Tag: Madhyom

Madhyom

  • Train Accident: “চোখের সামনে কামরাটি উল্টে গেল, ১২ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে,” বললেন শ্যামনগরের সঞ্জয়

    Train Accident: “চোখের সামনে কামরাটি উল্টে গেল, ১২ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে,” বললেন শ্যামনগরের সঞ্জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বালেশ্বর স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার পর আমি আর আমার বন্ধু রবি খাওয়া-দাওয়া শুরু করি। পরে, বাথরুমের পাশে বেসিনে থালা পরিষ্কার করছিলাম। আচমকা ট্রেনটি নড়ে ওঠে। বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কয়েকটি পাল্টি খেয়ে ছিটকে পড়ল। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই। প্রায় ১২ ঘণ্টার পর আমার জ্ঞান ফেরে। তখন দেখি আমি বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।” ফোনে এক নিমেষে কথাগুলি বলছিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয় দত্ত।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে কেরালায় যাচ্ছিলেন শ্যামনগর রাহুতার বিআরএস নবপল্লির বাসিন্দা রবি বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁরই এক বন্ধু সঞ্জয় দত্ত। দুজনেই কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)  গুরুতর জখম হন তাঁরা। ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলে আহতের খবরে ভেঙে পড়েছেন বিশ্বাস দম্পতি। জখম রবির দিদি মলি নন্দী বিশ্বাস বলেন, ভাইয়ের ট্রেন দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি। ভাই প্ৰথমে বলেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক এটাই ঠাকুরের কাছে আমাদের প্রার্থনা।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)  জখম যাত্রী কী বললেন?

    দুর্ঘটনায় জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয়বাবু আরও বলেন, “ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে এসেছি। কিন্তু, শ্রমিকের কার্ড, জব কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড হারিয়ে গেল। আমি কাজ করবো কী করে, খাব কী? ডান হাত আমার গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছটার পর থেকে অজ্ঞান হয়ে যাই। এদিন সকালে জ্ঞান ফিরে দেখি, বালেশ্বর হাসপাতালে। সেখান থেকে মেদিনীপুর।” একই রকম উৎকন্ঠ নিয়ে রয়েছে তার বন্ধু রবি। তারও পা ভেঙে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: তৃণমূল সরকার ঘর দেয়নি, আয়ের জন্য যেতে হয়েছিল ভিনরাজ্যে, ফেরার পথেই দুর্ঘটনা

    Train Accident: তৃণমূল সরকার ঘর দেয়নি, আয়ের জন্য যেতে হয়েছিল ভিনরাজ্যে, ফেরার পথেই দুর্ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস, সামান্য হাওয়া এলেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়। একটি পাকা ঘর করার আশায় ছেলে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিল। বাড়ি আসার পথে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় (Train Accident) বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সুজয় সিংহ রায় নামক এক ব্যাক্তি। সরকারি ঘর পেলে আজকে এই দিনটা দেখতে হতো না, চোখে জল নিয়ে আক্ষেপ পরিবারের। তাঁদের পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা।

    নদীয়ার কে ছিলেন ট্রেন (Train Accident) দুর্ঘটনায়?

    নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজয় সিংহ রায়। দিনআনা দিনখাওয়া সংসারে একমাত্র উপার্জন করার মানুষ সুজয়ের বাবা। কোনরকম ভাবে আধপেটা খেয়ে সংসার চলে, তার উপর পড়াশুনার খরচ! চালাবেন কী করে? তাই বাধ্য হয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে, কাজের পথ বেছে নিতে হয়েছে সুজয়কে। দেড় বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে দিনমজুরের কাজ করত সে। দিন কয়েক ধরে তাঁর শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল, আর সেই কারণে ওখানকার একাধিক ডাক্তার সে দেখিয়েছিল। শরীর সুস্থ না হওয়ায় সে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বাড়ি ফেরার সময় ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়তে হয়েছে তাঁকে। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্য একটি মোবাইল থেকে সে বাড়িতে ফোন করে এবং নিজের পরিস্থিতির কথা জানায়।

