Tag: Madhyom

Madhyom

  • Group C Scam: গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত ‘ফাইল’ উধাও! সিবিআইকে জানাল বিকাশ ভবন

    Group C Scam: গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত ‘ফাইল’ উধাও! সিবিআইকে জানাল বিকাশ ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দফতর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথির খোঁজ মিলছে না। গ্রুপ-সি-র (Group C Scam) মামলায় সিবিআই বিকাশ ভবনের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল পর্ষদ।  সিবিআই সূত্রে খবর, তাদের বলা হয়েছে, ওই ফাইলটি পর্ষদের কাছে নেই। বেশ কয়েক মাস ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পর্ষদের এই জবাবে বিস্মিত সিবিআই।

    কীভাবে হারাল ফাইল? 

    নিয়োগ দুর্নীতির (Group C Scam) তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য এসেছে। বিভিন্ন সময়ে নানা তথ্য যাচাই করে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে বিভিন্ন নথি চেয়েছে সিবিআই। এমনকী প্রয়োজনে একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে কথাও বলেছে তারা। সেই মতোই তদন্তের স্বার্থে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে যাওয়ায় অবাকই হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর,  শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। যার ভিত্তিতেই কমিশনের কাছে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠান তাঁরা। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ নথি কীভাবে উধাও হল, কে সেই তথ্যগুলি সংরক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তা সব কিছুই এবার খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই

    সিবিআই সূত্রে খবর, কমিশন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছে নির্দিষ্ট একটি ফাইল দফতরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক বছর ধরে তার খোঁজ মেলেনি। এমনকী ফাইলটি খুঁজে পেতে বিধাননগর উত্তর থানায় জেনারেল ডাইরিও করা হয়। কিন্তু এরপরও ওই ফাইলের খোঁজ নেই। সিবিআইকে এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।  যেহেতু বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেই কারণে সিবিআই এবার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। খতিয়ে দেখা হবে ফাইলটি খোঁজার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল থানা থেকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: রাজীব সিনহার নিয়োগ অবৈধ! জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Panchayat Election 2023: রাজীব সিনহার নিয়োগ অবৈধ! জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহার নিয়োগ বৈধ নয়। তাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে  সোমবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মামলার করার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    রাজীবের নিয়োগ নিয়ে টানাপড়েন

    গত ৭ জুন রাজীবকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীবের নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। গত বুধবার রাজীবের যোগদান রিপোর্ট (জয়েনিং রিপোর্ট) ফেরত পাঠান রাজ্যপাল। তারপর রবিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন রাজীব। সেই বৈঠকে যোগদান রিপোর্ট নিয়ে দু’জনের কথা হয়েছে। রাজভবন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। এখনও পর্যন্ত ভোটের জন্য কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, রাজ্যপালকে তা জানান রাজীব। বৈঠকে রাজ্যপাল পরামর্শ দেন, ‘‘আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করুন। ভোটে অশান্তি কোনও ভাবেই যেন বরদাস্ত না করা হয়। শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে সমস্ত পদক্ষেপ করতে হবে। কমিশনের যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকে।’’

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষের পর রাজভবনে রাজীব সিনহা সহ তিন জনের নাম পাঠায় রাজ্য সরকার। প্রথমে রাজীবের নামে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে রাজীব সিনহার নামে অনুমোদন দেয় রাজভবন। তারপই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে হিংসার সাক্ষী থাকে রাজ্যবাসী। বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন। এর মধ্যে আদালতে এই জনস্বার্থ মামলা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লোকসভা, বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল, আলিপুরদুয়ারে ঝাঁপাল বিজেপি

    BJP: লোকসভা, বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল, আলিপুরদুয়ারে ঝাঁপাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত লোকসভা এবং বিধানসভার পর গেরুয়া শিবিরের কাছে এবার পাখির চোখ আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের ১৮ টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই এবার প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি (BJP)। ২০১৮ সালে একটিমাত্র আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৭ টি আসন। যদিও গেরুয়া শিবিরের নেতাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে ভোট  লুট হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি?

