Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayat Election 2023: হয় মা নয় বৌমা! বিজেপির শাশুড়ি লড়ছেন তৃণমূলের বৌমার সঙ্গে

    Panchayat Election 2023: হয় মা নয় বৌমা! বিজেপির শাশুড়ি লড়ছেন তৃণমূলের বৌমার সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের ময়দানে (Panchayat Election 2023) দেখা যাবে শাশুড়ি ও বৌমাকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগ্রা গ্রামের বৌমা ও শাশুড়ি একে অপরের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাঠে লড়াই করছেন। বৌমা মামণি মুর্মু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এবং শাশুড়ি মায়া হেমরম বিজেপির পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে এবারের নির্বাচনে লড়াই করছেন। যাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ গ্রামবাসী তথা ভোটারদের মধ্যে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে একই পরিবারের বৌমা এবং শাশুড়ির লড়াইয়ের ফলে পারিবারিক বিষয়ে কোনও রকম প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁদের দাবি, রাজনীতির লড়াই রাজনীতির লড়াইতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। নিজের নিজের দলের উন্নয়ন মুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে গ্রামবাসীর কাছে ভোট প্রচারে বেরিয়েছেন শাশুড়ি ও বৌমা দুজনেই।

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে এক গ্রামবাসী বলেন, আমাদের পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) হেমরম বাড়ির কাকিমা-শাশুড়ি ও বৌমা প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুজনেই আলাদা আলাদা দলের প্রার্থী, শাশুড়ি বিজেপির ও বৌমা তৃণমূলের। এটা বড় মজার ব্যাপার। দুজন একই পরিবারের। যে ভোটে জিতে গ্রামের উন্নয়ন করবে, আমরা তাকেই ভোট দেব।

    কী বলছেন বিজেপির প্রার্থী (শাশুড়ি) (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে বিজেপির প্রার্থী (শাশুড়ি) মায়া হেমরম বলেন, আমি আশাবাদী, আমি বিপুল ভোটে (Panchayat Election 2023) জিতবো। আমি ভোটে জিতে আগে গ্রামের উন্নয়ন করবো। আমরা শাশুড়ি বৌমা নির্বাচনে আলাদা আলাদা দলের প্রার্থী হলেও আমাদের পারিবারিক সম্পর্কটা কোনও দিন নষ্ট হবে না।

    কী বলছেন তৃণমূলের প্রার্থী (বৌমা) (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের প্রার্থী (বৌমা) মামণি মুর্মু বলেন, আমি এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) তৃণমূল থেকে প্রার্থী হয়েছি। সম্পর্কে আমার কাকিমা শাশুড়ি বিজেপির প্রার্থী হয়েছে। আমি আশাবাদী, আমি এই নির্বাচনে জয়ী হবো। আমরা একই বাড়ি থেকে শাশুড়ি-বৌমা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। লড়াই তো হবে। কিন্তু আমাদের পরিবারের মধ্যে কোনও ভাঙ্গন ধরবে না। আমাদের বৌমা-শাশুড়ির সম্পর্ক ভালোই থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Yoga Day 2023: মন আর শরীরকে তরতাজা রাখতে হাতিয়ার হোক যোগাভ্যাস! 

    Yoga Day 2023: মন আর শরীরকে তরতাজা রাখতে হাতিয়ার হোক যোগাভ্যাস! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিয়ম মাফিক যোগাভ্যাস বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই! প্রত্যেক দিন নির্দিষ্ট কিছু সময় যোগের জন্য বরাদ্দ করলে একাধিক সমস্যা কমবে। শরীরের পাশাপাশি মনকেও সুস্থ রাখে যোগাভ্যাস! আজ, ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস। আর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বছরের এই একদিন নয়। প্রত্যেক দিন সঙ্গী হোক যোগ (Yoga Day 2023)!

