Tag: Madhyom

Madhyom

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার বিকেলে পটাশপুরের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, বাংলায় পরিবর্তন হবে তো? কর্মী-সমর্থকরা সকলেই তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। এরপরই বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, পঞ্চায়েত থেকেই পরিবর্তন শুরু করতে হবে। জোরদার লড়াই করতে হবে। আমরা এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদধন্য রাষ্ট্রবাদী সরকার গঠন করব।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কর্ণাটক নির্বাচনের ফল দেখে স্লোগান ধার করে মমতা বলছেন, নো ভোট টু বিজেপি। আমরা আগেই বলেছি, আবারও বলছি নো ভোট টু মমতা। তৃণমূল মানেই চোর। এরপর তিনি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে স্লোগান দিয়ে বলেন, চোর ধরো জেলে ভরো।

    রাজ্য পুলিশকে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই এদিন পটাশপুরের সভা হয়। সেই সভা থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এদিন পটাশপুরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা পুলিশ তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। আমি অনেক মাতব্বরকে সাইজ করেছি। এখানকার চুনোপুঁটিদের কী ওষুধ দিতে হবে তা আমার জানা আছে। পটাশপুরের একটা ওসি আছে কি নাম তার যেন রাজু কুণ্ডু না হুন্ডু, এর তো বাচ্চা বয়স এখনও কাটেনি। একেও আমি টাইট করে দিয়েছি। এর পুলিশ বাবা অমরনাথও ওঁকে বাচাঁতে পারবে না। আবারও আমি পটাশপুরের সিংদাতে সভা করবো। আপনারা ভয় পাবেন না। আমি রাস্তায় আছি। মিথ্যে মামলা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না। আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। আপনারা প্রস্তুত থাকুন পঞ্চায়েতও আমরা জিতব। পূর্ব ঘোষণা মতো পটাশপুরে বিশাল পদযাত্রা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেই পদযাত্রায় প্রায় হাজার দশেক বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা পা মেলান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ICSE and ISC Result: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায় 

    ICSE and ISC Result: আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হল। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে প্রায় আড়াই লাখ পরীক্ষার্থী কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন (সিআইএসসিই)-এর বোর্ডের (ICSE and ISC Result 2023) পরীক্ষা দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার নাম আইসিএসই এবং উচ্চ মাধ্যমিকের নাম আইএসসি। আইসিএসইতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৯ জনের মধ্যে রয়েছে বাংলার সম্বিত মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে, আইএসসিতে দেশে প্রথম স্থানাধিকারী ৫ জনের মধ্যে বাংলার ২ জন। আইএসসি-তে প্রথম স্থানে কলকাতার মান্যা গুপ্তা৷ কলকাতার হেরিটেজ স্কুলের ছাত্রী মান্যার প্রাপ্ত নম্বর ৩৯৯, অর্থাৎ ৯৯.৭৫%৷ মান্যার সঙ্গেই একই নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানে বাংলার আরও এক কৃতী ছাত্র শুভম আগরওয়াল৷ জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগরে সেন্ট জোসেফ স্কুলের ছাত্র শুভম৷ প্রসঙ্গত, শনিবারই কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন (সিআইএসসিই)-এর বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে রবিবার ফল প্রকাশ হবে।

    গোটা দেশের মধ্যে আইসিএসই-তে প্রথম বর্ধমানের সম্বিত

    আইসিএসই-তে শীর্ষস্থান দখল পূর্ব বর্ধমানের ছাত্র সম্বিত মুখোপাধ্যায়ের। তার বাড়ি বর্ধমান শহরের পার্কাস রোডে। বর্ধমান সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের প্রধানশিক্ষক (ফাদার) মারিয়া যোশেফ সাবিয়াপ্পন জানান, সম্বিত খুব মনোযোগী ছাত্র। পড়াশুনা ছাড়াও সে অন্যান্য  নানা কাজেও দক্ষ। ভাল অ্যাঙ্কারিং-ও করে। বোর্ডের পরীক্ষায় সে ৯৯.৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। সম্বিতের বাবা মনোজ মুখোপাধ্যায় মাধ্যমকে ফোনে বলেন, ‘‘বড় হয়ে সম্বিত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। দেশের জন্য কিছু করাই তার লক্ষ্য।’’

