Tag: Madhyom

Madhyom

  • Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমা শহরে শুরু হয়েছে জি৭ সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সে দেশে পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হল

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে উভয় রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় গ্লোবাল সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর বৈঠকের শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আমার কাছে শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়।’’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার ঘুরে ফিরে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তাও এদিন তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের একটি বড় ঘটনা। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, আমার কাছে এটি মানবতার বিষয়।’’ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত একটা বড় অংশের ভারতীয় ছাত্র ডাক্তারি পড়তে পছন্দের তালিকায় রাখত ইউক্রেনকে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধের যন্ত্রণা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি, আমাদের দেশের ছাত্ররা তখন তা বলেছেন।’’ জানা গেছে, যুদ্ধ থামাতে নরেন্দ্র মোদি সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ যুদ্ধ থামাতে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে।’’

    কী বললেন জেলেনস্কি?

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ জানাই ভারতকে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করার জন্য। ইউক্রেনের প্রয়োজন মোবাইল হাসপাতাল। বৈঠকে সেকথাও তুলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি হলে রাস্তায় এক হাঁটু জল জমে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তা। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। জল জমা রাস্তায় সবথেকে বেশি অসুবিধায় পড়েন নিত্যযাত্রী গ্রামের মহিলা এবং স্কুলের ছাত্রীরা। তাই নদিয়ার (Nadia) আসাননগর পঞ্চায়েত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জমা জলে মাছ ছেড়ে সেই মাছকে জাল দিয়ে ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানালো বিজেপি।

    জমা জলে আসননগরে (Nadia) সমস্যা

    বৃষ্টির জমা জলে রাস্তার সমস্যায় রয়েছেন আসাননগর (Nadia) পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টির ফলে এলাকার প্রায় একশো মিটার রাস্তায় জমে রয়েছে জল। আর এই রাস্তার জমা জল দিয়ে যাতায়াতের সমস্যা এখন নিত্যদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যেক দিন ৮ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এ বিষয়ে বারংবার পঞ্চায়েতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি। দীর্ঘদিন ধরে জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই এলাকায়। রাস্তার জমা জলে বাড়ছে মশার উপদ্রব। একে রাস্তার সমস্যা, তারপর আবার ডেঙ্গি সংক্রমণের আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

    নদীয়া (Nadia) বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ও স্থানীয় (Nadia) বাসিন্দারা। জাল দিয়ে মাছ ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ দে বলেন, এই রাস্তার পাশেই নদী বয়ে গেছে, রাস্তা থেকে একটা ড্রেন করে নদীর সঙ্গে সংযোগ করলে বৃষ্টির জল রাস্তা থেকে দ্রুত নেমে যাবে। কিন্তু আসাননগরে (Nadia) তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে আমারা ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে প্রতিবাদ জানালাম। প্রশাসন দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থা না করলে আগামীদিনে আমারা বৃহত্তর আন্দোলন করব বলে হুমকি দেন বিজেপির এই মণ্ডল সভাপতি। প্রতিবাদ অভিনব হলেও, পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশাসন কতটা তৎপর হয়, তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের আরও এক ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশের নতুন যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে। খুব শিগগিরই চালু করা হবে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) হৃদয়পুর চেকপোস্ট। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই চেকপোস্টে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়ে উঠবে।

    কী বললেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার?

