Tag: Madhyom

Madhyom

  • Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অস্বাভাবিক খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের গঠিত স্বাস্থ্য কমিশনের(Health Commission) মোট ২৬টি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের বক্তব্য, এমন নির্দেশ জারির অধিকার ওই কমিশনের নেই। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যাবে রাজ্য সরকার।

    আদালতের নির্দেশ

    হাইকোর্টে (Calcutta High Court)কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল কলকাতার একটি প্রথম সারির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা ২০২০-র ২৭ জুলাই থেকে পরের বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের জারি করা ২৬টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় ১৬ মে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য তাঁর নির্দেশে বলেন, রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশ এক্তিয়ার বহির্ভূত। নির্দেশগুলি অসাংবিধানিক ও অপ্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য সেগুলি প্রত্যাহার করে নিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    আদালতের (Calcutta High Court) বক্তব্য, এই ধরনের পদক্ষেপের কোনও সংস্থান নেই ২০১৭-র ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনে, যার বলে কমিশন গঠিত হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলিরা অবশ্য সওয়াল করেছিলেন যে, জনস্বার্থে এবং রোগীস্বার্থেই এই ধরনের নির্দেশিকা কমিশন জারি করেছে। কিন্তু আইনি প্রশ্নে তাকে আদালত মান্যতা দেয়নি। এই প্রসঙ্গে অতীতের বিভিন্ন মামলার দৃষ্টান্তও তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনে এমন পদক্ষেপ কমিশন যেন আর না করে, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরিষেবার রেট বেঁধে দেওয়াও কমিশনের এক্তিয়ার বহির্ভূত। এই রায় সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি (BJP)। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের কাজ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ পর্বে দেখা যায় বিভিন্ন দলের টিকিট বন্টন নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। প্রতিবাদ জানাতে অনেকেই ভোট ময়দানে সামিল হয়েছেন দলীয় গোঁজ প্রার্থী হিসেবে। অনেকে আবার দলবদল করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সরাসরি বিরোধিতা করতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো রূপেস মাল শুক্রবার  বিজেপির রামপুরহাটে শাখায় যোগদান করলেন। অন্যদিকে, এদিন সকালে বীরভূমের  ময়ূরেশ্বর-১ নম্বর ব্লকের মল্লারপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বিকাশ পত্রধর বিজেপিতে যোগদান করলেন। তিনি ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের ছায়া সঙ্গী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে, তিনি একা দলবদল করেছেন এমন নয়,  তাঁর সঙ্গে এলাকার আরও প্রায় ৩০০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিকাশ পত্রধরের  হাতে পতাকা তুলে দেন রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহা। পাশপাশি উপস্থিত ছিলেন মণ্ডল সভাপতি সহ অনান্যরা। বিধায়ক এবং দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিজেপিতে যোগদান বলে জানিয়েছেন বিকাশবাবু।

    কী বললেন দলত্যাগী নেতা?

    রাজ্যজুড়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে সেই কোন্দল আরও প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে অনুব্রত গড় বীরভূম জেলায় তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কখনও তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়ে যোগদান করছেন সিপিএমে, কখনও আবার বিজেপিতে (BJP), কখনও আবার কংগ্রেসে। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সংখ্যা বেশি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে শাসকদল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা গেরুয়া শিবিরকে নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূল সাংসদের ভাইপো রূপেশ মাল বলেন তৃণমূল দলে তিনি যথাযথ সম্মান পাচ্ছিলেন না, তাছাড়া তৃণমূল যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত করে অযোগ্য ব্যক্তিদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করে টিকিট দিয়েছে। এজন্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিকাশ পত্রধর বলেন, আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করতাম। এখন দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তেই তৃণমূল ছেড়েছি। কয়লা, গরু, পাথর খাদানের টাকা সব ভাইপোর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে যায়। এই টাকায় রাজ্যের অনেক উন্নয়ন হত।  স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এখন চোরদের নিয়ে ঘোরে। এই দলটা আর করা যায় না। এখন এই এলাকায় বিজেপির জনজোয়ার। ময়ুরেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন  তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতে না হতেই দেখা দিয়েছে ভাটা। আজকে তৃণমূল সাংসদদের নিজের ভাইপো বিজেপিতে যোগদান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) নেতা অর্জুন সাহা বলেন, বিকাশ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। ভালো সংগঠক। তাঁর নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী সমর্থক আমাদের দল যোগ দিলেন। এতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা পরিষদের কো মেন্টর ধীরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি বলেন বিকাশ পত্রধর এখন তৃণমূলে নেই। সে কোন দল করবে, না করবে সেটা ওর ব্যাপার তৃণমূলের কোনও কিছু যায় আসে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার রাজ্যের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মঙ্গলবারের রায়ের কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। আজ, শুক্রবার আদালতে এই আর্জি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতিকে আর্জি প্রত্যাহার করার কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাহারের আর্জি মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    আদালতে রাজ্যের আবেদন

