Tag: Madhyom

Madhyom

  • Adheenams: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    Adheenams: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ২৮ মে নয়া সংসদ ভবনে সেঙ্গল স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাদুরাই অধিনমের (Adheenams) প্রধান পুরোহিত সেদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে সেঙ্গল তুলে দেন। এক কথায় সেঙ্গল হল রাজদণ্ড। এরপর থেকেই অধিনম নিয়ে চর্চা শুরু হয়। অধিনম কী? তাঁদের কাজ কী? এসব নিয়ে বাড়তে থাকে কৌতূহল।

    আরও পড়ুন: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় জনপ্রিয় হয়েছিল সিঙারা! কিন্তু এর উৎপত্তি কোথায়?

    অধিনম (Adheenams) কী?

    হিন্দু ধর্মের প্রচলিত আশ্রম বা মঠের সমার্থক হল অধিনম। কুড়িটি অধিনম দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রচলিত রীতি অনুসারে এই অধিনমগুলির প্রধান পুরোহিত একজন অব্রাহ্মণ হন। সব থেকে প্রাচীনতম হল মাদুরাই অধিনম। যার প্রধান পুরোহিত শ্রী হরিহর দেশিকা, যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দিয়েছিলেন। শ্রী হরিহর দেশিকা ২৯৩ তম প্রধান পুরোহিত বা অধিনমকর্তা। অধিনম একটি তামিল শব্দ যার সঙ্গে সম্পর্কিত শৈব উপাসনা। এটি এক ধরনের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। এবং একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাও বটে। অধিনমের প্রধানকে বলা হয় অধিনমপতি বা অধিনমকর্তা। যাঁর কাজ হল ধর্মীয় বিষয় দেখাশোনা এবং অনুষ্ঠান পালন করা। অধিনমের (Adheenams) অন্তর্গত ভক্তদের মধ্যে শিক্ষা প্রদান করেন প্রধান পুরোহিতরা। এক কথায় অধিনমের প্রধান পুরোহিত একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হন, তিনি যেমন উপদেশ প্রদান করেন ঠিক একইভাবে সেই জনগোষ্ঠীর অন্যতম নিয়ন্ত্রণ কর্তার ভূমিকাও পালন করেন। নির্দিষ্ট ওই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মমত প্রচার করা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কাজও অধীনম করে থাকেন।

    গুরুত্বপূর্ণ অধিনম (Adheenams)

    মাদুরাই অধিনম

    মাদুরাই অধিনম হল সবথেকে প্রাচীনতম। এই মঠ তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। এখানে শৈব উপাসনা করা হয়।

    শৃঙ্গেরী সারদা পীঠ

    কর্নাটকের শৃঙ্গেরীতে এই অধিনম অবস্থিত, যা অদ্বৈত বেদান্ত দর্শন অনুযায়ী চলে। এই অধিনম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। আধ্যাত্মিক আলোচনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এ সমস্ত কিছুই হয় এখানে।

    কাঞ্চি কামাকোটি পীঠ

    কাঞ্চিপুরমে এই অধিনম অবস্থিত। বর্তমানে তামিলনাড়ুতে পড়ে। এখানে অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের চর্চা হয়। এখানে দেবী কামাক্ষীর উপাসনা করা হয়।

    দ্বারকা পীঠ

    গুজরাটে অবস্থিত এই অধিনম। বৈষ্ণব মতে চলে এই মঠ।

    জ্যোতির্মঠ 

    জ্যোতির্মঠ পরিচিত জোশীমঠ নামে। কয়েক মাস আগেও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল জোশীমঠ ধসের কারণ। উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অবস্থিত এটি। স্থাপন করেছিলেন আদি শঙ্করাচার্য। 

    চোল, চের  এবং পাণ্ড রাজাদের সঙ্গে অধিনমের (Adheenams) সম্পর্ক 

    চোল সাম্রাজ্য খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দী থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিল। অধিনামগুলির সহযোগিতাতেই দক্ষিণ ভারতে অজস্র মন্দির স্থাপন করেছিলেন চোল রাজারা।

    চের রাজত্ব দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে চলেছিল। চের রাজত্বেও অধিনমের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল অধিনমগুলি।

    সপ্তদশ শতক পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পাণ্ডুদের রাজত্ব চলত। পাণ্ডুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অধিনমগুলির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Environment: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে ১৩০০ কিমি!