    পাশের হার

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরে আইএসসি পরীক্ষায় বসেছিল ৫১,৭৮১ জন ছাত্র এবং ৪৬,৭২৪ জন ছাত্রী। যেখানে মেয়েদের পাশের হার ৯৮.০১% এবং ছেলেদের ৯৫.৯৬%। অন্যদিকে, আইসিএসই পরীক্ষায় এবছর বসেছিল ১,২৮,১৩১ জন ছাত্র এবং ১,০৯,৫০০ জন ছাত্রী। ছাত্রীদের পাশের হার ৯৯.২১% এবং ছাত্রদের পাশের হার ৯৮.৭১%।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারে এবার ছাপ্পা ভোট! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নবজোয়ারে এবার ছাপ্পা ভোট! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের কোনও নির্বাচন নয়। পঞ্চায়েত ভোটে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নবজোয়ার কর্মসূচিতে চলছে ভোটগ্রহণ। স্বাভাবিকভাবে সেখানে বিরোধী দলের কারও থাকার কথা নয়। সকলেই তৃণমূল কর্মী। আর সেখানেও ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। এর আগে জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূমে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করার জন্য দলের পক্ষ থেকে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের জামালপুর ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিনের ছাপ্পা ভোট হওয়ার দৃশ্য দেখে দলেরই কর্মীরা বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন কেমন হবে তার মহড়া হয়ে গেল।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচির জেলায় দ্বিতীয় দিন শনিবার সন্ধ্যায় জেলার আটটি ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্লকের আবুজহাটি ১ ও ২, চকদিঘি, জামালপুর ১ ও ২ পঞ্চায়েতে ভোটাধিকার নিয়েই মূলত অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, যারা প্রকৃত ভোটার, যাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত আছে তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ লোকজন বেআইনিভাবে প্রকৃত ভোটারদের জায়গায় ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। মন্তেশ্বর ব্লকেও বহু কর্মী ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।

    ছাপ্পা ভোট দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    তৃণমূল কংগ্রেসের জামালপুর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি শ্রীমন্ত পাল বলেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো বুথের ছেলেরা তো প্রার্থী ঠিক করবে। কিন্তু, ভোট শুরু হওয়ার পর দেখা গেল, অন্য এলাকার ছেলেরা এসে ভোট দিচ্ছে। আর যারা প্রকৃত ভোটার তারা ভোট দিতে পারছে না। প্রকাশ্যেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীরা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। আমরা অভিযোগ করার পরও কোনও কাজ হল না। এভাবে ভোটগ্রহণ করার কোনও মানে হয় না। একই অভিযোগ করেন জেলা পরিষদের সদস্যা মেহেরা কীর্তনীয়া। তাঁর অভিযোগ, ব্লক সভাপতির অনুগামীরা ভোট দিতে বাধা সৃষ্টি করছে। জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ পালের বক্তব্য, বিভিন্ন বুথে বালি খাদানের মালিকদের বুথ সভাপতি সাজিয়ে ভোট প্রক্রিয়া চলছে। ব্লক সভাপতির অনুগামীরা এসব করছে।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি?

    তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, দলের নির্দেশ মত এবং দলের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভোট প্রক্রিয়া চলছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কোথাও ছাপ্পা ভোট হয়নি। কে কী অভিযোগ করল তা আমার জানা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত আরামবাগ, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কেন জানেন?

    TMC: হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত আরামবাগ, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো আরামবাগের আরান্ডি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরো এলাকা। ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা মিছিলের বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। ঘটনায় দুপক্ষের আট-নয়জন জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে প্রথমে দক্ষিণ নারায়ণপুর রুরাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, রাতের দিকে আরামবাগ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকালের পর থেকে আরামবাগের আড়ান্ডি ২ নং অঞ্চলের পুরো এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের (TMC) যুব ও মাদার গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা। শনিবারও এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় এদিন নতুন করে বড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি। তবে, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তত মাথা চাড়া দিচ্ছে আরামবাগে। এমনিতেই আরামবাগ মহকুমার চারটি বিধানসভা বিজেপির দখলে। সেই জায়গায় এরকম কোন্দলের ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    শুক্রবার আরামবাগে যুব তৃণমূলের (TMC) মিছিল ছিল। আড়ান্ডি এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য দুটি বাস পাঠানো হয়েছিল। একটি বাসে ঠাসা ভিড় হলেও অন্য বাস ফাঁকা ছিল। ব্লক তৃণমূল নেতাদের নির্দেশেই কর্মীরা আসেনি বলে যুব তৃণমূল (TMC) নেতারা আশঙ্কা করেন। আর সেই আশঙ্কা থেকেই যুব তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ব্লক তৃণমূলের নেতারা পাল্টা প্রতিরোধও গড়ে তোলেন। যুব তৃণমূল কর্মীদের বাসও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