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে এলাকাগুলিকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছিল, সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) নিয়ে বিরোধীদের জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টের এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ। কিছুদিন আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে প্রথম থেকেই অশান্তি অব্যাহত। ৮ জুলাই একদফাতেই দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় ও বাকি রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট।

    আরও পড়ুন: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে প্রাক নির্বাচনী অশান্তিতে উত্তাল হয় বাংলা। পরিস্থিতি দেখে এরপরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যের সব এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকরেরও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে চলার কথা জানিয়েও দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সবঠিক থাকলে এ ব্যাপারে সম্ভবত শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দেওয়া হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন সুকান্তর

    Panchayat Election 2023: মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় শুরু হওয়া থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই ঘটেছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। বোমা-গুলিতে ঝরে গিয়েছে বহু প্রাণ। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে  নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টেয়। তবে, হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবারও কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলেছে (West Bengal Panchayat Election)।

     কমিশনের তথ্য কী বলছে?

    কমিশনের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের শেষ দু’দিন, অর্থাৎ, বুধ ও বৃহস্পতিবার, সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে শাসকদল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দিয়েছে তাতে শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি। মনোনয়ন (Panchayat Election 2023) শুরু হয় গত শুক্রবার। রবিবার মনোনয়ন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে হিসাব দেয় তাতে তৃণমূল জমা দিয়েছিল ৯,৩২৮টি। সেটাই বুধবার হয়ে যায় ৪৯,৪৯১। আর বৃহস্পতিবার দিনের শেষে সেই সংখ্যা হয়ে যায় ৮৫,৮১৭। অর্থাৎ, শেষ দু’দিনে তৃণমূল জমা দিয়েছে ৭৬,৪৮৯টি।

    পরিসংখ্যান হাতিয়ার বিজেপির

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করে কমিশন ও শাসক দলকে একত্রে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চার ঘণ্টায় কি আদৌ ৪০ হাজার মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব? সেটাই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা। এদিন পরিসংখ্যানের ছবি ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘‘মাত্র ৪ ঘণ্টায় তৃণমূলের ৪০ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে। অর্থাৎ, প্রতি দু’মিনিটে তৃণমূলের একটি করে মনোনয়ন জমা পড়েছে।’’ বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘গণতন্ত্রকে পরিহাসে পরিণত করেছে রাজ্য সরকার।’’

    আরও পড়ুন: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট

    রাজ্যের ২২টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) হবে আগামী ৮ জুলাই। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হবে ২০টি জেলায়। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থী নির্বাচনে জন্য ভোট হবে ২০টি জেলায়। দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৭টি, পঞ্চায়েত সমিতি ৩৪১টি এবং জেলা পরিষদের সংখ্যা ২০টি। ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন রয়েছে ৬৩ হাজার ২২৯। ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন রয়েছে ৯ হাজার ৭৩০টি। অন্যদিকে, রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদে মোট আসন রয়েছে ৯২৮টি। অর্থাৎ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৭৩,৮৮৭ আসনে ভোট হওয়ার কথা।

    আসনের চেয়ে ১২ হাজার মনোনয়ন বেশি তৃণমূলের!

