Tag: Madhyom

Madhyom

  • Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত সময় গড়াচ্ছে, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) জোরালো হচ্ছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। প্রকৃত সত্যের উদঘাটনে সোমবার থেকেই আসরে নেমেছে সিবিআই।

    দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির বিষয়টি রবিবারই স্বীকার করে নিয়েছে রেল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ত্রুটি কি নিছক যান্ত্রিক গোলযোগ, নাকি দায়ী কোনও মানুষ? এটা কোনও মুহূর্তের ভুল নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও পরিকল্পনা? অর্থাৎ, জোর করে কেউ এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় গোলযোগ বাঁধিয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়নি তো? সত্যিকারে গাফিলতি ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায়? নাকি কারচুপি করে তাকে অকেজো করে রাখা হয়েছিল? যার জেরে প্রাণ গেল ২৭৫ জনের!

    কীভাবে সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল?

    রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সিগন্যালিং সমস্যার জন্যই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল কি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি ষড়যন্ত্র? রেলের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেস আপ মেইন লাইনে যাওয়ার জন্য সিগন্যাল সবুজ ছিল। কিন্তু, তারপরই সিগন্যাল অফ করে দেওয়া হয়। আপের লুপলাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। আবার সেই সময়ে মেনলাইন থেকে লুপলাইনে ট্রেন ঢোকানোর জন্য আগে থেকেই পয়েন্ট সেট করা ছিল। ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে চলে যায় এবং মালগাড়িতে ধাক্কা মারে।

     মেইন লাইন ছেড়ে কেন লুপ লাইনে?

    রেলের তদন্তকারী আধিকারিকদের আরও দাবি, লুপলাইনে ঢোকার জন্য পয়েন্ট সেট করা থাকলে তার অনেক আগে থেকেই হোম সিগন্যাল হলুদ থাকার কথা। এটা রেলের একটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। নিয়ম অনুসারে, হোম সিগন্যাল হলুদ থাকলে চালককে প্রথমে ট্রেনটিকে থামাতে হয়। তারপর খুব ধীর গতিতে, মোটামুটি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিবেগে লুপলাইনে ঢোকার কথা ছিল করমণ্ডলের। কিন্তু এক্ষেত্রে লুপলাইনে পয়েন্ট সেট করা থাকলেও হোম সিগন্যাল সবুজ ছিল। যে কারণে, ট্রেন ছুটছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২৮ কিলোমিটার গতিবেগে। দ্রুত গতিতে লুপলাইনে ঢুকে পড়ে লোহাচুর বোঝাই মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Odisha Train Accident)।

    আরও পড়ুন: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    অকেজো ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা?

    রেলকর্তাদের আশঙ্কা, দুর্ঘটনার সময়ে যে কোনও কারণেই হোক ওই এলাকায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা অকেজো হয়ে ছিল। সাধারণত কোথাও সিগন্যালের মেরামতি করতে হলে এটা করা হয়ে থাকে। সিগন্যালিংয়ের এই গণ্ডগোলের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। রেলের ডিআরএম বলেন, “এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল বলেই গতকাল থেকে রিলে রুম বন্ধ করে রেখেছে। কারণ কোনও ত্রুটি হয়েছে কি না তা একমাত্র ওই রিলে রুমে থাকা হার্ডওয়্যারের মাধ্যমেই জানা যাবে। ওই ঘরে সিগনালিং এবং টেলি কমিউনিকেশনের সব কাজ হয়। তাই অন্তর্ঘাত তো কিছু না কিছু ভাবে হয়েছেই।” 

    ট্যাম্পারিং করা হয়েছিল ইন্টারলকির সিস্টেমে?