    পরিবারের উদ্বেগ এবং বোনের বক্তব্য

    বাড়িতে খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সুজয়ের বোন রূপসা সিংহ রায় বলে, আমি প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম হঠাৎ একটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করা হয়। আমি ফোনটা ধরার পর, দাদা নিজেই বলে, আমি দুর্ঘটনায় (Train Accident) পড়ে আহত হয়েছি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে আছি! শুধু এটুকুই কথা হয় দাদার সঙ্গে। রূপসা আরও বলে, প্রথমে ভেবেছিলাম আমার দাদা হয়তো মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু পরবর্তীকালে জানতে পারি সত্যিই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    মায়ের প্রতিক্রিয়া

    সুজয়ের মা সুজাতা সিংহ রায় বলেন, আমার মেয়ে পড়তে গিয়েছিল, প্রথমে মেয়ে পড়া থেকে এসে আমাকে বলে দাদার দুর্ঘটনা (Train Accident) হয়েছে। মা আরো বলেন, সংসারের অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে এবং ঘরকে পাকাপোক্ত করতেই ছেলে একবছর ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে কাজ করছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে পেট ব্যথার কারণে ছেলে বাড়িতে আসতে চাইছিল। আমরা চাই, প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনুক।

    বাবার বক্তব্য

    সুজয়ের বাবা সারদা সিংহ রায় বলেন, কোনরকম ভাবে আমার একার উপার্জনেই এই সংসার চলত। তার উপর ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ৫০ বছর ধরে এই ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি। একাধিক বার পঞ্চায়েত মেম্বার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু কোনরকম সরকারি পরিষেবা পাইনি। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে চরম আতঙ্কে থাকি আমরা। একটু জোরে হাওয়া দিলেই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। শুধুমাত্র একটি ঘর তৈরির জন্য আমার ছেলেকে ভিন রাজ্যে (Train Accident) যেতে হয়েছে। আজ যদি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকারি ঘরটা পেতাম তাহলে এই দিনটি দেখতে হতো না।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার উল্টোসুর

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা পূজা ঘোষ বলেন, আমি জানিই না যে আমার এলাকায় সুজয় নামে একটি ছেলে, ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। সুজয়রা কেন ঘর পায়নি? সেই প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, আমি নামেমাত্র পঞ্চায়েত সদস্যা। কাজ করে ওই এলাকার অন্যান্য তৃণমূল মাতব্বররা। দুর্ঘটনার কবলে থাকা সুজয় এখন কবে ফেরে, সেই আশায় উদ্বিগ্ন পরিবার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শুক্রবার বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানগা বাজার স্টেশনে সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভদ্রকের দিকে যাচ্ছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হাওড়াগামী যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসের অভিমুখ ছিল বালেশ্বরের দিকে। করমণ্ডলের বাঁ দিকের লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। সংঘর্ষে তালগোল পাকিয়ে যায় ৩টি ট্রেন। খেলনা গাড়ির মতো উল্টে যায় ট্রেনের একের পর এক কামরা। 

    এখনও পর্যন্ত মেলা খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের। আহতের সংখ্যা ৬৫০ পার করেছে। দুর্ঘটনার ফলে এখন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ওই শাখা। ফলস্বরূপ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-ভদ্রক শাখায় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া, শিয়ালদা থেকে পুরীগামী একাধিক ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। ঘুর পথে চালানো হচ্ছে আরও অনেক ট্রেন।

    এক নজরে বাতিল হওয়া ট্রেন—

    হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস
    হাওড়া-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস 
    হাওড়া-এর্নাকুলাম অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস
    হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস
    হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস
    হাওড়া-এসভিএমটি বেঙ্গালুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। 
    হাওড়া-তিরুপতি এক্সপ্রেস
    হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
    হাওড়া-চেন্নাই মেল
    হাওড়া-ভদ্রক বাঘাযতীন এক্সপ্রেস
    হাওড়া-যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    সাঁতরাগাছি-পুরী স্পেশাল
    শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস
    হায়দরাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস
    দিঘা-পুরী সমুদ্রকন্যা এক্সপ্রেস
    ত্রিবান্দ্রম-শালিমার এক্সপ্রেস
    চেন্নাই-শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস 
    শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস
    শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস
    শালিমার-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস

    এছাড়া, বাতিল হয়েছে—

    খড়গপুর-জয়পুর-কেওনঝড় রোড এক্সপ্রেস
    খড়গপুর বেলদা মেমু স্পেশাল
    খড়গপুর খুরদা রোড এক্সপ্রেস
    খড়গপুর ভদ্রক মেমু
    হাওড়া জয়সলমীর মেমু স্পেশাল
    বাংরিপোপোশি-ভুবনেশ্বর ইন্টারসিটি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস

    এছাড়াও, বেশ কয়েকটি ট্রেন টাটানগর দিয়ে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর (Odisha Train Accident)

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ফারাক্কার নিখোঁজ ১ এবং শান্তিনিকতনের ২, উদ্বিগ্ন পরিবার

    Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ফারাক্কার নিখোঁজ ১ এবং শান্তিনিকতনের ২, উদ্বিগ্ন পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident)। এই দুর্ঘটনায় এখনও অবধি অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৩৮ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন অনেকেই। এর মধ্যে এই রাজ্যের ফারাক্কার একজন এবং  শান্তিনিকেতনের আরও দুজন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাক্তিদের পরিবারগুলি  তীব্র উৎকণ্ঠা এবং আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) ফারক্কার কে নিখোঁজ    

    বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের বেওয়া ১ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাঁকা এলাকার বাসিন্দা প্রেমিক ঘোষ নামক এক ব্যাক্তি। তিনি বেঙ্গালুরু থেকে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে করে কলকাতায় ফিরছিলেন। কিন্তু ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। বাড়ির লোক প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর ফোন বন্ধ মেলে। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন পরিবার। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের লোক, বালেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁদের বালেশ্বরে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের লোকজন। বাড়ির সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত তৎপর পরিবার।

    শান্তিনিকেতনের কে নিখোঁজ হয়েছেন?

    বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) কোপাইয়ের নিখোঁজ দুই ব্যাক্তি এবং আহত একজনের সম্পর্কে খবর পাওয়া গেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করেই হাওড়া থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন শান্তিনিকেতনের কোপাইয়ের নোয়াডাঙা গ্রামের তিনজন যুবক। ইতি মধ্যে গুরুতরভাবে আহত ধনঞ্জয় কোঁড়া নামক এক ব্যাক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এই এলাকার আরও দুই ব্যাক্তি তুফান কোঁড়া এবং মৃত্যুঞ্জয় কোঁড়ার কোন খোঁজ দুর্ঘটনার পর থেকে মেলেনি। যেভাবে দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে পরিবারের সদস্যরা বেশ চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। পরিবার চাইছেন সুস্থ অবস্থায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে নিখোঁজ ছেলেদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    Train Accident: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোর যেন ঠিক মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে। শুক্রবার বিকেল অবধি যে জায়গা স্বাভাবিক ব্যস্ত জনপদ ছিল। রাত থেকেই বদলে যায় তার চিত্র। হাহাকার, রক্তমাখা দেহ। কারও হাত আছে তো পা নেই আবার পা আছে তো হাত নেই। ভোররাতে সূর্যের অস্ফুট আলো ফুটে উঠতেই বোঝা যায় দুর্ঘটনা (train accident) কতটা ভয়ঙ্কর ছিল। রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলছেনা বদলে সারি সারি ভাবে সাদা কাপড়ে মোড়া মৃতদেহ। কামরার জানলাগুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে হাত-পা। জানা যাচ্ছেনা তারা জীবিত না মৃত। কারণ তা জানতে কামরার ভিতরে ঢুকতে হবে। কিন্তু তালগোল পাকানো কামরার ভিতরে ঢোকার প্রশিক্ষণ তো উদ্বারকারীদের জানা নেই। ভরসা এখন গ্যাস কাটার। সময় যত পেরবে ততই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা, এমনটাই জানাচ্ছেন উদ্বারকারীরা। 

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    স্থানীয়রাই প্রথম এগিয়ে আসে উদ্বারের কাজে

    উদ্বারের কাজে ত্রুটি কিছু রাখেনি সরকার। ড্রোন, স্নিপার ডগ এমনকি হেলিরকপ্টার পর্যন্ত ব্যবহার করছে এনডিআরএফের টিম। তবে সবথেকে আগে হাত বাড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই সমানতালে তাঁরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। শনিবার দুপুর অবধি খবর পাওয়া গেছে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং তা ২৬০ অতিক্রম করেছে আহত ৯০০ জনেরও বেশি। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার (train accident) সময় আমি কাছেই ছিলাম। প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আমরা উদ্ধার করেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ভিতরে চাপা পড়ে রয়েছে আরও বহু দেহ। এদিন আহতদের রক্ত দিতে বালাসোরের হাসপাতালে দেখা যায় স্থানীয়দের লম্বা লাইনও।