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal Panchayat Election) যে তথ্য শুক্রবার দুপুরে প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী তৃণমূলের প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৮৫,৮১৭টি। অর্থাৎ, ১১,৯৩০টি মনোনয়ন বেশি জমা পড়েছে। বিজেপির মনোনয়ন ৫৬,৩২১টি। এর পরেই সিপিএম ৪৮,৬৪৬। কংগ্রেস জমা দিয়েছে ১৭,৭৫০টি মনোনয়ন। মোট নির্দল প্রার্থী ১৬,২৯৩ এবং অন্যান্যদের ১১,৬৩৭টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে আপাতত মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ২,৩৬,৪৬৪টি।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মনোনয়ন অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক সময়েই একই দলের একাধিক মনোনয়ন একটি আসনের জন্য জমা পড়ে। পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শনিবার মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। তাতে কিছু মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এর পরে ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর পরেই জানা যাবে কোন দলের কত প্রার্থী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) কোন স্তরে লড়ছে।

    আরও পড়ুন: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Election 2023: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হিংসার জেরে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) মনোয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে আবেদন করেছিলেন বসিরহাটের ৬০ জন বিজেপি প্রার্থী। ওই ৬০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সিনহা। আদালতের নির্দেশ, ‘‘সময় নেই! তাই নির্দেশনামার জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। আদালতে শুনানির ভার্চুয়াল লিঙ্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। এই লিঙ্কে নির্দেশ শুনেই পদক্ষেপ করতে হবে।’’

    আদালতের নির্দেশ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জেরে বসিরহাটের চারটি ব্লকের বিজেপি প্রার্থীরা পুলিশ নিয়ে গিয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। তাই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর্জি ছিল মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হোক। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, বসিরহাটের ৪টি ব্লক— সন্দেশখালি-১ এবং ২, মিনাখা, ন্যাজাট এবং হাড়োয়ার ৬০ জন প্রার্থীর জন্য মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বসিরহাট মহকুমাশাসকের দফতরের বিপরীতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে প্রার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন। তাঁরা শুধু রাস্তা টপকে এ পারে আসবেন। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে প্রার্থীদের মহকুমা শাসকের দফতরে ঢোকাবেন। নির্দেশ বিচারপতির।

    আরও পড়ুন: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    শুক্রবার শুনানি শেষে বিচারপতি সিনহা বলেন, যাঁরা মনোয়ন (Panchayat Election 2023) জমা দিতে পারেননি, তাঁদের পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মনোয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার এবং বসিরহাটের সাব ডিভিশনাল অফিসার উপস্থিতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করবেন বিজেপি প্রার্থীরা। এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত যাঁরা মনোয়ন দেবেন তাঁদের মনোয়ন জমা নিতে হবে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শিক্ষাবন্ধু ও ভলেন্টিয়ারদের মনোয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা একদিন বাড়াতে হবে। সেই মর্মেই এইদিন বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে রায় দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    Panchayat Election: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) প্রার্থীদের পুলিশি পাহারা দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। এর উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার, অভিমত হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, এই পুরো ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আদালতের নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা (এসকর্ট) দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে পুলিশকে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, পুলিশি পাহারার মধ্যেই এক জনকে গুলি করে মারা হয়েছে। কয়েক জন আক্রান্ত। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কী ভাবে হামলা হল? এই প্রসঙ্গেই বিচারপতির নির্দেশ, মামলকারীরা যে সব অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা জানতে চান, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন ওই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না। আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও যে পুলিশকর্মীরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি

    পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করারও অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, মনোনয়ন জমা নিয়ে এই আদালতের বিচারের এক্তিয়ার নেই। তাই মামলাকারীদের আবেদন মতো পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করা হল। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    আন্তর্জাতিক বিভিন্ন যুদ্ধের ছবি সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের দৃশ্য মিলিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই পোস্টে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘গতকাল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হাজার হাজারবার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের জীবদ্দশায় আমরা যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব অঞ্চলের ফুটেজ, উদ্বাস্তু সংকট দেখেছি। কিছু বিরক্তিকর ছবি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে যায়। আতঙ্কিত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের ছবি ‘আত্মসমর্পণের জন্য হাত তুলে’; বন্দুকের ব্যারেলের দিকে তাকিয়ে থাকা এমন একটি ছবি যা আমাদের যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়।’

    সম্প্রতি ভাঙরে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। যেখানে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন তাঁদের হাতে নথি তুলে ধরে যাতে পুলিশ তাঁদের উপর গুলি না চালায়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভয় দেখিয়ে বোমা মেরে মনোনয়ন কেন্দ্রের দিকে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: উত্তরে বন্যা সতর্কতা, অসহ্য গরমে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ! কবে আসবে বৃষ্টি?

