Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayat Election 2023: একদিনে দুটি মামলায় হাইকোর্টে জোড়া স্বস্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: একদিনে দুটি মামলায় হাইকোর্টে জোড়া স্বস্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিপদে ধাক্কা খেতে থাকার মাঝে একদিনে দুটি মামলায় জোড়া স্বস্তি পেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে একাধিক মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ধাক্কা খেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। রেহাই মেলেনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও। তবে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল দুটি মামলার রায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সমানে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি নোটিশ দিয়েছিল। সেটা আজ, শুক্রবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অন্যদিকে,মনোনয়নে নথি বিকৃতি কাণ্ডেও এখনই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই, শুক্রবার একথা জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 

    মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বে গোলমালের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে কমিশনের ডিজি (তদন্ত) রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবেন বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এর পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মামলায় শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই নোটিস খারিজ করে দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। স্পর্শকাতর এলাকা মানবাধিকার কমিশনের ডিজি চিহ্নিত করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    নথি বিকৃতি-কাণ্ডে এখনই সিবিআই নয়

    পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) নথি বিকৃতি-কাণ্ডে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার দুপুর ২টোয় এই মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-এর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ, লড়াইয়ের ময়দানে দুই জা

    Purba Medinipur: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ, লড়াইয়ের ময়দানে দুই জা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভোটের ময়দানে এবার দুই জা। শুরু করেছেন তাঁরা নির্বাচনী প্রচার। এমনই ছবি ধরা পড়লো মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের সতীশ সামন্ত অঞ্চলের ২০ নম্বর বুথে। নির্বাচন নিয়ে দুজনেই দুই দলের থেকে জয় বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। 

    দুই জা, পরস্পর বিরোধী দলের প্রার্থী (Purba Medinipur)

    গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই পরিবারের দু জা। একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির হয়ে, অন্যজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের হয়ে। মহিষাদলের (Purba Medinipur) সতীশ সামন্ত অঞ্চলের ২০ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী দাস এবং তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া দাস। এঁরা দুজনে একই পরিবারেরে দুই ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাৎ দুজনে সম্পর্কে জা। দুজনেই গৃহবধূ, দুজনেই এই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে। যদিও প্রত্যেকে এখন পৃথক ভাবে বসবাস করেন। তবে এই পরিবারের সবাইকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারের দুই বউমা হলেন এবারে নির্বাচনে দুই বিরোধী প্রার্থী। ইতিমধ্যে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই প্রচার শুরু করে দিয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য

    দুই জা-এর মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী দাস বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে যোজনা গুলি রয়েছে, সেগুলিকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে (Purba Medinipur) গিয়ে প্রচার করব। সাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এই তৃণমূলের আমলে, এই কথাও বলেন তিনি। মানুষকে বোঝাবো ভোট দিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। শ্রাবন্তী দেবী আরও বলেন, আমরা এলাকায় নির্বাচন নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া দাস বলেন, পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রেখে আমরা রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। তিনি আরও বলেন, আমরা ধীরে ধীরে নির্বাচনে প্রচার শুরু করেছি। এই অঞ্চলে (Purba Medinipur) তৃণমূলের জয় বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিরোধিতা কখনই পরিবারে প্রভাব পড়বে না বলে জানান পাপিয়া দাস ।  

    এখন দেখার বিষয় কোন জা জনগণের আর্শীবাদ পেয়ে ভোটে জিতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assam Flood: অসমে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি! ২২ জেলায় ঘরছাড়া প্রায় ৫ লাখ

    Assam Flood: অসমে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি! ২২ জেলায় ঘরছাড়া প্রায় ৫ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে ভয়ঙ্কর আকার ধারন করেছে বন্যা পরিস্থিতি (Assam Flood)। একটানা বৃষ্টিতে বিপদ সীমা পেরিয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার একাধিক শাখানদী। আবহবিদদের পূর্বাভাসে শোনা যাচ্ছে আশঙ্কার কথা। এখনই বৃষ্টি কমছে না অসমে। অসমের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। নদীগুলি প্লাবিত হতেই থাকবে। জলের নীচে বিস্তীর্ণ এলাকার বসত বাড়ি ও চাষের জমি। গবাদি পশু ও মানুষের সহাবস্থানও দেখা যাচ্ছে একাধিক জায়গায়। ত্রাণ শিবিরগুলিতে নজরে পড়ছে শুধুই উদ্বেগ। জানা গিয়েছে, ২২ জেলা জুড়ে ঘরছাড়া প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। সব থেকে খারাপ অবস্থা বাজালির। সেখানে ঘরছাড়া প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।

    কোন কোন জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত?

