Tag: Madhyom

Madhyom

  • Gujrat ATS: গুজরাট এটিএস-এর জালে আল কায়েদার চার বাংলাদেশি সদস্য

    Gujrat ATS: গুজরাট এটিএস-এর জালে আল কায়েদার চার বাংলাদেশি সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) এর জালে আল-কায়েদার মডিউল ধরা পড়ল। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন বাংলাদেশিকে। জানা গেছে, তারা অবৈধভাবে আমেদাবাদে থাকছিল। এটিএস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই মডিউলের সদস্যদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত করা হয়। পরে তাদেরকে ভারতে পাঠানো হয়। ধৃতদের জেরা করে সন্ত্রাস দমন শাখা জানতে পেরেছে যে তাদের কাজ ছিল আল-কায়েদার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, স্থানীয় যুবকদের মধ্যে উগ্র মৌলবাদ প্রচার করা এবং তাদেরকে সন্ত্রাসের কাজে লাগানো। 

    কী বললেন সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিক (Gujrat ATS)

    গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখার (Gujrat ATS) ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দীপান ভদ্রন বলেন, ‘‘ধৃতদের আমেদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮,৩৯ এবং ৪০ ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

    ধৃতদের পরিচয়

    গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) সূত্রে খবর, আল-কায়েদার মডিউলের এই সদস্যরা হল, মহম্মদ সজীব, মুন্না খালিদ আনসারি, আজহারুল ইসলাম আনসারী এবং মমিনুল আনসারি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন অভিযানে নামে গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখা। প্রথমে গ্রেফতার হয় সজীবকে। জানা গেছে, আমেদাবাদের রাখিয়াল অঞ্চলে থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাত সে। এরপর সজীবকে জেরা করে আরও তিন সদস্যের সন্ধান পায় এটিএস। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে বসে শরিফুল ইসলাম এই আল কায়েদা মডিউল কন্ট্রোল করতে বলে জানা গেছে। জানা গেছে সজীবকে জেরা করেই এটিএস হানা দেয় এবং গ্রেপ্তার করে আজহারুল এবং মমিনুলকে। আমেদাবাদের নাড়োল অঞ্চলে স্থানীয় একটি কারখানাতে তারা কাজ করত বলে জানা গেছে। 

    কী কী বাজেয়াপ্ত হল জঙ্গিদের কাছ থেকে?

    এদিন সন্ত্রাস দমন শাখা তাদের কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড সমেত বেশ কিছু লিফলেট পেয়েছে। এই লিফলেটগুলোর সাহায্যে উগ্র মৌলবাদের প্রচার করা হত বলে জানা গেছে।  এখন সন্ত্রাসদমন শাখা জানার চেষ্টা করছে যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পার হতে তাদেরকে কারা সাহায্য করেছে এবং কোন রাজ্য হয়ে তারা ঢুকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরে (Manipur)। রাজধানী ইম্ফলের চেকন অঞ্চলে সোমবার ফের সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর। অশান্তি রুখতে তলব করা হয়েছে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীকে। ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। অশান্তি এড়াতে আবারও পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    মণিপুরে (Manipur) হিংসার কারণ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে চেকন বাজারে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্যের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এর পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এলাকার কয়েকটি দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। 

    হিংসায় ক্ষতির খতিয়ান

    দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জনজাতির মর্যাদা চেয়ে আসছেন মেইতেইরা (Manipur)। সম্প্রতি মণিপুর হাইকোর্ট তাঁদের জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। এর বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের অন্য জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তার জেরে ৩ মে প্রথম অশান্তির আগুন জ্বলে মণিপুরে। সেনা নামিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করে নেভানো হয় সেই অশান্তির আগুন। যদিও ততক্ষণে সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন শ’তিনেক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭০০র বেশি বাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছিলেন ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    প্রথম দফায় যখন অশান্তি ছড়িয়েছিল, তখন চেকন (Manipur) এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়ি। এদিনও সেখানে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। তিনি জানান, রাজধানীতে যাতে বাইরে আটকে থাকা গাড়ি ঢুকতে পারে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধের আকাল দেখা না দেয়, সেজন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা ও অসম রাইফেলস বিভিন্ন এলাকায় টহলও দিচ্ছে। চেকান (Manipur) এলাকায় দোকান বন্ধ করে দেয় সেনা ও নিরাপত্তারক্ষীরা। এলাকায় ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • 2000 Bank Notes: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে?

