Tag: Madhyom

Madhyom

  • Rashid Khan: ভূমিকম্পে দেশে মৃত আড়াই হাজার, বিশ্বকাপের উপার্জিত অর্থ ত্রাণে দান রশিদ খানের

    Rashid Khan: ভূমিকম্পে দেশে মৃত আড়াই হাজার, বিশ্বকাপের উপার্জিত অর্থ ত্রাণে দান রশিদ খানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) খেলতে আফগান অল-রাউন্ডার রশিদ খান (Rashid Khan) এখন ভারতে। কিন্তু, তাঁর মন পড়ে দেশে। শনিবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অবস্থা আপগানিস্তানের। মৃত্যু ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। আর এই মর্মে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন এই আফগান অল-রাউন্ডার। তিনি যোষণা করেছেন, চলতি বিশ্বকাপে তিনি যা অর্থ উপার্জন করবেন, তার সবটাই ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় দুর্গতদের ত্রাণে দান করবেন। সামজিক মাধ্যম ট্যুইটারে নিজের দেশে দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট মহলের মন জয় করে নিলেন তিনি।

    আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রান্ত অত্যন্ত ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৩। ভূমিকম্প এতটাই শক্তশালী ছিল যে ১২টি গ্রাম পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্য়েই মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজারে পৌঁছেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে সেই সংখ্যা বাড়ছে। নিখোঁজ আরও কয়েক হাজার। মার্কিন ভূতাত্ত্বিকদের সমীক্ষায় বলা হয় এই ভূমিকম্পের উৎস দেশের হেরাত প্রদেশের রাজধানী ৪০ কিমি উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রে ছিল। আহতের সংখ্যা ১০ হাজার। বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত।

    কী বলেছেন রশিদ খান (ICC World Cup 2023)?

    এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক ট্যুইটার) রশিদ খান (Rashid Khan) লেখেন, “আফগানিস্তানের পশ্চিম ভাগ হেরাট, ফারাহ, বাদঘিসে যে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছে, তার বিষয়ে জানতে পেরেছি। তাই বিশ্বকাপের সব ম্যাচ খেলে যে টাকা পাবো সেটা আমার দেশের দুর্গত মানুষর উদ্দেশ্যে নিবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা দ্রুত আরও অর্থ জোগাড় করার ব্যবস্থা করছি। আমরা আরও বেশি মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

    এই বছরে আরও ভূমিকম্প হয়েছিল

    উল্লেখ্য এই বছর ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে আনুমানিক ৫০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। আবার সেপ্টেম্বর মাসে মরক্কোতে ভূমিকম্পের জেরে প্রায় ৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আফগানিস্তানের ভূমিকম্প কবলিত এলাকা হল পাকিস্তান এবং হিন্দুকুশ পর্বত সংলগ্ন এলাকা। এখনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উদ্ধারকার্য এবং ত্রাণ পাঠানো অত্যন্ত কষ্টকর হয়। এই অবস্থায় ক্রিকেট বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) টাকা না নিয়ে, সেই টাকা দেশের ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় দেওয়ার সিদ্ধান্তে রশিদ (Rashid Khan) মানবতার বিশেষ পরিচয় দিলেন বলে মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ICC ODI World Cup 2023: কোহলি-রাহুল জুটিতে একাধিক রেকর্ড! এক নজরে ভারতের ভালো-খারাপ নজির

    ICC ODI World Cup 2023: কোহলি-রাহুল জুটিতে একাধিক রেকর্ড! এক নজরে ভারতের ভালো-খারাপ নজির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। চেন্নাইয়ে এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ড তৈরি হল। একদিকে একের পর এক কীর্তি গড়লেন কিং কোহলি। অন্যদিকে টিম ইন্ডিয়া তৈরি করল অনভিপ্রেত রেকর্ড। কোহলি-রাহুল জুটিতেও রেকর্ডের বন্যা।

    কোহলি-রাহুল জুটির রেকর্ড

    জুটিতে লুটি। কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলির পার্টনারশিপে একেবারে জয়ধ্বজা ওড়াল ভারত। ২ রানে ৩ উইকেট থেকে এই জুটি ১৬৭-তে নিয়ে গেল স্কোর। চতুর্থ উইকেট পড়ে ১৬৭ রানে। কোহলি-রাহুল মিলে করে ১৬৫ রানের পার্টনিরশিপ। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে চতুর্থ উইকেটে এটাই কোহলি-রাহুলের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড। এর আগে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে চতুর্থ উইকেটে ১৪২ রান করেছিলেন নভজোৎ সিং সিধু এবং বিনোদ কাম্বলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোহলি-রাহুলের জুটিতে ১৬৫ রান ভারতের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপেরও নজির হয়ে থাকল।  এর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে অজয় জাদেজা এবং রবিন সিং মিলে ১৪১ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। এটাই ছিল এতদিন বিশ্বকাপে অজিদের বিরুদ্ধে পুরুষ টিমের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। সেই নজির এদিন ভাঙলেন কোহলি-রাহুল। এছাড়াও ২০১৯ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ান মিলেও অজিদের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১২৭ রানের পার্টনারশিপ। 