    Weather Report: উত্তরে বন্যা সতর্কতা, অসহ্য গরমে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ! কবে আসবে বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে (West Bengal Weather)। বর্ষা রাজ্যে ঢুকে গেলেও এদিকে বৃষ্টির কোনও দেখা নেই। এখনও একাধিক জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে (Weather Report), চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আরও নাকি দু’দিন! অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। রয়েছে বন্যার সতর্কতাও! সব মিলিয়ে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় জর্জরিত রাজ্যবাসী।

    গরমে নাজেহাল কলকাতাবাসী

    শহর কলকাতায় গত কয়েকদিন ধরেই ভ্যাপসা গরম। সকাল ৭টায় রোদের যা তেজ, মনে হচ্ছে যেন ১১টা বেজে গিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ছে গরমের প্রকোপ। সেই সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। কলকাতা শহরে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৫ থেকে ৯০ শতাংশ (Weather Report)।

    তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণে

    প্রায় একই অবস্থা গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় এখনও জারি রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather) সূত্রে খবর, রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। বাকি জেলাতেও চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া গরম বাড়বে। শনি ও রবিবার অস্বস্তি আরও চরমে উঠবে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Report) সূত্রে খবর, শুক্র ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির বেশি সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতেও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। তবে, একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি পিছু ছাড়বে না। আগামী কয়েকদিন স্বাভাবিকের তুলনায় চার-পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি দিন ও রাতের তাপমাত্রা, সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।

    আরও পড়ুন: রাতভর গুজরাটে তাণ্ডব চালিয়ে এবার রাজস্থানে

    কোথায় আটকে বর্ষা?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এমন গলদঘর্ম দশা চলবে আরও কয়েকদিন। শুক্র-শনিতেও অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে। কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়ার তেমন বদল ঘটবে না (Weather Report)। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মালদহের উপর থমকে দাঁড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। অর্থাৎ, বর্ষার দেখা পেতে পেতে সেই সোমবার। ততদিন পর্যন্ত এই ঘর্মাক্ত ভ্যাপসা গরম সহ্য করতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। আগামী ১৯ থেকে ২১ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বর্ষা ঢুকে যাবে বলে ধারণা আবহবিদদের।

    উলটপূরাণ উত্তরে

    এদিকে, দক্ষিণের একেবারে বিপরীত ছবি উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণে যেখানে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি, সেখানে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Report) রয়েছে। এমনকি, জারি হয়েছে বন্যা-ধসের সতর্কতাও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে আরও চার-পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। 

    ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। পার্বত্য এলাকার দুই জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পঙে টানা বৃষ্টির জেরে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নিচু এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে (West Bengal Weather)। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Intercontinental Cup 2023: নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ড্র সুনীলদের! রবিবার ফাইনালে লেবাননের সামনে ভারত

    Intercontinental Cup 2023: নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ড্র সুনীলদের! রবিবার ফাইনালে লেবাননের সামনে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল কোন দুটি দল হিরো ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপের (Intercontinental Cup 2023) ফাইনালে খেলবে। ভানুয়াটুরকে হারানোর পর সুনীল ছেত্রীদের খেতাবী লরাইয়ে নামার টিকিট প্রায় পাকা ছিল। তা নিশ্চিত হয়ে যায় ভানুয়াটুরের কাছে মঙ্গোলিয়া হেরে যাওয়ায়। ফলে লেবাননের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার কার্যত নিয়ম রক্ষার ম্যাচ ছিল ভারতের কাছে। ফিফা ক্রম তালিকায় এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে জয় পেল না ভারত। গোলশূন্যভাবে শেষ হয় ম্যাচটি। রবিবার ফাইনালে লেবাননের বিরুদ্ধেই খেলবে ভারত।