    2000 Bank Notes: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটে সেদেশের মুদ্রা, অর্থাৎ মার্কিন ডলার নিয়ে একটি পৃথক পেজ রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে সাতটি ভিন্ন মূল্যের নোট পাওয়া যায়, সর্বোচ্চ ১০০ ডলার। আরও বলা হয়েছে, ১০ হাজার মার্কিন ডলারের নোট বর্তমানে লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈধ থাকলেও, দীর্ঘদিন আগে তা ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও, বর্তমানে কেউ তা ব্যবহার করেন না।

    নোটবন্দির সঙ্গে তুলনা একেবারেই ভুল

    গত ১৯ মে, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) প্রত্যাহার করার ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জনসাধারণের উদ্দেশে জানিয়ে দেয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে। যদিও, স্পষ্টভাবে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এও জানিয়েছে, সময়সীমার পরেও বৈধ থাকবে ২০০০ টাকার নোট। অর্থাৎ, সেপ্টেম্বরের পরেও ২০০০ টাকার নোটে লেনদেন করা হলে, তা সমান প্রযোজ্য হবে। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণার পর থেকেই অনেকে এই নির্দেশিকার সঙ্গে ২০১৮ সালের নোটবন্দির তুলনা টেনে আনছেন। যা, একেবারেই ভুল। কারণ, নোটবন্দির সময় পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার বৈধতাও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু, ২০০০ টাকার ক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রকাশিত নির্দেশিকায় একাধিকবার উল্লেখ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এখনই ২০০০ টাকার নোটের বৈধতা খারিজ করা হচ্ছে না।

    তাহলে কেন এই ঘোষণা? এই নির্দেশিকার অর্থ কী?

    নির্দেশিকার অর্থ, জনমানসকে সচেতন করা বা অনুরোধ করা, যাতে তারা ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) দিয়ে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকেন। একইসঙ্গে জনসাধারণকে পরামর্শ, তারা যেন ব্যাঙ্কে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট জমা দিয়ে তার বদলে সম অর্থের অন্য মূল্যের নোট নিয়ে নেন। শীর্ষ ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, তারা ‘ক্লিন নোট পলিসি’ বা পরিষ্কার নোট নীতি অবলম্বন করেছেন। ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, একটি নোটের পরিচ্ছন্নতার মেয়াদ চার থেকে পাঁচ বছর। ২০১৮-১৯ সালের পর থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যার অর্থ, বাজারে চালু নোটগুলো ৪-৫ বছরের পুরনো। অর্থাৎ, নোটগুলো তাদের কার্য মেয়াদের শেষ সীমায় উপস্থিত হয়েছে। সাধারণত ‘সয়েলড নোট’ বা অপরিষ্কার বা মলিন নোট হলে, তা আরবিআই ফেরত নিয়ে নেয়। বদলে একই মূল্যের নতুন নোট বাজারে ছেড়ে দেয়। তবে, এক্ষেত্রে তফাত একটাই। ২০০০ টাকা আরবিআইয়ের কাছে গেলে, তার বদলে নতুন ২০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে না। এটাই প্রত্যাহার। 