    রেল কর্তাদের দাবি, তাদের ইন্টারলকিং সিস্টেম খুবই নিরাপদ এবং এখানে ত্রুটির সুযোগ কম। একটা সিগন্যালিং ব্যবস্থা এতটাই স্পর্শকাতর হয় যে, তার ত্রুটি মেরামত করার পর অন্তত ছয় থেকে সাতবার উন্নতমানের মেশিন এনে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে এত কম সময়ে বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত ০.০১ শতাংশ। ডিআরএম জানান, এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা কিছুদিন আগেই মেরামত করা হয়েছিল। তাহলে, সেখানে এই ধরনের বিপর্যয়ের অবকাশই নেই। ফলে, প্রাথমিক তদন্তের সঙ্গে রেলকর্তারা একমত যে, ইচ্ছাকৃতভাবে বদল ঘটানো বা ট্যাম্পারিং না হলে ইন্টারলকির সিস্টেমে পরিবর্তন করা যায় না। যে কারণেই এখানে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উঠে আসছে। ইন্টারলকিং সিস্টেমে হস্তক্ষেপের পিছনে উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতেই সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত।

     অনুসন্ধানে ১০ সদস্যের সিবিআই টিম

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকাণ্ডে (Odisha Train Accident) রেলের নিজস্ব তদন্তের পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই অনুযায়ী, সোমবার থেকেই তদন্ত শুরু করে দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ১০ সদস্যের টিম পৌঁছে গিয়েছিল বালাসোরে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি, কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ দল। বালাসোর স্টেশনের প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার-সহ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যেকের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

    কী হয়েছিল সেই সময়? জানতে চায় সিবিআই

    এছাড়া, খড়্গপুর জংশন থেকেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতিবিধি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনস ম্যানেজার (এসডিওএম), ডিওএম, ট্র্যাক লোকো কন্ট্রোলার (টিএলসি), সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালকের কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া লগবুক, স্পিডোমিটার, ওয়াকিটকি, সিইউজি ফোন (কমন ইউনিফায়েড গ্রুপ), পিএমইউ (পিরিয়োডিক্যাল মেডিক্যাল একজামিনেশন মেমো), রিফ্রেশার মেমো (ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট)– এই সব সামগ্রী রেলের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Odisha Train Accident) চালক ও সহকারী চালকের সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC Test Championship Final: বুধবার থেকে ওভালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল

    ICC Test Championship Final: বুধবার থেকে ওভালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে মাত্র একটা দিন। বুধবার ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (ICC Test Championship Final) নামছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এবার কার মাথায় উঠবে, তা নির্ধারণ করতেই খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি রোহিত শর্মা ও প্যাট কামিন্স বাহিনী। বুধবার থেকে শুরু হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে ইংল্যান্ডের মাঠে জোর কদমে অনুশীলন সারছে টিম ইন্ডিয়া।

    স্লিপ ক্যাচিংকে বাড়তি গুরুত্ব

    বিগত কয়েকদিন ধরেই ইংল্যান্ডে অনুশীলন সারছিলেন রোহিত, কোহলিরা। তবে তা হচ্ছিল আরুনডেল ক্রিকেট ক্লাবে। রবিবার থেকে ফাইনালের (ICC Test Championship Final) ভেন্যুতেই অনুশীলন করেন রোহিতরা। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কড়া তদারকিতেই চলল ভারতীয় দলের অনুশীলন। অজিঙ্ক রাহানে, বিরাট কোহলিরা বেশ খানিকক্ষণ ফিল্ডিং অনুশীলন করেন। ইংল্যান্ডের পরিবেশে স্লিপ ক্যাচিং গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে। সেই কথা মাথায় রেখেই রাহানে, কোহলি, পূজারা, শুভমন-রা বেশ কিছুটা সময় স্লিপ ক্যাচিংয়ের অনুশীলন করেন।

