Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bishen Singh Bedi: তারাদের দেশে বিষেন সিং বেদি! বিশ্বকাপের মাঝেই শোকের ছায়া ভারতীয় ক্রিকেটে

    Bishen Singh Bedi: তারাদের দেশে বিষেন সিং বেদি! বিশ্বকাপের মাঝেই শোকের ছায়া ভারতীয় ক্রিকেটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীনই চলে গেলেন বিষেণ সিং বেদি (Bishen Singh Bedi)। ৭৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন স্পিনার। সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় এই কিংবদন্তী লেগ স্পিনারের। তাঁর মৃত্যুর খবর একটি ভিডিও বার্তায় জানান কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন-বিষেণ সিং বেদি আর নেই। এটা ক্রিকেটের জন্য বিরাট ক্ষতি…”

    বাইশ গজে পদার্পণ

    ১৯৪৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর অমৃতসরে বিষেন সিং বেদি (Bishen Singh Bedi) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি দুর্দান্ত বাঁ-হাতি স্পিনার ছিলেন। ভারতের হয়ে তিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন। দেশের হয়ে তিনি ৬৭টি টেস্ট ম্যাচ এবং ১০টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। এর পাশাপাশি ২২ টেস্ট ম্যাচে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    কিংবদন্তী লেগ স্পিনার

    ১৫ বছর বয়স থেকে ক্রিকেটে হাতেখড়ি। শুরু করে উত্তর পঞ্চাবের ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে। ১৯৬৮-৬৯ সালে দিল্লির হয়ে খেলতে শুরু করেন। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর প্রাপ্ত উইকেট ১৫৬০। বাঁ হাতে অর্থডক্স লেগ স্পিন বল করতেন তিনি। ১৯৬৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জীবনের শেষ টেস্ট ইনিংস খেলেছিলেন ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ১৯৭৪ সালে একদিনের ম্যাচে অভিষেক হয়। শেষ একদিনের ম্যাচ খেলেন ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। মোট ৬৭ টেস্টে ২৬৬টি উইকেট পান বিষেণ সিং বেদি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ক্রিকেট মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Hamas Conflict: ইজরায়েলের বোমায় ধ্বংস হামাসের দুটো শক্ত ঘাঁটি! গাজায় পৌঁছল ত্রাণ-সামগ্রী

    Israel Hamas Conflict: ইজরায়েলের বোমায় ধ্বংস হামাসের দুটো শক্ত ঘাঁটি! গাজায় পৌঁছল ত্রাণ-সামগ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসের (Israel Hamas Conflict) সন্ত্রাস দমনে প্রথমবার ‘আয়রন স্টিং (Iron Sting)’ ব্যবহার করল ইজরায়েল। রবিবার ইজরায়েলি (Israel) বায়ুসেনা  গাজা আক্রমণে এই আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে। ররবিবার রাতভর ইজরায়েলি সেনার (IDF) বোমাবর্ষণে হামাসের দুটো শক্ত ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে ।

    আয়রন স্টিং কী

    আয়রন স্টিং হল ১২০ এমএম নির্দিষ্ট নিশানাকে তাক করা এক ধরনের শক্তিশালী মর্টার। এই অস্ত্রের প্রযুক্তিগত উন্নতি করেছে এলবিট সিস্টেম অফ ইজরায়েল (Israel Hamas Conflict) । এই সংস্থাটি আন্তর্জাতিক অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এরা অস্ত্র সরবরাহ করে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগের দাবি, আয়রন স্টিং অত্যন্ত নিখুঁত এবং অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। তাদের আরও দাবি, আয়রন স্টিংই হামাসের সঙ্গে খেলা বদলে দিতে পারে। ইজরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা সোমবার ভোরে লেবাননের দুটি হেজবুল্লা ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। ওখান থেকে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোড়ার ছক কষা চলছিল।

    অপারেশন অজয়

    ‘অপারেশন অজয়’-এর অধীনে ষষ্ঠ বিমান ১৪৩ জনকে নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি ফিরেছে। ইজরায়েলের (Israel Hamas Conflict) তেল আভিভ থেকে ‘অপারেশন অজয়’-এর অধীনে  ষষ্ঠ বিমান দুই নেপালিসহ ১৪৩ জনকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছেছে। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সুবিধার্থে ১২ অক্টোবর অপারেশন অজয় ​​চালু করা হয়।

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের কালো মেঘ! বৃষ্টি নামল, দশমীতে ভাসবে কলকাতা?