    ব্যাঙ্ক নোট ও মুদ্রাস্ফীতি

    ব্যাঙ্ক নোট (2000 Bank Notes) ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে একটা সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নগদ চালু হলে, তার জেরে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে। মুদ্রাস্ফীতির একটা বড় কারণ হল, বেশি পরিমাণে নগদ মজুত। একটা সময় ছিল, যখন ভারতে বিপুল জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছিল। একটা সময় ছিল, যখন ভারতে বেশি মূল্যের নোটের জালনোট ছড়িয়ে দিতে পাকিস্তানের অশুভ পরিকল্পনা সফল হয়েছিল। যার জেরে ভারতে হু-হু করে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। কারণ, নোট আসল না নকল — সাধারণ মানুষের পক্ষে পরখ বা যাচাই করার ক্ষমতা সীমিত। ফলত, আরবিআইয়ের হিসেবের বাইরে বাজারে প্রচুর নোট ছড়িয়ে গিয়েছিল। তাতে, সকলের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় টাকা বেশি চলে এসেছিল। এর ফলে, জনমানসে পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা অযাচিতভাবে বৃদ্ধি পায়। টাকার মূল্য হ্রাস পায়। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি। বর্তমান সরকার শক্ত হাতে জালনোট সমস্যার মোকাবিলা করেছে ও করে চলেছে। শত্রুরা এখনও দেশে জালনোট ঢোকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, বর্তমান শাসক দলের কঠোর নীতি ও দিশার জেরে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।

    মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময়ে-সময়ে ব্যাঙ্ক রেট বৃদ্ধির পথে হাঁটতে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। এর ফলে, ব্যাঙ্ক-ঋণ আরও মহার্ঘ হয়ে পড়ে। কারণ, সুদ বেশি দিতে হয়। ফলত, মানুষের চাহিদা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও, এর আরেকটা ক্ষতির দিকও রয়েছে। সুদের হার বাড়লে, ক্ষতি হয় ব্যবসাতেও। আর ব্যবসা মন্দা গেলে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে অর্থনীতির ওপর। আর অর্থনীতির চাকা ধীর গতিতে গড়ালে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ধাক্কা খায়। এখন ব্যাঙ্ক রেটের হার বৃদ্ধি না করেও কি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সম্ভব। সেক্ষেত্রে, বাজার থেকে অতিরিক্ত নগদ প্রত্যাহার করলে তা আখেরে ফল দিতে পারে। তাঁদের মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এই প্রয়াসের লক্ষ্যে হতে পারে।

  • PM Modi: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    PM Modi: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে চিন (China)। এমতাবস্থায় চিনকে মাত দিতে প্রশান্ত মহাসাগরের অন্যতম বড় দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি (Papua New Guinea) সফর সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই সফরে তৈরি হল ইতিহাস। এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন পাপুয়া নিউ গিনিতে। ২০১৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় অবশ্য গিয়েছিলেন ওই দ্বীপরাষ্ট্রে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির মধ্যে সব চেয়ে জনবহুল পাপুয়া নিউ গিনি। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এই দ্বীপে খবরদারি করতে চায় শি জিনপিংয়ের দেশ। তা রুখতেই দ্বীপবাসীর মন জয় করতে সেখানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যোগ দেন সম্মেলনে

    পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রচুর পরিমাণে সোনা ও তামার খনি রয়েছে। সেই সোনা ও তামার লোভেই এই দ্বীপরাষ্ট্রের ওপর শ্যেন দৃষ্টি দিয়েছে বেজিং। ড্রাগনের রক্তচক্ষু সম্পর্কে থেকে দ্বীপরাষ্ট্রকে অবগত করতে এবং প্রকৃত বন্ধু যে ভারতই, তা বোঝাতেই পাপুয়া নিউ গিনি সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যদিও মূল লক্ষ্য ছিল, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলনে (FIPIC) যোগ দেওয়া। সে দেশের রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে আয়োজিত এই সম্মেলনে যোগ দেন প্রশান্ত মহাসাগরের আরও ১৪টি দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানরা। সম্মেলনের পর ওই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানেই আলোচনা হয় দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে। সেখানে ভারতের তরফে সাহায্য, বন্ধুত্ব ও উন্নয়নের অংশীদারিত্বের হাত বাড়িয়ে দেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    চিনের শ্যেন দৃষ্টি