    অসমের (Assam Flood) বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে বাকসা, বাজালি, বরাপেটা, দারাং, ধেমাজি, ধুবড়ি, কোকরাঝার, লখিমপুর, শোনিতপুর, উদালগিরি এবং নলবাড়ি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পেশ করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্ষতির নিরিখে বাজালির পরেই রয়েছে নলবাড়ি। সেখানে ৭৭ হাজার ৭০২ জন মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। বরপেটায় বিপাকে ৬৫ হাজার ২২১ জনের জীবন। লখিমপুরে ২৫ হাজার ৬১৩, বক্সায় ১৪ হাজার ২৩, তামুলপুরে ১৯ হাজার ২০৮, দারাঙে ১৩ হাজার ৭০৪, কোকরাঝাড়ে ৬ হাজার ৫৩৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বন্যায়।

    ৮৩টি ত্রাণ কেন্দ্র তৈরি করেছে অসম সরকার

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফি বছর কম বেশি এমন বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয় অসম (Assam Flood)। তবে প্রথমবার সেখানে বন্যা দুর্গতদের সংখ্যা ১ লাখ পার করল। ইতিমধ্যে সেখানকার বিজেপি সরকার গড়ে তুলেছে ৮৩টি ত্রাণ কেন্দ্র। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা, আধাসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল ও আপৎকালীন বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বশান্তির জন্য ভারত আমেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ,” হোয়াইট হাউসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা

    BSF: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে গরু পাচারের সময় বিএসএফের বাধা। পাচারকারীদের পক্ষ থেকে বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিহত করতে পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফ। গুলিবিদ্ধ হন একাধিক গরু পাচারকারী। শুক্রবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলা থানার ইচ্ছামতী বর্ডার পোস্ট সীমান্ত এলাকায়। ঘটনার পর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন বিএসএফের (BSF) এর কৃষ্ণনগর রেঞ্জের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন ভোর রাতে ধানতলা থানার দত্তপুলিয়ায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নীচে দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১০টি গরু পাচার করার চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসএফের ( BSF) জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পরে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে পাল্টা গুলি চালিয়ে প্রতিহত করে। তাতে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী জখম হন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে ধানতলা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। আর এর পরই শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিআইজি কৃষ্ণনগর রেঞ্জ সঞ্জয় কুমার।

    ধৃত গরু পাচারকারীর কী বক্তব্য?

    ধৃত গরু পাচারকারী হাসান মণ্ডলের বক্তব্য, আজ ভোররাতে ৬টি গরু নিয়ে বাংলাদেশের ছজন এবং ভারতের চারজন বাংলাদেশ যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। ঠিক তখনই বিএসএফ (BSF) বাধা দেওয়াই আমাদের দলের বেশ কয়েকজন সেনা কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে শুরু করে।। এরপর সেনাবাহিনী তরফে গুলি করলে একটি গুলি আমার গায়ে লাগে। ইছামদী নদী পার করে গরুগুলি বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার আমার কাজ ছিল।

    কী বললেন বিএসএফের (BSF) ডিআইজি?

    ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিএসএফের (BSF) কৃষ্ণনগর রেঞ্জের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার বলেন, সীমানগর এর ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ান এখানে কর্মরত ছিল। ইছামতী লাগোয়া এই সীমান্ত এলাকা। ভোর তিনটে নাগাদ পাচারকারীরা গরু নিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই বিষয়টি নজরে আসতেই তাদেরকে বাধা দেয় বিএসএফ। তারা বিএসএফের লক্ষ্য করে বোমা মারতে থাকে। পাল্টা গুলিতে বেশ কয়েকজন পাচারকারী পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titan Submarine: আটলান্টিকে সমাধিস্থ টাইটানিকের কাছেই সলিল সমাধি ‘টাইটান’-এর