    আমেরিকা-ইজরায়েল সাহায্য

    ত্রাণসামগ্রী সহ ট্রাকের একটি কনভয়  রবিবার গভীর রাতে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রসংঘের তরফে মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, “এই ছোট সাহায্যই আমাদের কাছে ভবিষ্যৎ আশার একটি ঝলক”। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার ফোনে ফের কথা বলেন। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেক্রেটারি অফ স্টেট এন্টনি ব্লিঙ্কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানের সম্ভাব্য হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা কার্যকরভাবে আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।” ইরান বা হিজবুল্লাহকে সংঘাতে যোগদান থেকে বিরত রাখতে পেন্টাগন ইতিমধ্যে দুটি বিমানবাহী রণতরী এবং প্রায় ২০০০ নৈবাহিনীর সেনাকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Weather Update: নিম্নচাপের কালো মেঘ! বৃষ্টি নামল, দশমীতে ভাসবে কলকাতা?

    Weather Update: নিম্নচাপের কালো মেঘ! বৃষ্টি নামল, দশমীতে ভাসবে কলকাতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবমীর সকাল থেকেই আকাশের মেঘের আনোগোনা। চলছিল সুয্যিমামার লুকোচুরি খেলা। বেলা গড়াতেই শুরু হল বৃষ্টি। বৃষ্টি নামল দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে গড়িয়াহাট, যোধপুর পার্ক, রাসবিহারী, গোলপার্ক সহ দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু এলাকায়। কলকাতার (Weather Update) পাশাপাশি উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

    কেন অসময়ে বৃষ্টি

    পুজোর শেষ দিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। আজ মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে রিকার্ভ করবে গভীর নিম্নচাপ। উপকূল বরাবর এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে আসার সম্ভাবনা। এর অভিমুখ থাকবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তা ধীরে ধীরে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। এই নিম্নচাপ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নয়া এই ঘূর্নিঝড়ের নাম হামুন। তবে বিরাট কোনও দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। ২৫ অক্টোবর, একাদশীর বিকেলে, চট্টগ্রাম লাগোয়া বাংলাদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি  ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তার প্রভাবেই কলকাতা-সহ কিছু কিছু এলাকায় নবমী থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।

    সকাল থেকেই বৃষ্টি

    আজ, পুজোর শেষ দিন। কাল বিদায়ের পালা। নবমীর সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেই ঠাকুর দেখার ভিড় মণ্ডপে মণ্ডপে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মেনে অনেকেই ছাতা সঙ্গে নিয়েই বেরিয়েছেন ঠাকুর দেখতে। তাঁদের অনেককেই দেখা গেল, ছাতা মাথায় মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে পড়তে। আজ, বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি এলাকায়। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ আবহাওয়ার বুলেটিনে এ কথা জানিয়েছে আলিপুরের হাওয়া অফিস। এই সময়ের মধ্যে মানুষকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন আবহবিদেরা।

    আরও পড়ুন: ক্রিকেট উৎসবে সামিল সকলে! ধর্মশালার গ্যালারিতে পাশাপাশি কারা?

    নিম্নচাপের প্রভাব

    এই নিম্নচাপের প্রভাবে  রাজ্যের উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। সঙ্গে উপকূলের জেলায় হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত দুর্যোগ বাড়তে পারে। দশমী ও একাদশীতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা সমুদ্রে আছেন তাদের নবমীর রাতে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ,দশমীর দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মেঘলা আকাশ। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • ICC World Cup: ক্রিকেট উৎসবে সামিল সকলে! ধর্মশালার গ্যালারিতে পাশাপাশি কারা?

