Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bangladesh: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে অস্বীকার! তথ্য-বিকৃতি বাংলাদেশের ৪৪১ পাঠ্যপুস্তকে

    Bangladesh: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে অস্বীকার! তথ্য-বিকৃতি বাংলাদেশের ৪৪১ পাঠ্যপুস্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসেই পদচ্যুত হন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান রূপে দায়িত্ব নেন মহম্মদ ইউনূস (Yunus Regime)। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা যেমন বাড়তে থাকে, একইভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকাকে অস্বীকার করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপও করতে থাকে ইউনূস সরকার। এ নিয়ে ভারতেরই একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে খবর। ওই খবরগুলোতে উঠে এসেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানকে অবমূল্যায়ন করার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের জাতীয় পাঠক্রমে যেভাবে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তার মধ্যে একটি উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, সে দেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে অবদান সেটিকে অবমূল্যায়ন করা ও ভারতের সেনাবাহিনীকে খাটো করা। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের ভুলিয়ে দেওয়া, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানি সেনাকে পরাস্ত করতে সরাসরি যুদ্ধে নেমেছিল ভারতের সেনা।

    ৪৪১টি বইতে পরিবর্তন, অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ভারতের ভূমিকা

    বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য আরও সামনে এসেছে। তথ্য বলছে, গত অগাস্ট মাসের পর থেকেই বাংলাদেশের পাঠ্য পুস্তকগুলিতে এ ধরনের পরিবর্তন করা হতে থাকে। প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে সিলেবাসের ৪৪১টি বইতে এই ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সম্পূর্ণভাবে ভারতের ভূমিকাকে খাটো করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ষষ্ঠ শ্রেণির একটি ইংরেজি বই ছিল। এই বইতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ২টি ছবি ছিল। এই দুটি ছবি ১৯৭২ সালের তোলা। ইউনূস সরকারের জমানায় এই ছবি দুটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি ছবির মধ্যে একটি ছিল কলকাতার সমাবেশে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে মুজিবুর রহমানের একসঙ্গে তোলা ফটো। অপরটি ছিল ঢাকা বিমানবন্দরে ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাগত জানাচ্ছেন মুজিবুর রহমান, এমন একটি ছবি।

    কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে সে দেশের শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে। তিনি স্পষ্টত স্বীকার করেন যে এই ছবিগুলি ২০২৩-২৪ সালের পাঠক্রমের অংশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বাতিল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এনসিটিভির চেয়ারপার্সন একেএম রিয়াজুল হাসান এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “পুরোনো বইগুলিতে বলা হয়েছে যে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে ভারতই প্রথম বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে, আমরা জানি ভুটানই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর। চলতি বছরে সময় কম থাকায় আমরা এটি সংশোধন করতে পারিনি। আমরা পরের বছর এটি সংশোধন করব।” এখানেই থামেননি রিয়াজুল হাসান। আরও জানিয়েছেন যে, পাঠ্যপুস্তকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ঘটনাটাই রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কিংবা জাতীয় সংগীত নিয়ে কিছু ছিল না। এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ তোলেন যে এগুলি ভারত, বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল এবং তাঁরা তা সংশোধন করছেন।

    ব্যাপক মিথ্যাচার! বঙ্গবন্ধু নয়, স্বাধীনতার ঘোষক নাকি জিয়াউর রহমান

    ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়ারদের জন্য নয়া পাঠ্য পুস্তকের প্রবর্তন করে। কিন্তু সেখানে ব্যাপক মিথ্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই দাবি করা হয় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যদিও আসল সত্য হল যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গ্রেফতার করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। গ্রেফতারের আগে তিনি একটি ওয়ারলেস বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। ওই বার্তাতে বঙ্গবন্ধু বলেন, “এটিই আমার শেষ বার্তা হতে পারে, তবে আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি যে, আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ করুন। পাকিস্তানের দখলদার সেনাবাহিনীর শেষ সৈনিককে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত আপনাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” এই বার্তাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের একটি অংশ। শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দুবার সম্প্রচারিত হয়েছিল। জানা যায় সে সময়ে এ নিয়ে খবরও করেছিল ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। যেমন দ্য স্টেটসম্যান, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। আন্তর্জাতিক স্তরে খবর করে দ্য লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস। তা সত্ত্বেও সম্পূর্ণভাবে মিথ্যাচার করে ইউনূস সরকারের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্য পুস্তক থেকে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাটি জিয়াউর রহমানের নামে করে দেয়।

    স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক হিসেবে জিয়াউরের নাম পাওয়া যায়না

    প্রকৃতপক্ষে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ এমন কোনও ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান, এক্ষেত্রে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে এটা নথিভুক্ত রয়েছে যে তার একদিন পরে জিয়াউর রহমান একটি ঘোষণা করেন। কালুরঘাট যা চট্টগ্রাম শহরের উত্তর দিকে অবস্থিত সেখান থেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর। কী বলেছিলেন ওই ঘোষণায়? ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি রেডিওতে ঘোষণা করেন, “আমি, মেজর জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে, এতদ্বারা ঘোষণা করছি যে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমি সকল বাঙালিকে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। আল্লাহর রহমতে, বিজয় আমাদের।”

    ভারতের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন ও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা

    অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে একদিকে যেমন ভারতের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন ও খাটো করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলারও এক ব্যাপক প্রয়াস বাংলাদেশ জুড়ে শুরু করেছে ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। স্কুলের পাঠক্রমগুলিতে এভাবেই মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় সেনাবাহিনীতে ছিলেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি স্থাপন করেন। বাংলাদেশের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জানা যায় শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে বাঙালি পরিচয়কে আগে রেখেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান ইসলামের ওপর ভিত্তি করে একটি আলাদা পরিচয় প্রচার করেছিলেন। শুধু তাই নয় জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন হন। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে বাংলাদেশে উগ্র ইসলামিক সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত বাড়তেই থাকে। এর পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পায়। ভারতে বাড়ে জঙ্গি কার্যকলাপ। বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের মানুষজনের ওপরে অসংখ্য হামলার অভিযোগ ওঠে।

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারত বিরোধিতা

    প্রসঙ্গত এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। দখল করা হয় গণভবন। তারপর থেকেই ভারতের সঙ্গে একেবারে শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে চলতে দেখা যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা ভারত সরকারকে সরাসরি হুমকি দেয়। ওই হুমকিতে বলা হয়, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়, তাহলে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ শুরু হবে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিতে শোনা যায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সার্জিস আলমকে। সারজিস আলম ওই সময় বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই যে, এটা গুজরাট নয় এটা বাংলাদেশ। গুজব ছড়িয়ে এবং মানুষ হত্যা করে আপনি এখানে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছিলেন সারজিস। এমন একাধিক ঘটনা সামনে আসতে থাকে।

  • Muhammad Yunus: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে সক্রিয় আইএসআই! জেনারেল জমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনূস?

    Muhammad Yunus: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে সক্রিয় আইএসআই! জেনারেল জমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার জামানার পতনের পর মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) জামানায় ঢাকা-ইসলামাবাদ দোস্তি চওড়া হয়েছে। পদ্মাপাড়ে ভারত বিরোধিতার সুর যত চড়েছে ততই পাকিস্তানের কোলে ঢলে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস। পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ ৫০ বছর পর সমুদ্র বাণিজ্য চালু করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Army Chief)। করাচি থেকে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছে চট্টোগ্রামে। এবার পাকিস্তান সেনার সঙ্গে যোগ রেখে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জমানকে সরাতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন। তাঁর বদলে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়ে আসা হতে পারে পাক ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চতুর্থ স্থান অধিকারী,ফয়জুর রহমানকে।

    ইউনূস এবং সেনাপ্রধানের মধ্যে বিরোধ!

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Army Chief) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) , যিনি গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন, তিনি দেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, জেনারেল জমান দীর্ঘদিন ধরে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। তিনি দেশটির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ এবং শেখ হাসিনার অপসারণের পর দেশটির আইন-শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শেখ হাসিনার পতনের পর জেনারেল জমান বারবার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে কথা বললেও, বর্তমান পরিস্থিতির অজুহাতে ইউনূস দেশে নির্বাচনের তারিখ বারবার স্থগিত করেছেন। আরেকটি কারণ হতে পারে যে, জেনারেল জমান শেখ হাসিনার শাসনামলে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক শেখ হাসিনার পরিবারে, যার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

    ইউনূস সরকার এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের ষড়যন্ত্র

    বিশেষ সূত্রমতে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল জমান সন্দেহ করছেন যে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। তাঁর ধারণা, আইএসআই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব ফেলছে এবং তাদের পছন্দের লোকদের শীর্ষ পদে নিযুক্ত করার চেষ্টা করছে। গত মাসে পাকিস্তানের আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিকের বাংলাদেশ সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকটি, জেনারেল জমানের প্রতি আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপের চেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফয়জুর রহমান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চতুর্থ স্থান অধিকারী। তিনি পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

    জমানকে অপসারণের চেষ্টা

    বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে গুঞ্জন, অন্তবর্তী সরকার জেনারেল জমানকে সেনাপ্রধান পদ থেকে অপসারণ করে, ফয়জুর রহমানকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফয়জুর রহমানকে পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর পক্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের সমর্থন রয়েছে।

    বিরোধের সূত্রপাত

    গত অগাস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময়, আন্দোলনকারীদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন জেনারেল জমান এবং সেনা। তাদের চাপেই ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন হাসিনা। তারপর, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউনুস। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার একটি রূপরেখা দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এতদিন পর্যন্ত ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন। অর্থাৎ, সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কাজেই, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাজনৈতিক প্রয়োজনে সেনাকে ব্যবহারের সুযোগ ছিল। তার বদলে সেনাকে রাষ্ট্রপতির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে নয়া সরকার। এর ফলে, ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকবে। কিন্তু আখেড়ে উল্টো কাজ করছে ইউনূস প্রশাসন। তার থেকেই বিরোধের সূত্রপাত।

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

    বাংলাদেশে (Bangladesh Army Chief) শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশে বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। যা ঢাকা এবং নয়াদিল্লির সম্পর্ককে জটিল করে তুলছে। ভারত, ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে অভিযোগ করছে যে তারা সন্ত্রাসী মৌলবাদী ইসলামিক শক্তিগুলির দ্বারা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম এবং এ ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারত সফরে এসে পাক গোয়েন্দারা ভারতের চিকেন নেকও দেখতে গিয়েছিলেন। যা ভারতের কাছে বিরক্তির কারণ। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাক ঘনিষ্ঠতা ভারতের কাছে অসন্তোষের।

  • Bomb Blast: এবার পাকিস্তানে ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ, হত উপাচার্য-সহ অন্তত ৬