    Titan Submarine: আটলান্টিকে সমাধিস্থ টাইটানিকের কাছেই সলিল সমাধি ‘টাইটান’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আটলান্টিক মহাসমুদ্রে তলিয়ে গেল খুদে সাবমেরিন টাইটান (Titan Submarine)। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট দূরে মেলে টাইটান ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। প্রসঙ্গত, ১১১ বছর আগে হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় এই মস্ত জাহাজ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কানাডার নিউ ফাউন্ড ল্যান্ড এর কোস্টাল লাইন থেকে প্রায় চারশো মাইল দূরের সমুদ্রের নিচে রয়েছে টাইটানিক! মহাসমুদ্রের  প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার গভীর জলের নিচে! সেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েই ঝরে গেল ৫টি প্রাণ। 

    পাঁচ যাত্রী

    টাইটানের (Titan Submarine) পাঁচ যাত্রীর মধ্যে ওশানগেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ(৬১) ছিলেন। তাছাড়া ছিলেন ব্রিটিশ বিমানসংস্থা অ্যাকশন এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হামিশ হার্ডিং(৫৮), পাকিস্তানের শিল্পপতি শাহজাদা দাউদ(৪৮) ও তার ছেলে সুলেইমান দাউদ(১৯) এবং ফরাসি পর্যটক পল অঁরি নারজিলে(৭৭)। জানা গিয়েছে, ৭৭ বছরের পল অঁরি নারজিওলেট এই অভিযানের নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিলেন। তবে, ফরাসি নৌবাহিনীর প্রাক্তন ডুবুরি পল অঁরি নারজোলের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। অনেকেই তাকে ‘মিস্টার টাইটানিক’ বলে ডাকেন। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ৭৫ বছর পর ১৯৮৭ সালে প্রথমবার এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ চালানো হয়। সেই অভিযানেরও সদস্য ছিলেন এই ফরাসি ডুবুরি।

    কী ভাবে নিখোঁজ হল সাবমেরিন টাইটান (Titan Submarine)?

    প্রসঙ্গত, অভিশপ্ত টাইটানিক জাহাজের ধ্বংশাবশেষ চাক্ষুস করাতে ওশেনগেট নামে একটি মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ট্যুর করায়। খুদে সাবমেরিনে টাইটানে চাপিয়ে পর্যটকদের দেখানো হয় সমাধিস্থ টাইটানিক। খরচও নেহাত কম নয়, এই ট্যুরে গুনতে হয় কোটি টাকারও বেশি ভারতীয় মুদ্রা। সেরকমই একটি ট্যুরে সাবমেরিনে চেপে রওনা হয়েছিলেন পাঁচ যাত্রী। জানা গিয়েছে, গত রবিবার কানাডার নিউ সাউথহ্যাম্পটনের সেন্ট জন্স থেকে আটলান্টিকে যাত্রা শুরু করে ওশেনগেটের ডুবোজাহাজ ‘টাইটান’। কিন্তু যাত্রা শুরুর পৌনে দু’ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা মাদার শিপ ‘পোলার প্রিন্স’-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ‘টাইটান’-এর। 

    কীভাবে ধ্বংস হল খুদে সাবমেরিন (Titan Submarine)?

    অনুমান করা হচ্ছে, সাবমেরিনের বাইরের অংশে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জলের চাপ বেড়ে যায়। তার ফলেই বিস্ফোরণ ঘটে সাবমেরিনে। মিলি সেকেন্ডের মধ্যে সাবমেরিনটি প্রচণ্ড জলের চাপে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। আর ওই বন্ধ সাবমেরিনের মধ্যে প্রাণ হারান পাঁচ যাত্রী। তবে ইতিমধ্যে সাবমেরিনে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!  ২০১৮ সালে ওশানগেট সংস্থা থেকে বিতাড়িত হন মেরিন অপারেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডেভিড লচরিজ। তিনি সম্প্রতি এই টাইটান সাবমেরিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, সাবমেরিনের বাইরের অংশ কার্বন ফাইবার সঠিকভাবে পরীক্ষিত নয়। আর বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বাইরের অংশের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ধ্বংস হয়েছে খুদে টাইটান।

     

    আরও পড়ুন: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মধ্যরাতে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    North 24 Parganas: মধ্যরাতে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে গেলেন বনগাঁ (North 24 Parganas) উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। এই রাজ্যে বিরোধীরা কতটা সুরক্ষিত? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি বিধায়ক।