    পাপুয়া নিউ গিনিতে নয়া বেল্ট অ্যান্ড রোড কো-অপারেশন প্রকল্প চালু করতে যে বেজিং আগ্রহী, তা ঢের আগেই জানিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কৃষি, মৎস্যচাষ, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নেও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। এই উন্নয়নের নামেই চিন ঋণের ফাঁদে ফেলেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে। যার জেরে দেউলিয়া হতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ওই ঋণের ফাঁদে পা দিয়েই দেউলিয়া হওয়ার পথে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। তাই পাপুয়া নিউ গিনিও যাতে চিনা ফাঁদে পা না দেয়, সেটাও রোখাও মোদির (PM Modi) এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে ধারণা ওয়াকবহাল মহলের।

    প্রশান্ত মহাসাগরে দাপিয়ে বেড়াতে হলে পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রভাব বিস্তার করতে হবে। এটা করতে পারলেই কেল্লাফতে। প্রশান্ত মহাসাগর তো বটেই, দক্ষিণ চিন সাগরের কূটনীতিতেও অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে। সেই কারণেই মারাপের দেশে ঘাঁটি গাড়তে মরিয়া চিন। আর চিনের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পাপুয়া নিউ গিনি সফর সারলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার অভিযোগে কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ। আর সেই অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় কয়েকজন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলমবাজার এলাকায়। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তার আলমবাজারের বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার চালাত। ওই কল সেন্টার থেকে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। ওই কল সেন্টারের কর্মীদের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বরানগরের আলমবাজারে আসে। কল সেন্টারে যুবকরা কাজ করছিল। পুলিশ হানা দিয়ে সকলকে ধরে ফেলে। অভিযুক্তদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের কেন ছিনতাই করা হল, কেউ তার উত্তর দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, ভুয়ো কল সেন্টারে যারা কাজ করত সকলেই এলাকারই ছেলে।

    পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল?

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ বরানগরে (Baranagar) এসে ভুয়ো কল সেন্টারের কর্মীদের গ্রেফতার করতেই কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুলিশের কাছ থেকে তারা ধৃতদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। চার অভিযুক্তকে দেখতে কাউন্সিলার থানায় যান বলে অভিযোগ। তবে, বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার কেন কাউন্সিলার চালাতে দিয়েছিল, আর পুলিশি পদক্ষেপকে কেন বাধা দেওয়া হল, তা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই কাউন্সিলারের মদতেই সেখানে ভুয়ো কল সেন্টার চলত। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় কাউন্সিলার সেটা মেনে নিতে পারেনি। তাই, কাউন্সিলার নিজের ঘনিষ্ঠদের দিয়ে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Notes: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজারের নোট না বদলালে কী হবে? বড় ঘোষণা শক্তিকান্ত দাসের

    2000 Notes: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজারের নোট না বদলালে কী হবে? বড় ঘোষণা শক্তিকান্ত দাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্তের কথা গত শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে। ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা বা বদল করা যাবে বলেও জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর এই ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরতে থাকে নানা মুনির নানা মত। অনেকেরই প্রশ্ন, ‘‘তবে কি ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেই ২০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ধরে নেওয়া হবে?’’ সোমবার জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, নোট বদলের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ২০০০ টাকার নোট অবৈধ হবে না। অন্যদিকে, রবিবার স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) জমা দিতে হলে বা বদলাতে গেলে কাউকে কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। নির্দিষ্টভাবে কোনও ফর্মও পূরণ করতে হবে না। একসঙ্গে ব্যাঙ্কে ১০ টি ২০০০ টাকার নোট অথবা ২০ হাজার টাকার নোট বদলানো যাবে অথবা জমা করা যাবে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।

    কী বললেন শক্তিকান্ত দাস?

    সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে আরবিআই গভর্নর বলেন, “এই সময় ব্যাঙ্কে ভিড় করার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনার কাছে নোট বদলের জন্য চার মাস সময় আছে।” এই সময়ই তিনি বলেন, ‘‘৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও ২০০০ টাকার নোট ‘অবৈধ’ হয়ে যাবে না।’’ তবে নোট বদলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, ‘‘জনগণ যাতে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখে, তার জন্যই এমনটা বলা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বদলের বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই নানা ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের নোটবাতিলের সঙ্গে এর তুলনা টানতে শুরু করে কেউ কেউ। ২০০০ টাকার নোট যে বাতিল বা বেআইনি কোনওটাই হয়নি এদিন আরবিআই গভর্নরের কথায় তা অনেকটাই স্পষ্ট হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০০০ টাকার নোট কি ফিরছে?

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ২ হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হলেও নতুন করে হাজার টাকার নোট চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই। প্রসঙ্গত, ৭ বছর আগে দেশে হাজার টাকার নোট চালু ছিল। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে মোদি সরকার। নতুন নোটের চাহিদা সামাল দিতে তার পরেই বাজারে আসে ২ হাজার টাকার নোট (2000 Notes)। এই আবহে দেশে আবার হাজার টাকার নোট চালু করা হবে কি না, এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও আপাতত এমন কোনও ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে ধর্ষণের (Sexual Harassment) অভিযোগে এক মহিলা ও দুই বিদেশি ফুটবলার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই ফুটবলার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘানার বাসিন্দা। কলকাতায় তারা বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টে টাকার বিনিময়ে ফুটবল খেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে অভিযুক্ত মহিলা মিজোরামের বাসিন্দা। রবিবার তিনজনকেই বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    টাকা চাইতে গিয়েই বিপদ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক তরুণী নিউটাউন থানায় এসে অভিযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে পূর্ব পরিচিত এক মহিলার কাছে টাকা চাইতে যান তিনি। ওই মহিলা জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে গেলে তিনি টাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। সেই বিশ্বাসে তাঁর সঙ্গে সাহায্যপ্রার্থী তরুণী গিয়েছিলেন দুই বিদেশি ফুটবলারের কাছে। অভিযোগ, তারা নিজেদের ফ্ল্যাটে টাকা দেওয়ার অছিলায় ধর্ষণ (Sexual Harassment) করে ওই তরুণীকে। পাঁচ দিন আগের এই ঘটনায় শনিবার রাতে তিলজলা ও নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ তিন অভিযুক্তকে। নিউটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গত ১৯ মে। তার ভিত্তিতে এই ধরপাকড় চালায় পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    ধৃতদের পরিচয়

    বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, ধৃত দুই ফুটবলারের নাম ক্রিস জোসেফ ও মোজেস জুটা। কলকাতার তিলজলায় একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকেন। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ঘানার ওই দুই ফুটবলার চুক্তির বিনিময়ে খেলে থাকেন। তবে কলকাতার কোনও নামী ক্লাবের সঙ্গে তাঁদের এখনও কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দুই ফুটবলার ২০১৯ সালে কলকাতায় এসেছিলেন। কোভিডের সময়ে তাঁরা ঘানায় ফিরে যান। ফের ২০২১ সালে তাঁরা কলকাতায় আসেন। ময়দান সূত্রের খবর, দক্ষিণ শহরতলিতে এই ধরনের বিদেশি ফুটবলারদের বসবাস রয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নামী ক্লাবের সঙ্গে জড়িত নন। ধৃত তরুণী লিজার প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, ওই তরুণী নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। অনেক বিদেশির সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। লিজার কাজকর্ম নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আর্থিক সঙ্কটকে দূরে ঠেলে নিজের প্রতিভায় মাধ্যমিকে উজ্জ্বল টোটো চালকের মেয়ে