    কারা যোগাভ্যাস (Yoga Day 2023) করতে পারেন?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগাভ্যাসের জন্য কোনও বয়সের সীমা নেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কেউ যোগ করতে পারেন। নিয়মিত যোগ করলে, তার উপকার হয় দীর্ঘপ্রসারী। তবে, শিশুকাল থেকে যোগাভ্যাসে অভ্যস্ত হলে, তা আরও ভালো। কম বয়স থেকে যোগ (Yoga Day 2023) শুরু করলে শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বেশি থাকে। তাই শিশুদের যোগে অভ্যস্ত করার বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন উপকার পাওয়া যায় (Yoga Day 2023)? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাসের একাধিক উপকার রয়েছে। শরীরের পক্ষে যেমন খুব ভালো, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও এই অভ্যাস ইতিবাচক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যোগ শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। পাকস্থলী, লিভার, অন্ত্র সহ একাধিক অঙ্গ সক্রিয় রাখতে যোগাভ্যাস (Yoga Day 2023) খুব উপকারী। পাশাপাশি, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর সচল থাকে। শরীরের সমস্ত অঙ্গের সক্রিয়তা বাড়ে। তাই পেশি মজবুত হয়। পেশির ব্যথা কমে। 
    যোগাভ্যাস করলে হাড়ের জন্যও উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত যোগাভ্যাস হাড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়লেই পেশি ও হাড়ের সমস্যা কমতে থাকে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যোগ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তার ফলে, হৃদযন্ত্র সচল থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমে।

    মানসিক স্বাস্থ্যেরও বিকাশ ঘটে (Yoga Day 2023)

    যোগাভ্যাস শুধু শরীরের নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। নিয়মিত যোগ (Yoga Day 2023) মানসিক উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। কারণ, যোগাভ্যাসের জন্য মনঃসংযোগ করতে হয়। তাই মানসিক উদ্বেগ কমে। আর উদ্বেগ কমলে যেমন মানসিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে, তেমনি রক্তচাপ সহ একাধিক রোগও নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
    মানসিক অবসাদ ও চাপ কমানোর ক্ষেত্রেও যোগ খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস অবসাদ রুখতে সাহায্য করে। 
    শিশুদের মনঃসংযোগ বাড়াতে যোগাভ্যাস খুব উপকারী। তাই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়মিত যোগাভ্যাসের জন্য সময় বরাদ্দ করার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    পাশাপাশি, মহিলাদের ওভারির সমস্যা, পিসিওডি কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের মতো সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে যোগাভ্যাস। এতে মানসিক স্থিতি বাড়ে। তাই শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। তার জেরেই উপকার হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nawsad Siddique: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Nawsad Siddique: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই হিংসা দেখেছে ভাঙড়। তাই ভাঙড়ের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আর্জি মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার তাঁর আর্জি মঞ্জুর করেছে। তবে নওশাদকে (Nawsad Siddique) কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তা এখনও জানা যায়নি। কেন্দ্রের তরফে রিপোর্ট দিয়ে তা হাইকোর্টে জানানো হবে।

    নওশাদের অভিযোগ

    ভাঙড়ে বিরোধীদের বিশেষ করে আইএসএফ কর্মীদের মনোনয়ন জমায় বাধা দিয়েছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ নওশাদের (Nawsad Siddique)। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকেও দলের কর্মীদের মনোনয়ন জমা করাতে হিমশিম খেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা করতে শুরু করেন। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লেখা চিঠিতেও নিজের সেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন নওশাদ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। এরই পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন নওশাদ।

    নওশাদের দাবি জেড প্লাস নিরাপত্তা

    কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মঙ্গলবার তার শুনানি ছিল। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের অনেক বিধায়কই আলাদা করে নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে ভাঙড়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাই সেখানকার বিধায়ক হিসাবে নওশাদও (Nawsad Siddique) নিরাপত্তা পাবেন। তবে নওশাদকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলে দেননি বিচারপতি। কেন্দ্রই তা ঠিক করবে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন কেন্দ্রের তরফে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে নওশাদের জন্য তারা কী ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।