    সম্প্রতি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border)  নদীয়ার হৃদয়পুর চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসেছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার আন্দালিপ ইলিয়াস। নদীয়ার চাপড়া ব্লকের হৃদয়পুর সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তিনি বলেন, “এদেশ থেকে আমাদের দেশে যাতায়াত করার রাস্তা খুব শীঘ্রই চালু হবে। এই যোগাযোগ সড়ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ইস্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে অসম্ভব ভালো যে বন্ধুত্ব রয়েছে তা আরও একবার আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। এই চেকপোস্ট চালু হয়ে গেলে নদীয়ার কৃষ্ণনগর এবং বাংলাদেশের মুজিবনগরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। ভারত -বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য  এই চেকপোস্ট বড় ভূমিকা নেবে।” এতদিন এই সব এলাকার মানুষদের অনেক ঘুরে সীমান্ত পার হতে হত। এখন বাড়ির কাছেই চেকপোস্ট গড়ে ওঠায় দুই দেশের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত আরও সুগম হবে। তিনি আরও বলেন, ” ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ সহায়তা পেয়েছে ভারত সরকারের কাছ থেকে। এটাই একটি তার স্মারক। তাই এই রাস্তাটির নাম দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা সড়ক। বাঙালির হৃদয়ে যে আবেগ রয়েছে, এই রাস্তাটি যখন তৈরি হয়ে যাবে বা চালু হয়ে যাবে তখন আমরা সেই আবেগকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব। এই রাস্তার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে। তবে, এই রাস্তা দিয়ে পন্য পরিবহণ করা সম্ভব নয়। কারণ, রাস্তার পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। আশা করি, আগামীদিনে তা হয়ে যাবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly Election: কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিবকুমারের

    Karnataka Assembly Election: কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিবকুমারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রফাসূত্র বার করে কর্নাটকের (Karnataka Assembly Election) কুর্সিতে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। শনিবার দুপুরে বেঙ্গালুরুতে উপচে পড়া কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। এদিন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাবরচন্দ গহলৌতের কাছে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। শপথগ্রহণের মঞ্চে সিদ্দা-শিবের হাত ধরিয়ে ঐক্যের ফ্রেম তৈরি করে দেন রাহুল গান্ধী। এই ছবি কত দিন এক ফ্রেমে থাকা তা অবশ্য সময় বলবে!

    কারা শপথ নিলেন

    সিদ্দা এবং শিবকুমারের পাশাপাশি, শনিবার শপথ নিয়েছেন একাধিক পূর্ণমন্ত্রী। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রভাবশালী দলিত নেতা জি পরমেশ্বর।  বাল্মিকী জনগোষ্ঠীর নেতা সতীশ ঝারখিয়োলিও মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। তাঁর দাদা, বিজেপির নেতা রমেশ বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। পাঁচ বারের বিধায়ক তথা প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা এমবি পাতিল, মনমোহন সিংয়ের জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেএইচ মুনিয়াপ্পা, দলের সংখ্যালঘু নেতা জামির আহমেদ খান এবং কেজে জর্জও মন্ত্রিপদে শপথ নিয়েছেন শনিবার।

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    শপথ অনুষ্ঠানে কারা ছিলেন

    বেঙ্গালুরুতে কর্নাটক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে (Karnataka Assembly Election) এদিন উপস্থিত ছিলেন নীতীশ কুমার, ভূপেশ বাঘেল, অশোক গেহলটের মতো কংগ্রেসি ও অবিজেপি দলের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছিলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তথা নীতীশ মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। দূত হিসাবে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে পাঠিয়েছেন মমতা। প্রখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসানও ছিলেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। তাঁকে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাতেও দেখা গিয়েছিল। কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের পাশাপাশি, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ছিলেন। তবে শারীরিক কারণে ছিলেন না সনিয়া গান্ধী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    Narendra Modi: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক পড়শিসুলভ সম্পর্কই চায় ভারত। কিন্তু উভয় দেশকেই একইভাবে সহনশীল, শান্তিপূর্ণ মনোভাব ধরে রাখতে হবে। জি-৭ বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার জাপান পৌঁছেছেন তিনি। শনিবার তিনি জি-৭ বৈঠকে অংশ নেন। জি-৭-এর মঞ্চেই নিজের কথা জানান মোদি।

    পাকিস্তানকে বার্তা মোদির

    ভারত বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চলিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের আবহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। আর এই ব্যাপারে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাটা অবশ্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সীমান্তপারের সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদের সহযোগিতা চেয়ে আগেও একাধিক বার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা যে সমান্তরাল ভাবে চলতে পারে না, সরাসরি তা-ও বলেছে ভারত।

