Tag: Madhyom

Madhyom

  • India vs Pakistan: একদিনের ম্যাচ গড়াল দু’দিন! রবিবার থমকে যাওয়া ভারত-পাক দ্বৈরথ চলবে আজও

    India vs Pakistan: একদিনের ম্যাচ গড়াল দু’দিন! রবিবার থমকে যাওয়া ভারত-পাক দ্বৈরথ চলবে আজও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচ গড়াল রিজার্ভ ডে-তে। তবে সোমবারও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভবনা। এতে পাকিস্তানের খুব একটা অসুবিধা হবে না। কিন্তু রোহিতদের সমস্যা হতে পারে। টানা তিন দিন ক্রিকেট মাঠে থাকতে হবে তাঁদের। ১৭৬ ওভার খেলতে হতে পারে ভারতকে।

    আজও বৃষ্টি হতে পারে

    রবিবার ভারতের ইনিংসে ২৪.১ ওভারের সময় শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সময় ভারতের রান ছিল ২ উইকেটে ১৪৭। কেএল রাহুল (১৭) ও বিরাট কোহলি (৮) ব্যাট করছিলেন। বৃষ্টি প্রথমে ধীরে শুরু হলেও পরে তা গতি বাড়ায়। এরসঙ্গে যুক্ত হয় ঝোড়ো হাওয়া। এরফলে একাধিকবার পিচের কভার সরে যায়। বৃষ্টির বন্ধের পর শুরু হয় মাঠ তৈরি করার কাজ। রাত আটটা ২০ নাগাদ পিচ তৈরি হয় খেলার জন্য। সাড়ে আটটার সময় ফের শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে দিনের মত ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। সোমবার, অর্থাৎ রিজার্ভ ডে-তে ম্যাচ আবার সেখান থেকেই শুরু হবে। পুরো ৫০ ওভারেরই ম্যাচ হবে। যদি সোমবার বৃষ্টি বাধা না দেয় তা হলে ভারতকে বাকি ২৫.৫ ওভার ব্যাট করতে হবে। তার পরে পাকিস্তানের ইনিংসের ৫০ ওভার রয়েছে। অর্থাৎ রোহিতদের মাঠে থাকতে হতে পারে প্রায় ৭৬ ওভার। মঙ্গলবার সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে ভারতের। সেই ম্যাচেও বৃষ্টি না এলে ১০০ ওভার খেলতে হতে পারে রোহিতদের। পর পর দিন তিন মাঠে থাকাই নয়, এত পরিশ্রম কী ভাবে সামলাবেন রোহিতেরা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    আরও পড়ুন: আজ মহারণে ভারত-পাকিস্তান, দুই দলের শক্তি ও দুর্বলতার দিক কোনগুলি?

    আজ, সোমবার বৃষ্টি না হলে দুপুর তিনটে থেকে ম্যাচ শুরু হবে, ব্যাট করতে নামবেন বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। স্ট্রাইক রাখবেন বিরাট কোহলি। আর ম্যাচ শুরু হবে ২৪.২ ওভার থেকে। বল করবেন শাদাব খান। রবিবারের ম্যাচে এমনিতেই পিঠের চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন শ্রেয়স আয়ার। মঙ্গলবারের ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সুপার ফোর থেকে ফাইনালে ওঠার জন্যে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা দুটি ম্যাচই জিতলে এগিয়ে থাকবে রোবহিতরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে  শেষ ম্যাচের আগেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে চায় টিম ইন্ডিয়া। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু প্রকাশ্যে! এক ঝলকে খাবারের তালিকা

    G20 Summit: রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু প্রকাশ্যে! এক ঝলকে খাবারের তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit), বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছেন। অতিথি আপ্যায়নে ত্রুটি নেই। আমাদের দেশের পরম্পরায় অনুযায়ী যেমন পাতে থাকছে নানা রকমের পদ, তেমনি বিদেশি পদও থাকছে খাদ্য তালিকায়। ইতিমধ্যেই সোনা রুপোর থালা বাসনে রাষ্ট্রপ্রধানদের (G20 Summit) খাবার পরিবেশন করা হবে সে কথা আগেই জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধানদের খাবার পরিবেশন করার আগে তা নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষাও করা হবে।