    বিজেপির (BJP) শক্ত ঘাঁটি আলিপুরদুয়ার জেলায় গত লোকসভা ভোটে বিজেপির সাংসদ জন বারলা জয়ী হয়ে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার পাঁচটি বিধানসভা আসনের সবকটিতে জয়ী হন বিজেপির প্রার্থীরা। জেলার বিধায়ক সব বিজেপির দখলে থাকলেও জেলার উন্নয়নের কাজে রাজ্য থেকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই সরাসরি মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ থাকায়, এবারে গেরুয়া শিবির জেলা পরিষদকে টার্গেট করে ময়দানে নেমেছে। জেলা পরিষদ দখল হলেই অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি দখলে আসবে। বিজেপির এক বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল শাসক দলে নাম লেখালেও তাঁর সঙ্গে দলের কোনও অনুগামী, এমনকী কার্যকর্তারাও কেউ দল ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, এবারে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থীরা। তাঁরাই বোর্ড গঠন করবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    লোকসভা ও বিধানসভা ভোটেও পরপর ধাক্কা খেয়ে শাসকদল  ঘুরে দাঁড়াতে ভোট ময়দানে ঝাঁপিয়েছে। আলিপুরদুয়ারে নিচু তলার বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বিজেপির প্রতি ঝোঁক একটা রয়ে গিয়েছে। ফলে, শাসক দলের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে যতই প্রচার চালাক না কেন, শেষ পর্যন্ত মানুষের ভোট কার বাক্সে যায়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, বিজেপির সাংসদ-বিধায়কদের কার্যকলাপ দেখে বিরক্ত জেলার মানুষ। তাই ভোটে ওদেরকে মোক্ষম জবাব দেবেন ভোটাররা। জেলা পরিষদ তৃণমূলেরই দখল থাকবে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Crime: স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া! প্রতিশোধ নিতে বন্ধুর গলা কেটে রক্ত পান যুবকের

    Karnataka Crime: স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া! প্রতিশোধ নিতে বন্ধুর গলা কেটে রক্ত পান যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেহ স্ত্রীয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত বন্ধু। তাই প্রতিশোধ নিতে বন্ধুর গলা কেটে রক্ত খেলেন স্বামী। শুধু তা-ই নয়, বন্ধুকে দিয়ে গোটা ঘটনাটির ভিডিয়ো তুলে রাখেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka Crime) চিক্কাবাল্লাপুরে। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। 

    নৃশংস ঘটনার সাক্ষী কর্নাটক

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিজয়। সম্প্রতিই মারেশ নামক এক বন্ধুর উপরে হামলা চালায় বিজয়। নিজেই ওই বন্ধুকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল বিজয়। পরিচয় করিয়েছিল স্ত্রীয়ের সঙ্গে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই বিপদ। তার সন্দেহ ছিল, স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বন্ধু মারেশের। সেই সন্দেহের বশেই বন্ধুর উপর চড়াও হয়। বচসার মাঝেই হঠাৎ সে পকেট থেকে ধারাল অস্ত্র বের করে মারেশের গলায় কোপ বসায়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারেশ। তাঁর শরীরের উপরে চেপে বসেই অভিযুক্ত বিজয় তাঁর গলা থেকে বেরনো রক্তপান করে। ওই ভিডিয়ো রেকর্ড করে সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিয়োটি (Karnataka Crime) নজরে আসতেই পুলিশ পদক্ষেপ করে। আহত যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরে ১৩টি সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানের অধিকারী নরেন্দ্র মোদি! দেখুন তালিকা

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে কর্নাটকের (Karnataka Crime) চিকবল্লাপুরা জেলার চিন্তামণি তালুকে। গত ১৯ জুন বিজয় তাঁর বন্ধু জনকে নিয়ে স্থানীয় একটি জঙ্গলে যান। সেখানেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল মরেশকে। বিজয় যখন মরেশের রক্ত খেতে ব্যস্ত, সেই সময় গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করছিলেন জন। তবে গলায় আঘাত পেলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন আক্রান্ত যুবক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সুস্থ হওয়ার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একটি মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘ভারতে কী হচ্ছে?’’ দেশে ফিরেই নাড্ডাকে প্রশ্ন মোদির, নিলেন খোঁজখবর

    Narendra Modi: ‘‘ভারতে কী হচ্ছে?’’ দেশে ফিরেই নাড্ডাকে প্রশ্ন মোদির, নিলেন খোঁজখবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশর সফর সেরে ফিরেই দেশের হালচাল নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে সোমবার ভোরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, মিনাক্ষী লেখী, গৌতম গম্ভীর, হংস রাজ সহ আরও অনেকে।

    দেশের হালচাল কী?