    Malda: আর্থিক সঙ্কটকে দূরে ঠেলে নিজের প্রতিভায় মাধ্যমিকে উজ্জ্বল টোটো চালকের মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন টোটো চালকের মেয়ে এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে সবাইকে চমকে দিয়েছে। মালদা (Malda) জেলার রতুয়ার ওই টোটো চালকের মেয়ে, উত্তর মালদা সহ নিজের ব্লকেও মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। পরিবার, স্কুলের শিক্ষক এবং এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত।

    স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করা

    মালদার (Malda) রতুয়ার ১ নং ব্লকের কাহালা অঞ্চলের লক্ষ্মীপুর প্রত্যন্ত গ্রামের এই কৃতী ছাত্রীর নাম তাপসী মণ্ডল, বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল। মাধ্যমিকে তাপসীর প্রাপ্ত নম্বর হল ৬৭১। সে যে স্কুলে পড়াশুনা করত, সেই স্কুলের নাম নরোত্তমপুর কাহালা বি বি হাই স্কুল। তাপসীর এই ফলাফলেই পরিষ্কার, শহরের তুলনায় গ্রাম্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েরাও মেধা তালিকায় পিছিয়ে নেই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় শহরের থেকে দূরে গ্রামের দুঃস্থ ও মেধাবীদের জীবন সংগ্রামের প্রধান অস্ত্র পড়াশুনা। আর তাকেই হাতিয়ার করে সমাজের বুকে বিশেষ জায়গা করে নেওয়ার নানান দৃষ্টান্ত এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে লক্ষ করা যাচ্ছে। সেরকমই একটি প্রতিভার পরিচয় মিলল মালদা জেলার মধ্যেও। পরিবারের অর্থনৈতিক সঙ্কটকে কখনও প্রতিবন্ধকতা মনে না করে, কেবলমাত্র পড়াশুনাকে নিজের প্রতিভা হিসাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে তাপসী। এবার তার স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করা।

    কৃ্তী ছাত্রীর এখন কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাপসী মণ্ডল খুব ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। তাঁর পরিবার ভীষণ হতদরিদ্র এবং দুঃস্থ। এলাকার মানুষ বলেছেন, শহরের ভালো স্কুলগুলো বাছাই করে ভালো ছাত্রদের নিয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকার (Malda) স্কুলের দিকে সবার নজর একটু কম থাকে। তবুও এই স্কুলে তাপসী নিজের যোগ্যতায় ভালো ফল করেছে। এলাকার মানুষ ওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বাবা খুব পরিশ্রম করে সংসার চালান। এই অবস্থায় বাড়িতে তাপসীর পড়াশুনার জন্য খুব কষ্ট করে অর্থের ব্যবস্থা করতে হত। বাবা নিজে টোটো চালিয়ে যা রোজগার করেন, তাতে পরিবারের পেট চলে না বললেই চলে। নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমন অবস্থায় অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছেন কৃষ্ণবাবু। আর সেই মতো মেয়েও রতুয়া ১ নং ব্লক সহ গোটা উত্তর মালদায় খুব ভালো ফল করেছে। আর তাতেই খুশি গোটা এলাকা। তাপসী মণ্ডলের ইচ্ছা, আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ঠিক না থাকায় ভালো ফল করেও আগামী দিনের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত। এই কৃ্তী ছাত্রীর এখন কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে, সেটা নিয়েই চিন্তায় পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭-এ মুখোমুখি মোদি-ঋষি! কথা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সমেত একাধিক ইস্যুতে

    Narendra Modi: জি৭-এ মুখোমুখি মোদি-ঋষি! কথা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সমেত একাধিক ইস্যুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমাতে বসেছিল জি৭ সম্মেলন। চলতি মাসের ১৯ তারিখ সেখানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের। জানা গেছে, ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে সেপ্টেম্বরে ঋষিকে এদেশে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রবিবারই শেষ হয়েছে সম্মেলন, এরপরেই প্রধানমন্ত্রী রওনা হন পাপুয়া-নিউগিনির উদ্দেশে। সোমবার তাঁর অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে।

    কী কী আলোচনা হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে?