    দুপুরে জয়পুর হাউসে মধ্যাহ্নভোজের মেনু

    জয়পুর হাউসে বিদেশী রাষ্ট্রনেতাদের জন্য একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজে অবশ্য নিরামিষ খাদ্য পরিবেশন (G20 Summit) করা হয়। ভারতীয় খাদ্যশস্য বাজরাকে জনপ্রিয় করে তুলতে ইতিমধ্যে ২০২৩ সালকে বাজরার বছর হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ আগেই জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, সেদিকে তাকিয়ে বাজরার তৈরি বিশেষ থালি, বাজরার পোলাও, বাজরার ইডলি এই সমস্ত খাদ্যপদ মধ্যাহ্নভোজে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের পরিবেশন করা। এছাড়াও খাদ্য তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ডাল বাটি, চুরমা, বাংলার বিখ্যাত রসগোল্লা, দক্ষিণ ভারতের মসলা-ধোসা, বিহারের চোখা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি ওয়েলকাম ড্রিংকসে রয়েছে ভারতীয় কফি, চা, মিষ্টি, চকোলেট।  রান্নার কাজে সারাদেশ থেকে এসেছেন নামিদামি শেফরা (G20 Summit)।

    রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের মেনু

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজের (G20 Summit) মেনু একেবারে তাক লাগানোর মতো। সেখানে স্থানীয় খাবার যেমন থাকবে, তেমনই জায়গা পাবে কন্টিনেন্টাল ডিশ। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কী কী থাকছে আজ রাতের মেনুতে। 

    ভারতের আঞ্চলিক পদে থাকছে—

    – দহি ভাল্লা
    – সিঙাড়া
    – ভেলপুরি
    – বড়া পাব
    – মশলাদার চাট
    – ফুচকা
    – দই পুরি
    – সেও পুরী
    – মির্চি বড়া
    – বিকানেরি ডাল পরটা
    – পলাশ
    – লীলভা কচুরি
    – আলু হার্ট হ্যাপি
    – টিক্কি
    – যোধপুরী কাবুলি পোলাও

    এবছর আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। তাই মিলেটের পদও থাকবে নৈশভোজে। তালিকায় রয়েছে—

    – মিলেটের সিঙাড়া
    – মিলেটের পরোটা
    – মিলেটের ক্ষীর
    – মিলেটের পুডিং

    ভারতীয় প্রাদেশিক স্বাদ। এখানে বিভিন্ন রাজ্যের বিশেষ পদকে বাছাই করে আনা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে—

    – বিহারের লিট্টি চোখা
    – বাজরা দিয়ে তৈরি রাজস্থানী ডাল বাটি চুর্মা
    – পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা
    – পাঞ্জাবের ডাল তরকা
    – দক্ষিণ রাজ্য থেকে উত্তাপম, ইডলি এবং মশলা দোসা
    – মালাবারের পরোটা
    – ইডলি সাম্বার, পেঁয়াজ মরিচ উত্তাপম
    – মহীশূরের দোসা
    – চাঁদনী চকের সুস্বাদু রেসিপি

    স্যালাডে রয়েছে- ভারতীয় গ্রিন স্যালাড, পাস্তা এবং গ্রিল্ড ভেজিটেবল স্যালাড এবং চানা সুন্দল। মেন কোর্সে থাকছে—

    – পনির লাবাবদর
    – আলু লিওনেজ
    – সবজি কোরমা
    – কাজু মাখনা
    – পেন্নে ইন আরারাবিয়াত সস

    এছাড়া থাকবে—

    – জোয়ার ডাল তড়কা
    – ভাত
    – পেঁয়াজ জীরা পোলাও
    – রুটি
    – তন্দুরি রুটি, বাটার নান, কুলচা
    – রাইতা, চাটনি
    – শসা- রাইতা
    – তেঁতুল এবং খেজুরের চাটনি
    – আচার
    – টক দই