    Environment: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে ১৩০০ কিমি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার বাসিন্দা সুদেশ কুমার মানবতা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বেকার সমস‍্যার সমাধানের দাবিতে রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দির পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রা (Environment) শুরু করেছেন। সম্প্রতি তিনি বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে কুলটির ডুবুরডিহি চেক পোস্ট হয়ে ১৯ নং জাতীয় সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে পৌঁছান।

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় যাত্রার (Yatra) উদ্দেশ্য কী?

    এই বিশেষ যাত্রাপথে (Environment) দুর্নীতি ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনের বিশেষ বার্তা থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে, সেই বিষয়ে সচেতনতার কথাও তিনি বলছেন। দিন দিন ভূ-মণ্ডলের তাপমাত্রা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, প্রকৃতিতে অক্সিজেন কেন কম পড়েছে, কার্বন-ডাই-অক্সাইড কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এসব বিষয়ও তাঁর যাত্রার মধ্যে রয়েছে। কলকাতার কালী মাকে দর্শন করতেই দক্ষিণেশ্বরে যাত্রা শেষ করার উদ্দেশ্য সুদেশ কুমারের।  

    কী বার্তা দিচ্ছেন সুদেশ কুমার?

    যাত্রাপথে (Environment) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ কিমি সফর করে ফেলেছেন। বিগত দুমাস ধরে তাঁর এই বিশেষ যাত্রা চলছে। তবে চলার পথে তাঁর বেশ সমস‍্যা হচ্ছে। জাতীয় পতাকাকে হাতে নিয়ে সূর্যাস্তের পরই যাত্রা করছেন তিনি। বাকি সময় তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। যাত্রায় জাতীয় পতাকাকে হাতে নিয়েই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। পেশায় তিনি একজন দিনমজুর। এর আগে তিনি উত্তরপ্রদেশের নিজের বাড়ি থেকে সাইকেলে করে দিল্লি পর্যন্ত যাত্রা করেছিলেন। তাঁর এই জাতীয় পতাকা হাতে পদযাত্রা দেশ, সমাজ তথা পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় বেশ অভিনব বলেই অনেকে মনে করছেন। তাই যাত্রাপথে অনেকেরই নজর কেড়েছেন তিনি। পেশায় দিনমজুর হলেও তাঁর এই প্রচেষ্টাকে ব্যতিক্রমী হিসাবেও অনেকে দেখছেন। আপাতত কলকাতায় তাঁর এই যাত্রা শেষ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

    Abhishek Banerjee: কনভয় আটকে অভিষেকের কাছে নালিশ! সাসপেন্ড বুথ সভাপতি, শো-কজ দুই নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সব সময় বলে থাকেন, বুথের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। তাঁদের গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে। অভিষেকের এসব কথা টিভির পর্দায় শুনে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন ঘাটালের মূলগ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি। দলে গুরুত্ব না পাওয়া প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইয়ের অনুগামী হিসাবে পরিচিত সোলেমান আশা করেছিলেন, কোনওভাবে অভিষেকের কাছে গিয়ে নিজের কষ্টের কথা বলতে পারলে বিহিত একটা হবেই। সেই মতো অভিষেকের কনভয় আটকে দল করতে না পারার কষ্টের কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, গাড়ি থামিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) সকলের সামনে যেভাবে তাঁকে অপমান করেছেন, তা মনে করলে তিনি আঁতকে উঠছেন। যদিও অভিষেকের কনভয় চলে যাওয়ার পর পরই ব্লক নেতৃত্ব আর সময় নেয়নি। তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আরও দুই তৃণমূল নেতাকে শো-কজ করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    ২৮ মে রাত সাড়ে নটা নাগাদ ঘাটালের বীরসিংহ থেকে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘাটালেরই বিদ্যাসাগর হাই স্কুল মাঠের তাঁবুতে যাচ্ছিল। জলসরায় চন্দ্রকোণা-ঘাটাল রাজ্য সড়কে অভিষেকের কনভয়ের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকী কনভয়ের সামনে শুয়ে পড়ে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তাঁকে সরানোর দাবি তোলেন দলেরই তিন নেতা। দিলীপ মাঝি পদে থাকলে দল ডুববে, তাঁকে সরিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তোলা হয়। ঘাটালের মূলগ্রাম বুথের সভাপতি শেখ সোলেমান আলি, বীরসিংহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ আবদুল রশিদ ও ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মী দীপঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। তাঁদের চিত্কারে কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ির কাচ নামিয়ে অভিষেক তাঁদের ডাকেন। তাঁদের নাম-পরিচয় জানতে চান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, “প্রকৃত তৃণমূল কর্মী এইভাবে গাড়ি আটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে না, এসব দলে চলবে না। এভাবে লবিবাজি মেনে নেওয়া হবে না।” দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সোলেমান সাহেবকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। ২৮ মে রাতেই অভিযুক্ত বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলিকে সাসপেন্ড করা হয় এবং বাকি দুজনকে শো-কজ করা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।