    গণ্ডগোল নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূলের (TMC) আরামবাগ ব্লকের সভাপতি শিশির সরকার বলেন, এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে মিটিং চলাকালীন যুব গোষ্ঠীর আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি পলাশ রায়ের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। বাঁশ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে চড়াও হয়। বাসে লোকজন হয়নি বলে আমাদের দায়ী করে ওরা হামলা চালায়। তাতে আমাদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। যদিও যুব তৃণমূল নেতা পলাশ রায় বলেন, যুব তৃণমূলের (TMC) কোনও কর্মী হামলা চালায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalna: শুরু হয়েছে ভবা পাগলার মেলা, এবছর প্রশাসন ভীষণ তৎপর

    Kalna: শুরু হয়েছে ভবা পাগলার মেলা, এবছর প্রশাসন ভীষণ তৎপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে ভবা পাগলা মেলা। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় (Kalna) গঙ্গার ঘাট লাগোয়া ভবা পাগলার মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী মেলা শুরু হয়েছে। মেলাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়। নদীয়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা ভবা পাগলার মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে থাকেন। কালনায় যেতে নদীয়া জেলার ভবা পাগলা ভক্তদের একমাত্র যাতায়াতের ভরসা গঙ্গার ফেরিঘাট। জলপথে ভক্তদের যাতে কোন বিপদ না হয়, তার জন্য এই বছর প্রশাসন বিশেষভাবে তৎপর।  

    মেলায় প্রশাসন তৎপর কেন?

    ২০১৮ সালে ভবা পাগলা মেলার (Kalna) প্রথম দিনে ভয়াবহ নৌকা ডুবির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৫০ জন। মর্মান্তিক নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল প্রশাসনের গাফিলতির কারণে। ভক্তরা নৌকা ডুবির ঘটনায় গঙ্গায় তলিয়ে যান। প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্ধার কাজ চালিয়ে প্রায় ৪০ জনের দেহ উদ্ধার হয়। তবে স্থানীয়দের অনুমান সেদিনের নৌকা দুর্ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার পরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মানুষ। সেই সময় হাজার হাজার ভক্তরা ট্রলারে করে গঙ্গা পার হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোন বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনা ঘটার পর যে সমস্ত জরুরি পরিষেবা থাকে সেগুলোও কিছুই ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক হয়েছে জেলা প্রশাসন। যাতে ভবা পাগলা মেলাকে কেন্দ্র করে কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আগাম একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

    মেলার পরিদর্শনে প্রশাসন

    এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার ডক্টর কে কান্নান বলেন, গঙ্গার দুই ফেরি ঘাটেই থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। মেলার ভক্তদের ভিড় সামলানোর জন্য একাধিক ব্যারিকেড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবছর। পাশাপাশি যাতে অ্যাড ভেসেলে অতিরিক্ত যাত্রী না উঠতে পারে, তার জন্য থাকবে পুলিশ মোতায়েন। অন্যদিকে ভাব পাগলা মেলার (Kalna) কারণে অতিরিক্ত একটি ভেসেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IPL: আইপিএলে বেটিং চক্র! পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২, উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা

    IPL: আইপিএলে বেটিং চক্র! পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২, উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলকে (IPL) ঘিরে বেটিং চালানোর দুর্গাপুরের মেনগেট অঞ্চলের নিউ স্টিল পার্ক থেকে মহম্মদ নিয়াজ খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ১১ মে ছিল আইপিএলে (IPL) কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়েলসের ম্যাচ। ম্যাচ শুরু হতেই চালু হয়ে যায় বেটিং। বেটিং অ্যাপ এর লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ হাতেনাতে ধরে নিয়াজকে। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে খবর ছিল এই বেটিং চক্রের।

    ধৃত যুবকের কাছ থেকে কী কী উদ্ধার হল?