    অজি পেস ব্যাটারির জন্য বিশেষ প্রস্তুতি

    ২ বছর আগের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হারতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। এবারের ফাইনালে (ICC Test Championship Final) গতবারের ব্যর্থতা ঢাকতে মরিয়া দ্রাবিড়ের ছেলেরা। অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিংয়ের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ব্যাটিং অনুশীলনও করে ভারতীয় টিম। অস্ট্রেলিয়ার দল থেকে চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড। কিন্তু, প্যাট কামিন্স থেকে শুরু করে মিচেল স্টার্ক সমৃদ্ধ অজি পেস অ্যাটাক সমীহ জাগানো। স্টার্কের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। বাঁহাতি নেট বোলারদের নিয়ে ক্রমাগত ব্যাটিং অনুশীলন করেন ভারতীয় ব্যাটাররা।

    ঈশানের চোট নিয়ে চিন্তায় রোহিতরা

    এদিকে, মহারণের (ICC Test Championship Final) আগে দলের প্রধান উইকেটরক্ষক ঈশান কিশানের চোট নিয়ে চিন্তা বাড়ছে রোহিতদের। ওভালে অনুশীলন করার সময় বাঁ হাতে চোট পান এই বাঁহাতি ব্যাটার। প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় তাঁর। তবে ইশান কিশানের চোট গুরুতর নয় বলেই সূত্রের খবর। তবে ভারতীয় দল এখনও কিছু না জানানোয় ইশান কিশানের চোটের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু জানা যায়নি। গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ছিটকে যান দলের মূল কিপার ঋষভ পন্থ। বর্তমানে তিনি রিহ্যাবে। তিনি না থাকায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য দলে নেওয়া হয়েছে ইশান কিশান ও কেএস ভরতকে।

    নতুন জার্সিতে নামবে ভারতীয় দল

    অ্যাডিডাস সম্প্রতি বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল কিট স্পনসর হয়েছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (ICC Test Championship Final) টিম ইন্ডিয়া প্রথমবার অ্যাডিডাসের জার্সিতে খেলবে। এই বিশেষ ম্যাচের জন্য একটি বিশেষ জার্সি লঞ্চ করা হয়েছে। নতুন জার্সি পরে খেলতে দেখা যাবে রোহিত-বিরাটদের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে গোটা টিমের ফোটো সেশনের ছবি শেয়ার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিসিসিআই এর শেয়ার করা ছবিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সকল খেলোয়াড়দের নতুন জার্সিতে দেখা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Gufi Paintal Death: প্রয়াত মহাভারত-এর ‘শকুনি মামা’ অভিনেতা গুফি পেন্টাল

    Gufi Paintal Death: প্রয়াত মহাভারত-এর ‘শকুনি মামা’ অভিনেতা গুফি পেন্টাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ‘মহাভারত’ সিররিয়ালের শকুনি মামার চরিত্রে অভিনয় করা প্রবীণ অভিনেতা গুফি পেন্টাল (Gufi Paintal Death)। আজ সকালে ৯টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

    হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা

    বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন গুফি পেন্টাল (Gufi Paintal Death)। কিডনি এবং হার্টের সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ৩১ মে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেতার ছেলে হ্যারি পেন্টাল তাঁর প্রয়াণের খবর জানান। একটি বিবৃতি দিয়ে অভিনেতার ছেলে বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার বাবা গুফি পেন্টাল আজ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পরিবারের মাঝেই শান্তিপূর্ণ ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর।’’

    আসল নাম সর্বজিৎ পেন্টাল

    ১৯৪৪ সালের ৪ অক্টোবর শিখ পরিবারে জন্ম গুফি পেন্টালের (Gufi Paintal Death)। আসল নাম সর্বজিৎ পেন্টাল। তবে, অভিনয় জগতে গুফি নামেই পরিচিত। ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অভিনয়কেই পেশা বানিয়েছিলেন তিনি। টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভের চাকরিও ছেড়ে দেন কেবল অভিনয়ের টানে!  প্রথম জীবনে পরিচালক ছিলেন। তার পর আশির দশক থেকে অভিনয় শুরু করেন। বেশ কিছু হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয় করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ৬০ বছর বয়সে দ্বিতীয় বার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আশিস বিদ্যার্থী