    ট্রেন যাত্রীর বিবরণ

    ট্রেনের এক যাত্রী তো নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছেন। তিনি বলেন, ‘‘তখন ঘুমাচ্ছিলাম ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠে দেখি প্রায় ১০-১৫ জন আমার উপরে পড়ে আছে। আমি হাত ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন আমি ট্রেন থেকে নামলাম দেখি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। একটি পা এখানে, একটি হাত সেখানে। কারও মুখ বিকৃত।’’ 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: পরিবারের একমাত্র আয় করতেন এই রাজমিস্ত্রি, মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনায়

    Coromandel Express Accident: পরিবারের একমাত্র আয় করতেন এই রাজমিস্ত্রি, মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারের একমাত্র রোজগার করতেন মহিউদ্দিন শেখ। তাঁর বাড়ি ছিল কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর এলাকায়। কাজ করতে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে। গতকাল বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident) প্রাণ কেড়ে নেয় তাঁর। পরিবারে মধ্যে শোকের ছায়া বর্তমান।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মৃত্যু হল কাকদ্বীপ বাসিন্দার

    মূলত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার কাকদ্বীপ নামখানা পাথরপ্রতিমা সহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকেরা ভিন রাজ্যে যান কাজের উদ্দেশ্যে। কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সাত আট জনের একটি দল, ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন শ্রমিকের কাজের উদ্দেশ্যে। শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস করে যাচ্ছিলেন সকলেই। হঠাৎ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয়, পরিবারের একমাত্র রোজগার করা মহিউদ্দিন শেখের। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বারে বারে ফোন করতে থাকে মহিউদ্দিনকে। কিন্তু দুর্ঘটনার পরে তৎক্ষণাৎ ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে। আরও কিছুক্ষণ পর সহকর্মীদের মধ্যে থেকে একজনের ফোন আসে বাড়ির ফোনে এবং পরিবারকে জানানো হয়, মহিউদ্দিন আর নেই! ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) প্রাণ গেছে তাঁর! এরপর হোয়াটস্যাপে ছবি দেখে মহিউদ্দিন শেখকে শনাক্ত করে পরিবার। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় আরও বেশ কিছুজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ট্রেনের এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    দাদা আব্দুল সালাম বলেন, গতকাল রাতে ১২ টায় আমি মহিউদ্দিনের মোবাইলে ফোন করি, কিন্তু প্রথমে কেউ ধরে নি ফোন। পরে অন্য একজন ওর ফোন থেকে ফোন করে বলে যে দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মারা গেছে সে। পরিবারকে চালানোর জন্য মহিউদ্দিন দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেই যাচ্ছিলেন। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী এবং পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন মহিউদ্দিন। দাদা আরও জানান, মহিউদ্দিনের বাড়িতে বর্তমানে তিন ছেলে এবং স্ত্রী বর্তমান। তাঁরই রোজগারে তাঁর পরিবারের সংসার চলত। কিন্তু এখন এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর শ্রমিকের পরিবারের এই সংসার, কীভাবে চলবে, তাই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করছেন দাদা আব্দুল সালাম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident:  ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ তপনের চন্দন রায়, উদ্বেগে পরিবার

    Train Accident: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ তপনের চন্দন রায়, উদ্বেগে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে কাজ নেই। রোজগারও তলানিতে। মা, স্ত্রী আর পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গাঁও গঙ্গারামপুরের চন্দন রায়। ভালো রোজগারের আশায় ভগ্নিপতি নিত্যম রায়ের সঙ্গে প্রথম কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে তাঁদের টিকিট ছিল। ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর থেকে চন্দনবাবুর কোনও হদিশ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সকলে।

    কী বললেন চন্দনের স্ত্রী?