    মূলত দুটি ভাবে আইপিএলের (IPL) এই বেটিং হয়। প্রথমত, সরাসরি ম্যাচের ওপর লগ্নি করে। ম্যাচের আগেই নিজ পছন্দের নির্দিষ্ট টিমের ওপর বাজি রেখে চলে বেটিং। বেটিং এর লগ্নিমূল্য আগেই জমা করতে হয় নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে। পুরোটাই চলে বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। জিতলে ততক্ষনাৎ টাকা চলে আসে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। আর দ্বিতীয়ত, যেটা হয়, সেটা একটু উঁচু লেভেলে। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন মহানগরগুলিতে সাট্টার মাস্টারমাইন্ডরা তা পরিচালনা করে। সেখানে নির্দিষ্ট ওভার বা নির্দিষ্ট বল-এ কি ঘটবে তার ওপর বাজি ধরা হয়। দুর্গাপুরে কোন বেটিংচক্র চলত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ধৃত নিয়াজকে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে চার দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ধৃতের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, দুটি ডায়েরি ও নগদ ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    কী বলল বেটিং চক্রে ধৃত যুবক?

    ধৃত নিয়াজকে শুক্রবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সে জানায়, ছোটকা পয়েন্ট দেখতো। কে এই ছোটকা? এক্ষেত্রে “পয়েন্ট” ই বা কী? জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই আইপিএলকে (IPL) ঘিরে দুর্গাপুরে ক্রমাগত সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেটিং চক্র। এই চক্রে দুর্গাপুরের মাস্টারমাইন্ড ছোটকা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পয়েন্ট তৈরি করে সেখানে নিজের এজেন্টকে দিয়ে এই বেটিং চক্র চালাত সে। মেনগেট , বেনাচিতি, ইস্পাত কলোনি, মায়াবাজারসহ বহু জায়গায় ছিল এই পয়েন্ট। এই সব পয়েন্টে থাকত তার নিজস্ব লোকেরা। বিগত কয়েক বছরের মধ্যেই সে এই বেটিং চক্রের মাথা হয়ে ওঠে। আইপিএল (IPL) চলাকালীন প্রতিদিনই সক্রিয় হয়ে ওঠে বেটিং চক্র। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খেলা হয়। ধৃতের কাছ থেকে “ছোটকা” সহ একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে, যাদের মাধ্যমে দুর্গাপুরে এই বেটিং চক্রের জাল বিছানো হয়েছিল।

    বেটিং চক্রে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

    আইপিএলে (IPL) বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে শিলিগুড়িতে ফের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোনার অলঙ্কারের দোকানের আড়ালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বেটিং চক্র চালাচ্ছিল ধৃত ব্যক্তি। বিশেষ সূত্রে খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে মাটিগাড়ার সিটি সেন্টার শপিংমলে ওই সোনার দোকানে বেটিং করার সময় সাদা পোশাকে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) ও মাটিগাড়া থানার পুলিশ হাজির হয়। তারপরে হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই দোকানের মালিককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুন্দরলাল দুগার। ধৃত ব্যক্তি বেশ কয়েকদিন ধরেই অনলাইনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএলের (IPL) বেটিং চক্র চালাচ্ছিল। তার কাছ থেকে ৯৮ নগদ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। শনিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি এই চক্রের এজেন্ট। এর পিছনে অনেক বড় মাথা রয়েছে। তাদের সন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার শহরের হায়দরপাড়া থেকেও এক ব্যক্তিকে আইপিএলে (IPL) বেটিং চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুদিখানার দোকানের আড়ালে সে বেটিং চালাতো। তার কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৯০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন পেয়েছিল পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilli: মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগে সরানো হল আরটিও সন্দীপ সাহাকে

    Hilli: মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগে সরানো হল আরটিও সন্দীপ সাহাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিলিতে মালবোঝাই লরি থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগে সরানো হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আরটিও সন্দীপ সাহাকে। শুক্রবার সরকারি একটি নির্দেশিকা জারি করে ওই পদে আনা হয়েছে সৌমিত্র বিশ্বাসকে।

    কি হয়েছিল ?