    শকুনি-মামা চরিত্রই খ্যাতি আনে

    তবে, খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান আটের দশকের শেষ দিকে। বি আর চোপড়া পরিচালিত দূরদর্শনের মহাভারত সিরিয়ালে ‘শকুনি মামা’র চরিত্রে অভিনয় করে দেশে বিপুল জনপ্রিয়তা পান গুফি পেন্টাল (Gufi Paintal Death)। এছাড়া, ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী অভিনীত ‘দিল্লগি’-ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে নজর কেড়েছিলেন। তাঁর অন্যান্য কাজের মধ্যে ‘রফু চক্কর’, ‘দেশ পরদেশ’, ‘দিললগি’, ‘ময়দান এ জঙ্গ’, ‘দাওয়া’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। ‘সুহাগ’ এবং ‘সম্রাট অ্যান্ড কোং’-র মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন গুফি। মাঝে মহাভারত-এ তাঁর সহ-অভিনেতা পঙ্কজ ধীর ২০১০ সালে মুম্বইয়ে অভিনয় অ্যাক্টিং অ্যাকাডেমি নামে একটি অভিনয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলেন। বেশ কয়েক বছর সেখানে ফ্যাকালটির দায়িত্বও সামলান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitterএবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: কয়লা পাচার মামলায় ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও-তে তলব ইডি-র

    Rujira Banerjee: কয়লা পাচার মামলায় ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও-তে তলব ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে তলব করল ইডি। জানা গেছে, ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে। এর আগেও রুজিরাকে দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সে সময় উপস্থিত হননি। পরবর্তীকালে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক পত্নী। প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতর রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) দুবাই সফর আটকে দেয়। অন্যদিকে কয়লা মামলায় তলব করা হয়েছে মন্ত্রী মলয় ঘটককেও। তাঁকে ১৯ জুন দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    সার্কুলার পেয়েই বিমানবন্দরে আটকায় অভিবাসন দফতর

    এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে নোটিশ ফর অ্যাপিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ হল সশরীরে হাজিরা। সূত্র মারফর জানা যাচ্ছে, একটি সার্কুলারের ভিত্তিতেই এদিন দমদম বিমানবন্দরে তাঁকে আটকানো হয়। সূত্রের খবর, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট-এর কাছে যখন ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করতে যান রুজিরা, তখনই তাঁর পাসপোর্ট ডিটেইলস মিলিয়ে দেখা হয়। সার্কুলারের সঙ্গে এই ডিটেইলস মেলানোর পরই সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা যোগাযোগ করেন ইডির সঙ্গে। তখনই তাঁকে আটকানো হয়। এরপর তৃণমূল দাবি করে, গত সেপ্টেম্বর মাসে কয়লা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক-রুজিরাকে (Rujira Banerjee) জানিয়েছিল, বিদেশ যাত্রায় তাঁদের কোনও বাধা নেই। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অভিবাসন দফতরের জানার কথা। তাই সুপ্রিম নির্দেশকে অমান্য করে নয়, বরং সার্কুলার থাকার কারণেই রুজিরাকে আটকানো হয়।

    আরও পড়ুন: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    সোমবার সকালের ঘটনাক্রম

    সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে হাজির হন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। জানা গেছে, তিনি দুবাই-এর বিমান ধরার জন্য আসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান। বিমানে ওঠার আগে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয়, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ রয়েছে। এরপরে দীর্ঘক্ষণ অভিবাসন দফতরের ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে দেখা যায় রুজিরাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malay Ghatak: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    Malay Ghatak: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মর্মে তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, চিঠি পাঠিয়ে আগামী ১৯ জুন দিল্লির সদর দফতরে মলয় ঘটককে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। এই একই মামলায় বৃহস্পতিবারই ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