    কোথায় ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁ ব্লকের ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাইপুর গ্রামের ৬৮ নম্বর বুথের সভাপতি দিলীপ মজুমদারের বাড়ি লক্ষ্য করে গতকাল গভীর রাতে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে। বুথ সভাপতি দিলীপ মজুমদারের বাড়িতে গতকাল রাতে হঠাৎ করে বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে তাঁদের পরিবারের, এরপর বাইরে বেরিয়ে ধোঁয়া দেখতে পান। এরপরে লক্ষ করেন যে বাড়ির পিছনের দিকে বোমের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বোম মেরেছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ।

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য

    এই বিষয়ে বনগাঁ উত্তরের (North 24 Parganas) বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ভাবে মোকাবেলা করা হবে বলে জানান তিনি। রাত্রি সাড়ে ১২ টার সময় এই বোমাবাজি হয়েছে বলে জানান তিনি। তারপর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনার ২ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বলে জানান অশোকবাবু। বিধায়ক বলেন, এই রাজ্যে বিরোধীরা কতটা সুরক্ষিত? মুখ্যমন্ত্রী একজন রক্ত পিপাসু মহিলা, তিনি রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার হিসাবে একজন মাতালকে বসিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে বিরোধীদের রক্ত নিয়ে খেলায় মেতেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক আরও বলেন যে কোনও প্রাণহানি ঘটলে তার দায়িত্ব নিতে হবে কমিশন এবং রাজ্যের শাসক দলকেই। এই এলাকায় বিজেপির মনোনয়নের ফলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে আর তাই আমাদের বুথ সভাপতিদের বাড়িতে গিয়ে বোমাবাজি করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে মত প্রকাশ করেন বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া।

    কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    রাজ্যজুড়ে নির্বাচনে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছেন। ব্যারাকপুরে মনোনয়নের পর থেকে কোলের সন্তান নিয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন বিজেপির মহিলা প্রার্থীরা। মেদিনীপুরের দাসপুরে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে সাদা থান। হুমকি দেওয়া হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। এবার অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) বনগাঁয় বোমাবাজির। বিজেপি কোনও প্রার্থী, কর্মী, নেতা কেউ নির্বাচনকে ঘিরে সুরক্ষিত নয় বলে দাবি করেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। ৮ই জুলাই, একদফা পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন, রাজ্যের নির্বাচন কমিশন কতটা শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন করাতে পারে, সেটাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi US Visits: আম্বানি থেকে পিচাই, মোদির সম্মানে নৈশভোজে চাঁদের হাট হোয়াইট হাউসে 

    PM Modi US Visits: আম্বানি থেকে পিচাই, মোদির সম্মানে নৈশভোজে চাঁদের হাট হোয়াইট হাউসে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যিই চাঁদের হাট। বৃহস্পতিবার (২২ জুন), রাতে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi US Visits) জন্য হোয়াইট হাউসে আয়োজিত স্টেট ডিনারে উপস্থিত ছিলেন ভারতের এবং অন্যান্য দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। প্রযুক্তি, বিনোদন, বাণিজ্য, ফ্যাশন জগতের তারকাদের সমাহার ছিল নজরকাড়া। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটি আয়োজন করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।

    নৈশভোজের লক্ষ্য

    হোয়াইট হাউসের এই নৈশভোজের (White House Dinner) লক্ষ্য ছিল দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করা এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের উদযাপন। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর, ওই নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বাইডেন দম্পতি। 

    নৈশভোজে অতিথির তালিকা দীর্ঘ

    মোদির সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে (PM Modi US Visits) অতিথির তালিকা দীর্ঘ। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন ৪০০ জনেরও বেশি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার রাল্ফ লরেন, টেনিস কিংবদন্তি বিলি জিন কিং, মানবাধিকার কর্মী তৃতীয় মার্টিন লুথার কিং, হলিউড চলচ্চিত্র পরিচালক এম নাইট শ্যামলান, গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী বাদ্যকার জশুয়া বেল, উদ্যোগপতি ফ্রাঙ্ক ইসলাম। নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন গুগল সংস্থার ভারতীয় সিইও সুন্দর পিচাই এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি পিচাই-সহ প্রযুক্তি জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। ভারতীয় শিল্পনেতাদের মধ্যে ছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি, মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা-সহ অনেকে। উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। এছাড়া, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বেশ কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিক এবং বাইডেন প্রশাসনের সদস্যরা এই নৈশভোজে অংশ নেন।