    ICC World Cup: ক্রিকেট উৎসবে সামিল সকলে! ধর্মশালার গ্যালারিতে পাশাপাশি কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশ্বমেধ ঘোড়ার মতো দৌড়চ্ছে টিম ইন্ডিয়া। পর পর পাঁচটি ম্যাচে জয়। সেই সুবাদে বিশ্বকাপের (ICC World Cup) সেমি ফাইনালে ওঠার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো ভারত। ১০ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে রোহিত ব্রিগেড। এখনও পর্যন্ত লিগ পর্বের লড়াইয়ে ভারতকে টেক্কা দিচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু রবিবার কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে ভারত তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা আরও উস্কে দিল। রাজনীতি ভুলে এদিন পাশাপাশি বসে খেলা দেখলেন নেতারা। গ্যালারিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) মাঝে বসে খেলা দেখলেন হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।

    গ্যালারিতে কারা

    ক্রিকেট উৎসবের রঙে মিশল রাজনীতির রঙ। একই দলের হয়ে গলা ফাটালেন নাড্ডা, অনুরাগ, সুখবিন্দর। রবিবার বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) ম্যাচ চলাকালীন ক্যামেরায় ধরা পড়ল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) মাঝে বসে খেলা দেখছেন হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। লিগ টেবিলে শীর্ষে ওঠার জন্য ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সামির কামব্যাক, পাঁচ উইকেট

    দুর্দান্ত কামব্যাক হল মহম্মদ সামির। একাই নিলেন ৫ উইকেট। যা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে যেমন স্বস্তির, তেমনি অস্বস্তিরও বটে। এতদিন স্পেশালিস্ট পেসার হিসাবে প্রথম একাদশে বুমরাহ এবং মহাহদ সিরাজ কে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু সমি বুঝিয়ে দিলে পুরনো চল ভাতে বাড়ে। দলকে শুভেচ্ছা জানালেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।

    প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ২৭৩ রান তোলে। মিচেল একাই করেন ১৩০ রান। রচিন রবীন্দ্র ৭৫ রানে আউট হন। জবাবে ভারত  ৪৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের করি জোগাড় করে নেয়। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৪৬ ও  শুভমান গিল ২৬ রানে আউট হন। তবে বিরাট কোহলি আরও এক ঝলমলে ইনিংস উপহার দিলেন শৈল শহরে। ১০৪ বলে তাঁর সংগ্রহ ৯৫রান। শ্রেয়াস আইয়ার ৩৩ ও লোকেশ রাহুল ২৭ রান করে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত। তবে  জাদেজার অনবদ্য ব্যাটিং ভারতকে সহজে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ৩৯ রানে অপারোজিত থাকেন জাদ্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: ‘উমা ফিরে আসছে…’, দশমীতে শিবের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয় নীলকণ্ঠ পাখি

    Durga Puja 2023: ‘উমা ফিরে আসছে…’, দশমীতে শিবের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয় নীলকণ্ঠ পাখি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখন মোবাইল ফোন ছিল না, হোয়াটসঅ্যাপ ছিল না, ডাকঘরের পিওন ছিল না, তখন বার্তা পাঠানোর উপায় কী ছিল জানেন? রূপকথার গল্পে রাজকুমারী তার প্রেমিককে চিঠি লিখলে পৌঁছে দিত কে? বার্তাবাহক পাখির ভূমিকায় সবথেকে জনপ্রিয় পাখির নাম পায়রা। প্রাচীন যুগের পটভূমিকায় রচিত চলচ্চিত্রগুলিতে আমরা দেখেছি পায়রার গলায় বার্তা বেঁধে তাকে উড়িয়ে দেওয়া হত এবং নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে সেই বার্তা পায়রা পৌঁছে দিত। কোথাও হ্যাক হত না সেই বার্তা। এরকমই একটি পাখির কাহিনি প্রচলিত আছে, জানেন কি? যে পাখিকে পৌরাণিক মতে স্বয়ং মহাদেবের সঙ্গী মনে করা হয়। মহাদেবের বার্তাবাহক রূপে কাজ করে এই পাখি। এই পাখিই (Durga Puja 2023) কৈলাসে গিয়ে শিবকে খবর দেয় বাপের বাড়ি থেকে উমা আসছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ইন্ডিয়ান রোলার।