    বিমানবন্দরে পা রেখেই যাঁরা তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তারপর দেশের বর্তমান হালহকিকত নিয়ে জে পি নাড্ডাকে প্রশ্ন করেন মোদি। বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নাড্ডাজিকে প্রশ্ন করেন, ভারতে সব কেমন চলছে? নাড্ডাজি বলেন, দলের কর্মীরা সরকারের নয় বছরের সাফল্যে খতিয়ান এবং রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ করছেন। নাড্ডাজি জানান, দেশ সুখেই আছে।”

    মোদির ছয়দিনের বিদেশ সফর ছিল ঘটনাবহুল। আমেরিকা, মিশর জুড়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Narendra Modi) ঘিরে চোখে পড়েছিল উৎসবের ছবি। উল্লেখ্য, গত ২০ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২১ জুন যোগ দিবস উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে  ১৮১টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাভ্যাস করেন তিনি। যা একটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে পরিণত হয়। হোয়াউট হাউসে রেড কার্পেটে স্বাগত জানানো হয় মোদিকে। এরপর স্টেট গালা ডিনারে অংশ নেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    ২৪ জুন প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন মিশরে। কায়রো বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা ম্যাডবউলি। সেখানে দেশের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতেয় এল সিসির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ইজিপ্টের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’ প্রদান করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ৯ বছরে ১৩টি সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানের অধিকারী নরেন্দ্র মোদি! দেখুন তালিকা

    Narendra Modi: ৯ বছরে ১৩টি সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানের অধিকারী নরেন্দ্র মোদি! দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে তাঁর ক্ষমতায় আসা। ‘আবকি বার মোদি সরকার’ স্লোগান সেসময় সারা ভারতে বিজেপির সুনামি তুলেছিল। ২০১৯ সালে ফের প্রত্যাবর্তন। ২০২৩ সালে ৯ বছরে পা রেখেছে মোদি সরকার (Narendra Modi)। এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন ১৩ টি আন্তর্জাতিক সম্মান। 

    পিরামিডের দেশে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান

    সোমবারই মিশর সফর সেরে দেশে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদি। রবিবারই মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দেল ফতেহ এল-সিসি সেদেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মুকুটে জুড়েছে ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’ সম্মান। মিশরের সর্বোচ্চ এই নাগরিক সম্মান সেদেশের জনজীবনে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, রাজ পরিবারের সদস্যরা যেমন পান তেমনি বিদেশি নাগরিকরাও পেয়ে থাকেন। মিশর সরকার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘এই সম্মানের অধিকারীরা চিরস্মরণীয় থাকবেন।’ প্রসঙ্গত, ২৬ বছর পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী মিশর সফরে গিয়েছিলেন।

    বিগত ৯ বছরে মোদির মুকুটে জুড়েছে ১৩ আন্তর্জাতিক সম্মান, একনজরে দেখে নেব সেগুলি    

    ১) কমপ্যানিয়ন অফ দ্য অর্ডার অফ লোগোহু: পাপুয়া নিউ গিনি দ্বীপরাষ্ট্রের এই সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান নেরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) পান ২০২৩ সালের মে মাসে। 

    ২) কমপ্যানিয়ন অফ দ্য অর্ডার অফ ফিজি: মোদিকে বিশ্বনেতা স্বীকৃতি দিয়ে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দেয় ফিজি। ২০২৩ সালের মে মাসে এই সম্মান প্রাপ্ত হন মোদি।

    ৩) এবাকল অ্যাওয়ার্ড: ২০২৩ সালের মে মাসে রিপাবলিক অফ পালাউ-এর এই সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান মোদি পান সেদেশের রাষ্ট্রপতি সুরাঞ্জেল এস হুইপসের হাত থেকে।