    আরও পড়ুন: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    হাইকোর্টের নির্দেশের পর নওশাদ (Nawsad Siddique) বলেন, ‘‘আমি প্রথমে রাজ্য সরকারকে বলেছিলাম আমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার পর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা কেউ আমার কথায় কান দেয়নি। বিধায়কের ন্যূনতম যে নিরাপত্তা পাওয়ার কথা, তা-ও আমাকে রাজ্য দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, “শুধু আমার নয়, ভাঙড়বাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে আমি নবান্নে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আমার জন্য সময় হয়ে ওঠেনি। আশা করব, আগামী দিনে ভাঙড়বাসী নিরাপদে থাকবে। না হলে আমি আবার আদালতে যাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর মিছিলে হামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশের পরেও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ, দাবি এনআইএ-র (NIA)। রাজ্য সাহায্য না করায় আটকে রয়েছে বহু মামলা। অভিযোগ, মামলার বহু নথিও দিচ্ছে না রাজ্য। এই সব অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    এনআইএ-র দাবি

    রামনবমীতে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় হামলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্য পুলিশকে সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিলের রায়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে নথি হস্তান্তরের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এনআইএ-র (NIA) অভিযোগ, রাম নবমী সংঘর্ষ নিয়ে তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য। এমনকী মামলা সংক্রান্ত কোনও নথিও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তদন্ত আটকে রয়েছে।

    বুধবার শুনানির সম্ভাবনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে বলা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির এনআইএ তদন্তের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কিন্তু সেই মামলায় কোনও অর্ডার নেই। গরমের ছুটির পড়ে সেই মামলার শুনানির কথা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    সক্রিয় এনআইএ

    এই মুহূর্তে এনআইএ কলকাতা শাখায় ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর মিলিয়ে ৬জন তদন্তকারী অফিসার রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের উপরেই অন্তত দু’ থেকে তিনটি কেসের চাপ রয়েছে। ফলে অফিসারদের নির্দিষ্ট কোনও কেসের উপর নজর দিতে সমস্যা হচ্ছে। আর এই দুর্বলতা ধরতে পেরেছেন ডিজি দীনকর গুপ্তা। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে যত দ্রুত সম্ভব অফিসারের অভাব পূরণ করা হবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    Murshidabad: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের (Murshidabad) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, তৃণমূল নেতা অশোক দাসকে পাশে বসিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী শাওনি সিংহরায়কে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি তুললেন। শাওনির জায়গায় নিয়ামত শেখকে বসাতে হবে বলেও তাঁর দাবি। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলার আরও এক নেতা অপূর্ব সরকারকেও সরাতে হবে। কার্যত তৃণমূলের এই বিধায়ক জেলার নিজের দলের বিরুদ্ধেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর গুরুত্বকে আরও একবার প্রমাণ করতে দলের বিরুদ্ধে এভাবেই বিস্ফোরক হলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

    কীভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল?

    হুমায়ুন বলেন, এই জেলার (Murshidabad) রাজনৈতিক ইতিহাস দীর্ঘদিনের। অশোক দাসের মতো মানুষ ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সদস্য। সেই সময় এই জেলায় তৃণমূলের ভোটের পরিমাণ ছিল ৪%। পরে অশোক দাসকে দলের সভাপতি করলে ভোটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯%। সেই সময় তাঁকে জেলার ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। এরপর মোহম্মদ আলি যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন দলের ভোট ৯% থেকে ২৪% এ পৌঁছায়। যারা যোগ্য, যারা জিতেছে, তাদের মধ্যে কেউ দলের ক্ষমতায় নেই। কিন্তু যারা হেরেছে, তাদেরকেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে! ঠিক এইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান দলের বিধায়ক হুমায়ন কবীর।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ

    হুমায়ুন কবীর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন, আমরা ২১৩ জন বিধায়ক তখন মুখ্যমন্ত্রীকে দলনেত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিলাম। রাজ্যপালের কাছে শপথ নেওয়ার সময় আমরা বিধায়করাই সই করেছিলাম। সেখানে শাওনি সিংহরায় সই করেনি! হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের সামনে আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাকে আগে প্রয়োজন! হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) না শাওনি সিংহরায়কে? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে! তাঁর এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যে দলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নয়া মোড়, সিগন্যালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ‘নিখোঁজ’

    Coromandel Express Accident: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নয়া মোড়, সিগন্যালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ‘নিখোঁজ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident) কি ষড়যন্ত্র? বালেশ্বরের সোরো সেকশনের রেলের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পলাতক। তাঁর বাড়ি সিল করে দিল সিবিআই। তাঁর অন্তর্ঘাতের জেরেই কি তবে এত বড় বিপর্যয়? রাতদিন এক করে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। পলাতক রেল কর্মী আমির খানের খোঁজে এবার ওড়িশার সীমানা পেরিয়ে বাংলায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    বাংলায় তল্লাশি সিবিআইয়ের

    ওই রেল কর্মী খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল বিভাগের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে রেলে কর্মরত ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই ছিল ওড়িশার সোরো, ধান্দপারা, বাহানাগা বাজার স্টেশনের সিগন্যাল রুমের দায়িত্ব। কিন্তু, ২ জুনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। তাঁর খোঁজেই ওড়িশার পাশাপাশি বাংলার দুই জেলায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে হুগলির ডানকুনি এবং পূর্ব মেদিনীপুর এলাকায়। 

    ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি সিল

    রেলের ওই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের নাম আমির খান। তিনি সোরো সেকশনে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। সোমবার তাঁর বাড়িতে তাঁকে খুঁজতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কিন্তু বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। ফলে বাড়ি সিল করে দিয়ে আসে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই বাড়ির উপর তারা আলাদা করে নজর রেখেছে। করমণ্ডল দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর রেলের একাধিক কর্মীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সেই সময় এই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকেও এক বার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে ওড়িশায় থাকলেও আমির আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, সিগন্যালের ত্রুটিতেই এমন দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু পরে রেলের তরফেও জানানো হয়, এ ক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রেলমন্ত্রী নিজে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনও ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া শুধু প্রযুক্তিগত ত্রুটিতে এত বড় দুর্ঘটনা সম্ভব নয়। বাহানাগা বাজার স্টেশন মাস্টারের বাড়িতেও সিবিআই হানা দিয়েছিল বলে খবর। এদিকে, এর আগেই বাহানাগা বাজার স্টেশনের মাস্টার সহ পাঁচজনকে আটক করেছিল সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। তাঁদের একটি অজ্ঞাত পরিচয় স্থানে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি সিল করে দেওয়া হয়েছে সিগন্যাল রুম, স্টেশন মাস্টারের ঘর সহ গোটা বাহানাগা বাজার স্টেশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Assam Flood 2023: জলের তলায় ৪৪৪টি গ্রাম, আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি

    Assam Flood 2023: জলের তলায় ৪৪৪টি গ্রাম, আসামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম (Assam)। ভাসছে ৪৪৪টি গ্রাম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা সে রাজ্যের জেলায় জেলায়। রাজ্যের ১০ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। প্রবল বর্ষণের কারণে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। আগামী ৫ দিন আসামের বেশ কিছু জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি লখিমপুরে

    বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চিরাং, দরং, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নলবাড়ি, সন্তিপুর, উদালগুড়ি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আসামের (Assam) লখিমপুর জেলায়। সেখানে ২২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা। কোকরাঝাড়ে প্রায় ১৮০০ জন বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪৭৪১.২৩ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসন ৭ জেলায় মোট ২৫টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  