    এই নিয়ে তৃতীয়বার তলব

    এর আগে, কয়লা পাচার মামলায় দু-বার মলয় ঘটককে (Malay Ghatak) তলব করেছিল ইডি। গত ২৯ মার্চ মলয়কে দিল্লির প্রত্যাবর্তন ভবনে ডাকা হয়। এর পর এপ্রিল মাসে কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু কোনওবারই হাজিরা দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। উল্টে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রথম দফায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মলয়কে মৌখিক রক্ষাকবচ দেয় আদালত। দ্বিতীয় দফায় সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। তারপর আরও ১৪ দিনের জন্য স্বস্তি পান তিনি। আগামী ১০ মে পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, এমনটাই জানিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল, মলয়কে ১৫ দিনের সময় দেওয়ার কথা জানায় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সময় শেষ হওয়ার পরই এবার ১৫ দিনের সময় দিয়ে আগামী ১৯ জুন মলয়কে ডেকে পাঠাল ইডি। এবার মন্ত্রীমশাই হাজিরা দেবেন, না ফের তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন, সেটাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: ‘দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    মন্ত্রীর বাড়ি-দফতরে হয়েছিল তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর মলয়ের (Malay Ghatak) বাড়ি সহ তাঁর অফিসে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। আসানসোলে মলয়ের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। একটি বাড়িতে তালাবন্ধ দেখে অন্য আর একটি বাড়িতে যান তারা। মন্ত্রীর কলকাতার সরকারি আবাসনেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bihar Bridge Collapse: জলে গেল ১৭১০ কোটি! বিহারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ নদী-সেতু

    Bihar Bridge Collapse: জলে গেল ১৭১০ কোটি! বিহারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ নদী-সেতু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক যেন তাসের ঘর! বিহারের ভাগলপুরে একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গঙ্গার ওপর একটি নির্মীয়মাণ সেতু (Bihar Bridge Collapse)। ঘটনাটি রবিবার ঘটেছে ভাগলপুরে। ঘটনার সময় নদীর তীরে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন স্থানীয়। তাঁরা পুরো দৃশ্যটি মোবাইলবন্দি করেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

    প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি

    সুলতানগঞ্জ-আগুয়ানিঘাট সেতুটি ভাগলপুরকে জোড়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছিল। তবে, ওই সময় কোনও নির্মাণের কাজ চলছিল না। ফলে, ছিলেন না কোনও নির্মাণ-কর্মীও। যে কারণে, কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে সেতুটির ৩২৮ ফুট উঁচু অংশ সম্পূর্ণ গঙ্গায় মিশে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে তিনটি পিলার। ভাগলপুরের এসডিও ধনঞ্জয় কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ আচমকাই সেতুটির ৩টি স্তম্ভ ভেঙে পড়ে। যার জেরে মুহূর্তের মধ্যে গোটা সেতুটিই গঙ্গার জলে ধসে পড়ে। 

    একই সেতু ভাঙল দু-বার!

    এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এই নিয়ে এই সেতুটি দ্বিতীয়বার ভেঙে পড়ল (Bihar Bridge Collapse)। এর আগে, গত বছর এপ্রিল মাসে ভেঙে পড়েছিল সেতুটি। এর পর গত নভেম্বর মাসে রিভিউ বৈঠকে সেতু ভেঙে পড়ার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রথমবার সেতু ভেঙে পড়ার পরই আইআইটি রুরকির রিপোর্টে সেতুর কিছু অংশ পুনরায় তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই সরকার সেতুর নকশায় বদল এনেছিল। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবেন মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    প্রশ্নের মুখে নীতীশ প্রশাসন