    নৈশভোজের মেনুতে বেশিরভাগ পদই নিরামিষ

    জানা গিয়েছে, মেনুতে বেশিরভাগ খাবারই ছিল নিরামিষ। প্রধানমন্ত্রীর ডায়েটের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে পদগুলি। আন্তর্জাতিক বাজরা বছরে, হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে বাজরার তৈরি বিভিন্ন খাদ্যপদ ছিল। যেমন, ক্রিস্পড মিলেট কেক এবং ম্যারিনেটেড মিলেট। খাদ্যতালিকায় ছিল লেমন-ডিল দই সস, স্কোয়াশের তরকারি, গ্রিলড কর্ন কার্নেল স্যালাড, তরমুজ, ট্যাঙ্গি অ্যাভোকাডো সস, স্টাফড পোর্টোবেলো মাশরুম, কেশর দেওয়া ক্রিমি রিসোটো, গোলাপ ও এলাচ দেওয়া স্ট্রবেরি শর্টকেক ইত্যাদি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘এই সম্মান ১৪০ কোটি ভারতবাসীর’’, মার্কিন কংগ্রেসে বললেন মোদি

    নৈশভোজে মজাদার মুহূর্ত

    ডিনার টেবিলে শুধুই যে খাওয়া-দাওয়া হয়েছে তেমন টা কিন্ত নয়। হয়েছে প্রচুর কথাবার্তা, হাসাহাসিও। আসলে পশ্চিমী দেশে যে কোনও শুভকামনায় বা কোনও শুভ প্রস্তাবে গ্লাস তোলার এবং পান করার রীতি রয়েছে। যাকে পোশাকি ভাষায় বলা হয়, ‘রেইসিং আ টোস্ট’। যেই গ্লাসে থাকে সাধারণত অ্যালকোহল। তবে, বাইডেন বা মোদি, দুজনের কেউই অ্যালকোহল গ্রহণ করেন না। এই প্রসঙ্গে ডিনার টেবিলে তৈরি হয় এক দারুন হাসির, এককথায় মজাদার মুহূর্ত। গ্লাস তোলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমার দাদু অ্যামব্রোস ফিনেগান বলতেন, গ্লাস তোলার সময় যদি তোমার গ্লাসে কোনও মদ না থাকে, তাহলে তোমার সেই গ্লাস বাঁ হাতে তোলা উচিত।” বাইডেনের এই কথা শেষ হওয়ার আগেই হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বাইডেন বলেন, “আপনারা সবাই হয়তো ভাবছেন যে আমি মজা করছি। কিন্তু আমি তা করছি না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ফের আমবাগানে প্রচুর বোমা উদ্ধার, আতঙ্কিত স্থানীয়রা

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ফের আমবাগানে প্রচুর বোমা উদ্ধার, আতঙ্কিত স্থানীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়া থানার সাহেবনগর এলাকায় একটি আম বাগানের মধ্যে তাজা বোমা উদ্ধার। সেই সঙ্গে ভরতপুর থানার অন্তর্গত সরকারপাড়ায় গ্রামের ফাঁকা মাঠে মধ্যে পরিতক্ত বাড়ি থেকে জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। সামনে ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট! তাই এই বোমা কী নির্বাচনকে অশান্ত করে ভোট লুট করতে রাখা হয়েছিল? বিরোধীদের ঠিক এই প্রশ্ন শাসক দলের বিরুদ্ধে। জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য।

    আম বাগানে বোমা উদ্ধার (Murshidabad)

    সাতটি সুতলি বোমা উদ্ধার। আম বাগানের মধ্যে একটি কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে বোমাগুলো রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বোমাগুলো দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় সাগরপাড়া (Murshidabad) থানার পুলিশ প্রশাসনকে। পুলিশ পৌঁছে বোমার জায়গা ঘিরে রাখে। বাড়ির পাশে আম বাগানের মধ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তিন দিন আগেই একই এলাকা থেকেই একটি কালভার্টের নিচে দুই বালতি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। তারপর আজকে আবার ব্যাগভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এটাই আমাদের রাস্তা, সব সময় স্থানীয়রা এই বাগানের মধ্যে দিয়ে সাহেবনগর বাজারে যাতায়েত করে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও আম কুড়োনোর জন্য বাগানে ঘোরাফেরা করে। সেখানেই বোমা উদ্ধার হয়। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো বলে, জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বহরমপুর (Murshidabad) থেকে বোম ডিস্পসাল টিম এসে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে। বোমা নিষ্ক্রিয় করার পর কিছুটা হলেও আতঙ্ক কমেছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরেও বোমা উদ্ধার হয় এই দিনে।