    কী বললেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা?

    সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শেখ সোলেমান আলি বলেন,” সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, হাতে কোনও চিঠি পাইনি। অঞ্চলের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন।” সাসপেন্ড হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি হয়তো কিছু ভুল করেছি, তাই সাসপেন্ড করেছে। আমি ৯৮ সাল থেকে দল করি। সাসপেন্ড করেছে ঠিক আছে, কিন্তু দলকে ভোট দিতে পারবো তো! দলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝির বিরুদ্ধে আমি কিছু বলিনি। কনভয় আটকে অন্য কেউ বলতে পারে, সেই ঝড় হয়তো আমার উপর এসে পড়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “মূলগ্রামের বুথ সভাপতি শেখ সোলেমান আলি সহ কয়েকজন নেতৃত্ব ঘাটালের জলসরায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সমান। দলের ওইসব নেতৃত্ব দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ইচ্ছা করে মনগড়া কথা বলার চেষ্টা করেছে। দলের যে স্তরে জানানোর দরকার, সেখানে না জানিয়ে একেবারে জনসমক্ষে দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তাই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাকিদেরও শো-কজ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে জবাব না দিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NEP: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিকেই মান্যতা! চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু এরাজ্যেও

    NEP: কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিকেই মান্যতা! চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু এরাজ্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের পাশ করা জাতীয় শিক্ষানীতিকেই (NEP) অবশেষে মান্যতা দিতে হল রাজ্যকে। কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, চার বছরের স্নাতক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।

    মান্যতা না দিলে বিপদে পড়তেন ৭ লক্ষ পড়ুয়া?

    এই মর্মে, বুধবার শিক্ষা দফতরের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চার বছরের স্নাতক (NEP) পাঠক্রম চালু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে কলেজগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে, রাজ্য যে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে এবছর ভর্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল, তা আপাতত হচ্ছে না। তাই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা যেভাবে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে থাকে সেই প্রক্রিয়াতেই ভর্তি হবে বলে জানানো হয়েছে। 

    এদিন উচ্চশিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘কমিটির সুপারিশ মেনেই স্নাতক স্তরে চার বছরের পাঠক্রম (NEP) চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতেন না। এক্ষেত্রে তাদের বাইরের রাজ্যে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়ে যেত। যারা আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল, তারা বিপদে পড়তেন। এই সমস্ত কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: আরএসএস পরিচালিত স্কুলে পড়ে আজ ইউপিএসসি-তে সফল এক ডজনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ ইউজিসি-র

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র নির্দেশিকা আগেই পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া নিয়ম (NEP) কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাতে। জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হয়েছে। এরাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করেছে। প্রসঙ্গত, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা ৩ বছর থেকে বেড়ে ৪ বছর হওয়ার পাশাপাশি, স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা ২ বছর থেকে কমে ১ বছর করা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরে পড়াশোনায় ভোকেশনাল ট্রেনিং, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইন্টার্নশিপ ইত্যাদিও যুক্ত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার, সরব বিজেপি

    Balurghat: বালুরঘাটে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী প্রায়ই বাড়িতে থাকেন না। বালুরঘাটে এক (Balurghat) বস্তি বাড়িতে একাই থাকতেন এক গৃহবধূ। আর এই সুযোগ বুঝে, এলাকার তিন যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, মদ্যপ অবস্থার ওই যুবকেরা বধূকে মদ্যপান করতে বাধ্য করে। সেই মদ ঢেলে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গেও। চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপি।

    বালুরঘাটে (Balurghat) কেমন করে ঘটল এই ঘটনা!