    লজ্জার নজির টপ অর্ডারের

    প্রথম ম্যাচেই লজ্জার নজির গড়ল ভারত। এক দিনের ক্রিকেটে এই প্রথম বার ভারতের প্রথম চার ব্যাটারের তিন জন শূন্য রানে আউট হলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ঈশান কিশন, রোহিত শর্মা ও চার নম্বরে নামা শ্রেয়স আয়ার শূন্য রানে ফেরেন। ফলে এই নজির হয়েছে ভারতের। বিশ্বকাপে এই নিয়ে সাত বার কোনও ম্যাচে দুই ওপেনারই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ভারতের হয়ে প্রথম বার এই ঘটনা ঘটল। 

    কোহলিয়ানায় ভাসল চিপক

    ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই স্লিপে ফিল্ডিং করার সময় জসপ্রীত বুমরাহর বলে অজি ওপেনার মিচেল মার্শের অনবদ্য ক্যাচ ধরেন বিরাট কোহলি। সেই সুবাদে তিনি ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সব থেকে বেশি ক্যাচ ধরা ভারতীয় ফিল্ডারে পরিণত হন। বিশ্বকাপে কোহলির এটি ১৫ নম্বর ক্যাচ। এই নিরিখে তিনি ভেঙে দেন অনিল কুম্বলের রেকর্ড। কুম্বলে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে মোট ১৪টি ক্যাচ ধরেছেন। 

    বিরাট কোহলি এশিয়ার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রান পূর্ণ করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি বিশ্বের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে ৩ নম্বরে ব্যাট করে ১১ হাজার ওয়ান ডে রান সংগ্রহ করেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নন-ওপেনার হিসেবে সব থেকে বেশিবার ব্যক্তিগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান বিরাট কোহলি। ইনিংসের ওপেন না করে কোহলি এই নিয়ে মোট ১১৩ বার ৫০-এর গণ্ডি টপকান। 

    আরও পড়ুন: বিরাটের ক্যাচ ফস্কানোই কাল! মানছেন কামিন্স, দাপুটে জয়ের পরও চিন্তায় রোহিত

    রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়া ওয়ান ডে ম্যাচের ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানে পরিণত হন বিরাট। এই নিরিখে তিনি ভেঙে দেন সচিন তেন্ডুলকরের বিশ্বরেকর্ড। রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়া ম্যাচে কোহলির সার্বিক সংগ্রহ ৫৫১৭ রান। সচিন রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়া ওয়ান ডে ম্যাচে সাকুল্যে ৫৪৯০ রান সংগ্রহ করেছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ladies Special Trains: এবার মাতৃভূমি লোকালে থাকবে প্রথম শ্রেণি কামরা, আর কী কী সুবিধা রয়েছে?

    Ladies Special Trains: এবার মাতৃভূমি লোকালে থাকবে প্রথম শ্রেণি কামরা, আর কী কী সুবিধা রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই মাতৃভূমি স্পেশাল ট্রেনে মহিলাদের (Ladies Special Trains) জন্য বিশেষ উপহার দিতে চলেছে পূর্ব রেল। শিয়ালদা-রানাঘাট মাতৃভূমি লোকালগুলোতে এবার ফাস্ট ক্লাস বা প্রথম শ্রেণির কামরা যুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। কামরার প্রতিটি বসার আসনে থাকছে নরম গদি, ট্রেনের নিচের মেঝে হচ্ছে লাল ম্যাট কভারে মোড়ানো। কামরার দেওয়ালগুলি নানা রঙের তুলির টানে অভিনব সাজে সজ্জিত হয়েছে। দেবীপক্ষের সূচনাতেই এই বিশেষ ট্রেনের শুভারম্ভ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মূলত যাত্রীদের যাত্রাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য এবং আরামদায়ক করতে রেলের এই অভিনব ভাবনা যাত্রীদের আকর্ষিত করবে বলে জানা গিয়েছে।

    কোন রুটে মিলবে সুবিধা (Ladies Special Trains)?