    ৪) অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপো: ভুটানের এই সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান মোদি পান ২০২১ সালে।  

    ৫) লিজিয়ন অফ মেরিট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এই সম্মান মোদি পান ২০২০ সালে।    
        
    ৬) কিং হামাদ অর্ডার অফ দ্য রেনেসাঁ: বাহারিনের এই সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান  মোদি পান ২০১৯ সালে।
        
    ৭) অর্ডার অফ দ্য ডিস্টিনগুইজড রুল অফ নিশান ইজউদ্দিন: মালদ্বীপের এই সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান মোদি পান ২০১৯ সালে।
        
    ৮) অর্ডার অফ সেন্ট অ্যান্ড্রু অ্যাওয়ার্ড: রাশিয়ার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান মোদির মুকুটে আসে ২০১৯ সালে।

    ৯) অর্ডার অফ জায়েদ অ্যাওয়ার্ড: আরবের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান মোদি পান ২০১৯ সালে।

    ১০) গ্র্যান্ড কলার অফ দ্য স্টেট অফ দ্য পালেস্তাইন অ্যাওয়ার্ড:  পালেস্তাইনের এই সর্বোচ্চ সম্মান মোদি পান ২০১৮ সালে।

    ১১) স্টেট অর্ডার অফ গাজি আমির আমানুল্লা খান: আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ এই নাগরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রী পান ২০১৬ সালে।

    ১২) অর্ডার অফ আব্দুল-আজিজ আল সৌদ: সৌদি আরবের অমুসলিমদের সর্বোচ্চ এই সম্মান মোদি পান ২০১৬ সালে

    ১৩) ২০২৩ সালের জুন মাসে পেলেন মিশরের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi US Visit: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    PM Modi US Visit: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা ও মিশর সফর শেষে রবিবার রাতেই দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit)। তাঁর ঠিক আগেই খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী মোদির মার্কিন সফরের একগুচ্ছ ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে সারা বিশ্বের সামনে ফের একবার ভারত-আমেরিকার (India-USA Relation) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, গোটা বিশ্বের ভাল করার একটা শক্তি ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্ব। এই ট্যুইটের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi US Visit) মোদিও। সরকারে আসার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মৈত্রীর মাধ্যমে কূটনীতিক সম্পর্কের যে নীতি মোদি নিয়েছেন তা বিশ্বে ইতিমধ্যেই সমাদৃত। শুধু আমেরিকা নয়, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তেহ এল সিসিও ভারত-মিশর বন্ধুত্বের কথা বলেছেন।

    বাইডেন-মোদি ট্যুইট বার্তা

    রবিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ, আলোচনা ও নৈশভোজের একটি ভিডিও মন্তাজ পোস্ট করে বলেন, “বিশ্বের সবথেকে ফলপ্রসূ বন্ধুত্ব হল আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক। এই বন্ধুত্ব আরও মজবুত, আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে, যা আগে কখনও ছিল না।”

    বাইডেনের ট্যুইটকে ট্যাগ করেই উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তিনি লেখেন, “আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত। বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব। এই সম্পর্ক পৃথিবীকে আরও ভাল ও বাসযোগ্য় করে তুলবে। আমার সাম্প্রতিক সফরে যে যে দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা আমাদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।”

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেওয়া ১৩টি পুরস্কারের মধ্যে ৬টি দিয়েছে মুসলিম প্রধান দেশ, দাবি নির্মলার