    তিনদিন আগের ঘটনা হলেও, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গতকাল। ওই গৃহবধূর বয়ান অনুযায়ী, বালুরঘাট (Balurghat) শহরের একটি বস্তি এলাকায় থাকেন তিনি। তিনি পেশায় কুলফি বিক্রেতা। কাজের জন্য স্বামী প্রায়ই বাড়িতে থাকতেন না। দিন তিনেক আগে ওই গৃহবধূ যখন একাই বাড়িতে ছিলেন, ওই সময় এলাকার তিন প্রতিবেশী যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে তাঁকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরও চলতে থাকে পাশবিক অত্যাচার। ওই গৃহবধূর আরও অভিযোগ, তিনি চিৎকার করলেও এলাকার কেউই তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। ধর্ষণের পর তিনি নিজেই বালুরঘাট থানার দিকে পায়ে হেটে যেতে শুরু করলে, পথে এক জায়গায় মাথা ঘুরে বসে পড়েন। এরপর সেখান থেকে খবর যায় বালুরঘাট থানায়। বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে, ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে, বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে এই হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা বালুরঘাট থানায় জানান।

    ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা

    ধর্ষণের তিনদিন পর তিনি বালুরঘাট (Balurghat) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে তল্লাশি শুরু করেছে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, ওই গৃহবধূ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। অভিযুক্ত প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরোনো পারিবারিক গোলমাল রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফলে গণধর্ষণের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত কি না, তা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঠিক তেমনই ওই গৃহবধূর অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য

    গণধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘শুধু বালুরঘাটেই (Balurghat) নয়, সারা রাজ্য জুড়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় অপরাধ বেড়েই চলেছে। নানা ভয়ানক ঘটনা একেবারে আড়াল করে ফেলা হচ্ছে, কোনও কেসই হয়না। সেগুলির রেকর্ড রাখা হয়না।’ তিনি আরও বলেন, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে এমন সুন্দর করে পুলিশ রেকর্ড তৈরি করে যে সেরার পুরস্কার পেয়ে যায় থানাগুলি। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, ঘটনার অভিযোগ পেয়েই মামলা শুরু করা হয়েছে এবং বর্তমানে তদন্ত চলছে। গণধর্ষণের পিছনের দোষীরা কবে ধরা পরবে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tobacco: তামাক ছাড়লে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে ৪০ শতাংশ! জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা

    Tobacco: তামাক ছাড়লে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে ৪০ শতাংশ! জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার থাকুক ডায়েটে! তামাকজাত (Tobacco) যে কোনও পদার্থকেই বাদ দিতে হবে ফি-দিনের তালিকা থেকে! ৩১ মে ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে-তে একথাই প্রচার করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তামাক বা তামাকজাত যে কোনও ধরনের পণ্য যেমন বিড়ি, সিগারেট, পানমশলা বা গুটখার মতো পণ্য বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। তাই সুস্থ জীবনের জন্য তামাককে সম্পূর্ণ বর্জন করার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।

    কী ঝুঁকি বাড়ছে তামাকের (Tobacco) জন্য? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তামাক ক্যানসারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফুসফুস, গলা, মুখ, পেটে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তামাক। নিয়মিত তামাক সেবন করলে মুখ ও গলা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাছাড়া তামাক সেবন হার্টের জন্যও ক্ষতিকারক। নিয়মিত তামাক (Tobacco) সেবন করলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া ফুসফুসের নানা সংক্রমক রোগ ও বক্ষঃরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তামাক সেবনের অভ্যাস থাকলে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। তামাক সেবনের অভ্যাস দেহের একাধিক অঙ্গের উপর কুপ্রভাব ফেলে। তাই তামাক সুস্থ জীবনযাপনের পরিপন্থী। ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে-তে এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    এ রাজ্যে তামাক (Tobacco) সেবনের হার কেমন? 

    গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশজুড়ে তামাক (Tobacco) বর্জন নিয়ে সচেতনতা জরুরি। তবে, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। কারণ, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশের তুলনায় এ রাজ্যে তামাকজাত দ্রব্য, বিশেষত সিগারেটে অভ্যস্তের সংখ্যা অনেক বেশি। যা বেশ উদ্বেগের কারণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মোট তামাকজাত দ্রব্যে অভ্যস্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৩.৫ শতাংশ। এর মধ্যে সিগারেটে অভ্যস্ত ৫.২ শতাংশ। নিয়মিত বিড়িতে অভ্যস্ত ১৪.৪ শতাংশ। আর ধোঁয়াবিহীন তামাক অর্থাৎ, পানমশলা, গুটখা জাতীয় তামাক সেবনে অভ্যস্ত ২০.১ শতাংশ। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, চণ্ডীগড়ের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তামাক নিয়ে অসচেতনতা এ রাজ্যের পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    তামাক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। তাই প্রথম থেকেই সে দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে ক্যানসার-শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। তামাক ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তামাক (Tobacco) বর্জন করতে না পারলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়বে। তাই প্রথম থেকেই এ নিয়ে সতর্ক হতে হবে। কিশোর কাল থেকেই যদি সচেতনতা থাকে, তাহলে এ অভ্যাস তৈরি হবে না। তাই স্কুলপর্ব থেকেই পড়ুয়াদের এ নিয়ে সচেতন করা জরুরি। স্কুলপর্ব থেকে প্রয়োজন কর্মশালা। যাতে তারা এ বিষয়ে সজাগ থাকে। কম বয়সীদের মধ্যে বন্ধুদের অভ্যাস, জীবনযাপন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই তাদের সতর্ক করতে পারলে কাজ অনেকটাই সহজ হবে।” আরেক ক্যানসার চিকিৎসক তাপস দাস বলেন, “সরকারি-বেসরকারি সব মহলেই সচেতনতা জরুরি। তামাক বর্জন একদিনের জন্য নয়। সারা বছর এ নিয়ে সব মহলে সক্রিয়তা দরকার। বিশেষত পার্ক, রাস্তা, মেলা, বাস স্টপ এসব জায়গায় তামাক সেবন করলে যাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। ” 
    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, একদিকে আইনি পদক্ষেপ, আরেক দিকে সচেতনতা বদলে দিতে পারে রাজ্যের ছবি। স্কুলপর্ব থেকে সচেতনতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক সচেতনতা গড়ে তুলবে। আবার প্রাপ্তবয়স্ক কেউ তামাকে অভ্যস্ত থাকলে, তাঁরাও সজাগ হবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে এই নেশা থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশপাশি কড়া আইন থাকলে রাস্তাঘাটে, পার্কে বা প্রকাশ্য কোনও জায়গায় তামাক সেবন করা যাবে না। যা সার্বিকভাবে রাজ্যের ধূমপানের ছবি বদলে দেবে। তবে, এসবের জন্য প্রয়োজন সরকারের সক্রিয়তা ও সদিচ্ছা। যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    PM Modi: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল ‘আচ্ছে দিন আসছে’। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই ‘আচ্ছে দিন’? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।

    ‘সাফল্যের ৯ বছর’-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ন-বছর ধরে মোদি সরকারের আমলে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে নারীর সর্বাঙ্গীন উন্নয়নকে। নারী কল্যাণে একাধিক কর্মসূচি ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (PM Modi)। সামাজিকভাবে নারী সুরক্ষা আনতে চালু হয়েছে বিভিন্ন আইন। যেমন আইন করে বন্ধ করা গেছে তিন তালাক প্রথা। মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোদি সরকার গ্রহণ করেছে ‘মিশন পোষণ’। এটা এক ধরনের পুষ্টির প্রোগ্রাম, গর্ভবতী মহিলা এবং সদ্যোজাতদের জন্য। এই প্রকল্পে এখনও অবধি ১.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার।

    নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের প্রকল্প

    অন্যদিকে সরকারি সূত্রেই জানা যাচ্ছে, ‘মিশন শক্তি’ প্রকল্পে দুটি স্কিম রয়েছে। একটি হল ‘সম্বল’ এবং অপরটি ‘সামর্থ্য’। নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্যই এই প্রকল্পগুলি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প, বিপদগ্রস্ত মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন ১৮১। নারীঘটিত যে কোনও অপরাধের দ্রুত বিচারের জন্য তৈরি করা হয়েছে মহিলা আদালত। অন্যদিকে ‘সম্বল’ স্কিমের আবার দুটি ভাগ রয়েছে। একটি হল ‘প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা’ এবং ‘শক্তি সাধন’। মাতৃ বন্দনা যোজনার মধ্যে পড়ছে উজ্জ্বলা যোজনা। যেখানে মোদি সরকার ৯ কোটির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ করেছে। কর্মরত মহিলাদের জন্য মোদি সরকারের প্রকল্প হল সখী নিবাস। যা একধরনের মহিলা হস্টেল। লিঙ্গ অনুপাত প্রথমবারের জন্য বেড়েছে। প্রতি ১০০০ জন পুরুষে মহিলা হল ১০২০। মহিলাদের ওপর সাংসারিক নির্যাতনও কমেছে। কন্যা ভ্রুণ হত্যাও কম।

    নানা ক্ষেত্রে মহিলাদের সক্রিয় উপস্থিতি

    মোদি সরকারের ঘোষিত প্রাথমিক নীতি হল, প্রতিটি নারী যেন মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে। একটা সময় ছিল, যখন ভারতের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে শৌচকর্ম সারতে মহিলাদের মাঠে যেতে হত। কিন্তু স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে প্রতি বাড়িতেই এখন টয়লেট স্থাপন করতে পেরেছে মোদি সরকার। এই সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। ভারতবর্ষের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুয়ো থেকে পানীয় জল আনতে মহিলাদের অনেক দূরে যেতে হত। এখন সেটাও মোদি সরকারের সৌজন্যে বন্ধ হয়েছে এবং তার বদলে বাড়ি বাড়ি জলের পাইপ লাইন পৌঁছেছে। জল জীবন মিশনের আওতায় এই প্রকল্প গড়ে উঠেছে। প্রায় ১২ কোটি বাড়িতে জলের পাইপলাইন পৌঁছেছে। পরিসংখ্যান বলছে, মুদ্রা যোজনায় ৬৮ শতাংশ লোনই মহিলারা পেয়েছেন, যা সংখ্যায় কয়েক কোটি। এখন ঘরের জন্যও মহিলাদের চিন্তা করতে হয় না। কারণ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সেই সমস্যা দূর করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত ন-বছর ধরে মোদি জমানায় নারী শক্তির বিকাশ উল্লেখযোগ্য হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের সাফল্যের হারও চোখে পড়ার মতো। মহিলা পুলিশের সংখ্যাও বেড়েছে মোদি জমানায় (PM Modi)। একই কথা সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেও। মহিলা ক্রীড়াবিদের সংখ্যাও বাড়ছে। টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে মহিলাদের সক্রিয় উপস্থিতি বেড়েছে।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গত ন’ বছরে নারী উন্নয়নে মোদি সরকার (PM Modi) কী কী কাজ করেছে

    ১) প্রথমবারের জন্য ভারতবর্ষে বেড়েছে মহিলা লিঙ্গ অনুপাত। প্রতি ১০০০ পুরুষে মহিলা এখন ১০২০।

    ২) কর্মরত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বেড়ে ২৬ সপ্তাহ হয়েছে।

    ৩) ৩.০৩ কোটি মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে।

    ৪) জন ঔষধি কেন্দ্রে ২৭ কোটিরও বেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ১ টাকা মূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

    ৫) সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ৩.১৮ কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