    জানা গিয়েছে, রানাঘাট-শিয়ালদা-রানাঘাট রুটে মাতৃভূমি লোকাল (Ladies Special Trains) ট্রেনে মিলেবে এই পরিষেবা। লেডিস স্পেশাল ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের চাপের কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক যাত্রার কথা পরিকল্পনা করেছে রেল। মহিলাদের অফিস বা কর্মসূত্রে যাতায়াতের  যাত্রাপথকে সুগম এবং যাত্রার মানকে উন্নত করেতে এই ব্যবস্থা। সফরে মহিলা যাত্রীদের ক্লান্তি কম করতে এবং কর্মস্থলে যোগদানে উজ্জীবিত করতে এই ভাবনা রেলের। জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে আপাতত একটি ট্রেন চালানো হবে। একটি ট্রেনকে ইতিমধ্যেই সাজিয়ে ফেলা হয়েছে। এই কামরার সাফল্যের উপর নির্ভার করে পরবর্তীতে আরও ট্রেন চালানো হবে।

    পূর্ব রেলের বক্তব্য

    মাতৃ শক্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে রেল, মাতৃভূমি স্পেশাল ট্রেনগুলোতে (Ladies Special Trains) প্রথম শ্রেণির বগি সংযুক্ত করা হবে। যাত্রীর বসার সিটে থাকবে কুশনযুক্ত গদি। পূর্ব রেলের জন সংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “এখন রানাঘাট-শিয়ালদা মেইন লাইনে মাতৃভূমি ট্রেনে লোকাল পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে চালু করা হবে। ট্রেনে থাকা পূর্বের কামরাগুলির সঙ্গে একটি ফাস্ট ক্লাস কামরা যুক্ত করা হবে। এই বিশেষ প্রয়োগে যাত্রীদের মধ্যে কতটা প্রভাব পড়ছে, তা বুঝেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi:  স্বপ্নপূরণে পাশে সরকার! এশিয়ান গেমসের সফল ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে কাল প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

    PM Modi: স্বপ্নপূরণে পাশে সরকার! এশিয়ান গেমসের সফল ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে কাল প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধ। বাইশগজে ভারতের ব্লু-ব্রিগেডের আধিপত্য সকলেরই জানা। কিন্তু ক্রিকেট ছাড়াও অন্য খেলার ময়দানেও ভারত যে নিজেদের দাপট দেখাতে পারে তা প্রমাণ করতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্র সরকারের অনুপ্রেরণাতেই এশিয়াতে খেলাধুলোয় নিজেদের শক্তিপ্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরা। ভারতকে খেলাধুলোর দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার। গত কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় বাজেটে খেলাধুলোয় বরাদ্দ বাড়ছে। বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে সেখানে ক্রীড়াবিদদের যুক্ত করা হচ্ছে। তারই ফল স্বরূপ সদ্য শেষ হওয়া ১৯তম এশিয়ান গেমসে ভারত মোট  ১০৭টি পদক জিতেছে। যার মধ্যে রয়েছে ২৮টি সোনা। ৩৮টি রুপো এবং ৪১টি ব্রোঞ্জ। পদক তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা

    আগামীকাল, ১০ অক্টোবর দেশের সফল প্রতিযোগীদের অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “আমি ১০ তারিখে আমাদের এশিয়ান গেমস কন্টিনজেন্টের আয়োজন করার এবং আমাদের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে আলাপচারিতার জন্য উন্মুখ।” চিনে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ১৯তম সংস্করণে ৬৬১জন ক্রীড়াবিদ পাঠিয়েছিল ভারত।



    ক্রীড়া জগতে বিশ্বে দাপট দেখানোর আগে এশিয়া সেরা হয়ে উঠতে হবে। এশিয়ায় ভারত যে কারও থেকে কম যায় না, সেটা বোঝানোর জন্যে এশিয়াডের থেকে ভাল মঞ্চ আর হয় না। তাই প্রচারের শুরুটা হয়েছিল এশিয়ান গেমস থেকেই। এশিয়ান গেমস শুরুর অনেক আগে থেকেই সম্প্রচারকারী চ্যানেলের তরফে প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছিল, যার স্লোগান ছিল, ‘ইস্ বার ১০০ পার’। অর্থাৎ এ বার ১০০ পদকের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে ভারত। সেই প্রচার অবশেষে প্রাণ পেল।

    কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়াস

    কেন্দ্রীয় সরকারের মদতে সম্প্রচারকারী সংস্থা প্রচার শুরু করে দেওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু সেটা যে নিছক ফাঁকা আওয়াজ ছিল না তা বোঝা গিয়েছে এখন। আগের মোট পদকের থেকে ৩০টিরও বেশি পদক জিতে এশিয়াডে ‘সেঞ্চুরি’ করে ফেলেছে ভারত। চার বছরের ব্যবধানে যে ৩০টিরও বেশি পদক যোগ করা যাবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। মোদি অবশ্য প্রচার আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন। ৭০টি পদক পেরনোর পরেই তিনি ট্যুইট করে ১০০ পদকের স্বপ্ন উসকে দেন। জাকার্তার পদকসংখ্যা টপকে যেতেই শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরাও হতাশ করেননি।

    আরও পড়ুন: বিরাটের ক্যাচ ফস্কানোই কাল! মানছেন কামিন্স, দাপুটে জয়ের পরও চিন্তায় রোহিত

     লক্ষ্য অলিম্পিক

    ভারত যে এশিয়ার অন্যতম সেরা শক্তি হয়ে উঠছে এবারের এশিয়ান গেমস তার প্রমাণ। শ্যুটিং এবং অ্যাথলেটিক্সের মতো খেলাধুলোয় ক্রমশ জোর দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। প্রতিদিন উন্নতি করছে তারা। টার্গেট অলিম্পিক্স পোডিয়াম স্কিম (টপ্‌স) চালু করেছে কেন্দ্র। সেটাই এখন কাজে দিচ্ছে। ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি পিটি ঊষা সম্প্রতি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই ভারত আগামী দিনে খেলাধুলোয় অন্যতম শক্তি হয়ে উঠবে। তার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ক্রীড়াবিদদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি কোচেদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। তিন-চার বছর আগে এটা শুরু হয়েছে। এখন একটা জায়গায় চলে এসেছে তারা। তার ফলাফলও দেখতে পাচ্ছি আমরা।” শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বেসরকারি সংস্থাগুলিও এখন ক্রীড়াবিদদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। অন্তত দশ বছর আগেও যা ভাবা যেত না। ক্রীড়াবিদদের গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে বিদেশে প্রতিযোগিতা খেলতে যেতে হত। এখন অনেকেরই সেই চিন্তা আর নেই। দুয়ারেই রয়েছে স্পনসর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC ODI World Cup 2023: ভারতকে জিতিয়েও আক্ষেপ! কী বলছেন লোকেশ রাহুল?

    ICC ODI World Cup 2023: ভারতকে জিতিয়েও আক্ষেপ! কী বলছেন লোকেশ রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যাট কামিন্সের বল কভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েও ব্যাটে ভর দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লেন কেএল রাহুল। খেলা শেষ! ম্যাচ জিতে গিয়েছে ভারত। তবুও যেন ক্রিজ ছাড়তে চাইছিলেন না তিনি। ম্যাচের পর কথা বলতে এসে রাহুল জানালেন, তিনি চার মারতে চেয়েছিলেন। ছয় হয়ে যাবে বুঝতে পারেননি। দিনের শেষে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকলেন রাহুল। আর মাত্র তিন রান। তাহলেই যেন ষোল কলা পূর্ণ হত।

    প্রথমে চার, তারপর ছয় 

    ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে রাহুল বলেন,  “শটটা বেশ জোরেই মেরেছিলাম। আসলে শেষের দিকে হিসাব কষে এগোচ্ছিলাম যে কী ভাবে শতরান করতে পারি। একমাত্র উপায় ছিল চার এবং ছয় মারা। কিন্তু শতরান না করায় কোনও আক্ষেপ নেই। দল জিতেছে এটাই বড় কথা।” তবে আক্ষেপ একটু হচ্ছে তো! রাহুলের কথায়,  ‘আমি খুব ভালো টাইমিং করে ফেলেছিলাম। আমি শতরান করতে চাইছিলাম। সেজন্য প্রথম চার মারতে চাইছিলাম। তারপর একটা ছক্কা মারতে চাইছিলাম। আশা করছি যে অন্য কোনওবার সেই শতরান করে ফেলব।’

    আরও পড়ুন: বিরাটের ক্যাচ ফস্কানোই কাল! মানছেন কামিন্স, দাপুটে জয়ের পরও চিন্তায় রোহিত