    Bomb Blast: এবার পাকিস্তানে ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ, হত উপাচার্য-সহ অন্তত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ (Bomb Blast)। হত অন্তত ৬ জন। পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসার ঘটনা। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে মাদ্রাসার মধ্যে থাকা মসজিদে। সেই সময় শুক্রবার নমাজ সবে শুরু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই মাদ্রাসার উপাচার্য তথা ধর্মীয় নেতা মৌলানা হামিদুল হক হাক্কানি। বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা পাকিস্তানের পুলিশ-প্রশাসনের।

    কী বলছে প্রশাসন? (Bomb Blast)

    উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের এই অংশ তালিবান অধ্যুষিত। মাদ্রাসার সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অতীতে এই মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন পাক তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মতো জঙ্গি-নেতাও। অনুমান, নমাজ আদায়ের সময় ঘটানো হয়েছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। যদিও ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। খাইবার পাখতুনখোয়ার ইনস্পেক্টর জেনারেল জুলফিকর হামিদ সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করা হচ্ছে, মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সম্ভবত উপাচার্য হাক্কানিই নিশানা ছিল হামলাকারীদের।”

    হত উপাচার্য হাক্কানি

    সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আক্কোরা খাট্টাক জেলায় রয়েছে মাদ্রাসাটি। মাদ্রাসাটির সঙ্গে যোগ রয়েছে আফগান তালিবানদের। ১৯৪৭ সালে মাদ্রাসাটি তৈরি করেছিলেন হাক্কানিয়ার বাবা মৌলানা আবদুল হক হাক্কানিয়া। বাবার মৃত্যুর পরে উপাচার্য হয়েছিলেন হাক্কানি। তিনি জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (সামি)-র প্রধান। গত বছর পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন হাক্কানি (Bomb Blast)। সেখানে তিনি তালিবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন।

    মাদ্রাসাটি ‘জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামেই পরিচিত

    এই মাদ্রাসাটি ‘জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামেই পরিচিত। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যায় নাম জড়িয়েছিল এই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এবার সেই মাদ্রাসায়ই ঘটল বিস্ফোরণ। এবং মারা গেলেন খোদ উপাচার্যই! হাক্কানি একজন রাজনীতিবিদও। তিনি ২০০২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।

    ঘটনাটিকে জঙ্গি হামলা বলে নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, “কাপুরুষের মতো এই জঘন্য ঘটনা রেয়াত করা হবে না। এই সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব আমরা দেব।”

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বড়সড় জঙ্গি দমন অভিযান চালায় পাক সেনা। খতম হয় ৩০ জন জঙ্গি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান সংগঠনের সদস্য। ফলে (Pakistan) এই হামলায় ওই সংগঠনের হাত উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা (Bomb Blast)।

  • Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    Joe Biden: ইউএসএআইডির টাকা গিয়েছে হামাস, তালিবান, আল কায়েদার হাতে! কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা গিয়েছে জঙ্গিদের হাতে! বিশ্বের মার্কামারা জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে পৌঁছেছে এই টাকা। জঙ্গিদের এই তালিকায় রয়েছে কুখ্যাত হামাস, তালিবান এবং আল কায়েদাও। ঘটনাটিকে মার্কিন কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা ‘জাতীয় লজ্জা’ এবং ‘মার্কিন করদাতাদের সঙ্গে বিপজ্জনক বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেছেন (Joe Biden)।

    অর্থ সাহায্যে উদ্বেগ (Joe Biden)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (USAID) মাধ্যমে বিলি করা বৈদেশিক সাহায্য খরচ হয়েছে ওই খাতে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানি হয়। শিরোনাম ছিল ‘আমেরিকা লাস্ট: কীভাবে বিদেশি সাহায্য সারা বিশ্বে মার্কিন স্বার্থকে দুর্বল করেছে’। ইউএসএআইডি কীভাবে করদাতাদের অর্থ খরচ করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই আয়োজন করা হয়েছিল শুনানির। এই শুনানিতে প্রতিনিধি টিম বারচেট এবং মার্জোরি টেলর গ্রিন ইজরায়েলের ওপর হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দেওয়া ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে!

    বাইডেন প্রশাসনকে নিশানা করে বারচেট বলেন, “করদাতার অর্থ হামাসকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমাদের সরকার অন্ধভাবে কোটি কোটি ডলার সেই অঞ্চলে পাঠাচ্ছে, যা আদতে একটি জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অবমাননাকর ব্যাপার। এই প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এটা নিশ্চিত করতে যে আমাদের সাহায্য সেই লোকরাই অপব্যবহার করছে, যারা আমেরিকা ও ইজরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়।” এক্সপার্ট উইটনেস রোমান সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেন, “শিথিল তদারকি এবং জরুরি অনুমোদনের কারণে ইউএসএআইডি তহবিল গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে গিয়েছে।”

    কাঠগড়ায় বাইডেন প্রশাসন

    বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “‘জরুরি ব্যবহার’ বিধানের কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, গাজার দিকে পাঠানো প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিন সাহায্য হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে চলে গিয়েছে। এটি অযৌক্তিক। সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কার্যত হামাসের টিকে থাকায় ইন্ধন জুগিয়েছে।” বারচেট বলেন, “বাইডেন প্রশাসন এখনও আফগানিস্তানে প্রতি সপ্তাহে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠাচ্ছে। এই অর্থের প্রধান উপভোক্তা তালিবান এবং আল কায়েদা।”

    তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়

    এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন (Joe Biden), “প্রতি সপ্তাহে চার্টার জেটের মাধ্যমে আফগানিস্তানে করদাতাদের ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পাঠানো হচ্ছে। এই নগদ অর্থ এরপর তালিবানের কাছে নিলামে তোলা হয়, যারা তাদের অংশ কেটে নেওয়ার পর বাকি অর্থ এনজিওগুলির মধ্যে বিলি করে। এই এনজিওগুলি পরে তালিবানকে ‘কর’ দিতে বাধ্য হয়, যা আদতে জঙ্গি শাসনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।” রোমানও বলেন, “আমাদের কাছে এমন প্রমাণও রয়েছে যেখানে মার্কিন সহায়তা পরোক্ষভাবে সোমালিয়ার আল-শাবাব, সুদানের হামজি নেটওয়ার্ক, হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লা, কাতাইব হিজবুল্লা এবং সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শামকে সমর্থন করেছে।” তিনি বলেন, “ইউএসএইড কার্যত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সংগঠনগুলোর জন্য একটি নগদ অর্থের পাইপলাইন হয়ে উঠেছে।” গ্রিনের অভিযোগের আঙুল আবার ইউক্রেনের দিকে।

    “আমরা একে দুর্নীতি বলি”

    তিনি জানান, জো বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ইউএসএইড (USAID) তহবিল ব্যবহার করে তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনকে ইউক্রেনে দুর্নীতির তদন্ত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন, “যখন জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাঁর ছেলে হান্টার ইউক্রেনের একটি জ্বালানি কোম্পানি, বুরিসমার বোর্ডে ছিলেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় প্রসিকিউটর জেনারেল ভিক্টর শোকিন বুরিসমার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “তখন বাইডেন (Joe Biden) হুমকি দেন যে শোকিনকে বরখাস্ত না করলে ১ বিলিয়ন ডলার ইউএসএআইডি অনুদান আটকে দেওয়া হবে। এটা সব ভিডিওতে ধরা আছে।” সাক্ষী প্রিমোরাক বলেন, “আমরা একে দুর্নীতি বলি।”

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা

    ইউএসএআইডির ভূমিকার নিন্দা করে গ্রিন বলেন, “ইউএসএআইডি-প্রণোদিত শাসন পরিবর্তনের সবচেয়ে বিস্তৃত উদাহরণগুলোর একটি হল বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করা।” তিনি বলেন, “আমেরিকাকে নিরাপদ করার পরিবর্তে ইউএসএআইডির অর্থ শেষ পর্যন্ত এমন কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে পৌঁছে যায়, যারা পরবর্তীকালে মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায় (Joe Biden)।”
    রিপাবলিকান প্রতিনিধি এরিক বার্লিসন বলেন, “এটি আমেরিকান করদাতাদের প্রতি একটি লজ্জাজনক বিশ্বাসঘাতকতা। ইউএসএআইডি (USAID) সম্পূর্ণভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং এর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমরা এটা কখনওই মেনে নেব না যে আমেরিকান নাগরিকরা যখন জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে সংগ্রাম করছেন, তখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে জঙ্গিদের অর্থায়নে।”

  • JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই ভারতবর্ষ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা হবে। এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Health Minister) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার, জেপি নাড্ডা হাজির ছিলেন নবম জাতীয় সম্মেলন সামিট অন গুড অ্যান্ড রেপ্লিকেবল প্র্যাকটিস অ্যান্ড ইনোভেশন-এ। সেখানেই তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নির্ধারিত সময়সীমার পাঁচ বছর আগেই যক্ষ্মামুক্ত ভারত গড়া সম্ভব।

    যক্ষ্মামুক্ত ভারত ২০২৫ সালেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘Sustainable development goals-এর কর্মসূচি অনুযায়ী, ভারতবর্ষকে যক্ষ্মামুক্ত করার কথা ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু আমরা মনে করছি, সেই লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা পূরণ করে নেব।’’ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) যদি নিজের বক্তব্যে সম্পূর্ণ তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘‘২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতবর্ষে ১৭.৭ শতাংশ টিবি বা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমেছে। প্রসঙ্গত, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা রোগের সংখ্যা কমেছে ৮.৩ শতাংশ।’’ একথা জানিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পৃথিবীর যে গড় তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে আমরা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমাতে পেরেছি। একথা উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেই ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারপর থেকেই এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘করোনা কালে সারা ভারত যখন লকডাউন আক্রান্ত ছিল, তখনও আমাদের যক্ষ্মা রোগীর নির্মূলের কর্মসূচি চলেছিল।’’

    ১০০ দিনে পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত

    নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘বিগত ১০০ দিনে আমরা এখনও পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে চিহ্নিত করেছি। তাঁদের যথাযোগ্য চিকিৎসা চলছে। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযানও চলছে। ৪৫৫টি জেলাতে যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। আমরা ব্লক স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছি এবং সেখানেও টিবি মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণে আমরা সংকল্পবদ্ধ।’’ প্রসঙ্গত, এই সম্মেলন দুদিন ধরেই চলবে এবং আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি ও ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর মুকেশ মাহালিং। এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র যিনি পুরী লোকসভার সাংসদ।

    কমেছে ম্যালেরিয়াও

    এই সম্মেলনে বিভিন্ন গবেষকরা নিজেদের প্রদর্শনী দেখান এবং যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণ করতে তাঁরা কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই সমস্ত নথিও তাঁরা দেখান। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) তুলে ধরেন মোদি জমানায় ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলিকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে আরও তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট। তিনি জানান যে বিশ্ব সংস্থা স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৪ সালে ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত যে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে সেখানেও ভারতবর্ষে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গিয়েছে। এদেশে কমেছে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা। মোদি জমানায় ২০১৪ সাল থেকে ভারত স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭ সালের কথা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-র নীতি অনুযায়ী আমরা প্রিভেন্টিভ প্রোমোটিভ ও কম্প্রিহেনসিভ পদ্ধতিতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা করছি।

    আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথাও উঠে আসে নাড্ডার বক্তব্যে

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) নিজের বক্তব্য বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদাই দায়বদ্ধ হয়ে রয়েছে সারা দেশ জুড়ে সকলকে একটি ভালো স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়ার জন্য।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে দেশবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কমেছে মোদি জমানায়।’’ এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে আশা কর্মীদের কথা এবং একেবারে নিচুস্তরে যাঁরা স্বাস্থ্য কর্মী আছেন তাঁদের কথা তুলে ধরেন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা হবে। যে রোগগুলি সংক্রামিত নয় সেগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে আমাদেরকে জীবনশৈলীর বদল করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে জেপি নাড্ডা উল্লেখ করেন যে কীভাবে তাঁরা ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও তিন ধরনের ক্যান্সার এর মোকাবিলা করছেন। জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘এদেশের প্রতিটি জেলাতে একটি করে ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। আমরা লক্ষ্যমাত্রারে রেখেছি যে ২০০ জেলাকে এর আওতায় আনব।’’

  • Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিশ্ব রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেরিয়ে এল ঘরের বাইরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন (Trump-Zelenskyy Meet)। কিন্তু মাঝপথে রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফলে দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘোষণা মতো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাতিল হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

    আপস করতে হবে ইউক্রেনকে

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছিলেন। বরফ গলে ইউক্রেনের (Trump-Zelenskyy Meet) খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে জেলেনস্কি রাজি হওয়ার পর। শুক্রবার দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে, তেমনই ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দুদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও দিকেই তিনি ঝুঁকে নেই। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ন্যাটোকেও। ক্রমে বাক্যালাপ গড়ায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে।

    উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

    ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন (Trump-Zelenskyy Meet) যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু জেনে যান এই যুদ্ধ আপনি হেরে গিয়েছেন। আপনার সৈন্য কমে গিয়েছে। অস্ত্র কমে গিয়েছে। আপনি কিছুতেই জিততে পারেন না। কারণ আমরা আপনার পাশে নেই। আপনার উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা অনেক কিছুই দিয়েছি আপনাদের।’’ পাল্টা জবাব দেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার ভুল নীতির জন্য পুতিনের মতো খুনি মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যেখানে তাঁদের দেশে মানুষ মারা যাচ্ছেন, আগুনে জ্বলছে শহরগুলি, সেখানে আপসের কথা আসছে কোথা থেকে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু আপনাদের তো এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।’’ ইউক্রেনকে বাস্তববাদী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে থাকে ট্রাম্পের। বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার স্পষ্ট দাবি, জেলেনস্কির জায়গায় তিনি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়ইট হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন বলেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেন একাই লড়ার হুঁশিয়ারি।

    কেন বাদানুবাদ

    ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তা জানা যায়নি। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, খনিজ চুক্তি নিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর কিছু শর্ত চাপাতে চান ট্রাম্প (Trump-Zelenskyy Meet)। তাতেই বেঁকে বসেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ড। অতীতে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার ইউক্রেনের পাশে ছিল। জেলেনস্কির দেশকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্প এসেই সেই সব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন সহায়তা চালু রাখতেই ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ নিয়ে চুক্তি করতে এবং হোয়াইট হাউস সফরে রাজি হন জেলেনস্কি।

    ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

    হোয়াইট হাউস (White House Meeting) সূত্রে খবর, ট্রাম্প কোনও চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তাঁর শর্ত হল ইউক্রেনকে গঠনমূলক কথাবার্তা চালাতে হবে। অন্যথায় খনিজ চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। ওভাল অফিসে (Oval Office) যা হয়েছে, তা যে দুই দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল নয়, মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কিও (Trump-Zelenskyy Meet)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বাদানুবাদ উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না-করেন, তবে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানো আমাদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। কারণ, এটা শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নয়। এটা দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমি সবসময় আমাদের দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।’’

    জেলেনস্কির পাশে ইউরোপ

    এই বৈঠকের পর ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা মুখ খুলেছেন। তাঁরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে এই মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। তাদের ধারণা, জেলেনস্কিকে চাপে রেখে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই জয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তাই একযোগে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চান।’’ ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ বলেন, ‘‘রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেনের মানুষ সেই আগ্রাসনের শিকার। আমরা ইউক্রেনের পাশে রয়েছি।’’ ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘‘ভেদাভেদ নয়, একজোট হতে হবে।’’

  • Daily Horoscope 01 March 2025: উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 March 2025: উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মায়ের তরফ থেকে কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) অধিক খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) শেয়ারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Maha kumbh 2025: শুরু হল নাসিক কুম্ভ ২০২৭-এর প্রস্তুতি, মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন বিশেষ প্রতিনিধি দলের

    Maha kumbh 2025: শুরু হল নাসিক কুম্ভ ২০২৭-এর প্রস্তুতি, মহাকুম্ভস্থল পরিদর্শন বিশেষ প্রতিনিধি দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২ বছর পরেই ফের কুম্ভমেলার (Maha kumbh 2025) আয়োজন করা হবে দেশে। ২০২৭ সালেই আবার কুম্ভমেলা হবে। এবার আয়োজক শহর মহারাষ্ট্রের নাসিক। দেশের চার শহরে কুম্ভমেলা হয়— প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক এবং উজ্জয়িনী। প্রতিটি শহরে কুম্ভমেলা আয়োজনের পৃথক হিসাব রয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী নাসিকে পরবর্তী কুম্ভের বছর ২০২৭।