    ৬) ৯.৬ কোটি ধোঁয়ামুক্ত কিচেন তৈরি করা গেছে।

    ৭) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৬৮.৯ শতাংশ ঘরই মহিলারা পেয়েছেন, যা সংখ্যায় আড়াই কোটি।

    ৮) ২৭ কোটিরও বেশি মুদ্রা লোনের সুবিধা পাচ্ছেন মহিলারা।

    ৯) সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের জন্য স্থায়ী কমিশন চালু করা হয়েছে।

    ১০) প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে মহিলাদের বিবাহের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার জন্য, যাতে তাঁরা শিক্ষা এবং কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ পান।

    ১১) তিন তালাক প্রথার বিরুদ্ধে আইন আনা হয়েছে, মুসলিম মহিলাদের দেওয়া হয়েছে অধিকার।

    ১২) পিছিয়ে পড়া মহিলাদের অর্থনৈতিক সুবিধা দানের জন্য ৪৫ ছাত্রীকে স্কলারশিপের সুবিধা দিয়েছে মোদি সরকার।

    ১৩) ছাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে ৯.৫২ লক্ষ টয়লেট স্কুলগুলিতে স্থাপন করা গেছে।

     

    আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

    চলবে….

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    Lakshman Seth: ৭৭ বছর বয়সে বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ, পাত্রী ৪১ বছরের মানসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর প্রেম কাহিনী এক সময় রাজ্যজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বয়স যে সংখ্যা মাত্র, শোভন-বৈশাখী জুটি তা প্রমাণ করে দিয়েছিল। তাঁদের প্রেম কাহিনী নিয়ে নেট দুনিয়া তোলপাড় হয়েছিল। হালফিল বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী ৬১ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করলেন। তাঁর বিয়ে নিয়েও নেট দুনিয়ায় ব্যাপক চর্চা হয়েছে। এবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৭৭ বছরের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর এই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিয়ে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, গোটা রাজ্যজুড়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পাত্রী কে?

    ২০১৬ সালে লক্ষ্মণ শেঠের (Lakshman Seth) প্রথম স্ত্রী তমালিকা পন্ডা শেঠের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনেও অনেক টানাপোড়েন চলে তাঁর। একাকিত্বে কাটছিল তাঁর জীবন। ৭৭ বছর বয়সে এসে একাকিত্ব দূর করতে আবার নতুন করে কাউকে পাশে পেতে চাইলেন তিনি। কোনও এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় কলকাতার মেয়ে মানসী দে নামে ৪১ বছরের এক মহিলার সঙ্গে। তিনি বহুজাতিক হোটেল সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁরও আগে বিয়ে হয়েছিল। তবে, তাঁর স্বামী আর বেঁচে নেই। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। সে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। মানসীর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরে, তাঁরা দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়েছে। এখন শুধু সাতপাকে বাঁধা পড়ার অপেক্ষা। সম্ভাব্য ২৮ জুন চার হাত এক হতে চলেছে। কলকাতায় বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, হলদিয়া একসময় প্রাক্তন সাংসদের খাসতালুক ছিল। তাই, সেখানে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

    ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার পর সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth)। নিজে প্রথমে দল গঠন করেন। পরে, তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সেখানেও দলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয় তাঁর। দীর্ঘ কয়েক বছর এভাবেই কেটে যায়। তারপর রাজনীতির দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে। এখন তিনি রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ সভাপতি। ৭৭ বছর বয়সে এসে ব্যক্তিগত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘কাকু-জেঠুর পর এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে’’! খোঁচা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: ‘‘কাকু-জেঠুর পর এবার হয়তো পিসি-ভাইপোর সময় আসছে’’! খোঁচা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মঙ্গলবার রাতে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ইডি গ্রেফতার করার পর থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। একদিকে যেমন ট্যুইটে বোমা ফাটিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, তেমনই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন দিলীপ?

    বুধবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানেই তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’-র গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কাকু হল, জেঠু হল। এবার হয়তো পিসির সময় আসছে। ভাইপোও আছে।’’ সঙ্গে সংযোজন করেন, ‘‘কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়তো মাথা আসবে।’’ বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘‘অনেক দিন ধরে খেলিয়ে এবার মাছ তুলছে সিবিআই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘কালীঘাটের কাকু’র সহযোগীদের চিনে নিন’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর, রয়েছে কাদের নাম?