    রাহুলের কথায়, তিনি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন তখন ২ রানে ৩ উইকেট ভারত ধুঁকছে। ওই পরিস্থিতি থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অনেক দলই হেরে যাবে। কিন্তু বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর ১৬৫ রানের জুটি ভারতকে হারতে দিল না। সাফল্যের রহস্য কী? রাহুল বললেন, “সত্যি বলতে খুব বেশি কোহলির সঙ্গে কথা বলিনি। ৫০ ওভার কিপিং করার পর ভেবেছিলাম স্নান করার পর একটু বিশ্রাম নেব। সেটা আর হয়নি।” রাহুলের সংযোজন, “ক্রিজে নামার পর কোহলি বলেছিল পিচে প্রাণ রয়েছে। তাই কিছুক্ষণ টেস্টের মতো খেলতে। শুরুর দিকে নতুন বলে পেসারেরা ভাল সাহায্য পাচ্ছিল। স্পিনারেরাও ঘূর্ণি পেয়েছে। শেষ ১৫-২০ ওভারে শিশিরের সাহায্য পেয়েছি। ব্যাট করার পক্ষে সহজ উইকেট ছিল না। তবে ক্রিকেট খেলার পক্ষে ভাল উইকেট।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’! বলল ইজরায়েল, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১১০০ পার

    Israel Hamas War: ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’! বলল ইজরায়েল, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ১১০০ পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে (Israel Hamas War) মৃত্যুর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১১০০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও কয়েক হাজার বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের ওপর হামাসের হামলার পরই যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ৫০ বছর পর এই প্রথম কোনও সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করল তেল আভিভ।

    জঙ্গি-হামলায় বিধ্বস্ত ইজরায়েল

    শনিবার ভোর ৬টা (স্থানীয় সময়)। গাজা থেকে ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে আসে মুহুর্মুহু রকেট। ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয় ইজরায়েলের ওপর। শুধু রকেট হামলাই নয়, প্যারাগ্লাইডারে চেপে সীমান্ত পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে শয়ে-শয়ে হামাস জঙ্গি। হামলা চালানো হয় সমুদ্রপথেও (Israel Hamas War)। তেল আভিভের রাস্তা কোথাও রকেট হানায় জ্বলছে, তো কোথাও জঙ্গিরা অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বিচারে ঘরে ঢুকে নিরীহ বাসিন্দাদের মারা থেকে শুরু করে ইজরায়েলিজের অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে হামাসের বিরুদ্ধে (Israel Situation)। এই সংক্রান্ত বহু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও মাধ্যম সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের শীর্ষনেতা ইসমাইল হানিয়ে। গোষ্ঠীর তরফে এই হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘ইজরায়েলের পাশে ভারত’, বার্তা মোদির

    ‘‘এটা আমাদের ৯/১১’’, বললেন সেনা মুখপাত্র 

    ইজরায়েল জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল চলছিল। সেখানে আচমকা হামলা চালিয়ে অন্তত ২৬০ জনকে নির্বিচারে হত্যা করেছে হামাস জঙ্গিরা। হামলার পর পরই প্রাথমিকভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা (Israel Hamas War) করে ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, হামাসের হামলায় এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলে মৃত্যু হয়েছে ৭০০-র বেশি। ইজরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় জঙ্গি মোকাবিলায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বহু সেনা ও পুলিশকর্মী। হাসপাতালে ২ হাজারের বেশি আহতের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক। ইজলায়েলের শতাধিক সাধারণ নাগরিক ও সেনাকর্মীকেও হামাস অপহরণ করে বন্দি করেছে বলে দাবি তেল আভিভের (Israel Situation)। ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র এই ঘটনাকে ভারতের ৯/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের ৯/১১। হামাস আমাদের সামরিক প্রতিষ্ঠানে হামলার করার সাহস দেখায়নি। ওরা সাধারণ নাগরিক, বয়স্ক, শিশুদের হত্যা করেছে।’’

    ৫০ বছর পর সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা ইজরায়েলের

    এর পর রবিবার সরকারিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Hamas War) করে তেল আভিভ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে একটি বিশেষ ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার আগে, এই মর্মে ভোটদানের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইজরায়েলের মন্ত্রিসভা। প্রায় ৫০ বছর পর সরাসরি কোনও যুদ্ধ ঘোষণা করল ইজরায়েল। নেতাহিয়াহু একটি বার্তায় হামলাকে ইজরায়েলের কালো দিন হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিজ্ঞা করেন, এর জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘হামাসকে ধ্বংস করতে সর্বশক্তি লাগিয়ে দেবে ইজরায়েল সেনা।’’ সরকারিস্তরে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Situation) হতেই হামাস পরিচালিত গাজায় হামাসের ঘাঁটিতে জবাবি ‘লৌহ তলোয়ার’ অভিযান চালায় ইজরায়েলি বায়ুসেনা, স্থলসেনা। ইজরায়েলি জবাবে কার্যত ধ্বংস্তূপে পরিণত গাজার একাংশ। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ইজরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। 