    কিন্তু, সেই ঘটনার পর ১৪ মাস কাটতে না কাটতেই গতকাল যেভাবে সেতুর একাংশ ভেঙে (Bihar Bridge Collapse) পড়ল, তাতে প্রশ্নের মুখে নীতীশ কুমার প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সেতুর নির্মাণের জন্য ১৭১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। নির্মাণকাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। চলতি বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বর নাগাদ সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এদিনের ঘটনার পর, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জানান, সেতু ভেঙে পড়ার আসল কারণ জানতে তদন্ত করা হবে। আইআইটি মুম্বই, আইআইটি রুরকি ও এনআইআইটি-র অধ্যাপকরা এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘আইন আইনের পথে চলবে’’! কুস্তিগিরদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘আইন আইনের পথে চলবে’’! কুস্তিগিরদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিদ্বারের গঙ্গায় সব মেডেল ভাসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের অনুরোধে সেই পথ থেকে বিরত হন তাঁরা। এদিকে তাঁদের অরাজনৈতিক মঞ্চে চলতে থাকে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা। এতে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। পরে সরকারকে পাঁচ দিন সময় দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ‘ডেডলাইন’ শেষ হয় রবিবার। শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা। এমনই দাবি করা হচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংস্থার রিপোর্টে। উল্লেখ্য, কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে পুলিশি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বজরং, সাক্ষীরা।

    কী আলোচনা হল অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে

    সূত্রের খবর, শনিবার রাত ১১টার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় কুস্তিগিরদের। বজরং, সাক্ষী-সহ চার জন কুস্তিগির শাহের বাসভবনে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের পুরো বক্তব্য শুনেছেন। তদন্তের গতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাক্ষীরা। কুস্তিগিরদের আশ্বস্ত করে শাহ বলেছেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’ এর আগে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আশ্বাস দিয়ে বজরং, সাক্ষীদের বলেছিলেন, ‘‘সব অভিযোগের তদন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে।’’ যদিও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনওভাবেই মুখ খুলতে চাননি বৈঠকে থাকা কুস্তিগিররা। 

    কী বলছে দিল্লি পুলিশ

    উল্লেখ্য, কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন বজরং, সাক্ষীরা। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগই খারিজ করেছেন ব্রিজভূষণ। এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় দিল্লি পুলিশে। যদিও দিল্লি পুলিশ জানায়, গ্রেফতার করার মতো অপরাধ করেননি ব্রিজভূষণ। যে ধারা দেওয়া হয়েছে, তাতে সাত বছরেরও কম সাজা হওয়ার কথা, যদি তা প্রমাণ হয়। অন্যদিকে তথ্যপ্রমাণ লোপাট অথবা সাক্ষীদের ভয় দেখানোর মতো কোনও কাজও করেননি ব্রিজভূষণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    Odisha Train Accident: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Odisha Train Accident) কেড়েছে ২৭৫টি প্রাণ। আর কোনওদিনও বাড়িতে ফিরবেন না তাঁরা। একদিকে প্রিয়জনকে হারানোর শোক, তার ওপর নিহতদের অনেকেই ছিলেন পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। ফলে, সব মিলিয়ে আতান্তরে নিহতদের পরিবারবর্গ। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমরাও। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৮০০ পার করেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের জখম গুরুতর। অনেকে জীবনভর কিছু করার ক্ষমতা হারিয়েছেন। বহু যাত্রীর অঙ্গহানি ঘটেছে। কারও কাটা পড়েছে হাত, কারও বা পা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতে কিছুটা মলমের প্রলেপ এনে দিতে পারে ক্ষতিপূরণের টাকা। 

    কীভাবে মিলবে ক্ষতিপূরণ?

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পরই রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। প্রতি মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুত্ব আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা জানিয়েছিল রেল। কিন্তু, কীভাবে মিলবে ক্ষতিপূরণের টাকা? অনেকের কাছে এই পদ্ধতি জানা নেই। তার ওপর, প্রিয়জনের দেহ এখনও অনেকে পাননি। যে পরিবার দেহ পেয়েছে, তাদের মানসিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক নয়। সকলে শোকে বিহ্বল। বাড়িতে শোকের ছায়া। অনেক পরিববার বুঝেই উঠতে পারছে না, এই সময়ে ঠিক কী করণীয়। 