    ভারত-মার্কিন সম্পর্ক

    ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi US Visit) আগেই বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকা এবং ভারত শুধু নীতি তৈরি করছে না। জীবন, স্বপ্ন এবং ভাগ্যকে নতুন রূপ দিচ্ছে…। বিশ্বে ঘটে চলা বিভিন্ন সমস্যা থেকে শুরু করে নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুই দেশই উন্নত ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ করছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের এই নতুন সম্পর্ক (India-USA Relation) এবং যাত্রা বিশ্বকে নতুন রূপ দেবে।’’ আমেরিকার সঙ্গে একাধিক চুক্তির কারণে জেট ইঞ্জিন প্রযুক্তি-সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারত নতুন দিশা পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। আমেরিকার বিনিয়োগের কারণে ভারতে কর্মসংস্থান বাড়বে। দেশের উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও উৎসাহিত করবে এই নয়া সম্পর্ক বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর। মোদি বলেন, ‘‘ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্কের নতুন এবং গৌরবময় যাত্রা শুরু হয়েছে। এই নতুন যাত্রা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর ধারণাকে আরও শক্তিশালী করবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ১৩টি সম্মানের মধ্যে ৬টি দিয়েছে মুসলিম প্রধান দেশ, দাবি নির্মলার

    Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ১৩টি সম্মানের মধ্যে ৬টি দিয়েছে মুসলিম প্রধান দেশ, দাবি নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যে ১৩টি বিশেষ নাগরিক সম্মান পেয়েছেন, তার মধ্য়ে ৬টি দিয়েছে মুসলিম প্রধান দেশ। রবিবার, এক সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করলেন নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতে, শুধুমাত্র দেশের শান্তি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে ভারতে মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচারের চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিত প্রচারের অঙ্গ হিসেবে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে।

    বারাক ওবামার মন্তব্য নিয়ে নির্মলা

    ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে ওবামার (Barak Obama) দুশ্চিন্তা সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন বিষয় বলে দাবি করেন নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, ‘‘এটা পরিকল্পিত প্রচারের অঙ্গ। বিশেষ করে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় রয়েছেন, সে সময়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশের ঘটনা স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো।’’ নির্মলার কথায়, ‘‘যে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভারত সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁর শাসনকালে ছ’টি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে ২৬ হাজার বোমা বর্ষণ করেছিল আমেরিকা (America)। এই ধরনের লোকেদের অভিযোগকে কী ভাবে বিশ্বাস করবে আমজনতা?’’

    আরও পড়ুন: ভোগের পদ আড়াইশো! ইসকনে মাসির বাড়িতে পরম আদরে প্রভু জগন্নাথ

    উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আমেরিকান ‘স্টেট ভিজিট’ (PM Modi US Visist) চলা অবস্থাতেই গত বৃহস্পতিবার তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘ভারত যদি মুসলিম-সহ তার সংখ্যালঘু নাগরিকদের রক্ষা করতে না পারে, তা হলে সে দেশের টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ ভারতের এথনিক মাইনরিটিদের নিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এই মন্তব্য মেনে নিতে পারছেন না বহু ভারতীয়ই।

    মুসলিম দেশে মোদির জনপ্রিয়তা

    নির্মলা (Nirmala Sitharaman) দাবি করেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) হিসাবে মোদিকে যে ১৩টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৬টি দিয়েছে মুসলিম প্রধান দেশ। কোনও তথ্য ছাড়াই শুধু অপপ্রচারের জন্য নানা কথা বলা হচ্ছে। আসলে ভোটের মাধ্যমে মোদি ও বিজেপিকে হারাতে পারছে না কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। সে কারণে এখনও এ সব ভিত্তিহীন প্রচার করছে। গত কয়েকটি ভোটে কংগ্রেস এই ভূমিকা নিয়েছিল। বিজেপি সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশের কথা বলে। কোনও সম্প্রদায়কে নিয়ে আলাদা করে কোনও বৈষম্য করে না।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ময়না তদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য

    Barrackpore: ময়না তদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে (Barrackpore) চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যু রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা পড়ল। রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন, না তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ধন্দে রয়েছেন। কারণ, একজন আত্মহত্যা করলে তাঁর শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন থাকতে পারে না। ফলে, পুলিশ আধিকারিকরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

    কী বললেন প্রজ্ঞাদীপার মা?

    ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা ঝর্না হালদার। মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ইতিমধ্যেই বারাকপুরের (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সুবিচারের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ আধিকারিকদের তিনি জানান।

    খোঁজ নেই চার বাংলাদেশির

    ১৯ জুন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারীর ঘরের ভিতর থেকে প্রজ্ঞার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির সিলিং অনেক উঁচুতে। সেখানে কী করে ওই মহিলা চিকিৎসক কাপড় ঝোলালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চিকিৎসকের মৃত্যুর দিনই সন্ধ্যায় চার বাংলাদেশি বন্ধুর সঙ্গে কৌশিক বারাকপুরের (Barrackpore) একাধিক দ্রষ্টব্য স্থান পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁদের একটি গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তবে, ২০ জুন মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে বাংলাদেশি চার বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশি চারজনের খোঁজ মেলেনি। তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কৌশিক শুধু পুলিশকে বলেছেন, ওই চার বাংলাদেশি আমার পরিচিত বন্ধু। আমি তাদের বারাকপুরের (Barrackpore) বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। শনিবারই বিকেলের পর ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। যে ঘরের মধ্যে থেকে চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরের ভিতর থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তারা। কলকাতায় কৌশিকের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে একত্রবাসে থাকতেন। এই ঘটনার পর সুইসাইড নোটে নাম থাকায় সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানরা কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। উলটে পুলিশই তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GE-F414 Engine: সামরিক শক্তিকে মজবুত করতে বিশেষ ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতেই

    GE-F414 Engine: সামরিক শক্তিকে মজবুত করতে বিশেষ ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের মাঝেই ঐতিহাসিক চুক্তি (MoU) স্বাক্ষর হয় ভারত ও আমেরিকার মধ্যে। এই চুক্তি অনুযায়ী GE-F414 Engine যৌথভাবে তৈরি করবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) এবং জেনারেল ইলেকট্রিক(GE)। এতে ভারত-আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। বিশ্বের সমস্ত উচ্চ ক্ষমতাধারী সামরিক দেশগুলির সারিতে ভারত বর্তমানে জায়গা করে নিয়েছে। এবার সামরিক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে এই F414 ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতের মাটিতেই, যা সমগ্র বিশ্ব দেখবে। সঙ্গে এটি আত্মনির্ভর ভারতের আরেকটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলেই অনেকে মনে করছেন।

    কী এই F414 ইঞ্জিন?

    GE-F414 Engine বিশ্বের সমস্ত শক্তিশালী ইঞ্জিনগুলির মধ্যে একটি। বিশেষ করে আমেরিকার বায়ু সেনা এই ইঞ্জিন ব্যবহার করে। আমেরিকা বিগত ৩০ বছর ধরে এই GE-F414 Engine ব্যবহার করে আসছে। এটি যুদ্ধবিমানগুলিতে ব্যবহার করা হয়। এই ইঞ্জিনগুলি এতটাই শক্তিশালী যে, যে সমস্ত ফাইটার জেটে এই ইঞ্জিন (GE-F414 Engine) ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি ৫০ লাখ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশপথে উড়তে পারে।  বর্তমানে ৪টি দেশে এই ফাইটার জেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়।

    F414 ইঞ্জিনের মধ্যে কী কী আছে?

    ১) এই ইঞ্জিনগুলি (GE-F414 Engine) উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন, দীর্ঘস্থায়ী। পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধ বিমানগুলির খরচ কমাতে এই ইঞ্জিনের উন্নতমানের আধুনিক প্রযুক্তিগুলি সাহায্য করে। 
    ২) আফটারবার্নার মোডে ২২ হাজার পাউন্ড থ্রাস্ট উৎপাদন করতে সক্ষম এই ইঞ্জিন। 
    ৩) আকাশে ৫০ লাখ ঘণ্টা ধরে ফাইটার বিমানকে ওড়াতে সক্ষম এই ইঞ্জিন (GE-F414 Engine)।
    ৪) ইঞ্জিনটিতে একটি তিন-পর্যায়ের ফ্যান এবং একটি সাত-পর্যায়ের উচ্চ-চাপ সংকোচকারী রয়েছে।
    ৫) এটির ডিজাইন সাধারণ। এটির মডিউলার ডিজাইন নির্ভরযোগ্য এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ।
    ৬)এটি ফুল অথরিটি ডিজিটাল ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল (FADEC) যুক্ত, যা F414 ইঞ্জিনের (GE-F414 Engine) অপারেশনাল দিকগুলিকে উন্নত করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share