    হামাসকে ‘শিক্ষা’ দিতে  ভূমধ্যসাগরে মার্কিন ফ্লিট

    এদিকে, হামাসের হামলায় ইজরায়েলে নিহত হয়েছেন বহু মার্কিন নাগরিকও। এই ঘটনার পরই নড়চড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। রবিবারই ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাসকে ‘শিক্ষা’ দিতে ও ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে রণতরীর একটি বিশাল ফ্লিট পাঠালো পেন্টাগন (Israel Hamas War)। জানা গিয়েছে, ওই ফ্লিটে একটি বিমানবাহীন রণতরী রয়েছে। এছাড়া রয়েছে শক্তিশালী গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও গাইডেড মিসাইল ক্রুজার। এর পাশাপাশি, সন্ত্রাসী হামলায় হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবানেনের জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবোল্লাও। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মধ্য প্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আকাল প্লেটলেটের, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    Dengue: হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আকাল প্লেটলেটের, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। কলকাতা লাগোয়া হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি। আক্রান্ত হয়ে বহু রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এরইমধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতার সরকারি হাসপাতাল থেকে প্লেটলেট আনতে হচ্ছে।

    কী বললেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক? (Dengue)

    হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, দৈনিক ২৫-২৭ জন ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় শয্যার পাশাপাশি প্লেটলেটেরও অভাব দেখা দিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বুধবার মাত্র এক দিনে আট জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গি রোগীর পাশাপাশি অন্য রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ক্লাব বা সংগঠনগুলি রক্তদান শিবিরের আয়োজন না করায় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লেটলেট নেই বললেই চলে। এসএসকেএম থেকে ২০ ব্যাগ প্লেটলেট আনিয়ে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লেটলেট সাধারণত চার দিনের বেশি রাখা যায় না। নষ্ট হয়ে যায়। রবিবার যে রক্তদান শিবির হয়, সেখান থেকে প্লেটলেট নিয়ে টেনেটুনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালানো যায়। পরের তিন দিন চরম সঙ্কট হয়।

    হাওড়া পুরসভার কর্তা কী বললেন?

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৯তম সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮৭। ৪০ তম সপ্তাহে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০০। এই পুর এলাকায় যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তা মানছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। নতুন করে যে ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ছে, সেগুলি হল ২৫, ৪২, ৪৯ এবং ৫০ নম্বর। শনিবারই ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাওড়ার শরৎ সদনে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী। হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। সরকারি আবাসনের চত্বর পরিষ্কার রাখার জন্য চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আবর্জনা পরিষ্কারে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Flash Flood: ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা থেকে উদ্ধার আরও ১১টি দেহ, সিকিমের হড়পা বান যেন দুঃস্বপ্ন!

    Sikkim Flash Flood: ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা থেকে উদ্ধার আরও ১১টি দেহ, সিকিমের হড়পা বান যেন দুঃস্বপ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার হড়পা বানে সিকিমে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় (Sikkim Flash Flood) নেমে আসে। সেই সঙ্গে উত্তর সিকিমে হ্রদ ভেঙে পড়ে। জলপাইগুড়ির তিস্তায় নেমে আসে মেঘভাঙা বৃষ্টির জলের তোড়। পাহাড়ের প্রভাব সমতলেও ভয়ঙ্করভাবে পড়ে। আগ্রাসী তিস্তা পাহাড় থেকে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে আসে নিচে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উদ্ধার হচ্ছে দেহ। গত ২৪ ঘণ্টায় উদ্ধার হয়েছে আরও ১১ টি দেহ। এইসব মিলিয়ে মোট মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, ১১ টি দেহের মধ্যে ১০ টি শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে বন্যার জলে রোজই ভেসে আসছে দেহ। এলাকার মানুষ এখনও আতঙ্কে রয়েছেন।

    জলপাইগুড়ি প্রশাসনের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৮ অক্টোবর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তিস্তা থেকে বানের জল থেকে মোট ৪১ টি মৃতদেহ (Sikkim Flash Flood) পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন যেন তিস্তা একটি লাশের নগরীতে পরিণত হয়েছে। যেদিকে নজর যায়, সেই দিকেই কেবল ধ্বংস এবং বিপর্যয়ের চিত্র চোখে পড়েছে। গতকাল শনিবারেও ৩ টি দেহ উদ্ধার করা হয়। শবদেহগুলি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। যারা যারা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের খোঁজ চলছে। সেনাকর্মী, প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে উদ্ধারকাজ করছে বলে জানা গেছে।