    লেবানন কঠিন প্রতিপক্ষ

    এদিন কোচ ইগর স্টিমাচ তাই রিজার্ভ বেঞ্চ বড় করে নিতে চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যই তিনি সাজিয়েছিলেন দল। দুরন্ত ছন্দে থাকা, ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রীকে (Sunil Chetri) শুরু থেকে খেলানো হয়নি। উল্টোদিকে লেবানন যেহেতু ফাইনালে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছিল, তাই ভারতের বিরুদ্ধে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে তেমন গা ঝাড়া দেয়নি। এমনিতে লেবানন কঠিন প্রতিপক্ষ। অতীতে ভারতকে বেশ কয়েকবার বেগ দিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার লেবাননের খেলা দেখে মনে হয়েছে তারা ফাইনালের জন্য নিজেদের গুটিয়ে রাখলেন।

    গোল নষ্ট, তবে জমাট রক্ষণ

    ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে লেবাননের বিরুদ্ধে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট রক্ষণ জমাট করে আক্রমণ সারতে চেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে কিছুটা সফল কোচ ইগর স্তিমাচ। বেশ কয়েকবার ভারতীয় ডিফেন্সে লেবাননের আক্রমণে ঝড় আছড়ে পড়েছিল। তবে অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে সন্দেশ ঝিঙ্গানের নেতৃত্বে ভারতীয় ডিফেন্ডাররা তা সহজে ই প্রতিরোধ করে। ম্যাচের সেরাও হন সন্দেশ। বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ভারতীয় দল। আশিক কুরিয়া সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। শেষ পর্যন্ত গোলের খোঁজে সেই সুনীল ছেত্রীর উপরে ভরসা রাখতে হয় কোচকে। ৮১ মিনিটে মাঠে নামেন ভারত অধিনায়ক। চেষ্টার কসুর করেননি সুনীল। তবে গোল পাননি। ভারতীয় দলকে ফাইনালে তোলার ক্ষেত্রে বড় অবদান রয়েছে সুনীল ছেত্রীর। গত ম্যাচে ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে জয়সূচক গোলটি এসেছিল তার পা থেকে। জার্সির ভেতরে বল নিয়ে অভিনব সেলিব্রেশনে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন সমর্থকদের যে বাবা হতে চলেছেন।

    আরও পড়ুন: ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচি ঘোষণা করল আইসিসি

    কোচ স্টিমাচের পরিকল্পনা

    ম্যাচ শেষে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ বলেন, “আমরা একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। গোল হজম না করাটা খুবই ইতিবাচক। যা ফাইনালের আগে ছেলেদের মনোবল বাড়াবে।” গোল খেতে না হওয়াটাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন জাতীয় দলের হেড কোচ। এই পারফরম্যান্সের পর কোচ স্টিমাচও আশাবাদী। তিনি বলেন, “আমরা রক্ষণে খুব ভালো করেছি। অনেক সুযোগও তৈরি করেছি। এমনকী সুনীল শেষে নেমেও দুর্দান্ত একটা সুযোগ পেয়েছিল। আমরা ক্লিন শিট রাখতে চেয়েছিলাম, পেরেছি। কিন্তু গোল করতে হবে। অনেক কাজ বাকি। আগামী তিন দিনে সেগুলো করতে হবে আমাদের।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Terrorists Killed: জম্মুতে বড় সাফল্য বাহিনীর, এনকাউন্টারে খতম ৫ বিদেশি জঙ্গি

    Terrorists Killed: জম্মুতে বড় সাফল্য বাহিনীর, এনকাউন্টারে খতম ৫ বিদেশি জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমন (Terrorists Killed) অভিযানে জম্মু কাশ্মীরে বড় সাফল্য। সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের বড়সড় ছক ভেস্তে দিল নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার সকালে জম্মু–কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি। 