    বিজয়া দশমীর দিন নীলকন্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ মনে করা হয়

    বিজয়া দশমীর দিন (Durga Puja 2023) নীলকন্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী  বলে মনে করা হয়। কথিত আছে এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীলকন্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীলকন্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে তখন নীলকন্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হল, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির (Durga Puja 2023) দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে, রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল সে। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    নীলকণ্ঠ পাখি কেন কৃষকদের বন্ধু?

    আরও একটি মত রয়েছে এবিষয়ে। লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকন্ঠ পাখির রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হল নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে (Durga Puja 2023) মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, একসময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদি ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। যেমন কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত বিজয়া দশমীর দিনে। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা সম্ভব হয় না। তবে কাঠের বা মাটির নীলকন্ঠ পাখি তৈরি করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Carbon Credit: কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতিতে অতিরিক্ত আয়ের মুখ দেখছেন যোগী রাজ্যের কৃষকরা

    Carbon Credit: কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতিতে অতিরিক্ত আয়ের মুখ দেখছেন যোগী রাজ্যের কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উষ্ণায়নও। যা নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক মহলগুলিও। বিশ্ব-উষ্ণায়নের ফলে ইতিমধ্যে গলতে শুরু করেছে মেরু প্রদেশের বরফও। আন্তর্জাতিক স্তরেও নানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবিষয়ে। চলতি বছরে ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনেও একপ্রস্থ আলোচনা হয় বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। এনিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রয়াস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ার প্রধান কারণ হল ক্লোরোফ্লুরো কার্বন এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড। বর্ধিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে ভরসা তাই গাছ  লাগানো।

    কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতি আসলে কী?

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতির (Carbon Credit)। কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতি হল এক টন কার্বন ডাই অক্সাইডের অথবা যে কোনও গ্রিনহাউস গ্যাসের সমান ভর। বিষয়টি সরলভাবে বোঝাতে গেলে গেলে বলতে হবে, যে পরিমাণ গাছ এক টন ভরের কার্বন ডাই-অক্সাইডকে পরিবেশ থেকে হ্রাস করতে পারে সেই পরিমাণের চারা রোপণকে কার্বন ক্রেডিট (Carbon Credit) বলে। ভারতবর্ষের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার এনিয়ে নীতিও গ্রহণ করেছে। যোগী রাজ্যে কার্বন ক্রেডিট নিয়ে বেশ উৎসাহী কৃষকরাও। কার্বন ক্রেডিট পদ্ধতির মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের মুখও দেখছেন যোগী রাজ্যের কৃষকরা। সেরাজ্যের কৃষকরা,নিজেদের চাষযোগ্য জমির সীমানায় গাছ লাগাচ্ছেন। 

    কী বলছেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের বনমন্ত্রী?

    উত্তরপ্রদেশ সরকারের বনমন্ত্রী অরুণ কুমার সাক্সেনার মতে, ‘‘পরিবেশ রক্ষায় এবং গ্রিন হাউস গ্যাস পরিবেশ থেকে কমানোটা কখনোই আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না যদি না কৃষকরা এগিয়ে আসতেন।’’ বর্তমানে যোগী সরকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে যে সে রাজ্যের বনাঞ্চল ৯.২৩ শতাংশ তেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশে নিয়ে যাবে। যোগী সরকারের নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি কৃষককে আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে কার্বন ক্রেডিট প্রকল্পে (Carbon Credit)। এই প্রকল্পে রোপণ করা চারাগাছগুলিকে পরিচর্যা রক্ষণাবেক্ষণ সমেত দেখভাল করবেন কৃষকরা। বর্তমানে বাজারদর বলছে ৬টি কার্বন ক্রেডিটের মূল্য হল এক ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৩ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pokhara: চিনের টাকায় তৈরি নেপালের পোখরা বিমানবন্দর, শ্রীলঙ্কার মতোই কি ঋণের জালে কাঠমাণ্ডু?