    কেন মাত্র দু’বছরের মধ্যেই পরবর্তী কুম্ভমেলা

    নাসিক এবং উজ্জয়িনীতে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয় ১২ বছর অন্তর। এই মেলাকে পূর্ণ কুম্ভমেলা বলা হয়ে থাকে। এর আগে গোদাবরী নদীর তীরে নাসিকে পূর্ণ কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই হিসাব অনুযায়ী, ১২ বছর সম্পূর্ণ হচ্ছে ২০২৭-এ। ওই বছর ১৭ জুলাই থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলবে। শিপ্রা নদীর ধারে উজ্জয়িনীতে শেষ বার কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০১৬ সালে। ১২ বছরের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে আবার পূর্ণকুম্ভ আয়োজিত হবে ২০২৮ সালে। অর্থাৎ, পর পর দু’বছর মহারাষ্ট্রে এবং মধ্যপ্রদেশে দু’টি পূর্ণ কুম্ভমেলা হওয়ার কথা।

    হরিদ্বারেও কুম্ভমেলা ২০২৭-এ

    নাসিকে কুম্ভমেলার সময় জুলাই-অগাস্ট। প্রয়াগরাজ এবং হরিদ্বারের ক্ষেত্রে কুম্ভমেলার হিসাব কিছুটা আলাদা। এই দুই শহরে ১২ বছর অন্তর পূর্ণকুম্ভের পাশাপাশি ছ’বছর অন্তর একটি করে অর্ধ কুম্ভমেলারও আয়োজন করা হয়ে থাকে। সুতরাং, প্রয়াগরাজে পরবর্তী কুম্ভমেলাটি হবে আরও ছ’বছর পরে ২০৩১ সালে। হরিদ্বারে শেষ বার কুম্ভমেলা হয়েছিল ২০২১ সালে। সেটি ছিল পূর্ণকুম্ভ। নিয়ম অনুযায়ী, হরিদ্বারেও ২০২৭ সালে একটি অর্ধ কুম্ভমেলার আয়োজন হওয়ার কথা। ২০২৭ সালে একই বছরে পর পর দু’টি কুম্ভমেলার আয়োজন করা হবে। যদিও এই দুই মেলা আয়োজনের সময় ভিন্ন। হরিদ্বারে সাধারণত এপ্রিল মাসে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়।

    নাসিক কুম্ভের প্রস্তুতি

    সম্প্রতি নাসিক কুম্ভ ২০২৭-র প্রস্তুতি ঠিকভাবে করার জন্য প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ পরিদর্শন (Maha kumbh 2025) করে এক প্রতিনিধি দল। তারা বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মহাকুম্ভের গৃহীত ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। নাসিক থেকে আসা ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ডঃ প্রবীণ গেদাম এবং বিভিন্ন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, যেমন স্পেশ্যাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দত্তাত্রয় করালে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জলজ শর্মা, পৌর কমিশনার মনীষা খাত্রি এবং নাসিক মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও মানিক গুরসাল। ডঃ প্রবীণ গেদাম বলেন, ‘‘আমরা ২০২৭ সালের নাসিকের কুম্ভমেলাকে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের মতোই জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি অর্জনের জন্য, আমরা এখানকার ব্যবস্থাগুলো অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দল এই বিশাল অনুষ্ঠানের জন্য বাস্তবায়িত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখবে। স্নানঘাট ও আখড়া সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছি আমরা। এটি নাসিক কুম্ভের জন্য আমাদের প্রস্তুতি আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।’’

  • Bangladesh: ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা! নয়া দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত?

    Bangladesh: ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা! নয়া দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক দল। ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এই নয়া দল। ছাত্রদের এই নতুন রাজনৈতিক দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (Jatiyo Nagarik Party)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাই তৈরি করেছেন এই নয়া দল। বাংলাদেশে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন দলের আহ্বায়ক বা নেতা হয়েছেন নাহিদ ইসলাম। দলের সদস্যসচিব হয়েছেন আখতার হোসেন। জানা গিয়েছে, তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে এসেছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব পদে নিযুক্ত হয়েছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)। অন্যদিকে দলের প্রধান সমন্বয়কারী পদে থাকছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। যুগ্ম সমন্বয়ক পদে এসেছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। হাসনাত আবদুল্লাকে মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ও সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে খবর। নতুন রাজনৈতিক দলের হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।

    কেন ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত গত অগাস্ট মাসেই শুরু হয় বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একটা সময় দেখা যায় এই আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নেয়। পরে তা সাম্প্রদায়িক হিংসাতেও পরিণত হয়। নিজের বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় নেন ভারতে। এরপরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভেবেছিলেন যে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া ইউনূস বাংলাদেশকে উন্নতি শিখরে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। কিন্তু ইউনূস জামানায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু নয়, ভেঙে পড়েছে গোটা শাসন ব্যবস্থাও। দেশ জুড়ে চলছে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব। শান্তি ও ঐক্যের বাংলাদেশ গঠনে বারবার তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। প্রতি পদক্ষেপেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউনূস সরকার। সত্যি কথা বলতে তা জামাত ও বিএনপির হাতের পুতুলই হয়ে গিয়েছে। ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে হামলা। সেই হামলা বন্ধ করতে ইউনূস সরকার যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনই বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনও হিন্দুদের বিপক্ষে কাজ করছে। একাধিক সাধু সন্ন্যাসীকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইউনূস সরকারের ওপর সেদেশের জনগণের ক্ষোভ যে বাড়ছে তা ক্রমে অনুধাবন করতে শুরু করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। অবস্থা খুবই খারাপ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও হচ্ছে না, বেসরকারি সংস্থাগুলিতে কর্ম ছাঁটাই চলছে। বিশেষত পোশাকশিল্পে এবং আইটি সেক্টরে। সারা দেশ জুড়ে এক হতাশার পরিবেশ তৈরি হয়।