    ভয়ঙ্করী তিস্তা (Sikkim Flash Flood)

    গত মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেছে সুন্দর সাজানো সিকিম (Sikkim Flash Flood)। তার প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। জলের আঘাতে ভেঙে গেছে জাতীয় সড়ক। পাহাড়ের জল তিস্তায় পড়ে জলের উচ্চতা বৃদ্ধি হয়ে ভেসে গেছে বাড়িঘর, গাছপালা সবকিছু। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে প্রকৃতি। আটকে পড়েছেন প্রচুর পর্যটক। কার্যত হোটেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছিল কলকাতা- হাওড়ার পর্যটকদের। প্রকৃতিক বিপর্যয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সিকিম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: শেষদিনে এল ৬টি সোনা! রেকর্ড ১০৭টি পদক নিয়ে এশিয়ান গেমস থেকে ফিরছে ভারত

    Asian Games 2023: শেষদিনে এল ৬টি সোনা! রেকর্ড ১০৭টি পদক নিয়ে এশিয়ান গেমস থেকে ফিরছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ ভালো যার, সব ভালো তার! হাংঝৌ এশিয়ান গেমসের শেষ দিনে বাজিমাত ভারতের। শনিবার ছিল প্রতিযোগিতার ১৪তম দিন। এদিন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা ৬টি সোনার পদক-সহ মোট ১২টি পদক জিতেছেন। মোট ১০৭টি পদক নিয়ে গেমস শেষ করল ভারত, যা সর্বকালীন রেকর্ড। ২৮টি সোনা, ৩৮টি রুপো এবং ৪১টি ব্রোঞ্জ নিয়ে ভারত পদক তালিকায় চতুর্থ স্থানে অভিযান শেষ করেছে।

    সকাল থেকেই পর পর সোনা…

    শনিবার সকাল থেকে একের পর এক পদক এসেছে ভারতে। দেশবাসীর ঘুম ভাঙার আগেই সকাল সকাল ১০০পদক ঝুলিতে ভরে ফেলেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। এদিন ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দল সোনার পদক জিতেছে। অন্যদিকে কাবাডিতে ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ব্যাডমিন্টনের পুরুষদের ইভেন্টে ভারত সোনা পেয়েছে, আর ভারতীয় তিরন্দাজরা পুরুষ ও মহিলাদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতেছে। শেষবেলায় দাবায় এল জোড়া পদক। দাবাতে রুপো পেল ভারতের পুরুষ ও মহিলা দল।

    অ্যাথলেটিক্স থেকে ২৯, শ্যুটিং থেকে ২২ 

    তিরন্দাজি, শুটিংয়ের মতো ইভেন্টে শুরু থেকে শুরু করে মোট ২২টি ইভেন্ট থেকে পদক জিতেছে ভারতীয় অ্যাথলিটরা। সবথেকে বেশি পদক এসেছে অ্যাথলেটিক্সে। এই ইভেন্ট থেকে ৬টি সোনা সহ মোট ২৯টি পদক এসেছে। পুরুষদের রিলে রেস, মহিলা স্টিপলচেজের মতো ইভেন্টে ঐতিহাসিক সোনা জিতেছে ভারত। এছাড়া, শ্যুটিং থেকে এসেছে ৭টি সোনা সহ ২২টি পদক। তিরন্দাজিতে সোনা এসেছে ৬টি। 

    দীর্ঘ খরা পর হকিতে সোনা

    স্কোয়াশ ২টো সোনা, ১টা রুপো, ২টো ব্রোঞ্জসহ ৫টা পদক এসেছে। রোয়িংয়ে ভারতীয়রা পেয়েছে পাঁচটি পদক। এরমধ্যে ২টো রুপো, ৩টে ব্রোঞ্জ। ব্যাডমিন্টন ডাবলসে চিরাগ-সাত্ত্বিক জুটির ঐহিহাসিক সোনার সঙ্গেই দলগত বিভাগে রুপো, প্রণয় ব্যক্তিগতভাবে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। মোট পদকের সংখ্যা ৩। হকিতে পুরুষ দল সোনা ও মহিলা দল ব্রোঞ্জ জিতেছে। কুস্তিতে টি রুপো, ৫টা ব্রোঞ্জ পেয়েছে ভারত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারদের পার্টি নয়, বিজেপি প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার দল। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে তৃণমূলের কটাক্ষকে এই ভাষাতেই জাবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। শনিবার সকালে ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন তিনি। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা বিজেপি কার্যালয়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। তারপরই সুকান্ত-শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে কড়া আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। 