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    মানতে হবে কিছু নিয়ম

    এমন অবস্থায়, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল রেল। ক্ষতিপূরণের (Odisha Train Accident) অর্থ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা কী ভাবে চাইতে হবে, সেই পদ্ধতিও জানানো হল। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল ক্ষতিপূরণ দাবি করার প্রক্রিয়াটি জানিয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিপূরণ পেতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের পরিবারের সদস্যরা কিংবা আহতরা বালাসোর স্টেশন কিংবা হাসপাতালে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। সঙ্গে ক্ষতিপূরণের সমস্যা এবং তার সমাধানের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল ৯৪৩৯৯ ৮১৯৯৯, ৭৯৭৮৪ ১৮৩২২ এবং ৮২৪৯৫ ৯১৫৫৯। এছাড়া ৬৪৮১০ নম্বরে ফোন করে ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নথিপত্র রেলকে দেখিয়ে পরিচয়ের প্রমাণ দিতে হবে।

    টিকিট না কাটলেও মিলবে ক্ষতিপূরণ

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮৫ জন যাত্রীকে মোট ৩.২২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ও ৫০ জন গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেলের তরফে আপাতত সাতটি জায়গা থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এগুলি হল-সোরো, খড়্গপুর, বালাসোর, খন্তপারা, ভদ্রক, কটক ও ভুবনেশ্বর। রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানিয়েছেন, কার টিকিট ছিল অথবা টিকিট ছিল না এই ঘটনা নির্বিশেষে সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা হবে।

    প্রিয়জনের খোঁজ পেতে হেল্পলাইন ১৩৯

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পর এখনও পর্যন্ত বালাসোর, সোরো এবং বাহানগা বাজার থেকে মোট ৭৭টি মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। সেগুলি যথাযথ নিয়ম মেনে তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের হাতে। অন্যদিকে ১৮২টি দেহ এখনও সনাক্ত করা যায়নি। এখনও মৃত পরিজনদের দেহ পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। তাদের পরিবারকে সহায়তা করতেই ১৩৯-এই হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মৃত ও আহদের পরিবার ১৩৯ নম্বরেও ফোন করতে পারেন। এই নম্বরে ফোন করলে, জোনাল রেলওয়ে ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। ২৪/৭ এই হেল্পলাইন নম্বর চালু রাখা হচ্ছে। ফোনের এ প্রান্তে থাকবেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Malviya: ‘‘মমতার জমানায় ট্রেন দুর্ঘটনা ৫৪টি, প্রাণ হারান ১৪৫১ জন’’, খোঁচা অমিত মালব্যর

    Amit Malviya: ‘‘মমতার জমানায় ট্রেন দুর্ঘটনা ৫৪টি, প্রাণ হারান ১৪৫১ জন’’, খোঁচা অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭৫। আহত ১,০০০ ছাড়িয়েছে। এই ঘটনায় রাজনীতি করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার সকালেই বালাসোরে রেল মন্ত্রককে কাঠগড়ায় তোলেন। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, কবচ না থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার তা খারিজ করে দেন রেলমন্ত্রী এবং তিনি বলেন ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সীমিত জ্ঞান থেকে এ ধরনের কথাবার্তা বলছেন।’’ অন্যদিকে, তাঁর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য রেলমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন মোট ট্রেন দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। বিজেপি নেতার মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ৫৪ টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং লাইনচ্যুত হয়েছে রেল, এমন ঘটনা ৮৩৯ বার ঘটেছে, প্রাণ গেছে ১,৪৫১ জনের।

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    অমিত মালব্য (Amit Malviya) কী লিখলেন ট্যুইটে?