    দক্ষিণ দিনাজপুরের আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের আধিকারিক ছিলেন সন্দীপ সাহা। জেলার আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের ঐ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মালবোঝাই লরি থেকে তিন হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ উঠেছিল। এই বিষয়টি জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। আর এরপর এদিন তাঁর বদলির অর্ডার সামনে আসতেই বেশ শোরগোল পরে যায় জেলা ব্যাপী।

    ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ

    হিলির আন্তর্জাতিক বহিঃবাণিজ্য কেন্দ্র দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দু’শোরও বেশি মাল বোঝাই লরি বাংলাদেশে যায়। এই লরিগুলি থেকেই তোলাবাজি চালাবার অভিযোগ প্রায় শোনা যায়। ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, আমদানি রপ্তানি ব্যবসায় স্লট বুকিং সিস্টেম চালু হবার পর থেকেই কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন লরি মালিকরা। বিগত ছয় মাস ধরে তাঁদের ব্যবসা ভালো না থাকায় চরম দূরাবস্থার মধ্যে পড়েন তাঁরা। অনেকেই ইতিমধ্যে লরি বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এই তোলাবাজি লরি চালকদের উপর যেন মরার খাঁড়ার ঘা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আরটিও। অ্যাসোসিয়েশনের আরও অভিযোগ, মালবোঝাই প্রত্যেকটি লরির ক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা এবং পাথর বোঝাই লরির ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা করে তুলছিল আরটিও। যার দৌরাত্ম্যে লরির মালিকদের কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করতেন এই সরকারি আধিকারিক-এমনটাই অভিযোগ। আরটিও সন্দীপ সাহা বলেন, এমন তোলাবাজি বন্ধ না হলে আগামীতে লরির মালিকরা তাদের সমস্ত গাড়ির কাগজপত্র সরকারের কাছে তুলে দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    প্রশ্ন উঠেছিল সরকারি চেয়ারে বসে একজন আধিকারিক কি ভাবে এমন তোলাবাজি করছিলেন। যদিও ওই লিখিত অভিযোগ পাবার পরেই লরি মালিকদের কিছুটা আশ্বস্ত করেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। আর এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি একটি নির্দেশিকায় বদলে দেওয়া হয় ওই আরটিওকে। সন্দীপ সাহার পরিবর্তে দক্ষিণ দিনাজপুরের আরটিওর দায়িত্বে আনা হয়েছে সৌমিত্র বিশ্বাসকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Car: সোদপুরে মেলার মাঠে দাবিদারহীন চারচাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, কী ছিল গাড়ির ভিতরে?

    Car: সোদপুরে মেলার মাঠে দাবিদারহীন চারচাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, কী ছিল গাড়ির ভিতরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে মেলা। আর সেই মেলার মাঠে রাখা রয়েছে দুধ সাদা এক্সইউভি-৫০০ গাড়ি (Car)। আর এই গাড়ি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সোদপুর অমরাবতী এলাকায়। এই অমরাবতীর মাঠে শুরু হয়েছে “পানিহাটি এক্সপো মেলা”। সেই মেলার মঞ্চের পিছনে ভিআইপি গেটের কাছে গত কয়েকদিন ধরে রহস্যজনকভাবে পড়ে থাকা একটি এক্সইউভি গাড়ি শুক্রবার রাতে বাজেয়াপ্ত করে খড়দহ থানার পুলিশ।

    গাড়ির (Car) ভিতর থেকে কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটির (Car) রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বাঁকুড়া আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের। নথি অনুযায়ী গাড়িটি সেলিম মিদ্যা নামে এক ব্যক্তির। গাড়িটির (Car) বয়স প্রায় ১০ বছর। কিন্তু বাঁকুড়ার গাড়ি সোদপুরে এল কী করে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে গাড়িটি ওই মাঠে রাখা ছিল। ওই গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬ টি মোবাইল ফোন ও টাকা গোনার মেশিন। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু প্যান কার্ড, এটিএম কার্ড, প্রেস কার্ড, নথিপত্র সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। শনিবার পর্যন্ত গাড়ির মালিকের হদিশ মেলেনি।

    কী বললেন মেলা কমিটির উদ্যোক্তারা?

