিটি’। এছাড়া থাকছে, ‘গ্লোবাল আউটরিচ কমিটি’, যে কমিটির সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবে, বাড়বে আদান-প্রদান। থাকছে ‘অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স কমিটি’, যাদের মূল আলোচ্য বিষয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষণামূলক কাজ। রাজ্যপালের তৈরি করা ‘ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট কমিটি’ মূলত অধ্যাপকদের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ বা সেমিনারের বিষয়গুলি দেখবে। আর শিল্পের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ তৈরি করতে তৈরি করা হয়েছে ‘ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া পার্টনারশিপ কমিটি’। আর রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাত্রে একত্রে কাজ করতে পারে, তার জন্য তৈরি করা হয়েছে, ‘ইউনিভার্সিটি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার’ বা বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয় কমিটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

     

  • Panchayat Election 2023: বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর! থানায় শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর! থানায় শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) উপলক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যাওয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হল তৃণমূল। ঘটনায় পাঁচ জন বিজেপি কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা বিরোধী দলনেতার সভায় হাজিরও হন।

    থানায় শুভেন্দু 

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যোগ দেওয়া যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের এই চাপের কাছে নতি স্বীকার না করা বিজেপি কর্মীদের মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠল তৃণমূলে বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কর্মীকে নিয়ে সটান থানায় হাজির হলেন শুভেন্দু অধিকারী। থানার আইসির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানান তিনি। থানা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “থানার আইসি অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আগে অভিযোগ দায়ের হোক। তার পর ব্যবস্থা না নিলে যেখানে যাওয়ার দরকার আমরা সেখানেই যাব।”

    কী ঘটেছিল

    বাঁকুড়ার খাতড়ায় হুল দিবসের অনুষ্ঠান ও জগদল্লা গোরাবাড়ি গ্রামে নির্বাচনী সভা সেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় গঙ্গাজলঘাটিতে একটি নির্বাচনী সভায় যোগ দেন বিরোধী দলনেতা । শুভেন্দুর এই সভাকে ঘিরে শুক্রবার দুপুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের বড়শাল এলাকা। বিজেপি কর্মীদের দাবি, শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার জন্য যখন গ্রামের বিজেপি কর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেই সময় স্থানীয় ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী তাঁদের সভায় যেতে নিষেধ করেন। নিষেধ মানতে অস্বীকার করতেই রড, লাঠি ও কাটারি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পাঁচ জন বিজেপি কর্মী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে সন্ধ্যায় শুভেন্দুর গঙ্গাজলঘাঁটির সভায় হাজিরও হন ওই পাঁচ বিজেপি কর্মী।বিরোধী দলনেতা মঞ্চ থেকেই ওই পাঁচ বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় যাতে মানুষ না আসে সেই জন্যই তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। এ ভাবে মানুষকে আটকে রাখা যায় না। এর হিসেব পঞ্চায়েত ভোটের পরে মানুষ বুঝে নেবে।”

    পথে অগ্নিমিত্রা

    বাঁকুড়ার ওই ঘটনার পাশাপাশি বর্ধমানের দুর্গাপুরে বিজেপির দুই প্রার্থীকে হুমকি ও মারধরের অভিযোগে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নামলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের কাঁটাবেড়িয়া এলাকার প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি প্রার্থী সন্তোষ গুঁই ও টুম্পা সেনকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ তুলে কাঁটাবেরিয়া এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি জানিয়ে দেন, যাঁরা তাদের প্রার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে থানা ঘেরাও করেও আন্দোলনে নামবেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    Panchayat Election 2023: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর এক সপ্তাহ বাকি নেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)। এই আবহে, শনিবার সকালে কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik Meets Governor)। 

    সকাল থেকেই কোচবিহার সার্কিট হাউসে ব্যস্ততা

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দামামা বাজতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে ঘটে গিয়েছে একাধিক অশান্তির ঘটনা। ঝরেছে রক্ত, গিয়েছে প্রাণ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বর্তমানে তিনি রয়েছেন কোচবিহারে। এই আবহে, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik Meets Governor)। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ৫ বিধায়ক। এদিন নিশীথের সঙ্গে দেখা যায় বিজেপি জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, বিধায়ক মালতি রাভা, বিধায়ক সুশীল বর্মন, বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন ও বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে।

    রাজ্যপালকে কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক?

    এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সার্কিট হাউসে ঢোকেন নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর আগে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযোগ জানাব। একইসঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হতে পারে, সেই বিষয়েও কথা বলব।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন–পর্ব ও তার পরও কোচবিহারে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। অশান্তি ঠেকাতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ এদিন দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (Nisith Pramanik Meets Governor)। বিধায়ক মালতি রাভা বলেন, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা একের পর এক বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে৷ বাড়িঘর ভাঙচুর করছে৷ সেসব নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাব।’’

    আরও পড়ুন: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    নিশীথের পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলও। তাঁদেরও অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল ভোটের প্রচারে করতে বাধা দিচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। এআইসিসি সদস্য পিয়া রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘কোচবিহার জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের কাছে এসেছি।’’

    আজ দিনহাটায় যাবেন রাজ্যপাল

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। দিনহাটা, গিতালদহ, শীতলকুচির মত এলাকায় লাগাতার অশান্তি লেগেছে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কিছুদিন আগে দিনহাটার শিমূলতলা এলাকায় বিজেপির মন্ডল সম্পাদক খুন হয়েছেন। এরপর দিনহাটা-২ ব্লকের টিয়াদহ গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে পাটখেত থেকে। এর পর দিনহাটা-১ ব্লকের গিতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জারিধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিও চলেছে। শীতলকুচিতেও তৃনমূল-বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার সেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালেও যাবেন রাজ্যপাল। আক্রান্ত এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন দিনহাটায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Online College Admission: মধ্যরাত থেকেই খুলে গিয়েছে পোর্টাল, স্নাতকস্তরে ভর্তির অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু

    Online College Admission: মধ্যরাত থেকেই খুলে গিয়েছে পোর্টাল, স্নাতকস্তরে ভর্তির অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই চালু হয়েছে কলেজে কলেজে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া (Online College Admission)। পোর্টালের (College Admission Portal) মাধ্যমে রাজ্যের ৫০৯টি কলেজে স্নাতকস্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এ বছর থেকেই এই পোর্টোলের মাধ্যমেই কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হল। তবে, এবার কেন্দ্রীয় পোর্টাল নয়, কলেজের নিজস্ব পোর্টালের মাধ্যমে এই ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। 

    অনলাইন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দিনক্ষণ

    মে মাসে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়। এর পর গত ২ জুন উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০২৩-২৪ সালে এবার অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া (Online College Admission) শুরু হবে। সেই মতো, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। জমা পড়া আবেদন পত্রের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ২০ জুলাই। উচ্চশিক্ষা দফতরে ইচ্ছা, সমস্ত প্রক্রিয়া ৩১ জুলাইেয়র মধ্যে শেষ করতে হবে, যাতে ১ অগাস্ট থেকেই কলেজগুলিতে প্রথম সেমেস্টার শুরু করে দেওয়া যায়।

    এই বছর থেকে স্নাতক স্তরের পাঠক্রম চার বছরের। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যে ছাত্র যে কলেজে ভর্তি হতে চাইবেন তিনি সেই কলেজে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের পোর্টালে (College Admission Portal)  গিয়ে তিনি আবেদন করতে পারবেন। সেখানেই তাঁরা তাঁদের যাবতীয় নথি আপলোড করতে পারবেন। 

    ফর্ম ফিলআপের সময় মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

    অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া (Online College Admission) নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে—

       ⁕ কেবলমাত্র মেধার ভিত্তিতেই পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে তাঁদের শংসাপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকা যাবে না। 

       ⁕ অনলাইনে পড়ুয়াদের শংসাপত্র আপলোড কিংবা যাচাইয়ের জন্য তাঁদের কাছ থেকে থেকে কোনও অর্থ আদায় করতে পারবে না সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। 

       ⁕ যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা কলেজে ভর্তির জন্য সুযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের ফোন অথবা ইমেল মারফত সে কথা জানাতে হবে।

       ⁕ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও ভাবেই পড়ুয়াদের থেকে নগদে ভর্তির ফি নিতে পারবে না। অনলাইনে অথবা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে পারবেন মেধাতালিকায় নাম থাকা পড়ুয়ারা।

       ⁕ শংসাপত্রে গরমিল পাওয়া গেলে পড়ুয়াদের আবেদনপত্র বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর (Online College Admission)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share