    অনুপ্রবেশ করার সময় সংঘর্ষ

    জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে বাহিনীর কাছে খবর এসে পৌঁছয় যে, জুমাগুন্ড দিয়ে বিদেশি জঙ্গিদের একটি দল ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর বাহিনী সেখানে ফোর্স পাঠিয়ে দেয়। ভারতীয় সেনা ও কাশ্মীর পুলিশকে নিয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। বাহিনীকে দেখেই, আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। ভোর বেলা শুরু হওয়া এনকাউন্টারে দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে সংঘর্ষ চলার পর বাহিনীর গুলিতে ৫ বিদেশি জঙ্গি খতম (Terrorists Killed) হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান, এলাকায় আরও অনেক জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে। তাদের সন্ধানে চলছে সেনার তল্লাশি অভিযান।

    কী জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ?

    জঙ্গি নিধনের খবর নিশ্চিত করেছে কাশ্মীর জোন পুলিশ। এদিন সকালে কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ট্যুইটে জানানো হয়, ‌কুপওয়ারা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকালে কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থিত জুমাগুন্ড এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল সেনা ও পুলিশের একটি যৌথ বাহিনী। এডিজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার এনকাউন্টারে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি নিহত  (Terrorists Killed) হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    চলতি মাসে আরও সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ

    এর আগে, গত ১৩ জুন পাক-সীমান্ত এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুই জঙ্গি নিধন হয়েছিল। কুপওয়ারা জেলার মাচিল সেক্টরে (এলওসি) সেনা এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গিকে খতম হয়। তার আগে, ২ জুন জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন জঙ্গি খতম (Terrorists Killed) হয়। রাজৌরির কাছে দাসাল গুজরানের বনাঞ্চলে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করার পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। তার একদিন আগেই, অর্থাৎ ১ জুন, নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় দুই লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মোদির সফরের আগেই মার্কিন ঘাতক প্রিডেটর ড্রোন কেনায় সম্মতি ভারতের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ইম্ফলে জ্বলল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি, হিংসার পথেই মণিপুর

    Manipur Violence: ইম্ফলে জ্বলল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি, হিংসার পথেই মণিপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা থামার নাম নেই মণিপুরে (Manipur Violence)। শুক্রবার ভোরে ফের নতুন করে আগুন জ্বলে উঠল মণিপুরে। সূত্রের খবর, এদিন ভোরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় ইম্ফলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিং-এর বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, ঘটনার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি এখন দিল্লিতে।

    ভস্মীভূত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি

    জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে শুক্রবার ভোর রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১০০০ জন মিলে মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। এই হামলার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজের বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। তিনি নিরাপদ স্থানেই আছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাসেও মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়ছিল। তবে এবারে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুরো ভস্মীভূত করে দেওয়া হল। বুধবার রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী নেমচা কিপগেনের বাংলোতেও।

    আরও পড়ুন: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৌরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ল বিপর্যয়! ১লক্ষ মানুষকে স্থানান্তর

    হিংসা রুখতে ইম্ফলে (Manipur Violence) জারি করা হয়েছে কার্ফু। তবে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এদিন ইম্ফলের কোংবায় প্রায় ১২০০ লোক মন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। ঘটনার সময় মন্ত্রীর বাসভবনে নয়জন সিকিওরিটি এসকর্ট কর্মী, পাঁচজন সিকিওরিটি গার্ড এবং আটজন অতিরিক্ত গার্ড উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তা কর্মী জানিয়েছেন, হামলার সময় জনতা চারদিক থেকে বাড়িটি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে। তিনি বলেছেন, “অপ্রতিরোধ্য জনতাকে আমরা আটকাতে পারিনি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। বিল্ডিংয়ের পিছনের বাই লেন, সামনের প্রবেশদ্বার – চারদিক থেকে ওরা পেট্রোল বোমা ছুড়েছে। তাই আমরা জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।” 

    মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

    যতই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং মণিপুরে (Manipur Violence) দ্রুত শান্তি ফেরানোর আশ্বাস দিন না কেন, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হিংসা পর্ব মিটতেই চাইছে না। বৃহস্পতিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে সরকার একাধিক স্তরে আলোচনা করছে। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, বিগত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share