    গাড়িটির (Car) কোনও মালিকানা না পাওয়ায় মেলা উদ্যোক্তারা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেন। পরে, বিষয়টি নজরে আসে খড়দহ থানার পুলিশের। এরপরই পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। মেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক তথা পূর্ব পানিহাটি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মনোময় রায় বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে গাড়িটি মাঠে পড়েছিল, আমরা পাড়াতে খোঁজখবর নিয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ির মালিকানার বিষয় কেউ কিছু বলতে পারেনি। এরপর পুলিশ মেলার মাঠ খতিয়ে দেখতে আসলে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। গাড়ির (Car) ভিতরে কী ছিল তা আমরা জানতাম না। কারণ গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে লক করা ছিল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির যুব নেতা জয় সাহা বলেন, একটি গাড়ি (Car) থেকে যদি টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার হতে পারে, তাহলে কেন ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হবে না। বিষয়টি প্রশাসনের খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা উচিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূলনেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী আবাসন বিক্রি, উচ্ছেদের নোটিশে উড়েছে ঘুম

    Durgapur: তৃণমূলনেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারী আবাসন বিক্রি, উচ্ছেদের নোটিশে উড়েছে ঘুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরে (Durgapur) রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ডিপিএলের আবাসন টাকার বিনিময়ে বেআইনীভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। লক্ষণ লামা, বিশ্বজিৎ ওরফে বিশু ও বাবু, এই অভিযুক্তরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে স্বীকার করেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার। উচ্ছেদ অভিযান চলবে জানালো ডিপিএল কর্তৃপক্ষ। এইদিকে টাকা দিয়েও ডিপিএল আবাসন থেকে উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে বিপাকে দুর্গাপুরের বেশ কিছু পরিবার। শাসক দলকে তুলোধোনা বিরোধীদের।

    অভিযোগ কি?

    উচ্ছেদের নোটিস পেয়ে এখন রাতের ঘুম উড়েছে দুর্গাপুরের (Durgapur) বেশ কিছু মানুষের। শহর দুর্গাপুরের বেশ কিছু জায়গা থেকে এই অসহায় মানুষজন স্থায়ী মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে রাজ্য সরকারের সংস্থা দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের (ডিপিএল) টাউনশিপে এসেছিলেন। মূল অভিযোগ হল স্থানীয় তিন প্রভাবশালী তৃণমূলনেতারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কিছু অসহায় মানুষকে নিয়ম ভেঙ্গে সরকারি আবাসনে ঢুকিয়ে দেয়। আর এরপর ঐ মানুষগুলি ডিপিএলের নোটিশ পেয়ে বুঝতে পারেন সবটাই জালিয়াতি হয়েছে। ভুক্তভুগী বাসন্তী মল্লিক বলেন, আমরা দিন এনে দিন খেয়ে জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছি তৃণমূলের নেতা বিশুকে। আরেক ভুক্তভুগি পুণম বলেন, টাকা নিয়ে তৃণমূল দলের নেতারা ডিপিএল সমবায় সমিতির তালা ভেঙ্গে  সি-টাইপ ও ই-টাইপ আবাসনে থাকতে দিয়েছিল আমাদের। আমরা বর্তমানে তিনমাস ধরে এখানে বসবাস করছি। এখন ইতিমধ্যে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ আবাসন গুলি ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছেন আমাদেরকে, তিন দিনের মধ্যে আবাসন ফাঁকা না করলে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার নোটিশ দিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন জানি না কি করব আমরা এখন।  

    দুর্নীতির দায়ভার কার?

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই দায়ভার লক্ষণ লামা, জনৈক বিশু ও বাবুর। এরা তিনজনেই তৃণমূল করেন বলে পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ তৃণমূল করার পরিচয় দিয়ে আবাসন পাইয়ে দেওয়ার জন্য অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। কিন্তু নেতাদের কাছে এখন ডিপিএলের (Durgapur) উচ্ছেদ নোটিস দেখাতে গেলে পরিবারের মানুষের কাছে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। অভিযুক্তদের মধ্যে লক্ষণ লামাকে সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার সুভাষ মজুমদার। কাউন্সিলার আরও বলেন তৃণমূলের মিছিল মিটিং-এ থাকেন লক্ষণ লামা। আর তাই দলের সক্রিয় কর্মীদেরকে বাঁচাতে আবাসন বিক্রির অবৈধ লেনদেনে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের দিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলার।