    চন্দনবাবুর ভগ্নিপতি নিত্যম রায়ের বাড়ি মালদহের বামনগোলায়। দুজনেই করমন্ডল এক্সপ্রেসে এক কামরায় ছিলেন। চন্দনবাবুর স্ত্রী চিত্রা রায় বলেন, “ট্রেনে ওঠার পর ও আমাকে ফোন করে জানায়, বিকেলের দিকে ট্রেন ছাড়ার পর ও বলে, ট্রেন ছাড়ল। পৌঁছে গিয়ে ফোন করব। সেই আশায় ছিলাম। সন্ধ্যার পর খবরে দেখি করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে। আর ওরা ওই ট্রেনে ছিল, তা জানতাম। সঙ্গে ওর মোবাইলে ফোন করি। কিন্তু, মোবাইল সুইচড অফ পাই। এরপর আমার ননদাইকে ফোন করি। কিন্তু, তাঁর মোবাইল থেকে একজন ফোন তুলে আমার সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেন। যেটুকু বুঝলাম তাতে আমার ননদাই আর বেঁচে নেই। আর আমার স্বামীর খোঁজ কেউ দিতে পারলেন না। ও এখন বেঁচে আছে না কোথায় আছে কিছুই জানি না। খুব উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে। আমার স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছি। থানাতেও গিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    স্থানীয় বিজেপি নেতা জুল্লুর রহমান চন্দনবাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে শনিবার সকালে গিয়ে দেখা করেন। তিনি বলেন,”আমরা বিষয়টি জানার পর হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে সব জানিয়েছি। আমাদের রাজ্যে থেকে যে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে (Train Accident) গিয়েছে তাঁদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমরা থানায় জানিয়েছি। বিজেপির পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে সবরকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা তাঁদের পাশে সবসময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    Coromandel Express Accident: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮-ঘণ্টা। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। একদিকে প্রতি ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে, হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়। এরমধ্যেই, দুর্ঘটনার জেরে করমণ্ডল ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়ায় ফিরল বিশেষ ট্রেন। আরও ১০০০ যাত্রীকে নিয়ে পরে আরও একটি ট্রেন আসবে বলে জানা গিয়েছে। 

    হাওড়া পৌঁছল বিশেষ ট্রেন

    শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন এসে পৌঁছল হাওড়ায়। শুক্রবার রাতভর হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের আত্মীয়-পরিজন, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল চরমে। দূরপাল্লার দুই ট্রেন মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার যাত্রী ছিলেন। তাঁদের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের সারা রাত ধরে হাজির হতে দেখা গেল হাওড়ার রেল স্টেশনে। হাওড়া পৌঁছনোর খড়্গপুর স্টেশনে যাত্রীদের জল, চা এবং খাবার দেওয়া হয়। হাওড়া পৌঁছতেই স্টেশনেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান তাঁরা। রেলসূত্রে খবর, আরও যাত্রী নিয়ে হাওড়া ফিরছে স্যর এম বিশ্বেশ্বরায়-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। অন্যদিকে, একটি বিশেষ ট্রেন আটকা পড়া যাত্রীদের নিয়ে শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ভদ্রক থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    এদিকে, দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর দ্রুততার সঙ্গে একাধিক হেল্পলাইন খোলা হয়েছে রেলের তরফে। পাশাপাশি চালু হয় ২৪ ঘণ্টার হেল্প ডেস্ক। সরাসরি দুই ট্রেনের যাত্রীদের বাড়ির লোক রেলের সাহায্য নিতে পারবেন। 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: কামরার কেবল মাত্র চারজন বেঁচে ছিলাম, অনেক কষ্টে প্রাণ নিয়ে ফিরেছি

    Coromandel Express Accident: কামরার কেবল মাত্র চারজন বেঁচে ছিলাম, অনেক কষ্টে প্রাণ নিয়ে ফিরেছি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) রেল দুর্ঘটনা গাইসালের রেল দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল। ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছেই হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, একটি মাল গাড়ি এবং হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস লাইন থেকে চ্যুত হয়ে পরস্পর ধাক্কা লেগে একের পর এক কামরা উপরে উঠে গিয়ে ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যাত্রীদের সংখ্যা ছিল সবথেকে বেশি। এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা থেকে যাঁরা প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরেছেন, তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা এক কঠিন বাস্তবতার পরিচয় বহন করে। চোখের সামনেই ছিল মৃত্যু, সেই মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে তাঁরা ফিরলেন বাড়িতে।