    আগামী ৫ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস 

    আগামী ৫ দিনে আসামের (Assam) বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। মৌসম ভবনের গুয়াহাটি শাখা সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা নিম্ন আসামের কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা, বরপেটা এবং বনগাইগাঁওয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। এই সমস্ত জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধুবরি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, নলবারি, দিমা হাসাও, কাচার, গোয়ালপাড়া এবং করিমগঞ্জ জেলাতেও আগামী ২৪ ঘণ্টা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে ডিমা হাসাও, কামরূপ মেট্রোপলিটন এবং করিমগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় ধস নেমেছে।

    আরও পড়ুন: ৫২ তম বছরে কলকাতার ইসকনের ‘থিমে’র রথযাত্রা

    এদিকে, টানা বৃষ্টির পাশাপাশি ভুটান জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। তার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কামরূপে জাতীয় সড়কের উপর উপচে পড়েছে নদীর জল। বৃষ্টিপাত কমলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আসাম (Assam) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Panchayat Election 2023: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেতে হল রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি কাম্য নয়। অতীতে বাংলায় ভোটের সময় হিংসা দেখা গিয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্ট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছিল। সেই রায়তে কোনও সমস্যা নেই।’’

    শুনানি-পর্বে কী হল?

    পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্বকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে রাজ্যে যে সীমাহীন হিংসা ও রক্তক্ষয় হয়েছে, তা বিচার করে গত সপ্তাহেই সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের রায়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে কমিশন

    বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি নাগরত্না রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘এমনিতে আপনারা পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) জন্য পাঁচ রাজ্যের থেকে পুলিশ চেয়েছেন। এদিকে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হলে তার খরচ কেন্দ্রই বহন করবে। তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?’’ 

    আবার, রাজ্য কমিশনের (Panchayat Election 2023) আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘রাজ্যের পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ। তবে সংখ্যায় পুলিশকর্মী কম থাকায় অন্য রাজ্য থেকে বাহিনী চাওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মনোনয়ন পর্বে কমিশন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিমি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।’’ কমিশনের যুক্তি, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পরিকল্পনা বদল করতে হবে। তাছাড়া, নিরাপত্তার বিষয়টি রাজ্য দেখে। এখানে কমিশনকে সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।’’

    একথা শোনার পর বিচারপতি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপনাদের উপর নয় যখন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তিত কেন? আপনারা আপনাদের কাজ করুন। যেখান থেকেই বাহিনী আসুক, আপনাদের অসুবিধা কোথায়?’’ এই প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের কড়া মন্তব্যের মুখে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    Panchayat Election: টিকিট না পেয়ে নির্দল, মান ভাঙাতে প্রার্থীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে যাঁদের টিকিট দেওয়া হয়নি, তাঁরাই এখন ডাবগ্রাম ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। টিকিট না পাওয়া দলের বিক্ষুব্ধ যে আটজন নেতা-কর্মী নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করানোর জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হুমকিতে কাজ না হওয়ায় এখন তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে অনুনয় বিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন দলের নেতারা।  

    ‘অযোগ্যদের’ নিয়ে কেন এত চিন্তা তৃণমূলের (Panchayat Election)? 

    এ নিয়ে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের এবারেরও প্রার্থী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকযুদ্ধ চরমে উঠেছে বিদায়ী উপ প্রধান নির্মল বর্মনের। নির্মলবাবু এই অঞ্চলে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কর্মী। বাম আমলে তিনিই এই অঞ্চলে তৃণমূলের প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য। দল এবার তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। নির্মলবাবু বলেন, আমরা তো অযোগ্য, গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাহলে আমাদের নির্দল প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তৃণমূল নেতৃত্ব? একটু থেমে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, কোনও চাপ আমাদের মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করাতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধায় এলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবো না। এতদিন দেদার টাকা চুরি করেছে। এলাকার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেতা ও প্রার্থীরা বুঝতে পারছেন, মানুষ তাঁদের গ্রহণ করছেন না। টাকার বিনিময়ে যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, মানুষের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। তাই এখন তৃণমূল নেতৃত্ব পাগল হয়ে গিয়েছে। 

    চাপে পড়ে কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat Election)?