    ডিপিএল এবং বিরোধীদের বক্তব্য

    উচ্ছেদের নোটিশের বিষয়ে ডিপিএলের পক্ষে জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র বলেন, কে কাকে টাকা দিয়ে ডিপিএলের আবাসনে ঢুকেছে এটা ডিপিএলের দেখার বিষয় নয়। অবৈধ দখল কেউ করে থাকলে উচ্ছেদ করা হবেই। আবার বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ বলেন, তৃণমূলের কাউন্সিলার নেতারা পুলিশকে নিয়ে কোয়াটার ভাড়া দিচ্ছে, পুলিশ টাকা নিচ্ছে, অবৈধ ভাবে জমি দখল করছে। ডিপিএল, ডিভিসি, এমএমসি, ডিএসপি সর্বত্র প্রকল্পে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছে তৃণমূলের নেতারা। যারা টাকা দিয়েছেন তাঁদের বলবো তৃণমূলের যে নেতাদের টাকা দিয়েছেন তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করুন আমরা সঙ্গে থাকব। সব মিলিয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) পুরভোটের আগে সরকারি সংস্থার আবাসন কেনা বেচার অবৈধ লেনদেনের ঘটনার অভিযোগে অস্বস্থি ও বিড়ম্বনা দুই বেড়েছে শাসক শিবিরের। এখন যারা টাকা দিয়েছেন তাঁরা যাবেন কোথায় সেটাই বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কাটমানির টাকা গিয়েছে কালীঘাটে, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কাটমানির টাকা গিয়েছে কালীঘাটে, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই শিক্ষক নিয়োগে কাটমানি নিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। আর সেই কাটমানির বড় অংশের টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল কালীঘাটে। শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে এসে এমনটাই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, একটি চাকরির জন্য তৃণমূল নেতারা যদি কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে ৩৬ হাজার জনের কাছ থেকে কয়েক শো কোটি টাকা তৃণমূল নেতারা তুলেছিলেন। ২০-২৫ শতাংশ টাকা নিজেদের কাছে রেখে ৭৫ শতাংশ টাকা তাঁরা কালীঘাটে পাঠিয়েছিলেন। অঙ্কের হিসেবে সেই সংখ্যাটা প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা। রাজ্য সরকার ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে। সেটা আদালতের বিষয়। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের প্রশ্ন, এখন এই নিয়োগের পিছনে যে কোটি কোটি টাকার কাটমানির খেলা হয়েছে, কোন নেতার কাছে কত টাকা পাঠানো হয়েছে, তার হিসেব রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলকে রাজ্যবাসীর কাছে দিতে হবে। কারণ, এসব নিয়ে রাজ্যজুড়ে যে অরাজকতা তৈরি হবে তাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

    মুখ্যমন্ত্রীর ডিপ্লোমা ডাক্তার নিয়োগের উগ্যোগ নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মানুষ মারার জন্য সিভিক ডাক্তার তৈরির চেষ্টা চলছে, তাহলে সিভিক মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া হোক। আমরা চাইছি এবারে কয়েকটা সিভিক মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া হোক। এক একটা জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলাবে। ছয় মাস করে থাকবে। উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের চাঁদগাও গ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতেও যান। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।

    কী বললেন মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা?

    পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমরা আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশের ভয়ে বাড়িতে থাকার সাহস পাচ্ছি না। আমার ছেলেকে যে পুলিশ অফিসার গুলি করে খুন করেছে তার আমরা ফাঁসি চাই। আর ছেলের মৃত্যুর ঘটনার আমরা সিআইডি নয়, সিবিআই তদন্ত চাই।

    প্রসঙ্গত, গত ২১ শে এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকার পুকুরপাড় থেকে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দফায় দফায় উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি থেকে শুরু করে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনার পর কালিয়াগঞ্জ থানার একাংশে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকেও। থানায় হামলা ও পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনায় গত ২৭ শে এপ্রিল ভোর রাতে চাঁদগাও গ্রামে তদন্তে যায় পুলিশ। ধরপাকড় ও তল্লাশি অভিযানের সময় মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে এক যুবককে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share