    চিনকে বার্তা মোদির

    চিনকেও এক হাত নিয়ে মোদি বলেন, ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোদির (Narendra Modi) কথায়, “চিনের সঙ্গে সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাটা আগে দরকার। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার উপরে।” ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্ত বরাবর কোনও অংশ দখলে নেওয়ার মত আচরণও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক হলে তাতে শুধু ভারত বা চিনের নয়, গোটা বিশ্বেরই উপকার হবে, বলে জানান মোদি।

    আরও পড়ুন: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের

    গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার আমন্ত্রণে তিন দিনের জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার জাপানে পৌছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদানও করেন তিনি। তাঁর কথায়,”হিরোসিমার নাম শুনলে আজও পৃথিবী যেন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। জাপানে জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে এসে আমি মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করার সুযোগ পেয়েছি। হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি স্থাপন অহিংসার বার্তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রীর হিরোসিমাতে আসার পর থেকেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

    জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাত মোদির

    ২০০৩ থেকে জি-৭ বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে ভারত। সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকের শেষ দু’দিন নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেতে পারে ভারত। বৈঠকের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi)। শনিবারই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথমবার মোদির সঙ্গে হিরোশিমাতেই সামনা-সামনি দেখা হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি জেলেনস্কির। এর আগে একাধিক বার ফোনে কথা হয়েছে দু’জনের। 

    যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেন বা রাশিয়ার পক্ষ বেছে নিলেও, ভারত বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। একই সঙ্গে মাসখানেক আগে অতিরিক্ত ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম চেয়ে মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছিলেন জেলেনস্কি। সদর্থক সাড়া দিয়েছিল ভারত। এই আবহে জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির মুখোমুখি বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi At G7: এগিয়ে এসে আলিঙ্গন করলেন জো বাইডেন! জি৭ সম্মেলনে ‘মোদি মোদি’ রব

    Modi At G7: এগিয়ে এসে আলিঙ্গন করলেন জো বাইডেন! জি৭ সম্মেলনে ‘মোদি মোদি’ রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইতিমধ্যে জাপান পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারেই সূর্যোদয়ের দেশে পা রাখেন তিনি। জাপান সফরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কিশোদা। সাক্ষাৎ হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও। জি-৭ বৈঠকে মোদিকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে আগামী জুনেই আবার দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। আগামী ২১ জুন থেকে ২৪ জুন মার্কিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন তাঁকে নৈশভোজের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন বাইডেন। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বিদেশের মাটিতেও যে অক্ষত আছে তা বিমানবন্দরে তিনি পা রাখতেই বোঝা যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাপানের হিরোশিমায় তিনি নামতেই চারিদিক জুড়ে শুরু হয় ‘মোদি মোদি’ রব। তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান জাপান সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। বিমানবন্দর থেকে তিনি সোজা পৌঁছে যান শেরাটন হোটেলে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে কথা হয় বলে জানা গেছে। তাঁর জাপান সফর দিয়ে শুরু হল ‘থ্রি নেশন ট্রিপ’। প্রধানমন্ত্রীর (Modi At G7) যাওয়ার কথা রয়েছে পাপুয়া-নিউগিনি দ্বীপে এবং অস্ট্রেলিয়াতেও।

    হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন

    শনিবার সকালে হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করে তাতে মাল্যদান করেন প্রধানমন্ত্রী (Modi At G7)।

    এদিন তিনি বলেন, ‘‘হিরোশিমার নাম শুনলে পৃথিবী আজও যেন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে, এই শহরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন বিশেষ বার্তাবহ। আজও বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি জোগায় মহাত্মার শান্তি, অহিংসা ও সৌভ্রাতৃত্বের বাণী।’’ 

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর

    জি৭ সম্মেলনে শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কির সঙ্গে হিরোশিমায় বৈঠকে বসবেন মোদি (Modi At G7)। শনিবার রাতে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। প্রসঙ্গত, জি৭ সম্মেলনে খাদ্য, সার, শক্তি, নিরাপত্তা সমেত একাধিক ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের জেলা সফরের পরই জামুড়িয়াতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের জেলা সফরের পরই জামুড়িয়াতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এর জেলা সফরের শেষেই পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত অধিকারীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যাবার পরে কেন মারধর ?