    দুর্ঘটনা (Coromandel Express) থেকে ফিরে কী বলছেন ক্যানিং-এর বাসিন্দা

    এই রেল দুর্ঘটনায়, একেবারে প্রাণ হাতে করে নিয়ে ফিরেছেন বাসন্তীর ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের লেবুখালীর দুই বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মোল্লা এবং পারুল মোল্লা। দুই জনেই একই পরিবারের সদস্য, একজন শ্বশুর ও অপরজন বৌমা। তাঁদের বক্তব্য, শালিমার থেকে যাত্রা করে চেন্নাইতে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। পারুল মোল্লা বলেন, আমার স্বামী চেন্নাইতে কাজ করেন। আমরা তাঁর কাছেই যাচ্ছিলাম। ট্রেনে (Coromandel Express) হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনিতে সব কিছু উলট পালট হয়ে গেলে। মুহূর্তের মধ্যেই কামরার সকলে এদিকে ওদিকে ছিটকে পড়ে গেল। আমিও পড়ে গিয়ে দারুণ ভাবে কোমারে আঘাত প্রাপ্ত হই। তিনি আরও বলেন, আমাদের কামরাতে কেবল আমি, আমার শ্বশুর এবং আর দুই ব্যাক্তি বেঁচে ফিরেছি। বাকি সকল যাত্রী দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পারুল মোল্লা আরও বলেন, মনে হচ্ছিল আর মনে হয় বেঁচে ফেরা হবে না। বিশ্বাস করতে পারছিনা এত বড় রেল দুর্ঘটনার পরও বেঁচে আছি। 

    সোনারপুরের সুকান্ত কী বললেন

    চেন্নাই মেট্রোতে কাজের জন্য শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express) উঠেছিলেন সোনারপুরের সুকান্ত হালদার। রেলের দুর্ঘটনার পর কোনওক্রমে জীবন হাতে করে বালেশ্বরে থেকে বাসে কলকাতায় ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ট্রেন ঠিক সময়েই চলছিল, বিকাল ঠিক ৬ টা নাগাদ ট্রেনের মধ্যে তীব্র ঝাঁকুনি হয়, আর তারপর কিছুই বুঝতে পারলাম না। জ্ঞান ফিরতে দেখি, কামরার বাকি যাত্রীরা আর্তনাদ করছে। কামরার চারপাশ অন্ধকার, কামরার আশে পাশে অনেক রক্ত। অনেকেই যে চাপা পড়ে আছেন, তা তিনি দেখতে পান। সিটের সঙ্গে লাগানো একটি লোহার স্ক্রুপ লেগে পায়ে দারুণ আগাত পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাম হাত এবং পীঠের ডান দিকের অংশে অনেকটা করে কেটে গেছে বলে জানান। প্রায় চল্লিশ মিনিট পর অনেক কষ্ট করে ট্রেনের কামরা থেকে বের হতে পেরেছিলেন সুকান্ত হালদার। তিনি বলেন, কামরা থেকে বের হয়ে বুঝতেই পারছিলাম না কী হল? সুকান্ত আরও বলেন, লাইনচ্যুত হয়ে একটা রেলের কামরা আরেকটা কামরার উপর উঠে গিয়েছিল। এতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আগে কখনও দেখিনি। অত্যন্ত হতাশায় বলেন, জানিনা কামরার বাকি যাত্রীদের কী হয়েছে!

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    Odisha Train Derailment: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে দেখা করবেন আহতদের সঙ্গে। পরিদর্শন করবেন দুর্ঘটনাস্থল (Odisha Train Derailment)। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সূত্রের খবর রেল দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজ, আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সেখানে গিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    দুপুর আড়াইটায় ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে নামার কথা প্রধানমন্ত্রীর

    রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬১ এবং আহত ৯০০ এর বেশি মানুষ। সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কীভাবে ঘটল এই রেল দুর্ঘটনা তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় রেল। সূত্রের খবর, আজ দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে (Odisha Train Derailment) যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জানা গেছে প্রথমে তিনি বালাসোরে যাবেন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সোজা রওনা হবেন দুর্ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে তিনি যাবেন কটক হাসপাতালে। রেল দুর্ঘটনায় আহত শতাধিক যাত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কারা ছিলেন বৈঠকে

    আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলের উদ্ধারকাজ, আহত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বাকি আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। ভারতীয় রেল এনডিআরএফ-এর আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। 

    রেলের পর প্রধানমন্ত্রীও দুর্গতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন

    নিহতদের পরিবার কিছু দশ লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমদের জন্য দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় রেল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এদিন ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share