    Pokhara: চিনের টাকায় তৈরি নেপালের পোখরা বিমানবন্দর, শ্রীলঙ্কার মতোই কি ঋণের জালে কাঠমাণ্ডু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনকয়েক আগে পাসপোর্ট জালিয়াতি সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সিবিআইয়ের হাতে। ভুয়ো নথির সাহায্যে পাসপোর্ট বানিয়ে চিনা গুপ্তচররা নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করছে। নেপাল হয়ে তারা সোজা চলে যাচ্ছে দক্ষিণ ভারতে। দেশে দেশে গুপ্তচরবৃত্তি এবং নজরদারি চালানোর অভ্যাস শি জিনপিং-এর দেশের নতুন কিছু নয়। ভারত মহাসাগর এলাকায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে ২০১৭ সালেই শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ নেয় চিন। বলা ভাল লিজ দিতে বাধ্য হয় ভারতের দক্ষিণের দ্বীপরাষ্ট্র। হামবানটোটা বন্দরকে লিজ নেওয়ার ফলে স্বাধীন শ্রীলঙ্কার সার্বভৌমত্ব প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে শ্রীলঙ্কাতে আর্থিক সংকটও মারাত্মক আকার ধারন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রীলঙ্কার মতো একই পরিণতি হতে পারে ভারতের হিমালয়ের কোলে পার্বত্য রাষ্ট্র নেপালেরও।

    নেপালের হামবানটোটা হতে চলেছে পোখরা বিমানবন্দর

    নেপালের পোখরা (Pokhara) বন্দর চিনের তৈরি। সম্প্রতি নেপালের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অরুণ কুমার সুবেদী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘‘নেপালের হামবানটোটা হতে চলেছে পোখরা বিমানবন্দর।’’ নেপালের পোখরা (Pokhara) বিমানবন্দরের নির্মাণ নিয়ে বিতর্কও কম নেই। অতি নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধেই। চলতি বছরের গোড়ার দিকেই এই বিমানবন্দর চালু হলেও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করতে দেখা যায়নি এখানে। তার চেয়ে বরং চিন চ্যাটার্ড বিমানই ওঠা নামা করতে দেখা যাচ্ছে। এতেও প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার জন্যই কি এই বিমানবন্দর তৈরি করেছে চিন?

    চিনের আগ্রাসন

    গত বছর নেপালের বালুওয়াটারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাকে পোখরা (Pokhara) বিমানবন্দরটি হস্তান্তর করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াই। উদ্বোধনের আগে এই বিমানবন্দর ঘিরে বিতর্কও তৈরি হয়। কাঠমান্ডুতে চিনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একতরফা ভাবে ঘোষণা করা হয় যে পোখরা বিমানবন্দরটি চিন-নেপাল বিআরআই-এর প্রধান প্রকল্প। বিবৃতিতে বলা হয় “চিন-নেপাল বিআরআই কোঅপারেশনের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট এটি। নেপালি সরকার ও নেপালি নাগরিকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা।” তবে নেপালের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনা দূতাবাসের এহেন মন্তব্য ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। 