    শেষ পাতে ডেসার্টে থাকবে—

    – জিলিপি
    – কুট্টু মালপুয়া
    – কেশর পিস্তা রসমালাই
    – আখরোট এবং আদার গরম পুডিং
    – স্ট্রবেরি আইসক্রিম
    – Blackcurrant আইসক্রিম
    – রসমালাই
    – মালাই ঘেভার
    – গুলাব চুরমা
    – পেস্তা কুলফি
    – গাম পুডিং
    – শ্রীখণ্ড
    – ফালুদার সঙ্গে মালাই কুলফি
    – কেশর পেস্তা ঠাণ্ডাই
    – সেমুই
    – মসুর ডাল-কাঠবাদাম পুডিং
    – মেওয়া
    – ক্ষীর
    – গাজরের হালুয়া
    – মতিচুর লাড্ডু
    – ড্রাই ফ্রুটস
    – আখরোট-ডুমুরের পুডিং
    – আঙ্গুরি রসমালাই
    – অ্যাপল ক্রাম্বল পাই
    – যোধপুরী মেওয়া কচুরি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগমনী দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে, শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সাজ শিল্পীদের কারখানায়। এই বছরের কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাজ শিল্পীদের তৈরি করা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দেবে আসাম, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশে। করোনার মন্দা থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সাজ শিল্পীদের ব্যবসা। আশায় বুক বেঁধেছেন শিল্পীরা।

    করোনার আবহ কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে প্রতিমার সাজ শিল্প (Krishna Nagar)

    প্রতিমা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় (Nadia) চলছে মূর্তি নির্মাণের চরম ব্যস্ততা। দেবী মূর্তির মৃৎপ্রতিমা প্রস্তুত হওয়ার পর, তা সর্বসাধারণের মাঝে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অলংকার ব্যবহারে অঙ্গের সাজ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যার ফলে, দুর্গাপূজার সূচনা কালে দেবী মূর্তির সাজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিরলস কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা পেশায় ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদকের কারখানায় এখন তীব্র ব্যস্ততা। শিল্পী তন্ময় মোদকের তৈরি প্রতিমার ডাকের সাজ এবার পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দু-তিন বছর করোনা আবহ কাটিয়ে, এই বছর ফেলে আসা পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডাক শিল্পীরা। যার কারণে করোনা কালে ব্যবসার অভূতপূর্ব ক্ষতি সামাল দিয়ে, এই বছর কিছুটা হলেও বাড়তি রোজগারের আশার আলো দেখছেন এই সাজ শিল্পীরা।

    সাজ শিল্পীদের বক্তব্য

    চলতি বছরে ডাকের সাজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শিল্পী তন্ময় মোদক। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই বছর তাঁর কারখানায় তৈরি ডাকের সাজ কলকাতার কুমারটুলিতে যাবে। সেই সঙ্গে সাজ সরঞ্জাম পাড়ি দেবে ত্রিপুরা, আসাম ও উত্তরপ্রদেশে। দেবী প্রতিমার এই সাজ তৈরি হয় মূলত তার দিয়ে। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে অধিক সংখ্যক বায়নানামা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তার কারখানায় দিনরাত পরিশ্রম করে দেবীর সাজ তৈরি করে চলেছেন ৬ জন কারিগর। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অভিশপ্ত করোনা কাল যেন আর ফিরে না আসে, এই কথাই জানান কৃষ্ণনগরের এই ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাকে খুন করে নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক মহিলা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়ার (Kanchrapara) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙাপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাধারানি প্রসাদ (৭০)। অভিযুক্ত অসুস্থ মেয়ের নাম ববিতা প্রসাদ। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kancharapara)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ববিতা প্রসাদ কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) মায়ের কাছেই থাকতেন। পাশে থাকতেন তার ভাইরা। ভাইদের সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর ঝামেলা ছিল। তাঁর মা মেয়ের সঙ্গে এক ঘরেই থাকতেন। এদিন সকাল দশটা নাগাদ ঘরের ভেতর থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার ঠিক পাশেই ববিতা দেবীও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের বিষয়টি নজর আসার পর ববিতা দেবীকে উদ্ধার করে কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বৃদ্ধা রাধারানিদেবীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    পরিবারের এক সদস্য বলেন, কয়েকদিন মায়ের সঙ্গে মেয়ের গন্ডগোল হলেও শুক্রবার কোনও ঝামেলা হয়নি। অন্যদিনের মতোই খাওয়া দাওয়া করে তারা শুয়েছেন। এদিন বেলা হয়ে গেলেও ঘর থেকে না ওঠায় আমরা ডাকাডাকি করি। এরপরে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই, দেখি দুজনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) স্থানীয়  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যজনের, অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে কল্যাণীতে নিয়ে যাওয়া হয়।