    এবার ইউনূসের কী হবে (Bangladesh)

    সব জায়গা থেকেই বর্তমানে একটি বড় প্রশ্ন উঠছে যে এবার ইউনূসের কী হবে? নতুন রাজনৈতিক দল তো ঘোষণা করে দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা করে দিল যে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই জামাত-ই-ইসলামী অথবা তার ছাত্র সংগঠন ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সঙ্গে। কিন্তু ইউনূসও এই দুই মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এই জামাতের সঙ্গে বৈঠকের পরেই পাকিস্তানিদের তিনি দেশে ডেকে এনেছেন। পাক কূটনীতিকদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন। এই অবস্থাতে পাকিস্তানের ভিসা ফ্রি হয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। শুধুমাত্র জামাত এবং তার ছাত্র সংগঠনের চাপে পড়েই আনসার বাংলা টিমের একাধিক নেতাকেও ছেড়ে দিয়েছে ইউনূস সরকার। আনসার বাংলা টিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত এবং তারা আল-কায়েদার হয়ে কাজ চালায় বলেই সবাই জানে। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা কোনওভাবেই ইউনূস হচ্ছেন না। অনেকে তাই মনে করছেন, এবার হয়তো ইউনূস সামাজিক কাজেই ফিরে যাবেন।

    আওয়ামি লিগ-বিএনপির কী হবে

    এই আবহে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি’র কি হবে? এই প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত বর্তমানে দেশ ছাড়ার পরেও বাংলাদেশে (Bangladesh) বেশ প্রাসঙ্গিকই আছেন শেখ হাসিনা। নিয়মিতভাবে ভার্চুয়ালি তিনি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আওয়ামি লিগের ফেসবুক পেজ থেকে তিনি লাইভও আসেন। তিনি তাঁর সমর্থকদের ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি তিনি দেশে ফিরবেন এবং যেভাবে অচলাবস্থা চলছে তা তিনি সামাল দেবেন। এই আবহে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে শেখ হাসিনা আসলে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার দিকে তাকিয়ে। কিন্তু কেউ কেউ মনে করছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে আওয়ামি লিগের পক্ষে নির্বাচন লড়া কঠিন হয়ে যাবে। অন্যদিকে, হাসিনার বিরুদ্ধে রয়েছে শতাধিক মামলা। তাই নির্বাচনের আগে দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। অন্যদিকে, ইউনূসের কাজকর্মে বিএনপি নেতারাও ব্যাপক হতাশ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়া বন্ধ করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই চাইছেন যে ইউনূস সেদেশের নির্বাচনকে ঘোষণা করুন। আওয়ামি লিগ ও বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে জুড়ল আর এক নয়া দল।

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত

    নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ভারতের বিদেশ নীতি কি প্রভাবিত হবে? এমন চর্চাও শুরু হয়েছে। গত অগাস্ট মাসের পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বাংলাদেশের প্রতি হতাশার কথাও অভিব্যক্ত করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর। প্রসঙ্গত, নতুন যে রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে, তারা স্পষ্ট ঘোষণা করেছে তাদের বিদেশ নীতি নীতির ক্ষেত্রে ফোকাস করা হবে মূলত অর্থনীতিকেই। একইসঙ্গে, স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমেই তাঁরা বিদেশে নীতি তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবর ভালো। তবে, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ভারতে তাঁর আশ্রয় নেওয়ার পর সেই সম্পর্কে খানিক পরিবর্তন এসেছে, তা বলাই যায়। এই আবহে ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়বে ভারতের সঙ্গে সে দেশের বাণিজ্য, দ্বি-পাক্ষিক এবং নিরাপত্তার সম্পর্কে। এই আবহে বাংলাদেশের ওপর কড়া নজর রেখে চলেছে ভারত।

  • Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    Modi-Ursula Meeting: চিনকে রুখতে ভরসা ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ ভারত, মোদির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল আনবে ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর। দু’দিনের ভারত সফরে এসে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন (Modi-Ursula Meeting)। চিনের আগ্রাসী অর্থনীতি ও একচেটিয়া উৎপাদননীতিকে ঠেকাতেই দিল্লির সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের। শুক্রবার দু’দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা।

    মোদি-উরসুলা বৈঠক

    মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে উরসুলা বলেন, ‘‘আমরা ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’’ ইইউ-র কাছে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার (Modi-Ursula Meeting) বলে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (আইএনইসি) নির্মাণ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ করা হবে।’’ ওই করিডর নির্মিত হলে বিশ্বের বাণিজ্যিক মানচিত্রে বড় বদল হবে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর উরসুলা জানান, চলতি বছরের শেষেই দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হতে পারে। অন্য দিকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘দু’পক্ষই বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তির পাশাপাশি ভৌগোলিক বাণিজ্যের মানচিত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনার অগ্রগতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’’

    ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধি দল

    এই প্রতিনিধি দলে ইউরোপীয় কমিশনের (EC) প্রেসিডেন্ট উরসুলা সহ ২২ জন কমিশনার রয়েছেন। এটি হল ২০১৯ সালে গঠিত ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম বাইরের সফর এবং প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ভারত সফর করছেন ইউরোপীয় কমিশনাররা। ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের তৃতীয় দশকে পদার্পণ করেছে। এই আবহে কমিশনারদের এই সফর ভারত-ইউরোপ সম্পর্কে নতুন এক যুগের সূচনা করবে, বলে অভিমত কূটনৈতিক মহলের।

    চিন নির্ভরতা কমানো লক্ষ্য

    বর্তমানে জোগানের শৃঙ্খলে চিন-নির্ভরতা উদ্বেগের কারণ পশ্চিমের দেশগুলির। তাদের সেই উদ্বেগকে কাজে লাগাতে চাইছে নয়াদিল্লি। ১০-১৪ মার্চ ব্রাসেলসে হবে ভারত-ইইউ-এর বাণিজ্য বৈঠক হবে। তার আগে গাড়ি, ওয়াইন-সহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক কমাতে দিল্লিকে অনুরোধ করবে ইউরোপীয় কমিশন। ভারতও চাইছে নিজ শর্তে ইউরোপের সদস্য দেশগুলিতে পণ্য রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ বাড়াতে।

    বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বৈঠক করেন উরসুলা। তাঁদের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সম্পর্কিত আলোচনার পাশাপাশি কথা হয় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে সমন্বয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়েও। নয়াদিল্লি পৌঁছে উরসুলা তাঁর সমাজমাধ্যমের হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন, ‘আমার প্রতিনিধিদের (কমিশনার) নিয়ে দিল্লির মাটি ছুঁলাম। সংঘাত এবং প্রবল প্রতিযোগিতার এই কালখণ্ডে প্রয়োজন হয় বিশ্বস্ত বন্ধুর। ইউরোপের ক্ষেত্রে ভারত সেই বিশ্বস্ত বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার। এই অংশীদারি কীভাবে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে আমাদের।’

    সম্পর্কের গভীরতা

    ভারত ১৯৬২ সালে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটির (যা পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৩ সালে এক যৌথ রাজনৈতিক ঘোষণা এবং ১৯৯৪ সালের সহযোগিতা চুক্তি ভারত-ইউরোপ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। এখনও পর্যন্ত ১৫টি ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রথম সম্মেলনটি ২০০০ সালে লিসবনে হয়েছিল। ২০০৪ সালে হেগে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সম্মেলনে ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলাও একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ভন ডার লায়েন ভারত সফর করেন এবং রাইসিনা সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

    বৈঠক ও উদ্যোগ

    ২০২০ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ভারত-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনে “ভারত-ইউরোপীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ২০২৫ এর রোডম্যাপ” গৃহীত হয়। ২০২১ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে একটি মুক্ত বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানেই ভারত ও ইউরোপের দেশগুলি এক সম্মতিতে পৌঁছেছে, যা পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভারত-ইউরোপীয় বাণিজ্য ও প্রযুক্তি কাউন্সিল (TTC) ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাণিজ্য, নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত সমন্বয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। টিটিসি-এর প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক ২০২৩ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং দ্বিতীয় বৈঠক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

    বাণিজ্য ও বিনিয়োগ

    ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) প্রায় ১৫ বছর ধরে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারতকে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসাবে গড়ে তুলেছে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ১৩৫ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ভারতীয় রফতানি ছিল ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ৫৯ বিলিয়ন ডলার।

    প্রযুক্তি সহযোগিতা

    চিন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করছে, সেই প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০০৭ সালে সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোঅপারেশন চুক্তির আওতায় এই সহযোগিতা চলছে। ২০২২ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং (HPC) এবং ২০২৩ সালে সেমিকন্ডাক্টর গবেষণায় সহযোগিতা নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

    সবুজ শক্তির সমাধান

    ভারত-ইউরোপীয় (India-Europe Partnership) সবুজ হাইড্রোজেন সহযোগিতা উদ্যোগের আওতায়, ভারত ২০২৪ সালের নভেম্বরে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় হাইড্রোজেন সপ্তাহে একমাত্র অংশীদার দেশ ছিল। ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ভারতীয় হাইড্রোজেন প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    জনগণ ও জনগণের সম্পর্ক

    ভারত-ইউরোপীয় সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি হল জনগণের সম্পর্ক। ইউরোপে ভারতীয় মহল সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার মধ্যে ছাত্র, গবেষক এবং দক্ষ পেশাজীবী রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্লু কার্ডের শীর্ষ প্রাপক ছিল ভারতীয় পেশাজীবীরা।

    প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ

    ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (India-Europe Partnership) তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী করছে, বিশেষ করে সমুদ্র নিরাপত্তা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম যৌথ নৌযান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) একসাথে কাজ করছে, যেমন চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্য-এল-ওয়ান মিশনে।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশনের সফররত এক কর্তা বলেন, ‘‘ভারত বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতি। সেখানে ছোট-বড় কৃষিজীবী মানুষ ও উদ্যোগ রয়েছে। এটি আমাদের চুক্তিতে প্রতিফলিত হবে। কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলি আগ্রহী। তবে চুক্তি যা-ই হোক, ভারসাম্য থাকা জরুরি। যেমন গাড়ি, ওয়াইন এবং স্পিরিটের মতো পণ্যের উপর ভারতের শুল্ক অনেক বেশি। ইইউ এই শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাষ্ট্রগোষ্ঠী হিসেবে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী ইইউ। গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ১২,৬০০ কোটি ডলার। এক দশকে বেড়েছে ৯০%।

LinkedIn
Share