    গত শুক্রবার সন্ধ্যায়, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত অধিকারী নিজের অফিসে যখন ছিলেন, সে সময় দলেরই অন্য কর্মীরা এসে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ব্লকের কমিটিতে সেইসব কর্মীদের নাম না থাকায় মারধরের অভিযোগ। অপরদিকে মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং। দলের মধ্যে এই মারধরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

    ব্লক সভাপতির  অভিযোগ

    ব্লক সভাপতি বলেন, সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আমার কয়েকজন কর্মী আমাকে ফোন করে আসার জন্য। আর তাই আমি আমার কাজ শেষ করে দ্রুত পার্টি অফিসে চলে আসি। সেই সময় অফিসে প্রায় ১০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিল। আমি চেয়ারে বসতেই কিছু কথাবার্তা না বলে আচমকা তৃণমূলের কিছু কর্মী এবং সমাজ বিরোধী আমাকে প্রথমেই মারার হুমকি দেয়। এরপর আমার ড্রাইভারকে মারধর করে। আমাকেও ঘুষি দিয়ে আঘাত করে। এই সমাজ বিরোধীদের নামে পুলিশের কাছে আগেও কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ব্লক সভাপতি। তিনি আরও বলেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে আমার কিছু কর্মীদেরও মারধর করে আহত করে। মারধরের কারণ জানতে চাইলে ব্লক সভাপতি বলেন, ব্লকের নতুন কমিটিতে নাকি কিছু বিজেপি কর্মী ঢুকেছে! উনি আরও বলেন আমার জানা মতে আমি কোন বিজেপি কর্মীকে দলের ব্লক কমেটিতে চিনি না। এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের দিলদার এবং চঞ্চলের নাম তুলে ধরেন। তৃণমূলের দলকে বদনাম এবং আমাকে অপদস্থ করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ব্লক সভাপতি। পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বিশেষ অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    জামুড়িয়ার বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, পার্টি অফিসে এই গোলমালের ঘটনা একদম ঠিক হয়নি। এখানে কোন বিজেপি নেই, যারা আছেন সবাই তৃণমূলেরই লোক। সংগঠনের জন্য এই আচরণ ঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, আমি দলকে জানাবো, দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কতটা রাজনৈতিক সংঘর্ষ নেয়, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিজাম প্যালেসে অভিষেক! চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, কী কী প্রশ্ন করতে পারে সিবিআই?

    Abhishek Banerjee: নিজাম প্যালেসে অভিষেক! চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, কী কী প্রশ্ন করতে পারে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। গতকাল, এই মামলায় অভিষেককে সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরই, বাঁকুড়ায় জনজোয়ার যাত্রা মাঝ পথে ছেড়ে রাতে কলকাতায় ফেরেন তিনি। এদিন সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। সময়ের কিছু আগে তিনি পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে।

    পাঁচ পাতার প্রশ্নমালা!

    সিবিআই সূত্রের খবর, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ জন আধিকারিককে নির্বাচিত করেছে সিবিআই। তাঁরাই অভিষেককে দফায় দফায় জেরা করে চলেছেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) জন্য পাঁচ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মূলত, এই মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডলের থেকে পাওয়া বয়ানের ভিত্তিতেই প্রশ্ন করা হবে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    চিঠিতে সমনের জবাব

    এদিকে, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার আগে সিবিআইয়ের নোটিশের জবাব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। চিঠিতে অভিষেক লেখেন, ‘‘১৯ তারিখ দুপুরে চিঠি পাঠানো হয়েছে, ২০ তারিখ সকাল ১১টায় হাজিরা দিতে বলে। একদিনও সময় দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর আরও দাবি, নোটিশ পেয়ে তিনি স্তম্ভিত। বলেছেন, ‘‘আপনারা (সিবিআই) আগেই জানতেন, আমি রাজ্যজুড়ে ২ মাসের জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছি। এই নোটিস পেয়ে আমি স্তম্ভিত। তবু তদন্তে সহযোগিতার স্বার্থে আমি হাজিরা দেব।’’

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের

    পাশাপাশি, তিনি যে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন, তাও সিবিআইকে জানিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ জানিয়েছেন, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়ে এই মামলাটি আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠবে৷ যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই কারণেই স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছেন অভিষেক৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “সহ্যের একটা সীমা আছে”! কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর?