    অমিত মালব্য (Amit Malviya) এদিন রীতিমতো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নীতিশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলের ট্রেন দুর্ঘটনার সংখ্যা তুলে ধরেন নিজের ট্যুইটে। মালব্য লেখেন, ‘‘যারা রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছে, তাদের রিপোর্ট কার্ড।’’

    ওই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নীতিশ কুমার রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে ৭৯টি। রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ১০০০ বার এবং মোট মৃতের সংখ্যা ১,৫২৭। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ৫৪টি রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে এবং রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ৮৩৯ বার। মারা গেছেন ১৪৫১ জন। অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদবের আমলে দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ৫১টি ঘটেছে, রেল লাইনচ্যুত হয়েছে ৫৫০ বার এবং দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১১৫৯ জন। রবিবার বিকেলে এই ট্যুইট করেন অমিত মালব্য।

    মৃত্যু এবং ধ্বংসের রাজনীতির ওপরই দাঁড়িয়ে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    আরও একটি ট্যুইটে অমিত মালব্য লেখেন, সিঙ্গুর থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! তিনি সব সময়ই  ধ্বংস এবং মৃত্যুর রাজনীতি ওপরই দাঁড়িয়ে আছেন। উদ্ধার কাজের সময় তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন করার কোনও কথা ছিল না, কিন্তু তারপরেও তিনি ভুল তথ্য দিতে থাকেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: মামার দেহ সৎকার করে কেরল যাওয়ার পথেই মৃত্যু ভাগ্নার

    Odisha Train Accident: মামার দেহ সৎকার করে কেরল যাওয়ার পথেই মৃত্যু ভাগ্নার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে ওঠার সময় স্টেশনেই বোনের সাথে শেষ কথা হয়। এরপর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানা জানি হতেই যুবককে বাড়ি থেকে ফোন করা হলে যুবককে ফোনে পাননি। এরপর বালেশ্বর (Odisha Train Accident) থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে মহিষাদলের এক বাসিন্দা বাড়িতে ফিরে এমন টাই বললে, বৌ সন্তানকে নিয়ে অল্পের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছি! এই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ভোলার নয়।

    দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু ৩০ বছরের যুবকের

    তমলুক থানার শ্রীরামপুর এলাকার শেখ আজিমুদ্দিনের মামার বাড়ি হল ওড়িশার বালেশ্বরে। মামার মৃত্যুর পর দেহ সৎকারের পর, মামা বাড়ি থেকে কেরালায় কাজ করতে যাওয়ার জন্য বালেশ্বর স্টেশন (Odisha Train Accident) থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনে ওঠার কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে করমন্ডল এক্সপ্রেসের। 

    পরিবারের বক্তব্য

    দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আত্মীয় পরিজন রওনা দেয় দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) স্থলে। সেখানেই দেখেন যে আজিমুদ্দিনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর এই খবর জানা জানি হতেই সকাল থেকেই মৃতের বাড়িতে লোকজন এসে জড়ো হয়। মৃতের পরিবারের আবেদন যে রোজগেরে ছেলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর পুরো পরিবারটাই অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়বে। দুই ছেলে ও বাবা মাকে নিয়ে সংসার ছিল আজিমুদ্দিনের। দুই ছেলেকে নিয়ে এইমুহুর্তে কীভাবে চলবে সংসার! কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না মৃতের বোন। বোনের বক্তব্য, সরকার তাঁদের আর্থিক সাহায্য করুক। এই মুহূর্তে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    অল্পের জন্য রক্ষা পেলে  আরও এক পরিবার

    অন্যদিকে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা জানা ছিল না, নতুন জীবন পেয়ে বাড়ি ফিরলেন পাল পরিবারের ৩ সদস্য। শুক্রবার সন্ধ্যে ৭.১৫ নাগাদ বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে পড়েছিলেন তাঁরা। ওই ট্রেনেই সফর করছিলেন মহিষাদল থানার মলুবসান গ্রামের সুব্রত পাল, তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী পাল ও ছেলে। এই ট্রেনে করে চেন্নাই যাচ্ছিলেন ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। বালেশ্বরের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তাঁদের কাছে আতঙ্কের। সুব্রত বাবুর স্ত্রী জানান, নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি! যতদিন বাঁচবো এই স্মৃতি মনের মধ্যে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share