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    প্রতিবেশী নিলাম সিং  বলেন, ববিতা মাসি তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা নিয়মিতই তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত করতাম। গত দু-তিনদিন ধরে কোনও একটা বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা চলছিল ববিতা মাসির। ফলে মাকে মারধরও করে বলে অভিযোগ। তিনি কাউকে ঘরে ঢুকতে দিতেন না। এদিন সকালে খবরটা পেয়ে আমরা ছুটে আসি। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি, ববিতা মাসি নিচে পড়ে রয়েছে। আর তাঁর মা বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সম্ভবত বিষ জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে বা কোনও ওষুধ খাইয়ে মাকে মারার পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। কিন্তু, তার আগে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, নির্দিষ্ট কি কারণে তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন তা আমাদের কাছে অজানা। জানা গিয়েছে, ঘটনা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

    Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মশালা চা, লেমন চা, জিনজার চা সহ রকমারি চা রয়েছে দোকানে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে চাকরি ছেড়়ে চায়ের দোকান করেছে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানের (Tea Shop) নামের জাদুতেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই চায়ের দোকান। দোকানের নাম রাখা হয়েছে, “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”।

    কেন দোকানের (Tea Shop) নাম “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”?

    দোকান (Tea Shop) দিয়ে চায়ের আসর বসিয়ে রাজনীতি সচেতনতা বাড়াতে বার্তা দিচ্ছে মেদিনীপুরের বছর ২৬ এর ছেলে অঞ্জন দাস অধিকারী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। এরপর কর্ণাটকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন। রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ আকর্ষণ তাঁর। ছাত্র জীবনে রাজনীতিও করেছেন। কিন্তু, বাবা অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে ফের মেদিনীপুরে ফিরে আসা। বাবার অসুস্থতায় প্রয়োজন টাকার, অন্যদিকে তাঁর প্রবল আগ্রহ রাজনীতি নিয়ে। নেতাদের বক্তব্য,ষ নেতাদের সভা আলাপ-আলোচনা কলাকৌশল নিয়েও আগ্রহের সীমা নেই এই অঞ্জনের। কিন্তু বাবার অসুস্থতা এবং পরিস্থিতির চাপে শেষ পর্যন্ত এই দোকান খুলতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে দোকান খুলে নিজের পেশা ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়ে নাম দিয়েছেন “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”। মূলত নামেতেই প্রকাশ পাচ্ছে আর রাজনীতির গন্ধ। অনেকটাই দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানোর মতো।

    “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা” নিয়ে কী বললেন তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা?

     তরুণ প্রজন্ম পড়ুয়াদের নিয়েই এই চায়েওয়ালার আসর চলে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানে (Tea Shop) আড্ডা জমান তরুণ তরুণী সহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। চা খেতে খেতে আলোচনা করেন বাম ডান সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের রাজনীতির কলা কৌশল আলাপ-আলোচনা। আর তাতেই কিছুটা হলেও নিজের ইচ্ছে পূরণ হয় এই অঞ্জনের। তার এই চায়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভ্যারাইটি চা, যার দামও ৭ টাকা থেকে শুরু হয়ে চল্লিশ টাকায় ঠেকেছে। চা খেতে আসা সৌরভ,হিমাদ্রি,বিক্রমরা বলেন, অঞ্জনদার চায়ের দোকানের নাম এবং চা এই এলাকায় অন্যতম জনপ্রিয়। শুধু চা খেতে আসা নয়,এর সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনার সঙ্গে চুটিয়ে রাজনীতির আলোচনা চলে। তবে, তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন বলেও আমরা মনে করি। কারণ, সমস্ত রাজনীতি দুর্নীতিতে যুক্ত বা অসচ্ছ নয়। আর সেই জ্ঞান নিতেই এই পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা এর কাছে আসা আমাদের।

    কী বললেন পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা?