    বিদায়ী প্রধান তথা তৃণমূলের ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্মল বর্মন এখন দলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন, তা তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতে ক্ষমতায় থাকতে করেননি কেন? নির্মল বর্মন কেমন, সেটা এলাকার মানুষ ভালোমতোই জানেন। তবু দলের থেকে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বোঝাচ্ছি মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) প্রত্যাহার করার জন্য। যাতে পরে কেউ না বলতে পারে, দলের থেকে তাঁদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়নি, অভিমান ভাঙার সুযোগ পাননি তাঁরা। তারপরেও কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে দল ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলের পাশাপাশি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের অসহনীয় সঙ্কট ও বেহাল রাস্তা তৃণমূলকে এবার এখানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    Tarapith: মা তারাও রথে চড়ে নগর ভ্রমণ করেন! জানেন এর প্রচলন কবে হয়েছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠের (Tarapith) মা তারা দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা। সাধক বামাখ্যাপার সাধনভূমি সারা বছরই গমগম করে ভক্তদের ভিড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, মা তারা তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। সারা বছরে বিশেষ কিছু পবিত্র তিথিতে তারাপীঠে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রথযাত্রা। কথিত আছে, বামাখ্যাপার সময় থেকেই রথযাত্রার দিন মা তারা রথে চড়ে পথে পা বাড়ান। আবার অনেকে মনে করেন, তারাপীঠের দ্বিতীয় সাধক আনন্দনাথের সময় থেকে মায়ের এই নগর ভ্রমণ শুরু। সেই সময়ে মায়ের রথ তৈরি হয়েছিল পিতলে। এখনও সেই রথেই ওঠেন মা তারা। ভক্তরা টানেন মায়ের রথের দড়ি।

    রথের দিন কী কী হয় তারাপীঠে (Tarapith)?

    ফি বছর পিতলের রথকে পালিশ করে সাজানো হয়। রথের দিন দুপুরে অন্নভোগ দেওয়ার পরে মায়ের রথ বের হয় বিকাল ৩ টে নাগাদ। রথের সঙ্গে চলতে থাকে নামগান। ভক্তরা আনন্দে মেতে ওঠেন। ফলমূল সহযোগে নৈবেদ্য সাজান গৃহস্থরা। শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক। রীতি অনুযায়ী, উত্তরমুখে যাত্রা শুরু করে দ্বারকা সেতু পেরিয়ে রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রোড ধরে তিনমাথা মোড়ে পৌঁছয় মায়ের রথ। ওখান থেকে একই পথ ধরে মন্দিরে ফেরেন মা। রথ থেকে সেবায়েতরা মায়ের প্রসাদ বাতাসা ও পেঁড়া লুট দিতে থাকেন। এ এক অসামান্য দৃশ্য। ভক্তের ঢল নামে পথেঘাটে। রথের রশি স্পর্শ করলেই কেটে যাবে সব বিপদ, এমনই বিশ্বাস ভক্তদের। ‘জয় মা তারা’ ধ্বনি তুলে ভক্তরা প্রার্থনা করেন।

    কীভাবে প্রচলন তারা মায়ের রথযাত্রার?

    তারা মায়ের রথের কবে থেকে প্রচলন, তা নিয়ে অবশ্য ভিন্ন মত রয়েছে। একটি মহল বলে, বামাখ্যাপার আমল থেকেই রথযাত্রার শুরু। তাঁদের মতে, সাধক বামাখ্যাপার আমলেই তারা মাকে রথে বসিয়ে, জগন্নাথ রূপে বিশেষ পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। আবার অন্য একটি মহলের মতে, প্রখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ এই রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁরা তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখ করেন। সেখানেই রথযাত্রার সঙ্গে দ্বিতীয় আনন্দনাথের নাম জড়িয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share