    ওদের সঙ্গে দেখা করতেই দিল্লি আসি

    এদিন তিনি বলেন, ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এটা কোনও স্বৈরতন্ত্র নয়। এখানে যা ইচ্ছে তাই করা বা যা ইচ্ছে তাই বলা যায় না, বলে দাবি করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan Jyoti)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সামনে বাধ্য হয়ে আসতে হল আমাকে। দুদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। কেন্দ্রীয় সরকার বৈমাত্রেয় সূলভ আচরণ করছে জানিয়ে দেখা করতে চান। শুধু ওদের সঙ্গে দেখা করতেই আমি দিল্লি এসেছিলাম। প্রথমে ওরা বলেছিলেন ৫ জন প্রতিনিধি দেখা করবেন। তারপর আমার পিএসের কাছে বলেন ১০ জন দেখা করবেন। আমি বললাম আপত্তি নেই। তারপর বলেন, সমস্ত জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি বলি, সচিব সহ অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার জন্য। তারপর সাড়ে ৭টায় বলেন সব সাংসদ দেখা করবেন। আমি সেটারও ব্যবস্থা করি। তারপর মহুয়া মৈত্র বলেন, একা দেখা করবেন। আমি তারপর বলি কারও সঙ্গে একা দেখা করব না। ডেলিগেট টিমের সঙ্গে দেখা করব। তারপর ৮টায় বলা হয় সব সাংসদরা আসবেন। আমি বলি সেটাই করুন। কিন্তু ৮টা ২০তে আবার বলেন জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে আগে। আমি বলি, আগে আপনাদের ডেলিগেটের সঙ্গে দেখা করব। তারপর জনতার সঙ্গে দেখা করব। যেভাবে আমার নামে মিথ্যা বলেছেন, আমাকে ভিডিয়ো করতে হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি নাকি পিছনের গেট দিয়ে চলে গিয়েছি। আমি ৪ নম্বর গেট দিয়েই বরাবর যাতায়াত করি। আমার মনে হচ্ছে মিথ্যাটাই এই সরকারের বুনিয়াদ।” 

    ইউপিএ জমানার তুলনায় বেশি বরাদ্দ

    তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলকে জমিদারদের পার্টি বলা হচ্ছে। আমাদের দল জমিদারদের দল নয়, প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার পার্টি হল বিজেপি। আমাদের সরকার গরিব মানুষকে সব দিয়েছে। আর আমাকে বলছে, আমি মিথ্যেবাদী? মহুয়া মৈত্র, যে দলে তুমি আছো মিথ্যার ভিত্তিভূমি থেকে তার উৎপত্তি’। শনিবার কলকাতায় এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। দাবি করেন, ইউপিএ জমানার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে কয়েক গুণ বেশি বরাদ্দ দিয়েছে মোদি সরকার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাধ্বী জানান, “২০১৪-র পর ৪৫ লক্ষ বাড়ি আমরা দিয়েছি আবাস যোজনায়। ইন্দিরা আবাস যোজনায় অ্যাপ্রুভ হওয়া ১০ লক্ষের বেশি ঘর আমরা তৈরি করেছি। কোভিডের পর থেকে এই রাজ্যের ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চাল দিয়ে আসা হচ্ছে। ৩৯,৭১০০টন চাল দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী (Sadhvi Niranjan Jyoti)  জানান, “আমি আজ কলকাতায় এসেছি। ওরা যেখানে বলবে সেখানে কথা বলতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু ওদের কথা বলার কেউ নেই। আসলে মুখুমুখি বসলে চুরি ধরা পড়ে যাবে।” তাঁর কথায়, “মনরেগায় ঘোটালা হয়েছে। মনরেগার টাকা আটকালে তো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও আটকানো হত। ৫৪০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর সময়। আর মোদী সরকার ১১০০০ কোটি দিয়েছে গত ৯ বছরে। মহিলাদের মাত্র ৬০০ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর আমলে। আর মোদী সরকারের সময়, ৭৪০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ১১ লক্ষ  বাংলার মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করছেন মোদী সরকারের সময়। এই সব কারণেই ওরা আলোচনা করার বদলে পালিয়ে যান। কারণ দুর্নীতি ছাড়া কথা বলার আর কোনও বিষয় ছিল না। আমি আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম। আজও এসেছি। আমি ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম? তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সচিবকে নিয়ে আসুন। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না। কথা দিচ্ছি। কিন্তু ভুয়ো জব কার্ড যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তো বের করতেই হবে।” 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share