    পলিটিকাল চায়েওয়ালা অঞ্জনবাবু বলেন, ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল রাজনীতিতে নেতা হওয়া। একসময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।  সামনে থেকে দেখেছে রাজনীতির কর্মকাণ্ড। কিন্তু, তারপরেই ছন্নছাড়া এবং ফিরে আসতে হয়েছে বাড়িতে,খুলতে হয়েছে আর্থিক প্রয়োজনে দোকান (Tea Shop)। তবে, ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই এই দোকানের নাম রেখেছি পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা। যেখানে সমস্ত ইয়ুথকে জানানো হচ্ছে রাজনীতি মানে অসৎ নয়,দুর্নীতি নয়। অনেক ভালো মানুষ আছে এবং সৎ রাজনীতিও করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Death: ‘মৃত’ শ্রমিকের গরম দুধ পান! দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফের মৃত্যু!

    Death: ‘মৃত’ শ্রমিকের গরম দুধ পান! দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফের মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ‘মৃত’ ব্যক্তির দুধ পান! পরে, হাসপাতালে নিয়ে গেল মৃত ঘোষণা! এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল মুর্শিদাবাদে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের জগদা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেনাউড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, বৃষ্টির জমা জলে নেমে নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ করছিলেন অর্জুন সিং নামক এক ব্যক্তি। সেই সময় খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, উপস্থিত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তখন ওই শ্রমিককে বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন পরিবারের লোকজন। 

    এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। দাবি, দেহ বাড়িতে নিয়ে এলে পরিবারের লোকজন ‘মৃত’ শ্রমিকের দেহে আচমকা নড়া-চড়া লক্ষ্য করেন। শুধু তাই নয়। পরিবারের দাবি, এর পর বাড়িতে গরম দুধও খান ওই ‘মৃত’ ব্যক্তি। পরিবারের আরও দাবি, এর পর ফের একবার ওই শ্রমিককে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শ্রমিককে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা এবারও মৃত ঘোষণা করেন।

    পরিবার কী বলছে?

    মৃত শ্রমিকের পরিবারে অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দাবি, ভালো করে পরীক্ষা না করেই প্রথমে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসক। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমবার ঠিক মতো চিকিৎসা হলে হয়তো অর্জুন সিং বেঁচে যেতেন। মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য, ভালো করে পরীক্ষা না করেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়। মৃত শ্রমিকের মেয়ে নিসা সিং জানান, প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কোনও চিকিৎসা করেননি। পরে বাড়িতে নিয়ে আসার পর বাবা গরম দুধ খান। কিন্তু দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবার মৃত্যু হয়।

    এই ঘটনায় অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং সময়কে স্পষ্ট করার জন্য পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়েছিল কিনা এই নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের চেয়ারম্যান-বিধায়ক সংঘাত চরমে! কেন জানেন?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের চেয়ারম্যান-বিধায়ক সংঘাত চরমে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর বিধানসভায় পঞ্চায়েত সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এল। শাসক দলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বক্তব্যকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দলের জেলা চেয়ারম্যান একটি কমিটি গঠন করেছেন। সালারে বিধায়ক কার্যালয় উদ্বোধন করে বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, পূর্ণাঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি এখনও ঘোষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে, আমি যদি দেখি প্রকৃত যারা তৃণমূল তারা কমিটিতে বাদ পড়েছে, কারও মর্জি মতো কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    ভরতপুর বিধানসভায় দুটি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় যে সব গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, সেখানে  বহু বুথে স্থানীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূল নয়, বিধায়ক অনুগামীরা সিপিএম বা কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেন। কার্যত দলের নির্দেশকে না মেনেই ভরতপুরের বিধায়ক অনুগামী জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের মতো করে বোর্ড গঠন করেন। বিষয়টি জানার পরই দলের জেলা চেয়ারম্যান ক্ষোভ উগরে দেন।

    কী বললেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার চেয়ারম্যান?