    TMC: “সহ্যের একটা সীমা আছে”! কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় সভায় মাইক হাতে বক্তব্য রাখছেন মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভরতপুর-১ ব্লকেই সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিধায়কের বক্তব্যে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল বা দলের নেতার নাম নেই। দলেরই ভরতপুর-১ ব্লকের সভাপতি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনি কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন। সভায় যতক্ষণ তিনি বক্তব্য রাখেন তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুই ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল।

    কী বললেন ভরতপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    তৃণমূলের (TMC) ভরতপুর-১ ব্লকের সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের বহুদিন ধরেই দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। ব্লক সভাপতি নজরুলসাহেব দলের বিধায়ককে পাত্তাই দেন না। এমনকী মিটিং, মিছিলে পর্যন্ত বিধায়ককে ডাকা হয় না বলে অভিযোগ। এনিয়ে দলের ব্লক সভাপতির ওপর বিধায়ক চরম রুষ্ট। শুক্রবার ভরতপুরে বিধায়কের উদ্যোগে সভা করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই ব্লক সভাপতির প্রসঙ্গই বারে বারে উঠে আসে। ব্লক সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিধায়ক বলেন, “তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ স্বচ্ছ প্রার্থীর নাম নিয়ে আসবো। তাঁদের সকলকে পঞ্চায়েতে দাঁড় করিয়ে জিতিয়ে আনব। আমার প্রার্থীদের জন্য ওদের (পড়ুন ব্লক সভাপতি) প্রচারে আসতে হবে না। আমরাও ওদের প্রচারে যাব না। কে কত প্রার্থী জিতিয়ে আনতে পারে তা দেখব। তিনি আরও বলেন, শনিবার ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে এলাকায় মিছিল করা হবে বলে জানতে পেরেছি। আমরাও ব্লক সভাপতির মিছিলের পর পাল্টা মিছিল করব। মিছিলে কার কত কর্মী-সমর্থক রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে”। এরপর তিনি ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বলেন, “সহ্যের একটা সীমা আছে, সেই সীমা লঙ্ঘন করলে হুমায়ুন  কাউকে ছেড়ে কথা বলে না”।

    আরও পড়ুন: এক মিনিটের ছোট ভাইয়ের থেকে মাধ্যমিকে ২ নম্বর বেশি পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অরুনাভ

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  ব্লক সভাপতি?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কের মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা বাতিল করা হয়েছে। বিধায়কের প্রসঙ্গে ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি  নজরুল ইসলাম বলেন, “বিধায়ক নিজের মতো করে চলছেন। ৫০ শতাংশ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ভোটে জেতানোর কথা সবটাই বিধায়কের। আমাদের নয়। শুক্রবার আমাদের বাদ দিয়ে তিনি মিটিং করেছেন। আমরা এসব করিনি। আমরা সবসময় জোটবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। সেটা তিনি করেন না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justic Abhijit Ganguly) ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ থাকবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    কেন এই নিয়োগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু, পরবর্তীকালে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে এই তথ্য উঠে আসে। জানা যায় যে, ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, ৩,৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। 

    কী রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    যার প্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পরে ১১ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ২০১৭ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    ২০১৭-য় টেট উত্তীর্ণদের প্রশ্ন, কেবল ২০১৪-র উত্তীর্ণরা কেন সুযোগ পাবেন? এক মামলায় শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, যে কোনও নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। অন্যদিকে, পর্ষদের দাবি, কেবল ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা অনেক জটিল। দু-পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩,৯২৯ পদে নিয়োগের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share