    নেপালের সংবাদপত্রগুলিও চিনের বিরুদ্ধে লিখতে শুরু করে

    নেপালের সংবাদপত্রগুলিও চিনের এই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে যায়। জনপ্রিয় নেপালি সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে লেখা হয়, বিমানবন্দরটির নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে চিনের সঙ্গে সহজ শর্তে ঋণে ২১৫.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মউ স্বাক্ষর করেছিল নেপাল। নেপাল সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও তোলে কাঠমান্ডু পোস্ট (Pokhara)।  তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে এই নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই বিমানবন্দর তৈরিতে মোট খরচ হয়েছিল ৩০৫ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় এখন যা ২৪৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২১৫ মিলিয়ন ডলার লোন নেওয়া হয়েছে চিনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক থেকে। এখন ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ১৭৭৫ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: পুজোর মধ্যে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Ranaghat: পুজোর মধ্যে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মধ্যে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট (Ranaghat) আনুলিয়া এলাকায়। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় রানাঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বোমাবাজির ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট-১ (Ranaghat) ব্লকের আনুলিয়া পঞ্চায়েতের কায়েত পাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা পাল আনুলিয়া পঞ্চায়েতের কায়েত পাড়ার বাসিন্দা। তিনি জগপুর রোডের পাশে স্বামীর সঙ্গে থাকেন। ছেলে সন্তু পাল ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আনুলিয়া পঞ্চায়েতের ৭৬ নম্বর বুথ থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন অপর্ণা। পঞ্চায়েতের মোট ২৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৩ ও বিজেপি চারটি আসনে জয়ী হয়েছে। আচমকা দু’টি বোমা ফাটার শব্দ শুনতে পান এলাকার লোকজন। সকাল হতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পাল দম্পতি দেখতে পান, বাড়ি বারান্দার একাংশ কালো হয়ে রয়েছে। পেশায় কাঠের ব্যবসায়ী সুষেন পাল বাড়ির সামনে থাকা দোকানের শাটার খুলতে গিয়ে দেখেন, শাটারের একাংশ ভাঙা।

    কী বললেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য?

    অপর্ণা বলেন, পুজোর সময় রাজনীতি ঠিক নয়। তৃণমূল পুজোর সময় নোংরা রাজনীতি করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাড়ির লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে তৃণমূল। ঘটনার পর থেকে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    রানাঘাট-১ (Ranaghat) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রদীপ ঘোষ বলেন, আমাদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘বাংলায় সুরাজ্য স্থাপনের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন’, বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ

    Birbhum: ‘বাংলায় সুরাজ্য স্থাপনের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন’, বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় সুরাজ্য স্থাপনের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন। শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে একথা বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি বলেন, বাংলায় সুরাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। তারজন্য এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার চাই। আমি মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, বাংলায় সুরাজ্য এনে দাও। বাংলায় বদল আনতে হবে। মোদীর সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা এখানকার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যতদিন বাংলায় বদল না আসবে ততদিন সুদিন ফিরবে না। মানুষের কল্যাণে এখানকার সরকার বদলের প্রয়োজন। বাংলার মানুষের উচিত এই সরকার বদল করে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সুবিধা ভোগ করা।

    তৃণমূল সরকার নিয়ে কী বললেন প্রমোদ?

    গোয়া নির্বাচনে তৃণমূল অংশগ্রহণ করে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এদিন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ তৃণমূলের নাম না করে বলেন, গোয়ার প্রচুর পর্যটক যান। সেরকমই কিছু রাজনৈতিক পর্যটক ২০২২ সালে গোয়া গিয়েছিলেন। সেখানে নতুন সকালের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু, গোয়াতে নয়, এবার এই বাংলায় নতুন সূর্য উঠবে।

    কেষ্ট গড়ে (Birbhum) পুজো উদ্ধোধনে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী

    কেষ্ট গড় বলে পরিচিত বীরভূম (Birbhum)। কিন্তু গত বছর থেকে তাঁর ঠিকানা তিহাড়েই। এবারও যা ভাবগতি, সেখান থেকে তার ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এবার কেষ্ট গড়েই পুজোর উদ্বোধনে এসেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জেলার একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। শুক্রবার অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সোজা চলে যান বক্রেশ্বর মন্দির। সেখান থেকে বেরিয়ে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব। এরপর বিকেল চারটে নাগাদ বিজেপি বীরভূম জেলা কার্যালয়ে চায়ের আসরে যোগ দেন তিনি। পরে, বীরভূম শ্যামাপ্রসাদ স্মারক সমিতির দুর্গাপুজো উদ্বোধন করেন তিনি। সিউড়ি, দুবরাজপুরের একাধিক পুজো উদ্বোধন করে রানিগঞ্জের উদ্দেশে তিনি বেরিয়ে যান। সেখানেও একাধিক পুজো উদ্বোধনের কথা রয়েছে তাঁর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: দুর্গাপুজোর তিনদিন খড়দার শ্যামসুন্দর দিনের বেলায় ৯ ঘণ্টা শয়নে থাকেন, কেন জানেন?