    গ্রামে জার ভর্তি তাজা বোম উদ্ধার (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর থানার অন্তর্গত সরকারপাড়া গ্রামে গতকাল রাত্রে ভরতপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে, একটি গ্রামের ফাঁকা মাঠে পরিতক্ত বাড়ি থেকে জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। বোমাগুলি উদ্ধার হবার পর বোম ডিস্পসাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করবার জন্য।

    এছাড়াও, সামশেরগঞ্জের চাচন্ড গ্রামে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ির পেছন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে এবং কেন বাড়ির পেছনে বোমা গুলো রাখা হয়েছিলো তার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এইদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ির পেছন থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    Murshidabad: নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মিজানুর রহমান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই নেতার অভিযোগে দলে চরম অস্বস্তি।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Murshidabad)

    ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী (Murshidabad) ব্লকের সাদিখাঁদেয়াড় অঞ্চলে। দলীয় কার্যালয়ে বসে অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা প্রার্থী হওয়ার টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি যাঁরা দলের নির্দেশে নমিনেশন জমা করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই দলের বি ফর্ম না মেলায় নির্দল হয়ে গেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই চাপে পড়ে যায় ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। টিকিট না পাওয়া এক বিক্ষুব্ধু তৃণমূল নেতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের কর্মীরা যাঁকে প্রার্থী হিসবে নির্বাচন করবেন, দল তাঁকেই প্রার্থী করবে। সুতরাং ব্লকের কর্মীরা যে ব্যাক্তিদের টিকিট দিলেন, তাঁরা কেন প্রার্থী হতে পারল না? সবটা মিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট।

    কী বললেন অঞ্চল সভাপতি?  

    সাদিখাঁদেয়াড় অঞ্চল (Murshidabad) তৃণমূল সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, দলের মধ্যে অনেকদিন ধরে আমাদের একটা ক্ষোভ রয়েছে। দলের নির্দেশে আমরা নমিনেশন জমা করেছিলাম। কিন্তু কোনও প্রার্থীই বি ফর্ম দিতে পারলেন না। এইরকম ঘটনার যথার্থ কারণ কী, তাই বুঝতে পারছি না। নমিনেশন প্রত্যাহারের কথা কেন উঠছে বলেও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে একসঙ্গে বসে টিকিট বণ্টন করেন। মন্ত্রী এবং জেলার নেতাদের সামনে যে প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, মনোনয়নের পর সেই মতন কাজ হয়নি। ষড়যন্ত্র করে তালিকা বদল করে বাইরের লোককে পার্টির টিকিট দেওয়া হল কীভাবে, তাই জানতে চেয়েছেন মিজানুর রহমান। অঞ্চল সভাপতি আরও বলেন, টাকার বিনিময়ে বিধায়ক টিকিট বিক্রি করেছেন। এই অবস্থায় দলের ভরাডুবি হলে সেই দায় তাঁরা নেবেন না জানান অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হল। অন্যদিকে একসঙ্গে এত কোম্পানি বাহিনী দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাই তাঁর দাবি, একাধিক দফায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat ELection 2023) হোক রাজ্যে।

    নয়া বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের 

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ৫০ কোম্পানি, বিএসএফ থাকবে ৬০ কোম্পানি। ২০ কোম্পানি আইটিবিপি, ২৫ কোম্পানি এসএসবি , ২০ কোম্পানি আরপিএফ আসছে রাজ্যে। ২০ কোম্পানি আরপিএফ, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে মোট ২০০ কোম্পানি। বাকি ১২ টি রাজ্য থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে ১১৫ কোম্পানি। আগেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপর আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দেওয়া হয়। ফলে, পঞ্চায়েত ভোটে এবার ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার, তার থেকে ২ কোম্পানি বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। 

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    সুকান্তর দাবি

    অন্যদিকে, এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রের। কোনও সরকারই একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দিতে পারবে না। গতবারে ৫ দফায় ভোট হয়েছিল, এবারও একাধিক দফায় ভোট হোক।’ তাঁর যুক্তি আলাদা আলাদা দিনে ভোট হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share