    ‘‘যারা ধরা পড়ছে তারা হ্যান্ডলার’’!

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ মন্ত্রী ছিলেন। নিজের মতো একটা চ্যানেল তৈরি করেছিলেন। সেখানে কিছু লোক ছিল। পার্থর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক ছিল না।’’ দিলীপের মতে, এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা সকলে হ্যান্ডলার। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু এখন যারা ধরা পড়ছে, তারা হচ্ছে ডাইরেক্ট পার্টির লোক। এখন যারা ধরা পরেছে, তারাই আসল কিংপিন। এরা হ্যান্ডলার। এরাই লোক টেনে আনত। এরাই টাকা তুলত। টাকা বিনিয়োগ করত। টাকা পৌছে দিত। তথ্য খোঁজা হচ্ছিল। সেই তথ্য সিবিআই ইডির হাতে এসেছে। আমার মনে হয় এবার রাস্তা পুরোপুরি খুলে যাবে।’’

    গ্রেফতার ‘কালীঘাটের কাকু’

    এখানে বলে দেওয়া প্রয়োজন, মঙ্গলবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকা জানতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছে যান। তারপর থেকেই সুজয়কৃষ্ণকে জেরা চালাতে থাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর হেফাজত চাইতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka News: হিন্দু যুবক প্রহৃত কর্নাটকে! অভিযুক্ত মৌলবাদীরা, কারণ জানলে অবাক হবেন 

    Karnataka News: হিন্দু যুবক প্রহৃত কর্নাটকে! অভিযুক্ত মৌলবাদীরা, কারণ জানলে অবাক হবেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন ধর্মের বান্ধবীকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন। এই অপরাধে কর্নাটকের (Karnataka News) শিবামোগা জেলার ভদ্রাবতীতে এক হিন্দু যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, রবিবার ২৮ মে ওই হিন্দু যুবক বিনয় কুমারকে উগ্র ইসলামিক মৌলবাদীরা আক্রমণ করে। এজন্য অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিগৃহীত বিনয় কুমার ভদ্রাবতীর বিশ্বেশ্বরা নগরের বাসিন্দা। অন্যদিকে কালান্দা নগরের বাসিন্দা হলেন ওই যুবতী। তাঁরা দুজনেই একটি প্যারামেডিক্যাল কলেজে একই ক্লাসে পড়েন।

    কীভাবে ঘটে এই ঘটনা?

    জানা গেছে, এদিন বিনয় কুমারের বান্ধবীর বোন পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। বোনের দুর্ঘটনার খবর বিনয়কে জানান ওই ছাত্রী। এরপর বিনয় তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যান। যুবতীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পরেই স্থানীয় পাঁচজন যুবক বিনয়ের পিছু নেয় বলে অভিযোগ। কিছুদূর আসার পরেই বিনয়কে ঘিরে ধরা হয়। তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করা হয়। জানতে চাওয়া হয় কেন যুবতীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসেছে সে! এই প্রশ্ন তুলেই আক্রমণ শুরু করে অভিযুক্তরা। এরপর বিনয় ফোনে তাঁর দুই বন্ধু অভি এবং যশবন্তকে ডাকে। তাঁরা ঘটনাস্থলে এলে তাঁদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় এই নিয়ে বিরাট উত্তেজনা তৈরি হয় এনিয়ে।

    আরও পড়ুন: ২০ বার ছুরির কোপ, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন হিন্দু কিশোরীকে! ধৃত মুসলিম যুবক

    কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের?

    মারধরের অভিযোগে স্থানীয় ওল্ড টাউন থানায় পাঁচজনের নামে এফআইআর দায়ের করেন বিনয়। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু একজন এখনও পলাতক বলে জানা গেছে। শিবমোগা জেলার পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ (জীবনের হুমকি), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ১৪৩ (বেআইনি সমাবেশ), ১৪৭ (হিংসা), ১৪৯ (সংঘঠিত অপরাধ) এবং ৩২৩ (আক্রমণ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share