    ভরতপুরের বিধায়ক  হুমায়ুন কবীরের নাম না করেই তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভরতপুরে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারে বসেছেন, তাদেরকে আমরা দলের কেউ মনে করি না। যেহেতু এদের কোনও পদ নেই, এদের বহিষ্কার করার কোনও প্রশ্ন আসে না। কি সব ফাইভ ম্যান কমিটি হয়েছিল, সেগুলো রাজ্যের অনুমোদিত নয়, সেই কমিটির অস্তিত্ব নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে অর্থাৎ কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি দলের সঙ্গে যারা হাত মিলাবে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সমর্থন করে না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।

    কী বললেন ভরতপুরের বিধায়ক?

    ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ভরতপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের টিকিটে জয়ী  গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রয়েছে তারাও যদি বেচাল করে তাহলেও ব্যবস্থা নেব। মূলত তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের নাম না করে শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের নেতৃত্বদের তীব্র হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এলাকার যারা পদে রয়েছেন তারাই আমাকে বঞ্চিত করেছিল। তাদের মর্জি মতো টিকিট আমাকে দিয়েছিলেন। আমি আমার প্রার্থীদের জিতিয়ে দেখিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আগেই জল ঘোলা হয়েছে, রাজ্য নেতৃত্ব সবই জানে। আমি শুধু বলতে চাই, যারা শাসক দলের টিকিটের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছে তারা যেন মা মাটি মানুষের নীতি আদর্শ মেনে চলে। যদি তারা লাইনচ্যুত হয়, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। আমরা তখন কিন্তু রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • G20 Summit: ভারত মণ্ডপমে রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানালেন মোদি, শুরু হল জি২০ সম্মেলন

    G20 Summit: ভারত মণ্ডপমে রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানালেন মোদি, শুরু হল জি২০ সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসে গেল বহু প্রতিক্ষিত মুহূর্ত। প্রবল প্রত্যাশার মধ্যে দিয়ে নয়াদিল্লিতে সূচনা হল দুদিন ব্যাপী জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G20 Summit)। প্রথমবার এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন ভারতে বসছে। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। এই জন্য এবারের সম্মেলনকে মাথায় রেখে বিশ্বের সামনে দেশের সংস্কৃতি ও গরিমা তুলে ধরতে সচেষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের জন্য দিল্লির প্রগতি ময়দানে নির্মিত ভারত মণ্ডপম সভাঘর থেকে শুরু করে বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়ন— সবকিছুতে ভারতের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করছে। এই সম্মেলনের থিম ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। অর্থ, গোটা বিশ্ব একটিই পরিবার। 

    রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানালেন মোদি

    আজ কড়া নিরাপত্তায় এই সম্মেলন (G20 Summit) শুরু হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ ভারত মণ্ডপম-এ পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে স্বাগত জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এরপর একে একে আসতে শুরু করে বিদেশি রাষ্ট্রনেতারা। এক এক করে সভায় যোগ দিতে আসা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

     

     

    শুরুতেই বড় ঘোষণা মোদির

    এর পর সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে (G20 Summit) মোদি বলেন, ‘‘করোনা মহামারির পরে বিশ্বে বিশ্বাসজনিত সঙ্কট তৈরি হয়েছে। যুদ্ধ এই সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজেরা আলোচনা করে এই সঙ্কটকে কাটাতে পারি। এটাই একসঙ্গে চলার সময়।’’ একইসঙ্গে, মরক্কোয় গতকালের ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এর পর বড় ঘোষণা করলেন মোদি। জি২০-র (G20 Summit 2023) স্থায়ী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হল আফ্রিকান ইউনিয়ন। আজকে সম্মেলনের প্রথম সেশনে এই নিয়ে ঘোষণা করে গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সম্মেলনে কী কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    জি২০ গোষ্ঠীতে (G20 Summit) রয়েছে ১৯টি রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলি হল— ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এই সম্মেলনে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা (G20 Summit 2023)। আলোচ্য বিষয়বস্তুর তালিকায় রয়েছে— উন্নয়নশীল দেশগুলিকে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক ঋণ কাঠামোর সংস্কার, ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণবিধি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং খাদ্য ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের নিরাপত্তা ও তার প্রভাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrababu Naidu arrest: দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু

    Chandrababu Naidu arrest: দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অন্ধপ্রদেশের (Chandrababu Naidu arrest) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। শনিবার সকালেই তেলেগু দেশম পার্টির সুপ্রিমোকে গ্রেফতার করা হয়। টিডিপি-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। নান্দিয়াল জেলার পুলিশ এবং রাজ্যের সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুর পুত্র নারা লোকেশকেও আটক করেছে সে রাজ্যের পুলিশ (Chandrababu Naidu arrest)।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ (Chandrababu Naidu arrest)

    জানা গিয়েছে মামলাটা দু’বছরের পুরনো এবং ২০২১ সালে চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছিল।  গ্রেফতারির আগে অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল জেলাতে একটি দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu arrest), পরে ভ্যানিটি ভ্যানে কর্মসূচিস্থলেই রাত্রি বাস করেন। সেখান থেকেই শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ ডিআইজির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং সিআইডির আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারির আগে অবশ্য পুলিশ এবং সিআইডিকে ঘিরে ধরে টিডিপির কর্মী সমর্থকরা (Chandrababu Naidu arrest), এতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। এরপর এই নান্দিয়াল হাসপাতালে তেলেগু দেশম পার্টির প্রধানকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল করাতে। হাসপাতাল থেকে সোজা তাঁকে বিজয়ওয়ারা জেলে নিয়ে যায় পুলিশ।

    আগেই গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu arrest)

    এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নাগার্জুন, চন্দ্রবাবুর নাইডুর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হতে শুরু করেন। তখনই তাঁকে পুলিশ আটক করতে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান (Chandrababu Naidu arrest)। দিনকয়েক আগেই এক সাংবাদিক বৈঠক করেন অন্ধ্রপ্রদেশের বর্তমান সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নাগার্জুন। সেখানেই তিনি দুর্নীতির অভিযোগ আনেন চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘‘জনগণের চাকা নয়ছয় করেছেন চন্দ্রবাবু (Chandrababu Naidu arrest), তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ুয়ার মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিং! পিস্তল নিয়ে হুমকি

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ুয়ার মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিং! পিস্তল নিয়ে হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংকাণ্ডে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রহস্যজনকভাবে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar)। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের মুখে সিগারেট গুঁজে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল পাঁচ সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে। এমনকী, ওই পাঁচ ছাত্রের একজনের বিরুদ্ধে পিস্তল নিয়ে জুনিয়র ছাত্রকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর স্কুলেও র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠায় উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষা জগতে। অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল চলাকালীন স্কুলের শৌচাগারে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Krishna Nagar)

    বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও শিক্ষক দিবসের দিন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা নিচু ক্লাসের পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় ওই পাঁচ পড়ুয়া জুনিয়র পড়ুয়াদের ধূমপান করতে এবং পোশাক খুলতে বাধ্য করে। অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে চিহ্নিত করে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার নবম শ্রেণির এক ছাত্র শৌচালয়ে গিয়ে দেখতে পায় এক সিনিয়র ছাত্রের কোমরে বন্দুক গোঁজা রয়েছে, তা দেখে ফেলায় ওই ছাত্র তার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আর দেরি করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। পর পর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরা। শুক্রবার তাঁরা কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ডেপুটেশন জমা দেন।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar) কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ বিশ্বাস বলেন, ‘এক ছাত্রের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভব্য আচরণের অভিযোগ পেয়েছি। সব মিলিয়ে পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যতদিন না বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষ হবে,ততদিন অভিযুক্ত ছাত্রদের অভিভাবকদের তাদের স্কুলে পাঠাতে বারণ করা হয়েছে।’ গোটা ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলে এমন ঘটনা ঘটায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্কুলের গেটে শুক্রবার রীতিমতো নোটিশ টাঙিয়ে ওই পাঁচ ছাত্রকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share