    Khardah: দুর্গাপুজোর তিনদিন খড়দার শ্যামসুন্দর দিনের বেলায় ৯ ঘণ্টা শয়নে থাকেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর তিন দিন প্রায় ৯ ঘণ্টা শয়নে থাকেন খড়দার (Khardah) শ্যামসুন্দর। এই সময় তিনি ভোগও খান পরিমিত। প্রায় সারাদিন ধরে মন্দিরের দরজাও বন্ধ থাকে। ভক্তরা পুজো দিতে এলেও শ্যামসুন্দরের দেখা পান না। প্রায় ৫০০ বছর ধরে খড়দার শ্যামের মন্দিরে এই নিয়ম চলে আসছে।

    দুর্গাপুজোর তিনদিন ৬ পদের ভোগ খান শ্যামসুন্দর (Khardah)

    এমনিতেই খড়দার (Khardah) শ্যামসুন্দর মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য হাজার হাজার ভক্তের সমাগময় সমাগম হয়। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত দুপুর একটা নাগাদ শ্যামসুন্দর  অন্ন ভোগ গ্রহণ করেন। অন্ন ভোগে তেরো রকমের পদ থাকে। তারপরই তিনি শয়নে যান। বিকেল পাঁচটার পর মূল মন্দিরে তিনি বিরাজ করেন। কিন্তু, পুজোর সময় সেই নিয়মে ছেদ করে। ষষ্ঠীর দিন পর্যন্ত সারা বছরের বাধা ধরা নিয়ম মেনেই ভোগ নিবেদন করা হয় শ্যামসুন্দরকে। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী পর্যন্ত নিয়মের পরিবর্তন হয়। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর এই তিন দিন শ্যামসুন্দর সকাল আটটার মধ্যে অন্ন ভোগ খান। পদ হিসেবে থাকে, অন্ন, ডাল, পোস্ত, চচ্চড়ি সহ ৬টি পদ। সকাল আটটার মধ্যে অন্ন ভোগ গ্রহণ করেই তিনি শয়নে চলে যান। মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতরেই রয়েছে শয়ন কক্ষ। সেই শয়ন কক্ষে সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তিনি ঘুমিয়ে থাকেন। বিকেল পাঁচটার পর ঘুম থেকে উঠে তাঁকে ফল ও মিষ্টি ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে আধঘন্টা আরতী করা হয়। রাত সাড়ে নটা পর তিনি শয়নে চলে যান। পরের দিন ভোর সাড়ে চারটে থেকে শ্যামসুন্দরের নিত্যপুজো শুরু হয়।

    পুজো প্রসঙ্গে কী বললেন মন্দিরের এক সেবাইত?

    নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর উত্তরসূরী অশেষ গোস্বামী বলেন, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর দিন খড়দা (Khardah) সহ জেলার বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজোয় বিভিন্ন জায়গায় পাঁঠা বলি হয়। শ্যামসুন্দর সেটা দেখতে পারেন না। তাই সকালেই তিনি শয়নে চলে যান। যুগ যুগ ধরে এই নিয়মেই চলে আসছে। পুরানো রীতি-নীতি ঐতিহ্য মেনেই আমরা সেই নিয়মই পালন করে চলেছি। পুজোর সময় সকালের পর বেলায় মন্দিরে ভক্তরা আসলে শ্যামসুন্দরের দেখা পাবেন না। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পুজো হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share