    ঋষি সুনকের সঙ্গে এদিনের বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমরা আলোচনা করেছি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, উদ্ভাবনী এবং বিজ্ঞান সমেত অন্যান্য ক্ষেত্রে আদানপ্রদান কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে। বৈঠক সফল।’’

    প্রসঙ্গত ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও যে ট্যুইট করা হয়েছে তাতে বলা হয়, ‘‘ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উচ্চশিক্ষা সমেত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করে তুলতে ভারত এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য নিয়েও।

    ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য হলে কী সুবিধা?

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চালু হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন দুই দেশেরই জিডিপি বাড়বে, তেমনি ব্যাপক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও তৈরি হবে। বাণিজ্য শুল্কমুক্ত হলে এক দেশের উৎপাদিত পণ্য অন্য দেশে কম দামেই মিলবে। অর্থনীতিবিদরা আরও মনে করছেন যে দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য শুরু হলে ভারতের দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির একটি মার্কেট পাওয়া যাবে ব্রিটেনে। এতে দেশের ছোট বড় উদ্যোগপতিরা খুবই লাভবান হবেন বলে মনে করছেন, অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদি সরকারের ৯ বর্ষ পূর্তি, বাংলায় ১০০ জনসভা করবে বিজেপি

    BJP: মোদি সরকারের ৯ বর্ষ পূর্তি, বাংলায় ১০০ জনসভা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন বিজেপির (BJP) নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২৬ মে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। সেই হিসেবে এবার প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর পূর্তি হচ্ছে তাঁর। এই উপলক্ষে দেশজুড়ে এক মাস ব্যাপী ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু করতে চলেছে বিজেপি। প্রথম সভাটি হবে ৩০ মে। ওই জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়াও আরও ৫১টি সভা করবেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দেশের পাশাপাশি বাংলায়ও প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রচারাভিযানে নামতে চলেছে পদ্ম শিবির। এই প্রচারাভাযানে মূলত তুলে ধরা হবে মোদি সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা। তুলে ধরা হবে মোদি সরকারের সাফল্যের কথাও।

    বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ

    বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, মোদি সরকারের এই ৯ বছর পূর্তিতে এ রাজ্যে কমপক্ষে ১০০টি জনসভা করবে গেরুয়া শিবির। এই সব জনসভায় নেতাদের পাশাপাশি এলাকার প্রভাবশালীদের হাজির করা হবে। আয়োজন করা হবে চা চক্র এবং নৈশভোজেরও। জনসভাগুলিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ এবং দলীয় বিধায়কদেরও উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে জনসভাগুলির ব্যাপক প্রচার করতে হবে। তুলে ধরতে হবে মোদি সরকারের সাফল্যের সাতকাহনও। কর্মসূচি শুরু হবে ৩০ মে। শেষ হবে জুনের ৩০ তারিখে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলায় মণ্ডলস্তরে ১০০টি জনসভা করতে হবে। সব লোকসভা কেন্দ্রে একত্রিত করতে হবে বুদ্ধিজীবীদের।

    জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ

    সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, শিল্পী, শিল্পপতি এবং যুদ্ধের নায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। জনসংযোগ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় (BJP) বলা হয়েছে, জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে অন্তত ২৫০টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ২৯ মে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। উপস্থিত থাকবেন দলের বর্ষীয়ান নেতারাও।

    আরও পড়ুুন: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মোদি সরকারের সাফল্যের প্রচার অভিযান চলবে। বিশেষভাবে পালন করা হবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলিদান দিবস। তিনি বলেন, লোকসভাভিত্তিক সভার কথা বলা হলেও, মণ্ডলভিত্তিক সভায় জোর দিচ্ছি আমরা। বিধানসভাওয়াড়ি সব মোর্চাকে একত্রিত করে সংযুক্ত মোর্চার সম্মেলন করা হবে। সর্বশক্তি দিয়ে এই প্রচারে নামতে হবে আমাদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share